ছেলেবেলায় গ্রামে বেড়াতে যাওয়াটা ছিলো আমাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের! কারণ পথে নানাবাড়ি থামা হতো দু’দিন। নানাবাড়ি মফস্বল শহর। প্রধান সড়কের শহুরে বাউন্ডারি পেরোলেই বাড়িটি। একে ঘিরে ক্ষেত, পুকুরঘাট আর সর্পিল রাস্তা। সেই মেটে রাস্তার মাঝ বরাবর ঘাস ক্ষয়ে গিয়ে তৈরী হওয়া সিঁথি পথ ধরে অনেকদূর দৌড়ালে চলে যাওয়া যায় একদম শেষ প্রান্তে, আবার লোকালয়ে।
সারাদিন উঠান আর ক্ষেতের প্রান্ত ধরে ...
মাথার ডান কোণে হাত চাপা দিয়ে বসে আছে রোদেলা। সেখানে দপ্ দপ্ করে ব্যথা করছে। গতরাতে ডিউটি ছিলো হাসপাতালে, আজ ঘুম হওয়াটা জরুরী ছিলো খুব।
ঘূর্ণ্যমান ফ্যানের দিকে চেয়ে থাকা, পাশের ঘর থেকে অবিরাম কাশির শব্দ আর মাঝে মাঝে আতংক ধরিয়ে দেয়া দু একটি কুকুরের ডাক......... এই এক চক্রে রাত কাবার। তবু আরেকটু বেশী সময় না নিয়েই উঠে পড়ে সে। হাসপাতালে যাবার সময় হয়ে এলো।
মুখ হাত ধুয়ে, কাপড় পাল্টে বেরোব...
১
আমরা যখন খুব ছোট, সেই সময় বাবা পেশার খাতিরে কিছুদিন ঢাকা-কুমিল্লা যাওয়া আসা করতেন। মনে পড়ে, বাবা প্রতি বৃহস্পতিবার কুমিল্লা হতে ঢাকা আসতেন। দুদিন থেকে আবার ফিরে যেতেন। আমি সারা সপ্তাহ ধরে বসে থাকতাম বৃহস্পতিবারটির জন্য। ঐ দিনটির জন্য আমি জানি, আমার বাবাও অপেক্ষা করতেন প্রতিদিন।
প্রতি শনিবারে বাবা ফিরে যাবার সময় জিজ্ঞেস করতেন, “তোমার জন্য কি আনবো মামণি?” আমি পাশে হাঁটতে হাঁ...
অতঃপর সময় করে গিয়েছিলাম সেই 'লং-উড গার্ডেন'। ঢুকে দেখি সমস্ত পাতা ঝরে গেছে! শরৎ শেষ হয়ে শীত চলে এসেছে। তবুও দু'চারটে এরকম গাছ পেলাম। দেখে দেখে চোখে আগুন ধরে যাচ্ছহিলো প্রায়!
সামনেই বিশাল 'কাউ লট'।
সেখানে ঘাস আর ঘাসের উপর এভাবেই ঝরা পাতা
যখন ভাবছিলাম কিছুই তো নেই আর কি দেখি....তখন আশা নিয়ে 'consevatory' তে পা রাখলাম।
লিফটের দরজা খুলতেই চারদিকে নানা রঙের ফুল আর গাছের সমারোহে দিশেহারা অব...
১। শরৎ করছে আসি আসি.....
২। রঙ রসহীন রুক্ষতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হাসি দিচ্ছে সে, ঠোটময় কমলা আভা নিয়ে....
শরৎ দেখবো বলে বেরিয়েছিলাম আসে পাশেই..... যেতে যেতে পথে সেই বিশাল বাগান পরলো, নাম "লং-উড গার্ডেন"। প্রায় ১,০৫০ একর জমি নিয়ে এই বাগান পেনসিল্ভ্যানিয়া স্টেটে অবস্থিত। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, ভেতরে না ঢুকেই ফিরে এলাম সময় স্বল্পতার কারণে। খুব শিঘ্রই লম্বা সময় নিয়ে ঘুরে দেখতে যাবো বাগ...
জানালায় হেলান দিয়ে গুন গুন করে ওঠে অনন্ত,
-জীবন পাত্র উচ্ছরিয়া মাধুরী করেছো দান। তুমি জানো নাই, তুমি জানো নাই.......
-গান বা কবিতা............কোনটাই কিন্তু হচ্ছেনা!
আলতো হেসে মাথা নাড়তে থাকে অপলা, ঝুন ঝুন শব্দে নেচে ওঠে ঝুমকো জোড়া।
-সে জানি! মনের ভাবনাটুকু অক্ষর আর শব্দ দিয়ে সাজাচ্ছিলাম মাত্র।
-“তাই বুঝি?” অপলা হাত বাড়িয়ে এলোমেলো করে দেয় অনন্তের কোঁকড়ানো চুলগু্লো।
“তবে যে খুব চলে যাও রো...
ঈদের দিন সকালে উঠিয়াই দন্ত মার্জন পর্ব সারিয়া হন্তদন্ত করিয়া গাড়ি চালাইয়া হাজির হইলাম ডাগদর সাহেবের বাড়ি। তবে কোন চিকিথসা চাহিবারে নহে। ঈদের সকালের নাস্তা ভোজন পর্বে যোগদান করিতে। অতঃপর আমাদের পদধূলি দরজার বাহিরেই রাখিয়া তাহাদের ঘরে প্রবেশ করিলাম এবং হাঁকাইয়া সকলকে ঈদ মোবারক জানাইলাম। কোলাকুলি পর্ব সমাপ্তির পর প্রজাপতির রন্ধিত জর্দা, সেমাই, চটপটি, কাবাব ও বিরিয়ানি খাইয়া খ...
হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে শুয়ে কিছু একটা ভাবছিলাম। কিন্তু ভাবনা ভেঙ্গে দিলো কোথ্থেকে আসা কাঁচা মাছের গন্ধ! নাক কুঁচ্কে উহ্হু বলবার আগেই টের পেলাম গন্ধ আর কোথাও না, আমার হাত দুটি থেকেই আসছে। পরিচিত পুরানো গন্ধ। মুহূর্তেই ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলাম কয়েক বছর আগের একটি দিনে….সেদিন মা’কে আদর করে জাপ্টে ধরে পরমুহূর্তেই ছেড়ে দিয়ে বলেছিলাম “উহ্হু! তোমার গায়ে মাছের গন্ধ!” তারপর আরেক দু...
ষড়্ ঋতুর দেশকে কিছুদিনের জন্য ছেড়ে, এলাম চার ঋতুর দেশে।
আমার অনেক শখের একটি হলো ছবি তোলা। তাই প্রায়ই একলা দুপুরে ক্যামেরা নিয়ে হেঁটে বেরিয়েছি বাড়ির আশে পাশের রাস্তায়, রাস্তার ধারে, ঘন গাছগাছালিময় কোন বাড়ির পেছনে, বাগানে সর্বত্র। এভাবেই মাঝে মাঝে টুকটুক করে ছবি তুলেছি প্রকৃতির। নানান ঋতুর। আমার শখের তোলা কিছু ছবি থেকে কয়েকটি এখানে দিলাম। সেই রকম তুলিনা লইজ্জা লাগে, তার উপর আম...
সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলতেই জানালা দিয়ে ঢোকা উজ্জ্বল আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে গেলো। চোখ বন্ধ করে আবারো একটু আরাম খুঁজলাম। মনে পড়লো আজ এই আবাসিক এলাকার বাৎসরিক পিকনিক! মাথা ঘুরে গেলো ঘড়ির কাঁটার দিকে, দেখি বেলা এগারোটা বাজে। উঠে পড়লাম। নতুন বাসা, নতুন পরিবেশ, চেনা জানা হোক।
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখি, মিষ্টি রোদে ছেয়ে আছে পুরো জায়গাটা। শীতের শুরু, সবুজ পাতাগুলো তখনও ঝরে যায়নি। দেখতে দেখতে চ...