ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত ঘটনার তদন্ত কার্য শেষ । খুব শীঘ্রই বিচারপতি তদন্ত রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার নিকট জমা দেবেন। এবং সম্ভবতঃ তদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদনে বিচারপতি ছাত্র এবং শিক্ষকদের লেজুরবৃত্তি রাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করবেন । এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে গণ মাধ্যমে ।
বাংরাদেশে সৃষ্ট নানা ঘটনার জন্য নানারকমের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে । কিন্তু সেই তদন্ত কমিটি গুলোর কি হয়েছে শেষ অবধি সে বিষয়ে তদন্তের জন্যই হয়তো আরেকটি তদন্ত কমিটি প্রয়োজন । কিন্তু বর্তমান সময়ের এই তদন্ত কমিটি তার তদন্ত শেষ করে খুব শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট মা দেবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন । কিন্তু তদন্ত কমিটির তদন্ত যে প্রশ্নহীন হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না ।
মূলতঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত ঘটনাটি কোনভাবেই শুরুতে রাজনীতিবিদদের হাতে ছিল না । তবে শেষ অবধি দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো আন্দোলনের সাথে রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা খুবই সামান্য । সরকার যদি এই ঘটনার সাথে শিক্ষক এবং ছাত্র রাজনীতিকে জড়িয়ে তা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় তা হবে অপ্রাসংগিক । শিক্ষক কিংবা ছাত্র রাজনীতির বর্তমান অবস্থার সাথে আমি কোনভাবেই একমত নই । সমর্থনও করিনা । কিন্তু আমার দ্বিমত এর জায়গা হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায় আচারণের সাথে সরকারের ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিকে জড়িয়ে ফেললে সরকার বরং ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষ্দ্ধি করার যে সমর্থন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পেত তাও হারাবে । খুব সাধারণ ভাবে বলা যায় দেশের শতকরা ৫০ ভাগের বেশী শিক্ষার্থী বর্তমান প্রচলিত ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির পক্ষপাত নয় । সরকার যেকোন ঘটনার আশ্রয় না নিয়ে সহজভাবে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির উপর শর্তারোপ করলে বরং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ সর্ব মহলে একটি গ্রহনযোগ্যতা পেত । তা না করে একটি অযাচিত অন্যায়কে ঢাকতে গিয়ে সরকার শিক্ষার্থীদের দমনে যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি যদি এমন সুপারিশ পেশ করে তবে তা কোন মহলেই গহনযোগ্যতা পাবেনা । বরং সর্বমহলেই তা ধিক্কারযোগ্য হবে।
ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে একজন সামান্য সেনাসদস্যের অন্যায় আচারণ এর বিচার পরিবর্ত যদি ছাত্র শিক্ষকদের সাথে যে অন্যায় আচারণ করা হয়েছে বা হচ্ছে সরকার যদি তাকেই সমর্থন করে তা হবে কলংকের । কিছু সামরিক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার অসদাচরণ কে লুকানোর জন্য ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিকে সম্পৃক্ত করা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় । প্রশাসন কার নির্দেশে কোন পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের উপর এমন অন্যায়ভাবে চড়াও হলো তার তদন্ত প্রয়োজন । কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিকবাহিনীর সিভিল পোষকধারী কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হলো এবং ঘটনার পরবর্তিতে আজিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানবিক শারিরীক ও মানুসিক নির্যাতন করা হলো ?? এবং তারপরের তদন্ত ৩য় কোন পক্ষ সৃষ্ট সংকট থেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে কিনা !!
অনেকেই সংগঠিত ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মনে করে । অনেকেই এই ঘটনাটি সরকারের সাজানো নাটকের একটি অংশ হিসেবে বলেছেন । আবার ঘটনা ঘটে যাওয়ার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গুলোকে দেখে অনেকে বলেছেন সরকার ঘটনাটিকে ভিন্ন ক্ষাতে প্রবাহিত করার জন্যে চেষ্টা করেছে । তবে কি আমরা ভাবব সরকার একটি আকস্মিক ঘটনাকে পুজিঁ করে ৩য় কোন মতলব হাসিলের জন্য পুরো বিষয়টিকে ভিন্নক্ষাতে প্রবাহিত করেছে । একটি বিশেষ শ্রেনীকে বাচানোর জন্য সরকারের এই প্রয়াস । এবং সেই বিশেষ বাহিনীর সর্বকালীন প্রতিপক্ষ গনতান্ত্রিক , প্রগতিমনা শিক্ষক শিক্ষার্থরা । তবে কি এই পুরো বিষয়টিকে আমরা ধরে নিব বর্তমান সরকারের মন্তাজ !!!
মন্তব্য
এই পোস্টে দেখি এখনো কেউ মন্তব্য করলনা। যাই হোক, লেখা ভাল হয়েছে। আপনি যা ভাবছেন তা হলেও হতে পারে, কিন্তু আমার তা মনে হয়না। ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি যে কদর্য পর্যায়ে গিয়েছে তাতে বন্ধ করেই দেয়া ভাল হবে।
সরকারের সমর্থন যে এতে ষোলোআনা, তা নিয়ে কি আপনার সংশয় আছে? আমার কিন্তু নেই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হ্যাঁ,আপনি ঠিকই ধরেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ
২৮ অক্টোবরের সহিংসতাকেও এভাবে দেখা যায়। চার দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ গণতান্ত্রিক উত্থানের দিকে যেতে পারতো। কিন্তু আওয়ামী ওয়ালারা কার ভরসায় কার উস্কানিতে সেটাকে গোষ্ঠীগত সহিংসতায় পরিণত করলো আর তার ফলে এলো ১১ জানুয়ারি।
ঢাবির বেলাতেও তাই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ক্ষোভ একদল নিজেদের নেত্রীদের মুক্তির জন্য ব্যবহার করলো আর সরকার সেটাকে ব্যবহার করে প্রতিরোধের কেন্দ্রকে আপাতত গুঁড়িয়ে দিল। বিক্ষোভের ম্যানিপুলেশন এবং তা দিয়েই তাকে দমন করার এই কৌশল বাংলাদেশে নতুন।
"""""""""""""""""""""""""""""""""
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হ্যা তবে বলতে হয় রাজনীতিবিদরা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ এবং দলীয়স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারেন না । আপনি নিজে কি রাজনৈতিক জীবনে সেই স্বার্থের ব্যতিক্রম ঘটতে পেরেছেন??
যে নেতা সেই স্বার্থকে বৃহত্তর স্বার্থের কাছে বিকিয়ে দিতে পারে সেই হয় জনগনের নেতা । সেটা সবাই হয়না । সেজন্য আপনি রাজনীতিকে দোষারোপ করতে পারেনা ।
ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই থাকতে হবে । তা যদি কোনভাবে আপনার আমার কারণে কুলষিত হয় তার সংস্কার , তার রুপরেখার পরিবর্তন দরকার , রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দরকার হয়না ।
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
তা হলে কে না খুশি হতো, কিন্ত এই কথটা আমাদের ছাত্র-শিক্ষকরা যে রাজনীতিবিদদের পদলেহী রাজনীতি করে সেই রাজনীতিবিদরা কখনো কি বলেছে? বলেনা কেন? কারণ তারা নিজেরাও সেটা চায়না। তারা চায় ছাত্র রাজনীতির নামে এই রাজনীতি জিইয়ে রেখে নিজেদের ফায়দা লোটার পথ খোলা রাখতে।
'রাম' 'রাম' বলতে বলতে আপনি আমাকে 'মরা' বানিয়ে দিয়েছেন। আমার মন্তব্য থেকে আপনি যে অভিযোগ টেনে বের করেছেন তা কি ন্যায্য? আমি বলতে চেয়েছি, কায়েমী চক্র নতুন এক কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশে। তারা যখন দেখে প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে সরাসরি দমানো যাচ্ছে না তখন এজেন্ট ঢুকিয়ে সেটার চরিত্র এমনভাবে পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করে যাতে সেটা আত্মঘাতী হয়। ২৮ অক্টোবর এবং আগস্টের ছাত্র উত্থানকে তারা সামনাসামনি মোকাবেলা করে নাই। কিন্তু সেটাকে ষড়যন্ত্রের ফল হিসাবে দেখিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে। একদল ছাত্রদের সেনাক্যাম্প ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবিকে নেত্রীর মুক্তির দাবি দিয়ে অন্তর্ঘাত করেছে। আর নানান লোকজন এর মধ্যে ঢুকে একে বিশুদ্ধ সহিংসতার চরিত্র দেয়ার চেষ্টা করেছে। ফলে সেটার নেতৃত্ব আর ছাত্রদের হাতে থাকে নাই। আর অন্য কাজটি হলো, এই আন্দোলনকে তারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যেকার প্রতিবাদী মহলকে দমন করার জ্ন্য কাজে লাগিয়েছে। পুকুরে মাছ ধরার সময় দেখতাম আগে পানি ঘোলা করা হয় যাতে মাছেরা অক্সিজেনের অভাবে ভেসে ওঠে এবং সহজেই ধরা যায়। এখানেও কি তেমনটি করা হয়নি?
আর ছাত্র রাজনীতিকে বাঁচানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, সেই রাজনীতিতে যোগ দেয়া এবং তার পক্ষে কাজ করা। আমি সেটা দিয়েছিলাম ছাত্র অবস্থায়। এখনো সেই অবস্থান আছে আমার। বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করি, জনাব রাহা ছাত্র রাজনীতিকে বাঁচাবার জন্য লেখনী চালনা ছাড়া আর কী করেছেন? আর দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠা ইত্যাদি বিমূর্ত কথা বুঝিনি। কারো দলীয় রাজনীতি যদি অধিকাংশ মানুষের স্বার্থের পক্ষে হয়, তাহলে সেটাই রাজনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের স্বার্থ। এবং সেই দলীয় স্বার্থ বৈধ। কিন্তু দল ও নেতা সবসময়ই জনগণের অধীনস্ত এবং জনগণ ভিন্ন তাদের আলাদা স্বার্থ থাকতে পারে না। নাকি বলছেন, করবো আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কিন্তু ভাববো একদিন এটা বিসর্জন দেব, একদিন হজরত হয়ে যাব, একদিন সব দান করে দেব। তা ভাই, যা বিসর্জনই দেয়া যায় তা রাখার দরকার কি? কেউ আসলে কিছু বিসর্জন দেয় না, যে যেমন সে তেমন রাজনীতিই করে।
আর আমি কী করেছি,তার খতিয়ান যেখানে যাদের সঙ্গে নিয়ে করেছি তারাই ভাল বলতে পারবে। কেবল এতটুকু বলি, জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণবিরোধী তিনটি আন্দোলন, বেতনফি প্রতিরোধ আন্দোলনসহ ১৯৯৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যা কিছু খবরে দেখেছেন তাতে ছিলাম, সাধ্যমতো কর্মী-সংগঠকের কাজ করেছি। ঐসব আন্দোলন কিন্তু সেই সময়ে হয়েছিল, যখন ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচারণা তুঙ্গে ছিল। আমাদের ওইসব আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে ছাত্র সমাজের আস্থা ফিরিয়ে এনেছিল। ঐ সময়ে জাবি'র পথে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ধরনের আন্দোলন হওয়াই তার প্রমাণ। সর্বশেষ শামসুন্নহার হলে পুলিশী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং মুক্তচিন্তা রক্ষা হুমায়ুন আজাদ মঞ্চ কিন্তু আমাদের মতো লোকেদেরই কাজের ফসল।
