কষ্টও রং বদলায়

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃন্ময় আহমেদ (তারিখ: রবি, ০২/০৯/২০০৭ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে আগুনের খেলা।
জ্বলন্ত আমি।
আগুন নিভাতে চাই আগুনে।।
নিভন্ত আগুন হতে ধোঁয়ার রেখা ফুটে না তবু
আগুনে ঢালি আগুন আবার-
একের পর এক
অগ্নিশিখায় ধোঁয়ার কালো রেখা মুছে দেবো
পেরে ওঠি না।
আগুনে আগুনে ছেঁয়ে যায় নীল আকাশ আমার
রঙ তবু ধোঁয়ার।
কষ্টের রঙ নীল।
আগুনে আগুনে ধূসর হয়েছে এখন সেই দুঃখ।

অচেনা তুমি কখন এসে কয়েক ফোঁটা দিলে জল ঢেলে
ধূসর কালো মেঘে ঢাকা আকাশ আবার হয় নীল বৃষ্টিতে।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভালই লাগল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অরূপ এর ছবি

মৃন্ময়,
অন্যকোথাও কোন লেখা পোস্ট করলে এখানে সেটা পোস্ট না করাই ভালো।
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

শীঘ্রই আমি আমার বিবৃতি দেবো।।

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আগুনে আবিষ্কৃত হোক নোতুন নোতুন সভ্যতা, নোতুন সৃষ্টি। মৃণ্ময়ের আগুন হোক সৃষ্টির পবিত্রতায় ভাস্মর। দুঃখ পোঁড়া ভস্মে হবে নোতুন জীবনের স্বপ্নের উদ্ভব। মৃ সেই স্বপ্নের ভোরে জাগবেই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দৃশা এর ছবি

অরুপ ভাই সব জায়গায়তো সব পাঠক যায় না। উনার এই লেখাটা আমি এখানেই প্রথম পড়লাম। তার মানে এখানে না দিলে আমার এটা পড়া হত না।এমন আরও অনেক পাঠকেরই আমার মত অবস্থা। আর কম বেশী অনেক রাইটারইতো নিজের একই লেখা বিভিন্ন জায়গায় দেয়। এটাতে বরং আমাদের সুবিধাই হয়। তাই আপনার মতটার সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না।

দৃশা

অরূপ এর ছবি

আপনি কিন্তু জানেন মৃন্ময় এর প্রাথমিক লেখা প্রকাশের ঠিকানা। পড়ার আগ্রহ থাকলে সেখান থেকেই চেক করতে পারেন।

"আর কম বেশী অনেক রাইটারইতো নিজের একই লেখা বিভিন্ন জায়গায় দেয়"

উত্তম যুক্তি। শুধু দিনের শেষে যখন সচলায়তনের এক্সক্লুসিভিটি থাকে না তখন মনে হয় সচলায়তনের কোন প্রয়োজন ছিল না। আরেকটা অনলাইন কমিউনিটির সাবসেট হওয়াটা খুব আনন্দের না। পাঠকরা যদি স্বার্থপর হয়ে এই বিষয়টা উপেক্ষা করতেই পারে.. মন খারাপ

সচলায়তন এর জন্ম "জাস্ট আনাদার অনলাইন কমিউনিটি" হিসেবে নয়। সেই ইতিহাসটা যদি মনে থাকে তাহলে অরূপের আব্দারের কারনটা স্পষ্ট হতে পারে দৃশার কাছে.. মন খারাপ

-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

অন্য ট্রলার এর ছবি

সহমত @ অরূপ ।
সচলায়তনে সব মৌলিক লেখা চাই।
কেউ যেন না বলে - 'ও, ঐ জায়গার লোকজন সচলে পেস্ট করে'।

দৃশা এর ছবি

অরুপদা আমি যখন সচলায়তনে কারো লেখা পড়ি ধরেনি এটাই তাদের প্রাথমিক লেখার ঠিকানা। অনেকেই অনেক জায়গায় লিখে থাকেন এ তথ্য যদিও জানা আছে কিন্তু তাই বলে সবার ঠিকানা জেনে বেড়ানতো সম্ভব নয়। সেই সুবাদে মৃন্ময়দা’র ও কোন প্রাথমিক লেখার ঠিকানা জানা নেই। সচলে আরাম করে বসে যেমন সব লেখকদের লেখা একের পর এক পড়ে যাই তখন মাথায় রাখি না যে অন্যকোথাও গিয়ে লেখকদের লেখা খুঁজে পড়ে নিতে হবে। তাই আমার মত সর্বভূক পাঠকের জন্য সচলায়তন বিশাল বড় প্লাটফর্ম।

আসবাবপত্র, নিত্য নতুন টেকনোলজি, নানা ধরনের নিয়ম কানুনের মধ্যে দিয়ে একটা বাড়ির এক্সক্লুসিভিটি বাড়ানো যায় সত্য কথা কিন্তু কে জানে ভাইজান নিজ বাড়িতে থাকার আরামবোধটা পাওয়া যায় কি না জানা নাই । আমি হয়তো অতোটা এক্সক্লুসিভ পাঠক নই, নিজের অক্ষমতা নির্লজ্জভাবে মেনে নিলামঃ)।

কিছুদিন আগে বিপ্লবদা’র একখান পূর্বপ্রকাশিত পোস্ট দেখলাম সচলে পোস্টানো হল। বেশ আরাম করে লেখাখানা পড়লাম আর মন্তব্য পড়ে বুঝলাম অনেকেই লেখাখানা আগে পড়েন নাই অন্য কোথাও। বিপ্লবদা’ পোস্টখানা না দিলে হয়তো অনেকেরই পড়া হত না।এই ঘটনা থেকে আমার একবারও মনে হয় নাই যে সচল আসলে অন্যকোন ব্লগ কমিউনিটির সাবসেট।

সচলায়তনের স্বকীয়তা অন্য জায়গায়। সচলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি একসাথে এতোগুলো গুনী ব্যক্তির পদচারণা যারা একে অপরের পিছে লেগে থেকে নয়, অতর্কিত হামলা চালিয়ে নয় বরং নিজেদের শক্ত লেখনীর মাধ্যমে পাশাপাশি হেটে যাচ্ছেন। সচলের সবচেয়ে ইউনিক ব্যাপার হল এর ইউনিটি, যেটা সচলকে অন্য যেকোন কমিউনিটি থেকে এক্সক্লুসিভ পজিশনে রাখতে সক্ষম।

যাই হোক অরুপদা আমি বলব না আমি যা ভাবি তাই ঠিক। আপনে হয়তো আপনার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে ঠিকই আছেন।
এইটুকুন ছিল আমার উপলব্ধি। আশা করব অধমের উপলব্ধিতে মাইন্ড খাবেন না। আপনাদের হাতে সচলের জন্ম , অবশ্যই আমার মত সাধারন পাঠক থেকে সচলের ভাল কিসে আপনারা ভাল বুঝবেন। সো বস নো হার্ড ফিলিংস।

খালি একজন স্বার্থপর পাঠকের মত একখান অন্যায় আবদার করি, সচলায়তনকে সব কমিউনিটি থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরতে গিয়ে তার পাঠকদের থেকে আলাদা করে ফেলেন না।
অধমের ভুলচুক মাফ। ভাল থাইকেন

দৃশা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দৃশার পয়েন্ট অফ ভিউটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি অবশ্যই চাই সচলায়তনকে যেন সবাই প্রাথমিক প্লাটফরম হিসেবে দেখে, যেন এখানে পাবলিশ করেই সবাই সন্তুষ্ট থাকে এবং অন্য কোথাও পাবলিশ করার কথা চিন্তা না করে। কিন্তু সেটা আসতে হবে সচলায়তনের প্রতি নির্ভরশীলতা এবং ভালোবাসা থেকে - যেমনটা দৃশা বললেন। লেখকের কাছে এরকম দাবী থাকবে আমার যেন তারা এটাকে প্রাথমিক প্লাটফরম ভাবেন। তবে সেটার জন্য কোন জোরাজুরী করব না - সবিনয় আব্দার জানাব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জিফরান খালেদ এর ছবি

সহমত, দৃশা।

আপনে একটা প্রশ্ন করসিলেন, আশা করি, উত্তরটা দিসি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আজ কি মৃন্ময়ের জন্মদিন?
শুভ জন্মদিন মৃন্ময় ।।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শুভ জন্মদিন মৃন্ময়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শুভ জন্মদিন,শুভ জন্মদিন।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

দৃশা এর ছবি

শুভ জন্মদিন মৃন্ময়।

দৃশা

ঝরাপাতা এর ছবি

শুভ জন্মদিন।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

হুম.. দিন দিন সময় আসছে হারিয়ে যাবার। সবাইকে ধন্যবাদ। আর আমি-

বিকৃত সময়ে বিকৃত মনোভাবে
বিকৃত মানুষগুলোর রুচি
চিৎকার করি জ্বলেপুড়ে ছারখার
তবুও আমি নাকি অশুচি

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।