আদম বিষন্নবদনে একটি দুধের নহরে পা ডুবাইয়া বসিয়াছিলো, স্বর্গদূত গিবরিল একটা রশ্মিনির্মিত গেন্ডারি চিবাইতে চিবাইতে আসিয়া কহিলো, "আদম! হইয়াছে কী? মুখখানি মলিন কেন?"
আদম দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলো, "আর কী হইবে? ঈভকে পটাইয়া খাটে তুলিতে পারিতেছি না। মাগী কেবলই নিষিদ্ধ ফলের জন্য বায়নাক্কা ধরে।"
গিবরিল কহিলো, "তুমি আর কতদিন ঈভের পশ্চাদ্ধাবন করিবে? এই বেলা আমাদের সাথে রশ্মিপট্টিতে চলো। সেইখানে গিজগিজ করিতেছে স্বর্গবেশ্যাদের দল!"
আদম চটিয়া গিয়া কহিলো, "তোমার মতো রশ্মিনির্মিত উজবুক যদি বটিতাম তবে কবেই রশ্মিপট্টি ছারখার করিয়া আসিতাম! আমি মৃত্তিকা নির্মিত আদম! আমার ঈভ আর এই দক্ষিণ হস্ত ছাড়া আর গতি কী?"
গিবরিল গেন্ডারির রশ্মিনির্মিত খোসা ছাড়াইতে ছাড়াইতে কহিলো, "তোমার বাম হস্তে কী হইয়াছে?"
আদম থতমত খাইয়া কহিলো, "বাম হস্তে ঠিক জুইত লাভ করি না। ক্যামন যেন বোধ হয়!"
গিবরিল কিছুক্ষণ আনমনে গেন্ডারি খাইয়া কহিলো, "ঈশ্বরকে বুঝাইয়া বলিলে তিনি হয়তো তোমার জন্য আরেকজন বেইব নির্মাণ করিবেন।"
আদম দাঁত খিঁচাইয়া কহিলো, "হাঁ, বলিয়াছে তোকে! আমার পঞ্জরাস্থিখানা খুলিয়া লইবার আগে ঈশ্বর কত মূলাই দোদু্ল্যমান করিয়াছিলেন আমার নাসিকার সম্মুখে! বলিয়াছিলেন, হাতের কাজে খ্যামা দাও আদম! তোমাকে একখানা সঙ্গিনী বানাইয়া দিতেছি, তাহার সহিত যাহা মন চায় করিও! ... উঁহুহু, ঐসব বালকভুলানো কায়দায় আমি আর পটিতেছি না! তখন পঞ্জর গিয়াছে, এরপর হয়তো একখানি রানের হাড্ডি খুলিয়া লইয়া আরেক নচ্ছাড় মেয়েছেলে তৈয়ার করিবেন! আর দিনকাল ভালো না, ইদানীং শুনিতেছি নারীরা নারীর প্রতি আসক্ত হইয়া পড়িতেছে। নতুন একখানা মেয়ে আমদানি হইলে আমার আমছালা সবই লুপ্ত হইতে পারে!"
গিবরিল বলিলো, "তোমার মস্তিষ্ক অত্যন্ত ক্ষিপ্র, হে আদম! এতো এতো নৈরাশ্যজনক সম্ভাবনা তুমি ভাবিয়া রাখিয়াছো!"
আদম দুধের নহরে নিষ্ঠীবন ফেলিয়া কহিলো, "আমার মতো ফাঁপরে থাকিলে তুমিও ভাবিতে। ঈশ্বরকে একখানা আলটিমেটাম দিবো ভাবিতেছি, নিষিদ্ধ ফলের অ্যাকসেস কিয়দকালের জন্য উন্মুক্ত করিতে! রাজি না হইলে সপরিবারে স্বর্গ ত্যাগ করিবো!"
গিবরিল বলিলো, "তুমি নিষিদ্ধ ফলই কেন খাইতে চাও বারে বারে? আলু খাইয়া দেখো না কেন?"
আদম চক্ষু রক্তবর্ণ করিয়া কহিলো, "আলু খাইয়া কী হইবে?"
গিবরিল কহিলো, "স্বর্গবার্তা চ্যানেলে মমতাজের সঙ্গীতখানি শ্রবণ করো নাই বুঝি? শুনিলেই উপলব্ধি করিবে, আলু কতো উপকারী ফল!"
আদম দন্তসংঘর্ষ সহযোগে কহিলো, "আলু ফল?"
গিবরিল হাসিমুখে ইতিবাচক উত্তর দিতে যাইতেছিলো, আদম চোখের পলকে খাড়া হইয়া তাহাকে বিকট এক পদাঘাতে দূর করিয়া দিলো। গিবরিলের শরীর রশ্মিনির্মিত বলিয়া তেমন কোন চোট না লাগিলেও সে দুঃখিত চিত্ত রশ্মপট্টির দিকে যাত্রা করিলো ডানা ঝাপটাইয়া।
আদম আবার আনমনে দুধের নহরের তীরে বসিয়া সপ্তপঞ্চ চিন্তা করিতেছিলো, হঠাৎ বোঁটকা ঘ্রাণ নাসিকায় আঘাত করিতে চমকাইয়া উঠিয়া দেখিলো, শয়তান তাহার পাশে আসিয়া বসিয়াছে। তাহার হস্তে একটি ঠোঙা।
আদম বলিলো, "ওরে নীচ শয়তান! কী বারতা কহ!"
শয়তান মিটিমিটি হাসিয়া কহিলো, "আমি তো ভালোই আছি। তোমার অবস্থা দেখিয়া মনটা ভালো নাই।"
আদম কহিলো, "নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার একটা উপায় বাতলাইতে পারো?"
শয়তান কহিলো, "নিষিদ্ধ ফল খাওয়া এখন শয়তানেরও অসাধ্য হইয়া গিয়াছে। রীতিমতো অগ্নিমূল্য! তবে বিকল্প আছে বৈকি।"
আদম লম্ফ দিয়া উঠিয়া কহিলো, "আছে?"
শয়তান কহিলো, "আছে। সে এক আজব ফল। একটি খাইলেই দেহে পাইবে লাবণ্য, মনে পাইবে আনন্দ। অশ্বের ন্যায় শক্তিলাভ করিবে শরীরে। শরীরের কোন কোন স্থানে লৌহভাব দেখা দিতে পারে। দিনে একাধিকবার সক্রিয় হইলেও অস্ত্র টলিবে না। স্ত্রীলোক মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পায়ে পায়ে ঘুরিবে। ... কী, খাইয়া দেখিবে নাকি?"
আদম শয়তানের দুই পদ জড়াইয়া ধরিয়া ফোঁপাইয়া উঠিলো।
শয়তান ধীরলয়ে ঠোঙা হইতে একটি ফল বাহির করিয়া আচমকা আদমের মুখে সজোরে গুঁজিয়া দিলো। ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া আদম কোঁৎ করিয়া গিলিয়া ফেলিলো।
"ইহা কী ফল?" আদম মুখ বিকৃত করিয়া প্রশ্ন করিলো।
শয়তান মিটিমিটি হাসিয়া কহিলো, "জলপাই।"
আদম বার কয়েক জলপাই নামটি জপিয়া হঠাৎ উঠিয়া শয়তানের করমর্দন করিয়া জোর পায়ে বাটীর পথে হাঁটা ধরিলো।
শয়তান আনমনে হাসিতে লাগিলো আদমের গুহ্যদ্বারের প্রস্থচ্ছেদের কথা ভাবিয়া। বোকা আদম জানে না, জলপাই যত সহজে প্রবেশ করে, তত সহজে নিষ্ক্রান্ত হয় না।
মন্তব্য
আহা। সাধু! সাধু।!
অয়েলক্যাম্বাক মুখা ভাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
জবর। কি খবর মুখাখোকা'র ?
তার আগে আপনের খবর বলেন হজু মুন্সি। থাকেন কই আর করেন কি? একেবারে লাপাত্তা হইয়া গেলেন...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আগে পড়িনি - তাই আজকে বুঝতে পারলাম লোকজন কেন "হা মুখা" "জো মুখা" করে ! চমৎকার !!
হ এইরমই.....
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
পক্কবিম্বাধরোষ্ঠী শিখরীদশনা শ্রোণীভারাদলসগমনা স্তোকনম্রাস্তনাভ্যাং হইছে (কপি মারলাম ভায়া দ্রোহী )
= = = = = = = = = = =
তখন কি শুধু পৃথিবীতে ছিল রং,
নাকি ছিল তারা আমাদেরও চেতনায়;
সে হৃদয় আজ রিক্ত হয়েছে যেই,
পৃথিবীতে দেখ কোনখানে রং নেই।
বোকা আদম জানে না, জলপাই যত সহজে প্রবেশ করে, তত সহজে নিষ্ক্রান্ত হয় না।
লাস্টে এসে দিলেন, .... মেরে। একেবারে ওস্তাদের মার।
অয়েলকাম্বাক মুখা। আর কোথাও যাসনে বাছা, জলপাই আর আলুর ল্যাটকা সালাড এল বলে।
আরে ভাই মুখফোড়, ফোড়া হইছে কোই আর অস্ত্র করলা কোই? সব্বনাশ!
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
জাঝা (বিপ্লব)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে নজরুল ভাই, ইমোটিকন দেয়া শিখে গেছেন দেখি
---------------------------------
ধন্য মুখা, ধন্য হে ...
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
উত্তম হইয়াছে। এইক্ষণে শয়তানের কোন শত্রু কর্তৃক জলপাই নিষ্ক্রান্ত করিবার উপায় বাতলাইয়া দিতে হইবেক।
জিজ্ঞাসু
অঙ্গটি ব্যবচ্ছেদ করতে হবে না তো?
অতীব খাসা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ওরে সব্বনাশ। মুখাতো ফাটিয়ে দিলে গুরু।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাই যাহা দিলেন মাইরি! হাসিতে হাসিতে সর্বাঙ্গে ব্যাথা অনুভব করিতেছি।
কীর্তিনাশা
জোস হইছে ।
অভী আগন্তুক
-----------------
সেই মূখা , সেই লেখা...
ভাব এবং ঝাঝ সমান উপভোগ্য।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সত্যি কথা বলতে কি, এরকম অসাধারণ লেখা বহুদিন পর পড়লাম! আপনি একজন সত্যিকার গুণী লেখক। আপনার এই লেখার ক্লাসিক মর্যাদা পাওয়া উচিত!
আপনার জন্য টুপি খুললাম মুখফোঁড়...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দাদা, আপনের তুলনা আপনে নিজেই, আপনারে মুখফোড় ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অবশেষে মুখফোড়ের একটা টাটকা লেখা পড়ার সৌভাগ্য হলো...চরম লাগছে...
---------------------------------
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুন হইছে মুখফোড়! একেবারে ফাটিফাটি! আর কিছু কওনের নাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ওস্তাদ, এহেবারে ফাডাইয়া দিছেন।
এরম লেহা পড়লে গায়ে জোর পাওন যায়।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বেশ বেশ। ভালোই লাগলো। জলপাই নিয়ে আমার একটা রূপকথা আছে। প্রকাশিত হয়েছিলো শিশু পত্রিকায়। মে মাসের ইসু্তে। জলপাই থিমটা মিলে যাওয়াতে বেশ মজা পেলাম। এবং অবশ্যই মনে মনে ভাবলাম 'গ্রেট ম্যান থিংকস এ্যালাইক।'
-বিধান রিবেরু
তোফা হইয়াছে!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মুখা চাল্লু, বাছা স্বর্গে আর কত থাকপে, এট্টুসখানি পৃথ্ঠিমীতে আইসো,
আইসে একটু গ্যাব্রিয়েল মগাদিশুর সন্ধান করো বাছা,
বেচারা নিরুদ্দেশ্যে গিয়াছে কার্বন মাঝির লৌকা লিয়ে।
একেবারে জম্পেশ !!!
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
এই পোস্ট পাঠ করিয়া অবগত হইলাম, আমার এই লেখাটি জনৈক আসিফ মহিউদ্দীন বিনা অনুমতিতে কপিপেস্ট করিয়া নিজের নামে অন্যত্র চালাইয়া দিয়াছে। আমি মর্মাহত ও বিরক্ত। আসিফ মহিউদ্দীন নামক লেখাচোরটিকে হাতের নিকটে পাইলে জুতাপিটা করিব।
দুগ্ধপানের জন্য গাভীক্রয়, মোটেও ভাল কাজ নয়
খাইছে আমারে (Eating me!)
ঐদিন কোন ব্লগে যেন দেখলাম আসিফের আন্ডু নিয়া টানাটানি চলতেছে। সমস্ত চুড়ি ফাঁস। গর্ধব বিশাল মুক্তমনা ভাব ধরিয়াছিল অন্যের লেখা চুড়ি করিয়া।
নতুন মন্তব্য করুন