১.
কুনমিং । চাইনিজ শব্দ । যার বাংলা চির বসন্ত । অর্থাৎ বাংলায় চির বসন্তের দেশ । চীনের একটি শহর । কুনমিং হচ্ছে ইউনান প্রদেশের রাজধানী আর এই প্রভিন্স হচ্ছে চীনের অন্যতম দর্শনীয় জায়গা । চীন বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষন করতে কুনমিং এর চির বসন্তকে কাজে লাগিয়ে আরো আকর্ষনীয় আর সুন্দর করে তুলছে ।সেই চির বসন্তের দেশে দিন কয়েক ঘোরাঘুরি করে আসার অভিজ্ঞতা ভ্রমণকাহিনী নয় ঘোরাঘুরির কাহিনী বিবৃত করিবার বাসনায় 'চির বসন্তের দেশে - ১' হিসেবে শুরু করলাম ।চীন ভ্রমণে কোন ভৌগলিক ম্যাপ না দেখিয়াই দ্রুত গিয়েছিলাম আর বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য চীনের প্রাচীর দেখব ভেবেছিলাম কিন্তু কুনমিং ছাড়া আর কোথাও যাবার সময়, সুযোগ ছিল না । আর ওই প্রাচীর দেখতে বেইজিং পর্যন্ত যাবার প্রয়োজন.... তাই...হয়তো অন্য কোন বার ......
২. ( কুনমিং থেকে দেশে ফিরেছিলাম ৭ জানুয়ারি ২০০৮ । সেদিনই ঢাকায় নেমেছিলাম । বাসায় পৌছাঁতে পৌছাতেঁ দুপুর ২:৩০ । তারপর সেদিনই আবার ঢাকার বাহিরে যেতে হবে । বাস এর টিকেট ছিল রাত ১১:০০ । পোস্ট- ১ লিখে কোনভাবে পোস্ট দিয়ে দৌড়ে বাস ধরা । জানতাম তারপর বেশ কয়দিন ইন্টারনেট এর ধারের কাছে আসার সময় হবে না । হলো আজ । তাও মাত্র কিয়দক্ষণপূর্বে ঢাকায় আসা । ব্লগের নেশা আর কাকে বলে!!)
আমি ইস্টার্ন চায়নার একটা ছোটখাটো প্রেনে চেপে বসলাম যখন তখন ঢাকার ঘড়িতে ২.২৫ । আমার সংগী সবাই দেশের বনিক শ্রেণীর । একেবারে দেশ-বিদেশ যাতায়াতকারী বনিক । তারা সবাই বলতে গেলে সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত করছে । আর একমাত্র যাত্রী অন্তত বাঙালি যাত্রী যে শখের বশে চীনে যাচ্ছে । ইমেগ্রেশন খুব অদ্ভুত ভাবে তাকালো এবং মিটিমিটি হাসি দিল অর্থাৎব্যাটা লাগেজ পার্টি আমারে শিখাস টাইপের হাসি । এর আগে এর থেকে বিচিত্র অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে । দেশের বাইরে যে দুএকবার যাওয়া সবই উদ্ভট কারণে , আমার কাছে না হলেও অন্তত এসব ইমিগ্রেশন কর্মচারীদের (কর্মকর্তা লিখতে বাধল!) কাছে । একবার তো ইমিগ্রেশনের এমন একজন হাসিতে খুন আমি ছোটছবি (শর্টফিল্ম) বানাই আর সেই ছোটছবির জন্য জার্মানীতে যাচ্ছি । বেচারার হাসি আর থামে না [সেট অন্য প্রসংগ, হয়তো অন্যতকান সময়ে] প্লেন পর্যন্ত পৌছাতে পৌচাতে ০২:২০ অথচ প্লেন উড়াল দেবার নির্ধারিত সময় ছিল ০১:৫৫ । প্লেন পর্যন্ত যেতে হলো বাংলাদেশ বিমানের একটা বাসে চড়ে । ছোট বিমান , তাই !! রানওয়েতে হঠাৎ যাত্রী দৌড় দিল লাগেজ একজনের হাতে ধরিয়ে একটু সামনের দিকে , সবাই কি ব্যাপার কি ব্যাপার করতে করতে সে গিয়ে সোজা দক্ষিনমুখে দাড়িয়ে চেন খুলে দাড়িয়ে পড়ল এবং একটু পড় মুচকি হাসে দিতে দিতে ফিরে এলো । একজন খুব অভিজ্ঞ বনিক বললেন এতো কষ্ট করে খোল আকাশের নিচে দাড়ানোর দরকার কি ছিল, প্লেনে.....না, না দেশেই রেখে গেলাম.... বলে আবার একটা সলজ্জ হাসি ।
মন্তব্য
পড়লাম।
ছোটছবি??
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
চলুক!
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
ছবি বড় করবো কি করে, কোন সজ্জন কি আছেন?? পথ বাতলে দেয়ার...
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
ফেসবুকে যেনো আরো কি দেখলাম @ রাহা?
----------------------------------------
শমন,শেকল,ডানা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একা গেসিলেন নাকি?
আমি তো ছবি পাইলাম না কোন!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হাসান মোরশেদ @ ফেসবুকে ?? ওহো আমার ফেস দেখছেন ??!!??
কনফুসিয়াস@ আহা বাবা ধীরে ধীরে , একটা সিরিজ না !! হেহে
আচ্ছা হাসি কান্দন দাগামু ক্যামনে ??
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
বাসে চড়িয়ে প্লেনে তুললো ?
এতোগুলো বোর্ডিং ব্রিজ কী কাজে রেখেছে তাহলে ?
অলৌকিক হাসান @ আমার ছোট ছবি সব মিলিয়ে ৪-৫ টা । তাও সব ৫-৭ মিনিট । তবে সমস্যা হচ্ছে ডিভিডি গুলো আমার কাছে নেই । ওয়েবে আছে বোধহয় ২ টা । মেইল এ্যাড দিন তাহলে লিংকুটা দিবক্ষণ ।
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
নতুন মন্তব্য করুন