২০০৮ সালের ২৫শে মে, রোজ সোমবার, ইউটিসি সময় ২৩:৪৬; মঙ্গল পৃষ্ঠে আলতোভাবে অবতরণ করলো ফিনিক্স ল্যান্ডার। বাংলাদেশ সময় ধরলে ২৬শে মে সকাল ৫:৪৬-এর ঘটনা এটা। ১৯৯৭ সালে মার্স পাথফাইন্ডার যখন মঙ্গলে অবতরণ করে তখনই সাধারণ্যে বিপুল উত্সাহের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ পাথফাইন্ডার মঙ্গলের সুন্দর সুন্দর ছবি পাঠাচ্ছিল। ফিনিক্স সেই পাথফাইন্ডার থেকে অনেক অনেক সমৃদ্ধ।
ফিনিক্স পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য মঙ্গলে অণুজীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা যাচাই করা এবং সেখানে পানির ইতিহাস খতিয়ে দেখা। এজন্যই ফিনিক্সকে মঙ্গলের উত্তর মেরুর একটি মরুময় স্থানে অবতরণ করানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এখানটায় ভূপৃষ্ঠের সামান্য নিচেই বরফ আছে। ফিনিক্সের সাথে দুইটি বিশাল বিশাল রোবটিক বাহু যুক্ত করা আছে। এই বাহু দিয়েই চলবে খনন কাজ। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, ফিনিক্সের কাজগুলো জীবনকেন্দ্রিক। এটা যেন ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনেরই পূর্ব উদ্যোগ। তিন মাস মঙ্গলের ভূমিতে জরিপ এবং গবেষণা কাজ চালাবে ফিনিক্স ল্যান্ডার। এরপর কক্ষপথে আবর্তনরত মূল নভোযানের সাথে মিলিত হবে। তারপর নতুন কোন মিশনের জন্য আবার প্রস্তুত হতে শুরু করবে।
ফিনিক্সের এই অবতরণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। প্রথমত, অবতরণ নিয়েই অনেক সংশয় ছিল। কারণ ফিনিক্স যখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন তার বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১,০০০ কিলোমিটার। সেখান থেকে মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে তার বেগ ঘণ্টায় মাত্র ৮ কিলোমিটারে নামিয়ে আনতে হয়েছিল। ১০ মাসে ৬ কোটি ৮০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে ফিনিক্স। তার মধ্যে এই ৭ মিনিটই ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তার উপর ফিনিক্সের অবতরণটি ছিল আলতো। ল্যান্ডারের অবতরণ দুই ধরণের হতে পারে। একটি হল এয়ার ব্যাগের মাধ্যমে যা সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়। অন্যটি হল প্যারাশ্যুট ফুলিয়ে আলতো অবতরণ। ১৯৭৬ সালে ভাইকিং ২ এর পর এটিই মঙ্গলে প্রথম আলতো অবতরণ। আর ইতিহাসে এটি তৃতীয় আলতো অবতরণ।
এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব হল, এই প্রথমবারের মত কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত মিশন অন্য কোন গ্রহে অবতরণ করল। ফিনিক্স অভিযানের মূল নেতৃত্বে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার" লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ল্যাবরেটরি। আর সহযোগিতায় ছিল নাসার "জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি" এবং লকহিড মার্টিন স্পেস সিস্টেম্স নামক মহাকাশ কোম্পানি। অভিযানের শেষ ৭ মিনিট এই সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কমকর্তারাই অধীর আগ্রহে যার যার কন্ট্রোল রুমে বসে ছিল। জেপিএল এর কন্ট্রোল রুমে ছিলেন স্বয়ং নাসা প্রশাসক মাইকেল গ্রিফিন। অবতরণের সাথে সাথে অ্যারিজোনার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ফিনিক্সকে মঙ্গলের উত্তর ভূমিতে স্বাগত জানালেন। আর মইকেল গ্রিফিন বলে উঠলেন, "এখানে বসে এই অনন্যসাধারণ অর্জন দেখে যতটা আনন্দিত হয়েছি ততটা আনন্দিত আর কিছুতেই হতে পারতাম না।"
ফিনিক্স মঙ্গলে নামলো আর মানুষের ভিনগ্রহে উপনিবেশ স্থাপনের প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। নাসার এই প্রশাসকই ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৩৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ থাকবে। বিশেষভাবে ২০৩৭ সাল বলার কারণ, তিনি চান ২০৫৭ সালে মহাকাশ যুগের ১০০ বছর পূর্তি উত্সব ধুমধামের সাথে মঙ্গল এবং চাঁদে একযোগে পালিত হোক। এই উত্সবের প্রস্তুতির জন্যই ২০৩৭ থেকে ২০৫৭ এই বিশটি বছর বেছে নিলেন। কিন্তু মার্স সোসাইটি চাইছে আরও আগেই মঙ্গলে যাওয়া হোক। কারণ মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর সকল প্রযুক্তি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রয়োজন কেবল সদিচ্ছার। নাসার সাথে মার্স সোসাইটির মতানৈক্য এখানেই। নাসা চায় আগে চাঁদে ফিরে গিয়ে উপনিবেশ স্থাপন করতে। চাঁদে অনুশীলন শেষ হয়ে গেলে তারপর মঙ্গলে যাওয়া যাবে। কারণ চাঁদে যেতে মাত্র ৩ দিন লাগে যেখানে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক কম। কিন্তু মঙ্গলে যেতে লাগে ৬ মাস। নভোচারীরা সে অভিযানে অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। তরপরও মার্স সোসাইটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তারা ১২ জন নভোচারী নির্বাচন করে ডেথ ভ্যালিতে মঙ্গলীয় অনুশীলন চালাচ্ছে। ফিনিক্সের মঙ্গল অবতরণের ক্ষণটিও বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করেছে এই সোসাইটি।
যেভাবেই হোক ২০৩৭ এর মধ্যে যে মঙ্গলে মানুষ যাচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া এবং চীনও মঙ্গলের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। রাশিয়া তো বানর পাঠানোর পরিকল্পনাও করে ফেলেছে। আসলেই তো। আমাদের আরও আগেই মঙ্গলেও যাওয়া উচিত ছিল। আমেরিকার অ্যাপোলো অভিযানের যুগের লোকেরা কেউ কখনও ভাবতে পারেনি যে ২০০৮ সালে আমাদের মহাকাশ অভিযানের অবস্থা এতো করুণ হবে। তখনকার সময়ের সব কল্পবিজ্ঞান এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থেই এর প্রমাণ মিলে। বাংলাদেশের বিখ্যাত বিজ্ঞান লেখক আবদুল্লাহ আল-মুতীও আশা করেছিলেন, একবিংশ শতকের প্রথম দশকেই মানুষ মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপন করবে।
কার্ল সেগান বলতেন, মানুষের অন্তত দুটি উপনিবেশ থাকা প্রয়োজন। কারন যেকোন দুর্ঘটনায় পৃথিবী গণ-বিলুপ্তির শিকার হতে পারে। আর এরকম উপনিবেশ স্থাপনের জন্য মঙ্গলই সবচেয়ে উপযোগী। কারণ মঙ্গলের দিন ২৪ ঘণ্টার কাছাকাছি এবং সেখানে ঋতু বৈচিত্র্যও পৃথিবীর মত। এই সব কিছু মাথায় রেখে ফিনিক্স অভিযানে নেমেছে। তার আসল কাজ সেখানে মানব বসতির উপযোগী পরিবেশের সন্ধান করা। এজন্য অবতরণের সময় মঙ্গলের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান কৃত্রিম উপগ্রহগুলো থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তাকে। মার্স রিকনিসন্স অরবিটারের "হাইরাইজ" নামক ক্যামেরার মাধ্যমে কক্ষপথ থেকেই ছবি তোলা হয়েছে, ছবি থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে প্যারাশ্যুট ফুলিয়ে ফিনিক্সের নিম্ন গমন। এর মাধ্যমে মূলত অবতরণ স্থানগুলো সব চেখে দেখা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোথায় নামলে ভাল হবে তা নির্ণয় করা হয়েছে।
ফিনিক্সের সাথে একটা বিশেষ ডিভিডি আছে। প্ল্যানেটারি সোসাইটি কর্তৃক নির্মিত এই ডিভিডির নাম "দ্য ফিনিক্স ডিভিডি"। ভবিষ্যতে যারা মঙ্গলে যবে তাদের স্বাগত জানানোই এই ডিভিডির কাজ। একে বলা হচ্ছে মঙ্গলের প্রথম লাইব্রেরি। কারণ এতে মঙ্গল নিয়ে রচিত সকল সাহিত্যের সংকলন স্থান পেয়েছে। এইচ জি ওয়েল্সের ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস আছে, সাথে আছে অরসন ওয়েল্সের রেডিও বিবরণী। বর্তমান যুগ পর্যন্ত সবই আছে। পৃথিবীর নানা প্রান্তের অসংখ্য মনুষের পাঠানো বার্তাগুলোও আছে এই ডিভিডিতে। সব মিলিয়ে একটা অসাধারণ গবেষণা ও জরিপ কাজের সূচনা করতে যাচ্ছে ফিনিক্স। নামার সময় তার কোন ক্ষতিই হয়নি। বিজ্ঞানীরা অনেকটাই বিস্মিত। এখন পর্যন্ত সব ঠিকমতো চলছে। আজই খবর এসেছে, ফিনিক্স খননকাজ শুরু করার জন্য তার রোবোটিক বাহুগুলো প্রস্তুত করা শুরু করেছে। একটু পর থেকেই শুরু হবে মঙ্গল বিদারণ। মঙ্গলকে হার মানতেই হবে মানুষের কাছে। জীবনকে আর বুঝি ঠেকিয়ে রাখতে পারলো না সে।
×××××××
মঙ্গলে নামছে ফিনিক্স। মার্স রিকনিসন্স অরবিটারের হাইরাইজ ক্যামেরা থেকে তোলা।
ফিনিক্সের তোলা মঙ্গল পৃষ্ঠের ছবি
মন্তব্য
বাহ্!! মঙ্গলে বসতি স্থাপন...
হলে তো খুব ভালো হয়। তবে তুই এক কাজ করিস ইউনিভার্সিটির প্রফেসররা যারা এই মিশনের দায়িত্বে আছে তাদের একটু জানাই দিস যে, মঙ্গলে নেটের লাইন আছে কিনা সেইটা একটু পরীক্ষা করে দেখতে। নেট না থাকলে আমি ক্যান কেউই ওইখানে থাকতে যেতে রাজি হবেনা...
---------------------------------
হুম। মঙ্গলেও ইন্টারনেটের সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে। সুতরাং নিশ্চিন্তে মঙ্গলে চলে যেতে পারিস। বিরক্তিকর আর কষ্টদায়ক জিনিসগুলো থাকবে না। যা ইচ্ছা করতে পারবি। আমি হলে এক্ষুণি চলে যেতাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বিরক্তি আর কষ্টকর জিনিস বলতে তুই কি বুঝাইতে চাস...
---------------------------------
এইটাও বুঝলি না?
সমাজটাই বিরক্তিকর।
আর পরীক্ষাগুলো কষ্টকর।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
সহযোগিতায় নাসার সাথে কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি আর বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিলো - যার মধ্যে একটা আমার স্কুল - ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি। ইয়র্ক কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ফিনিক্স রিসার্চ গ্রুপ তো বটেই, সেই সাথে অন্যান্য ল্যাবের আমরাও বেশ উত্তেজনায় কাটিয়েছি গত কয়েকটা দিন।
হ্যা, নাসা এবং অ্যারিজোনার সাথে আরও অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাকাশ সংস্থার সহযোগিতা ছিল। সেগুলো লিখতে মনে নেই। এই ফাঁকে জানিয়ে দেই। নাসা, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা, কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি, ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, ফিনিশ মেটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান এবং লকহিড মার্টিন স্পেস সিস্টেম্স।
আপনার অভিজ্ঞতা জানতে পেরে খুব ভাল লাগল। এটাই ভাল লাগল যে, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং গবেষকরা এ নিয়ে অতি চিন্তিত ছিলেন। তাদের বিনিদ্র রাতগুলোই এই সফলতার কারণ।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
গানটা মনে পড়ে গেলো
গান খুব একটা শুনি না। কিন্তু রুমে একজন চন্দ্রবিন্দু ভক্ত থাকার কারণে এইটা অনেক বার শোনা হয়েছে। মোক্ষম সময়ে মনে করেছেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
লেখাটা যথারীতি অনেক তথ্যে ভরপুর। সেজন্য লেখককে ধন্যবাদ।
আমাদের এসএম৩ ভাই কোথায়? ওনার ইউনিভার্সিটি থেকে মঙ্গলের খবর যেগুলো পত্রিকায় আসেনা সেগুলো জানা যেতো হয়তো।
হুম। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলো শুনতেই অন্যরকম মজা লাগে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মঙ্গলে বসতি স্থাপনের ব্যপারটা যতখানি কল্পনায় মোড়া মনে হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি বাস্তব । কাজ কর্ম কোন পর্যায়ে এগিয়েছে অনেকেই জানেন না । এই লিঙ্কটা দেখেন, শুধু মাত্র মঙ্গল গ্রহে ঘর-বাড়ী বানানোর উপরেই পুরা একটা প্রজেক্ট ।
http://www.marshome.org/
এক গাদা কাবিল লোকজন - বিজ্ঞানী, প্রকৌশলি, ডিজাইনার কাজ করছে এখানে ।
- এনকিদু
জব্বর একটা লিংক দিলেন। কাজে লাগবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
জয় হোক মানুষের; ওই নব জীবিতের।
জিজ্ঞাসু
জয় হোক।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
জয় তো হবেই, এমনিতেও হবে ওমনিতেও হবেই । আমাদের আমেরিকান ভাইয়েরা আমাদের মত বসে বসে সংলাপ করে খালাশ হয় না । ঐ শালারা আগে কাজ করে তার পর ফুটানি মারে ।
কিন্তু মঙ্গলে ফিনিক্স নামলে আমাদের কি ? আমারে আপনারে ( বা আমাদের বংশধরদের কাউকে ) কি নিবে নাকি ঐ দলে ? নিতে পারে, যদি ঐসব 'নতুন পৃথিবী'তে কামলা খাটার লোক দরকার হয় ।
আর্থার সি,ক্লার্কের স্পেস ওডিসি পড়েছেন ? পড়া থাকলে এতক্ষনে বুঝে গেছেন আমি কিসের ইঙ্গিত করছি ।
-এনকিদু
ঘাবড়াইয়েন না। আমরাও একদিন রিকশা চালিয়ে মঙ্গলে যাব।
কি মাঝি? ডরাইলা?
মঙ্গলে যখন উন্নত বিশ্ব বসতি স্থাপন করবে, বাঙালির অংশগ্রহণ কীভাবে হবে ওখানে? এটা আমরা এখন থেকেই ভাবতে পারি। নিশ্চয়ই ওখানেও গৃহপরিচারিকা, মালি, মেথর লাগবে। ঢাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার চিন্তা করা যায়।
এনকিদুর কথার একটা অংশের প্রতিধ্বনি করলাম।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ভাইরে, মালি মেথর চাকর বাকরের কাজ করার সুযোগ পাইলেও খারাপ হইত না । স্পেস ওডিসিতে ( আর্থার সি, ক্লার্ক ) পড়েছিলাম, যখন একটা একটা করে নতুন গ্রহে বসতি স্থাপন শুরু হল, তখন পৃথিবীর কিছু লোকদের কে পাঠান হত কামলা খাটার জন্য । ঐ অক্সিজেন শূন্য রুক্ষ বন্ধুর ভূমিতে অমানুষিক পরিশ্রম করে তারা দুই বা তিন প্রজন্ম ধরে একটা বসবাস যোগ্য বসতী তৈরী করত । তারপর সেখানে দুনিয়ার হোমড়া চোমড়ারা গিয়ে হাজির হত ।
স্পেস ওডিসি একটা মারাত্নক সায়েন্স ফিকশন । সায়েন্স ফিকশন আপনি পছন্দ করেন আর নাই করেন, পড়া না হয়ে থাকলে একবার কষ্ট করে পড়ে ফেলেন । সিনেমাও আছে । সিনেমা দেকে লাভ নাই । বইতেই আসল মজা ।
- এনকিদু
সহমত।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ওই নতুনের কেতন ওড়ে কালবোশেখী ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।
একটা লিঙ্ক দিলাম
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
ভানু !!!!!!!!!!!
হে হে হে জটিল লিঙ্ক বদ্দা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ছু্টবেলায় খুব শখ ছিল মধুচন্দ্রিমাটা মঙ্গলে করব।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন