ছোট্ট এক টুকরো বারান্দা। তাও উত্তরদিকে।
আলো আসে না, বাতাস আসে না। মাঝেমধ্যে ভ্যাপসা গন্ধ পাওয়া যায় ওপরতলা থেকে ফেলা বাসি খাবারের, ময়লার। আর সামনের বিল্ডিংটা দানবের মতো ঘিরে রাখে অন্ধকার দিয়ে।
তারপরও একটা বারান্দা। আর সেখানে বসে দু-বিল্ডিংয়ের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে আকাশও দেখা যায়।
ঐটুকুই পাওয়া।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে চাপা একটা অজানা মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসে। ভারী রহস্যময় সেই গন্ধ। হয়ত আশপাশের বাড়িরই কোনো মেয়ের ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাখা সাধারণ কোনো প্রসাধনীর। কিন্তু মন তা মানতে চায় না। ভাবতে ভালো লাগে, এ গন্ধ অন্য কারো, অন্য কোনো গ্রহের। কোনো এক অদেখা পৃথিবীর হাতছানি লুকোচুরি খেলে তাতে।
শরাফত নামের তরুণটি তাই অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকে এখানে।
সস্তার সিগারেট ফোঁকে, একটু কাশে, পিঠ চুলকায়, লুঙ্গির ঢিলে হয়ে আসা গিঁট ঝাড়া দিয়ে টাইট দেয়। আর কিছু না। কিন্তু ভালো লাগে তার, ভারী ভালো লাগে। নিজের জগত একটা। ছোট্ট, এলেবেলে, চুপচাপ। কিন্তু এই জগতটা তার, একদম তার।
সাবলেটে ভাগে পাওয়া গুদামঘরের মতো ছোট্ট এই বারান্দা তাকে সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখে। ঘিরে থাকে।
...অফিসের সুপারভাইজার বলেছে, এই অফিস একটা খানকির পোলা আছে, কাজকাম পারে না, চেহারা চোদাইতে আসে...
শরাফত সিগারেটে সুখটান দেয়। ফস করে ধোঁয়া ছাড়ে।
...লোকমান তিনদিন অফিসে খোঁজ করতে এসেছিল। সাতশো টাকা পায়। শরাফত চামেচিকনে লুকিয়ে ছিল। এই টাকা আগামি এক বছরেও দেয়া সম্ভব না। তবে একবার ধরতে পারলে কিন্তু ভালো ডলা দেবে। গুণ্ডা টাইপের ছেলে।
শরাফত চটাস করে মশা মারে। কোমরে লুঙ্গির কেটে বসা জায়গায় আদরের আঙ্গুল বোলায়।
...আম্মা লিখেছে, ফাহিমার বিবাহের পাত্র খুঁজিতেছি... অনেকেই আসে, কিন্তু ঐ সর্বনাশের ঘটনার খবর কেউ না কেউ তাহাদের নিকট ভাঙচি দেয়... হারামজাদি মরিলেই ভালো ছিল...
শরাফত মাথাটা সামনে বাড়িয়ে ওপরে উঁকি দেয়। এক চিলতে আকাশে নিষ্প্রভ তারাগুলো মিটমিট করে। ঘন নীল আর কালোতে মিশে আকাশে সে এক অদ্ভুত রঙ।
...মহিউদ্দিনের বউয়ের হাঁপানির টান আছে। পাশের ঘরে শুয়ে সেই হাঁপানিরোগী বউয়ের কাপড় খুলতে খুলতে মহিউদ্দিন গলা উঁচিয়ে বলে, বাড়িঅলা হারামজাদাটা আইছিল, সামনের মাস থিকা ভাড়া বাড়াইতে কয়... দেহ ভাইবা, এই বাড়িতেই থাকবা না দুই ভাইয়ে মিল্যা নতুন একটা খুঁজুম!
