১
যজ্ঞের আয়োজন, সারা পৃথিবীর তপ্ত বালুতে জ্বলছে যুদ্ধের আগুন। মানব ইতিহাসের এমন কোন সময় ছিলো না যখন যুদ্ধ হয়নি, যখন নিরীহ লোকজন বলি হয়নি উন্মাদনার। তবু আশায় বুক বেঁধে ছিলো সবাই, সভ্যতা যতো এগিয়ে যাবে ততো শান্তি এগিয়ে আসার কথা, ততো মূল্যবান হয়ে ওঠার কথা প্রতিটি মানবজীবন। কিন্তু তাই কী? দেখুন গত শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত পাঁচটি যু্দ্ধে মৃতের সংখ্যা :
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ : ১১,০১৬,০০০
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ : ৫৯,০২৮,০০০
ভিয়েতনাম যুদ্ধ: ৫,১৫৮,০০০
ইরাক যুদ্ধ : ১০৫,৭৮৭
আফগানিস্তান যুদ্ধ : ৪৩,০০০
উপরের হিসাবগুলো হলো সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাব ধরে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি হিসাব। এছাড়াও এগুলো শুধু সরাসরি মৃতদের (প্রাইমারি ভিকটিম) পরিসংখ্যান। যদি আহতদের ধরা হয়, যদি ধরা হয় যারা প্রথমে আহত এবং পরবর্তীতে এই যুদ্ধকালীন ক্ষতের কারণে নিহত হয়েছেন তাদের, যদি ধরা হয় যেসব পরিবার যারা কীনা এই নিহতদের উপর নির্ভরশীল ছিলো তাদের অসহায় মৃত্যু বা মানবেতর জীবনযাপনকে, তাহলে কোথায় গিয়ে ঠেকবে এই পরিসংখ্যান? যদি ধরি এই যুদ্ধ বিক্ষুদ্ধ পরিবেশে বেড়ে ওঠা সেইসব শিশুদের যারা কেউই সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠছে না, সারাজীবন কাটবে যাদের মানসিক ট্রমার শিকার হয়ে, ফলে সম্ভব হবে না স্বাভাবিক জীবনযাপন করা, তাদের ক্ষতির পরিমানকে? তাদের বংশধরদের ক্ষতিকে? চেরনোবিলের তেজস্ক্রিয়তার ফলাফল এখনো দেখা যায় ঐ বিকিরণের শিকারদের বংশধরদের মাঝে, তার চেয়ে কত ভয়াবহ চেইন রিয়্যাকশন রেখে যাচ্ছে এইসব যুদ্ধ!
গত শতাব্দীতে যু্দ্ধাহতদের সংখ্যা আনুমানিক ১৬০ মিলিয়ন। নানান যুদ্ধের হতাহতের একটা হিসাব দেখুন এখানে।
২
যুদ্ধ-বিগ্রহ থামাতে আন্তর্জাতিক সমাজ কী করছে?এরকম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব করলে সবার আগে আসবে জাতিসংঘের নামই। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে আর কী কপচাবো? প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এ ধরনের একটা প্রতিষ্ঠান প্রনয়নের চিন্তাভাবনা করা হয়, গঠনও করা হয় লিগ অফ নেশনস নামের এক সংগঠন। মোটেও সফল হয়নি সেটা। পরবর্তীতে ইউনাইটেড নেশনস নামে আজকের প্রতিষ্ঠানটি গঠন করা হয় ১৯৪৫ সালে, বিশ্বশান্তি রক্ষার স্বার্থে কাজ করার ব্রত নিয়ে। মূলত জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের দায়িত্ব পৃথিবীকে হানাহানি থেকে মুক্ত রাখার।
কতটুকু সফল জাতিসংঘ? আছে সফলতা বেশ কিছু ক্ষেত্রে, কিন্তু ব্যর্থতাগুলো এত বড় যে শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘকে একটা বিগ জোক ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। রুয়ান্ডার গণহত্যা ( মৃত: ৯০০,০০০), কঙ্গোর যুদ্ধ (মৃত: ৩,৮০০,০০০) , ইসরাইল-প্যালেস্টাইন বিরোধ মেটাতে অকার্যকারিতা, দার্ফুরের ব্যার্থতা ... সবমিলিয়ে এত মৃত্যুর কিছুটা দায়ভাগ জাতিসংঘকেও নিতে হবে বৈকি। আর সবচেয়ে দুঃখজনক হলো আমেরিকার ছড়ি ঘোরানো। বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের ওপর ছড়ি আমেরিকা ঘোরাতেই পারে, কিন্তু জাতিসংঘের ওপর কতৃত্ব চালানো মানে তো সম্মিলিত বিশ্বের ওপর চালানো! বুশ সাহেবের নিযুক্ত করা জাতিসংঘে আমেরিকান অ্যাম্বাসাডর কি বলছে দেখুন:
There is no such thing as the United Nations. There is only the international community, which can only be led by the only remaining superpower, which is the United States.
