পিপলুদের বাসার কাজের ছেলে নিজাম সারাদিনে অন্তত বারদশেক ভূত দেখতে পায়।
সে বারান্দায় ভূত দেখে, বাথরুমে ভূত দেখে, টেবিলের নিচে ভূত দেখতে পায়, এমন কি টেবিলের ওপরেও ভূতেরা তার জন্য পা ঝুলিয়ে বসে থাকে। কোনো কোনো মানুষ সারাজীবন চেষ্টা করেও ভূত দেখতে পায় না, আর নিজামের এখানে ভূতেদের বিরাট লাইনে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি।
সে যেন ভূতেদের জমিদারবাবু, নানান জায়গা থেকে প্রজারা বিশেষ আগ্রহ নিয়ে তার সঙ্গে খানিকক্ষণের জন্য দেখা করতে আসে। আর সেইসব ভূতেদেরও কত রকমফের, কেউ কাঠির মতো লম্বা, কেউ চাদরের মতো পাতলা, কেউ চরকির মতো পাক খেতে খেতে ঘুরছে, কেউ আবার হাতির মতো সারা ঘর জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে ! আর কেউ তো এসব দেখে নি, সব বিবরণ নিজামের কাছ থেকেই পাওয়া। এসব ভূতেদের চেহারায় যতই পার্থক্য থাকুক না কেন, একটা জায়গাতেই তারা এক, তারা সবাই নিজামকে দেখামাত্র দাঁত খিঁচিয়ে ওঠে। আর সেই দাঁত খিঁচানো দেখে নিজাম প্রায় সময়েই হাত থেকে বাসনপত্র ফেলে দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে ছুটে আসে। ডুকরে কেঁদে উঠে বলে, আম্মা গো, দাঁত খিঁচ মারছে!
পিপলুর আম্মা রাগ সামলাতে না পেরে বলেন, এঃ দাঁত খিঁচ মারছে! তাই বলে চিনামাটির প্লেটটা ভেঙ্গে ফেলবি নাকি পাজি কোথাকার! এখন আমি যে তোকে দাঁত খিঁচ মারব, তার কী হবে?
পিপলুর আম্মার রাগ করার যথেষ্ট কারণ আছে। নিজাম এ বাড়িতে এসেছে মাসখানেকের বেশি নয়। এর মধ্যেই সে পিপলুদের বাসার যা কিছু ভঙ্গুর বাসনপত্র ছিল, প্রায় সবই শেষ করে এনেছে। অন্যান্য এনামেলের বাসনগুলোও ট্যারাব্যাঁকা চেহারা নিয়ে তার ভৌতিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে আছে। তার হাতে বিশেষ কোনো জিনিসপত্রই আর দেয়া হয় না, তারপরও সে কী করে যেন ঘুরেফিরে সেগুলোর ওপর গিয়েই পড়ে ! বাধ্য হয়ে এখন অন্য কাজের লোকের খোঁজ করা হচ্ছে, কিন্তু দিনকে দিন ভূতেদের কাছে নিজামের জনপ্রিয়তা যেরকম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে এ বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগেই বাড়ির সব বাসনকোসন সে গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে!
তাকে এ বাড়িতে এনে দিয়েছিল পাশের বাড়ির কেয়ার টেকার বজলু মিয়া। দাঁত বের করে হেসে বলেছিল, খুউব ভালা পোলা আম্মা, কুনো গণ্ডগোল কোরবো না, যা খাইতে দিবেন, য্যামনে থাকতে দিবেন, মাইনা নিবো, কুনো কথা কইবো না!
নিজাম ভালো ছেলে সন্দেহ নেই। সব কাজই মোটামুটি যতœ নিয়ে করার চেষ্টা করে। তাকে বেশ আদরযতেœই এ বাড়িতে রাখা হয়েছে, আর সেও যে সবই ‘মাইনা নিছে’ এবং ‘কুনো কথা কয় না’, সে ব্যাপারেও সন্দেহ নেই। যত গণ্ডগোল ঐ ভূতের ভয় নিয়ে। সে যেন ভূতমহাল ইজারা নিয়েছে।
পিপলুর আম্মার রাগ করাই স্বাভাবিক। আর তাছাড়া, পিপলু যদিও ক্লাস এইটে উঠেছে এ বছর, তারপরও সে তার নিজের ঘরে আলাদা ঘুমায়। ঘরের মধ্যে একটা বাচ্চা ছেলে যদি সময়ে অসময়ে ভয় পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে, বিকট মুখ করে দৌড়ে এসে থরথর করে কাঁপতে থাকে, তখন অস্বস্তি লাগে না?
পিপলুর কাছে অবশ্য পুরো ব্যাপারটাই একটা মজায় রূপান্তরিত হয়েছে। নিজাম যখন ভয় পেয়ে তারস্বরে চেঁচাতে চেঁচাতে দৌড়ে আসে, পিপলু তখন হাসতে হাসতে কুটোপাটি হয়ে জিজ্ঞেস করে, কী রে, এবার কী দেখলি? ঠ্যাং ওপরে, মাথা নিচে? আর চোখ দুটো দুই হাতের তালুতে রাখা?
তার এই রসিকতায় নিজাম বড়ই আহত বোধ করে। মাঝে মাঝে বলে, আফা, ডরাইলে বুজতেন!
পিপলু খুব বিস্ময়ের ভঙ্গিতে চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে, তাই? ডরাইলে বুজতাম? বলেই হাসতে হাসতে প্রায় গড়িয়ে পড়ে আর কি!
নিজাম যে এরকম ভয় পেয়ে চিৎকার করে দৌড়ে আসে, থরথর করে কাঁপে, এসব দেখে প্রথম দিকে তার একটু আধটু যে শরীর শিরশির করে নি তা নয়, বরং অনেক সময় সেও অন্ধকার ঘরে ঢুকে পর্দা বা ছায়া নড়তে দেখে চমকে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গেই আবার নিজের কাণ্ডে নিজেরই হাসি পেয়ে গেছে। আর এটা তো খুবই স্বাভাবিক, বাজারে সুলভ জিনিসের বাজারদর ক্রমশই কমে যাবে। ভূতেরা এত ঘন ঘন আত্মপ্রকাশ করলে তাদের কি আর তত দাম থাকে?
তারপরও পিপলু একদিন ভয়ানক রকমের ভয় পেয়ে গেল।
পিপলুর মতো রবীন্দ্রপ্রেমিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বিছানার মাথার কাছে রবীন্দ্রনাথের চমৎকার একটা আবক্ষ ছবি আছে। পিপলুর প্রতিদিনের ঘুমই ভাঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চেহারা দেখে। সে ছায়ানটে রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখে, আর ঠিক করে রেখেছে বড় হলে সে অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের মতো কাউকে ছাড়া বিয়ে করবে না। পিপলুর এই প্রতিজ্ঞার কথা অবশ্য তার বাবা-মা দুজনেরই জানা। পিপলুকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুনলেই তার বাবা বলেন, কী রে, জামাইবাবাজির গান গাইছিস? কিংবা কোনো বৃষ্টির দিন বলেন, হ্যাঁ রে, আজকে জামাইবাবাজির ঐ গানটা ধর না, ঐ যে, আজি ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে...
সেদিন ছিল পঁচিশে বৈশাখ। বাবা সকালে অফিসে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলেন, কী রে, আজকে জামাইবাবাজির জন্মদিনে কোনো প্রোগ্রাম নেই?
পিপলু মুখ ধুচ্ছিল, ধুতে ধুতেই বলল, আছে। বিকেলে মার সঙ্গে যাব।
বাবা চোখ নাচিয়ে বললেন, আজকে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে, জামাইবাবাজির জন্মদিন স্পেশাল। অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরে আসো, তারপর দেখা যাবে!
বাবাকে হাজার জিজ্ঞেস করলেও তিনি আর সারপ্রাইজের বিষয় ভাঙ্গবেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল নিরাসক্ত ভাব করা। পিপলু সেইজন্যেই তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে অবহেলার সুরে বলল, ও, তাই নাকি?
পিপলুর ফিরতে ফিরতে রাত আটটা বেজে গেল। অনুষ্ঠান একেবারেই জমে নি আজকে। যে ভদ্রলোক তাদের অনুষ্ঠানে তবলা বাজান, তিনি কী নাকি হাত কেটে ফেলেছেন, তাই আসেন নি। আরেকজন যিনি তবলা বাজান, তার সঙ্গে আবার পিপলু ঠিক গান মেলাতে পারে না। অনুষ্ঠানে সে গান গেয়েছে ঠিকই, কিন্তু মন দিয়ে গাইতে পারে নি। ভালো হয় নি গান। সেইজন্যে মেজাজ একেবারেই খারাপ।
তার মধ্যে বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই হাহাকার করতে করতে ছুটে এল নিজাম, আম্মা গো, আমারে সমানে দাঁত খিঁচ মারতাছে! চইদ্দ হাত নাম্বা একটা জিন, চাইর হাত নাম্বা পাকনা দাড়ি, বুইড়া জিন, আফার গরে আমারে সমানে দাঁত খিঁচ মারতাছে!
পিপলু এক ধমক দিয়ে তাকে থামাল। বলল, আর একটা শব্দ করবি তো এক চড়ে তোর দাঁত ফেলে দেব!
নিজাম ডুকরে কেঁদে উঠল, আমি কী করুম, আমারে দাঁত খিঁচ মারে!
চোপ!
পিপলু নিজের ঘরে ঢুকে অন্ধকারের মধ্যেই বিছানার ওপর পা দুলিয়ে খানিক মন খারাপ করে রইল। তারপর ভাবল, নাঃ হাত-পা ধুয়ে আসি, নইলে মা রাগ করবে!
বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে গিয়েই সে প্রচণ্ড চমকে গেল। তার ঘরের আলো নেভানো, কিন্তু ডাইনিং রুম থেকে আবছা আলো এসে ঢুকছে ঘরের ভেতর। তার ভেতরেই সে স্পষ্ট দেখতে পেল, তার বিছানার পায়ের কাছে যেখানে সবচেয়ে বেশি অন্ধকার, সেখানে একজন মানুষ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় ছয় ফুটের মতো লম্বা, মুখটা বোঝা যায় না, শুধু আবছাভাবে মনে হয় মুখে সাদা দাড়িগোঁফ আছে। কিন্তু চোখ দুটো স্পষ্ট। জ্বলজ্বলে দুটো অন্তর্ভেদী চোখ তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
পিপলুর পা টলে গেল। সে অসম্ভব চমকে গেছে, কিন্তু তার মনে হচ্ছে, নাঃ এটা হতেই পারে না, আমার ঘরের ভেতর অন্য কোনো লোক আসবে কী করে? ঐ নিজামটার হাবিজাবি কথা শুনেই নির্ঘাৎ মাথা গরম করে এসব ভুল দেখছি, হয়ত এখনই দেখা যাবে সব মিলিয়ে গেছে!
পিপলু তাকিয়েই রইল, এবং আশ্চর্য, লোকটাও মিলিয়ে গেল না বা অন্য কিছু ঘটল না, আগের মতো সেরকমই জ্বলজ্বলে চোখে সটান তাকিয়ে রইল। পিপলু অনুভব করছিল, তার হাত-পা একটু একটু করে ঠাণ্ডা হয়ে আসছে, সাহস কমে যাচ্ছে, লোকটার দৃষ্টি যেন তাকে সম্মোহিত করে ফেলছে আস্তে আস্তে । তার মাথা ঝিমঝিম করছে, হাঁটু কাঁপছে অল্প অল্প, কিন্তু সামনে এগিয়ে গিয়ে রহস্য ভেদ করে ফেলার মতো সাহসও তার নেই, আবার দৌড়ে পালিয়েও যেতে পারছে না!
ঠিক সেইসময় তার চোখে অন্ধকার সয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে সব স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগল। পিপলু দেখল, লোকটার মুখটা আস্তে আস্তে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। লম্বা ঢেউ খেলা পাকা চুল ঘাড় পর্যন্ত নেমে এসেছে, সাদা দাড়ি আর গোঁফে মুখটা যেন আলো হয়ে আছে। চোখের দৃষ্টি আর আগের মতো তীব্র মনে হচ্ছে না, কেমন মায়াময় দেখাচ্ছে চাউনিটা।
পিপলু চমকে উঠল, আরে, এ তো রবীন্দ্রনাথ! তার ভয়টা এক পলকে কেটে গেল, কিন্তু কেমন একটা আচ্ছন্নতা তাকে ঘিরে আছে। রবীন্দ্রনাথ তাকে দেখা দিতে এসেছেন? পরলোক থেকে কোনো এক আশ্চর্য উপায়ে নেমে এসেছেন পৃথিবীতে? কেন, সে মন খারাপ করে ছিল বলে? এখন তিনি কি এগিয়ে এসে হাত রাখবেন পিপলুর মাথায়? বলবেন, আমার গান ঠিকমতো গাইতে না পেরে মন খারাপ করছ? আমার কিন্তু তোমার গলায় গান শুনতে খুব ভালো লাগে!
পিপলুর মুখের ভয়ের রেখাগুলো আস্তে আস্তে সমান হয়ে গেল। এখন তার মুখের দিকে তাকালে মনে হবে সে যেন কোনো সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছে, যদিও তার চোখ দুটো খোলা।
ঠিক এই সময় পিপলুর মা ঘরে ঢুকলেন। অন্ধকারে ভূতের মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন--বলতে বলতে লাইট জ্বেলেই তিনি দেখতে পেলেন পিপলু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দেয়ালের দিকে। হঠাৎ লাইট জ্বেলে দেয়ায় সে যেন কিছুটা বিভ্রান্ত।
পিপলু যেদিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, সেদিকে মুখ ফিরিয়ে মা বেশ খুশি হয়ে বলে উঠলেন, বাঃ কে এনেছে রে ছবিটা? ও, তোর বাবার কাণ্ড! আজকে তোকে কী একটা সারপ্রাইজ দেবে বলেছিল--এটাই সারপ্রাইজ?
পিপলুও অবাক হয়ে ছবিটার দিকে তাকিয়ে ছিল। রবীন্দ্রনাথের আপাদমস্তক লম্বা একটা ছবি। জোব্বা গায়ে একটু সামনে ঝুঁকে রবীন্দ্রনাথ তাকিয়ে আছেন, হাত দুটো পেছনে। øিগ্ধ দুই চোখের দৃষ্টি জলের মতো স্বচ্ছ। আজকের পঁচিশে বৈশাখে এটাই বাবার সারপ্রাইজ।
পিপলু অবাক চোখে একবার মায়ের দিকে তাকাল, আরেকবার ছবির দিকে। রবীন্দ্রনাথের চোখ দুটো যেন হাসছে, আর যেন সোজা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। পিপলুও মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে রইল। তার মনে হল, রবীন্দ্রনাথ যেন বলছেন, ভুল বুঝো না, আমি কিন্তু এসেছিলাম! ছবি তো ছবিই, কিন্তু আমি সত্যি সত্যি এসেছিলাম ! পঁচিশে বৈশাখে তোমার জন্য এটা আমার সারপ্রাইজ!
(তেত্রিশ বছর হল আমার। এখন জন্মদিন মানে জীবন থেকে আরো একটা বছর পার হয়ে গেল! জন্মদিনে অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই বুড়ো বয়সে লজ্জা লাগে এত শুভেচ্ছা নিতে। মনে হয় যেন বাচ্চা ছেলের হাত থেকে আইসক্রিম কেড়ে নিচ্ছি! জন্মদিন উপলক্ষে খাওয়ানো নিয়ম। উদরের খোরাক তো ব্লগে যোগানো মুশকিল, তাই মনের খোরাক যোগাতেই এই গল্পটা দিলাম। এটা ২৫শে বৈশাখ উপলক্ষে লেখা হয়েছিল সেটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারছেন। ছাপা হয়েছিল ভোরের কাগজে। বছর দুই আগে। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের সেই গল্প দিয়ে আমার জন্মদিনে আপনাদের কুছ আপ্যায়নের কাজ চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম। অন্যের বাড়ির খিচুড়ির গল্প করতে করতে নিজের বাড়ির ডালভাত খাইয়ে দেয়ার মতো। ফাঁকিবাজ লোকেরা যেরকম করে থাকে আর কি!)
মন্তব্য
কী সুন্দর গল্প !
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কি মচেৎকার দেখা গেল!!
------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এত সুন্দর গল্প লিখে বলছেন ফঁকিবাজি? এই যদি ফাঁকিবাজি হয় তবে এমন ফাঁকিবাজি চলতে থাকুক।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অতি সুন্দর গল্প! অতি সুন্দর!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনাকে সামনাসামনি পেলে হয়তো এক কাপ চা খাওয়াতাম, হয়তো বলতাম চলুন হেঁটে আসি কয়েকটা মুহূর্ত; গল্প তো মানুষকে এমনই ছোটখাট স্বপ্ন বাস্তবায়নে উৎসাহ যোগায়!
অনিশ্চিত
জন্মদিনে আপনের বয়স বাড়ে?
আমার কিন্তু বাড়ে না...
ঘোষণা দিছি... মুসলমানের এক জবান... বছর বছর জবান পাল্টাইতে পারবো না... (দেঁতোহাসি)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তেত্রিশ বছর কাটল কিন্তু কেউ কি কথা রেখেছে ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তেত্রিশেই বুড়ো বলছেন নিজেকে! মাত্র তো নবজীবন শুরু হলো আপনার!
মনের খোরাকটা ভালোই যুগিয়েছেন, এবার উদরেরটা কবে কিভাবে যোগাবেন জানায়েন। হাহাহা। সিরিয়াসলি, আপনার গল্পটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে! খুব ভালো লাগল।
অসাধারণ! অসাধারণ! প্রচন্ড ভাল লাগল গল্পে কেন যেন মনে হল একদম মিশে গিয়েছিলাম, খুবই ভাল লিখেছেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- জন্মদিনে খাওয়ানোর নিয়ম না বস, খাওয়ার নিয়ম।
গল্পটা আগুন হৈছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পটা খুব ভালো লেগেছ। আর শুরুটা ঠিক হুমায়ুন আহমেদের "লিলুয়া বাতাস"-এর মতো .... নাকি হুমায়ুন আহমেদের "লিলুয়া বাতাস" মৃদুল আহমেদের সারপ্রাইজের মতো?
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন