স্পয়লার ওয়ার্নিং: সিনেমাটি না দেখে থাকলে দয়া করে রিভিউটি পড়বেন না। পড়লে সিনেমাটা দেখার মজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
---------------------------------
আমার জীবনে দেখা সেরা ভিলেন চরিত্র নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনের "অ্যান্টন শিগার"। অনেকেই বলেন এটা কোয়েন ভাইদের করা সেরা সিনেমা। তাদের সবগুলো সিনেমা না দেখায় আমি সেরকম কোন মন্তব্য করতে পারছি না। তবে যেগুলো দেখেছি তার মধ্যে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনকেই সবচেয়ে গাঢ় মনে হয়েছে। মডারেট আয়ের এই সিনেমাটি কেন ভাল লাগল তা ভেঙে বলা দরকার। কারণ, একদিকে সমালোচকরা যেখানে একে বছরের অন্যতম সেরা সিনেমা ও বিশ্ব চলচ্চিত্রের মাস্টারপিসের মর্যাদা দিয়েছেন, অন্যদিকে দর্শকদের অনেকেই সিনেমাটি দেখে বিভ্রান্তিকর হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আমার ভাল লাগার প্রধান কারণ তো প্রথম লাইনেই বলে ফেলেছি। এই ভাল লাগা বৃদ্ধি পেয়েছে শিগারের সাথে ইংমার বারিমানের "দ্য সেভেন্থ সিল" ছবির "মৃত্যু" চরিত্রের সাদৃশ্য দেখে। বিস্ময়কর সাদৃশ্যগুলো নিয়ে একটু পরেই বিস্তারিত আলোচনা করছি। ক্রমবর্ধমান থ্রিলের কারণে ছবিটি অনায়াসেই উপভোগ্য হয়ে উঠে, যদিও সমাপ্তির ধাক্কাটা অনেকে সামলে উঠতে পারেন না। তবে এটাও মানতে হবে যে, সমাপ্তিটা শেরিফ এড টম বেলকে এই ছবির আত্মা হিসেবে তুলে ধরার পেছনে বড় অবদান রেখেছে। অনন্যসাধারণ একটি শিল্পকর্মের আত্মার কথা চিন্তা করে তাই সমাপ্তিটাও আমি মেনে নিয়েছি। শেষ কারণটা পরিচালক। কোয়েন ভাইদের সব সিনেমাতেই এমন কিছু দেখা যায়, যা আগে কখনও দেখিনি এবং ভবিষ্যতেও যা দেখার কোন সম্ভাবনা নেই। একেবারে অনন্য।
পরিচালকদ্বয় করম্যাক ম্যাকার্থির "নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন" উপন্যাসের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত থেকেছেন। শেষের একটা বিষয় বাদ দিলে পুরোটাই উপন্যাসকে অনুসরণ করেছে। সিনেমা শুরু হয় পশ্চিম টেক্সাসের এক জনবিরল গ্রামাঞ্চলের শেরিফ এড টম বেলের কথা দিয়ে। উল্লেখ্য সিনেমা শেষও হয় তার কথা দিয়ে। সমালোচক রজার ইবার্ট তার রিভিউয়ে লিখেছেন, ডিভিডি আসলে শুরুর এই কথাগুলো তিনি বারবার দেখবেন। শেরিফ হতাশার সুরে পরিবর্তনশীল সময়ের কথা বলেছেন। মানুষের নৃশংসতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই অঞ্চল ক্রমশই বীভৎস হয়ে উঠছে, তার হতাশার কারণ এটাই। যাহোক, এর পরেই দেখা যায় অ্যান্টন শিগারকে। প্রথমে শেরিফের এক সহযোগী তাকে বন্দী করে। সহযোগীকে নির্মমভাবে হত্যা করে জেল থেকে পালায় সে। এরপর মনের হরষে বেশ কিছু খুন করতে দেখা যায় তাকে। এই মুহূর্তে তৃতীয় প্রধান চরিত্রের (লিউয়েলিন মস) আবির্ভাব ঘটে। মস টেক্সাসের বিরানভূমিতে ২ মিলিয়ন ডলার খুঁজে পায়। এটা ছিল মাদক ব্যবসার অর্থ। অর্থ উদ্ধার করতে মাদক ব্যবসায়ী গ্যাং অ্যান্টন শিগারকে ভাড়া করে। শিগার মসকে ধাওয়া করতে শুরু করে। এখান থেকেই থ্রিলের সূচনা যা সমাপ্তির এক মিনিট পূর্ব পর্যন্ত কেবল বেড়েই চলে। শেরিফ চেষ্টা করে, শিগারের নৃশংসতা থেকে সবাইকে বাঁচাতে। এভাবেই কাহিনী এগিয়ে চলে।
মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছবির তিনটি চরিত্রই একে অপরের সাথে জড়িয়ে পড়ে। একজনের জীবন অন্যজনের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, পুরো ছবিতে একবারও কারও সাথে কারও মুখোমুখী দেখা হয় না, অন্তত ছবিতে দেখানো হয় না। মসের সাথে শিগারের টেলিফোনে কথা হয়, শেরিফ একটুর জন্য শিগারকে মিস করে। কিন্তু স্বাভাবিত সাক্ষাৎ কখনও ঘটে না। ভাল মানুষের সাথে সত্যিকার অর্থে কখনও খারাপ মানুষের দেখা হয় না, ম্যাকার্থির এই দর্শনের সার্থক চিত্রায়ন করেছেন কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়। তিনজনের জীবন এভাবে জড়িয়ে পড়ার আরেকটি নিয়ামক হল ভাগ্য ও কাকতাল। ম্যাকার্থির উপন্যাসে এই উপাদান ছিল, কোয়েনদেরও এ নিয়ে কাজ করার অভ্যাস আছে। প্রকৃতপক্ষে, ভাগ্যের ক্ষমতাই এই সিনেমা করার পেছনে কোয়েনদের উৎসাহ হিসেবে কাজ করেছে।
কোয়েন ভাইরা মূলত নব্য নয়ার (দ্য ম্যান হু ওয়াজন্ট দেয়ার) ও ব্ল্যাক কমেডি (ফারগো) নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু এই ছবিতে দুই জেনারের কোনটিই অনুসরণ করা হয়নি। এটাকে বলা যায় আধুনিক ওয়েস্টার্ন পটভূমিতে সাধারণ ক্রাইম থ্রিলার। ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে ওয়েস্টার্ন জীবনের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা এবং হলিউডের প্রথাগত থ্রিলার ঘরানা থেকে ভিন্ন কিছু প্রদর্শন করা, এই দুটি দিক দিয়েই পরিচালকদ্বয় সফল। হলিউডের থ্রিলারে মিউজিক বেশি থাকে ও আবেগময় সমাপ্তি থাকে; কিন্তু এই ছবিতে মিউজিক মাত্র ১৬ মিনিট তাও খুব মৃদু আর সমাপ্তিও খানিকটা অস্তিত্ববাদী।
সমাপ্তি ছাড়াও সিনেমার কিছু কিছু স্থানে অস্তিত্ববাদী উপাদান ছিল বলে মনে হয়। না থাকলে ইংমার বারিমানের মৃত্যু চরিত্রের সাথে তার মিল খুঁজে পাওয়া যেতো না। এবার সেই মিলের কথায় আসা যাক। অ্যান্টন শিগার সাক্ষাৎ যমদূত। সে যেখানে যায় মৃত্যুও তার সাথে সাথে যায়, তার চারপাশে মৃত্যু ঘটবেই যদি না সে অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ, খুব সাধারণ কোন কারণে বা বিনা কারণেই সে মানুষ খুন করে। এজন্য তার সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। কিন্তু না মারার ক্ষেত্রে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনেক সময়ই সে কয়েন টস করে। অর্থাৎ মানুষকে জীবন বা মৃত্যু যেকোন একটি বেছে নিতে বাধ্য করে সে। এবার সেভেন্থ সিলের "মৃত্যু" চরিত্রের কথায় আসা যাক। ইংমার বারিমান সেই ছবিতে "মৃত্যু" নামে একটি মনুষ্য চরিত্র তৈরী করেছিলেন। ক্রুসেড ফেরত নাইটের সামনে আসে সেই মৃত্যু। নাইটের পেশী ভীত হয়, কিন্তু মন ভীত হয় না। সে মৃত্যুকে দাবা খেলায় আমন্ত্রণ জানায়। বলে, সে যদি জিতে তাহলে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। একসময় বোঝা যায়, মৃত্যু আসলে আমাদেরকে নিয়ে দাবাই খেলছে এবং সে খুব পাকা খেলোয়াড়। নাইট তা থেকে রেহাই পায়নি। কেউ কখনও পায়নি। এখানেই কিন্তু জীবন নিয়ে সংশয় প্রকাশের সুযোগ আসে আর অস্তিত্ববাদ প্রকাশিত হয়। সে বলতে চায়, মানুষের জীবন কি কেবল দাবা খেলার একটি চালের উপর নির্ভর করে? আমাদের অস্তিত্ব মানে কি একটি দাবা খেলা? এ কেমন অস্তিত্ব?
