১
সারাটা দিন ধরেই কুয়াশায় ঘেরা ঘোলাটে একটা আকাশ বসে বসে কি করছে কে জানে। মফস্বলের সময়গুলো ঢাকার থেকে অনেক বেশি আলাদা, জনমানুষের জোয়ার-ভাঁটায় ঢাকায় অলস চিন্তা-ভাবনা বিশেষ পাত্তা পায় না, অথচ এখানে একটু অবসর পেলেই হানা দিয়ে বসে, কড়া নেড়ে জানতে চায় মনের কুশল।
অগ্রহায়ণ শেষ হয়ে আসছে। এসময়টা আমার মনে হয় বছরের সবচেয়ে বিষণ্ন সময়। শীতের রুক্ষতা আসেনা পুরোপুরি, তবে প্রকৃতি স্থবির হয়ে পড়ে অনেকটাই। অলসতা পেয়ে বসে ক্যামন। ছুটির দিনগুলোতে আরো প্রকট হয় ব্যাপারটা। কিছুক্ষণ জীবনানন্দ পড়ার চেষ্টা করলাম, ঠিক মন বসলো না। অবশ্য ঠিক পড়ছিলাম না, খুঁজছিলাম। গতরাতে হঠাৎ দু'টো লাইন মনে পড়লো, আগের-পরের কোন লাইন বা কবিতার নাম কিছুই মনে পড়লো না আর। খুঁজতে গিয়েও কেন জানি ইচ্ছা করলো না। কারো মনে আছে আপনাদের এটা কোন কবিতা -
পূর্ব-পশ্চিম পড়ছিলাম কয়েকদিন ধরে, সেটাও দেখলাম দু'পাতার বেশি আগানো গেলো না।
২
রাত একটু গভীর হলে মফস্বলগুলো গ্রাম হয়ে যায়। ঢাকার একটা নিজস্ব প্রাণ আছে, সেটা রাতে যতই গভীর হোক, কখনো ঠিক ঘুমিয়ে যায় না। সেই তুলনায় এখানকার রাত বড়ই নিস্তব্দ্ধ। এক রেল স্টেশনে গেলে সামান্য প্রাণের আভাস মেলে, তাও ভোর চারটার দিকে, ঢাকাগামী ট্রেন ছাড়ে তখন। অন্যথায় সব রাস্তাগুলোই নিথর হয়ে জানান দেয় তাদের পূর্ব পরিচয়। মাঝে মাঝে অবশ্য পৌরসভা সোডিয়াম বাতি বসিয়ে রেখেছে, কিন্তু চেপে বসা কুয়াশায় সেই আলো
ক্যামন ঘন হয়ে অন্ধকারের সাথেই আরো মিশে যায়।
রাতের বেলা ব্রহ্মপুত্রও বেশ রহস্যাবৃত হয়ে যায়। গতকাল রাতে চাঁদের আলো ছিলো, তাতে সেই রহস্য যেন আরো গাঢ় হয়ে উঠলো। ফেরিঘাটের পাশ দিয়ে কিছুদূর হেঁটে বসলাম তীরে। কালো নদের পানি, এখন অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। মাস তিনেক আগেও যেখানটাতে বসে আছি, সেখানে পানি থইথই করছিলো। সিগারেট বের করে ধরালাম একটা, কুয়াশা আর ধোঁয়া একাকার হয়ে কোনটা যে কী বোঝা কষ্ট। মধ্যে শুধু একটুকরো গনগনে আগুন, হালকা উষ্ণতা। অবসাদে অন্তরালে অবহেলায় সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে পাক খেতে খেতে উড়তে থাকে বিষণ্নতা।
মন্তব্য
আহ, চমৎকার একটা লেখা---!!!
কথাগুলো এত আপন, এত চেনা যে, মনে হল আমাদেরই মনের কথা বড় নির্লিপ্তি নিয়ে লিখে গেলে----
আমার পড়া তোমার অন্যতম সেরা লেখার একটি হয়ে থাকল।
অহর্নিশ শুভেচ্ছা!
অজস্র অজস্র ধন্যবাদ অনিকেতদা। শুভেচ্ছা জানবেন।
-------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ওই মিয়া, ড্রাগন এজ খেলো!!
ওই মিয়া নিয়মিত লেখেন।
--------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আহা, তাই বলে এইসব গেমগুলি মিস দিমু নাকি?!
মজা লাগলো প্রত্যুত্তরটা। কিন্তু গেমটা খেইলো মিয়া, বেশি জোস।
আইচ্ছা, খেইলা ফালামু নে। আর কী খেলতাছেন ইদানীং? আর আসিফ ভাইয়ের থেকে যে আপডেট পাইলাম, দীন-দুনিয়া তো মনে হয় আপনার কর্মস্থলে পুরাই উল্টায়া গেছে।
---------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ব্রহ্মপুত্র নদীর কথা বললেন জামালপুরে নাকি আপনি? আর বিষণ্ন থেকে কি লাভ বলেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ্যাঁ, জামালপুরেই। লাভ তেমন একটা নেই, তবে ক্ষতিই বা কী?
-------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বিষণ্নতা সুন্দর!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বিষণ্ন সুন্দর।
---------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অসাধারণ লাগলো...
ধন্যবাদ ভাই গালিব।
--------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অসাধারণ লাগলো...
নতুন মন্তব্য করুন