নাসার "ফিনিক্স ল্যান্ডার" মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করেছিল ২০০৮ সালের ২৫শে মে। ২৮শে মে "ফিনিক্সের মঙ্গল অভিযান" নামে একটি ব্লগ লিখেছিলাম। সেই ব্লগের বিষয় ছিল, ফিনিক্সের অবতরণ প্রক্রিয়া, তার অভিযানের উদ্দেশ্য এবং মঙ্গল সম্পর্কে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এবার সেগুলো খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। যে উদ্দেশ্যে ফিনিক্সকে পাঠানো হয়েছিল তার কতটুকু সফল হয়েছে তা জানানোই এই লেখার উদ্দেশ্য।
আগের লেখায় ফিনিক্সের মূল লক্ষ্য হিসেবে লিখেছিলাম:
- মঙ্গলে অণুজীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা যাচাই করা
- সেখানে পানির ইতিহাস খতিয়ে দেখা
এই লক্ষ্যগুলো খুব একপেশে মনে হতে পারে। মঙ্গল নিয়ে গবেষণার তো আরও অনেক বিষয় আছে, শুধু এ কাজের জন্য পুরো নভোযান প্রেরণের দরকার কি? এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে মঙ্গলে ফিনিক্স ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নভোযান কাজ করছে। এই নভোযানগুলোর মধ্যে ল্যান্ডার, অর্বিটার, রোভার, ফ্লাইবাই সবই আছে। ল্যান্ডার গ্রহের এক স্থানে অবতরণ করে এবং সেখানেই কাজ করে। অর্বিটার অবতরণ করে না, কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। রোভার গ্রহের পৃষ্ঠে চলাচল করে, যাত্রাপথেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নেয়। আর ফ্লাইবাই নভোযান অন্য কোন পথে আবর্তন করে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরপর গ্রহটির খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। কিংবা দূরের কোন লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে গমনকারী নভোযানও গ্রহটির কাছ দিয়ে একবার উড়ে যেতে পারে।
- মঙ্গলে বর্তমানে সক্রিয় অর্বিটারগুলো হচ্ছে: ২০০১ মার্স অডিসি, মার্স এক্সপ্রেস অর্বিটার ও মার্স রিকনিসন্স অর্বিটার।
- সক্রিয় ফ্লাইবাই নভোযান হচ্ছে: রোসেটা
- সক্রিয় একমাত্র ল্যান্ডার হল: ফিনিক্স
- রোভারগুলো হচ্ছে: স্পিরিট ও অপরচুনিটি[১]
মঙ্গলীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান, মঙ্গলের ভূবিজ্ঞানসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে অর্বিটারগুলো কাজ করছে। আর ভূপৃষ্ঠের অন্যান্য বিশ্লেষণের জন্য তো রোভারগুলো রয়েছেই। ল্যান্ডারগুলো সাধারণত এ ধরণের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই অভিযানে নামে। সে হিসেবে ফিনিক্সের বর্তমান অভিযানের উদ্দেশ্য প্রকৃতপক্ষে একপেশে নয়। আর কিছুদিন এটা নিয়ে কাজ করার পর সে কক্ষপথে মূল নভোযানের সাথে মিলিত হবে। এরপর নতুন কোন মিশন নিয়ে হয়ত আবার মঙ্গল পৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। ফিনিক্সের সফলতা যাচাই করতে হলে আগে আমাদের জানা প্রয়োজন, তাকে কি ধরণের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কোন নভোযানের নির্জীব যাত্রীদের সাধারণত পেলোড বলা হয়। তাই মঙ্গল গবেষণার জন্য প্রেরিত এই যন্ত্রপাতিগুলোকেও আমরা পেলোড বলতে পারি। ফিনিক্সের পেলোডগুলো হচ্ছে:[২]
১। রোবোটিক বাহু - ভূপৃষ্ঠের ০.৫ মিটার পর্যন্ত খনন করতে পারে। এর কাজ মাটি ও ধূলির নমুনা সংগ্রহ করা।
২। রোবোটিক বাহুর ক্যামেরা - রোবোটিক বাহুর হাতার সাথে যুক্ত। এটা দিয়ে প্রথমেই নমুনা সংগ্রহের অঞ্চলের ছবি তোলা হয়, সেখান থেকে কি ধরণের নমুনা পাওয়া যাবে তা এই ছবির মাধ্যমেই বিশ্লেষণ করা হয়।
৩। সার্ফেস স্টেরিও ইমেজার - নভোযানের মূল ক্যামেরা। পাথফাইন্ডারের সাথে যুক্ত ক্যামেরার চেয়ে এর রিজলিউশন অনেক বেশী। এর মাধ্যমে মঙ্গলের আর্কটিক অঞ্চলের উচ্চ রিজলিউশন ছবি তোলা হয়।
৪। থার্মাল অ্যান্ড ইভল্ভ্ড গ্যাস অ্যানালাইজার - সংক্ষিপ্ত নাম টেগা (TEGA)। এতে উচ্চ তাপমাত্রার চুল্লীর সাথে ভর বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্র যুক্ত আছে। এরকম আটটি ওভেন আছে। প্রতিটি ওভেন একটি করে নমুনা বিশ্লেষণ করতে পারে। বুঝতেই পারছেন, এর মাধ্যমে সংগৃহীত নমুনায় কি কি পদার্থ আছে তা খতিয়ে দেখা যাবে।
৫। মার্স ডিসেন্ট ইমেজার - সংক্ষিপ্ত নাম মার্ডি (MARDI)। এর মাধ্যমে অবতরণের সময় মঙ্গল পৃষ্ঠের ছবি তোলার কথা ছিল। কিন্তু কিছু তথ্য হারিয়ে যাওয়ার কারণে অবতরণের সাত মিনিটে সে কোন ছবিই তুলতে পারেনি।
৬। মাইক্রোস্কপি, ইলেকট্রোকেমিস্ট্রি অ্যান্ড কন্ডাক্টিভিটি অ্যানালাইজার - সংক্ষিপ্ত নাম মেকা (MECA)। এর মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র আছে:
- আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র: এর কাজ মঙ্গল থেকে সংগৃহীত নমুনায় উপস্থিত রেগোলিথের ছবি তোলা। ভূপৃষ্ঠে মৃত্তিকা স্তরের নিচেই রেগোলিথ স্তর থাকে, রেগোলিথ স্তরের নিচে থাকে অধিশিলার স্তর। তাই অধিশিলার উপরে অবস্থিত আলগা শিলাবস্তুর আচ্ছাদনকেই রেগোলিথ বলা যায়।
- পারমাণবিক বল অণুবীক্ষণ যন্ত্র: আলোক অণুবীক্ষণের কাছে প্রেরিত নমুনার সামান্য অংশ নিয়ে কাজ করতে পারে। সে আট সিলিকনের টিপ দিয়ে এই নমুনা স্ক্যান করে এবং সিলিকন টিপ থেকে নমুনার বিকর্ষণের পরিমাণ নির্ণয় করে।
- ওয়েট কেমিস্ট্রি গবেষণাগার: এখানে চারটি প্রকোষ্ঠে আছে। প্রতিটি প্রকোষ্ঠে মঙ্গলের নমুনার সাথে পৃথিবীর পানির মিশ্রণ ঘটানো হয়। এর ফলে মঙ্গলের মাটিতে উপস্থিত দ্রবণীয় উপাদানগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রধানত ক্ষার ধাতুর আয়নগুলো নিয়ে গবেষণা করা হয়। এর মাধ্যমে মঙ্গল জীবন বিস্তারের জন্য কতটা সহায়ক হতে পারে তা নির্ণয় করা সম্ভব।
- স্যাম্প্ল হুইল ও ট্রান্সলেশন স্টেজ: ৬৯টি নমুনা ধারকের মধ্যে ৬টি এখানে অবস্থিত। এগুলোর মাধ্যমে রোবটিক বাহুর কাছ থেকে নমুনা নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
৭। থার্মাল অ্যান্ড ইলেকট্রিকেল কন্ডাক্টিভিটি প্রোব - সংক্ষিপ্ত নাম টিইসিপি (TECP)। এতে পাঁচটি সন্ধানী যন্ত্র আছে যা দিয়ে নিম্নলিখিত পরিমাপগুলো করা হয়:
- মঙ্গলীয় মাটির (রেগোলিথ) তাপমাত্রা
- তাপীয় পরিবাহিতা
- তড়িৎ পরিবাহিতা
- পরাবৈদ্যুতিক প্রবেশ্যতা (dielectric permittivity)
- বায়ুর দ্রুতি
- পরিবেশের তাপমাত্রা
৮। আবহাওয়বিজ্ঞান স্টেশন - নাম থেকেই এর কাজ বোঝা যাচ্ছে। এর সাথে বায়ু নির্দেশক এবং চাপ ও তাপ সেন্সর যুক্ত আছে। এগুলোর মাধ্যমে সে মঙ্গলের আবহাওয়া বিশ্লেষণ করে চলে।
এবার আমরা ফিনিক্সের সফলতা আর ব্যর্থতা নিয়ে ভাবতে পারি। একটা ব্যর্থতার কথা ইতোমধ্যে বলে ফেলেছি। হ্যা, মার্ডি পরিকল্পনা মাফিক ছবি তুলতে পারেনি। এজন্যই অবতরণের যে ৭ মিনিটে ফিনিক্সের গতি ঘণ্টায় ২১,০০০ কিমি থেকে মাত্র ৮ কিমি-তে নামিয়ে আনতে হয়েছিল, সে সময় মঙ্গল পৃষ্ঠ ও নভোযানের ক্লোজ ছবি আমরা পাইনি। মার্স রিকনিসন্স অর্বিটারের হাইরাইজ ক্যামেরা দিয়েই কেবল অবতরণের ছবি তোলা গেছে। সফলতাগুলো নিয়ে পরবর্তী পর্বে লিখব। অবতরণের পর নাসা ফিনিক্স বিষয়ে যে খবরগুলো প্রকাশ করেছে সেগুলো সংক্ষেপে লিখে ফেললেই তার সফলতার সবকিছু জানা হয়ে যাবে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই ফিনিক্স সফল হয়েছে। কর্মদক্ষতার দিকে অধিক নজর দেয়া এবং যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামিং মেনে কাজ করাই এর কারণ।
এই পর্ব শেষ করছি ফিনিক্স ডিভিডি নিয়ে ছোট একটি কথা বলে। "মঙ্গলের ফিনিক্স অভিযান" ব্লগটিতে এই ডিভিডি'র কথা বলেছিলাম। ডিভিডিটিতে মঙ্গল নিয়ে লেখা সব সাহিত্যের সংকলন স্থান পেয়েছে। পৃথিবীবাসী অনেকেই নিজেদের নাম ও মন্তব্য পাঠিয়েছিল নাসার কাছে। নাসা সেগুলোও ডিভিডিতে পুরে দিয়েছে। এই প্রথম আর্থলিং-দের নাম অন্য কোন গ্রহে পৌঁছুল। আর্থলিং কথাটাও এতোদিন কেবল কল্পবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হতো। নাসার ওয়েবসাইটেই মঙ্গলের সাপেক্ষে আমাদেরকে আর্থলিং বলা হয়েছে। এভাবেই আমাদের কল্পবিজ্ঞান ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। সন্দেহ নেই, মঙ্গলে বসতি স্থাপনকারী প্রথম জীবেরাও আর্থলিং হবে, কিন্তু অ্যামেরিকার মত তারাও হয়ত একদিন স্বাধীনভাবে গ্রহ পরিচালনা শুরু করবে। তখন হয়ত তাদেরকে আমরা মার্সলিং ডাকবো।
লেবেলসহ ফিনিক্স নভোযানের ছবি। বড় করে দেখতে চাইলে উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে যেতে পারেন। সেখানে বিস্তারিত দেয়া আছে।
-------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র:
[১] Exploration of Mars - ইংরেজি উইকিপিডিয়া
[২] Phoenix spacecraft - ইংরেজি উইকিপিডিয়া
মন্তব্য
খুবই চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ শিক্ষানবিসকে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ। আগামী পর্বেই আশাকরি ফিনিক্সের মঙ্গল অভিযানের বর্ণনা শেষ করতে পারব।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আপডেট রাইখেন... ভাল লাগ্লো...
আগামী পর্বেই মম্পূর্ণ আপডেট পেয়ে যাবেন। ফিনিক্স বিষয়ে শেষ খবর বেড়িয়েছে গত ৯ তারিখে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম। ভাল লাগল। তোমার আগের লেখাটা পড়িনি। ওইটা পড়ব এখন। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আমার বেশ আলাদারকম একটা আগ্রহ আছে। লিখতে থাকো।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আপনার আগ্রহের কথা শুনে ভাল লাগলো। মার্স সোসাইটি নিয়ে নেটে অনেক কিছু পাবেন। মার্স সোসাইটির উৎসাহে আমিও খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম।
ফিনিক্স ডিভিডির কথা লিখেছি। এই ডিভিডি-তে কি-কি সাহিত্যকর্ম স্থান পেয়েছে তার একটি তালিকা পেলাম। কার্ল সেগান প্রতিষ্ঠিত প্ল্যানেটারি সোসাইটির ওয়েবসাইট থেকে সেই তালিকার লিংকটা দিলাম:
http://www.planetary.org/programs/projects/messages/vom_contents.html
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
খালি মঙ্গল না, আমার আসলে মহাকাশবিজ্ঞান সম্পর্কেই খুব আগ্রহ ও কৌতুহল। যদিও সেটা মেটানোর জন্য যে পরিমাণ পড়াশুনা করা প্রয়োজন, তা করা হয়ে ওঠে নাই। ফিনিক্স ডিভিডি'র "ভিশনজ অভ মার্স"-এর গল্পগুলো কি পাওয়া যায় নেটে?
অফটপিকে বলি: সুইজারল্যান্ডে নাকি বিগ ব্যাং তত্ত্বের সত্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রায় ৩৪ টা দেশের শ'পাঁচেক (নাকি ভুল বললাম!) বিজ্ঞানী মনে হয় কাজ শুরু করসে এইটার উপর। পারলে কিছু লিখে ফেল এটার উপর।
______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
যেসব লেখক অন্তত ৬০ বছর আগে মারা গেছেন (যেমন ভলতেয়ার) তাদের লেখা গুটেনবার্গে পেতে পারেন:
gutenberg.org
আইজাক আসিমভ, আর্থার সি ক্লার্ক, জে জি ব্যালার্ড, রেই ব্র্যাডবারি, কুর্ট ভনেগাট, গ্রেগরি বেনফোর্ড বা কার্ল সেগানের লেখা ইস্নিপ্সে পেতে পারেন।
আপনি সুইজারল্যান্ডে যে গবেষণা কথা বললেন তা হল "সের্ন" (ইওরোপিয়ান অপর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ) এর লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে উচ্চ শক্তির প্রোটন রশ্মি নিয়ে পরীক্ষা। এ নিয়ে অনিকেত ভাই পাঁচ পর্বের একটা লেখা লিখেছেন। লেখাগুলো খুব ভাল হয়েছে। লিংক দিলাম:
১ - http://www.sachalayatan.com/aah/18129
২ - http://www.sachalayatan.com/aah/18132
৩ - http://www.sachalayatan.com/aah/18134
৪ - http://www.sachalayatan.com/aah/18154
৫ - http://www.sachalayatan.com/aah/18155
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ভালো লাগলো।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অতন্দ্র প্রহরী,
আসলে CERN এ একটা খুব শক্তিশালী কণাত্বরক চালু হলো।
হুম, এটাই এ যাবৎ কালের সবচেয়ে শক্তিশালী কণা ত্বরক।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
হুমম ভালোই তো লাগছে। লিখতে থাকো। আমি আগের পোস্টাও পড়েছিলাম কিন্তু এইটা বেশী ইন্টারেস্টিং।
বিষয়টাই ইন্টারেস্টিং। মঙ্গল অভিযান নিয়ে ইদানিং বেশি আগ্রহ বোধ করছি। এজন্যই তো দুই নাম্বার পর্বটাও লিখে ফেলছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বস,
দারুন বিষয়, দারুন লেখা!
একটা প্রশ্ন মনে এল। যদি ভুল না করে থাকি, মঙ্গলে আরেকটি রোভার পাঠানো হয়েছিল-- 'সোজার্নার' নামের।
সেইটা কি মরেছে নাকি?
সোজার্নার রোভারটা আসলে পাথফাইন্ডার ল্যান্ডারের ভিতরেই ছিল। ১৯৯৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর যখন পাথফাইন্ডারের মিশন শেষ হয় তখন সোজার্নারও শেষ হয়। এখন এই পুরো ল্যান্ডার-রোভার মিশনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কার্ল সেগানের সম্মানার্থে এই মিশনের নতুন নাম রাখা হয়েছে "সেগান মেমোরিয়াল স্টেশন"।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
খুব ভাল লাগল।চমৎকার েলখা
নতুন মন্তব্য করুন