দুজনের মধ্যে মিলটা কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, একজন সাক্ষাৎ মৃত্যু, আরেকজন মৃত্যুকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়; দুজনে কেবল ইচ্ছার গুণে মৃত্যু ঘটায়; দুজনকেই কাউকে না মারার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হয়; দুজনেই মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে খেলার আশ্রয় নেয়। সাধারণ মানুষ তাদের কারোরই নাগাল পায় না, যারা পায় তারাও নির্মম খেলায়ে হেরে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করে। এসব কারণে, অ্যান্টন শিগারকে বারিমানের "মৃত্যু" চরিত্রের আধুনিক সংস্করণ বলা যায়। এর মাধ্যমে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার, মৃত্যু বলতে এখন আর আলাদা কিছু নেই। মানুষই মৃত্যু। এ কারণেই বিলুপ্ত হতে বসেছে তারা। মানুষ এমন একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছে, যারা প্রাকৃতিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে নিজেরাই কৃত্রিমভাবে নিজেদের বিলুপ্ত করে দেয়ার অভিযানে নেমেছে। কিন্তু এটাকে আক্ষরিক অর্থে নেয়া যায় না, কারণ অস্তিত্ববাদ খুব সরাসরি কিছু নয়। অস্তিত্ববাদের আশ্রয় নিয়ে কোয়েনরা যা প্রকাশ করেছেন তাতে নিগূঢ় অনেক কিছুই থাকতে পারে। নৃশংসতা যে বিলুপ্তির পথ দেখায় তা কেবল একটি। দুজনের মিল নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কারণ তাদের কথোপকথনেও কিছু মিল আছে, মিল আছে কথা বলার ভঙ্গিতে এবং পোশাক সজ্জায়।
শিগারকে দুই বার কয়েন টস করতে দেখা গেছে। একবার এক দোকানের প্রোপ্রায়েটর এবং আরেকবার মসের স্ত্রী কার্লা জিনকে সে হেড বা টেল ডাকতে বলে। তাদেরকে জীবন বা মৃত্যু বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দেয়। দুটি কথোপকথনই খুব ভাল লেগেছে, ঠিক যেমন সেভেন্থ সিলে নাইট ও মৃত্যুর কথোপকথনগুলো ভাল লেগেছিল। শেষে এই ডায়লগগুলো সংযুক্ত করে দেয়ার ইচ্ছা আছে।
এবার মুভির সমাপ্তিতে আসা যাক। সমাপ্তির কাহিনী আসলে না বলে উপায় নেই। কারণ সমাপ্তি নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে। সিবিএস রেডিওর কেভিন ম্যাকার্থি তো ছবিকে ভালবেসে বলেই ফেলেছেন, "জোয়েল ও ইথান, তোমরা কেন এতো সুন্দর ও নিখুঁত সিনেমাটিকে এমন একটা সমাপ্তি দিয়ে নষ্ট করলে?" অনেক দর্শকই সমাপ্তি দেখে বিভ্রান্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছেন। সত্যি বলতে, প্রথমবার সমাপ্তি দেখার পর আমিও হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। দর্শক ও সাধারণ সমালোচকদের অনেকেই সমাপ্তি দেখে খুব বিরক্ত হয়ে পুরো ছবির নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। প্রভাবশালী সমালোচকদের কেউই এমনটি করেননি। অবশ্য তাদেরও সমাপ্তির একটা বিষয়ে আপত্তি ছিল। অনেকেই বলেছেন, সমাপ্তির মাধ্যমে মানুষের ন্যায়ের প্রতি নির্ভরতা ও আইনের জয়কে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বোঝানো হয়েছে, মানুষ আসলেই ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আত্মার ধারণা দিয়ে সমাপ্তিটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। সিনেমাটির আত্মা শেরিফ এড টম বেল। তার কথা দিয়েই সিনেমার শুরু, তার কথা দিয়েই শেষ। শুরুর কথাগুলো হতাশার আর শেষের কথাগুলো পরাজয়ের। একটি অতৃপ্ত আত্মা জীবিত মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত। সেই আত্মা হল নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন সিনেমার। এমন এক আত্মা, জগতে যার স্থান খুব সংকুচিত হয়ে গেছে এবং সে দেখছে যে, আরও অনেকের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়ছে। যাদের জন্য রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে তারা মোটেও ভাল নয়। তাই বলা যায়, সিনেমার সমাপ্তিতে আদর্শিক প্রেরণা ফুটে উঠেনি। একটি কালজয়ী সিনেমার পক্ষে এটা খারাপ না ভাল তা সময়ই বলে দেবে।
*****
বামে "অ্যান্টন শিগার" (Javier Bardem) আর ডানে দ্য সেভেন্থ সিলের "মৃত্যু" (Bengt Ekerot)।
*****
অ্যান্টন শিগার ও প্রোপ্রায়েটরের কথোপকথন। প্রোপ্রায়েটরকে জীবন ও মৃত্যর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হচ্ছে:
শিগার: What's the most you've ever lost on a coin toss?
প্রোপ্রায়েটর: Sir?
শিগার: The most. You ever lost. On a coin toss.
প্রোপ্রায়েটর: I don't know. I couldn't say.
[শিগার tosses a quarter in the air, catches it, then places it on the counter with his hand over it]
শিগার: Call it.
প্রোপ্রায়েটর: Call it?
শিগার: Yes.
প্রোপ্রায়েটর: Well - we need to know what it is we're callin' for here.
শিগার: You need to call it. I can't call it for you. It wouldn't be fair. It wouldn't even be right.
প্রোপ্রায়েটর: I didn't put nothin' up.
শিগার: Yes you did. You been putting it up your whole life. You just didn't know it. You know what date is on this coin?
প্রোপ্রায়েটর: No.
শিগার: Nineteen fifty-eight. It's been traveling twenty-two years to get here. And now it's here. And it's either heads or tails, and you have to say. Call it.
প্রোপ্রায়েটর: Look... I got to know what I stand to win.
শিগার: Everything.
প্রোপ্রায়েটর: How's that?
শিগার: You stand to win everything. Call it.
প্রোপ্রায়েটর: All right. Heads then.
[শিগার removes his hand, revealing the প্রোপ্রায়েটর made the correct call]
শিগার: Well done. Don't put it in your pocket.
প্রোপ্রায়েটর: Sir?
শিগার: Don't put it in your pocket. It's your lucky quarter.
প্রোপ্রায়েটর: Where you want me to put it?
শিগার: Anywhere not in your pocket. Or it'll get mixed in with the others and become just a coin. Which it is.
*****
শিগার ও কার্লা জিনের কথোপকথন। কার্লা জিন মা'র বসায় গিয়ে দেখে তার মায়ের ঘরে শিগার বসে আছে।
কার্লা জিন: I knew this wasn't done with. I ain't got the money. What little I had is long gone and they's bill aplenty to pay yet. I buried my mother today. I ain't paid for that neither.
শিগার: I wouldn't worry about it.
কার্লা জিন: ...I need to sit down. ..You got no cause to hurt me.
শিগার: No. But I gave my word.
কার্লা জিন: You gave your word?
শিগার: To your husband.
কার্লা জিন: That don't make sense. You gave your word to my husband to kill me?
শিগার: Your husband had the opportunity to remove you from harm's way. Instead, he used you to try to save himself.
কার্লা জিন: Not like that. Not like you say.
শিগার: I don't say anything. Except it was foreseen.
কার্লা জিন: I knowed you was crazy when I saw you settin' there. I knowed exactly what was in store for me.
শিগার: Yes. Things fall into place.
মন্তব্য
আশ্চর্য যোগাযোগ ! আমি ভি এল সি প্লেয়ারে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান সিলেক্ট করে, সচলের উইন্ডোতে তাকিয়ে দেখি এই লেখা !
সিনেমাটা দেখি, তারপর সমালোচনা পড়বো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অতি আশ্চর্য। আমি অনেকদিন আগে দেখেছি সিনেমাটা। ঠিক এমন এক মুহূর্তে রিভিউ লেখার ইচ্ছা লাগলো! দেখতে থাকেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
হাতের কাছেই আছে, আলসেমির জন্যে দেখা হচ্ছে না।
দেখে টেখে আবার এসে কমেন্টাবো।
তোমার আলোচনা ভাল্লাগছে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ভাইরে ভালো আলোচনা করছিস। অস্কার মস্কার পাওয়াতে আমার দেখতে ডর লাগছিল। অবশ্য ইদানিং তো অনেক কিছু খাচ্ছি...দেখি এইটাও সময় করে একদিন খেয়ে ফেলবো।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আলোচনাটা ভালো লাগলো। এখন ছবিটা দেখার সুযোগ মিললেই হয়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
সিনেমাটা দেখে ফেলবো ভাবছি...। আধা তো এখানেই দেখে নিলাম।
অসামান্য আলোচনা। বুকে সাহস পাইলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি সিনেমাটা দেখে খুবই মুগ্ধ। এই পোস্টটা তার পর এসে পড়লাম। মৃদু আপত্তি জানাচ্ছি রিভিউয়ের গঠন দেখে। পোস্টের পাঠকের মধ্যে যে দর্শক আত্মা, তার মৃত্যু হবে এমন পোস্ট পড়লে। একটা সিনেমার মোচড়গুলি যদি তার রিভিউতে চলে আসে, তাহলে তার পাঠককে তো প্রবঞ্চিত করা হলো অনেক রোমাঞ্চ থেকে। পোস্টটি বর্ণনাশৈলীর গুণে চমৎকার, কিন্তু যে সিনেমাটি দেখেনি, তার জন্যে স্পয়লার।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে মনে হল আমি ঠিক কাজটাই করেছি!
রিভিউটা পড়া শুরু করেছিলাম, অল্প একটু পড়ে আর পড়লাম না। কারণ সিনেমাটা দেখার খুবই ইচ্ছা আছে, আর বেশিরভাগ রিভিউতেই সাধারণত এত বেশি বেশি বর্ণনা থাকে যে পড়ে সিনেমা দেখতে গেলে মজাটা আর পাওয়া যায় না। এ নিয়ে আমার নিজেরই বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।
সিনেমাটা দেখে নিয়ে তারপর পোস্টটা পুরোটা পড়ব
শেষটা এমন হইলো ক্যান? বাল...মেজাজ খারাপ হইছে লাস্টে।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আমি খুবই সাধারণ একজন দর্শক,সিনেমা সমালোচনা করার মত জ্ঞান আমার নেই। তবে সাধারণ মানুষের ভেতরে পৌঁছাতে পারাও কিন্তু ভাল সিনেমার একটি অন্যতম বৈশিষ্টের মধ্য পড়ে।আর সেদিক দিয়ে আমি বলব,নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান সিনেমাটি চরমভাবে হতাশাব্যঞ্জক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি জানি, সিনেমা বোদ্ধারা আমার অজ্ঞতা নিয়ে হাসাহাসি করবেন,কিন্তু শুধুমাত্র অস্কার পেয়েছে বলে এরকম দুর্বোধ্য একটি সিনেমাকে প্রশংসা করতে হবে(আমি কিন্তু এখানের কাউকে ইঙ্গিত করছি না, "অস্কার পাওয়া মুভি তোর ভাল লাগেনি, তুই ব্যাটা মুভির কিছুই বুঝিস না"-এই মানসিকতার প্রতিবাদ করছি)আমার তা মনে হয়নি।
সমালোচক এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের কথা বলছি না, কিন্তু আমার মত সাধারণ দর্শকদের(আমি একা নই ,অনেকেই রয়েছেন আমার মত)স্পর্শ করতে অস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার পাওয়া এ ছবিটি ব্যর্থ হয়েছে বলেই আমার ধারণা।
অস্কারের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ অনেক আগেই কমে গিয়েছিল যখন জানতে পেরেছিলাম যে শশাঙ্ক রিডেম্পশন কেবলমাত্র নমিনেশনেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।"আনফরগিভেন" বা "ডিপারটেড" এর মত সাধারণ মানের ওয়েস্টার্ন আর গ্যাংস্টার মুভি সেরা ছবি হবার পর তা তলানিতে ঠেকেছিল।আর "নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান" দেখার পর অন্তত আমি আর কোনদিন "অস্কার পাওয়া মুভি" বলেই কোন সিনেমা দেখবনা বলে ঠিক করেছি।
আমি সমালোচক বা বোদ্ধাদের প্রতি কোন অশ্রদ্ধা প্রকাশ করছিনা,একজন সাধারণ সিনেমাপ্রেমী হিসেবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছি মাত্র।আশা করি আমার মতামতকে কেউ ব্যক্তিগত আক্রমন হিসেবে নেবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আনফরগিভেন কিন্তু চমৎকার লেগেছিলো আমার কাছে। ঠিক সাধারণ ওয়েস্টার্ন মনে হয়নি। পুরোটা সিনেমাই মৃতা স্ত্রীর প্রতি একজন নির্মম গানম্যানের ভালোবাসার গল্প।
হাঁটুপানির জলদস্যু
শশাঙ্ক রিডেম্পশন আমার দেখা সবচেয়ে ওভাররেটেড মুভি । ডিরেকশনের দিক থেকে গডফাদারের ধারে কাছেও না, অথচ এটা এখন আইএমডিবি রেটিং এ গডফাদারকে সড়ায়া এক নম্বরে ।
তীব্র দ্বিমত। শশাঙ্ক রিডেম্পশন আমার মতে চমৎকার একটা ছবি, যার অধিকার আছে আই এম ডিবি #১ এ থাকার। গডফাদারের সাথে তুলনা এখানে আসা উচিত না। দুইটা শ্রেষ্ঠ এর মধ্যে তুলনা হয় না।
গড ফাদার এক হতে পারতো মানি, কিন্তু তার জায়গায় শশাঙ্ক এক হওয়া মানেই ওভার-রেট তা মানি না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শশাঙ্ক রিডেম্পশন অবশ্যই চমত্কার একটা মুভি, এর অধিকার আছে আইএমডিবি প্রথম ৫০ এ থাকার। তবে যখন # ১ এ শশাঙ্ক রিডেম্পশনকে দেখি তখন মনে হয় ওভাররেটেড। আরো অসংখ্য মুভির নাম মনে আসে যেগুলোর # ১ এ থাকার অধিকার এই ছবির চেয়ে বেশী। অবশ্য আমার মতামতে কিছু আসে যায় না, আইএমডিবি পুরাপুরি পাবলিক রেটিং এর উপর ভিত্তি করে, আর রেটিংটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই relative না হয়ে absolute হয়। আমি নিজেই অনেক সময় রেটিং কম মনে হলে ৮ এর জায়গায় ১০ দিয়ে দেই ।
শশাঙ্ক রিডেম্পশন কে আমারও মনে হয়েছে ওভার রেটেড। এরচেয়ে আসলেই অনেক সিনেমা আছে যেইগুলা এক নম্বরে থাকতে পারে...
@ মাসরুফ ভাই, ডিপারটেড আমার কাছে দারুন লাগছে। অস্কার পাওয়ার যোগ্যই মনে হয়েছে।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
আমিও তীব্র দ্বিমত ... শশ্যাংকের সবরকম অধিকার আছে টপে থাকার ... আর ডিরেকশন কোনটা ভালো কোনটা খারাপ এইটা মনে হয় এত সহজে বাইনারিভাবে বলা যায় না ... ভালো ডিরেকশন মানেই একগাদা ক্লোজ শট কিংবা ডিসটিংক্ট ক্যামেরা এংগেলের ইউজ এই টাইপ ধারণার সাথে একমত না [অয়ন তোমারে কই নাই কিন্তু, অনেকেই এমনে চিন্তা করে তাই কইলাম ব্যাপারটা এত সহজ না ...]
আমার কাছে ওভাররেটেড লাগে পাল্পফিকশন ... কিন্তু এইটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত, কারো লগে এইটা নিয়া তর্ক করতে রাজি না
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক জুনিয়ার আছে, মেকানিক্যালে পড়ে, ও আবার একজন বিখ্যাত টেকি-ব্লগারও।
যাই হোক, ওকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন পাল্প ফিকশন ওর এত প্রিয় ? ও কিছু উত্তর দিয়েছিল। সবখেয়াল নেই। দেখি ওকে বলবো সময় পেলে এই ব্লগে এসে ওর মত জানিয়ে যেতে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভালো ডিরেকশন সম্পর্কে আমার নিশ্চিতভাবে কোন ধারণা নাই ,কারণ কারো কারো মতে ভালো ডিরেকশন মানে একগাদা ক্লোজ শট এইটা আমি এই প্রথম শুনলাম। ছবিটা উপভোগ করছি কি করি নাই, এইটা ছাড়া ভালো ছবি বলার পিছনে আমার আর কোন শর্ত নাই।
আইএমডিবি পুরাপুরি পাবলিক ওপিনিয়ন, পাবলিক ওপিনিয়নের ব্যাপারে আসলে তর্ক কইরা লাভ হয় না। তারেক জিয়া সামনে আবার # ১ এ আসতে পারে, সেইটা নিয়া তর্ক কইরা কি লাভ বলো । তার চেয়ে দুইটা ডেমোগ্রাফিক স্ট্যাট দেখো, আমার কাছে মজার লাগছে:
কয়েকটা সেগমেন্ট খুব খিয়াল কইরা।
পাল্প ফিকশনেরটা এমনি এমনি দিলাম। তর্ক করার কোন ইচ্ছা নাই
শশ্যাংক রিডিম্পশন অস্কার না পাওয়ার সবচে বড় কারণ মনে হয় এইটা আর ফরেস্ট গাম্প একই বছর রিলিজ হওয়া ... ঐ বছর গাম্প সব পুরস্কার নিয়ে গেছিল ... [ইনফ্যাক্ট পাল্পফিকশনের ভক্তরা বলে গাম্প না থাকলে নাকি পাল্পফিকশনই জিততো ঐ বছর, আমার নিজের পাল্পফিকশন মোটেও হজম হয় নাই বলে আমি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করি না ]
আনফরগিভেন মোটেও সাধারণ মানের ওয়েস্টার্ন না, এটারে ওয়েস্টার্ণ পটভূমিতে ড্রামা বলা যাইতে পারে ... ঐ বছর আর কি কি মুভি রিলিজ পাইছিল জানি না বাট আনফরগিভেন অস্কার পাইছে শুনে আমি মোটেও অবাক হই নাই ...
ডিপার্টেডের ব্যাপারে অবশ্য একমত ... খুবই ভালো ছবি সন্দেহ নাই কিন্তু অস্কার জেতার মত মনে হয় নাই ... স্করসিসের অন্য মুভিগুলি এর চেয়ে ভালো ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
এখানে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে দেখছি। খেয়াল করিনি। কিছু উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।
@মাসরুফ ভাই: অবশ্যই অস্কার জয়ী বলেই কোন সিনেমা ভাল লাগা উচিত না। তবে অস্কার মনোনয়ন দেখে দেখে সিনেমা দেখাটাকে আমি খারাপ মনে করি না। কারণ বছরের সেরা ছবিগুলোই অস্কার মনোনয়নে উঠে আসে। গত বছরের কথাই ধরুন, যে পাঁচটা সিনেমা অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে সেগুলো বছরের সেরা দশ সিনেমার প্রায় সবগুলো রেটিংয়েই উপস্থিত ছিল।
"আনফরগিভেন" আমার খুবই ভাল লেগেছিল। অস্কার পাওয়ার মত বলে মনে হয়েছে। শুধু অস্কার না, সিনেমাটা অ্যামেরিকার ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির সার্থক রূপায়ন। হওয়ারই কথা, কারণ ওয়েস্টার্নদের সম্পর্কে ডন সিজেল আর সের্জিও লেওনের পর ক্লিন্ট ইস্টউডের চেয়ে ভাল কেউ জানে না।
"ডিপার্টেড" এর মূল থিম মৃত্যু। মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই সবকিছু। খুব ভাল লেগেছিল। এটা সত্যি যে, স্কোরসেজি ডিপার্টেড এর চেয়েও ভাল সিনেমা করেছে। কিন্তু সেগুলো হয়তো সে বছরের অন্যান্য ছবির সাথে প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেনি।
@ফাহিম ভাই: পাল্প ফিকশন দেখে আমিও অনেক কিছু বুঝিনি। এজন্য সেরকম ভাল লাগাতে পারিনি। কিন্তু নেট ঘেটে পাল্প ফিকশনের মূল সূত্রটা বোঝার চেষ্টা করছি। সবকিছু বোঝা হলে, সিনেমাটা আবার দেখব। কারণ, পাল্প ফিকশনের মত সিনেমাগুলোকে "কাল্ট ক্লাসিক" বলা যায়। অর্থাৎ এগুলোর একটি নিয়মিত ফ্যান-গোষ্ঠী থাকে। এ ধরণের আরও কিছু সিনেমা হচ্ছে ফেদেরিকো ফেলিনির "ওতো এ মেৎসো" (এইট অ্যান্ড আ হাফ), ডেভিড লিঞ্চের "মুলহল্যান্ড ড্রাইভ" ও "ব্লু ভেলভেট", স্ট্যানলি কুবরিকের "২০০১: আ স্পেস অডিসি" ও "আ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ"। ওতো এ মেৎসোকে সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা বলা হয়, অথচ সিনেমাটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি; বাকিগুলো বুঝেছি। যেগুলো বুঝেছি সেগুলোই অসাধারণ লেগেছে। ওতো এ মেৎসো আর পাল্প ফিকশন এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। অর্থাৎ, এগুলো ভাল লাগতে হলে কিছুটা ঘাটতে হয়, কিন্তু ঘাটার পর যা বেরিয়ে আসে তা বিস্ময়কর। এজন্যই কিন্তু সেই নিয়মিত ফ্যান-গোষ্ঠীর জন্ম হয়।
তবে আমি এটাও মানি যে, ঘাটার পরও অনেকের খারাপ লাগতে পারে। কারণ, তারা বলতে পারেন, সিনেমা তো দেখার জিনিস, এতো ঘাটাঘাটি করার তো কারণ নেই। সিনেমার মধ্যে আরেকটু ডিটেল হিন্ট দিলেই তো পারত। মুলহল্যান্ড ড্রাইভকে যারা কম রেটিং দিয়েছেন তারা সাধারণত এ কারণেই দিয়েছেন।
সবশেষে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলতে চাই। এই সিনেমাটা আমার অসাধারণ লেগেছে। কেউ যদি বলেন, (যদিও কেউ বলেননি) অস্কার পেয়েছে বলেই ভাল বলছি, তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কেন ভাল লেগেছে তা রিভিউয়েই বলে দিয়েছি। একই সিনেমা একজনের ভাল, আরেকজনের খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা জিনিশে বিশ্বাস করি যে, আমি না বুঝতেই পারলে সেটা অযোগ্য হয়ে যাবে, এমন না।
বেশ কিছু উদাহরণ দেই--
আমি নিজে কিউবরিকের স্পেস ওডিসি আর ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ দেখেছি। সিনেমাগুলি বিশেষত ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্তর হাসাহাসি আছে, অ্যাবনর্মাল সিনেমা হিসেবে। আমাদের এক বন্ধু আছে, ওর খুব প্রিয় কিউবরিক, ওই আমাদের দিয়েছিলো সিনেমা দুইটি। সবাই দেখার পর বিস্তর হাসাহাসি করলো ওকে নিয়ে। সিনেমাটা দেখে আমিও ঠিক সুবিধা করতে পারি নি, তবে আমি নেটে অনেক ঘাটাঘাটি করে সিনেমার মেকিং আর থীমটা নিয়ে কিছুটা বুঝতে পারলাম, এবং এটাও বুঝলাম এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার, ভিন্ন ধাঁচের ছবি - দুনিয়াজোড়া প্রচুর সমালোচকই এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এরপর বলা যায় হিচককের ছবিগুলির কথা। আমাদের সচলায়তনের খেকশিয়াল নিজেই হিচককের একদম অন্ধ ভক্ত, অথচ আমার অনেক বন্ধুই বলে হিচকক বিরক্তিকর। একই উদাহরণ দেওয়া যায় আকিরা কুরোসাওয়ার ছবির ক্ষেত্রেও।
ছবির ক্ষেত্রে মানুষের রুচির ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। যিনি শাকিব খানের ছবির ভক্ত, তার কাছে হয়তো রাশ আওয়ার ভালো লাগতে পারে, কিন্তু ফাইট ক্লাব ভালো না লাগার সম্ভাবনাই বেশি। এখন তিনি যদি বলেন এইসব সিনেমার কোন অধিকার নেই টপে থাকার, তবে কি তা বলা উচিত হবে ?
তাই আমার ভালো না লাগতেই পারে, তবে তার অর্থ এই হয় না যে সিনেমা জাতের না কিংবা সেটার অস্কার ( কিংবা আই এম ডি বি #১ ) এর যোগ্যতা নেই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মুহাম্মদ বলেছেন,
এই পর্যন্ত আমি যতবার তোরে কোন সিনেমার কথা জিগাইছি প্রত্যেকবার এই একটা কথাই শুনছি।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। কোন সিনেমা ভাল লাগলে আমি বলি ভাল্লাগছে, খুব ভাল লাগলে বলি চরম, পুরা সিনেমার কোন একটা বিষয় খারাপ লাগলে সেটা উল্লেখ করে দেই। আর যে সিনেমা অতিরিক্ত ভাল লাগে শুধু সেটার ক্ষেত্রেই অসাধারণ বলি।
অস্বীকার করব না, গত ৬ মাসে যত মুভি দেখছি তার মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগই অসাধারণ লাগছে। ২৫% চরম লাগছে। ২৫% ভাল্লাগছে। বাকি ১০% খুব একটা ভাল্লাগে নাই। এর একটা কারণ হতে পারে, ভাল দেখে সিলেক্ট করে তারপরে দেখছি, আরেকটা কারণ হতে পারে আমার রুচি কিছুটা ভোঁতা। কিংবা দুটোই হতে পারে।
তবে এটা নিশ্চিত, আমার পরামর্শে কারও সিনেমা দেখা উচিত না। কারণ, অনেক সময়ই আমি একটা মুভি কতটা ভাল বা কতটা খারাপ তা ঠিক করে বলতে পারি না। আশপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হই। সবাই ভাল বললে, সেটাকে ভাল বলি। সবাই খারাপ বললে খারাপ বলি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
হিচককই তো টানটান উত্তেজনার ছবির পয়দা করল !!!!! ওর ছবি বিরক্তিকর ????!!!! কয় কি !!!!!! কারা কয় এইসব !! হায় হায় !!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অনেকেই কয়। অন্তত আমাদের ক্লাসমেটদের মধ্যে হিচককের সিনেমা দেখে খুব ভাল্লাগছে এমন কেউ নাই। সাইকো সিনেমাটা কয়েকজন পছন্দ করছে। বাদবাকি সবগুলার ক্ষেত্রেই বলছে, পুরা সিনেমা ভাল্লাগলো না। অনেকে বলছে, হিচকক এন্ডিং দিতে জানে না।
যে যাই বলুক, আমি হিচককের ভক্ত। আমার প্রিয় ডিরেক্টরদের মধ্যে হিচকক অন্যতম। হিচকক না আসলে, টান টান উত্তেজনা কি জিনিস তা জানতে মানুষের আরও অনেক টাইম লাইগা জানত।
একদিনের প্রথম আলোতে দেখলাম, ফ্রঁসোয়া ত্রুফোই প্রথম হিচকককে ভিক্টর হুগো ও মোপাসাঁর মত সাহিত্যিকদের সাথে তুলনা করেছিলেন। তখন থেকেই হিচককের জয়যাত্রার সূচনা।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এই মুভিতে আমি খালি তব্ধা খাইয়া ভিলেনের এক্টিং দেখসি হাহাহা ! হালায় করসে কি ! ফাটায়া ফালাইসে অভিনয় কইরা !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাই সত্যিকার অর্থেই আমার জীবনে দেখা সেরা ভিলেন চরিত্র এই ছবির।
কি দুধর্ষ অভিনয় ! প্রতিটা সীনে সে আসে, আমার চিন্তা বেড়ে যায়, এখন আবার কি করবে ? কিংবা যার সাথেই কথা হয় , মনে হয় এখনি মেরে ফেলবে !
তবে আমার ধারণা সিনেমার শেষটা জনসাধারণ ঠিক মাইনা নিতে পারে নাই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সিনেমাটা আমি পুরা সময় ধরে তব্দা খেয়ে দেখছিলাম। ভিলেনের ভিলেনগিরি দেইখা...কিন্তু শেষটা আমি ঠিক মাইনা নিতে পারি নাই। মুহাম্মদ আমারে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলো সিনেমাটির মাধ্যমে একটা শ্বাশত চরিত্র অংকনের চেষ্টা করা হয়েছে। এইটাই সিনেমার মূল থিম। আমি এতোটা বোদ্ধা হইতে পারি নাই। তাই সিনেমার শেষটা ভাল্লাগে নাই। যদিও সবাইরে বলছি সিনেমাটা দেখে নিতে।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
নতুন মন্তব্য করুন