আজ সাইন্স ডেইলিতে এক চমকপ্রদ খবর বেরিয়েছে। অ্যামেরিকান কেমিকেল সোসাইটির ২৩৫তম সম্মেলনে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রোনাল্ড ব্রেসলাউ (Ronald Breslow) এই খবর প্রকাশ করেছেন। তিনি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতক ছাত্র মিন্ডি লেভিন (Mindy Levine) কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত গবেষণায় এই ফলাফল বেরিয়ে এসেছে। চমকপ্রদ খবরটি হচ্ছে: বহির্জাগতিক কোন উল্কাই পৃথিবীতে জীবনের বীজ বহন করে নিয়ে এসেছিলো। জীবনের বীজ বলতে এখানে "বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড" (Left-handed Amino Acid) কে বোঝানো হচ্ছে। প্রথমেই বুঝে নেয়া দরকার বামাবর্তী অ্যামিনো এসিডকে জীবনের বীজ বলা হয় কেন।
অ্যামিনো এসিডের মাধ্যমেই যে জীবনের সূত্রপাত ঘটেছিল তা প্রায় সবারই জানা আছে। অনেক রাসায়নিক মৌলের মত এই এসিডেরও দুটি ভিন্ন বিন্যাস রয়েছে। একটি হল ডানাবর্তী তথা রাইট হ্যান্ড এবং অন্যটি বামাবর্তী তথা লেফ্ট হ্যান্ড। আমাদের ডান হাত এবং বাম হাত যেমন, এই ব্যাপারটাও ঠিক তেমন। রসায়নের ভাষায় এই ভিন্ন বিন্যাসের বিষয়টিকে কাইরালিটি (Chirality) বলে। পাশের ছবিটি দেখলেই কাইরালিটি বুঝে যাবেন।
এখন ব্যাপার হচ্ছে, জীবন সৃষ্টি যেকোন এক বিন্যাসের অ্যামিনো এসিড দিয়েই হওয়া সম্ভব। কারণ দুই বিন্যাস একসাথে থাকলে উভয়ে মিলে এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি করে যেখানে অ্যামিনো এসিড একেবারে ভিন্ন রকম আচরণ করে। অবশ্য এভাবে আচরণ করলে জীবনের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যই সাইজ করতে হয় অ্যামিনো এসিডকে। অর্থাৎ জীবন সৃষ্টি করতে হলে আগে জৈব পরিবেশে কেবল এক ধরণের অ্যামিনো এসিডের প্রাধান্য সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু ঝামেলা হল, অ্যামিনো এসিডের এই দুই বিন্যাস সমানে সমানে থাকে। কেউ কারও চেয়ে কম নয়। বলাই বাহুল্য প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে দুই ধরণের অ্যামিনো এসিডই সমপরিমাণে ছিল। দুইয়ে মিলে জীবনের সৃষ্টিকে অসম্ভব করে রেখেছিল। এই বিষয়ে প্রায় সব জীববিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদই একমত। তাহলে পৃথিবীতে জীবনের সৃষ্টি হল কিভাবে?
