অনাকাংক্ষিত ভাবে ৩৬ বছর বেশী বেচে আছে মুজাহিদী । হয়তো নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় । এই ৩৬ বছর তো আয়ু প্রাপ্য ছিল না , কৃতকর্মের ফল তো কবেই ভোগ করার কথা অথচ তা করতে হলো না । তাই নিজে নিজেই ভাবতে শুরু করেছে তার কৃতকর্মগুলো নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে না , তার মানে ১৯৭১ কোন যুদ্ধ হয়নি , একটু গন্ডোগোল হয়েছিল , মানে গৃহযুদ্ধ টুদ্ধ হবে । নিজের কুট বুদ্ধির ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী মুজাহিদী । মাঝে মাঝে নিজেকেই মওদুদী ভাবতে ভালো লাগে তার । রাজাকারীর জন্য অনুতাপ নেই বরং রাজকারী সফল না হওয়ার একটা ঘা সবসময়ই তাকে জ্বালায় । দেশের লোকে তাকে রাজাকর বলে , তা তো বলবেই এমন স্বেচ্ছায় কে তার চেয়ে বেশী জলপাই ওয়ালদের ফরমায়েশ খেটেছে ? আ্যা !!
তিনি স্বাচ্চা রাজাকার , সবাই রাজাকার বললে তার গর্ব হয় ।
নিজেদের দেয়া পদবী তাতে লজ্জা নয় বরং সম্মান খুজে পায় তবে তুই শব্দটার প্রতি একটু আপত্তি আছে । অবশ্য মানুষতো বেশী ভালোবাসা থেকেই তুই বলে । মনে প্রবোধ দেয় । ভালোবাসা প্রবল না হলে কি এই বোনাস ৩৬ বছর আয়ু কেউ পায় ??
অবশ্য এই জীবনে তো কম হলো না , পাকিস্থানী থেকে এই দেশের কত আর্মির সেবা করে যাচ্ছে একনিষ্ঠ ভাবে ।
আর ওরা আছে বলেই তো ..............
সাহস করে এবার বলেই ফেললাম মনের কথাটা, দ্যাশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই । আরে যুদ্ধ হইলে তো যুদ্ধাপরাধী থাকব ।
মনে হাসে আর কয়টা দিন যাক , সস্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কত ভ্রান্তি , সব ঠিকঠাক মত লেখা আছে ১৩ খন্ডের ইতিহাস বই এ । কিভাবে জামায়াথীরা এদেশকে মুক্ত করল মালাউনদের হাত থেকে ১৯৭১ গৃহযুদ্ধের সময় কত জামাতীর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ার দালালদের হাত থেকে দ্যাশ মুক্ত করল ।আর একটু সময় পাইলে নতুন ১০০ ভাগ হালাল জামাতী ইতিহাস বিনা পয়সায় বিতরন করবে । মুজাহিদী জাবর কাটতে থাকে । উত্তেজনায় পায়েচারি করে । মনে মনে একটা নাম ঠিক করে একুশ শতকের বাংলাদেশের নতুন হালাল ইতিহাস ।
(হয়তো আমাদের এমন করেই আবার ইতহাস শিখতে হবে , দেশে যদি যুদ্ধাপরাধী না থাকে তাহলে এমন ইতিহাস রচনায় দোষ কি ??বরং কিছু বিষয়ে তো আমরা উপশম পাব আমরা বাঙালি না বাংলাদেশী সমস্যায় থাকতে হবে খাটি মুসলিম হয়ে যাব। স্বাধীনতা যুদ্ধ না হলে ঘোষক ও থাকবেনা । আর ইব্রাহিম ছাড়া খাটি মুসলিমের পিতাকে ?? অবশ্য মওদুদী হয়তো বিবেচনায় আসবে ।)
মন্তব্য
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এসব ঘাতক রাজাকাররা তাদের কুকর্মে আনন্দ পায়, গর্ববোধ করে। হান্নানকে টিভিতে দেখেননি, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করতে একবারও জিহবা কাঁপেনি, বরং চরম ঔদ্ধত্যে পরম আনন্দ লাভ করেছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকরাও নীরব। এভাবে খুব বেশীদিন টিকতে পারবে না এসব ঘাতকের দল। ইতিহাস বদলাক আর খোলস লাগাক, তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে....।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
নতুন মখোশে জামাতীরা আর্বিভূত হতে চাচ্ছে !!!!
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
নতুন মন্তব্য করুন