বাংলা ব্লগ নিয়ে নানাজনের নানা মত। এটা কি বাংলাভাষীদের একটা মিলনস্থল হবে, না বাংলা ভাষার চর্চাকেন্দ্র - এই প্রশ্নটা আরো কিছুদিন একটা বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাবে। আমি নিজে মনে করি বাংলা ব্লগারদের দায়বদ্ধতা আছে বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার। ইংরেজি ভাষায় মিথস্ক্রিয়ার জন্য অন্তর্জালীয় পাতার কোন অভাব নেই, কিন্তু বাংলা ভাষায় রয়েছে। সত্যি বলতে কি, বাংলা ভাষা এখনো প্রযুক্তির জগতে ঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। উদাহরণ, ফেসবুক ৬৪ টা ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভাষা বাংলায় এখনো তার কোন সংস্করণ নেই। এ বিষয়টা রীতিমতো অপমানজনক, এবং এ ধরণের সমস্যার প্রতিকার একটাই, অন্তর্জালের প্রতিটি মাধ্যমে বাংলাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া। বাংলা উইকি এধরণের একটি চমৎকার উদ্যোগ।
কিন্তু কিছু প্রশ্ন এসে যায়, ব্লগে ভাষার বিশুদ্ধতা কতটুকু রক্ষা করা সম্ভব? আজ যদি বাংলা ব্লগে শতভাগ বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়, তাহলে অনেকেই বিমুখ হয়ে যাবেন এর থেকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনেক বিদেশী শব্দ মিশে গেছে এবং যাচ্ছে এমনভাবে, যে সেগুলোকে অস্বীকার করে কেবলমাত্র বাংলা খুঁজতে যাওয়া সম্ভব নয়। আজকের পরিসরে কেউ যেমন সাধু ভাষায় কথা বলবেন না, তেমনি সমস্ত বিদেশী শব্দ এড়িয়ে চললে ভাষা তার জৌলুস হারাবে।
উপরের কথাটাকে মেনে নিয়েই সমস্ত ব্লগারের চেষ্টা থাকা উচিত যতদূর সম্ভব বাংলা চর্চা করা। কোন ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ না জানা থাকলে এখানে যেতে পারেন। নিজে প্রতিশব্দ উদ্ভাবন করে বন্ধনীতে ইংরেজিটা উল্লেখ করে দিতে পারেন। তবে কিছু কিছু শব্দ/ অভিব্যক্তি অনুবাদ সম্ভব নয় বলে মনে হয়। যেমন ধরুন, হোলি শিট! এর কি বাংলা অনুবাদ / এরকম ভাবার্থ আছে এমন বাংলা অভিব্যক্তি জানেন কেউ? এটুকু বিদেশী ভাষা ব্যবহার মেনে নেয়াই যায়।
আবার উদ্ভাবন করা যায় নতুন নতুন বাংলা শব্দ, যেগুলো সম্বৃদ্ধ করবে বাংলা ভাষার অন্তর্জালীয় উপস্থিতিকে। আমার একটা চিন্তা ছিলো, ব্লগ কথাটাকে কি বাংলা প্রতিশব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না? এই প্রাঙ্গনে সুবিনয়দার মতো বাংলা প্রেমিক আছেন, হিমু ভাইয়ের মতো সৃজনশীল মানুষ আছেন, আছেন লুৎফুর রহমান রিটনের মতো বাংলা সাহিত্যের দিকপাল। এরা একজোট হলে নিশ্চয়ই সম্ভব।
আপনারাই এক এক করে দিন না ব্লগের বাংলা নাম। আমি প্রস্তাব করলাম - " অন্তর-কথা " ।
আমার প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি - ইংরেজি BLOG কথাটা এসেছে WEB LOG এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে। বাংলায় হতে পারে অন্তর্জালীয় নিবন্ধন। সেখান থেকে অন্তর্জালীয় কথা, তার সংক্ষিপ্ত রূপ অন্তর-কথা। আরো একটা দ্বিতীয় মানে আছে, হৃদয়ের কথা বা এরকম আর কি।