সনির্বন্ধ অনুরোধ, অপাত্রে বিষ ঢালবেন না।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সহমত@প্রকৃতিপ্রেমিক ।
আমরা পাবলিক পর সমালোচনায় ব্যস্ত আর নিজের কাজকর্মের দিকে কোন খেয়াল নাই ।
ফারুক ওয়াসিফ, আমি জানি বলেই বলেছি । আপনি কিভাবে শামসুর নাহার হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এর ফসল আপনার দলের ভান্ডারে উঠানোর চেষ্টা করেছেন !!! তার দলিলও কিন্তু আপনি আপনার দলের প্রকাশনার মধ্যে রেখেছেন । কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে আপনারা বাম রাজনীতির সুফল বলে চালনোর বৃথা চেষ্টা করেছেন ।
কিভাবে আপনারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছেন , নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ সেজেছেন আবার আন্দোলন শেষে তার সুফল ঘরে তোলার চেষ্টা করেছেন , তা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি । আমরা ভুলি নি।
আমি জানিনা কিসের ভিত্তিতে আপনারা নিজেদের প্রগতিশীল সংগঠন দাবি করেন আর ছাত্রদল বা লীগকে অপ্রগতিশীল বলেন ??
ছাত্রলীগ লাশ চায় বলে শামসুর নাহার আন্দোলন দাবি করলেন কই শামসুর নাহার , হুমায়ূণ আজাদ স্যারের আন্দোলনে তো আমরা কোন লাশের রাজনীতি করতে দেখেনি , তবে কেন মিথ্যে বলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেন ??
শামসুর নাহার কিংবা হুমায়ুন আজাদ আন্দোলনে আমরা যেমন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি ঠিক তেমনি গুটি কয়েক সদস্যের বামদল গুলো সাথে থাকুক চাই নি । কেননা আমরা জানি , সবসময় দেখেছি আপনারা কিসের স্বার্থে রাজনীতি করেন ।
তাই ব্যক্তিগত ভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে শুধু মধুর টেবিল গরম করার বাসনা হয়নি । তবে যা করেছি তা তাগিদ থেকেই করেছি ,কাজের জন্য কাজ করেছি , নিজেরে অনুভূতি দিয়ে করেছি , পরবর্তীতে তা গল্প করার জন্য নয় ।
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
সবই বুঝলাম । কিন্তু রাজনীতির বাইরের অ্যাক্টিভিটি বিষয়টা কি? কোন ক্রিয়াটা অরাজনৈতিক?
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভালো লিখেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার রাজনৈতিক ছাত্র-সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত নয়, সাধারণ ছাত্রদের ইনস্ট্যান্ট রি-অ্যাকশন। আর কোনকিছুর জন্যই ছাত্রদের রাজনীতি বন্ধের যৌক্তিকতা নেই। রাজনীতির মধ্যে যে ত্রুটিগুলো আছে, সেগুলো দূর করা হোক।
ডঃ ইউনুস; কিংবা তত্ত্ব সরকারের শুরুর দিকে যারা খুশীতে ডগোমগো হয়ে উঠেছিলেন, সেসব সুশীলদের একটি বিরাট অংশই আবার আগাপাছতলা চিন্তা না করেই ছাত্র-রাজনীতি বন্ধে দিলখোশ হবেন-এরকম সম্ভাবনা প্রবল। তবে তাদের এ খুশী বেশিদিন থাকবে না। ছাত্রদেরকে যখন ইউনিভার্সিটি এলাকায়ই নিয়মিত পুলিশের হাতে চড় খেতে হবে, কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো দাবি-দাওয়া পেশ করতে গেলেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি আসবে, তখন তারাই বুঝতে পারবে ছাত্র-সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা। সময়ই সবকিছু বলে দিবে। তবে এখন সময়টা খুব খারাপ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন