আমি যখন আঁতেল ছিলাম

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: রবি, ০৫/১০/২০০৮ - ২:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বহুকাল আগের কথা।
১৯৯৪ সাল। শেরশাহ্ যখনো ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন নি, তাই মানুষ তখনো মোরগের ডাক শুনেই ঘুম থেকে জেগে উঠত। তখনো খিলগাঁ ওভারব্রিজ হয় নি, বাসাবোর মানুষজন কমলাপুর স্টেশনের ভাঙ্গা দেয়াল দিয়ে ঢুকে রেললাইন পার হওয়ার কালচার বন্ধ করে সদ্য কমলাপুর ফুটওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে হাওয়া বাতাস খেতে খেতে কমলাপুরের মোড়ে এসে ৬ নম্বর বাসের জন্য অপেক্ষা করতে শিখেছে। তখনো মানুষের পকেটে চার আনার কয়েন পাওয়া যেত। কারণ কমলাপুর থেকে মতিঝিল যেতে ৬ নম্বরে ওটাই যে ভাড়া! ফার্মগেট থেকে বাংলা মটরে আসাও যেত ঐ চারআনা পয়সাতেই।
এরকম একটি সময়ে এক উনিশ বছরের আতেঁল এক যুবক একটি ডাইরিতে লিখে চলছিল কিছু লাইন। লেখক হবার স্বপ্নে বিভোর সে নিজেকে ভাবত নির্ঘাৎ সেরকম একটা কেউ… এক সময় নিশ্চয় এই লেখাগুলো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সে যেই টেবিলে বসে লিখত, এই টেবিল নিয়ে একদিন কী কাড়াকাড়িটাই না হবে, ওঃ! তার মিউজিয়ামে এসে লোকজন হা করে ক্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকবে টেবিলটার দিকে… কী সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড! ৬ টাকা দিস্তার কাগজে দুই টাকার কলমে কী আশ্চর্য সব জিনিসই না লিখেছেন ঐ ভদ্রলোক…
এরকমটাই ভাবতাম আমি… সেই ৯৪-এ…
অপোগণ্ডরা যেরকম আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখে… গরম পানিতে পরোটা ভেজে খাওয়ার মতো…
আমার এসব কুকীর্তি ভুলেই গিয়েছিলাম। এই সেদিন পুরনো বইপত্র গোছাতে গিয়ে আমার বউ পুরনো এক ডাইরি পেয়ে আমাকে দেখতে দিয়েছিল দরকারি কিছু আছে কিনা।
ডাইরির পাতা ওল্টাতেই ঝট করে ১৯৯৪ সাল এসে ঝাপটা মারল আমার মুখে… বড় শীতল সেই বাতাস, বড় উদাসী… আমার কাছে এ তো সেই বয়সেরই উপাখ্যান, যে বয়সে মানুষ নিজের জানলার ফ্রেমে পুরো আকাশটাকে এটেঁ ফেলার অসম্ভব স্বপ্ন দেখে অবলীলায় এবং জানলার কাঠ কিনতে ছোটে বাজারে…
নানা ধরনের লেখাই লিখেছিল সেই ডাইরিতে সেই আতেঁল যুবক। নিতান্ত ডেপোঁর মতো্ই। কিছু কিছু লিখেছিল একটা দুটো লাইন হিসেবে। এর কদিন বাদেই সে যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এবং তারও কিছুদিন পরই আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের “বিস্রস্ত জর্নাল” বইটা বেরোবার পর সে দেখে, সেখানে এরকম ধরনের এক দুই লাইনে কাব্যিক দার্শনিকতার লেখাই আছে। ফলে সায়ীদকে অনুসরণের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে ভয়ে এমনটা লেখাই ছেড়ে দিয়েছিল সে। কী অগ্রিম সাবধানতা!
ডাইরির পাতা ওল্টালাম। সেদিনের সেই খামখেয়ালি অকালপক্ক অর্বাচীন তরুণের জন্য মায়াই হল। কী ভুলই না ভেবেছিল সে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে… তখনো সে জানত না, স্রোত থাকলেই নদী হওয়া যায় না…
ভাবি যে, সেদিন সে যা হতে চেয়েছিল… সেটা যেমন সত্যি, আজ যে আমি এক কর্পোরেট কেরানি কিছুই হতে পারি নি, সেটাও তেমনি সত্যি… শুধু সেদিনের সেই হতে চাওয়া তরুণের মধ্যে তবু কিছু অর্বাচীন স্বকীয়তা ছিল, আর আজকের এই আমি নিছকই একজন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ফটোকপিয়ার…
যাক গে, সেই তরুণের কিছু লেখাই আজকে এখানে তুলে দিলাম। যা দায়, তা সেই তরুণের, আমার নয়। আমারে কেউ কিছু বলতে পারবেন না। একজন সম্ভ্রান্ত নাগরিক হিসেবে আমি জানি দায়স্বীকার থেকে কী করে পিছলে বের হয়ে আসতে হয়…

১২.০৩.৯৪ (রাত)
প্রতিটি ফটোগ্রাফের পেছনেই একজন করে আত্মত্যাগী থাকে। সে আত্মত্যাগীটি হচ্ছে ফটোগ্রাফার নিজে।

১৫.০৩.৯৪ (সকাল)
সুখ যখন অতিথি হয়ে দরজায় এসে দাঁড়ায়, তখন তার কাঁধে তাকে এক বিরাট ঝোলাভর্তি দুঃখ! এটা যে জানে না, জীবন তাকে প্রতি পদে পদে তা জানিয়ে দেয়, তবু সে সেটা বুঝতে চায় না।

২১.০৩.৯৪ (সন্ধ্যা)
কোনো মহত্বের স্বীকৃতিমূলক অনুভূতিই হচ্ছে শ্রদ্ধা।

২৪.০৩.৯৪ (রাত)
সারাদিন অফুরন্ত হাসির পর তোমার গাল ব্যথা হয়ে এল, দেহ এল শ্রান্ত হয়ে। কিন্তু চেয়ে দেখ, এখনো হাস্যোচ্ছ্বল অক্লান্ত তোমার হৃদয়—তোমার দেহ আর হৃদয়ের পার্থক্য তো এখানেই!

২৯.০৩.৯৪ (বিকেল)
সুখ আছে, নইলে যে বাঁচতাম না! দুঃখও আছে, নইলে যে এগোতাম না!

১৫.০৪.৯৪ (রাত)
দেহ কাটলে রক্ত পড়ে, হৃদয় কাটলে পড়ে চোখের জল।

০৩.০৫.৯৪ (রাত)
পৃথিবীতে ভালোবাসা না পেয়ে হয়ত বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু ভালো না বেসে বোধকরি বেঁচে থাকা যায় না।

০১.১০.৯৪ (রাত)
ঘনিষ্ঠ হবার সময় আমরা পরস্পরের গুণগুলো জানার আগে দোষগুলো জেনে ফেলি।

১৭.০২.৯৫
একজন মানুষের স্বাতন্ত্র্য বিকাশ ও বিস্তারের পথে আর প্রত্যেকটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে বাধাস্বরূপ।

২৬.০২.৯৫ (সকাল)
বড় দুঃখ পাবার জন্য বড় কারণের দরকার হয় না।

২৯.০২.৯৫ (শেষ দুপুর)
রবীন্দ্রনাথ বড় কবি—একথা সবাই জানে, কিন্তু অনুভব করেছে কয়জন?

০৭.০৬.৯৫ (দুপুর)
সৎ হওয়াই সার্থকতা নয়, সুন্দর হওয়াই সার্থকতা।

২৬.০৬.৯৫ (সন্ধে)
মানুষের ভেতরে কীটপ্রবণতা কী সাঙ্ঘাতিক! ফুলের আভাস পেলে, মধুর গন্ধ পেলে সে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারায়—বুদ্ধি-বিবেচনা-দূরদর্শিতা সবই হারিয়ে ফেলে। তার ওপর এসে ভর করে তীব্র ভালোবাসা।

১৮.০৭.৯৫ (দুপুর)
প্রগাঢ় অনুতাপই মানুষকে মহত্বের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। নিশ্চয় পৃথিবীর ইতিহাসে আজ অব্দি জন্মগ্রহণ করা প্রতিটি মহৎ মানুষের প্রত্যেকর জীবনে অন্তত একটি গুরুতর পাপ রয়েছে।

১৯.০৭.৯৫ (রাত)
প্রেম, ভালোবাসা, মায়া, মমতা কোনোকিছুই স্বাধীনতার অভাবকে পূরণ করতে পারে না।

২৩.০৭.৯৫ (রাত)
যুদ্ধে জয়লাভ করাটা বড় কথা নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সাহস না হারানোটাই বড় কথা।

০৭.০১.৯৬ (দুপুর)
পৃথিবীতে আজ অব্দি জন্ম নেয়া প্রতিটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে আস্তিক।

১৭.১০.৯৬ (রাত)
অতীতের সার্থকতা অভিজ্ঞতায়, বর্তমানের সার্থকতা কাজে, ভবিষ্যতের সার্থকতা প্রত্যাশায়।

আরো আছে… লেখাটি লম্বা হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে আর দিলাম না। ২০০৮-এর সচলদের আগ্রহ থেকেই জানা যাবে ৯৪-এর সেই ছোকরাকে আর জায়গা দেয়া ঠিক হবে কিনা…


মন্তব্য

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

" তখনো সে জানত না, স্রোত থাকলেই নদী হওয়া যায় না… "

এই কথাটা খুব ভাল লাগল, মনে থাকবে কথাটা। অকপট বিনয়ী স্বীকারক্তি ... পড়তে ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল।

ধূসর মানব  [অতিথি] এর ছবি

যা দায়, তা সেই তরুণের, আমার নয়।

সেই ছোকরাকে আর জায়গা দেয়া ঠিক হবে কিনা

পোলাটারে চালায় যাইতে কইয়েন। মাইন্ড কেউ করব না মনে হয়।

আমি তো করুমই না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই লেখাগুলা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হচ্ছে মরনিং শোজ দ্য ডে। এগুলোকে মৃদুল বাণী বলা যেতে পারে।

আপনার তো মহাপুরুষ হবার সমূহ সম্ভাবনা!

আলোর ছটা [অতিথি] এর ছবি

প্রতিটি ফটোগ্রাফের পেছনেই একজন করে আত্মত্যাগী থাকে। সে আত্মত্যাগীটি হচ্ছে ফটোগ্রাফার নিজে।

অগভীর বাক্যের গভীরতা দেখে মুগ্ধ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঊনিশ বছর বয়েসী তরুণটিকে বেশ ভাল লাগলো। তার সাথে বার বার দেখা হোক, এটাই চাই।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

২০০৮-এর সচলদের আগ্রহ থেকেই জানা যাবে ৯৪-এর সেই ছোকরাকে আর জায়গা দেয়া ঠিক হবে কিনা…..................... অবশ্যই জায়গা দেয়া ঠিক হবে । সেই ঊনিশ বছরের তরুণটির আর লেখা চাই ।
নিবিড়

স্বপ্নাহত বালক এর ছবি

সুখ যখন অতিথি হয়ে দরজায় এসে দাঁড়ায়, তখন তার কাঁধে তাকে এক বিরাট ঝোলাভর্তি দুঃখ! এটা যে জানে না, জীবন তাকে প্রতি পদে পদে তা জানিয়ে দেয়, তবু সে সেটা বুঝতে চায় না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মহান দার্শনিক মঁসিয়ে মৃদুলাত্রঁ
অভাজন নবীশের অভিনন্দন গ্রহণ করুন

আপনি নিশ্চয় একমত পোষণ করবেন যে দর্শনের বিস্ময়কর পারিমাণ্ডলিক অনুপপত্তিগুলোর অন্যতম হলো মহাবিশ্বের দূরপ্রান্তে পরস্পর দৃশ্যমান সম্পর্কহীনতার মাঝে সম চিন্তার উদ্ভব ও বিকাশ

পরম শ্রদ্ধের অস্তিবাদী দার্শনীকদের কেউ কেউ এর আড়ালে এক পরম মন কিংবা পরম সত্তার অসিত্বের ইঙ্গিত লক্ষ্ করেছেন আবার নাস্তিবাদী দর্শনকূল শীরোমণিরা এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন আকস্মিকতার সম্ভাবনা

এই বিষয়ে আমাদের মতো প্রজ্ঞাবাদীদের অবস্থান সুচারু রূপের পরিস্কার না হলেও এই কথা অনস্বীকার্য যে দুই মানুষের পক্ষে একই চিন্তা ও একই আচরণ করা সম্ভব পরস্পর বিচ্ছিন্ন থেকেও

০২

এই ভণিতার মূল উদ্দেশ্য এটাই প্রতীয়মান করা যে এই অধমের সূচনাকালীন (আঁতেল যুগ) কিছু চিন্তা ও কাজ মঁসিয়ের সাথে সাযুয্যপূর্ণ

যা সময়ের দিক থেকে আপনার দর্শন চিন্তার সময়ের সমসাময়িক...

স্নিগ্ধা এর ছবি

"আমি যখন আঁতেল ছিলাম" ?! ঠিকাছে, মৃদুল, আর ভণিতা না করে যা যা আমাদের পড়ানোর ইচ্ছা, এক এক করে পোস্ট করতে থাকা হউক। কথা দিচ্ছি আমরা মন দিয়ে পড়বো, আর আমি অন্ততঃ বুঝি না বুঝি ভালো ভালো মন্তব্য করবো। এই যেমন -

বাহ্‌, কি চমৎকার উপলব্ধি, কি গভীর আত্মদর্শন, কি ...... হাসি

তবে একটা দুঃখ, ঊনিশেই এত জ্ঞান হয়ে গিয়ে থাকলে ঊনচল্লিশের জন্য তো কিছুই আর বাকি থাকলো না!

সবজান্তা এর ছবি

ভালো লাগলো। কিছু কিছু বানী চিরন্তনী হয়তো উনিশ বছর বয়সের চিন্তার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। তবে কিছু কিছু বানী রীতিমত চমৎকার।

প্রতিটি ফটোগ্রাফের পেছনেই একজন করে আত্মত্যাগী থাকে। সে আত্মত্যাগীটি হচ্ছে ফটোগ্রাফার নিজে।

মানুষের ভেতরে কীটপ্রবণতা কী সাঙ্ঘাতিক! ফুলের আভাস পেলে, মধুর গন্ধ পেলে সে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারায়—বুদ্ধি-বিবেচনা-দূরদর্শিতা সবই হারিয়ে ফেলে। তার ওপর এসে ভর করে তীব্র

বড় দুঃখ পাবার জন্য বড় কারণের দরকার হয় না।

আরো কিছু তুলে দিতেই পারেন। হয়তো আপনাকে সচলের ডেল কার্নেগী উপাধি দিতে পারি আমরা হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

'মৃদুল বচন'.........

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ঢাকার বাইরে যাচ্ছি পুজো উদযাপন করতে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরব, আরতিনৃত্য করব... আর আধা ঘণ্টাটাকের মধ্যেই বেরিয়ে পড়ছি সেই শেরপুরের উদ্দেশে, ঘুরে আসব গজনিও!
আলাদা করে আর উত্তর দেয়া হল না বলে আফসোস লাগছে। সবাইকে ঢালাও ধন্যবাদ জানিয়ে যাচ্ছি মন্তব্যের জন্য। আবার আঁতলামি মার্কা পোস্ট দিলে জমিয়ে আলাপ হবে ক্ষণ...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

আঁতলামীর সীমা থাকাটা ভালো নয় (বর্তমান এই বাজারে), সুতরাং আরো আঁতলামীর অপেক্ষায় থাকলাম

খেকশিয়াল এর ছবি

সবচেয়ে ভাল লাগল এইটা

মানুষের ভেতরে কীটপ্রবণতা কী সাঙ্ঘাতিক! ফুলের আভাস পেলে, মধুর গন্ধ পেলে সে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারায়—বুদ্ধি-বিবেচনা-দূরদর্শিতা সবই হারিয়ে ফেলে। তার ওপর এসে ভর করে তীব্র ভালোবাসা

পেন্নাম হই মৃদুলদা, পূজায় পুরান ঢাকায় থাকলে জায়গায় দাড়ায়া আওয়াজ দিয়েন

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সর্ব কালে, সর্ব দেশে, মনিষীদের ভাবনা একই রকম। দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাফি এর ছবি

মৃদুল ভাই আরো চাই....

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।