হিমু কদিন থেকেই বলছিলেন ভূতের গল্প লেখার জন্য। প্রহরীও খোঁচাচ্ছিল। কিন্তু গল্প শুরু করে শেষ করতে যে বেশ সময় কেটে যায়। সেরকম লম্বা সময় হাতে পাওয়া ভারী মুশকিল হচ্ছে। গল্প লেখা চলুক, ভাবলাম, এই ফাঁকে আমার নিজের এই ক্ষুদ্র সাধারণ জীবনে যে ছোটখাটো কয়টা ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো লিখে ফেলি না কেন?
অভিজ্ঞতা-১
আমার বয়স তখন আট কি দশ হবে। আমরা থাকতাম বাসাবো-কমলাপুরের কাছাকাছি মায়াকানন নামের একটা জায়গায়। বাসার নাম্বার ছিল ২৭/এ, চারতলা একটা বিল্ডিং, তার চারতলার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশটা জুড়ে আমরা।
বাবা-মা, বড় দুই বোন, দুই ভাই। আমি সবার ছোট। মামা আর মামি ছিলেন আমাদের সাথে কিছুদিন, বছরখানেক পর তারা অন্য বাসা বাড়া নিয়ে চলে যান।
ভারী সুন্দর ছিল ফ্ল্যাটটি। বড় বড় তিনটা রুম, মেঝেগুলো স্রেফ পাকা মেঝে না, সেগুলো ছিল অন্য ধরনের এক রকমের কাজ করা। এখনো মনে আছে, দুটো বারান্দার মধ্যে একটা বারান্দা, যেটা উত্তর দক্ষিণ দুটো দিকই খোলা ছিল, সেটার মেঝে ছিল পুরো টকটকে লাল রঙের।
আমাদের পাড়ায় তখনো তেমন একটা উঁচু বিল্ডিং তৈরি হয় নি, আমরা বারান্দার গ্রিলে নাক ঠেকিয়ে রাস্তার মানুষজন, ওদিকের বাসায় কোন পিচ্চি কোনটার সাথে মারামারি করছে, কোন বাসার ছাদে সব পোলাপান মিলে ঘুড়ির সুতোতে মাঞ্জা দিচ্ছে, এইসব দৃশ্য দেখতাম।
এই বাসায় থাকতেই এক রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল রাত তিনটা কি চারটায়। আট বছরের বাচ্চার জন্য অনেক রাত। আমরা চার ভাইবোন ঘুমাতাম একই বিছানায়। সবার মাঝখান থেকে আমি চুপচাপ নেমে গেলাম বিছানা ছেড়ে। তারপর ভূতের মতো ঘুরে বেড়ালাম সারা বাড়িতে। আমার খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, এই পুরো বাড়িতে এখন আমার রাজত্ব। আর কেউ জেগে নেই, আমি, স্রেফ আমি। এই যে আমি একলা একলা ঘুরে বেড়াচ্ছি, আমাকে কারো কিছু বলার নেই। এই পুরো সময়টুকু আমার, শুধুই আমার।
আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে আমি সেই লাল মেঝের বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। চাঁদের ঝকঝকে আলো এসে পড়েছে সেই বারান্দায়। দুপাশে নারকেল গাছ, তারই পাতার ফাঁক দিয়ে। বাতাস দিচ্ছে, পাতা নড়ছে, আর নড়ছে সেই চাঁদের আলো। কী রহস্যময় দেখাচ্ছে সেই পুরো বারান্দাটা। এ যেন আমাদের দিনেরবেলার সেই পরিচিত বারান্দা নয়। অন্য আরো এক রকম। আমার জন্য এই রাতে রহসে্যর গন্ধ মাখানো আরেক জগত।
আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম! টিপে টিপে পা ফেলে বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম বেশ খানিকক্ষণ। রাতের আধো ঠাণ্ডা বাতাসে আমার শরীর শিরশির করছিল, তাকিয়ে তাকিয়ে অবাক হয়ে দেখছিলাম, কোথাও কেউ নেই, একটা পাখি পর্যন্ত না, একটা ঝিঁঝিঁর ডাক পর্যন্ত নেই। শুধু গাছের পাতায় পাতায় খেলা করে যাচ্ছে বাতাস, সড়সড় করে তারই শব্দ উঠছে খানিক পর পর। দেখলাম, দিনে যাদের একরকম করে চিনি, রাতে তাদের অন্যরকম এক রূপ খুলে যায়। সব গাছগুলো যেন আরো সজীব, তাদের মুখে ভাষা জেগে উঠেছে, তারা যেন কিছু বলতে চায়।
বারান্দার গ্রিলে নাক ঠেকিয়ে সেই মুহূর্তে আমি এক আশ্চর্য সুর শুনতে পেলাম। বড় আশ্চর্য সেই সুর। সুরটা শুনে মনে হয়, একটা বিশাল হলঘরে বেশ অনেকগুলো মানুষ গোল হয়ে ঘিরে সেই সুরটা গাইছে। একটা উপাসনার মতো। অনেকগুলো মানুষ যেন একত্র হয়ে কোনো উপাসনা করছে। সেইরকমই গমগমে আওয়াজ। কিন্তু ভেসে আসছে অনেক দূর থেকে। খুব জোরালো না আবার খুব হালকাও না। আর চেনাপরিচিত কোনো সুরের সাথে সেই সুর মেলে না।
আমার শরীর ছমছম করে উঠল সেই সুর শুনে!
হয়ত আপনারা ভাবছেন, সেই আট বছরের এক ছেলে এত কিছু বুঝল কীভাবে? তাদের জানাই, এই সুর পরে আমি আরো বেশ কয়েকবার শুনেছি।
শেষবারের মতো শুনেছিলাম ৯৭-৯৮ সালের দিকে। রাত বারোটা-একটার দিকে। আমার বোন তখন স্কুলটিচার, ড্রয়িংরুমে বসে বসে একগাদা পরীক্ষার খাতা দেখছে। আমি বারান্দায় গিয়ে সেই সুর শুনতে পেলাম। ব্যাপারটা নিয়ে আমার মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল, ছোটবেলায় কিসের সুর শুনতাম ওটা? এটা কি আমার মনের ভেতরকার কোনো সুর? কোনো মানসিক অসুখ? নাকি আসলেই এই সুরটা শোনা যায়?
তাড়াতাড়ি ডেকে আনলাম আমার বোনকে। সে ব্যস্ত, বিরক্ত হয়ে আসল বারান্দায়।
বলল, বল কী?
বললাম, ভালো করে শুনে দেখ তো, কোনো সুর শুনতে পাও কিনা...
কিসের সুর?
সে বিরক্ত মুখে কান পাতল, তারপর অবাক হয়ে বলল, এটা কিসের আওয়াজ?
বললাম, তার আগে বল, এটা আগে কখনো কোথাও শুনেছ কিনা?
সে বলল, না।
তারপর আবার মন দিয়ে শুনতে লাগল। আমাদের বাসায় ছোটবেলা থেকেই গানের রেওয়াজ ছিল। আমার বোন বাফায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের কোর্স কমপ্লিট করেছে। গানবাজনা নিয়ে তার মিনিমাম কিছু চর্চা আছে। সে এই সুরটা শুনে খুবই অবাক হয়ে গেল।
বলল, কিসের আওয়াজ রে এটা! কেমন সমবেত গানের মতো, কিন্তু গানও তো না! আগে তো কখনো শুনি নি! কেমন অদ্ভুত সুরটা!
আমি তখন আমার ছোটবেলার গল্প বললাম ওকে। বললাম যে, বেশ কয়েকবারই এই ধরনের সুরটা শুনেছি আমি। ভুল শুনেছি কিনা সেটা বোঝার জন্যই ওকে ডাকা। তারপর আমি আর আমার বোন তারপর বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুনতেই লাগলাম সেই আশ্চর্য সঙ্গীত। তার যেন কোনো শেষ নেই। সুর একবার ওপরে উঠছে, একবার নামছে। একবার টানা চলছে। কোথায় যেন একদল মানুষ এক আশ্চর্য উপাসনাগীত গাইছে, যার সুরের সাথে আমাদের চেনাপরিচিত কোনো সুরের মিল নেই। যে সুর শুনলে বুকের ভেতরটা ছমছম করে ওঠে।
আমার বোন এক সময় ভয় পাওয়া গলায় আমাকে বলল, চল তো, ঘরের ভেতরে চল, তোর আর এই গান শুনতে হবে না!
অনেক ভেবেছি। কিসের গান হতে পারে এটা? কোনো মাহফিলের আওয়াজ? কোনো মন্দিরে উপাসনা সঙ্গীত? কাছেই তো সবুজবাগ বৌদ্ধমন্দির।
না, সেসব কিছুই না। বাড়ির কাছেই কমলাপুর স্টেশন হওয়াতে ট্রেনের হুইসেল, ইঞ্জিন শান্টিংয়ের সময় ইঞ্জিনের একটানা গমগম আওয়াজ, নানা পদের ওয়াজ মাহফিল কিংবা মাজারের ঐসলামিক জলসা, অনেক ধরনের আওয়াজের সাথেই আমরা পরিচিত। কিন্তু এই আওয়াজটা সেরকম কিছু না। অন্যরকম, একদম অন্যরকম। আর এর বিশেষত্ব হচ্ছে, খুব হালকা হয়ে কানে ভেসে আসে। খুব জোরেও না, আবার বেশ কষ্ট করে কান পাততে হয়, তেমনটাও না। আরো একটা ব্যাপার, একটা টানা শব্দ শুনলে মোটামুটি আন্দাজ করা যায় কোনদিক থেকে আসছে, এটার ক্ষেত্রে তাও বোঝা যায় না।
এই গানের আওয়াজ আমি শুনতে পেতাম বছর দুই-তিন গ্যাপ দিয়ে।
সেই সুর আরো একবার শুনিয়েছিলাম আমার বড় ভাইকে। সে এখন বেশ বড়সড় এক ব্যাঙ্কার। তার জন্মই হয়েছিল ব্যাঙ্কার হবার জন্য। নতুন কুঁড়িতে গান গেয়ে আর পরবর্তিতে নজরুল সঙ্গীতের বহুল প্রশংসিত শিল্পী হয়েও গানের দিকে সে যায় নি, চর্চাও ধরে রাখে নি। ছোটবেলার সেই অভিজ্ঞতার পর আমি যখন আরো একটু বড়, মানে কিশোরই বলা যায়, লুকিয়ে লুকিয়ে রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ পড়ছি, ততদিনে সে সাহিত্যের সীমানা পেরিয়ে বুক-কিপিং বইতে খুঁটি গেঁড়েছে। তখন থেকেই সে কমার্স লাইনের লোক। তাকে একবার এক গান শুনিয়ে বললাম, আচ্ছা, এই গানটার পেছনে যে এক ধরনের আবেশ তৈরি করা সুরের রেশ ভাসছে, এটা কী করে তৈরি করেছে? (ওটা ছিল কি-বোর্ডে তোলা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, হারমোনিয়াম বাজানো আমাদের কাছে কি-বোর্ড তখনো অনেক দূরের জিনিস)
আমার বড় ভাই খেঁকিয়ে উঠে দাবি করল, সে কোনো রেশ ফেশ শুনতে পাচ্ছে না। আমি যেটা সুরের আবেশ বলে দাবি করছি, সেটা তৈরি হয়েছে আসলে ক্যাসেটের ফিতা পুরনো হয়ে ড্যাম্প হয়ে গেছে বলে!
এই হচ্ছে আমার বড় ভাই!
তো সেরকম এক সময়ে এক সন্ধ্যাবেলায় ছাদে বসে তাকে সেই সুর শোনালাম। কিন্তু সে কিছুই শুনতে পেল না। বিরক্ত হয়ে বলল, হবে কিছু একটা!
এই বছর দুই আগে বিভূতিভূষণের ছেলে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের "অলাতচক্র" নামের অনন্যসাধারণ উপন্যাসটা পড়ছিলাম। আমার এই জীবনে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখা। সেখানে উপন্যাসের শেষদিকে সাঁওতাল পরগণায় পাহাড় কেটে রেললাইন বসাতে গিয়েছিল রেলওয়ের লোকজন। লেখকও রেলওয়ের চাকরি করেন। জঙ্গলের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে তিনি শুনতে পেযেছিলেন আশ্চর্য এক সুর। কাছেই কে যেন একটা কেটে ফেলে রাখা গাছের গুঁড়ির ওপাশে বসে গাইছে। গুঁড়ির পাশেই এক বিশাল আকারের পাথর। ভারী অদ্ভুত সেই সুরটা। একবার শুনেই লেখকের মাথায় ঢুকে গেল।
পরে যেটা লেখক আপন মনে গুনগুনিয়ে গাইছিলেন আর তাই শুনে সব সাঁওতাল ভয় পেয়ে গেল। বলল, তারা আর কাজ করবে না, কারণ এই জঙ্গলে মৃতু্যর সুর শোনা গেছে। এই মৃতু্যর দেবতাকে তারা বলে, পাসাং মারা।
রেলওয়ের লোকজন সব হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল। কীসব হাবিজাবি কথা!
লেখক পরদিন গিয়ে দেখলেন, সেই সুবিশাল পাথরটা আর সেখানে নেই। যার ঐপাশে বসে কেউ সেই অদ্ভুত সুরে গান গাইছিল। রাতারাতি এত বড় একটা পাথর ক্রেন ছাড়া পাঁচশো লোকে মিলেও সরাতে পারবে না। তারপর ঘটে আরো নানান ঘটনা। সেগুলো তারাদাসের নতুন পাঠকের জন্য তোলা রইল।
তারাদাস বন্দোপাধ্যায় দাবি করেছেন তাঁর এই "তারানাথ তান্ত্রিক" সিরিজের লেখায়, যে সেমস্ত ঘটনা তিনি লিখেছেন, তার অনেক ঘটনাই ঘটেছে তাঁর বা তাঁর আশপাশের মানুষদের ক্ষেত্রে। এমন কি বিভূতিভূষণের মৃতু্যর আগের ঘটনাও তো বিচিত্র। নিজের অপচ্ছায়া নিজেই দেখেছিলেন বিভূতিভূষণ। যার কদিন বাদেই মারা যান তিনি।
তারাদাসের ঐ উপন্যাস আমার চিন্তাচেতনা, জীবনদর্শন, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, অনুমান সমস্ত কিছুর ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছিল, যে প্রভাব এখনো বর্তমান।
আমার একটা জিনিস প্রায়ই মনে হয়, ভবিষ্যতের পৃথিবী চলবে সুর ও শব্দে।
কিছু সুর শুনলে কেন আমাদের চোখ ভিজে ওঠে? কিছু শুনলে কেন হেসে উঠি? কিছু সুর শুনলে কেন স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করি?
কখনো কি ভেবে দেখেছি? আমাদের রক্তের গহীনে লুকিয়ে আছে কোনো রহস্য। অন্ধকার দেখলে আমরা যেমন অজানা ভয় পাই, আলো দেখলে ভরসা পাই, তেমনি আমাদের সভ্যতার ইতিহাসে মিশে আছে সুর। নইলে সুর আমাদের মনকে এভাবে নেতৃত্ব দিতে পারত না। সুদূর ভবিষ্যতের পৃথিবী চলবে সুরে, যেমন এখন অনেক সিকিউরিটি ডোর সিস্টেম করা থাকে ভয়েস লক দিয়ে।
কেন যেন মনে হয়, আমি সেই রহস্যময় সুরের জগতের কোনো একটা ছেঁড়া অংশের মুখোমুখি হয়েছিলাম বেশ কয়েকবার। আমার সরল বালক মন যেতে পেরেছিল তার কাছাকাছি, কিন্তু এখন আর সেই সুর শুনতে পাই না, জটিল হয়ে গেছি যে, তাই!
তারপরও অপেক্ষায় আছি ভবিষ্যতে কখনো এই গান আবার শুনতে পাব। হয়ত আমার মেয়েদের ডেকে সেই সুর শোনাতে পারব তখন।
ভালো কথা, আমার ভৌতিক অভিজ্ঞতা কিন্তু এটা নয়।
ভূত আমি দেখেছিলাম ঐ বাসাতেই। ঐ বয়সেই। এতক্ষণ এত দর্শন কপচাবার পর সে গল্পটা করি।
ডিসেম্বর মাস তখন। শীতের ঝকঝকে সকাল। বার্ষিক পরীক্ষা হবার পর আরামের ছুটি। তখন ভালো ছাত্র ছিলাম। কাজেই পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের জন্য টেনশন নেই।
সকালে মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে যাওয়ার কথা। কিন্তু মা আমাকে কয়টা অঙ্ক করতে দিয়ে বিছানার ওপর বসিয়ে দিয়ে রান্নাঘরে গেছেন। শর্ত হচ্ছে, অঙ্ক করে তার খেলতে যেতে পারব।
আমার তখন বিশাল তাড়াহুড়া। অঙ্কগুলো শেষ করেই সোজা মাঠে দৌড় মারব। বিছানার ওপর বসে মাথা গুঁজে অঙ্ক করতে করতেই আমি ঘরের ভেতর নড়াচড়ার আওয়াজ পেলাম।
বাসায় তখন আমার বড় বোন বোধহয় ছিল। অন্য ঘরে কিছু একটা করছে। বাবা অফিসে। বাকি দুই ভাইবোন কোথায় ছিল, খেয়াল নেই।
আমি নড়াচড়ার আওয়াজ পেয়ে আপনমনেই মাথা তুলে তাকালাম। দেখি যে, আমার কাঠের তৈরি যে বিছানা, তার কাঠের ফ্রেমটার ঐপাশ থেকে একটা মাথা উঠছে আস্তে আস্তে। প্রথমে দেখতে পেলাম চুল, তারপর কপাল। তখনও আমি বুঝতে পারি নি, আমি যা দেখছি, সেটা স্বাভাবিক কিছু না। আমার বড় ভাইবোন কেউ বাসায় নেই। কে ঐখান থেকে দুষ্টুমি করে ভয় দেখাবার চেষ্টা করবে আমার সাথে?
এই কথাটা মনে পড়ামাত্রই আমি চেঁচিয়ে উঠলাম। মা ছুটে এলেন। আমার বড় বোনও। আমি কাঁপতে কাঁপতে তাদেরকে বললাম আমার অভিজ্ঞতার কথা।
পরে আমার ভাইবোন আমাকে অনেক বোঝাবার চেষ্টা করল। আমার বড় ভাই আমার ভয় কাটানোর জন্য বলল, আরে আমি তো বাইরেই যাই নাই, তোরে ভয় দেখানির লাইগা বাসাতেই ছিলাম!
কিন্তু তাতে কি আমার ভয় আর কাটে?
ঐ বাসাতে এরপর আরো কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। তার সাক্ষী অবশ্য আমি হতে পারি নি, হয়েছিল আমার বড় দুই বোন। আমার ভূত দেখার এই ঘটনা আজকে, এই আমার কাছে এখন অবিশ্বাস্য লাগে। ছোটবেলায় পোলাপান মানুষ কী দেখতে কী দেখেছি! কিন্তু আমার বড় দুই বোনের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
সেটা কালকে বলব। এখন আজকের মতো চা খেয়ে আসি।
মন্তব্য
- হুমম, কমেন্টটা তাইলে কালকেই করবোনি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চা খাওয়ার আগের কমেন্টটুকু করা উচিত।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এখন অনেক রাত, ভূতের গল্প পড়ে যদি ঘুমাতে না পারি??
সেক্ষেত্রে সারারাত জেগে নিজের একটা অভিজ্ঞতা লিখে ফেলেন।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এইগুলি তো মনে হচ্ছে ভালো ভুত। বিচ্ছু টাইপের ভুত তোমাকে কি রকম নাস্তানাবুদ করেছে, এর পরে সেই সব লেখো মৃদুল।
আমাকে কোনো বিচ্ছু টাইপ ভূত জ্বালায় নি। কিন্তু আরো কিছু ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেগুলো লিখব একে একে।
আছেন কেমন আপনি?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
যা বুঝলাম তা হলো বিভূতি বাবুর মাত্রার সৃজনশীল লোকেরাই অদ্ভুতুড়ে অপার্থিব সুর শুনতে পান আমি নিজে বেসুরো হওয়ায় চারদিকে অসুরীয় আওয়াজ ছাড়া তেমন কিছু শুনিনা।
ভূতের গলফে ডর খাইছি!
তুই ব্যাটা যে পরিমাণ সুর জানস, তোর আর ভূতের সুর শোনার দরকার কী?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
লেবারডে'র আড্ডায় শোনা সেই গল্প দুইটা তো জব্বর ছিল। ভয়ই পাইছিলাম। সেই দুইটা আমার মনে হয় অনেকেরই ভালো লাগবে। তবে মনিকা আপার কথা কিন্তু ঠিক, আপ্নের পরিচিত ভুত গুলো খারাপ না। মোটামুটি ভদ্র টাইপের ভুত।
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মুখে চাপা ফাটাইতে যে আমি ওস্তাদ, তা তো সবাই জানে, এইবার দেখা যাবে লেখায় সেরকম ফাটাইতে পারি কিনা! মুখে বইলা অনেকরে ভয় পাওয়াইসি... কিন্তু লেইখা পারুম কিনা, কে জানে?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
লেখাটা পড়ে বেশ মজা, মানে ভয় লাগল
যাক, একজন ভদ্রলোক পাইসি, যেনে ভদ্রতা কইরা হইলেও বলেন যে ভয় পাইসি!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এক্টা সুট-টাই পড়ে ফটুক পাঠায় দিব নে
লেখাটা কিন্তু আসলেই ভাল লেগেছে। ভৌতিক লেখা পড়ে তো আর বলতে পারিনা মজার কথা, তাহলে হাসির গল্প পড়ে কি বলব ? গা ছমছমে ভাবটাই আসলে মজা।
'মিদুল' ভাই
বহুদিন পরে লেখা দিলেন----
কথাটা মনে ধরসে ----
আমি কিন্তু সত্যি বিশ্বাস করি!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ভালো লাগল মৃদুল ভাই, তবে আপনার ভৌতিক অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রাজ বা রিং ছবিটা বানানো হয় নাই তো? সু করেন, যদি আপনার অভিজ্ঞতা মেরে দিয়ে থাকে। ভুতের গল্পের আগের ভাগটা সত্যি অসাধারন লাগল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
গ্রাজ ডেঞ্জারাস ছবি রে ভাই। দেখছিলাম আমি আর আমার বউ মিইলা, রাত বারোটা থেইকা শুরু করছিলাম। ছবি শেষ কইরা কেউ আর একজন আরেকজনরে ছাইড়া নড়ি না। ভূতের গল্প আমাদের ভেতরে সৃষ্টি করেছিল এক অমর প্রেম।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল ভাই দেশী ভূতের সাথে কিছু বিদেশী ভূতের কাহিনীও শুনিয়ে দিয়েন।
ভূতের গল্প আমার ভীষণ প্রিয়। তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অই মিয়া, এইখানে সব নিজের অভিজ্ঞতার গল্প। আর বিদেশে আইসা কোনো ভূত দেখি নাই, দেখলে লিখুম।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দেখবেন না। ভুতরা ভিসা পায় না।
ইন্টারেস্টিং!!
আপনার বোনদের অভিজ্ঞতাগুলোও লিখে ফেলুন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আজকে লিখে দিলাম। আপনার সেই রাতেরবেলা জাপানিজ মন্দিরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় গলির ভেতর দিয়ে হেঁটে আসা রহস্যময় পথচারির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরো অনেক কাহিনী সচলে দেখতে চাই!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দারুণ লাগসে- এইসব ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা আমারো দুয়েকবার হইসে গ্রামে... পরে একদিন চা খেয়ে বলবোনে।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
তাড়াতাড়ি চা খান। আমি কিন্তু চা শেষ করে আরেক পর্ব দিয়ে দিয়েছি।
সবার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনায়াসেই একটা ই-বুক করা যায়।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বেশ কিছুদিন পর লিখলেন! খুব ভাল লাগলো...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সত্যি?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যি!... তবে আমি ভয় পাই নাই...আপনার কাব্যিক বর্ণনা ভাল লেগেছে।
তারানাথ তান্ত্রিকের দুই-এক্টা পড়েছি...পিডিএফ হলে আমো চাই...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাই,
আপনারতো বেজায় সাহস ছিল, আমি হলে নিশ্চিত প্যান্ট ভিজায় দিতাম। তবে বিভূতি বাবুর ব্যপারটা জানা নেই, কেউ জানালে বাধিত হব।
সাফি
তুই স্কুল সময়ে এমনিও ভিজাইতি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বুঝছি রাতের ঘুমের বারোটা বাজছে আজকে, তবে পড়ে খুব ভাল লাগলো।
তারানাথ তান্ত্রিকের গল্পগুলি পড়তে খুবই আগ্রহ বোধ করছি। যা শুনলাম, বইটা দেশে সুলভ নয়। বিকল্প কোনো উপায় আছে কি?