আরব-ইসরায়েল প্রসঙ্গে জাতিসংঘ যে নিরপেক্ষ আচরন করছে না,সেটাও বলে দেয়ার কোন দরকার নাই। এমনকী কসোভো চালাতে গিয়েও জাতিসংঘ আশ্রয় নিচ্ছে নানানরকম দুর্নীতির।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও বা কম যায় কীসে? ফিলিপ কুনলিফ তো সার্বিয়ান ইলেকশন নিয়ে বলতে গিয়ে বলেই বসলেন:
What counts as democracy is what the EU decides is democratic, and the democrats are those who are anointed by the international community, regardless of who actually receives the votes.
ডেমোক্রাসির বদলে ডেমোক্রাটরশিপই প্রমোট করা হচ্ছে কখনো আপন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, কখনো বড় ভাইয়ের কান মোচড়ের ভয়ে। ঐ পুরানো কথাটাই আবার ফিরে আসে - Quis Custodiet Ipsos Custodes - পাহারাদারকে পাহারা দেবে কে?
৩
তবে কি আমরা বন্দী নিয়তির হাতে? এভাবেই চলবে সবকিছু? দুনিয়া কি আসলেই রসাতলেই যাবে?
এখনো বেঁচে যাবার আশা একেবারে নাই হয়ে যায়নি। দুনিয়াতে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি, এখন শুধু দরকার এই ভালো মানুষদের মধ্যে একটু সাহস পয়দা হওয়া, আর একটু বেশি ঐক্য। আমেরিকান এক ইহুদী তরুণীর কথা পড়ছি, যার কাজ হলো ইসরাইলে গিয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, এমনকি ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়েও সে প্রতিবাদ চালিয়ে গেছে। আমেরিকান নাগরিক, তাই ইসরাইলও কিছু করে না, ধরে দুইদিন জেলে রেখে ফেরত পাঠিয়ে দেয় আমেরিকায়। আবার সে ফেরত যায় বারবার। দেখছি বিশ্বজুড়ে গড়ে উঠছে যুদ্ধবিরোধী চেতনা, প্রতিবাদ প্রকাশ করছে নানা ভাবে নানা জায়গায়। তবু যথেষ্ট না এখনো। কেন?
গোর্কির মন্তব্য মনে পড়ে - A man should be respected. Not pitied - pity is degrading. রবিবুড়োও বলে গেছে সেই একই কথা - যে মানুষকে সম্মান করতে জানে না সে মানুষের উপকার করতে অক্ষম। সুতরাং আমরা যে উপায়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা করি বেশিরভাগ সময়ই তা পাশে দাঁড়ানো নয়, বরং নিরাপদ দূরত্বে উপর থেকে পয়সা ছুঁড়ে দেয়ার সামিল। এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে; সত্যিকার অর্থে পাশে দাঁড়ানো মানে হলো অন্যের বেদনার কারণটাকে নির্মূল করা। আগের একটা লেখায় লিখেছিলাম সিম্পটম আর প্রবলেমের কথা। মাথাব্যাথা উপসর্গ, আর কারণ হলো চোখের অসুবিধা। প্যারাসিটামল খেলে উপসর্গ দূর হয়, কারণের কিছুই হয় না, ফলে দুই দিন পরই আবার মাথাব্যাথা ফেরত। যতক্ষণ না কারণটাকে নিপাত করা না যাচ্ছে, ততক্ষণ অন্য সব সমাধানই ক্ষণস্থায়ী। সবাইকে এখন মনোযোগটা সেদিকেই দিতে হবে, যাতে যুদ্ধের কারণটা নিপাত যায়।
বোমা সত্য নয়, সত্য নয় বারুদে ধ্বংস ও বিরান হওয়া শহর। সত্য হোক মনুষত্ববোধ, সত্য হোক শান্তি, সত্য হোক ভালোবাসা।
***কেউ লেখাটায় কোন পয়েন্ট খুঁজতে গেলে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, শেষপর্যন্ত এটা বিচ্ছিন্ন কিছু চিন্তাভাবনার সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম, হয়তো ওখানে সারসম্বৃদ্ধ কিছু পাওয়া যাবে।
যা যা ঘেঁটেছি:
উইকিপিডিয়া.ওআরজি
থ্রিওয়ার্ল্ডওয়ারস.কম
অ্যান্টি-ওয়ার.কম
গার্ডিয়ান
এছাড়াও আরো অনেক লেখা, ডকুমেন্টারি, সাক্ষাৎকার আরো অনেক কিছুর প্রভাব আছে লেখাটায়। আর মামুন ভাইয়ের দুইদিন আগের পোস্ট "দুনিয়া কি আসলেই রসাতলে যাচ্ছে" নতুন করে ভাবালো বিষয়টা নিয়ে, তারই ফল এই পোস্ট। কাজেই সব গালাগালি উনার প্রাপ্য।
মন্তব্য
সাধুবাদ আপনাকে (এবং অনুপ্রেরণাদাতা মামুন ভাইকেও)।
শিরোনাম দেখে 'স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা' বইটার কথা মনে পড়ে গেল। এরিক মারিয়া রেমার্কের। ভীষণ প্রিয় একটা লেখকের লেখা ভীষণ প্রিয় একটা বই (সেবা'র অনুবাদটা পড়ছি)।
শিরোনাম দেখে আমারও 'স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা' বইটার কথা মনে পড়ে গেল। সেবা থেকে কিনে পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল।
আমি রেমার্কের মোটামুটি সবই পড়ছি, সেবা থেকে যেগুলো বের হইছিল। সবচেয়ে ভাল লাগছিল 'থ্রী কমরেডস'। এরপর 'অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট'। তবে 'থ্রী কমরেডস' একটা বই, যেইটার সাথে আমার ছেলেবেলার বহু স্মৃতি জড়ায়া আছে। কষ্টের, আনন্দের। কতোবার যে পড়ছি! আর প্রতিবারই প্রথমবারের মতোই স্পর্শ করে। অসাধারণ অনুবাদ ছিল। বেশ কিছু কাব্যিক লাইন ছিল। আমি পড়তাম আর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ভাবতাম এত সুন্দর কথা কীভাবে লেখা সম্ভব! সেবাকে ধন্যবাদ, নাইলে এইরকম অসামান্য ক্লাসিক বইগুলা হয়ত অপঠিতই থেকে যেত।
বড় হওয়ার সাথে সাথে জটিলতা যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে অবাক হওয়ার অনুভূতি। খুব কষ্ট লাগে ভাবলে, ছোটবেলায় পড়া বেশিরভাগ বই এখন আর টানে না। তবে মাসখানেক আগেই এই বইটা একবার পড়ার চেষ্টা করলাম। অবাক হয়ে দেখলাম, সেই ছোটবেলার ভালবাসা এখনো অটুট আছে।
আপনাকে একটা কইষা চিমটি কাটলাম। সেবা থেকে এই বইগুলো খুবই ভালো লেগেছে। আপনি জানেন কী'না জানি না, 'থ্রী কমরেডস' বইটার অনুবাদক আমাদের একজন সচল।
এখন সন্ন্যাসী হয়ে গেছেন ?
সেই নামটা কিন্তু আমি জানি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ঠিকই ধরেছেন, শিরোনামটা ওখান থেকেই এসেছে। যুদ্ধ নিয়ে আমার পড়া প্রথম তিনটা বইয়ের তিনটাই রেমার্কের লেখা। স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা অনুবাদ করেছিলেন সম্ভবত জাহিদ হাসান। কী যে অসম্ভব ঝরঝরে ছিলো প্রতিটি অনুবাদ! সেবা না থাকলে আমাদের দেশের অনেকেই বঞ্চিত হতো কতশত ক্লাসিক থেকে। এখনো হঠাৎ পড়তে বসে যাই পুরনো অনুবাদগুলো বের করে - ভালো লাগে ঠিক আগের মতোই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
প্রথম তিনটা বইয়ের তিনটাই রেমার্কের লেখা। স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা অনুবাদ করেছিলেন সম্ভবত জাহিদ হাসান।
স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা রূপান্তর করেছিলেন মাসুদ মাহমুদ।
হতে পারে। আমার ঠিক মনে নেই। ধন্যবাদ তথ্যটার জন্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দুঃখিত।
আপনার তথ্যটাই ঠিক ছিল।
স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালবাসা অনুবাদ করেছেন জাহিদ হাসান।
থ্রী কমরেডস অনুবাদ করেছেন মাসুদ মাহমুদ [মজার ব্যাপার হলো ইনিও একজন সচল]।
আমি দুটোর মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছিলাম।
ইইইহা, জেরোনিমো এবং জটিলস্য জটিল স্মৃতি এখনো বেঈমানী শুরু করেনি জেনে ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু কোথায় পেলেন প্রচ্ছদগুলো? আমি পুরানো কিছু মাসুদ রানার প্রচ্ছদ এতো মিস করি ... একটু বলেন না কোথায় পেলেন ...
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এইখানে দেখতে পারেন। অনেক বইয়েরই প্রচ্ছদ পাবেন।
অজস্র ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অনেক খেটেছেন বোঝা যায়।
আসলে কিন্তু খুব ফাঁকিবাজি দিয়েই পোস্টটা সেরেছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
শিরনাম দেখে এরিক মারিয়া রেমার্কের কথা ভেবেছিলাম কিন্তু ভিতরে দেখি যুদ্ধ নিয়ে বিস্তর কায়কারবার
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হেহে, মারিয়া রেমার্কের বইয়ে যেভাবে যুদ্ধের আফটার-এফেক্ট উঠে এসেছে সেরকম আর কারো লেখায় পড়িনি। তাই যুদ্ধ নিয়ে লিখতে বসে রেমার্ককে টানতেই হলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
খুব গুছিয়ে লিখেছেন।
অসার কথা তো, কাজেই গুছিয়ে লেখা গেছে। সারযুক্ত লেখা লিখতে গেলে আর দেখতে হতো না।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভালো লেখা, পড়ে ভালো লাগলো।
এরিক মারিয়া রেমার্ক আমারও প্রিয় লেখক। "অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট" পড়ে ভীষণ কান্না করেছিলাম। ছবিটিও মুগ্ধ করেছিলো।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
আমার সবচেয়ে প্রিয় অবশ্য 'থ্রি কমরেডস' 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট'ও খুব প্রিয় বইগুলোর মধ্যেই অন্যতম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দূর্দান্ত, ভূতুম!!!
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ধন্যবাদ শিমুল ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
সিরাম ভাবের লেখা, যদিও লেখার গড়নটা একটু 'এলোমেলো' মনে হইছে আমার। মানে, মন পুরাটারে সিন্থেসিস কইরা উঠতে পারে নাই। এরকম লেখা মনে হয় ভাল গানের সাথে পড়লে ভাল। আবার পড়ার ইচ্ছা রইল।
তুমি এত কবিতা জানো রে ভাই!
এ ব্যাপারে একটা ফলো-আপ পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা রইলো।
যেটা বলছিলাম আগেই -
কাজেই এলোমেলো মনে হতেই পারে, মোটেও আশ্চর্য কিছু নয়। বরং আপনি ফলো-আপ পোস্ট দেন তাড়াতাড়ি, অনেক কিছু জানতে শিখতে পারবো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভালো লাগলো পড়ে।
ভালো লাগলো জেনে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গেলো কই?
লেখাটা ভালো লাগছে। অনেক গোছানো লেখা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেকবার দিতে চাচ্ছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা, কিন্তু চিন্তা করে দেখলাম বিশ্বব্যাপী আলোচনার দিক থেকে হয়তো সেটা প্রথম পাঁচের মধ্যে পড়ে না। পড়া উচিত ছিলো যদিও, কারণ নৃশংসতা আর অবিচারের দিক থেকে এটা এক নম্বরে পড়ে, এক নম্বরে পড়ে একটা জাতির দুর্দমনীয় সাহস আর লড়াকু মনোভাবের জন্য। তখন একটু আন্তর্জাতিক স্কেলে চিন্তা করতে গিয়ে বাদ দিয়ে ফেলেছি, কিন্তু এখন বেশ খারাপ লাগছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নতুন মন্তব্য করুন