শরাফত শ্বাস টেনে গভীর রাতের সেই মিষ্টি গন্ধ ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করে। রহস্যময় সেই পৃথিবীর কথা ভাবে।
কুমিল্লার এক গণ্ডগ্রামে একসময় সে বাঁচত বিশাল আকাশের নিচে। এখন এই বারান্দাতেই সে বেঁচে থাকে।
সবগুলো দিন একইরকম। একই রঙের। দাঁতের ব্রাশের মতো। পুরনো জুতোর ভেতরে আঙ্গুলের খাপে বসার অনুভূতির মতো। টঙ দোকানের দাগ ধরা কাপের মতো।
তারপরও একেকটা দিন হঠাত্ই রঙ বদলায়। কোনো আভাস না দিয়েই। সাড়াশব্দ না করে।
ভৌতিক অপচ্ছায়ার মতো একদিন একটি মেয়ে এসে দাঁড়ায় শরাফতের চোখের সামনে। তার সামনের বিল্ডিংয়ের এক চিলতে বারান্দায়। একই সমান্তরালে।
এই তো সেদিনের মতোই ঝিমিয়ে পড়া রাতে বসে বসে সিগারেট টানছিল সে। ধোঁয়ায় ঢেকে দিচ্ছিল রাতের অন্ধকার। পাশের ঘর থেকে মহিউদ্দিনের বউটার হাঁপানির আওয়াজ ভেসে আসছিল। এর ভেতরেই চুড়ির রিনকি ঝিনকি শব্দ কানে বাজল।
চোখ তুলেই সে বিস্ময়ে জমে গেল একদম। দুটো চোখ তাকিয়ে আছে তার দিকে। ফুঁ দিয়ে ধোঁয়া পরিষ্কার করল সে। পরিচ্ছন্ন অন্ধকারে দেখা গেল সত্যিই দুটো চোখ। কিন্তু এবার তাকিয়ে আছে নিচের দিকে। শরাফতের সিগারেটের ডগায় ছাই জমল, ঠোঁটের নিচে জমল ঘাম। আরেকবার চুড়ির ঝনাতকার তুলেই হারিয়ে গেল মেয়েটি। অন্ধকারের ভেতরই কোনো এক দরজা দিয়ে।
হয়ত সে এসেছিল কোনো এক রহস্যময় পৃথিবী থেকে। আর আসবে না। এরকমই ভেবেছিল সে।
কিন্তু মেয়েটি আসে। রাত গভীর হলে। অন্ধকারেরই ভেতর কোনো একটা দরজা খুলে।
তাকায়। হাসে। চুড়ির আওয়াজ তোলে। তারপর একদিন একটা দুটো কথাও বলে। শরাফত বুক ভরে নেয় রাতের সেই রহস্যময় মিষ্টি গন্ধ। রাতভর অদ্ভুত সব খাপছাড়া স্বপ্ন দেখে।
মেয়েটি নিজের কোনো কথা বলে না। শুধু শরাফতের গল্প শোনে। গ্রামের গল্প। অফিসের সুপারভাইজারের গল্প। লোকমানের সাতশো টাকা ধারের গল্প। বখে যাওয়া সুন্দরী বোন ফাহিমার পেট খসাবার হরেক ঝামেলার গল্প।
শরাফত তার এই উত্তরবারান্দাপৃথিবীর দেবীর কাছে সমস্ত গল্প উজাড় করে একে একে। যেভাবে ভক্ত তার কষ্টের কথা বলে দেবীর কাছ থেকে বরাভয় আর পরিত্রাণ চায়।
তার বারান্দার চেহারা আস্তে আস্তে পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। লুঙ্গি-গেঞ্জির বদলে নিয়মিত অফিসের সার্ট-প্যান্টে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। বাজারের প্রতিশ্রুতিবহুল কোনো ক্রিম ছাড়াই তার চেহারার পরতে পরতে বাড়তে থাকে উজ্জ্বলতা।
গল্প চলতেই থাকে। রাতের পর রাত। প্রহরের পর প্রহর।
একজন বক্তা আরেকজন শ্রোতা। ঘুমগুলো সব বাষ্প হয়ে উড়ে যায় আর মরুভূমির উটের মতো কড়কড়ে চোখেরা তাকিয়ে থাকে একে অপরের দিকে।
আর তারপর...
মেয়েটি আবার হারিয়ে যায়। যেভাবে আচমকা এসেছিল, সেরকমই। অন্ধকারের সেই আশ্চর্য দরজা আর খুলে যায় না। আর কেউ আসে না।
না সেই মেয়েটি, না কোনো খবর।
শরাফত বিড়বিড় করে। রাত জাগে। সিগারেট ধরায় একের পর এক। অপেক্ষা করে।
চুড়ির আওয়াজ আর বাজে না। কোনো চোখ আর তাকায় না। গ্রিল ধরে দাঁড়ায় না সরু কিছু আঙ্গুল।
শরাফত অপেক্ষা করে। অসহ্য লাগলে আবার অপেক্ষা করে। এরপর আবার।
সবগুলো অপেক্ষা শেষ হলে একদিন সে গিয়ে দাঁড়ায় সামনের সেই বারান্দার ফ্ল্যাটের দরজার সামনে। টোকা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বুরবকের মতো। উত্তেজনায় কাঁপে।
দরজা খুলে দেয় অপ্রস্তুত এক কিশোরী। চোখে বিরক্তি। আর প্রশ্ন।
শরাফত গল্প বানায়। তার এক বোন আছে এদিকেই। সে খুঁজতে এসেছে। বিবরণ দেয় সেই মেয়েটির। কিশোরী অবাক চোখে জানায়, এরকম কেউই এখানে নেই। পাশের ফ্ল্যাটে খোঁজ নিতে বলে। কিশোরীর মায়ের ক্রুদ্ধ চোখ উঁকি দেয় পেছনে। বয়স্ক বাবার গলার আওয়াজ পাওয়া যায়। কিশোরী অদ্ভুত চোখে তাকায়। যেন পাগল দেখে।
শরাফত ফিরে আসে।
মেয়েটি হয়ত আসে নি। সে কল্পনা করেছিল। অথবা এসেছিল। অন্য এক পৃথিবী থেকে। আর আসবে না। অথবা আসবে, অন্ধকারের সেই আশ্চর্য দরজা খুলে।
যেকোনো একটা কিছু ঘটবে। যেকোনো একটা।
শরাফত অপেক্ষা করে। গল্প জমিয়ে রাখে। একলা একলা বিড়বিড় করে সেইসব গল্প শোনায় নিজেকে। ঝালিয়ে রাখে। পরে যেন কোনো গল্প বাদ না পড়ে।
আর বুক ভরে সেই গভীর রাতের মিষ্টি বাতাস টানে। রহস্যের গন্ধভরা বাতাসে ভরে যায় তার ক্লান্ত দুই ফুসফুস।
সামনের ফ্ল্যাটের কিশোরী মাহিন বিষণ্ন গলায় বলে, কেন এরকম করলি বল তো আপা? লোকটা বড় কষ্ট পেল!
মাহিনের বড় বোন জামার নকশায় অযথাই নখ খুঁটে। চোখ তুলে আবার নামিয়ে নেয়। কান্না লুকায়। বলে, কী লাভ হত লোকটার... আমাদের এই চরম অভাবের সংসার... আব্বা বিছানা নেয়ার পর তো আমার চাকরিটাই ভরসা... লোকটা শুধু শুধু কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে এসে পড়ত.... এর চেয়ে এই ভালো...
--কোনটা ভালো?
মেয়েটি চোখ মোছে। বলে, লোকটা বরং স্বপ্ন নিয়ে বাঁচুক!
মন্তব্য
অন্য রকম একটা গল্প । লেখার ভিতরে কেমন জানি একটা ঝিম ধরিয়ে দিল । পাঁচ তারা দেবার ক্ষমতা থাকলে আমি তাই দিতাম মৃদুল ভাই ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পাঁচ তারা দেয়ার দরকার নেই। ঐ যে আপনার ভেতরে কেমন যেন একটা ঝিম ধরে গিয়েছে না... ঐখানেই আমার আসল পাঁচ তারা! ভালো থাকুন।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল ভাই, এই উদ্ধৃত অংশটা বেশতি। ফুসফুস পর্যন্ত এসে গল্প শেষ করে দিয়েছি আমি। বেশতি অংশ আর পড়বো না আমি। গল্পের ভর কমে যায়...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হা হা হা। আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি ঐটুকুই পড়ুন।
তবে আমার ব্যাখ্যাটা হচ্ছে, নন্দনতত্ত্বের খাতিরে অসমাপ্ত দার্শনিকতায় গল্প ফুরোনো কি উচিত? গল্পের একটি গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত পরিণতিও তো চাই! তাছাড়া, শেষ ঐ অংশটুকুর মধ্যে একটা টুইস্টও দেয়ার চেষ্টা করেছি...
তবে আপনি পড়ার সময় ওটুক বাদ দিয়েই পড়ুন...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আরেকটা মন্তব্য তখন করা হয় নি! গল্পটিতে দুর্দান্ত কাব্যময়তা ! ক্লাসিক ছুঁই ছুঁই করছে ! ছুঁয়ে দিয়েছে বললে আবার আপনি কি জানি ফুলে ফেঁপে ফেটে যান !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভয় নেই। রকমারি খাবার খেয়ে খেয়ে এমনিতেই আমি যে পরিমাণ ফুলছি, এর পর আর ফোলার সাহস নেই আমার...
আর এইভাবে ক্ল্যাসিক ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে খেলতেই একদিন নিশ্চয় আমরাও...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সারছে! গুলি দেখি অফুরন্ত!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল ভাই গল্পটা পড়ে একটা ঘোরের ভেতর ঢুকে গেলাম!
অকেন দিন পর এত সুন্দর একটা গল্প পড়লাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
উদ্ধৃতি :
অকেন দিন পর এত সুন্দর একটা গল্প পড়লাম!
তোমাকে "অকেন" ধন্যবাদ!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ইশশিরে তাড়াহুরো করতে গিয়ে ভুল হয়ে যায় খালি।
কয়েকদিন আগে একজনকে শুভ কামনা জানাতে গিয়ে 'শুভ কামান' দিয়া দিছি।
এখন দেখি অনেকেই উহা অনেককে দিচ্ছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ব্যাপার্না! শুভেচ্ছার ডায়লগ মারতে কামান দাগা!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অনেক দিন আগে রমাপদ চৌধুরীর "স্ত্রৈণ" নামের একটা গল্প পড়ে তাঁর ভক্ত হয়েছিলাম। অনেক দিন মাথার ভেতর "স্ত্রৈণ" ভর করে ছিল। তারপর তাঁর লেখা অখাদ্য উপন্যাস পড়ে মাথা থেকে রমাপদ চৌধুরীর ভুত নেমে গিয়েছিল। তারপরও "স্ত্রৈণ" অসাধারণ।
মৃদুল আহমেদ কে কবি-ছড়াকার হিসেবেই জানতাম। আজ তাঁর গল্পকার পরিচয়ও পেলাম। "স্ত্রৈণ"র সাথে আপনার লেখা "উত্তরবারান্দা পৃথিবী"র কোন মিল নেই, তবু পড়ে আবার "স্ত্রৈণ"র কথাই মনে হল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আচ্ছা, ছবিটা কার?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রমাপদ'র "বীজ" উপন্যাসটা পড়েছেন? যেটা থেকে "একদিন অচানক" ছবিটা বানানো হয়েছিল? সেটা পড়লে আবার নতুন করে ভূত চাপতে পারে...
"স্ত্রৈণ" পড়ি নি। পড়ব তো!
ছবিটা নেট থেকে নামানো। আমার কৈশোরের ছবি অবশ্যই নয়...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ছবিটা কার? গলপের সাথে মানাইছে ভালোই। তবে লুঙ্গি নাকি প্যানট বুঝতে পারতাছি না।
(ওনিন)
ওটা প্যাঙ্গি! লুঙ্গির মাঝখান দিয়ে সেলাই করে বানানো প্যান্ট!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অসাধারণ গল্প, মৃদুল। কাল রাতে দেখা হল, তখন তো বুঝিনি এমন দুর্দান্ত একটা গল্প আপনার পেটে আছে!
তারা দিয়ে মাপা যাবে না এটা। তবুও তারা দিলাম সবগুলোই।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
দ্যাখেন, নান্না মিয়ার চিকেন বিরিয়ানি খেতে চাইছিলাম বলে আমার ভুঁড়ো পেটটা নিয়ে কত কথা বললেন... এই পেটের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল গল্পটা!
এখন বিরিয়ানি কবে খাওয়াবেন বলুন?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বাহ্, বাহ্, বাহ্, মৃদুল!!!! এত্তদিন দেশে ছিলাম, কই আমাকে তো একবারও নান্না মিয়ার চিকেন বিরিয়ানী খাওয়ানোর কোন উদ্যোগ দেখলাম না! খালি নিজে খাওয়ার ধান্দা!!!
তুমি যখন বাংলাদেশে এসেছিলে, তখন তোমার খাওয়ার বহর দেখে মুরগিরা সবাই পালিয়ে গিয়েছিল... কেএফসির ব্যবসা বন্ধ ছিল ঐ এক মাস! আর চিকেন বিরিয়ানির ব্যবসা লোপাট হওয়ার অবস্থা দেখে নান্না মিয়ার কান্না যদি একবার দেখতে...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অসাধারণ একটা গল্প!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ততটা হয় নাই, যতটা চাইছিলাম! আছুইন কেমন?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সচলায়তনে দিনে না হলেও বিশবার করে ঢু মারি। লেখা পড়ে চুপচাপ আবার চলে যাই। কিছু বলা হয়ে উঠে না, তবে এই লেখাটা পড়ে বলতে চাই --- অসাধারান...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ধন্যবাদ ফাহিম!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কেমন লেগেছে বলতে পারছি না... এখন ও ঘোরের ভেতর আছি....
(জয়িতা)
আমিও...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল, চমৎকার একটা গল্প!! আসলেই! তবে, আমি রণদীপম বসুর সাথে আংশিক সহমত, শেষের ঐ প্যারাটা যদি থাকতেই হয়, অন্তত আরেকটু সংক্ষেপে লেখা হলে মনে হয় ভালো হতো। প্রথম থেকে লেখার ভঙ্গিমা যে আবহ তৈরী করে,ঐ অংশটুকুতে এসে সেটা খানিকটা হোঁচট খেয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
তবে আমার এই মাতব্বরি এটা ভেবে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা যেতে পারে - "হুহ, খালি বড় বড় কথাই, জীবনে লিখতে পারবে আমার মতো একটা গল্প?"
আচ্ছা, আমি ভাবব ব্যাপারটা নিয়ে। একটু সময় যাক। একটু দূরে গিয়ে আবার ফিরে তাকাব গল্পটার দিকে।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল, সবজান্তাকে দেয়া তোমার উত্তর পড়ে মনে হলো আমার মন্তব্যটা আরো পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করা উচিত। আমার কিন্তু শেষ প্যারার 'বিষয়' বা 'ঘটনা' নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। এই ধাক্কা (আমার বর্ণিত 'হোঁচট' নয় কিন্তু) বরং গল্পটাকে আরো শক্ত করেছে।
আমার বক্তব্য ছিলো শেষ প্যারার ভঙ্গি নিয়ে। পুরো গল্পটা ছোট ছোট, কিন্তু খুব শক্তিশালী এবং রেশ রেখে যাওয়া বাক্য দিয়ে তৈরী। কিন্তু, শেষ প্যারায় দু'বোনের সংলাপ আমার কাছে কিছুটা দীর্ঘ এবং সরলরৈখিক মনে হয়েছে। সেটাই আমি আগের আবহটার ধারায় একটা হোঁচট বলতে চেয়েছি।
নিঃসংশয়ে, নির্দ্বিধায় (এমনকি নির্ভিক চিত্তেও) আমার সমালোচনা/মন্তব্য/মাতব্বরি উপেক্ষা করতে পারো।
আগেই তো বললাম - জীবনে এরকম কিছু কি বোর্ড দিয়ে বেরুবে না তো, তাই তোমার লেখায় খামোখা বড় বড় কথা বলি
আরেকটা কথা, কোত্থাও যে মেয়েটার কোন বর্ণনা নেই এই ব্যাপারটা অসম্ভব ভালো লেগেছে!! একদম অন্যমাত্রার এটা! আর "টুথব্রাশের মতো" এই উপমাটার কথা আর কি বলবো ...... !
আশা করি এতোজনের দারুণ সব মন্তব্যে তুমি বুঝতে পেরেছো, কি ভয়ংকর ভালো তুমি লেখো!
(আর, ইয়ে, আমিও না সিঙ্গারা খাই, খুব বালাই খাই )
এখন অনেক চেঞ্জ হয়েছে। দেখ তো ভালো লাগে কিনা!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
০১
মৃদুলদা', লেখালেখিতে লেখকের ইচ্ছাই শেষ কথা। তবু সে'টাকেও অতিক্রম করে, আমিও আসলে রণদীপমদা'র সাথে একমত। গল্পটার এই রহস্যঘেরা অংশটা রেখে দিয়ে অন্য কোন সমাপ্তি আমার মত পাঠকের বিস্ময়, ভালো লাগাকে অসীমে নিয়ে যেত।
০২
সবচেয়ে বাজে কাজ অর্থাৎ সমালোচনা শেষ করার পর, এবার আসল প্রসঙ্গে আসা যাক।
কীভাবে এত চমৎকার ভাবে লিখতে পারেন ? কোন চটকদার কাহিনী না, একজন সামান্য লোকের প্রতিদিনের জীবনকে কী অসামান্য ভাষার সুতোয় বেঁধেছেন !
অংশটা পড়লাম অনেকবার। নাহ ! এত চমৎকার লেখা পড়ি না অনেকদিন ! গল্প লেখার এই ক্ষমতা আপনার সহজাত।
০৩
সচলায়তনের এই এক সমস্যা। মানুষ এত চমৎকার করে লিখে যে লজ্জায় নিজের লেখার ইচ্ছা পুরো উবে যায়। যেমন আপনার এই গল্প পড়ার পর নিজে এর আগে গল্প নামে যা কিছু ছাইপাশ লিখেছি, তা নিয়ে বেজায় লজ্জিত বোধ করছি। যাই হোক, আসল কথা হল, এত চমৎকার একটা গল্পের জন্য আপনাকে এরপর যে দিন দেখা হবে, সিঙ্গারা খাওয়ানোর মনস্থির করলাম।
অবশ্য এর আগে আমার এক মন্তব্যে আপনি বলেছিলেন আমাকে একদিন সিঙ্গারা খাওয়াবেন। কাজেই এ সিঙ্গারা সে সিঙ্গারা কাটাকাটি !
০৪
আবার এমন একটা লেখা কবে লিখবেন ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১.
কিছুদিন সময় যাক। গল্পটার ভেতরে তো এখনো ঢুকে আছি, একটু দূরত্ব তৈরি হলে তখন বিচার করা আমার জন্য সহজ হবে। তবে এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে, শেষ প্যারার আগে একটা স্পেস দিয়ে নিলে ভালো হত। একটা ধাক্কা খাওয়ার জন্য পাঠকের ব্রিদিং স্পেস তৈরি করা। তবে শরাফতের এই অপেক্ষার যন্ত্রণা দিয়ে শেষ করলে একটা রোমান্টিক ধাঁচের গল্প হয়ে যেত, যেটা আমি চাই নি। দুটি সমান্তরাল অবস্থানের তরুণ-তরুণী পরস্পরকে ভালোবাসল, কিন্তু একত্র হতে পারল না মেয়েটির জীবনচেতনার জন্য। মেয়েটি বুঝেছিল, ঝামেলা ভরা এই দুই জীবন একত্র হলে ঝামেলা আরো বাড়বে, কমবে না! উত্তরবারান্দাপৃথিবীর দেবী শরাফতের কাছে মহিউদ্দিনের বউয়ের মতোই একটা সাধারণ চরিত্র হয়ে উঠলে তার বেঁচে থাকার এই ছোট জগতটা ভেঙ্গেচুরে যেত... শেষ অবলম্বনটাও শেষ হয়ে যেত! এর চেয়ে একটা তৃষ্ণার্ত অপেক্ষায় ভরা যে জীবন আছে, সেটাও ভালো!
একবার ভাবুন তো, একটা মানুষকে অনেক ভালোবাসছেন, কিন্তু বুঝতে পারছেন কখনো এক হওয়া যাবে না, অপেক্ষা আর স্বপ্ন দেখার জীবনটা শেষ হয়ে আচমকাই একটা নিরেট পাথরের মতো জীবন জন্ম নেবে... চুপচাপ ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে মানুষটাকে... কিন্তু তারপর্ও চাইছেন লোকটা যেন ভালো থাকে...
মেয়েটির সেই আকুতি আর যন্ত্রণাটাকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি। এই মেয়েটি আসলে শরাফতেরই একটি নারী সংস্করণ।
২.
একটা জিনিস খুব চাই, যেটা গল্পের বিষয় সেটা নয়, যেটাকে গল্প বলে ভাবেই না কেউ, সেটার ভেতর থেকে গল্প বের করে আনতে। ফটোগ্রাফার যেমন যে কোনো সাধারণ একটা দৃশ্যকে এমনভাবে ছবিতে ধরে যে, সেটা তখন একটা কাহিনী হয়ে ওঠে। ওটাতে মজা বেশি না?
৩.
সিঙ্গারা আমিই আপনাকে খাওয়াব। আমি যেই অফিসেই যাই, দারুণ স্বাদের ছোট ছোট সিঙ্গারারা আমাকে ফলো করে। আগের অফিসের কাছেও দারুণ সিঙ্গারার আখড়া ছিল, এখনকার অফিসের পাশেও আছে একটা!
৪.
শিগগিরি!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ভীষন ঝিম ধরানো।
এত ঝিম না ধরাই ভালো... পরে পুলিশ এসে আমাকে ধরবে, ব্যাটা ফেনসিডিলের ব্যবসা কর?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
শেষাংশ নিয়ে কয়েকজনের আপত্তির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ না করে পারছি না। আমার তো মনে হলো, শেষ প্যারাটিই গল্পটির প্রাণ। "তৈরি হওয়া আবহে" (স্নিগ্ধার ব্যবহৃত শব্দাবলী) হোঁচট দেয়াটাই গল্পকারের লক্ষ্য ছিলো বলে বোধ করি।
দুর্দান্ত, দুর্ধর্ষ গল্প।
পুনশ্চ. "সস্তা কোনো প্রসাধনীর" - এখানে "সস্তা" শব্দটির প্রতিশব্দ ব্যবহার করার চিন্তা করে দেখতে পারেন। কারণ "সস্তা প্রসাধনী" শব্দবন্ধটি ভয়াবহরকমের ক্লিশে।
লিখতে না পারি, তবে সমালোচনায় অক্লান্ত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ। শেষ প্যারাতে আসলেই একটি হোঁচট দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনার সমর্থনই আমার পাথেয়।
"সস্তা" শব্দ বদলে দিচ্ছি।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
পড়া শেষ করে ভাবলাম- "দূর্দান্ত" কমেন্ট করবো।
দেখি, সন্ন্যাসী'জি বলে ফেলেছেন। আমি তার বাকী কথা আবার উচ্চারণ করছি।
অসাধারণ!!!
শিমুল ভাই.... লেখা তো এখনো পাঠাতে পারলাম না... !
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ই-বুকে আপনার লেখা পেলে খুবই খুশি হবো, এটা পাঠক হিসেবে আমার চাওয়া। আরও ২ দিন সময় আছে। সময় করে দেখুন না, একবার...।
দেখছি। হাতে খানিকটা সময় মিলেছে। আশা করছি পারব...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো। বিশেষণ খুঁজতে গিয়ে মনমতো পাচ্ছি না বলে ভালো লাগার কথা জানিয়েই কেটে পড়ি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেটাই যথেষ্ট ভাই!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
Lina Fardows
ভাষা নাই মৃদূল ।
Lina Fardows
ধন্যবাদ লীনা আপা।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমারো লীনা আপার মত অবস্থা, ভাষা নাই । ঝিম ধরে গেল গল্পটা পড়ে ।
যাই এক 'পট' তামাক পোড়াই । আপনার তামাক সেবনের কি অবস্থা, শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছিল ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আরে না... আমার শখ, এই আছে এই নাই... তামাক সেবন এখনো সাধারণ সিগারেট সেবনেই সীমাবদ্ধ... কুলসুমের বাপের মতো এখনো পেরে উঠি নাই...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দুবার পড়লাম। কি বলবো... আসলেই চমৎকার...
প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি
অনেক ধন্যবাদ। দুবার পড়ার মানুষ সাধারণত কম।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
য়্যু মেইড মি প্রাউড (কেন, বুঝতেই পারতেসেন)
খুব সুন্দর গল্প। সবজান্তা আপনাকে সিঙ্গারা খাওয়াতে চায় দেখি, আমি আপনাকে আরো ভাল কিছু খাওয়াব। কী খাওয়াব, সেইটাও তো নিশ্চয়ই বুঝতেই পারতেসেন
আহা! আহা! তোমার মুখে ঢোলকলমী ফুল আর আধমণী একটা চন্দনকাঠ পড়ুক... কবে খাওয়াবে?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এতো চমতকার একটা গল্প
কী মুগ্ধতা নিয়ে যে পড়লাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা ভাই। আছেন কেমন?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
নতুন মন্তব্য করুন