এবার আপনাদের পালা।
মন্তব্য
বাংলায় 'ফোনেটিক' আসার আগে আমাদের অধিকাংশ-ই বাংলায় 'টাইপ' করতে পারতেন না। আমিও তাদের মাঝে একজন। বাংলায় সহজে টাইপ করতে দেয়ার জন্য আমি সবসময় সেই 'সফটওয়্যার ডেভেলপার'দের নিকট কৃতজ্ঞ। আর তাই আমি নিজ থেকেই সবসময় চেষ্টা করি যেন যতদূর সম্ভব বাংলা ব্যভার করতে পারি আমার লেখনীতে।
আপনার ২য় প্রশ্নের জবাব আমার মতে এটাই, যারা পারছেন না, তারা চেষ্টা করবেন। এবং তারা যেন বিমুখ না হন, সে জন্য-ই ব্লগে শতভাগ বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়নি। আর সম্মান, শ্রদ্ধা সবসময়-ই দ্বিমুখী হওয়া উচিৎ। তাই যারা বাংলা'র সাথে মিশিয়ে ফেলেন, তারা চেষ্টা করে যাবেন বাংলাতে সেই মেশানো টা যথা সম্ভব কমিয়ে আনতে। এক পর্যায়ে শূণ্য করে ফেলতে।
আমার মন্তব্যের প্রথম অংশে তিনটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছি। ফোনেটিক আর টাইপ এর সঠিক বাংলা আমি জানি না। সফটও্যার অর্থ কোমলসম্ভার, যা কেউ-ই আর প্রয়োগ করেন না। অর্থাৎ চেষ্টা থাকলে অবশ্যই সম্পূর্ণ বাংলায় লেখালেখি করা সম্ভব। ইংরেজি তো থাকতেই পারে, কি হয় ইংরেজি বসালে... এসব ভাবনাকে আমি আঁতুরঘরেই গলা টিপে মেরে ফেলতে আহ্বান জানাবো সবাইকে।
ধন্যবাদ ভূতুম, এমন একটি বিষয় অবতারনের জন্য।
ধন্যবাদ সিমন ভাই।
------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আলোচনা করার মত সুন্দর প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন, সপাঁচ ধন্যবাদ ।
আমি Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে "ব্লগ" শব্দটা ব্যবহারে আগ্রহী । এটা "বিদেশী শব্দ" হিসেবে বাংলায় আসুক, আমার আপত্তি নেই । নিঃসাড় অনুবাদের চাইতে শ্রূতিমধুর বিদেশী শব্দটা বেশি জুতসই মনে হচ্ছে আমার কাছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
যতদূর সম্ভব বাংলা চর্চাই করা উচিত এখানে। বাংলা ব্লগে ইংরেজি শব্দের অত্যধিক ব্যবহার আমার কাছে অন্তত ভাল লাগে না। টুকিটাকি ইংরেজি অনেক শব্দই কিন্তু আমরা নিজেরাই প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি কথায়, লেখায়। সেগুলো নিয়ে কারোই কোনো সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। কেউই কিন্তু কখনই বলছে না যে, ১০০% বাংলা ব্যবহার করতেই হবে এখানে। স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ভাষার শব্দও আমাদের ব্যবহার করতেই হয়। তবে সেটা যেন অবশ্যই মাত্রা না ছাড়িয়ে যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট ও যত্নবান হওয়া উচিত।
আর 'হোলি শিট' বলতেই হবে, এমন তো না। 'খাইছে!' দিয়েও কিন্তু অর্থটা মোটামুটি বোঝানো যায়। তবে অতিরিক্ত আক্ষরিক করতে গিয়ে কেউ যদি 'পবিত্র গু' লিখে ফেলেন, তাহলে তো...
ব্লগের বাংলা হিসাবে 'অন্তর-কথা' একটু বড়ো হয়ে যায় মনে হয়। মাথায় কিছু আসছে না যদিও এখন।
ফেসবুকের বাংলা সংস্করণের কথাটা জানা ছিলো না। ধন্যবাদ জানানোর জন্য। আজ থেকে ফেশবুক বন্ধ, খোমাখাতা চালু!