এ বিষয়ে অনেক দিন থেকেই দুটি ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। মত দুটি বুঝতে হলে কিভাবে কাইরালিটির কেবল একটি বিন্যাস প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে তা বুঝতে হবে। হ্যা, এটা সম্ভব, সমবর্তিত আলোর (Polarized light) মাধ্যমে। আলোর সমবর্তনের (Polarization) সাথে হয়তো অনেকেরই পরিচয় নেই। আমরা জানি, আলো আড় তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয়। আড় তরঙ্গ বলতে সাধারণ সাইন তরঙ্গের মত বোঝায়। অর্থাৎ এক প্রান্ত খুটির সাথে বাঁধা একটি দড়ির অপর প্রান্তে ঝাঁকুনি দিলে যে ধরণের তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তা। কোন উৎস থেকে নির্গত আলো সম্ভাব্য সবগুলো তলেই সমান বিস্তারে কম্পিত হবে। তলগুলো নির্ধারিত হয় তরঙ্গের গতিরেখার সাপেক্ষে। যেকোন একটি বিন্দু নিন, সেই বিন্দু থেকে তরঙ্গের গতিরেখা টানুন; দেখবেন এই গতিরেখার সাপেক্ষে যতগুলো তল আঁকা যায় সবগুলো তলেই আলো স্পন্দিত হয়। কিন্তু সমবর্তনের মাধ্যমে আলোকে কেবল একটি তলে কম্পিত হতে বাধ্য করা যায়। কেবল একটি তল বা সে তলের সমান্তরাল তলসমূহে কম্পমান আলোকে সমবর্তিত আলো বলে।
পাশের চিত্রটি দেখলে বুঝবেন। একটি ছাঁকনির মাধ্যমে আলোর সমবর্তন করা হচ্ছে। সমবর্তনের আগে সবগুলো তলে কম্পিত হচ্ছিল আলোক তরঙ্গটি। কিন্তু ছেঁকে ফেলার পর কেবল একটি তলেই কম্পিত হচ্ছে।
এতোক্ষণ একেবারে সাধারণ সমবর্তনের কথা বললাম। কিন্তু এই সমবর্তন মূলত তিন ধরণের: রৈখিক, বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তীয়। বৃত্তাকার সমবর্তনই আমাদের আলোচ্য বিষয়। নিচের এনিমেশনটি দেখলেই বৃত্তাকার সমবর্তন বুঝে যাবেন।
এখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন তলে স্পন্দিত আলো দর্শকের দিকে যাচ্ছে। দর্শকের কাছে মনে হচ্ছে আলোর তলগুলো সার্বিকভাবে ঘড়ির কাঁটার দিকে আবর্তিত হচ্ছে। এটাই হল ডান সমবর্তিত আলো। এই আলোকেই যদি ১৮০ ডিগ্রি কোণে অর্থাৎ উল্টোদিক থেকে দেখা হয় তাহলে মনে হবে তরঙ্গগুলো ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরছে। এটা হল বাম সমবর্তিত আলো। এটা আসলে নির্ভর করে তরঙ্গের গতিমুখ এবং কার সাপেক্ষে ধরা হচ্ছে তার উপর। দর্শকের গ্রাহকের সাপেক্ষে তাই এভাবেই বাম এবং ডান সমবর্তিত আলোর সৃষ্টি হয়। আর এই সমবর্তিত আলোই কাইরালিটিতে আঘাত হানতে পারে।
এবার মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক। বামাবর্তী এবং ডানাবর্তী অ্যামিনো এসিড একটি পরিবেশে সমপরিমাণে থাকে। কিন্তু সেই পরিবেশে উচ্চ শক্তির সমবর্তিত আলো পড়লে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়। অর্থাৎ কোন এক ধরণের অ্যামিনো এসিড ধ্বংস হয়ে যাওয়া। হয়তো ডান সমবর্তিত আলো ডানাবর্তী অ্যামিনো এসিড ধ্বংস করে দেয়। এভাবে পরিবেশে কোন একটি অ্যামিনো এসিড প্রাধান্য বিস্তার করলেই জীবনের সূচনা ঘটে। আর এরকম ডান বা বাম সমবর্তিত আলো তারা থেকে নিঃসরিত হয়, মূলত নিউট্রন তারাগুলোই এ ধরণের বৃত্তাকার সমবর্তিত আলো নিঃসরণ করে।
পৃথিবীতে কিভাবে বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড প্রাধান্য বিস্তার করলো তা ব্যাখ্যা করার জন্য দুটি অনুকল্প আছে। একটিতে বলা হয়, কাছাকাছি কোন নিউট্রন তারা থেকে নিসৃত সমবর্তিত আলো বিশাল পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছেছে এবং বিপুল পরিমাণ ডানাবর্তী অ্যামিনো এসিড ধ্বংস করে দিয়েছে। আরেকটি মতবাদ হল বহির্বিশ্ব থেকে এমন একটি উল্কা পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল যাতে বামাবর্তীর তুলনায় ডানাবর্তী অ্যামিনো এসিডের পরিমাণ বেশী ছিল। এতোদিন পর্যন্ত প্রথম তত্ত্বটিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। কিন্তু ব্রেসলাউয়ের গবেষণালব্ধ ফলাফল দ্বিতীয় মতবাদটিকেই সমর্থন যোগাচ্ছে। প্রথম মতবাদকে অবশ্য ভুল প্রমাণ করার কোন উপায় নেই। ব্রেসলাউ নিজেই তাই তাদের গবেষণাকে এভাবে দেখেছেন:
