সময়ের সাথে সাথে ভাসতে ভাসতে চলে এলাম বর্তমানে । বর্তমান , ঠিক অতীত আর ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণ । হয়তো খানিকটা অস্তিত্ব সংকটে ভোগে । তার আয়ুষ্কালের ব্যাপ্তিই তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । যা আসবে তাই আসে এবং খানিক পরে; তাই এসেছিল ।
তারপর সেই অবধারিত চিরন্তনকে নিয়ে আমাদের কত আশা-আকাংক্ষা-স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন ; একই আকাশের নিচে , আমাদের আসা-যাওয়া আর মাঝে আমাদের কত নির্মাণ । সেই একই নির্মাণ যা আজ সত্য হয়তো আগামীতেই তা মিথ্যে । সেই সত্য আর মিথ্যের নিরুপক ; একক কিংবা চিরন্তন কি কিছু আছে ? নাকি সময়ই নিমার্ণ করে তার প্রচলিত একক । সত্যকে মিথ্যে আর কখনও মিথ্যেকে সত্য বানাতে কত কারিগর !!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , যে প্রতিষ্ঠানটি জন্মপূর্ব থেকেই বির্তকের বিষয় , সেই একটি প্রতিষ্ঠানকে কত সময়ে কতভাবে দেখানোর চেষ্টা !! যখন ভাষা অধিকার প্রতিষ্ঠাতা ঠিক তখনি আবার রাষ্ট্রদ্রোহী ; কখনও স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশীদার আবার কখনও ডাকাতের গ্রাম । কখনও কোমল মতি শিক্ষালয় আবার ছাত্র নামের কলংকিতদের আশ্রালয় ।
তবে যে যাই বলুক আর ভাবুক কিংবা বানানোর চেষ্টা করুক এই বিশ্ববিদ্যালয়; এই পরিবার যেন সকল সময় যেভাবে ভূমিকা রেখে এসেছে সর্বকালেই তা রাখে ।
তারুণ্যকে রুখবে ,এমন সাধ্য কার ?
যুগে যুগে দেশে দেশে সবসময়ই হয়েছে তারুণ্যকে রুখার চেষ্টা। কিন্তু কেউ পারেনি , পারে না । এখন মানুষকে ক্ষনিকের জন্য অন্ধ করে রাখা যায়, মুখ বন্ধ করা যায় । কিন্তু তারুণ্যের জোয়ারে সবসময় সেই বাধ গুড়িয়ে দিয়েছে ।
সব থামিয়ে দেয়া যায়; ভয় দেখিয়ে চুপ রাখা যায় কিন্তু কতক্ষণ ?? চোখ বন্ধ হলেই কি মনের দরজা বন্ধ হয় ??
তারুণ্য থেমে নেই ; থেমে থাকে না । মুখে না হলে মগজে ; বাস্তবে না হলে স্বপ্নে, কাগজে কলমে না হলে দেয়ালে ; দেয়ালে না হলে কাপড়ে , টি-শার্টে । তারুণ্য নিজেকে প্রকাশ করবেই । সময়ের আবর্তনে প্রতিবাদের মাধ্যমহয়তো ভিন্ন কিন্তু সে ভাষা অভিন্ন। তার কাঁটা সে পেরুবেই হয়তো স্বপ্ন ডানায় নয়তো প্রজাপতির..........
মন্তব্য
স্বাগতম রাহা। সচল হলেন কবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লেখাটা বেশ লাগল। তারুন্যকে রুখবে কে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহবুব । সচল হলাম ক'দিন হলো ।
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
চমৎকার লিখেছেন
নতুন মন্তব্য করুন