গুটলু বেত্তান্ত # ০৪

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/১২/২০১১ - ৫:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“পড়াবি?”

বাল্যবন্ধু সুমনের পাল্লায় পড়ে ‘মহাকবি’ বনে যাবার উপক্রম হয়েছিল কিছুদিন আগে। এরপর থেকে টিউশনি নিবার আগে যোগ-বিয়োগ করি অনেক।

“ছাত্র না ছাত্রী?”
“ছাত্রী।”
“কস্মিন কালেও না!”
“মানে? আরে ব্যাটা ক্লাস ওয়ানের ‘শিশু’, লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই।”

সুশান্ত ওর ট্রেডমার্ক হলুদ দন্তপাটি বিকশিত করে বিটখিল একটা ভেটকি মারে। আমার পিত্তি জ্বলে যায়।

“লজ্জা পাচ্ছি কে বলল? কোন ক্লাসে পড়ে বললি?”
“ক্লাস টুতে উঠবে এবার।”
“টু! ক্লাস টু’র বাচ্চারও টিউটর লাগে আজকাল! তা মাইনে দেবে কেমন?”
“আরে শুধু টিউটর না, ক্রাইটেরিয়া জানিস? ম্যাট্রিক-ইন্টারে গোল্ডেন থাকতে হবে, তারপর ডি.ইউর ছাত্র! তবে মাইনেটা ঝাক্কাস, পাক্কা পাঁচ হাজার!”
টাকার অঙ্কটা শুনেই আমার বাথরুম পেয়ে গেল। অনেক কষ্টে স্বাভাবিক থেকে বললাম,
“পড়াতে হবে কী?”
“ক্লাস টু’র একটা বাচ্চাকে যা পড়ানো লাগে তা-ই। পিচ্চির বাবা বাইরে থাকে। মা-ও সারাদিন অফিস করে সময় দিতে পারে না তেমন। দায়িত্ব নিয়ে পড়াটা ধরিয়ে দিবার জন্য তাই সিন্সিয়ার লোক খুঁজছে একজন।.”
“হুম্ম, দায়িত্ব না হয় নিলাম। কিন্তু এমন মোটা অফার তুই নিজে না নিয়ে আমাকে দিয়ে দিচ্ছিস কেন বল তো?”
সুশান্ত এবার একটু কেমন কেমন করে যেন হাসে। হলুদ দাঁত বেরোয় না, চাপা হাসি।
“আসলে আরেকটার সাথে ক্রস টাইমিং হয়ে যায় তো--”
“ছেড়ে দে ওটা! ওখানে পাঁচ পাস না নিশ্চয়ই?”
“আসলে ব্যাপারটা ঠিক টাকার না...”

এমন মিনমিন করা সুশান্তের ধাঁত না। একটু সন্দেহ হওয়াতে জানতে চাইলাম,
“ওটা কি সুমন দিয়েছিল নাকি তোকে?”
“হ্যাঁ। কেন বল তো?”
“নাহ্‌, এমনি!”
আর কিছু আসলে বলবার প্রয়োজন ছিল না আমার। বেশ বুঝলাম, এই প্রাণোচ্ছ্বল বালকও ‘মহাকবি’ হতে চলেছে অচিরেই।

দিন দুয়েক পর সাক্ষাত হল আমার নতুন ছাত্রীর সাথে। নাম অবণী। বড়ই আদুরে খোমা, দেখলেই গাল টিপে দিতে ইচ্ছে হয়। তবে 'শিশু' হিসেবে খানিকটা ‘সাংঘাতিক’ প্রকৃতির তিনি। মায়ের হাঁটুর উপর বসে প্রথম দেখাতেই ঘোষণা করে বসলেন,
“এর কাছে আমি পড়বো না। আমার আগের মিস এর থেকে অনেক সুন্দর, আমি তার কাছেই পড়বো।”

আড়ালে নিয়ে ছাত্রীর মা বললেন, “ভাই, একটু দ্যাখো পারো কি না। কোন টিচারের ধৈর্য্যে কুলোয় না, চলে যায়।”
প্রথম পরিচয়েই মায়ের অমন কাকুতি-মিনতিতে যা আঁচ করলাম, ছাত্রী আমার মুখায়ববে নিষ্পাপ-পবিত্র-স্বর্গীয় বালিকা, তবে অন্তঃকরণে যাকে বলে সোমালিয়ার জলদস্যু। তবে আমি অভয় দিলাম মাকে-- থাকছি, যাচ্ছি না।

পড়ানোর প্রথম দিন। বর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি করতে দিলাম। ‘অ’ দিয়ে লিখলো ‘অভ্র’। অভ্র ফোনেটিকের কথা আমার মাথায় আসে নি, ক্লাস টু’র ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে আসার কথাও নয়। বললাম, “এটা কী?”
“আয় হায়! এটা চেনো না? এটা হচ্ছে ল্যাপটপে বাংলা লেখার ‘গেম’। দেখবে? দাঁড়াও নিয়ে আসি--”
“না না না, লাগবে না, আমি দেখেছি ওটা। সুন্দর শব্দ, মানে হল ‘মেঘ’। আচ্ছা, ‘আ’ দিয়ে লেখো তো এবার?”

‘অ’ দিয়ে যে ‘অভ্র’ লেখে, ‘আ’ দিয়ে সে কী লিখবে আমি ভাবতে থাকি। 'অ্যাপল'-এর বাংলা ‘আপেল’?

“লিখেছি। ‘আজাব।”
“আজাব’?! এটা আবার কেমনতর শব্দ?”
“আজাব’ হচ্ছে আমার আরেকটা নাম। আম্মু বেশির ভাগ সময় আমাকে এই নামেই ডাকে।”

ওর ‘সিরিয়াস’ ভাব দেখে হাসি চাপিয়ে রাখতে পারি না আমি, হেসে উঠি হো হো করে। ছাত্রীর সেটা প্রেস্টিজে লাগে।
“হাসছো কেন? বিশ্বাস করলে না? সুমিকে জিজ্ঞেস করে দ্যাখো না হয়। সুমি আপুউউউ--”
সুমি ওদের বুয়ার নাম। ডাক পেয়ে উনি আসেন, হাসি চেপে সাক্ষ্য দিয়ে যান।

ক’দিন পর। পিল অনেকটাই বাগে চলে এসেছে ততদিনে। পড়াতে গেলাম। কিন্তু তিনি বেঁকে বসলেন সেদিন, এখন পড়বেন না। কারণ? কারণ টিভিতে ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট দেখাচ্ছে। বহু ভাবে পটানোর চেষ্টা করলাম, পটে না। সে আজ পড়বে না ঠিক করেছে তো পড়বেই না। শেষমেশ বাধ্য হয়ে বললাম,
“আমি তবে ফোন দিচ্ছি মাকে--?”

ম্যাজিকের মত কাজ হল। সাথে সাথে টিভি বন্ধ করে দিয়ে বই-খাতা নিয়ে এল। লিখতে দিলাম। বিনা বাক্যব্যয়ে লিখতে শুরু করল। লেখার গতি দেখলাম নটিক্যাল ছাড়িয়ে যাচ্ছে, পেন্সিলের লিড ভেঙ্গে এদিক-ওদিক ছুটে যাচ্ছে, খাতার পৃষ্ঠা ফুঁটো-ফাটা হয়ে যাচ্ছে। মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি, কোঁচকানো ভ্রু কপাল ছাড়িয়ে গেছে, দাঁতে কিড়মিড় শব্দ হচ্ছে।

কোমল মস্তিষ্ক অমন উত্তপ্ত করে তোলাটা কোন কাজের কথা না। তেমনটা আমার ইচ্ছেও ছিল না। কিন্তু এখন এর মাথা ঠাণ্ডা করি কেমনে! পরিবেশ হালকা করতে হেসে দিলাম সশব্দে। কিন্তু ফল হল সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি চিৎকার করে বলতে লাগলেন,
“তুমি তো এখন দাঁত বের করে হাসবে-ই। তোমার তো এখন খুউউউব সুখ। কিন্তু এটা তো কোন সুখের ব্যাপার না। আমার তো সুখ লাগছে না। আমার অনেক কষ্ট লাগছে।“
বাক্যের ধরণ দেখে একেবারে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে গেলাম। আবিষ্কার করলাম, চোখ ছলছল করছে তার। জিজ্ঞেস করলাম,
“কাঁদছো কেন?”
“কাঁদছি কে বলল! চোখে ময়লা গ্যাছে!”

পরের দিন আবার গেলাম। প্ল্যান করে রেখেছিলাম, আগের দিনের মেক-আপ করে দেব আজ। কিন্তু ভেতরে ঢুকে টাস্কি খেলাম রীতিমত। আজ স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি রকম হাসিখুশি সে, আগের দিন আমার ওপর যে কী পরিমাণ ‘মেজাজ’ খারাপ করেছিল তার, দেখে বোঝার কোন উপায়ই নেই। এই না হলে ‘শিশু’!

যাহোক, বসলাম বই-খাতা নিয়ে। কিন্তু পড়ানো শুরু করার ঠিক আগ মুহূর্তে আবার সেই স্বভাবসিদ্ধ বাগড়া। কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, “আচ্ছা, তোমার কি এখন অনেক খিদে পেয়েছে?”
ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম, পেটের মধ্যে টি-টোয়েন্টি চলছে রীতিমত। তবু পড়া ফাঁকি দিবার আবার নতুন কোন ফন্দি আঁটে সে-- তাই বললাম, “না, খিদে নেই।”
“গুড। তাহলে শোন, একটু পর সুমি যে নাস্তাটা দিয়ে যাবে তোমার জন্য, ওটা আজ খাওয়ার দরকার নেই তোমার। ওটা আমি খাবো। ঠিক আছে?”
কর্পোরেট এই জমানায় অমন চাঁছাছোলা কথাবার্তা শুনি নি বহুদিন। ধাতস্থ হতে তাই একটু সময় লাগে আমার। অবণী অবশ্য উত্তরের অপেক্ষা করে না, বিশ্বজয়ের আনন্দে হাসতে শুরু করে খিল খিল শব্দে।

অবশেষে নাস্তা আসে। খেতে খেতে অবণী বলে,
“মামনি আমাকে এই চকোলেট কুকিজ খেতেই দেয় না, বুঝেছ? খেলে নাকি পোকা হবে দাঁতে...”
“আচ্ছা অবণী, তুমি অনেক ভয় করো তোমার মামনিকে, তাই না?”
“ভয় না। একটু রেগে গেলেই মামনি ‘জনমের কাট্টি’ নিয়ে ফেলে আমার সাথে। এর জন্য।”
“এর জন্য’? কী?”
“এর জন্য ওর কথা শুনি। আব্বু তো আসেই না কতদিন, আম্মুও সারাদিন থাকে অফিসে। ওখানে নাকি অনেক কাজ করা লাগে। এরপর বাসায় এসে রাতেও যদি মন খারাপ করে থাকে, কাট্টি নিয়ে কথা না বলে আমার সাথে-- ভালো লাগে, বলো?”

বড়সড় একটা ধাক্কা খাই আমি। মনে পড়ে যায়, নাস্তা দিতে একটু লেট হচ্ছিল বলে আজও সকালে বেরোবার আগে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে এসেছি মায়ের সাথে। আমার সেই মায়ের সাথে, দেহে দু’ দুটো বড় বড় অস্ত্রোপাচারের পরও আজ অবধি নিরলস সংসারের ঘানি টেনে চলেছেন যিনি। মায়ের মূল্য, মায়ের মনের মূল্য, মায়ের মুখের এক চিলতে হাসির মূল্য বুঝলো সাত বছরের এই অবুঝ শিশুটিও-- আমি বুঝলাম না।

“কী ব্যাপার! তুমি কাঁদছো? চকোলেট আমি খেয়ে ফেলেছি বলে??”
“আরে ধূর! কাঁদবো কিসের জন্য। চোখে কি একটা ময়লা গেছে বোধ হয়!”
আমি চোখ কচলে ময়লা সরাবার ভান করি। টকিং মেশিন চলতে থাকে--
“আল্লাহ, তোমারও এমন ময়লা পড়ে চোখে! আমারও না হয় এমন......”

[এই সিরিজের সমস্ত ঘটনা বা কাহিনী বাস্তব ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত। তবে চরিত্রগুলো কাল্পনিক।]


মন্তব্য

দীপ্ত এর ছবি

অপূর্ব! লেখা নিয়ে এই বাদে আর কিছু বলার নেই। পিচ্চির কাণ্ডকীর্তি তো তুলনাহীন, আর গল্পটা শেষে এসে দাগ কেটে গেলো মনে।

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, দীপ্ত।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তাপস শর্মা  এর ছবি

আমি চোখ কচলে ময়লা সরাবার ভান করি

.................. মন খারাপ

মৌনকুহর এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, তাপসদা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ন এর ছবি

চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভালো লাগলো। যদিও এত ছোট বাচ্চার এরকম গুছিয়ে কথা বলা অবিশ্বাস্য লাগছে। শিশুদের সম্পর্কে আমি কম জানি।

শিশুদের ক্ষেত্রে "কুমারী' শব্দটি না ব্যবহারের অনুরোধ জানাই।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, অনার্যদা। 'কুমারী' বদলে 'বালিকা' করে দিলাম।
আর হ্যাঁ, স্বচক্ষে না দেখলে আমাকেও কেউ বিশ্বাস করাতে পারত না এদের এই জাতীয় কাণ্ড-কীর্তি!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল লাগছে ... আর হ্যা পিচ্চির কথা আমারও একটু বেশীই গোছানো লাগছে ... কিন্তু আইজকাইল্কার পোলাপান যেই পাকনা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মৌনকুহর এর ছবি

ঘটনা একেবারেই সত্যি। পাকনামোর কথা আর নতুন করে কী বলব!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

পথিক পরাণ এর ছবি

তোফা ! তোফা !

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

মৌনকুহর এর ছবি

ধইন্যা! ধইন্যা! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

গৌতম এর ছবি

অপূর্ব! অপূর্ব!!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মৌনকুহর এর ছবি

ধনেপাতা নিন, গৌতমদা! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

আশালতা এর ছবি

দুষ্টুর কথা মিষ্টি লাগলো। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি
আপনার জন্যে সকাল বেলার সতেজ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার অশীতিপর বৃদ্ধা মাতার প্রতি আমার দায়িত্বটা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ
লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে।

মৌনকুহর এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ, প্রৌঢ়দা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নিটোল এর ছবি

সো সুইট বাচ্চা!

_________________
[খোমাখাতা]

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম, (গুড়) এর মত। হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নির্ঝরা শ্রাবণ এর ছবি

আজকালকার পিচ্চিগুলা এমনি পাকনা............আমার ঘরে এক ভাগ্নে আছে সাড়ে ৪ বছর বয়স......আগে সে খুব ভোরে উঠে চলে আসতো নানুর(আমার মা) কাছে......... তবে যখন থেকে আমার মা সকালে ওকে পড়াতে বসাতে শুরু করল, ও এখন পারতপক্ষে আর ভোরে ঘুম থেকেই উঠতে চায়না......... উলটো বলে কিনা.........নানুর বাসায় যাবনা, নানু খালি পড়তে বলে

মৌনকুহর এর ছবি

হে হে হে। এই সিরিজের প্রথম নায়কের কথা মনে করিয়ে দিলেন।

অনেকদিন দেখি না ওইটারে... মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

দ্যা রিডার এর ছবি

হাসি চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

কেউ কথা না রাখলেও আপনি রেখেছেন, সেই শুরু থেকে সাথে আছেন। হাসি
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

জারীফ এর ছবি

মায়ের মুখের এক চিলতে হাসির মূল্য বুঝলো সাত বছরের এই অবুঝ শিশুটিও-- আমি বুঝলাম না।

মন খারাপ

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম......

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ইফতি এর ছবি

অসাধারণ। গল্প হিসেবে, বাস্তব ঘটনা হিসেবেও। শেষ দিকে এসে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। আমিও মায়ের ত্যাগের কথা ভাবতে ভাবতে সজল চোখে অপেক্ষা করি............

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, ইফতি।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, জাহিদ ভাই।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তারেক অণু এর ছবি
মৌনকুহর এর ছবি

কবে যাব পাহাড়ে... আহারে... আহারে...

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সাফি এর ছবি

লেখা খুব ভাল লাগলো

মৌনকুহর এর ছবি

আপনাকে অনেকগুলো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তিথীডোর এর ছবি

বেশ কটা বাচ্চাকাচ্চাকে [ মানে আমার কাজিনকূল] কাছ থেকে দেখেছি বলে এই বিচ্ছুর কাণ্ডকারখানা পড়তে গিয়ে অবাক হলাম না।

আমার মামাতো বোন আদিবা [ওয়ানে পড়ে] নিজের রূপ সর্ম্পকে একেবারে একেশ্বরবাদী পর্যায়ের কনফিডেন্ট। একদিন কাঁদানোর জন্য কে যেনো বলছিল-- কে বলে তুমি সুন্দর। নাকটা কেমন বোঁচা, ঠোঁটগুলো কী মোটা।
সে মুখ বাঁকিয়ে ততক্ষনাৎ উত্তর দিল-- তাতে কী? আর সব তো ঠিক আছে!
ইয়া মাবুদ, ক্যাম্নে কী! ম্যাঁও অ্যাঁ

লেখায় পাঁচ তারা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৌনকুহর এর ছবি

আয় হায়!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আপ্নারে ধইন্যা দিলে কম হয়। কৃতজ্ঞতা জানুন।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নবীন পান্থ এর ছবি

মায়ের মুখের এক চিলতে হাসির মূল্য বুঝলো সাত বছরের এই অবুঝ শিশুটিও-- আমি বুঝলাম না।

ভাই চোখে জল এসে গেলো।
চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, নবীন।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

Excellent

মৌনকুহর এর ছবি

চাপাচাপিতে কাজ না হলেও চেষ্টায় কিন্তু হয়! হাসি
অন্তত ১০-১৫ মিনিট সময় খরচ করুন নিয়মিত, একদিন বের হবেই।

মিস করছি আপনার অসাধারণ অনুপ্রাস, মজারু-সরস লেখা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

বিবর্ন সময় এর ছবি

চমৎকার!
ভাই শেষে এসে চোখ ধরে গেলো তো! মন খারাপ
মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহারের কথা মনে পড়ে গেলো তো..।হায় আমিও বুঝিনি।। আর আজ এতদূর থেকে কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলি...কতদিন মাকে দেখি না!

ভালো থাকবেন।

-
বিবর্ন সময়

মৌনকুহর এর ছবি

এখন আর করবেন না, তবেই হবে।
মা-বাবারা কেন যেন অনেক বেশি ভালো হয়, বুঝলেন! সন্তানের সব ভুল নিমিষেই ভুলে যেতে পারেন ওনারা।

শুভেচ্ছা অহর্নিশ!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

উচ্ছলা এর ছবি
মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম.....

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।