গত দুইদিনে সিরাত ভাই দুইটা ব্লগ দিছে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ বেড়াতে আসা নিয়ে। বেশ মজা হলো, ঘুরলাম গজনী পাহাড়, মধুটিলা, মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, ব্রহ্মপূত্রের পাড়। সবমিলিয়ে দুইদিনে বেশ জম্পেশ ঘোরাঘুরি আর আড্ডা হলো।ঘুরেছি যেমন, সাথে সাথে ছবিও তোলা হয়েছে কিছু। কিন্তু আমি ফটোগ্রাফির তালব্য শ'ও জানি না। তার ওপর ক্যামেরাটা ছিলো ঢাকায়। তাই আমার মুবাইলের ক্যামেরা আর সিরাত ভাইয়ের ডিজিটাল ক্যামেরাই ভরসা। এর মধ্যে সিরাত ভাইয়ের ক্যামেরার মেমোরি গেলো শেষ হয়ে, সাথে ডেটা কেবল না থাকার দরুণ ঐ ক্যামেরাও গেলো অকেজো হয়ে। কাজেই ভাই সকল, ফটুকব্লগটাতে কেউ বিন্দুমাত্র ভালো ছবি আশা কৈরেন না।
প্রথমে গজনী বন। সার বাঁধা গাছগুলো দেখে বড় অদ্ভুত লাগলো।
গজনীর উপর ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চোখে পড়লো এক সবুজের সমারোহ। আশেপাশে বিপুল মৌমাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে, টাওয়ারেই তাদের চাক। ভাবছিলাম, মৌমাছি কামড়ে দিলো কি আমার আকাশাতঙ্ক রোগ হবে কিনা।
ঐ সবুজের দিকে নুলো বাড়িয়ে দিয়েছেন সিরাত ভাই ওর্ফে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি -
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা বুড়োগাছ। দেখে খারাপ লাগলো, স্পষ্ট নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কিছু বাঁদরগোত্রীয় যুবক গাছে উঠে নেজ নাড়াচ্ছে।
ওখান থেকে এবার মধুটিলা। কী যে বিশাল আার কী যে চমৎকার ভাবে গুছানো, কী আর বলবো।
পাহাড়ের ওপর এক অসাধারণ রেস্ট হাউস। তবে রাতে থাকতে হয় সরকারী অনুমতি নিয়ে। বলাই বাহুল্য, চমৎকার তার লোকেশন।
আরো দেখলাম এক অদ্ভুত তেমাথা সেতুর মধ্যে এই প্রতিফলন -
আর সিঁড়ির কোন অভাব নাই -
এবারের গন্তব্য মুক্তাগাছা রাজবাড়ি।
এখানে রাজা নর্তকী আর হাতি পালতেন মূলতঃ। এ ছিলো তার বিনোদবাড়ি।
এই ফোকরটাতে ছিলো মানুষ ফাঁসী দেয়ার ব্যবস্থা।
দেয়ালে-দরজায় আছে নকশা করা, যদি ভেঙ্গে গেছে বা চুরি হয়ে গেছে বেশিরভাগ অংশই।
দেয়ালেরও গায়ে শ্যাওলা জমে আছে বেশ।
সারিন্দা, যেখানে আমরা খেলাম ময়মনসিংহে এসে।
খেয়েদেয়ে গেলাম ব্রহ্মপূত্র নদে। দেখলাম বেশ একটা উদাস হয়ে ভাব নিচ্ছে বড়। আমিও মন খারাপ করে বিড়ি ধরিয়ে ফেল্লাম একটা।
দেখে নিন এবার আমাদের, ডানের ফরাসীকাট দাড়ি হলেন আসিফ ভাই, ডানে মূর্তিমান আতঙ্ক সিরাত ভাই, আর মধ্যে তরুণীহৃদয়হরণকারী আমি।
মন্তব্য
চমৎকার ছবি, এতো সুন্দর জায়গা, জানা ছিলো না।
পুত্র-এর বানান ঠিক করেন না, শিরোনামে।
আয়হায় বড্ড বাজে ভুল করেছি। কিন্তু ঠিক যে করতে পারি না, এখনো হাফ তো।
---------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অসাধারণ ছাড়া আর কিছু কওয়ার নাই। অনেক ধন্যবাদও। পাঁচ তারা!
তোমার কাজকারবার দেখে আমিও ফটোশপ ভক্ত হয়ে গেসি। দাঁড়াও, সামনে আসতেছে!
কী যে কন না....
আর ফটো এডিটিং দেখতে হইলে মুস্তাফিজ ভাই, হিমু ভাই, প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই প্রমুখের ফটোব্লগ দেখেন, তাইলে আমারটারে থুতুও দিবেন না।
---------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
রাজবাড়ি দেখে মুগ্ধ। কিন্তু,
"ডানের ফরাসীকাট দাড়ি হলেন আসিফ ভাই, ডানে মূর্তিমান আতঙ্ক সিরাত ভাই, আর মধ্যে তরুণীহৃদয়হরণকারী আমি।"
দুইজনাই ডানে কেমনে? বর্ণনা দিতে দিতে কি ছবির ভিতর থেকে বাহিরে চলে আসছিলেন?
একজন ছবির ডানে, অন্যজন তরুণীহৃদয়হরণকারীর হাতের ডানে।
ছবি ভালো হইছে, বিশেষ করে শেরপুরের গুলা।
...........................
Every Picture Tells a Story
বাঃ বেশ বলেছেন তো! আমিতো আসলে এইটাই বুঝাইতে চাইছিলাম
আর আপনি ছবি ভালো হইছে বললে অতীব লজ্জা পাবো মুস্তাফিজ ভাই। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
--------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
প্রথমটা বামে হবে। ভুল হৈছে
---------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
যেহেতু এই প্রথম বারের মত কোন ব্লগে লেখার চেষ্টা করেছি তাই কোনো ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন এটাই কাম্য।
ছবিগুলি নিঃস্বন্দেহে খুব দৃষ্টি নন্দন কারী। এতে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই যে, একজন প্রকৃতি প্রেমীক যিনি সবুজ শ্যামলের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে প্রতিটি দৃশ্যকে একটি গল্পে রুপ দিয়েছেন তার শৈল্পিক চেতনা দ্বারা। ক্যামেরা ছিল কেবল ই একটি ভাব প্রকাশের উপাদান মাত্র। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে এমন প্রকৃতির অজস্র আশীর্বাদ।
ভুতুম কে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এবং সিরাত কে এত উপভোগ্য কয়েকটি দিন উহার দেবার জন্য। আর, প্রযুক্তির অবদান এ প্রকৃতির সৈন্দর্য্য অটুট রেখে ছবিগুলো তোলার তাৎপর্য বজায় রাখার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
আপ্নি এমন দক্ষতার সাথে মানবমনের স্বাভাবিক সৌকর্য তুলে এনেছেন যে আত্মশ্লাঘার অবকাশ আর রয় না। আপ্নি ও আপ্নার ইয়ুরুপীয় দাড়ি বেঁচে থাকুক ঘাস-আলু খেয়ে।
--------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বেচে থাকবে আশা করি। কিন্তু ঘাস-আলু খেয়ে না বরং নুডুল্স-আলু খেয়ে।
ক্ষতি কী?
----------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বেশ চোখ ধাঁধাঁনো.........দারুনস্....................
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধন্যবাদসসসসস....
--------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
সিরাত তো দেখছি বেশ ছোটোখাটো "ছোটোখাটো যন্ত্র হতে এত শব্দ হয়, শুনিয়া বিশ্বের লাগে পরম বিস্ময়
সেপিয়া টোনের ছবিটা খুব সুন্দর এসেছে। সেটা টোনের গুণে না'কি সিরাতের তা বলতে পারছিনা
ছোট মরিচেরই তো ঝাল বেশি হয়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নতুন মন্তব্য করুন