অস্ট্রেলিয়া ফিরত পুরাতন বন্ধুকে লইয়া বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করিতে গিয়াছিলাম। তাকাইয়া দেখি, বন্ধু তাহার ব্যাগের ভিতর হইতে আস্ত একখানা ক্যামেরা বাহির করিয়া ফটাফট ছবি তুলিতে আরম্ভ করিয়াছে। আমি আহলাদে আটখানা হইয়া বলিলাম, বন্ধুবর, আমার দুই-চারিখান চিত্র তুলিয়া দিও, এই বইমেলায় আমার একখানা পুস্তক বাহির হইতেছে, তাহার শেষে ছবিখানা জুড়িয়া দিব...
বন্ধুবর আমার ছবি তুলিয়া দেখাইল। আমিও খুশি হইলাম।
এইবার সে বলিল, আমার কয়খানা চিত্র তুলিয়া দাও না কেন? পুস্তক বাহির হইতেছে না বলিয়া আমি কি মুখ লুকাইয়া থাকিব?
উত্তম প্রস্তাব। তাহার ক্যামেরাখানি হাতে লইয়া চিত্র তুলিবার বোতামটি চাপিবামাত্র ক্যামেরাখানি হালকা ঝাঁকুনি দিয়া নিমেষে তিনখানা ছবি তুলিয়া ফেলিল! আমি তো ‘বাপস’ বলিয়া চমকাইয়া উঠিলাম! ইহা যে দেখি মেশিনগানের ন্যায় ছবি তুলে! আমার ক্যামেরাখানা তো ঐরূপ নহে!
বন্ধুকে সে কথা বলিতে সে গর্বের সহিত আমার হাত হইতে ক্যামেরাখানি টানিয়া নিতে নিতে কহিল, ইহা নাইকন ডি নাইনটি, ইহার তুল্য ক্যামেরা খুব বেশি নাই!
তাহার কথা শুনিয়া, তাহার গর্ব দেখিয়া, ক্যামেরার স্পিড দেখিয়া মরমে মরিয়া গেলাম। মনে হইল, আমি কি ঠকা খাইলাম? বন্ধুর হাতে নহে, নিজের হাতে!
বিস্তারিত খুলিয়া বলিতেছি।
২০০৭-এর শেষে মদীয় স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র হইতে দেশে প্রত্যাবর্তনকালে আমাকে শুধাইলেন, তোমার কিছু লাগিবে কি?
আমি আহলাদ করিয়া বলিলাম, একখানা চিত্রখিঁচনযন্ত্র, মানে ক্যামেরা হইলে বড়ই আনন্দিত হই!
স্ত্রী বলিলেন, আমি তো উহার কিছুই বুঝি না! তুমি মডেল বলিয়া দিলে আমার বড় সুবিধা হয়!
আমি সাথে সাথে ডিপি-রিভিউ নামক একখানা সাইট খুলিয়া ধ্যানে বসিয়া গেলাম। সারাদিন-রাত আমার একটিই বাসনা, হে আমার আরাধ্য, একটিবার শুধু ভক্তের চক্ষের সম্মুখে ধরা দাও!
ধ্যানে থাকিতে থাকিতে আমি এক জাতীয় বোধিপ্রাপ্ত হইলাম।
মনকে শুধাইলাম, তোমার চাহিদা কী কী?
মন বলিল, একটু বেশি জুম-অলা ক্যামেরা, যেন দূরবর্তী রূপসীর চেহারাখানা খিঁচিতে পারি...
--আর?
--একটু বেশি মাত্রার মেগাপিক্সেল... কম্পুতে অনেক চিত্র একটু বড় করিলেই ফাটিয়া যায়, তখন ভারী অশ্রদ্ধা হয়... আর দূরবর্তী রূপসীর চেহারায় ডিজিটাল ব্রেক দেখিলে মনটা হাহাকার করিতে থাকে...
--আর কী চাহ?
--র-ফরম্যাটে চিত্র খিঁচিবার সুবিধা। যেহেতু বিজ্ঞাপনশিল্পে কাজ করিতেছি, বিলবোর্ডের জন্য ছবি তুলিতে হইতেও পারে!
--বটে! এরপর?
মন বলিল, এলসিডি স্ক্রিনটি ইচ্ছামতো ঘুরাইতে নাড়াইতে পারিলে বড় সুবিধা হয়, বয়স হইতেছে, এলসিডি নড়িলে শরীরের পরিশ্রম কমে!
--ইহার পর?
--লিথিয়াম ব্যাটারি হইতে হইবে! পেনসিল ব্যাটারির চার্জ থাকে না...
--তথাস্তু! আর কী?
--পুরোদস্তুর ম্যানুয়েল অপশন থাকিতে হইবে! ক্যামেরার জোরে চিত্রের বড়াই করিতে চাহি না!
বলিলাম, আর কিছু চাহ কী?
মন ইতস্তত করিয়া বলিল, গরিব মানুষ... সস আনিতে চিকেন ফ্রাই ফুরায়... চার-পাঁচশো ডলারের অধিক হইলে কিন্তু কিনিতে চাহি না...
--ঠিক আছে!
মনের সহিত এরূপ বাক্যালাপ করিয়া বহু কষ্টে একখানা ক্যামেরা খুঁজিয়া বাহির করিলাম, যাহার জুম টুয়েলভ এক্স, ১০.১ মেগাপিক্সেল, র-ফরম্যাটে চিত্র খিঁচা যায়, এলসিডি স্ক্রিনটি ইচ্ছামতো ঘুরানো যায়, লিথিয়াম ব্যাটারি, অটোর সহিত পুরোদস্তুর ম্যানুুয়েল অপশন, এবং দাম ৫০০ ডলারের অধিক নহে!
ক্যামেরার মডেলটি হইল প্যানাসনিক লুমিক্স ডিমএমসি এফ জেড ফাইভ জিরো।
ছবি মন্দ উঠে না। সব সুবিধাই পাইয়াছি। কিন্তু যাহা পাই নাই, তাহা হইল স্পিড। শট টু শট প্রায় এক সেকেন্ড কি দেড় সেকেন্ড লাগিয়া যায়। অন্যরা যখন মেশিনগান হাতে লড়াই করিতেছে, আমি তখন পিস্তল দিয়া ঠুস ঠুস করিতেছি...
এখন ক্যামেরাবিদদের (অরূপবাবু, মুস্তাফিজবাবু সর্বাগ্রে) নিকট জিজ্ঞাসা : আমি কি ঠকা খাইয়াছি?
ইহার বদলে অন্য কোনোটা কিনিলে বিলক্ষণ লাভ হইত কি? স্পিডের দিক দিয়া কাহারা সর্বাগ্রে? নাকি এসএলআর ভিন্ন আর সকল ডিজিটাল ক্যামেরার একই দশা... আমার পূর্বতন প্রতিষ্ঠানে আমি একখানা নাইকন ডি ফোরটি দেখিয়াছিলাম, তাহার মূল্যও অধিক নহে, কিন্তু স্পিডে তো সে বেশ! উহাও কি কিনিতে পারিতাম? তাহা করিলে লাভ হইত কি?
সান্ত্বনা নহে, আমি সকলের নিকট হইতে জানিতে চাই...
উক্ত চিত্রখিঁচনযন্ত্রে তোলা কিছু চিত্র (ফোটোশপে এইচডিআর করা হইয়াছে)
মন্তব্য
ঠক খাইছেন কীনা জানি না, তয় লেখা পইড়া বড়ই মজা পাইলাম। বড় হইয়া আমিও বউয়ের কাছে ছবি খিঁচানোর যন্ত্র চাইবো।
=============================
শুধু গপাইয়া চিড়ে ভিজবে না।বইমেলার কিছু ফটু খিচেন....দেখি.....তারপরে বিচার..
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লেখা মজারু হইছে।
ঠক খাইছেন কিনা বসেরা কইব।
আপনার ক্যামেরা নামক ফটো তোলার মেশিন ভালোই হইয়াছে, তাহাতে কোন সমস্যা নহে। দ্রুততার কথা বলিলেন বলে বলব অদূর ভবিষ্যতে একখানা নয়া মেশিন কিনিবেন, তাতে আপনার সাধ আরো বেশি পূরন হইবে। মেশিনটা আমার পছন্দ হইয়াছে, উহাতে ঠকের কোন টক পায় নাই।
আপনি ঠকা খাইয়াছেন কিনা তাহা বলিতে পারিবনা। চিত্রখিঁচনযন্ত্রের প্রয়োজন একেকজনের কাছে একেক রকম। যাহার মালিক হইয়াছেন তাহাতে যদি সন্তুষ্ট থাকেন ধরিতে হইবে আপনি ঠকেননাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
অপরাপর যে প্রশ্নগুলি ছিল, তাহাদিগের উত্তরের কী হইবে? উহারা কি চিরকালের তরে অমীমাংসিত থাকিয়া যাইবে?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ক্যামেরাবিশারদ নহি। তবে আপনার এই রচনাখানি বড়ই উপদেয় লাগিল বিধায় জানাইতে দেরী করিতে পারিলাম না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বাজারদরে যাহা চাহিয়াছেন তাহা পাইয়াছেন। ঠকিবার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু এই নিবন্ধ পড়িতে গিয়া প্রত্যাশার চেয়ে অধিক পাইয়াছি। একে কী বলে?
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ইহা রঙ্গ করিয়া ইচ্ছাকৃত ভুল।
তবে সংশোধন করিলাম না... আপনার ব্লগ পড়িয়া যে শিক্ষা সকলে পাইয়াছে, তাহা পোক্ত হোক...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমার তো মনে হয় ঠকসেন। কী আর করবেন বলেন, ক্যামেরাটা ফেলে না দিয়ে আমাকে দিয়েন
রুশঃ "আমাদের প্লেন আয়োনোস্ফিয়ার দিয়ে যায়!"
বাঙালিঃ "আয়োনোস্ফিয়ার! বাহ!"
রুশঃ "না, মানে আয়োনোস্ফিয়ারের একটু নিচ দিয়ে।"
বাঙালিঃ "আমাগো দেশে মানুষ নাক দিয়া খায়!"
রুশঃ "নাক দিয়ে খায়? অদ্ভুত ব্যাপার তো।"
বাঙালিঃ "না, মানে নাকের একটু নিচ দিয়া খায়।"
বহু পুরনো চুটকিটা বলার কারণ, লুমিক্সের ব্যাপার ঠিক তেমনই। যদি ডি-এস-এল-আর এর মাত্র দুই কদম আগের কিছু কিনতে চান, তাহলে লুমিক্সের জুড়ি নাই। বলা বাহুল্য, এই দুই কদম আপনাকে কম করে শ'তিনেক ডলার বাঁচাবে।
অনেককেই আমি মূল্য এবং ব্যবহার মাথায় রেখে লুমিক্স কিনতে বলি। ঠকার প্রশ্নই ওঠে না এই ক্যামেরায়। আমার বন্ধু ও রুমমেটদের ব্যবহার করতে দেখেছি। খুবই ভাল "প্যাকেজ ক্যামেরা"। বেশ ব্যবহার-বান্ধব, প্রচলিত সব সুবিধাও আছে।
মেশিন-গান নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনি তো ঘোড়দৌড়ের ছবি তুলছেন না। আপনার যা কাজ, তার জন্য এই ক্যামেরা ১০০ ভাগ সক্ষম।
শেষ কথা হল, শ্যুটার আসিফ ভাঙা হাতে এক গুলিতে যেই নিশানা করবেন, আমি পাঁচ হাত-পায়ে মেশিন গান চালিয়েও তা করতে পারবো না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুঁ, বুঝতে হয় ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হু, বুঝতে হবে। সে-জন্যই তো সংখ্যায় না লিখে বানান করে লিখেছি। যাতে কেউ ভুল করে ভুল না ভাবেন!
- পুলাপাইনরে শীঘ্রই অযু করিতে পাঠাইতে হইবে। দুষ্টু হইয়া যাইতেছে সকলে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারও এইরূপ একখানা ক্যামেরা আছে। ক্যানোন এস ৫। কিন্তু ৪খানা পেন্সিল ব্যাটারি লাগে
--------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
লুমিক্সের এই মডেলটা তো বেশ ভাল! আমি আমার ভাইয়ের কলিগের জন্য একটা কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম গেলবার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাই , বিয়া করার পরে আর এসব চিন্তা কইরা সংসারে অশান্তি আইনা লাভ কী ?
আমি নিজে এটা ব্যবহার করিনি, তবে রিভিউ পড়ে বেশ ভালোই মনে হলো। মনে হয় না ঠকেছেন। যদি দ্রুতগতিতে ছবি তোলাই আপনার উদ্দেশ্য হয় তাহলে দুটো কাজ করে দেখতে পারেন:
এক - স্পোর্টস মোড-এ ছবি তুলুন।
দুই - হাই-স্পীড মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যদ্দুর জানি এই ক্যামেরাটা এস ডি কার্ড ব্যবহার করে, একটা Class 6/133X এসডি কার্ড আছে যেটা 6 MBps বা তার চেয়েও বেশী স্পীডে ছবিটা সেভ করে। তাই পরের ছবিটা তোলার জন্য ক্যামেরাটা তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে যায়। আপনার এখনকার কার্ডটা যদি class 2 অথবা class 4 হয়, তাহলে class 6 ব্যবহারে বেশ লক্ষ্যনীয় উন্নতি দেখতে পাবেন। আজকাল বাজারে এর চেয়েও বেশী স্পীডের কার্ড পাওয়া যাবে, অবশ্যই দামও একটু বেশীর দিকেই হবে।
যন্ত্রের কথা বাদ, আমি যন্ত্রীর ব্যাপারে কিছু বলি । লেখা আর ছবি গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে আপনি আমাদেরকে ঠকান নাই । লেখা ছবি মিলে দারুন পোস্ট !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সখের জিনিস, আর বিয়া করা বউ একই রকম। বিয়ার পরে ভাবতে নাই, কিনার পরেও ভাবতে নাই।
এ তো জ্বালা ধরাইন্যা কাজকারবার ! চাইরদিকেই তো দেখি ফটুকের বন্যা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
- ঠকছেব, ঠকছেন, ঠকছেন, কথা শ্যাষ। অখন কী করবেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা খুব মজার হয়েচে! specially চিত্রখিঁচনযন্ত্র!!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
যাহারা যাহারা মন্তব্য করিয়াছেন, তাহাদিগকে ধন্যবাদ। পরিশেষে জানাইতেছি যে, নানিবিধ মন্তব্যে আলোকিত হইয়া আমি আমার ক্যামেরিনীকে নিয়ে সুখে দিন কাটাইতেছি...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আরে মৃদুল, আমারও তো একই ক্যামেরা। তবে আপনার মত ভাগ্য আমার না, বউ দেয়নি, আমার নিজেরই কিনতে হয়েছে। ছবি ভালই ওঠে।
এসএলআর না কিনে মনে হয় খুব বুদ্ধিমানের কাজ করেছি। লেন্স কিনতে কিনতে ফতুর হয়ে যাবার দশা হতো। মুস্তাফিজ বা অরূপের মত বস ফটোগ্রাফার হলে পোষাত, কিন্তু ক্যামেরা হাতে নেবার সময়ই যার কম, তার জন্য ডিএসএলআর না। এটা কেনার আগে আমি অবশ্য একটা কুলীন ক্যামেরাই ব্যবহার করতাম Nikon FM2। আসাম-মেঘালয় থেকে ১৭ রোল ছবি তুলে আনার পর ঢাকার ল্যাব যখন নেগেটিভগুলোর বারো বাজিয়ে দিল, রাগে-দুঃখে নিজের হাত কামড়াতে কামড়াতে তখনই ঠিক করেছিলাম, ফিল্ম ক্যামেরা আর নয়। ওটা এখন গৃহশোভা।
তারপর Nikon D80 না Lumix DMC-FZ50 না Canon D400, এটা ঠিক করতে কিন্তু আমিও একই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছি। যা এক গব্বোযন্তনা! শেষ পর্যন্ত Lumix কেনার সিদ্ধান্তই নিয়েছি। পরে অবশ্য একটা UV ফিল্টার, বাড়তি একটা ব্যাটারি আর একটা সুপার ওয়াইড কনভার্টার কিনেছি। আপনার লাগলে ধার নিতে পারেন।
মনে হয় না ঠকেছেন।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আপনি বললেন ক্যামেরার দাম ৫০০ ডলারের ভিতরে। সঠিক দামটা কত তা জানার জন্য ডিবিরিভিউতে ঢুকলাম, দাম বলতেছে ৫৮০ ডলার। বুঝতে পারছি না, এটা সঠিক কিনা, কোন সাইট থেকে কারেন্ট দামটা জানা যাবে,বলবেন?
অথবা, এখন প্রাইস কত সেটা জানাবেন প্লিজ!
ক্যামেরার দাম আসলে স্টোর থেকে স্টোরান্তরে গেলেই অনেক ওঠানামা করে। তাই "সাম্প্রতিক দাম" এর মূল্য থাকে না। আপনি হিসেব করে দেখুন সবচেয়ে সহজে কিভাবে আপনি জিনিসটা পেতে পারেন, কী কী পাচ্ছেন ক্যামেরার সাথে, যাতায়াত/শিপিং কস্ট, আর অনলাইনে কিনলে সেই বিক্রেতাকে পূর্ববর্তী ক্রেতারা কিভাবে মূল্যায়ন করেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মৃদুল ভাই, আপনার ছবি নিয়ে একটা মন্তব্য করি। সেটা হলো-- আপনার প্রায় ছবিগুলার মধ্যেই একটা ঘোলা ঘোলা ভাব আছে। এটা মনে হয় পিপি করে করেছেন। আমার মনে হয় সব ছবিতে এরকম স্বপ্ন স্বপ্ন ভাব না আনলেই ভালো হতো।
হ। এইটা আর করুম না।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ছবি তুলিবার সঙ্গে যন্ত্রের কোনোই সম্পর্ক নেই। যন্ত্র একখানা হইলেই হইলো। এমনকি ছবির বিষয়বস্তুরও কোনো সম্পর্ক নেই। মূল বিষয় হইলো যন্ত্রী, যন্ত্রীর আঙ্গুল, যন্ত্রীর মন।
আপনি যদি একখানা ক্যামেরা লইয়া স্ত্রীযুক্তশালিক পাখির ছবি তুলিবার সময় মনে মনে সারাহ পলিনের কথা চিন্তা করেন, তাহা হইলে দেখিবেন, কী মনোরম আর আকর্ষণীয় ছবিই না উঠিয়াছে! লোল! এই ছবিখানাকেই যদি বিলবোর্ডে টানাইয়া দেন, তাহা হইলে যাবতীয় পুংশালিকবৃন্দ বিলবোর্ডেই উহার উপর আছড়াইয়া পড়িবে- ইহাতে কোনোই সন্দেহ নাই।
তাই বলিতেছিলাম কী- আপনার ছবিগুলো বেশ সৌন্দর্য হইয়াছে। তবে তুলিবার সময় কাহার কথা ভাবিতেছিলেন, তাহা আমি জানি না।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
আপনি যেহেতু আমার ছবির ওপরে আছড়াইয়া পড়িয়াছেন... সেহেতু যাহাদিগের কথা স্মরণ করিয়া আপনার হৃদয়স্পন্দন অপেক্ষাকৃত দ্রুত হইয়া ওঠে, তাহাদিগেরই কারো না কারো কথা ভাবিয়া তুলিয়াছিলাম নিশ্চয়!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হা হা হা, সারাহ পলিন তাহা হইলে মৃদুল আহমেদের মগজে ঠাঁই করিয়া নিয়াছে...
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
হাসতে হাসতে পেটে খিল "অনিশ্চিত" এর মন্তবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
নতুন মন্তব্য করুন