আদম বাক্স গুছাইতেছিল, ঈভ আসিয়া চৌকাঠে দাঁড়াইয়া কহিল, "তুমি কি সত্যই গৃহত্যাগ করিবে, প্রিয়ে?"
আদম সংক্ষেপে কহিল, "হাঁ।"
ঈভ কহিল, "তুমি গৃহত্যাগ করিলে আমার বাজারসদাই করিয়া দিবে কে? চাকরবাকর তো কোন আনিয়া দিলে না, সারাটা জীবন এই আমাকেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া তোমার সংসারের ঘানি ঠেলিতে হইতেছে!"
আদম দন্তপঙক্তি দেখাইয়া কহিল, "পিত্রালয় হইতে দুয়েকখানা পাঠাইল না কেন? এখন আমাকে খোঁটা দিতে আসিয়াছ!"
ঈভ উচ্চস্বরে কহিল, "ওরে ও অভাগার পুত্র, জন্ম ইস্তক শুনিয়া আসিতেছি, বকিয়া যাইতেছ, একখানা পঞ্জরাস্থির বিনিময়ে আমাকে পাইয়াছ, আর এখন পিত্রালয় তুলিয়া কথা? তবে রে মিনসে, শালা চুরার চুরা, মুড়ো খ্যাংড়া দ্বারা তোর বিষ এমন করিয়া ঝাড়িব ...!"
আদম স্যুটকেসের অন্তরালে আত্মগোপন করিবার পূর্বেই রণরঙ্গিণী ঈভ সম্মার্জনী হস্তে তাড়া করিয়া আসিল।
আদম স্যুটকেস গৃহে রাখিয়াই দুপদাপ পা ফেলিয়া উঠানে আসিল। তারস্বরে বলিল, "বিচার চাই! আমি ঈশ্বরের দরবারে বিচারের ফরিয়াদ ঠুকিব। দিনের পর দিন মাসের পর মাস এই মুখরা রমণী আমাকে অত্যাচার করিয়া চলিতেছে। নিশীথে ইহাকে সোহাগ করিতে গেলে নেংটুতে আঘাত করে, ইহার জন্য দিবসব্যাপী ফাইফরমায়েশ খাটিতে খাটিতে আমার সোনার বর্ণ কালি হইয়া গেল, এই রমণীর কুপরামর্শে নিষিদ্ধ ফল হরণ করিবার জন্য কত তস্করবৃত্তিতে লিপ্ত হইয়াছি, আর আজ সে আমাকে তস্কর ডাকিয়া খ্যাংড়া বাগাইয়া প্রহার করিতে চায়! বিচার চাই!"
ঈভ তাড়াহুড়া করিয়া খ্যাংড়া দ্বারের গহীন কোণে লুকাইয়া আদমের পথরোধ করিল। "দেখ আদম, বাড়াবাড়ি করিও না। অতীতে বহু জাতি বাড়াবাড়ি করিয়া ধ্বংস হইয়া গিয়াছে। তোমার কি মনে নাই সামুদ জাতির কথা ... ?"
আদম দন্ত খিঁচাইয়া কহিল, "আরে যা যা ওসব গপ্পো মারাসনি আমার কাছে!"
ঈভ এইবার তর্জনী উঁচাইয়া আদমকে গর্জন করিয়া সতর্ক করিল, "দেখ আদম, যদি ঈশ্বরের দরবারে বিচার লইয়া যাও, তাহা হইলে তোমার সহিত আমার সম্পর্ক শীতল হইয়া পড়িবে!"
আদম অট্টহাসি দিয়া কহিল, "বটে? শীতল হইয়া পড়িবে? তোমার সহিত আমার সম্পর্ক কবে এমন কী উষ্ণ ছিল যে শীতলের ভয় দেখাইতেছ? তোমার সহিত উষ্ণ সম্পর্কের আর দরকার নাই আমার। কী ভুলটাই যে করিয়াছি। পঞ্জরের অস্থির পরিবর্তে স্ত্রী না চাহিয়া যদি এক বাক্স কসকো সাবান লইতাম, তথাপি লাভবান হইতাম! থাকিতে নিজের হস্ত, হব না পরের দ্বারস্থ!"
আদম দুপদাপ পা ফেলিয়া ঘরে গিয়া বাক্স গুছাইতে লাগিল আবার।
মন্তব্য
যাক যেমনটা ভেবেছিলাম। মুখা তাহলে আছে। তবে এর সাথে ভিটামিন আর কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুদের হাসপাতালে গমনের ঘটনার খবর প্রচারে যিনি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেলেন সেই মহান মন্ত্রীমহোদয়কে নিয়ে এরকম কিছুও সাথে আশা করেছিলাম।
আমার বিগবস অনেকদিন পর লেখা দিয়াছে, আহা! কি মজাই না পাইলাম। হাসতে হাসতে পেট ফাটিয়া গেল।
আমিও পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, এই সংবাদের সাথে এই লেখার কোন সম্পর্ক থাকতেই পারে না।
ল্যাংড়া শালা, তোদের সাথে সম্পর্ক থাকলেই কি আর না থাকলেই আবার শীতল আর উষন।
মুখাদার, আদম চরিত নাম্বারিং ঠিক ঠাক আছে?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মনে হয় মাঝের তিনটাকেও হিসাবে এনেছেন।
মুখা চিরজীবি হোক!
অতি চমেতকার হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
=))
----------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
মুখা যুগ যুগ জিও ........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দুর্দান্ত!
, তবে মুখার নিকট হইতে এ বিষয়ে আরো বিষাক্ত ছোবল চাই।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সেটাই আমিও বলি!
এহেন সম্পর্কের খ্যাতা পুড়াইয়া ছাইগুলা ফুরফুরা বাতাসে ভাসাইয়া দেওনের কাম!
আমিও তো কোনো সম্পর্ক খুঁজেই পাইলাম না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হের মুখা! গুরু! গুরু!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ঠান্ডা লাগতাসে... একটা লেপ দেন...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাইজান...চরম হইসে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বুখে আয় বাবুল।
কোন সম্পর্ক নাই
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আসলেই কোনও সম্পর্ক নাই
এই লেখাগুলো এক একটা রত্ন। এগুলো যত্ন করে সঙ্কলন করে প্রকাশ করলে ফাটাফাটি কান্ড হয়ে যাবে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- ছাল নাই ডগি'র হালুম তার চিৎকার! হালায় পাকির বাচ্চা দেখায় সম্পর্ক শীতলের ডর। অরে তৎক্ষণাৎ কওয়া দরকার আছিলো, "তর সম্পক্ক লৈয়া দূরে গিয়া মর হালার্পুত"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা!
উদ্ধৃতি
"পঞ্জরের অস্থির পরিবর্তে স্ত্রী না চাহিয়া যদি এক বাক্স কসকো সাবান লইতাম, তথাপি লাভবান হইতাম! থাকিতে নিজের হস্ত, হব না পরের দ্বারস্থ!"
হাসি সাম্লাইতে পারছি না গুরু।
কামরুল হাসান রাঙা
নতুন মন্তব্য করুন