জীবন সৃষ্টির এই বীজ বহির্বিশ্বের কোথাও সৃষ্টি হয়েছিল এবং উল্কার মাধ্যমে সেগুলো পৃথিবীতে এসেছিল, এই মতের পক্ষে যে প্রমাণগুলো পাওয়া গেছে তা অভিভূত করে দেয়ার মত
ব্রেসলাউদের করা পরীক্ষাগুলোর মধ্যে প্রথমেই ছিল উপযুক্ত পরিবেশে অ্যামিনো এসিডের বিবর্তন লক্ষ্য করা। প্রচণ্ড উত্তাপ এবং সামান্য জল পেলেই বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড জীবন সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। ব্রেসলাউ সেরকম একটি পরিবেশ কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করে তাতে ডানাবর্তীর তুলনায় শতকরা পাঁচ ভাগ বেশী বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড দিয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছিলেন। বিস্ময়ের সাথে তিনি দেখেছেন, তিনি দেখেছিলেন জলের উপস্থিতিতে ডান ও বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কেলাস তৈরী করে। তাই জীবন গঠনের জন্য বামাবর্তী কেলাসের কোন বিকল্প নেই। এরপর তাদের চিন্তা শুরু হয়েছিল, কিভাবে পৃথিবীতে বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড আধিক্য লাভ করলো তা নিয়ে। সম্ভাব্যতার সূত্র অনুসারে, উল্কার ধারণাটিই জয়লাভ করেছে। কারণ পৃথিবীতে কোন নিউট্রন তারা থেকে সমবর্তিত আলো আসার সম্ভবনার থেকে কোন উল্কার নিউট্রন তারার পাশ দিয়ে অতিক্রম এবং পৃথিবীতে আগমনের সম্ভাবনা বেশী। আর এভাবেই বিষয়টির সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যা দেয়া যায়।
তার উপর নতুন এই প্রমাণ আরেকটি সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছে। তা হল বহির্জাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব। পৃথিবীতে যদি জীবনের বীজ সমৃদ্ধ এমন উল্কার পতন হতে পারে তবে অন্য গ্রহগুলোতেও এগুলোর পতন ঘটা স্বাভাবিক। সেই গ্রহগুলোর কোন একটিতেও যদি জল, উত্তাপ এবং এ ধরণের উপযুক্ত পরিবেশ থাকে তাহলেই হয়ে যায়। তাই নতুন এ আবিষ্কার কার্ল স্যাগানের মহাজাগতিক সঙ্গীতের মাঝে অনেক অনেক সুরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে। আসলেই হয়তো প্রাণের বিকাশ খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
*****
# সাইন্স ডেইলিতে মূল সংবাদ
মন্তব্য
ঘটনার থেকে বড় ঘটনা হলো-- আজকের সাইন্স ডেইলির সংবাদ আজকের সচলায়তনে এসেছে বাংলা হয়ে। অভিনন্দন শিক্ষানবিস!!!
ধন্যবাদ আপনাকে। সাইন্স ডেইলি ওয়েবসাইটটা দেখার পরপরই ভাল লেগেছিলো। এখন সেখানে অনেকগুলো নতুন খবর একসাথে আসছে। কারণ "অ্যামেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি" এর সম্মেলন চলছে। সবগুলো খবরই তাই এই সম্মেলন নিয়ে।
এই সাইটে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেটেস্ট গবেষণার খবরও পাওয়া যায়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
একমত। আরো লেখা চাই। আমি নিজেও অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আসলেই চমকপ্রদ ঘটনা। বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই উল্কার মাধ্যমে প্রাণের বীজ পৃথিবীতে এসে বলে ধারণা করে আসছলেন। আজ তারা প্রমান করতে পারলেন...
বেঁচে থাকতে থাকতে ভিন গ্রহেও প্রাণ আছে এমন সংবাদ শুনে যাবার আশায় রইলাম...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
হ্যা, এটাই সব থেকে বড় আশা। তবে তার আগে এমন গ্রহ খুঁজে পেতে হবে যেখানে অ্যামিনো এসিডের বিকাশের উপযোগী পরিবেশ আছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫০ 'র মত বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। শীঘ্রই আর্ও অনেকগুলো আবিষ্কৃত হবে আশাকরি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অ্যামিনো এসিড ঠিক কী ধরনের তাপমাত্রার পরিসরে টিকে থাকতে পারে?মহাকাশে চলমান উল্কার পৃষ্ঠদেশ বা অভ্যন্তরস্থ তাপমাত্রা কি অ্যামিনো এসিডের টিকে থাকাকে নিশ্চিত করতে পারে?
এমন কি হতে পারে, বায়ুমন্ডলের সাথে ঘর্ষণের ফলে উল্কা থেকে বিকিরিত আলোই হয়তো সমবর্তিত ছিলো, যার প্রভাবে স্বল্প স্থান ও কালজুড়ে বামাবর্তী অ্যামিনো এসিডের আধিক্য বৃদ্ধি পেয়েছিলো?
হাঁটুপানির জলদস্যু
খবরে যতদূর পড়লাম, তাতে বোঝা যায় গবেষক দল পুরো বিষয়টি কম্পিউটারে সিমুলেশন করেছেন এবং দেখেছেন নিউট্রন তারার কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় যে তাপমাত্রা থাকে তাতে অ্যামিনো এসিড টিকে থাকতে পারে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটা যা বুঝলাম, আপনি বোধহয় বলতে চেয়েছেন উল্কাটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর যেটুকু সময় পেয়েছে ততক্ষণ ঘর্ষণে উল্কা থেকে বিকিরিত আলো ছিল সমবর্তিত। এভাবে বৃত্তীয় সমবর্তিত আলো সৃষ্টি হওয়া সম্ভব কি-না তা জানি না। আর সম্ভব হলেও, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর ভূপতিত হওয়ার মধ্যকার সময় বেশ কম। এই স্বল্প সময়ের বিকিরণ কাজে দেবে বলে মনে হয় না।
সচল অভিজিৎ রায় এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। কারণ তার গবেষণার ক্ষেত্রের সাথে বোধহয় এর মিল আছে। পাশাপাশি তার "মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে" বইয়েই এ নিয়ে অনেক কিছুই লিখেছেন। অভিজিৎ রায় পুরো ব্যাপারটা আরও ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমিও অভিজিতদার জন্য অপেক্ষা করছি। কালকেই পড়েছি সায়েন্সডেইলির সংবাদ। কিন্তু কেমন যেন আমি নিশ্চিত নই, মহাবিশ্বে কোথাও এখনো এমিনো এসিডের ফ্যাক্টরি পাওয়া যায় নি তো ...
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এটা ঠিক। এ বিষয়ে নিঃসংশয় হয়ে কিছু বলার সময় আসেনি। আর অভিজ্ঞ না হওয়ায় এই নতুন গবেষণার গুরুত্ব সম্বন্ধে আমরা কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। অভিজিৎ রায়ই ভাল বলতে পারবেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমার কাছে আসলে যে অংশটুকু খটকা লেগেছে, কিংবা যে অংশটুকু বুঝতে পারিনি, তা হচ্ছে এমন।
অ্যামিনো এসিড যদি উল্কার উপরিতলে না থাকে, তাহলে নিউট্রন স্টারের কাছ থেকে বৃত্তীয় সমবর্তিত আলো পাওয়ার উপায় তার থাকে না। উল্কার ভেতরে তো আর আলো পৌঁছাতে পারছে না।
আর এ কথা আমরা সবাই জানি যে পৃথিবীতে যখন কোন উল্কা এসে পড়ে তখন তার উপরিভাগের প্রায় সবটুকুই ভস্ম হয়ে যায়, প্রচন্ড গতিবেগে বায়ুমন্ডলে প্রবেশের ফলে। যেটুকু অংশ মাটিতে এসে পড়ে তা অভ্যন্তরস্থ আঁটি বলা যেতে পারে, এবং সেটিও থাকে প্রচন্ড উত্তপ্ত অবস্থায়।
অ্যামিনো এসিড যদি উল্কার উপরিতলে থেকে নিউট্রন স্টারের বৃত্তীয় সমবর্তিত রোদ পোহানোর সুযোগও পেয়ে থাকে, পৃথিবীতে প্রবেশের পর কি আর টিকে থাকার সুযোগ তার থাকে? একেবারে ভস্ম হয়ে যাবার কথা নয় কি?
যদি উপরিতলে না থেকে আঁটির মধ্যে থাকে, তাহলে নিউট্রন স্টারের বৃত্তীয় সমবর্তিত আলো কিভাবে অ্যামিনো এসিডের নাগাল পেলো?
আপনি এ তত্ত্ব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য পেলে অনুগ্রহ করে শেয়ার করবেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হ্যা। এর পরে এ বিষয়ে কিছু জানলে শেয়ার করবো।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এরিক ফন দানিকেনের কথা মনে পড়ছে এই প্রসংগে। তিনিও বলেছিলেন যে গ্রহান্তরের আগন্তুকেরা পৃথিবীতে প্রাণ নিয়ে এসেছিল (নাকি মানুষ নিয়ে এসেছিল?)
লেখাটি খুব চমত্কার এবং টাটকা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
দানিকেনের একটা বই পড়ে ইন্টারে থাকতে চমৎকৃত হয়েছিলাম। এখন অবশ্য দেখছি বিজ্ঞানের চেয়ে অপবিজ্ঞানের প্রচারই বেশী করেছেন দানিকেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
দানিকেনের ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত। তবে যখন পড়েছিলাম, তখন বেজায় ভাল লাগেছিল।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
দানিকেন আধুনিক যুগের অন্যতম অপবিজ্ঞানী। এককালে আমিও পড়ে মুগ্ধই হয়েছিলাম।
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধারালো... কিন্তু সহজেই নিয়ে নেয়া যায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সেইরকম ব্যাপার স্যাপার দেখা যায়...
---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সবাই মিলে আমাকে যেভাবে 'বিশেষজ্ঞ' বানিয়ে ফেলেছেন তাতে আমি লজ্জিতই হলাম। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান নিতান্তই সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞান থেকেই কিছু আলোচনা করা যাক।
আগে মনে করা হত মহাকাশের বিশাল দূরত্ব, তেজõিয়তা, বায়ুশূন্যতা ইত্যাদি সামলিয়ে সুদূর বহির্বিশ্ব থেকে কোন অনুজীবের পৃথিবীতে এসে প্রাণের উন্মেষ ঘটানো স্রেফ অসম্ভব একটি ব্যাপার। সন্দেহের কারণ আছে।
উনবিংশ শতকের শেষার্ধে যখন স্বতঃজননবাদ গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হচ্ছিল না, তখন প্রাণের উৎপত্তির পেছনে অন্য একটি অনুকল্প প্রস্তাবিত হয়। তার মূল কথা হল জীবনের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিল মহাবিশ্বে। সেখান থেকে পৃথিবীতে জীবন এসেছে। এ অনুকল্পের নাম বহির্বিশ্বে জীবনের উৎপত্তি তত্ত্ব। প্রথম দিকে রিখটার, আরহেনিয়াস (তাঁর অনুকল্পের নাম ছিলো 'প্যানস্পার্মিয়া', এবং পরবর্তীতে ব্রুকস, শ’, ক্রিক, হয়েল, বিক্রমসিংহ প্রমুখ এই তত্ত্বের প্রচারক ছিলেন। তাদের মতে পৃথিবীর বাইরে কোন গ্রহে বা অন্য কোথাও জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল। সেখান হতে প্রাণ স্পোর বা অনুবীজ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিল। কিন্তু মহাশূন্যের পরিবেশ এই আন্তঃগ্রহ পরিভ্রমনের জন্য এতই প্রতিকুল (নিম্নমাত্রার তাপ, বায়ুর অনুপস্থিতি, উচ্চশক্তির বিকিরণ, অকল্পনীয় দূরত্ব ইত্যাদি) যে এভাবে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ এবং টিকে থাকার সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। কার্ল স্যাগান আর শকোভস্কি ১৯৬৬ সালে অনুজীবের আন্তঃনাক্ষত্রিক পরিভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা হিসেব করে দেখিয়েছেন, অণুজীবগুলো যদি এক মাইক্রনের কম হয় তবে সেগুলোর পক্ষে পৃথিবীতে জীবন ধারণের উপযোগী অঙ্গাণুধারণ করা সম্ভব নয়। আবার অণুজীবগুলো যদি এক মাইক্রনের বেশী হয় তবে পৃথিবীর মত অন্য কোন গ্রহ থেকে এই ধরোনের প্রাণকণা নির্গত হয়ে পৃথিবীতে চলে আসা খুবই কঠিন। আর বিকিরণজনিত বিভিন্ন কারণে সেগুলোর পুড়ে যাবার সম্ভাবনা তো আছেই। তারপরও তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, ঠিক ঠিক এক মাইক্রনের অনুজীবেরা কোন না কোন ভাবে পৃথিবীতে আসতে সক্ষম হয়েছিলো, স্যাগান আর শকোভস্কি হিসেব দিয়েছেন যে, পৃথিবীকে একশ’ কোটি বছরে একটি মাত্র এ ধরণের স্পোর পেতে হলে আমাদের গ্যালাক্সির ১০০টি প্রাণধারণক্ষম গ্রহকে একসাথে ১০০০ টন অনুবীজ ছড়াতে হবে। কিন্তু আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনের ১০০টি গ্রহ তো দূরের কথা, পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন জীবনবাহী গ্রহের সন্ধানই এখনো মেলেনি। আর তাছাড়া যদি ধরেই নেওয়া হয়, বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিয়ে প্রাণের বীজ এ পৃথিবীতে এসেছিল, তা হলেও প্রশ্ন থেকে যায় বহির্বিশ্বেই বা কি ভাবে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল? তার মানে পৃথিবীর ক্ষেত্রে যে সমস্যাটির সমাধান করা যাচ্ছিল না, বহির্বিশ্বের দিকে ঠেলে দিয়ে সেই সমস্যাটিকে পেছানোর প্রয়াস নেয়া হল মাত্র। প্রাণের উৎপত্তির পেছনে ওপারিন-হাল্ডেন প্রস্তাবিত অজৈবজনি বা 'রাসায়নিক উৎপত্তি তত্ত্ব'টিই এখনো বিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু গবেষণালব্ধ ফলাফল প্যানস্পারমিয়া বা ‘বহির্বিশ্বে প্রাণের উৎপত্তি’ তত্ত্বটিকে আবারো সামনে ঠেলে দিয়েছে। ইদানিংকালে এটি অনেক বিজ্ঞানীদের কাছ থেকেই জোরালো সমর্থন পাচ্ছে।
মহাবিশ্বের অন্যত্র প্রাণের অস্তিত্ব থাকার এই তত্ত্ব জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ALH84001 নামের মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা একটি উল্কাপিন্ড। গত কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা দুই ধরনের মঙ্গলের উল্কাপিন্ড বিশ্লেষণ করে আসছেন। বিজ্ঞানীরা উল্কাপিন্ডের মধ্যেকার মাইক্রোস্কোপিক ব্যাক্টেরিয়ার ফসিলের আকৃতির ছবি তোলেন এবং দেখেন যে এতে পাওয়া অনুজীবের সাথে পৃথিবীতে পাওয়া অণুজীবের মিল রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অবশ্য কোন ভাবেই প্রমাণ করার উপায় নেই যে, এই আকৃতি সত্যিই মঙ্গলের ব্যক্টেরিয়ার ফসিল নাকি মাইক্রোস্কোপিক প্রস্তর গঠনের বিচিত্ররূপ মাত্র। এ ছাড়া উল্কাপিন্ডটি পৃথিবীতে আছরে পড়ার পর পৃথিবীর বায়ুমন্ডল দিয়ে দূষিত হবার সম্ভাবনা তো আছেই।
জীবনবাহক উল্কাপিন্ডদেরকে মহাকাশের শুন্যতা, তাপমাত্রার চরম অবস্থা এবং কয়েকটি বিভিন্ন ধরনের বিকিরণকে মোকাবিলা করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে সূর্যের উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন অতিবেগুনী রশ্মি যা জৈবিক অণুর কার্বন পরমাণুর বন্ধনকে ভেঙ্গে দেয়। তবে ূআ থেকে বাচাঁর উপায়ও খুব সোজা। এক মিটারের মিলিয়ন ভাগের একভাগ সমান দৈর্ঘের অসচ্ছ বস্তুই একটি ব্যক্টেরিয়াকে রক্ষা করার জন্যই যথেষ্ট। নাসার পক্ষ থেকে সম্পাদিত একটি পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, নাসার LDEF ছয় বছর ধরে মহাশূন্যে Bacillus Subtilis ব্যকটেরিয়ার অনুজীব বহন করেছিল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, খুব পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের আস্তরণই আশি শতাংশ অনুজীবকে তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। অন্যদিকে এলুমিনিয়াম ঢাল দিয়ে প্রতিরোধ না করা অণুবীজগুলোর যদিও অধিকাংশই অতিবেগুনী রশ্মির আক্রমনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপরও সবগুলো কিন্তু নয়। ূআ ঢালবিহীন অণুবীজগুলোর প্রতি দশ হাজারে অন্ততঃ একটি অণুবীজ বেঁচে ছিল। গ্লুকোজ এবং লবনের মতো উপাদানের উপস্থিতি তাদের টিকে থাকার হারকে বাড়িয়ে দেয়। দেখা গেছে ক্ষুদ্র ধূলিকণার আস্তরণের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্টেরিয়ার কলোনীকে সৌর বিকিরণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে না। আর এই কলোনি যদি নুড়ি আকৃতির কোন প্রস্তর খন্ডের মধ্যে থাকে তবে সেটার অতিবেগুনী রশ্মি প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক অনেক বেশি পরিমাণে। নাসার এ পরীক্ষা কার্ল স্যাগান আর শকোভস্কির অনুকল্পের বিপরীতে গেছে বলেই মনে হয়।
আরেকটি ব্যাপারে রহস্য ছিল। এতদিনকার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে সমস্ত অ্যামাইনো এসিড উল্কাপিন্ডের উপর ভর করে এই পৃথিবীতে এসেছে সেগুলোর সাথে পৃথিবীতে তৈরী অ্যামাইনো এসিডের পার্থক্য রয়েছে বিস্তর। মহাকাশের উèাপিন্ডের সাথে আসা অ্যামাইনো এসিডগুলোর মধ্যে কিছু বামাবর্তী এবং কিছু ডানাবর্তী ফলে এগুলোর কোন আলোক ক্রিয়া নেই। কিন্তু পৃথিবীতে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী অ্যামাইনো এসিডগুলো সবই বামাবর্তী । এ ছাড়া এমন কিছু অ্যামাইনো এসিড উল্কাপিন্ডে পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর কোন জীবে দেখা যায় না। তাই অধিকাংশ বিজ্ঞানী মনে করতেন এ সব অ্যামাইনো এসিড থেকে পৃথিবীর অ্যামাইনো এসিড তৈরী হতে পারে না। সাইন্স ডেইলিতে প্রকাশিত নতুন ফলাফল হয়ত প্যান্সপারমিয়াকে জোরদার করবে। তারপরো শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এ মুহূর্তে আমাদের ভবিষয়তের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া গত্যান্তর নেই।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
আপনার বইয়ে এ বিষয়ে কিছু পড়েছিলাম। এখানে আরও পড়লাম। আগ্রহভরেই ভবিষ্যৎ গবেষণার পানে চেয়ে রইলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আজ যে গুড়া, কালকে সেই বুড়া!
আজ যারা দেয় হামাগুড়ি, কালকে তারাই বুড়াবুড়ি!
আজ যা কল্পবিজ্ঞান, কাল তাই বিজ্ঞান।
অপ্রাসংগিক ব্যাপার: আমি কিছুদিন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টে দৌড়াদৌড়ি করেছিলাম। সঙ্গত কারনেই রোনাল্ড ও মিন্ডি দুজনকেই চিনি। রোনাল্ড মানুষটা বেশ ভালো কিন্তু মিন্ডি পোলাটা হারামজাদা টাইপ। এই পোলা এত বিখ্যাত হয়ে গেলে বড়ই বিপদ!
কি মাঝি? ডরাইলা?
হীরক রাজার দেশের অসাধারণ সব ছড়া থেকে যেটুকু শেয়ার করলেন, সেটুকু পড়ে খুব মজা পেয়েছি। আসলেই, আজ যা কল্পবিজ্ঞান কাল তাই বিজ্ঞান।
আমাদের আসলে কিছুই করার নাই। যেমন তেমন ব্যবহার হলেও কত লোকে বিজ্ঞানী বনে যায়। নিউটন বা ওয়াটসনের কথাই ধরেন। অবশ্য মিন্ডির বিখ্যাত হতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে। সবে তো শুরু করলেন তারা। একেবারে ভুলও প্রমাণিত হয়ে যেতে পারে।
সো আপাতত দুশ্চিন্তার কারণ নাই। আর মিন্ডির একটু গীবত শুনতে ইচ্ছা করতেছে। এই মানে ব্যবহার ট্যাবহার কেমন আর কি। লোকটা তো সুবিধার মনে হইতেছে না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
কল্পবিজ্ঞানের কি কি পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিয়ে লিখতে চাচ্ছি। শিরোনাম ঠিক করে ফেলেছি: "আজ যা কল্পবিজ্ঞান, কাল তাই বিজ্ঞান"।
আপনার পেটেন্ট টা মেরে দিলাম। আপনি নিশ্চয়ই পেটেন্টের ধার ধারেন না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
উল্কাপিন্ড থেকে পৃথিবীতে প্রাণ এসেছে, এই মতবাদ অনেক দশক আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও কল্পকাহিণী লেখক ফ্রেড হয়েল ( এ ফর এন্ড্রমেডা) ও তাঁর শিষ্য জয়ন্ত বিষ্ণু নরলিকার প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হয়েলের স্থির (স্টেডি স্টেট) বিশ্বের তত্ত্বের মত এই মতবাদও অধিকাংশ বিজ্ঞানী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রাণের উৎস পৃথিবী থেকে উল্কাতে সরিয়ে কোন লাভ নেই - এটাই ছিল গরিষ্ঠ মত।
পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম পর্বে বায়ুতে মিথেন ও নাইট্রজেনের প্রাধান্য ছিল জানা যায়, এবং এমন বায়ুমন্ডলে বিদ্যুৎ চমকালে এ্যামাইনো এসিড সৃষ্টি হয়, এটা গবেষণাগারেও প্রতিষ্ঠিত। বামাবর্তী আর দক্ষিণাবর্তীর মধ্যে যে কোন একটাই জিতে যেতে পারত অণু পর্যায়ে প্রজনন শুরু হওয়ার সময়ে। কোনটি এখন আছে, সেটা পয়সা ছুঁড়ে হেড না টেইল বাছাইয়ের অনুরূপ।
এটা ঠিক যে প্রাথমিক বল্গুলির মধ্যে দুর্বল নিউক্লীয় বল একমুখী, এবং কেন সেটা শুধু এক দিকে আবর্তমান নিউট্রিনোর জন্ম দেয়, তার গ্রহণযোগ্য কারণ কারো জানা নেই। অনেক জীব-পদার্থবিদ এক সময়ে ( এমন কি এক জীব-পদার্থবিদকে (দ্বিতীয়) বিয়ে করার পরে আব্দুস সালামও ) এ নিয়ে অনেক মাথা ঘামিয়ে কুল-কিনারা পান নি। এই দুর্বল বল এতই দুর্বল যে অণু গঠনে তার কোন ভূমিকা নেই।
আলবামার মেম্বর সায়েবের কথামতোন মিন্ডি ব্যাটা যদি বদ হয়, তাইলে আমি এই অনুকল্প মাইনা নিতে পারুম না।
লেখা সুস্বাদু হইসে। এইটা দিয়া লাঞ্চ সারতেসি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ধন্যবাদ শিক্ষানবিস
এই বিষয়গুলোতে কমেন্ট করার সামর্থ নেই আমার
আমি একজন পাঠক
আরোও পড়তে চাই
নতুন মন্তব্য করুন