----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
১.
ফেইসবুকের বাংলা ভার্সন আছে ।
২.
ব্লগ শব্দটা খারাপ কি ? সবকিছুর বাংলা করতে হবে এর কোন মানে নাই । আমি বরং গর্ব করি এই ভেবে যে অন্য অনেক ভাষার চাইতে বাংলাভাষা অন্য ভাষার শব্দ উদারভাবে গ্রহন করে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
না ব্লগ মোটেও কোন খারাপ নয়, ওটা আমার মুহূর্তের খেয়ালেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম আর কি। মূল বিষয়টা ছিলো বাংলা ভাষাকে অন্তর্জালে আরো বেশি করে ব্যবহার করা নিয়ে।
---------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নি:সন্দেহে চমতকার প্রস্তাব। ব্লগের বাংলা প্রতিশব্দ - নিশ্চই সম্ভব! কেনো নয়? আপনার প্রস্তাবিত নামটি সুন্দর। কিন্ত 'ব্লগ' যেমন এক মাত্রা -এক তালের শব্দ, ওরকম কিছু হলে শুনতে আর বলতে আরো বেশী সুখকর হবে।
আর ফেসবুক ৬৪ টা ভাষায় পাওয়া গেলেও, বাংলায় এখনো এর কোন সংস্করণ নেই জন্যে খারাপ লাগে। এটা আসলেই রীতিমতো অপমানজনক। কিন্তু বাঙালীরা কি বসে আছে সেই অপমান মাথায় করে? বাঙলার ভিড়ে ইংরেজি হারিয়ে যাবার অবস্থা হচ্ছে না ইদানিং?
-----------------------------------------------
আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।
আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।
কিন্তু ফেসবুকতো বাংলায় আছে।
আমি নিজেও অনুবাদের টিমে বিভিন্ন টার্মের সাজেশন দিয়েছি।
যদিও ভোটাভুটিতে নির্ধারণ হয়েছে কোন শব্দটা থাকবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভুতুম ভাই, ব্লগকে আমরা খুব দ্রুত আপন করে নিয়েছি। অন্যত্র যখন বাংলা কমিউনিটি ব্লগিং মোটে শিশু (ভবিষ্যতে এ নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে), তখন আমরা সেই কয়েকজন "ব্লগ" শব্দটিকেই শুধু গ্রহণ করিনি, একে ক্রিয়াপদে নিয়ে গেছি, ব্লগানো, পোস্টানো ইত্যাদি দিয়ে। এটি বহুলচর্চিতও। এমনই অসংখ্য, মজাদার সব স্ল্যাং, প্রবচন, বাগধারা চলে এসেছে ব্লগকে কেন্দ্র করে। ব্লগ শব্দটাকে বাংলা করা, আমার কাছে তাই মনে হয়, অপ্রয়োজনীয়।
একইভাবে প্রতিদিন চ্যাটাতে গিয়ে লিখছি (চ্যাটানো খিয়াল কইরা), গুগ্লাও, মেইলাও, আপলোডাও, ডাউনলোডাও। এগুলো বেশ স্বাভাবিকভাবেই চলে আসতে পারে ভাষায়। জার্মানেও দেখেছি ব্লগকে তারা ঘাঁটায়নি, যেমন ছিলো তেমন রেখে দিয়েছে।
'লিঙ্কাও' বাড গ্যাসে
কমেন্টাননা ক্যান ?? এঁ ??
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
থাকুক তাহলে ব্লগ ব্লগ হয়েই। বাংলা নিয়ে লিখতে গিয়ে হঠাৎ কেন জানি মনে হলো ব্লগেরও একটা বাংলা থাকলে খারাপ হতো না, এই জন্যই এই প্রস্তাবনা আর কি। এখন চিন্তা করে দেখতে গিয়ে মনে হচ্ছে ব্লগটাই সুন্দর। ব্লগরব্লগর যেমন চমৎকার একটা শব্দ।
----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হুমম
লেখাটার সুর ভালো লাগলো।
কোনো কিছুর নাম অনুবাদ না করা হোক।
আন্তর্জালের সূচনাপর্বে ঢুকে যাওয়া অনেক শব্দই এখন জীবনের অংশ। সেগুলোও অনুবাদ না করা হোক।
সকল প্রকার বিশেষণ বাধ্যতামূলক ভাবেই বাংলায় লিখিত হোক।
অনুবাদে অপারগ হলে ক্রিয়াপদের যথাসম্ভব আত্মীকরণ হোক।
এতেই অনেকটা ঠিক হয়ে আসবে বলে মনে করি আমি।
একমত।
-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
- ব্লগে ইংরেজী চর্চা কমিয়ে বাংলার ব্যবহার বাড়োনোর জন্য কেউ যদি চেয়ার-এরও বাংলা করতে লেগে যান তাহলে তো পিরোবলেম। বাংলায় তো অনেক সংস্কৃত, তৎসম, ফার্সী শব্দও আছে, এগুলোর সঠিক বাংলা করতে বসে গেলে তো অনুবাদ করেই বেইল শেষ, লেখা আর পোস্টানো হয়ে উঠবে না। ঠিক কতোটুকু ইংরেজী পরিহার করা যায় তার একটা উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করিঃ "আমি চেয়ারে বসে কী বোর্ডে খটাখট টাইপ করতেছি অর মায়রে বাপ"। এখন এটাকে যদি কেউ এভাবে লিখেন, "আমি চেয়ারে সিট করে কী বোর্ডে রাইট করতেসি হোলি কাউ"— তাইলে কেমন শোনায়?
প্রত্যেক ব্লগারু ন্যুনতম প্রয়াসটুকু দিলেই হয়, লেখায় বাংলিশ মিশেল ডেভিড কপার ফিল্ডের যাদুর মতো হিংটিংছট হয়ে পুরা হাওয়া হয়ে যাবে।
হোলি শিট-এর ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটা প্রতিশব্দ প্রস্তাব করতে গিয়ে দেখি বিডিআর সেটা করে ফেলেছে। এই ধরণের শব্দগুলোর প্রতিশব্দ অবশ্য নির্ভর করে ঠিক কোন জায়গায় প্রয়োগ করা হচ্ছে তার ওপর। উদাহরণ দিইঃ অফিসের বড় বসের সামনে দাঁড়িয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়তো বলে ফেলা যায়, "হোয়াট দ্য হেল আই এ্যাম ডুয়িং হিয়ার?" এটাকে বন্ধুদের মাঝে চলনসই অনুবাদ করলে বলতে হয়, "আমি এইখানে কি বালটা ফেলতেছি?"— কিন্তু এভাবে কি আর বসের সামনে বলা যায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিক, সব বাল বাংলায় ফেলা সম্ভব না। হালকা-পাতলা বিদেশী ভাষা আসবেই চলিত ভাষায় কথা বলতে গেলে। ওটার ব্যাপারে একদম রক্ষণশীল না হয়ে একটু সতর্ক থাকাই যথেষ্ট।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
...যেমন প্রবলেম হয়ে গেল পিরোবলেম। এখানে সমস্যা না লিখে পিরোবলেম লেখার ফলে লেখকের মনের একটা বিশেষ ভাবের (বা অবস্থার) প্রকাশ ঘটেছে। ঠিক বলেছি না?
ধুগো ধুয়ো দিয়ে বলেছেন-
"হোয়াট দ্য হেল আই এ্যাম ডুয়িং হিয়ার?" এটাকে বন্ধুদের মাঝে চলনসই অনুবাদ করলে বলতে হয়, "আমি এইখানে কি বালটা ফেলতেছি?"— কিন্তু এভাবে কি আর বসের সামনে বলা যায়?
হ, আমিও কই, তাই কি বলা যায় না কি?! বাংলাদেশ কি আর মারিকা?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
'ব্লগ শব্দটাকে বাংলা করা, আমার কাছে তাই মনে হয়, অপ্রয়োজনীয়। '
শব্দ আসলে ব্যবহারের ওপর স্থায়ীত্ব পায়। আমার তো মনে হয়, 'ব্লগ' ইতিমধ্যেই বাংলা হয়ে গেছে।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
কাছাকাছি একটা বিষয় নিয়ে আমার একটা লেখা ডিউ হয়ে আছে, অপ্র বলবেন ওভারডিউ, হয়তো ইশতিও।
এই বর্তমান লেখাটার পারভিউ-টা একটু ডিফরেন্ট লাগছে আমার কাছে। তাই, এই লেখায়ও আমার সেই বক্তব্য আমি ওভাবে দিচ্ছি না শুধু শুধু কনফ্যুশন বাড়ার ভয়ে।
হ্যাঁ, আমি যেটা বলবো, তাতে আমার বেশ তোপের মুখেও পড়তে হ'তে পারে (আবার না-ও পারে), আর সাম্প্রতিক এই আলোচনাগুলোর ভিউগুলো-সহই আমার লেখায় একটা সিনথেসিস অ্যাটেম্প্ট করবো ব'লে এগুলোর ওপর একটু ক্রস-রিসার্চই লাগবে মনে হচ্ছে যথেষ্ট। তবুও আমি লিখবো, মূলত আমি যেহেতু কমিট করেছিলাম সেজন্যই, আর অমূলত ওটা হবে আমার দিক থেকে কোনো একরকম একটা আত্নপক্ষ সমর্থন।
তবে, হ্যাঁ, ভুতুমকে এই পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ অন্য সবাইকেও তো বটেই, এত খেটেখুটে এত পরিষ্কার ক'রে ভিউগুলো এখানে দেয়া এবং ক্রস-চেকের জন্য। সচলায়তন ছাড়া কী জানি আর কই এমন ভালো ক'রে হয় এমন ব্যাপার (ইফ অ্যাট অল!)!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাড়াতাড়ি পোস্টান। আপনার সাথে ঝগড়া করার জন্য মুখিয়ে আছি
ঠিকাছে যান, তাইলে আর পোস্টাইলাম্না! ;-(
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপ্নে তো খেলাপি মানুষ । লেখা কবে পাই ক্যা জানে!
হ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আংরেজি দিয়া ফ্লাডিং এর অ্যাগেইন্সটে মুভমেন্ট চালু হোক কুইকলি।
----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আমি তথৈবচঃ এমন ভেবে অনেকেই বাংলার সাথে ইংরেজি মেশায় (ভাব প্রকাশ করলেই হল প্রকৃতির লেখিয়েরা)। তাদের বাদ দিলে- যারা বাংলা টাইপ করতে আর ইংরেজি শব্দে প্রকৃত বাংলা জানে তারা কিন্তু বাংলায়ই লিখে।.............................
তাই সহমত রাখছি ইশতি' ভায়ের সাথে।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
পুরোপুরি বাংলা ব্যবহার নিয়ে একটা ঘটনা শোনাই। আমার পরিচিত এক আমেরিকান মহিলা এক বাংলাদেশিকে বিয়ে করে ঢাকায় আসেন এবং খুব ভাল বাংলা শিখে ফেলেন, একেবারে বই এর ভাষায়। যাই হোক, উনি সারা ঢাকা জুড়ে স্মৃতি কার্ড খুজতে থাকলেন, কোন দোকানি তার কথা বুঝে না।উনি অনেক খুজলেন। অবশেষে, বোঝা গেল সে ক্যামেরার মেমোরী কার্ড খুজছিলেন।
সাজিয়া
------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এই ঔচিত্য কি প্রায়োগিক (যতদূর সম্ভব বাংলা চর্চা না করলে পাঠক কমে যাবে) নাকি আরো উচ্চতর কোন নৈতিক অবস্থানপ্রসূত?
যদি প্রায়োগিক হয়ে থাকে তাহলে সমস্যার মাঝেই সমাধান আছে - বাংলিশ লেখকদের পাঠকসংখ্যা বিশুদ্ধ বাংলার চাইতে কম হলে প্রকৃতির নিয়মেই বাংলিশ হারিয়ে যাবে।
আর নৈতিকতার বিচারে বাংলা চর্চা উচিত হলে সেইটা কি কেবল আমরা বাংলা ভাষাভাষী এলাকায় থাকি বলে নাকি বাপদাদার ভাষা বলে? প্রথমটা হলে তো প্রবাসীদের বাংলা চর্চার কোন দরকার নেই। আর দ্বিতীয়টা হলে আমাদের তো এখনো বিশুদ্ধ বুশম্যানদের ভাষায় কথা বলা উচিত।
আমার কাছে বিশুদ্ধ বাংলা চর্চা করা লেখকের ব্যক্তিগত মতামতের চাইতে বেশি কিছু মনে হয় না।
প্রায়োগিক বা নৈতিক কোন দলে পড়ে জানি না, আমার মতে এটা করা উচিত দেশ আর মাতৃভাষার প্রতি সম্মানবোধ আর দায়িত্ব থেকে। বলছি না অন্য ভাষা সম্পূর্ণ বর্জন করা উচিত, কেবলমাত্র বাংলাই ব্যবহার করা যাবে এমন কোন নিয়ম চালু করার কথা তো মোটেও বলছি না, ব্লগারদেরকে ব্যক্তিগত পর্যায়েই বাংলা ব্যবহারের আহ্বান জানচ্ছি শুধু। আমরা যত চর্চা করবো বাংলা তো ততই প্রসার পাবে, তাই না? আর প্রসার করা কেন দরকার, সেটার উত্তর প্রথমেই দিয়েছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
প্রসঙ্গটা পাঠক কমে যাওয়ার না, ব্যাক্তিগত দায়বদ্ধতার। পরিচয়ের সূত্র নিজের ভাষায়। সবাই ফেলে দিলেও নিজের দেশ, ভাষা ফেলে দেবে না। এজন্যই তার প্রতি একটা ন্যূনতম দায়বদ্ধতার প্রকাশ থাকা উচিত।
লেখ্য ভাষা আর কথ্য ভাষায় একটু তফাৎ থাকার ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই। লেখ্য ভাষা একটু গোছানো (কিন্তু বাস্তবানুগ) থাকুক, এটাই চাওয়া।
বুশম্যানদের ভাষায় বলা যাচ্ছে না ভাষার বিবর্তনের কারণেই। বাপ-দাদার ভাষার প্রয়োগ কিছুটা চলমান গড়ের মতো। গত দু-তিন প্রজন্মের ভাষার সাথে সাযুজ্য থাকলেই হলো। দাদার বয়স তো ৮০ ছিলো, ৮০ মিলিয়ন না।
আমার বাপ-দাদা দু'জনেই খুব শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। আমার অবস্থা তো জানোই।
কথার মাঝে ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষা চলে আসতেই পারে। তবে একটা অসংজ্ঞায়িত পরিমিতিবোধের পরিচয় থাকা উচিত আর কি। অন্ততপক্ষে একটা বাক্য ইংরেজিতে বললে পুরোটাই ইংরেজিতে বলা উচিত। বাংলার বেলায়ও তাই। জগাখিচুড়িটাই অসহ্য লাগে।
হুঁম, মজার টপিক ! এখানে 'টপিক'এর বদলে 'বিষয়' ব্যবহার করলে কি এখন যা বুঝাচ্ছে, তাই বুঝাতো ?
তাই রবীন্দ্রনাথকে ভুইলেন না-
'দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি !'
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
না তা বোঝাতো না। আবারও বলি, ইংরেজি বর্জন মোটেও এই লেখার উপপাদ্য বিষয় না। তবে যেস্থলে সম্ভব অর্থ বজায় রেখে বাংলাতেই ভাব প্রকাশ করা, সেখানে সেই প্রচেষ্টা যাতে থাকে - বা থাকা উচিত - সেটাই বলেছি শুধু। বিশ্বায়নের যুগে এখন বেশি পিউরিটান (দেখলেন, আমিও ইংরেজিই বললাম, কারণ বাংলায় "বিশুদ্ধতাবাদী" বললে সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না) মনোভাব দেখানো সম্ভবও না, প্রয়োজনও না, বরং নির্বুদ্ধিতা।
-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নতুন মন্তব্য করুন