আমরা আর কোন 'হাজার চুরাশির মা' চাইনা

রাহা এর ছবি
লিখেছেন রাহা (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৯/২০০৭ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিডিয়ার লোকজন যেন না জানে । যদি জানে তবে ধরে নিব তোমরা জানিয়েছ । এভাবে শাসিয়ে গিয়েছিল মানব এর সদোহরকে , কারা ? যারা নিজেদের দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে কোন ওরেন্ট এর কাগজপত্র না দেখিয়েই মানবকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু কোনভাবে খবরটি চাপিয়ে রাখা যায়নি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মানবের আটকের খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে । হয়তো তার ফলশ্রুতিতেই আজ আদলতের মাধ্যমে ৪ দিনের রিমান্ডে তাকে নেয়া হয়েছে । কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উতপ্ত করার জন্যে তথ্যের অনুসন্ধান প্রয়োজন । তাই দাগী আসামীর মতোই মানবেন্দ্রকে রিমান্ডে নেয়া হলো তার কাছে থেকে তখ্য আদায়ের জন্য । তার অন্যায় তিনি একটি ছাত্র সংগঠনের সভাপতি । বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে অংশগ্রহন করে প্রথমদিনই মানব আহত হয়েছেন । শুধু মানবকে নয় তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও রিমান্ডে নিয়ে এই সরকার নজির সৃষ্টি করলো । কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তুচ্ছ ঘটনা কিভাবে এতো বড় আকার ধারণ করলো??
সরকার কি অনুসন্ধান করেছে কেন সেনা সদস্যরা একজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ে পিটালো ?? সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় কোন কোন সেনা সদস্যরা সাদা পোশাকে মাথায় হেলমেট দিয়ে হাতে রড নিয়ে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের পিটালো ? কার নিদের্শে কোন সাহসে ?? যখন সেই প্রতিবাদ শক্তির লড়াই এ পরিনত হলো তখন সেই সেনা সদস্যরা পিছে হটে গেল তখন শুরু পুষিশের বেপরোয়া আক্রমন । দেশ স্বাধীন হবার পর পুলিশ এতো হিংস্র হয়ে কখনও শিক্ষার্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েনি । তবে কার নির্দেশে এমন হলো । সরকার যদি সত্যি অনুসন্ধান করতে চায় কেন আন্দোলন এতো বড় হলো তবে এর নেপথ্যের কাহিনী অনুসন্ধান প্রয়োজন । পূর্বের প্রশ্নের উত্তর গুলো জানা প্রয়োজন ।

কোনটি অপরাধ অন্যায়ের প্রতিবাদ কার নাকি অন্যায়ভাবে একজন শিক্ষার্থীকে আহত করা এবং পরবর্তিতে অণ্য শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমন করা ??

যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ কার দোষ হয় ,
যদি অন্ত্র ক্ষমতার উৎস হয় তবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দোষী তাদের সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে সরকার তাদের শিক্ষকদের যেভাবে ক্ষমা চাইয়েছে তাদের সেভাবেই কর জোড়ে ক্ষমা চাওয়াক ।
এদেশে হাজার চুরাশির মায়েরা কাদুক । হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা গুম হয়ে যাক তাদের স্পর্ধার জন্যে ।

কিন্তু আমরা চাইনা এমন কোন অন্যায় করা হোক যার জন্যে মানুষ-মানুষের মুখোমুখি হবে । আর অস্ত্র হবে তাদের ভাষা । আমরা চাইনা শিক্ষার্থীরা হাজার চুরাশি নং কয়েদি হোক ।


মন্তব্য

উদভ্রান্ত এর ছবি

টেস্ট করি।

আড্ডাবাজ এর ছবি

নব্বইয়ের প্রতিধ্বনি শুনি। নির্বোধরাও বুঝে, তবে বিলম্বে। সারাদেশই বানিয়ে ফেলুক ক্যান্টনমেন্ট।

অতিথি লেখক এর ছবি

জলপাইতন্ত্র জাঁকজমক নিয়ে জবরদস্তি করে জাঁকিয়ে বসছে জোঁকের মতো। আমরা, 'ব্লাডি সিভিলিয়ানরা', তাদের উদ্যত অস্ত্র আর সীমাহীন ক্ষমতার সামনে অক্ষম অসহয়াত্ব ছাড়া আর কী প্রকাশ করতে পারি!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রাহা কি আমাকে মেইল করতে পারেন,দয়া করে?
আপনার মেসেজ ইনবক্সে আমার মেইল আইডি দেয়া হয়েছে ।

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।