অদ্ভুত দু-খানা স্বপ্ন দেখেছিলাম একই রাতে। একটু পর পর। এই তো কদিন আগেই। কাউকে বলা হয় নি।
স্বপ্ন এক: কোন এক অচেনা শহরে আমি থাকি। নানা কাজে এদিকসেদিক যাই। ভীষণ ব্যস্ত। একদিন গলির পাশে একটা বাড়ির সামনে থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। হাতে বোধহয় বাজারটাজার আছে, সেটা নিয়েই। বাড়িটার দেয়াল নোনাধরা, ময়লা। বাড়ির খোলা জানালার সামনে আরো কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। থমকে দাঁড়িয়ে যাবার কারণ, ঐ খোলা জানালাটা দিয়ে একজনের রেওয়াজ-এর সুর ভেসে আসছে। পুরুষকণ্ঠ। কী আশ্চর্য সুন্দর ভরাট সুরেলা গলা! অনেক চর্চার পর এমন গলা হয়।
আমি কৌতূহলবশত বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম। একজন ওস্তাদজি ভেতরে গলা সাধছেন। মাথার চুল সব পাকা। হালকা দাড়িগোঁফ আছে। সেগুলোও পাকা। তিনি গাইতে গাইতেই আমার দিকে তাকিয়ে একবার মৃদু হাসলেন। মনটা কেমন বড্ড ঠাণ্ডা হয়ে গেল। তাঁর সামনে অনেক লোক বসে। সবাই নিঃশব্দে গান শুনছে।
আমার মনে পড়ল এই বাড়ির পাশ দিয়ে আমি আরো অনেক সময় গেছি। প্রায় সময়েই দেখেছি বেশকিছু লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে বাসার সামনে। কারণটা এতদিনে বুঝতে পারলাম।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনতে থাকলাম তাঁর রেওয়াজ। সুরের এত শক্তি হয়? সেই ভরাট সুরেলা গলায় সুরের কোমল কঠিনের কাজ কেমন যেন খেলা করে বেড়াতে লাগল আমার মনের গহীনের প্রতিটা রাস্তায়, গলিপথে, আনাচেকানাচে। আমার শরীর থরথর করে কাঁপছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। মনে হচ্ছে, আমি কে? আমি কে? কেন আমি এই সুর থেকে এতদিন এত দূরে ছিলাম? কেন? কেন মিথ্যামিথ্যি হাজার সব কাজ নিয়ে জীবনের সময় নষ্ট করলাম? আমার ঠিকানা তো এখানে! এই সুরের মধ্যে!
ওস্তাদজির মুখে মৃদু হাসি। তিনি যেন আমার মনের কথা জানেন।
আর সেই আশ্চর্য সুর যেন আমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছেই! স্বপ্নের ভেতরেই কী যে আশ্চর্য সুরের ইন্দ্রজাল শুনতে পেলাম!
স্বপ্নব্যাখ্যা: গত বছর শীতে ঢাকায় বেঙ্গলের আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসরে অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। জীবনের উল্লেখযোগ্য সময়গুলোর মধ্যে সেটা একটা। ভোররাতে যখন বাসায় ফিরে ঘুমোতাম, ঘুমের আগমুহূর্ত পর্যন্ত এক অলৌকিক কণ্ঠস্বর আমাকে নানারকম রাগরাগিণীর আলাপ শুনিয়ে যেত। আমি চোখ বুঁজে স্পষ্ট শুনতে পেতাম সুরটা আমার মাথার কাছেই কে যেন বসে গাইছে। এ বছর থাকতে পারব না বেঙ্গলের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসরে। সেই আক্ষেপটা স্বপ্নে ফিরে এসেছে।
স্বপ্ন দুই: আমার হাতে শারদীয় দেশ পত্রিকা। ভেতরে সুনীলের উপন্যাস ছাপা হয়েছে। দিব্যি দেখতে পাচ্ছি উপন্যাসের নাম, ইলাস্ট্রেশন। ইলাস্ট্রেশনটা সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের করা। শুনলাম, সুনীল মারা যান নি। কথাটা ভুল ছিল। সুনীল তো এখনো লিখে চলছেন। উপন্যাসটা বেশ খানিকটা পড়লামও। কোলকাতার এক বস্তি এলাকার কাহিনী। যেখানে গোপনে মাদকের ব্যবসা হয়, ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে লাশ পড়ে, মারামারি-ঝগড়া যেখানে নিত্য ঘটনা। সেখানেই জেগে উঠেছে আলোকশিখা। এক নারী, তিন সন্তানের মা। তার স্বামী মারা গেছে বছর দুই আগেই পুলিশের হাতে। দারিদ্র, ক্ষুধার তীক্ষ্ন ফণাগুলো ছোবল মেরে গেছে তাকে বার বার। লোভের লাল লাল চোখ ঘুরেছে আশপাশে। তাকে মাছির মতো টিপে ধরতে চেয়েছে অনেকে। কিন্তু সেই নারী তার প্রতিবাদের ভাষা আর ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেরিয়ে এসেছে। হয়ে উঠেছে সেই গোষ্ঠীর নেত্রী। বস্তির প্রতিটা নিরীহ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে তার পাশে। তারা সবাই মানুষ, কিন্তু তারা আবার মানুষ হতে চায়।
দিব্যি অনেকক্ষণ পড়েছিলাম উপন্যাসটা। ঘুম ভেঙ্গে ভীষণ কষ্ট লাগল।
স্বপ্নব্যাখ্যা: সুনীলের মৃত্যুর নাকি এক বছর পেরিয়ে গেছে? বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু এমন কঠিন মনে হওয়ার তো কথা না, মৃত্যু নতুন কিছু না আমার কাছে। আসলে ধাক্কাটা এত বেশি বড় ধাক্কা আমার কাছে, এক বছরেও সেটা সামলে উঠতে পারি নি!
মন্তব্য
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হুমম। রাতের অন্ধকার পেরিয়ে ভোর আসবে বটে। কিন্তু সেই ভোর আমাদের পরের প্রজন্মের। তাদের পছন্দের লেখক, পছন্দের গায়ক উঠে আসবে। আমাদের প্রজন্মের সম্পদগুলো শেষ। একে একে নিভিছে দেউটি। আমি হতাশার সুর তুলছি না। এটাই সময়ের নিয়ম। নাটক শেষ। এবার বাতি নিভবে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হুমমম - ভালো লাগলো আক্ষেপের প্রকাশটা। দ্বিতীয় আক্ষেপটাতো আমারও নিত্যদিনের সঙ্গী!!
আপনি তো দেখি বেশ গুছিয়ে স্বপ্ন দেখেন মশাই! আমার স্বপ্নগুলো তো সবই এলোমেলো (যতটুকু মনে থাকে আরকি)।
ধন্যবাদ।
____________________________
আমি খুব গুছিয়ে স্বপ্ন দেখি না। একটু গুছিয়ে বলতে পারি এই যা! তবে ঘুম থেকে ওঠার পর স্বপ্নটা মনে থাকলেই তবে।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এভাবে যদি স্বপ্নেই সুনীলের নতুন নতুন লেখা পড়তে পারা যেত তাহলে মন্দ হত না।
গতবার আইটিসি এসআরএ-এর প্রোগ্রামটা মিস করেছিলাম, রশীদ খানকে লাইভ শোনার খুব ইচ্ছে ছিল। এবার যেতে পারব আশা করি।
ভাল লাগল লেখাটি।
হুমম। এবার যান। খুব ভালো লাগবে। সন্ধে থেকে ভোর পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে। সেই শীতের ভেতরে চাদর মুড়ি দিয়ে বসবেন। আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠে কখনো প্যান্ডেলের নিচে, কখনো বা বাইরে আলো অন্ধকারে। অদ্ভুত... অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। ওস্তাদ রশীদ খান শুধু না, সবারটাই শুনবেন। একটা রাত টানা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শোনার পর দেখবেন মনটা কেমন যেন শুদ্ধ হয়ে ভাসতে ভাসতে ওপর দিকে উঠে যায়।
হুমম, সুনীলের নতুন লেখা পড়তে খুব ভালোই লাগছিল। কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে উঠে ঠিক দ্বিগুণ খারাপ লাগল!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এমন বুক ফাঁকা করে দেয়া স্বপ্নের সাথে পরিচয় আছে। অদ্ভূত সে অনুভূতি!
গতবারের প্রোগ্রামে একরাত থাকতে পেরেছি কেবল। আশা করছি এবার একটু বেশি থাকতে পারবো।
থেকে যান। এই অভিজ্ঞতা সারা বছর মনের শক্তি যোগাবে।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন নিজের আকুতি!
চমতকার!
-অনিমেষ রহমান
ধন্যবাদ!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
স্বপ্নে লোকে এত ভালো ভালো জিনিসও দেখে ,
দুনিয়াতে স্বপ্ন দেখা লোক দুই প্রকার - স্বপ্নদোষী আর স্বপ্নগুণী
আপনি মশাই স্বপ্নগুণী।
ভাবনার প্রকাশগুলো বেশ লাগলো
গুলিটা কানের পাশ দিয়ে গেল টের পেলাম!
জানেন তো এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি?
একজনের কাছে যা গুণ আরেকজনের কাছে তা দোষ!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দারুণ...
(দেখি, আজকে স্বপ্নে জীবনানন্দের সাথে দেখা হয় কিনা)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম। একটা লোক স্বপ্ন বিক্রি করত। বিভিন্ন দামের সেসব স্বপ্ন। আটানা, এক টাকা, দুই টাকা। কী ধরনের আকাশের স্বপ্ন, পানির নিচের জগতের স্বপ্ন যেকোনো ধরনের স্বপ্ন দেখতে চাইলে একটা পুরিয়া কিনে রাতেরবেলা বালিশের নিচে রেখে দিতে হয়...
আপনার কথা শুনে সেই গল্প মনে পড়ল!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সাক্ষী সত্যানন্দ ভাই আপনি তো সুবিধার লুক না। বিজ্ঞানের লুক হয়ে আইনস্টাইনকে বাদ দিয়ে জীবনান্দকে দেখার চেষ্টায় আছেন। সবি যদি আপনারা দেখে ফেলেন তাহলে আমরা কি দেখব?
মাসুদ সজীব
আজকে মান্না দে কে দেখার চেষ্টা করতে পারেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আজকে মান্না দের কাটতি বেশি হবে, সিরিয়াল পাবো না।
আমি ৩জন থাকলে ও ভাগ্যের সময় প্রতিবারি থার্ড হতাম, তাই বাদ স্বপ্নের বেচাকেনা।আমি আরাম করে ঘুমাই।
মাসুদ সজীব
আপনারা রাতের স্বপ্ন দেখাকে প্ল্যানচেটের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন! কাজটা কি ঠিক হচ্ছে?
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম।খুব ভালো লাগল ।
তাই নাকি? ধন্যবাদ। আরো লেখার চেষ্টায় আছি ফুরসত বুঝে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
স্বপ্ন দুটকে ফিকশন মনে হচ্ছে।
সৈয়দ গোলাম নবী [অতিথি]
এলোমেলো স্বপ্ন। অল্প দু-চারটা ছবি। কিছু অনুভূতি।
আমি স্রেফ একটু গুছিয়ে লিখেছি, এই আর কি! তাই অত ফিকশন ফিকশন মনে হচ্ছে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কেন জানি আমার একটুও মনে হয় না সুনীল মারা গেছে।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমারও না!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মন খারাপ কেন অনিকেতদা? তওবা কইরা বল কেলাডা চাড়েন তো ওস্তাদ! মন ভালো হয়ে যাবে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আজকাল স্বপ্ন দেখাই ভুলে গেছি মনে হয়। ভালো লাগলো আপনার স্বপ্নগুলো। ব্যাখ্যা না দিলেও চলতো কিন্তু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছি নিজের আফসোসের কথা বলতে আর কি! আমি সবসময়ই প্রচুর স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আগে প্রায় সবই মনে থাকত ঘুম থেকে উঠে। এখন অল্পস্বল্প মনে থাকে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কেন জানি আমার একটুও মনে হয় না সুনীল মারা গেছে।
facebook
হুমম। সত্যি কথা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সুন্দর লেখা।
ঘুমিয়ে যে সব স্বপ্ন দেখি, জেগে তাদের মনে করতে পারি না।
জেগে যেসব স্বপ্ন দেখি তাদের দেখি ক্রমাগত ঘুমিয়ে পড়তে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হা হা হা। বেশ কাব্য করে বলেছেন তো, জেগে দেখা স্বপ্নরা ঘুমিয়ে পড়ে!
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
গতকাল দৈনিক সমকাল এর শুক্রবারের সাপ্লিমেন্টারি 'কালের খেয়া'র প্রচ্ছদ ছিলো জীবনানন্দ দাস, শামসুর রাহমান আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে। আমি একটু চমকে গেলাম। দাস বাবু আমার জন্মের আগেই চলে গেছেন। তাঁর মৃত্যু আমাকে নাড়িয়ে দেয়ার কথা নয়। কিন্তু বাকী দু'জন? শামসুর রাহমান চলে গেছেন ৭ বছর আগে!! আর সুনীল গাঙ্গুলী'র চলে যাওয়ার ১ বছর পেরিয়ে গেলো? কি কান্ড!!!
****
মৃদুল, স্বপ্ন মনে রাখতে পারাটাও অনেক বড় গর্বের বিষয়।
আশা করছি স্বপ্নে পাওয়া প্লট দিয়ে আপনার অনেক উপন্যাস তৈরী হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
সুনীলের মৃত্যুর এক বছর হয়ে গেছে শুনেই আমি ধাক্কা খেয়েছি বেশি!
আমি যে এই জীবনে কী বিচিত্র আশ্চর্য সব স্বপ্ন দেখেছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
স্বপ্ন মনে রাখা গর্বের বিষয় কিনা জানি না। কিন্তু আমি এত অদ্ভুত সব জায়গায় স্বপ্নে ঘুরে বেড়িয়েছি যে, সেই জায়গার দৃশ্যগুলো এখনো ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়!
অন্য এক অদেখা ভুবনের ছবি সেসব! কী করে এগুলো দেখলাম আমি?
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
নতুন মন্তব্য করুন