তারানাথ তান্ত্রিকের যে গল্পগুলি তারাদাস বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন সেগুলি আমার কাছে আছে (বিভূতির গুলিও পড়েছি, কিন্তু সংগ্রহে নেই)। অনেক দিনই ভেবেছি টুটুল ভাইয়ের অফিস থেকে স্ক্যান করবো -আলস্যে করা হয় নি।
একবার স্ক্যান করে ফেলতে পারলে হয়তো পিডিএফ পেতে পারেন একটা। আর বইটা দেশে দুর্লভ অবশ্যই, কিন্তু কলকাতায় একদমই সহজপ্রাপ্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
স্ক্যান হলে যেন জানতে পারি
সাফি
হ আমিও জানতে চাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভায়া ভুতুম, আপনেরগুলা কবে পাবো ?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
তারানাথ তান্ত্রিক সিরিজ আস্তে আস্তে করে ছাড়া হবে। আমরা অনেক কষ্ট কইরা খুইজা পাইতা আইনা পড়ছি, এখন সবাই মজায় মজায় একবারে পড়বে তা হবে না। সবজান্তার সাথে আমার এই ষড়যন্ত্রই চলতাসে।
তবে এটাও সত্য, এ জিনিস আস্তে আস্তে একটু একটু করে পড়ে তার বাকিটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার আলাদা মজা। সেই মজা ধে্ইকাও কাউরে বঞ্চিত করতে চাই না!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
স্ক্যান করে পিডিএফ করার পরার আমাকে দিয়েন সবজান্তা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মিদুল বাই, পরের পর্ব পড়তে চাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দিছি!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
প্রথমাংশ পইড়ে ভাবতেছিলাম, আপনে ভুতের গল্পের নামে নস্টালহিয়া ছেড়ে দিলেননাকি? চা খাইতে খাইতে পুরাটা পড়লাম। আপনে চা শেষ কইরা পোস্টান, আমারটাও ততক্ষণে শেষ হইবো এনশাল্লাহ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পরেরটা এখনো আসেনি ক্যানু ?
লেখাটা এই জায়গাটায় শেষ হয়ে গেলে, আর নামটা ভৌতিক গল্প না হয়ে অন্য কিছু হলে, দারুণ একটা লেখা হত এটা। আধ্যাত্মিকতা আর ভুতকে একসঙ্গে করার পরীক্ষা করছিলেন, সেটা বুঝেছি। তবুও।
আমি হয়তো ওই এক্সপেরিমেণ্টের জন্য এখনো তৈরী নই দেখি বাকি পর্বগুলো পড়ে হয়তো দল বদলাবো।
এই কথাটা অদ্ভুত সুন্দর লাগলো। অনেকদিন আগে একটা ছোট গল্প পড়েছিলাম, যেখানে পৃথিবীতে কু-শব্দ (noise) অনেক বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবী সিদ্ধান্ত নেয় ছোট্ট ছোট্ট নি:শব্দতা তৈরী করে মানুষকে একটা মেসেজ দেয়ার। সেই গল্পটার কথা মনে পড়ে গেলো। সুরের ব্যাপারটা হয়তো সেরকম ভালো শব্দে মেসেজ দেয়ার মত হতে পারে।
আপনার চায়ের দোকান কত দূরে? কাপটা কত বড়?
আমার এই লেখাটা আসলেই পরীক্ষামূলক। একদম দানা বাধা গল্প লিখি নি।
উদাস করা মনের ভেতর আচমকা যে ভয়ের উঁকি, এক অজানা পৃথিবীর ছোঁয়া এসে নাড়া দিয়ে যাওয়া, সেটাকেই ধরতে চেয়েছি।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ওই মিয়া গল্প বাঝায়া থুইয়া কই গেলেন, ভাদাইম্মাগিরি বাদ দেন, জলদি কন!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাহ! চমৎকার লাগল। এখন পরের পর্ব কই পাই? আর পিডিএফ কি হয়েছে?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন