১.
স্বর্গে জায়হুন নদীর তীরে বালুকাবেলায় আদম একটি তোয়ালা পাতিয়া বসিয়া অলস নেত্রে বিকিনি পরিহিতা স্বর্গবেবুশ্যেদের অবলোকন করিতেছিলো, আর মনে মনে ভাবিতেছিল, "বেওয়াচ" নামে একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মাণ করিলে কীরূপ হয়, এমন সময় শয়তান আসিয়া গলা খাঁকারি দিয়া কহিল, "ওহে মৃত্তিকানির্মিত আদম, কুশল কী?"
আদম আড়চোখে শয়তানকে এক পলক দেখিয়া আবার একটি বিশালবক্ষা গুরুনিতম্বিনী বিকিনিবসনার দিকে মনোযোগ স্থাপন করিয়া কহিল, "আরে শয়তান যে! তন্দুরস্তি মন্দুরস্তি ঠিক তো?"
শয়তান মৃদু হাস্যে কহিল, "ঘরে সুন্দরী স্ত্রী ফেলিয়া তুমি এই সুদূর নদীতীরে রশ্মিনির্মিত হাফনেংটু স্বর্গবালাদের দেখিয়া দর্শনকাম চরিতার্থ করিতেছ যে বড়?"
আদম দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া কহিল, "ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকা না থাকা সমান হে শয়তান! নিষিদ্ধ ফলও আয়ত্বে আসে নাই, সেই হতভাগিনীও নাগালে আসে নাই। তাই আমার এই দুই চোখ আর বাম হাতখানিই ভরসা। হ্যাণ্ড-আই কোঅর্ডিনেশন করিয়াই দিনাতিপাত করিতেছি। পঞ্জরের অস্থিখানা পুরাই জলে গেল।"
শয়তান বলিল, "দিনরাত কুচিন্তা করিলে তোমার স্বাস্থ্যক্ষয় হইবে। খেলাধূলা কর না কেন?"
আদম বলিল, "কী খেলিব? সাতচারা না লুডু?"
শয়তান বলিল, "ক্রিকেট খেল না কেন?"
আদম মুখ বিকৃত করিয়া কহিল, "ক্রিকেট? ছোহ!"
শয়তান কহিল, "কেন হে? নন্দন কাননের পিচ তো বড়ই উপাদেয়। ব্যাটিং করিয়াও মজা, বোলিং করিয়াও আরাম।"
আদম কহিল, "গেল বৎসর হইতে ক্রিকেট খেলা পরিত্যাগ করিয়াছি হে শয়তান। ঈশ্বরের ন্যায় চরম বাটপারের বিপরীতে ক্রিকেট খেলিয়া শুধু শুধু ঘাম ঝরাইবার কোন অর্থ হয় না।"
শয়তান মিটিমিটি হাসিয়া চক্ষু মুদিয়া কহিল, "কেন, তিনি কী করিয়াছেন আবার? কোন অপদার্থকে প্রণাম করিতে বাধ্য করিয়াছেন নাকি?"
আদম বলিল, "স্পোর্টসম্যানশিপের বালাই নাই তাঁহার। খেলিতে নামিয়া কহেন, কুন, আর সব কিছু ঘটিয়া যায়। আম্পায়ারের নিকট নালিশ করিয়াছিলাম, এহেন চিট কোড ব্যবহার চলিবে না ভদ্রলোকের ক্রীড়ায়, কহিয়াছিলাম, হাঁ!"
শয়তান বলিল, "তত কিম তত কিম তত কিম?"
আদম ফুঁসিয়া উঠিয়া কহিল, "তাহার পর আর কী! আমরা একশত চুরাশি রান করিয়া অল আউট হইলাম। ঈশ্বর ব্যাট করিতে নামিয়া দেখিলেন সুবিধা করিতে পারিবেন না, তখন বৃষ্টি নামাইয়া দিলেন। আম্পায়ার অলপ্পেয়েটি আসিয়া কহিল, ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আঁক কষিতে হইবে। হিসাব করিয়া দেখা গেল, বৃষ্টি থামিবার পর ঈশ্বরের দলকে দশ ওভারে দুই রান করিতে হয়।"
শয়তান মিটিমিটি হাসিতে হাসিতে বলিল, "বটে?"
আদম বলিল, "ঈশ্বর বাঁচিয়া থাকিতে আমি আর স্বর্গে ক্রিকেট খেলিতেছি না। তিনি অতিশয় চারশত কুড়ি!"
শয়তান পরমানন্দে চক্ষু বুঁজিয়া কহিল, "কোন দুশ্চিন্তা করিও না। বুদ্ধি শিখাইতেছি তোমাকে, দাঁড়াও।"
শয়তান অতঃপর আদমের কানে কানে একটি মন্ত্রণা দিল, আদমের চোখমুখ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। তাহা কি মন্ত্রণা শুনিয়া, নাকি অদূরে বাতাসের তোড়ে একটি স্বর্গবালার ঘাগড়া উড়িয়া জঙ্ঘাদেশ উন্মোচিত হইয়া পড়ায়, তাহা বোঝা দায়।
২.
দুইদিন পর স্বর্গে ক্রিকেট মাঠে আদম দাপাইয়া বেড়াইতে লাগিল।
ঈশ্বর মাঠে নামিয়া গিবরিলকে কহিলেন, "ওহে গিবরিল, আদম এত উৎফুল্ল কেন? উহাকে তো আজও দশ উইকেটে হারাইব।"
গিবরিল বলিল, "আদম বলিয়াছে, আপনি ক্যাপ্টেন থাকিলে সে খেলিবে না। আপনি নাকি নয়-ছয় করিয়া থাকেন।"
ঈশ্বর খিলখিল করিয়া হাসিয়া কহিলেন, "ঠিকাছে। আদমকেই বল আমাদের দলের ক্যাপ্টেন বাছাই করিয়া দিতে। পাওয়ার-প্লে কাহাকে বলে, উহাকে রগে রগে সমঝাইয়া দিব।"
গিবরিল গিয়া আদমকে ঈশ্বরের বার্তা পৌঁছাইয়া দিল।
৩.
আদমের নির্বাচিত ক্যাপ্টেনের হাবভাব অদ্ভূত। সে বৌলার নির্বাচনে সবিশেষ মূর্খামির পরিচয় দিল, ফিল্ডিং সাজাইতে গিয়াও লেজেগোবরে করিল, ব্যাটিং করিতে নামিয়া ঈশ্বরকে রান আউট করাইয়া দিয়া নিজে অপরিণামদর্শীর মতো লং অনে ক্যাচ তুলিয়া দিয়া গটগট করিয়া মাঠ ত্যাগ করিল। ঈশ্বর আউট হইবার পর তাঁহার শিবিরে ধ্বস নামিল, সব কয়টি স্বর্গদূত দুই চার রান করিয়া আউট হইয়া গেল গুজরিলের ইয়র্কার আর মুখাইলের স্পিনের তোড়ে। ফলাফল, আদমের দল ১০২ রানে বিজয়ী।
ঈশ্বর ফুঁসিতে ফুঁসিতে আসিয়া গিবরিলকে ধরিলেন, "গিবরিল! এই হতচ্ছাড়া ক্যাপ্টেনটার নামধাম এক টুকরো পাথরে খোদাই করিয়া আমার দফতরে পাঠাও এই দণ্ডে! উহার ডানা ছাঁটিয়া ঘোল ঢালিয়া উটের পিঠে চড়াইয়া যদি গেহেন্নার ময়দানে সাত পাক না ঘুরাইয়াছি, আমার নাম ঈশ্বরই নহে!"
গিবরিল হুকুম তামিল করিল।
পরদিন ঈশ্বর দফতরে গিয়া প্রস্তরখণ্ডটি তুলিয়া দেখিলেন, তাহাতে লেজার মারিয়া মুক্তাক্ষরে খোদাই করা ক্যাপ্টেন স্বর্গদূতটির নাম।
আশরাফিল।
মন্তব্য
বাঁশবালককে লইয়া এহেন তামাশায় তীবরো পোতিবাদ ও দিক্কার।
আশরাফিল না খেলিলে জয় করয়াত্বকরণ কতটা কঠিন হইতে পারিত মুখফোড় তা বোঝেনা এমনটিতো হবার কথা নয়। ইহা নিশ্চই শয়তানের কুমন্ত্রণা অথবা হাওয়াকে বশ করিতে না পারিয়া এলোমেলো হয়ে যাওয়া মস্তিষ্কের ভ্রান্তির ফল।
হে ভগবান, আপনি মুখফোড়কে কৃপা করুণ, ওর সুমতি দিন
হ্যাণ্ড-আই কোঅর্ডিনেশন করিয়াই দিনাতিপাত করিতেছি।
, মুখাদা আসিয়াছে বহুৎ দিন পড়ে, আর তার লেখা পড়িয়া সচল কলকাকলিতে মুখরিত হইয়াছে।
"ঈশ্বর বাঁচিয়া থাকিতে আমি আর স্বর্গে ক্রিকেট খেলিতেছি না। তিনি অতিশয় চারশত কুড়ি!"
বস, আবার কুর্ণিশ করি আপনারে, আপনে হইলেন বিগ বস। কি দিলেন বস, তোফা তোফা।
পরদিন ঈশ্বর দফতরে গিয়া প্রস্তরখণ্ডটি তুলিয়া দেখিলেন, তাহাতে লেজার মারিয়া মুক্তাক্ষরে খোদাই করা ক্যাপ্টেন স্বর্গদূতটির নাম।
আশরাফিল।
কি আর বলিব, এই পর্যায়ে আসিয়া পুরাই হাহাপগে, কামে বসিয়া এই লেখা পড়িতেষিলাম, হাসি শুনিয়া সকলে খিল, তোমার সমস্যাটা কি হে? এমন পাগলের ন্যায় তাফালং করিয়া হাসিতেছ কেন? আমি কি বলিব? এই লেখা ইংরাজিতে রূপান্তর করা তো আমার পক্ষে সম্ভব নহে, কাজেই হাসিয়াই গেলাম, আর কহিলাম, আমি বলিলেও তোমরা বুঝিবে না!!
জটিলস্য জটিল,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাই আপনের সমস্যাটা কি?
ত্যালেন ক্যান এত সবাইরে?
জানেন তো অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ!
ভাই আপনের সমস্যাটা কি? মাইনষের পশ্চাদ্দেশে আঙ্গুল দেন ক্যান? কাজ নাই?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ঐ বেটা, মুখফোড়ের মত একটা লেখা দে, তোরেও গুরু মানুম, আর কার যে চোরের লক্ষন, তা তো পরিষ্কার, নিজের নামে কিসু লেখার সাহস নাই। আর কারে তেলাইলাম? মুখফোড়? জাহিদ ভাই? সবুজ বাঘ? মামুন ভাই? অনিকেতদা?
উনাদের মত একটা লেখা দে বেটা, তারপর কথা ক!! আসছে এখানে বেনামে পকপক করতে, ভালো কিসু মুখে আসতেছে না আর সচলের নীতিমালায় ব্যক্তিগত গুতাগুতি নিষেধ, নাহলে গুলিস্তানের মোড়ে তোর লুঙ্গি ধরে টান দিতাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আহারে বেচারা আশরাফুল
নমস্য লেখা... আমি তো ক্রিকেট খেলা নিয়ে লেখা দেখেই ভাবছিলাম এটা গেলমানুর রহিমকে নিয়ে কিনা। পরে দেখি আমাদের আদি ও অকৃত্রিম বাঁশরাফুল ভাই!!
পুরা ফাটানি লেখা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আশরাফিল!
নেম অভ দ্য ইয়ার বস!!
হা ঈশ্বর! এ আমি কী পড়িলাম!! মুখফোড় জিন্দাবাদ!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এই হইলো মুখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ!
বাহ! মুখা ইজ ব্যাক। এখন আবার অন্য কোন চারশত কুড়ির ন্যায় বৎসরখানেকের জন্য গা ঢাকা না দিলেই হয়।
Quote করতে গেলে দেখতে পাই এই লেখার লাইনে লাইনে Quote করার মত জিনিষ আছে। তাই সে চেষ্টা করলাম না।
জয়তু মুখা!!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিন্তু এই লেখাটা নাকি সববয়সীদের জন্য, এইটাও কি মুখার আরেক কৌতুক
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
... যখন সচলে যোগ দেইনি তখনও আপনার লেখা পড়তাম। আপনি নমস্য ব্যক্তি!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মজাহি মজা
আপনার লেখার মুগ্ধ পাঠক অনেকের মতো আমিও। আর কি বলবো? লেখা অতিশয় চমকপ্রদ। অভিনন্দন আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
উ মাগো- বস এইটা কী দিলেন ??
অতীব অসাধারণ হইসে...
কোট করতে গেলে পুরা লেখাই করতে হয়- তাই আর করলাম না...
নমস্য লেখক আপনি...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
তুখোড়!!!
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
বিদেহী মুখা বস, লেখা জটিলজ হইছে। ইশ্বরের অবশ্য কুনু ক্ষ্যমতা অবশ্য নাই, থাকলে কইতাম আপ্নেরে ভিজিবল করতে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মজার!
নামটা হইছে খাসা- আশরাফিল
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মুখাবয়ব কুঞ্চিত করিয়া রাখিলাম। কেননা আমি হংসিবো না, হাহ্ হাহ্ হাহ্ হাহ্ হা!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহহাহাহাহহাহাহাহাহহাহা
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বেচারা আশরাফিল! দারুণ আইডিয়া!!!!!!!!!
_____________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
আশরাফিল !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আশ্রাফুল্রে স্টিকি করা হোক।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
এক কথায় - অসাধারন! অনেকদিন পর দেশী কারো লেখা পরে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিলাম।
কুদোস।
সংসপ্তক
shangshaptak@live.com
নতুন মন্তব্য করুন