বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিয়ৎকাল পর জানিলাম, সহপাঠী বনি ইয়ামিন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য।
মনের ভিতর দুর্ভাবনা জাগিল। বনি ইয়ামিন সদালাপী, না চাহিতেই আসিয়া নোটপত্র ধরাইয়া দেয়, বিপদে আপদে লোমশ বুক পাতিয়া ঝাঁপাইয়া পড়ে, জ্যেষ্ঠ খালু দুর্ঘটনায় আহত হইয়া হাসপাতালে যাইবার পর বনি ইয়ামিন ও তাহার কতিপয় ঈষৎ শ্মশ্রুমণ্ডিত বন্ধু আসিয়া রক্তদানের ভার স্কন্ধে লইয়াছিল। তাহার সহিত কোথাও গমন করিলে রিকশা অথবা সিএনজি ভাড়া সে প্রদান করে, খাইতে বসিলে বিল চুকাইতে সে অস্থির হইয়া পড়ে।
অথচ নিন্দুকেরা বলে ইসলামী ছাত্র শিবির ইসলামী ছাত্র সংঘের উত্তরসূরী। তাহারা ঊনিশশো একাত্তর সালে বাংলায় আল-বদর বাহিনী গঠন করিয়া হত্যা লুণ্ঠন ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ সকলই করিয়াছিল।
বনি ইয়ামিনকে এ প্রশ্ন একদিন ঠুকিয়া বসিলাম। বলিলাম, এত যে আমাকে জুম্মার নামাজ পড়িতে আহ্বান কর, রমজানের মিলাদে ইফতার ভোজন করিতে ডাক, আল্লামা মওদুদীর পুস্তকাদি পড়িতে চাপাচাপি কর, শিবির কি আল-বদরের সন্তান নহে?
বনি ইয়ামিন আপত্তি জানাইয়া কহিল, শিবির আল-বদরের বৈধ অবৈধ কোন প্রকারের সন্তান নহে। শিবির শিবিরই। যেমন নারিকেলকে ডাবের সন্তান বলা অনুচিত।
আমি আমতা আমতা করিতেছিলাম, বনি ইয়ামিন কহিল, ইসলামী ছাত্র সংঘের বড়জোর ১% লোক আল-বদরে গিয়াছিল। বাকি ৯৯% মুক্তিযুদ্ধ করিয়াছিল। শিবির ইসলামী ছাত্র সংঘের সেই অবশিষ্ট ৯৯% এর সন্তান।
যুক্তিটি আমার মনে ধরিল। বনি ইয়ামিনকে নিঃসংকোচে বন্ধু ডাকিয়া পেলব বুকে টানিয়া লইলাম।
দিন যায়। মাস যায়। বছর যায়।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা আমায় নিন্দামন্দ করে। বলে, ইনজিনিয়ারিং পড়িতে গিয়া এ কী দশা করিলি। তোর স্বীয় ইনজিনখানিতে সমস্যা দেখা দিয়াছে। উপরন্তু চলাফিরা করিতেছিস একটি শিবিরের সঙ্গে।
আমি বনি ইয়ামিনের সঙ্গে ওঠবোস করিয়া অনেক যুক্তি শিখিয়াছি। বলিলাম, দেখ, গোটা বাংলাদেশেই জামাত শিবির আছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বাহিরে নয়। বাংলাদেশে যদি ১% লোক জামাত শিবির হয়, আমার বিশ্ববিদ্যালয়েও ১% জামাত শিবির থাকা পরিসংখ্যানগতভাবে সঠিক।
বন্ধুগণ পরিসংখ্যানে পরিপক্ক নহে বলিয়া চুপ মারিয়া গেল।
আরও দিন যায়। মাস যায়।
এক ইঁচড়ে পাকা বন্ধু ইত্যবসরে কয়েক পাতা পরিসংখ্যান অধ্যয়ন করিয়া একদিন চায়ের আড্ডায় আসিয়া ফট করিয়া বলিয়া বসিল, বাছিয়া বাছিয়া ঐ ১% জামাত শিবিরের সদস্যের সঙ্গেই তোমার দোস্তি হইল কীরূপে?
আমি বনি ইয়ামিনের সঙ্গে ওঠবোস করিয়া ইতিমধ্যে আরো কিছু যুক্তি শিখিয়াছি। কহিলাম, দেখ বন্ধু, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত শিবির সমর্থক অনেকে আছে বটে, কিন্তু তাহাদের সঙ্গে আমি কদাপি মিলামিশা করি না। তাহাদের মাত্র ১% এর সঙ্গেই আমার খাতির।
পরিসংখ্যানগর্বী বন্ধুটি থম মারিয়া চায়ের কাপে চুমুক মারিতে লাগিল।
আরও দিন যায়। মাস যায়।
একদিন বনি ইয়ামিন কহিল, আরে ইয়ার, আমাকে একটি কাজে সহায়তা কর। কিছু ভারি জিনিস বহন করিতে হইবে। আমি মটর সাইকেল চালনা করিব, তুমি জিনিসগুলি ভালমত যুত করিয়া পাকড়াইয়া ধরিয়া বসিয়া থাকিবে কেবল। কী, পারিবে না?
বনি ইয়ামিন আমাকে লেখাপড়ায় সহায়তা করে, কিছু ভাল টিউশনি সন্ধান করিয়া দিয়াছে, আমার জ্যেষ্ঠ খালুর শরীরে তাহার ও তাহার ঈষৎ শ্মশ্রুমণ্ডিত বন্ধুদিগের রক্ত বহমান, না করিতে বাধিল। বলিলাম, চল ইয়ার।
বনি ইয়ামিন তাহার মটর সাইকেলের পিছনে বসাইয়া লইয়া গেল জিগাতলার একটি ঘুপচি বাড়িতে। তাহার মতই স্বাস্থ্যবান সুদর্শন এক যুবক আসিয়া খবরের কাগজে বাঁধাই করা একটি বাণ্ডিল আমার হাতে তুলিয়া দিয়া সুমধুর হাস্যে কহিল, আসসালামু আলাইকুম ভাই।
আমি আরবী ভাষায় সহীহ মুসলিম তরিকায় বোলচাল শিখিয়া গিয়াছি, কহিলাম ওয়া ইয়াকুম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
যুবক হাস্যমুখে জবাবে কহিল, দুগদুগ আনতি উখতি।
বনি ইয়ামিন তাহার সহিত নিম্নস্বরে কিছু বাক্যালাপ সারিয়া আসিয়া পুনরায় মটর সাইকেল চাপিয়া আবুল মকসুদ হলে ফিরিয়া আসিল। সে আবুল মকসুদ হলের আবাসিক ছাত্র।
দোতলায় তাহার প্রান্তবর্তী ঘরে সেই বাণ্ডিলটি খাটের নিচে রাখিতে গিয়া তাহা বম্বাই চলচ্চিত্রের নায়িকার বসনের ন্যায় আলগা হইয়া পড়িল। আর অবগুণ্ঠিত চাপাতি ও রডগুলি বাহির হইয়া পড়িল।
আমি ভীত হইয়া বলিলাম, ইয়ার বনি ইয়ামিন, এইসব কী হইতেছে? চাপাতি রড লইয়া তুমি কী করিবে?
বনি ইয়ামিন আমাকে আলিঙ্গন করিয়া কহিল, ভীত হইও না বন্ধুবর। সামনে কুরবানি, মাংস কাটাকাটি করিব।
আমি কহিলাম, কুরবানি তুমি গাইবান্ধায় উদযাপন না করিয়া হলের কক্ষে চাপাতি আনিতেছ কেন?
বনি ইয়ামিন কহিল, গাইবান্ধায় এলাকার ভাইয়েরা আরও অনেক মালপত্র লইয়া যাইবে। তাহার ১% আমি নিজের কাছে আনিয়া রাখিয়াছি। সব ভার অন্যের উপর চাপাইলে চলিবে না, নিজেকেও কিছু বহন করিতে হইবে।
সপ্তাহ দুইয়েক পর একদিন সন্ধ্যায় বনি ইয়ামিন ক্যাম্পাসে আসিয়া আমাকে কহিল, ইয়ার, সমস্যা হইয়া গিয়াছে। পল্টনে মারপিট লাগিয়াছে। পুলিশ আমার সন্ধান করিতেছে। কিছু দিন তোমার বাসায় অবস্থান করিতে চাই।
বনি ইয়ামিন আমার বন্ধু, লেখাপড়া-টিউশনি-জ্যেষ্ঠ খালুর দিক দিয়া হিসাব করিলে নিকটাত্মীয়ের ন্যায়, তাহাকে লইয়া চলিলাম বাড়িতে।
আমার মাতা বনি ইয়ামিনকে দেখিয়া অস্বস্তিভরে আমাকে ফিসফিস করিয়া কহিলেন, এ কেন আমাদের বাসায় থাকিতে চায়?
আমি জ্যেষ্ঠ খালুর হিমগ্লবিনের কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া গম্ভীরচিত্তে কহিলাম, মা, আমার সব বন্ধুরা তো রাত্রিকালে আমার ঘরে থাকিতে চাহে না। মাত্র ১% থাকিতে বাঞ্ছা করিলে তুমি ফিরাইয়া দিবে? তাছাড়া জ্যেষ্ঠ খালুর শরীরে বনি ইয়ামিন ও তাহার ঈষৎ শ্মশ্রুমণ্ডিত বন্ধুদিগের রক্ত বহিতেছে, অন্তত ১% তো হইবেই। আর সে তো সারা বছর থাকিবে না। তিন সাড়ে তিন দিন কাটাইয়া চলিয়া যাইবে যেদিকে দুই চক্ষু যায়। বছরের মাত্র ১% সময় সে বন্ধুর বাড়িতে থাকিলে কী এমন ক্ষতি? আর সারা বাড়িময় তো সে বাস করিবে না। বড়জোর বারো চোদ্দ বর্গফুট জায়গা লইয়া চুপচাপ শুইয়া থাকিবে। গোটা বাড়ির মাত্র ১% স্থান তাহাকে ছাড়িয়া দিলে অনিষ্ট কোথায়?
আমার লেকচাড় শ্রবণ করিয়া আমার জননী ক্ষান্ত হইলেন। রাতে মুরগি রান্না করিলেন বনি ইয়ামিনের জন্য।
বনি ইয়ামিন গভীর রাত্রিতে মোবাইল ফোনে নিম্নস্বরে গুজগুজ করিয়া আমার বিছানায় আমার সঙ্গে শুইয়া ঘুমাইয়া পড়িল।
বিপত্তি বাঁধিল দ্বিতীয় রাত্রিতে। সারা দিনে এক হাজার চার শত চল্লিশ মিনিট। তাহার ৯৯% নির্বিবাদে কাটিয়া যাইতেছিল, মিনিট পনেরর জন্য একটা সমস্যা দেখা দিল।
বনি ইয়ামিন আমায় বহুবার বলিয়াছে, জিহাদে নামিলে মাঝেমধ্যে নফস জাগ্রত হয়। নামাজকালাম পড়িয়া তাহা নিবৃত্ত করা দস্তুর, কিন্তু নামাজকালামে কাজ না দিলে যাহা করিলে কাজ দেয় তাহা করিয়া ফেলাই গুরুজনের হিতোপদেশে আছে।
আমি তাই বাধা না দিয়া উপভোগের চেষ্টা করিতেছিলাম। কিন্তু বনি ইয়ামিনের নফস অপেক্ষাকৃত শোরগোলপ্রবণ বলিয়া আমার পরিবারের গুরুজনেরা জাগিয়া উঠিয়া দরজায় করাঘাত করিতে লাগিলেন।
আর যেখানে ব্যাঘ্র লইয়া ভীতি, সেইখানেই ঘনায় সন্ধ্যারাতি। ছিটকিনিটি সেদিন আর উত্তমরূপে আবিষ্ট করা হয় নাই। তাই তাহাদের উপর্যুপরি করাঘাতে দরজা খুলিয়া গেল। বাতি জ্বলিয়া উঠিল।
পিতা ও মাতা আঁতকাইয়া উঠিলেন। আমি থতমত খাইয়া পড়িয়া রহিলাম। বনি ইয়ামিন হাঁপাইতে হাঁপাইতে কহিল, আসসালামু আলাইকুম।
পিতা গর্জন করিতে লাগিলেন। মাতা ক্রন্দন করিতে লাগিলেন। ছোট ভাই বোন আসিয়া বেআদবের ন্যায় হাহা হিহি করিতে লাগিল।
পিতা চিৎকার করিয়া কহিলেন, এই ছেলের লিঙ্গ তোমার পায়ুপথে কেন?
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া কহিলাম, আব্বা, পায়ুপথকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে? সমগ্র শরীর বিবেচনায় নিলে পায়ুপথের তাৎপর্য কতটুকু? আয়তন বিচারে সে সমগ্র শরীরের আর কতটুকু? বড়জোর ১%?
মন্তব্য
এক্কেরে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইয়া মাবুদে এলাহী
নিশিতা
মুখা একটি অভিশাপ!
শুরুর দিকে পড়েই মনে হয়েছিল এই ১% কোন ১%। সব লেখাতে কমেন্ট না করলেও মনোযোগ দিয়ে সব ঘটনাই পড়া হয়।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আপনার বিচক্ষণতার কথা কি বলব ভাই, খুব হাসি পাচ্ছে এক গ্লাস দুধে একফোঁটা মানে ১%।।।।।।।।।।।।। তা খারাপ হয়ে যায় শিবিরের অবস্থাও তাই।
তুহিন সরকার
tuhin_preeti@yahoo.com
ইনি সচল কৌস্তুভ নাকি
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইয়াম্বুদ...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
দাদা, আপনি বস; না, ব্স না, অন্যকিছু
অচাম অচাম নেখাগুলান ক্যাম্নে লেখেন?
-স্বপ্নচারী
---------------------
আমার ফ্লিকার
লেখা পড়ে লগিন না করে থাকতে পারলাম না। ঠিকমতো টাইপও করতে পারতাছি না হাসির চোটে। =)) আমি বিষম খেয়া মরলে মুখফোড় দায়ি থাকবে। =)) উপ্স!
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
চরম!
- সাম্য
মুখা আসলেই "এক পিস আল্লার মাল"
ওফ---- পুরাই ১০০% ---
-অয়ন
হাহাহহাহাহাহহাহা!!! আপনার অনেক লেখা পড়ি, খুব মজা লাগে।
হা হা, সমকামীতা আজ বিশ্বধরায় সর্বজনস্বীকৃত, তাকে নিচু চোখে উপস্থাপনে গর্বের কিছু নাই মনে হয়। বরং শীবিরকে পচানোর জন্য সমকামী বাদে আরো অনেক শোষীত গোষ্ঠীকেই বেছে নেয়া যেত।
এক মুখে নারী আর সমকামীদের পক্ষ অবলম্বন করেন, আরেকমুখে তাদেরকেই নিচু চোখে উপস্থাপন করে সর্বজন সমাদ্রীত হন। শীবিররা তাদের উপযুক্ত কৌরব/পান্ডব খুঁজে পেয়েছে বটে আমি খালি দেখি রথি মহারথিদের হঠকারীতা, মহাভারতের প্রান্তরে সবাই সমান পাপী; এমনকি স্বয়ং শ্রী কৃষন-ও ।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাইজান। মুখা শুধুই ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়, আর পাইলেই হান্দায় দেয়। শোষক বুঝেনা, শোষিত বুঝেনা এমনকি তোষকও বুঝেনা।
তখন যদি ওইসব শোষিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি "অন্য কিছুর দেবতা" নিক নিয়ে এসে অভিযোগ করতো??
ফারাসাত
এই গল্পটা দেবতা ভাইয়ার ১%এ আঘাত হেনেছে মনে হচ্ছে।
দেবতা ভাইয়া আপনি পচানোর জন্য ৫টা বিকল্প শোষিত গোষ্ঠীর নাম বলে যান। মুখফোড় বদমাশটা সংশোধনের অযোগ্য, কিন্তু আমরা বাকিরা লাইনে আসতে চাই।
৫টা বিকল্প শোষিত গোষ্ঠীঃ
১. মুসা ইব্রাহীম
২. নাফীস
৩. মেহেরজান
৪. ড. ইউনুস
৫. অনন্ত জলিল
ফারাসাত
ইডা আফনি কি কলেন ফারাসাত ভাই, সমগ্র ব
সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ???
ফারাসাত
হে প্রেমের দেবতা--সমকামীতা, আর অবৈধ বা জোরপূর্বক সমকামীতা দুইটি ভিন্ন জিনিস, একটিকে বাণ মারিলে আরেকটির মান গেল বলিয়া রব তুলিলে তো মুশকিল! মর্ত্যের অনেক মানব-মানবীই এই ২টি গুলাইয়া ফেলেন (আর ভাবেন যে সমকামীতা বৈধ হইলে তাহারে পথে ঘাটে নিরীহ মানব-মানবীর উপর উপবিষ্ট হইবে), কিন্তু স্বর্গলোকের দেবতারাও একই ভ্রান্তিতে থাকিবেন, ইহা অতি দুঃখজনক।
দিফিও জোরপূর্বকতার কথা বলছেন - আবার পড়ে দেখুন। জোরাজুরির লেশমাত্র এই গল্পে নেই। সমপ্রেম এবং এনাল সেক্সকে সবচেয়ে ঘৃণ্য ধরে নিয়েই এধরণের লেখাগুলিতে এগনো হয়।
শিবির হওয়ার চেয়ে পায়ুকামী হওয়া একশোগুণ ভালো। আর পায়ুকাম এই লেখার শিবির চরিত্রটির সবগুলি কীর্তির মধ্যে সবচেয়ে নির্দোষ।
আমার মনে হয় এখানে পায়ুকাম অথবা পায়ুকামীদের কে কটাক্ষ করা হয়নি। পায়ুকাম করার 'অজুহাত' এবং সেই অজুহাতকে 'জাস্টিফাই' করার প্রক্রিয়াটিকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
বনি ইয়ামীনের নিজের কামনা ধর্ম দিয়ে জায়েজ করার প্রসঙ্গে এই কথা এসেছে।
ফারাসাত
এখানে আসলে শিবিরকে কিছুই বলা হয়নাই। ওরা যেমন আছে তেমনই আছে। বলা হইছে ওই 'আমি' রে। যে সবকিছু দেখে শুনে শিবিরের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে আর বলছে আমি ব্যবহৃত হইনি বা হচ্ছিনা। এই আমাদের পায়ুপথ ব্যবহার হলেও আমরা বলি যে মাত্রতো ১%, দুই শিবির এসে পুরো কাহিনীকেই অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে উলটাপালটা বলে। প্রশ্ন হলো যে আমরা আর কতদিন এই ১% ব্যবহার করতে দেব?
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ফারাসাত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
চমৎকার বলেছেন জুন!
ঠিক আছে, জুনের ব্যাখ্যার সাথে একমত।
ফরাসতের দ্বিতীয় বক্তব্যের সাথেও, কিন্তু প্রথমটির সাথে নয়। এমন কোন শিবির-সংক্রান্ত লেখা পাওয়াই মুশকিল যেটার মূল ভাষা/কমেন্ট সেকশন এধরণের রেফারেন্সে ভরা।
আমি প্রেমের দেবতার সাথে একমত। ধর্মান্ধ, শিবির ইত্যাদির সমালোচনায় হোমোফোবিক ভাষা ব্যাবহার করাটা এখন একেবারে রীতি হয়ে গেছে।
আপনার আল্লাহই তো লুত নবীর কওমরে ইটা মাইরা শ্যাষ কইরা দিছিলো। আল্লাহ কি হোমোফোবিক?
বেকুব কোনহানকার!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ফাডায়ে ফেলসে এক্কেবারে। Must read
১% ও যে ভীষণ ক্ষতিকর তা সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ পাইয়াছে, এবং ক্ষতিকর হইবারই কথা। কিন্তু ১% অক্ষতিকর তাহা কে কারা বলিয়াছে এটা বলবেন।
_____________________
Give Her Freedom!
বুয়েটিয়ান গ্রুপে ঢুকে দেখ, অনেকেই অনেক ভাবে বলার চেষ্টা করছে, আমাদের এখন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর ক্যারিয়ার নিয়ে আলাপ করার সময়, জাহাঙ্গীর সাহেব তো বলেই গেলেন ৭১-৭৫ এর জন্যে আওয়ামী-লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার, তারপরও যদি বল 'কে বা কাহারা বলিয়াছে' তাইলে তো আর তোমারে ক্যামনে বুঝানো যাবে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নিজের পোস্ট নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্য দিকে খেয়াল রাখতে পারি নাই। আজ অন্য সূত্র ধরে বুয়েটিয়ান গ্রুপে (ফেবারিটে না থাকলে ফেবু আবার কিছু দেখায় না বলে) যেয়ে এলাহি কারবার দেখি। সব ধরণের কথাই সেখানে প্রচুর পরিমাণে আছে। শিবির খেদাও আছে, এড়িয়ে যেতে চায় আছে, অপমান-তিরস্কার সবই আছে। ১% যে অক্ষতিকর এমনটাও আছে (পোস্ট/মন্তব্যের প্রভাব ধরে এগুতে থাকলে)।
_____________________
Give Her Freedom!
ওরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ব্যাপক হইসে
স্রেফ অসাধারণ।
হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এসেছে!
--------------------------------------------------------------------------------
মুখা একটা ১০০% দুষ্টলুক!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
১% মুখ বন্ধ করিয়া আর ৯৯% হা হা করিয়া হাসিতে হইলো
ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি, পুরা শিবিরীয় জায়েজ কাম
আপনি আসলেই ভয়ানক দুষ্ট লোক। অফিসে বসে হাসি কন্ট্রোল করতে পারছি না। অনেক ক্যারিকেচার করতে হচ্ছে। এই আকালের দিনে চাকরী নিয়ে কোন সমস্যা হইলে মাগার আপনার খবর আছে।
লেখায়
ফারাসাত
ব্যপক মজা পাইলাম। তুলনা নাই।
ভাই মুখফোড়, আপনার লেখার ১% আমি যদি বিনা অনুমতিতে কপিপেস্ট করি তবে নিশ্চয় আপনার সমস্যা নাই। যদি থাকে তো জলদি জানাবেন।
আপনে তো মিয়া শিবিরের ৯৯% ই পুটু মেরে দিলেন
অসাধারণ।।।।।।।
এভাবে ছেঁদে দিলি বাবা... বুয়েটেরও একটা মান-সম্মান আচে!!
হোক না শিবিরের আশ্রয়দাতা...
ভাই প্লিজ লেখাগুলা সকাল ১২-১ টায় পোস্ট কইরেনা। না পারি হাসি চাপতে না পারি ব্রা্উজার বন্ধ করতে.... এইদিকে অর্ধেক অফিস চইলা আসছে... আমি কেন পাগলের মত হাসতেছি দেখতে??
আপনার ১% ঠেলায় আমার ১০০% চাকরি গেলো, মিয়া।
মুখারে মুখা! কইচ্চত কিতা!!!!!!!!!!!!
_________________
[খোমাখাতা]
আরেকটি কথা সকল জ্ঞানপাপীর উদ্দেশ্যে, বুয়েটে শিবির একটিভ, এটা আমরা গোপন করিনি, বরং শিবিরকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেটা নিয়ে সবাই সরব আছি। বুয়েটে শিবির হলে একটা রুম দখল করতে পারে বড়জোর, হল দখল করতে পারেনা, পারবেওনা। সারা দেশের বাদবাকি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারে হাজারে শিবির, রগ কাটে, গুলাগুলি করে, হল দখল করে-তখন সুশীলদের টনক নড়েনা। বুয়েটের শিবির কর্মীদের সামাজিকভাবে বয়কট বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরাই করবে। বুয়েটের যে কয়জন শিবির কর্মী আছে তাদেরকে রাষ্ট্র তার আইন-আদালত ব্যবহার করে গ্রেফতার করুক, বিচার করুক, বুয়েটের কোন সাধারন ছাত্র-ছাত্রী এতে বাধা দিবেনা, বরং সাধুবাদ যাবে। বুয়েটে শিবির চাষ হয়, শিবিরকে উত্সাহ দেয়া হয়-এই কথাটা উচ্চারন করার আগে আপনি ভেবে দেখুন-আপনি বাংলাদেশ থেকে জামায়াতকে কতটুকু নির্মূল করতে পেরেছেন বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল দখল, রগ কাটা থেকে শিবিরকে কতটুকু দুরে রাখতে পেরেছেন? ব্লগে বা অনলাইন পত্রিকায় জ্ঞান দেয়ার আগে সকল জ্ঞানপাপী এটা ভেবে দেখবেন সেটাই আশা করি।
সব দোষ বুয়েটের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ঘরে বসে জাবর কাটবেন-এটা আমরা মানবনা। ৫০ জন শিবির কর্মীকে ২০০০ জন সাধারণ ছাত্র মিলে কুপিয়ে মেরে ফেলতে পারবেনা, এটা আইন না। শিবিরকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিরোধ করার উপায় বাতলে দিন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
শুনে মনে হচ্ছে আপনি শিবির। নইলে দুটো পোস্টে একই মন্তব্য দিতেন না। তবে ধরে নিলাম শিবির বিতাড়নের সত্যিকারের ইচ্ছা আপনার আছে। সেইক্ষেত্রে দুই পয়সা >
জাহাঙ্গীরনগর আর ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশকের শেষে এবং নব্বুই দশকের প্রথমার্ধে পিটিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে। আপনারদের বুয়েটেরও ঐ সময় শিবির পেটানোর গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০ সালের সম্ভবত ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিক্ষকদের উপর শিবির হামলা করার প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির পেটানো শুরু হয়। (তখনও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম হয় নাই।) সেই সময় আপনার বুয়েটের রশীদ হলে শিবির আবিস্কৃত হয়। ১% এর কম সেই কয়জনকে ছাদে উঠিয়ে শীতের রাতে কাঁথাবালিশ ছাড়া রাত্রিযাপন করতে বাধ্য করা হয়। এর পরে প্রায় একদশক বুয়েটের কোন হলে প্রকাশ্যে শিবির ছিল না। জাহাঙ্গীরনগরেও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সিদ্ধান্তে ১৯৮৯ সালে শিবির নিষিদ্ধ হয়। এরপরে শিবির দুইবার ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টা করে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরোধে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় বেলার পুরো সময়টাই সবকটি হলে নিয়মিত শিবির হান্টিং চালু ছিল। আণ্ডারগ্রাউণ্ডে থাকতে বাধ্য করা খুব কার্যকর রাজনৈতিক কৌশল।
শিবিরকে আজ পর্যন্ত যত জায়গায় ঠেকানো হয়েছে গণপ্রতিরোধেই ঠেকানো হয়েছে। এইক্ষেত্রে খুব বেশি কাজে লেগেছে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি। বুয়েট ক্যাম্পাসকে তার পুরনো দিনে ফেরত নিতে হবে। ধর্মীয় মৌলবাদীরা প্রচণ্ডরকম আক্রান্তবোধ করে এই ধরণের নাটক/সিনেমার প্রদর্শন বর্তমানের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বাড়াতে হবে। এরফলে শিবির/হিজবুতগং ভায়োলেন্ট রিঅ্যাকশানে বাধ্য হবে এবং সেই প্রতিক্রিয়াকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে শিবির বিতাড়ন বৈধতা পাবে।
কিন্তু পুরা ব্যাপারটাই নির্ভর করছে শিবির খেদানোকে আপনি কতটা জরুরি মনে করেন তার উপর।
অজ্ঞাতবাস
- প্রচণ্ডভাবে সহমত। আরও একটা জরুরী ব্যাপার হচ্ছে অনতিবিলম্বে ইউকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিয়ে ছাত্র সংসদগুলো চালু রাখা। রাজনৈতিক সচেতনতা ও রাজনীতির চর্চা ছাড়া শিবিরের কার্যকর প্রতিরোধ সম্ভব না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সহমত!
১%
(৫০/২০০০)x১০০ = ২.৫%
ফারাসাত
..................................................................
#Banshibir.
এগুলি হচ্ছে বুয়েটের শিবির ছাত্রের ঘর থেকে উদ্ধার করা হাতিয়ার। এইবার আইন আর নিয়মতন্ত্রের কথা আরো কিছু বলেন। আমরা শুনি।
রড রামদার পাশে মাসিক কিশোর কন্ঠের কপি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিশোর কণ্ঠও এদের বড় হাতিয়ার।
..................................................................
#Banshibir.
বটমলাইনে প্রথম আলো'র সামান্য বামে এক বেগানা নারি'র মাথা দেখা যাইতাসে!!
ভাই শিবিরকে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধের টোনটা ভালো শোনায় না। 'নিয়মতান্ত্রিকতা' ধ্রুব বিষয় না। নিয়ম বিষয়টা সমাজপ্রগতির মতোই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। নিয়ম একটা সমাজে নির্দিষ্ট সময়ের নির্দিষ্ট প্রেক্ষিতে তৈরি হয়। শিবির আইনত বৈধ ছাত্র সংগঠন। কিন্তু এটাতেতো কোন সন্দেহ নাই যে, শিবির পরিত্যাজ্য(এই ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে অন্য হিসাব ) সুতরাং এখন যদি সবাই আওয়াজ তোলে শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আন্দোলন চালানো যায় তবে রাষ্ট্র তথা কর্তৃপক্ষ একটা মেসেজ পাবে, এবং জোরদার আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে শিবিরকে আইনত নিষিদ্ধ করাও খুবই সম্ভব। যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাশেম, যে সংগঠন রগকাটা রাজনীতির জন্মদাতা, আরে ভাই যে সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতাই মানেনা (নাকি এইটা নিয়াও সন্দেহ?) সেই সংগঠনকে 'নিয়মতান্ত্রিক' পদ্ধতিতে প্রতিরোধের বিষয়টা সন্দেহজনক। আগে বেসিক বিষয়টা পরিষ্কার করা জরুরী; শিবির বাংলাদেশের জন্য হুমকী কিনা। তারপরে 'নিয়ম', 'আইন' এগুলোতো বৃহত্তর সমাজের কল্যাণের জন্যই বানানো হয়। সুতরাং শিবির প্রতিহত করার সাথে সাথে শিবির নিষিদ্ধ করার আওয়াজটাওতো তোলা যাচ্ছে।
তবে একেবারে প্রাথমিকভাবে এখন শিবির প্রতিহত করতে হলে প্রথমত মাইরের উপ্রে ওষুধ নাই। বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোর রক্তাক্ত ইতিহাস সে সাক্ষ্যই দেয়।
সৈকত, মস্কো।
ফারাসাত
- গত পাঁচ বছরে শিবির প্রতিরোধে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকবৃন্দ ও প্রশাসন কী কী করেছে একটু বলুন। তাহলে বুঝতে পারবো আপনার এমন দাবির সত্যতা কতটুকু।
- এত জোর দিয়ে এই কথা বললেন কীভাবে? বহু দিন ধরেই শিবিরের কর্মীরা ভর্তির পরে অ্যাপ্লিকেশন করে অন্য হল থেকে নজরুল ইসলাম হলে চলে আসার চেষ্টা করছে। কারণ, স্ট্র্যাটেজিক দিক দিয়ে নজরুল ইসলাম হলের গুরুত্ব ব্যাপক। এই হলের গঠন দুর্গসদৃশ - ঢোকা বা বের হওয়ার রাস্তা সরু। এই হল থেকে দেয়াল টপকে বুয়েটের বাইরে চলে যাওয়া যায়। এই হলের খুব কাছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফজলে রাব্বী হল ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাস। তারমানে দরকারে বাইরে থেকে শক্তি রিইনফোর্স করার সুযোগ আছে।
- এমন ঘোষণা বুয়েটের কোন সংস্থা বা সংগঠন বা ফোরাম দিয়েছে এমন প্রমাণ দেখান।
- জামায়াত-শিবির প্রশ্নে কিছু বললেই যখন কেউ "আগে এইটা করে দেখান" জাতীয় কথা বলে তখন তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহের অবকাশ কমে আসে। ল্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড। বিনা বাধায় বাড়তে দেয়া চাষ করার সমতুল।
- দায়িত্বটা বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের; বাইরের কারো নয়। পাবলিক প্রতিষ্ঠান যেটা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে সেখানে দায়িত্বহীনতার ঘটনা ঘটলে দেশের মানুষ সমালোচনা করবে। সেটাকে "জাবর কাটা" বলে বা "আমরা মানবনা" বলে পার পাওয়া যাবে না।
- নিরস্ত্র ২০০০ জনকে কোপানোর জন্য ৫০ জন সশস্ত্র-প্রশিক্ষিত শিবির কর্মীই যথেষ্ট। যারা শিবিরকে চেনেন-জানেন তারা এই সত্যটা জানেন। আর "এটা আইন না" কথাটার মানে কী? আইনসঙ্গত ভাবে কোপানোটা কী জিনিস?
- একটা সশস্ত্র-সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিরোধ করার নিয়মতান্ত্রিক উপায় একটাই - সেটা হচ্ছে মাইর, অন্তত যখন আইন-শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী তাদেরকে প্যাঁদানিটা দিচ্ছে না। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বুয়েটে এভাবে শিবির প্রতিরোধ করা হয়েছে। এটা আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষিত সত্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নাউজুবিল্লাহ!
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
দুর্দান্ত !!
শেয়ার দিলাম বস।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার লিখার সংখ্যা সচলের ১% জায়গা দখল করুক, এই কামনা করি।
গুরু গুরু!
_________________
[খোমাখাতা]
পুরাই হাহাপগে
আপনারে
সক্কাল সক্কাল ঘুম চোখে ক্লাসে আইসা দেখি এইখানে শিবিরের ১% মাইরা দিলেন, অহন আমার পেটফাটাআকর্নবিস্তৃতদন্তবিকশিতহাসি দেইখা বদের বাচ্চা প্রফেসর আমার ১% মাইরা দিতে চাইলে সেই দায়িত্ব কে্ডা নিব?? আন্নে এউক্কা অমানুষ!!!!
--বেচারাথেরিয়াম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"লোমশ বুক পাতিয়া ঝাঁপাইয়া পড়ে"
"নিঃসংকোচে বন্ধু ডাকিয়া পেলব বুকে টানিয়া লইলাম"
লোমশ আর পেলবের পেয়ারতোহোনাহিথা!!
ফাডায়ালসে
এক্কেরে ফাডায়ালসে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাস্তএ হাস্তে শ্যাষ
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ঢাকা ভার্সিটিতে পড়েন, ঢাকা ভার্সিটি নিয়ে থাকেন, দিনদুনিয়া উদ্ধারে মনোনিবেশ করার দরকার নাই।
একজন বুয়েটিয়ানের অমরবানী একানে কপি পেসট করে দিলাম- এর বাইরে আর কিছু বলার দরকার নাই
ভালো লাগল। দারুন মজা পেলাম।
১% এর মাহাত্ম বুঝতে গেলে এইখানে ঘুরে আসেন http://www.sachalayatan.com/poet_ov_demise/46789
তারপর এসে গল্পটা এগেইন আবার রিভিসন দেন।
এপিক হইচে
মুক্তমনায় ফরিদ আহমেদ এর এক ভক্ত, এ লিখাটি পড়ে এখানে আপনার ভক্ত হয়েছে আজ।
মাত্র ১%, তাতেই সবাই কাইত! আর দিয়েন না ভাই।
ভয়াবহ রকমের স্যাটায়ার । আবুল মনসুর আহমেদকে মনে পড়ে গেল । আসমানী পর্দা, আয়নাখ্যাত আবুল মনসুর আহমেদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনি নমস্য
ডাকঘর | ছবিঘর
ওরে... বিলাই- -
হাসিতে হাসিতে ৯৯% শেষ হইয়া গেলাম। ১% মাত্র বাকি আছে।
এখানকার কয়জন ব্লগার বলতে পারবেন যে জীবনে একটা মিথ্যা কথাও বলেন নাই? কয়জন আছেন, জীবনে জানা-আজানাভাবে অন্য কারও কোন ছোটখাটও কষ্টের কারন হন নাই? কয়জন আছেন, জোর গলায় বলেতে পারবেন জীবনে বিন্দুমাত্র কোন খারাপ কাজ করেন নাই?
যদি আপনি জীবনে বিন্দুমাত্রও কোন খারাপ কাজ করে থাকেন, তাহলে এই তত্ত্ব মতে আপনার সাথে গোলাম আযম বা বিন লাদেনের কোন পার্থক্য থাকে না!!!
পৃথিবীতে যেখানে কোন কিছুই পুরোপুরি পারফেক্ট না, সেখানে ভালমন্দের বিচার হতে পারে একমাত্র আপেক্ষিকতায়। এই জিনিসটা বুঝতে না পারলে তো সমস্যা।
১% ঠিকাছে তো ভাইয়া?
কিভাবে যেন মিলে গেল মুখফোড় এর ১% - রিজু ভাইয়া কিন্তু একাই একশ - এখনকার ১০০ নম্বর কমেন্ট টা উনার - কেমন জানি গায়েবী, খোদার কুদ্রতি টাইপ মনে হচ্ছে - ছমছম করছে শরীর।
-- রামগরুড়
উপস্থিত স্যার
(আমি জীবনে কখনো খারাপ কাজ করি নাই, মিথ্যা বলি নাই, এক্কবারে গলায় যত জোর আছে সব দিয়ে বলতেছি কইলাম)
চউ'দার পক্ষে আমি ভোট দিলাম। এমুন সৎ মানুষ পিথিমিতে দুর্লভ। পুরাই হাছা কথ, হুঁহুঁ
ডাকঘর | ছবিঘর
পেন্নাম গুরু
হে রিজু আমি পার্ফেক্ট সহী পীর সত্যপীর। আউলিয়া মানুষ কুনো পাপতাপ নাই। আমি কৈতেছি গুলামাযোম একটা কুত্তার বাচ্চা।
বুঝলেন কিছু?
..................................................................
#Banshibir.
আপনারেও গুরু মানলাম
গুলাম আযম কি কন দেখি?
..................................................................
#Banshibir.
রিজু সাহেব, গোলাম আযমের জন্যে আপ্নের শইল্যের বাকি ৯৯% কেও পায়ুপথ হিসাবে স্বীকার করে নেন। এমুন কমেন্ট যারা করে তারা কমপ্লিট অ্যাসহোল।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুদাই কুকুরের মতো একটা প্রভুভক্ত উপকারী প্রাণীরে গালি দিলেন।
ফারাসাত
রিজুভাইয়া গুলামাযোমেরে কুত্তার বাচ্চা কইতে শরমিন্দাইতেছেন দেখসেন নাকি? কইত্থে যে আসে বলদগুলান।
..................................................................
#Banshibir.
অমি_বন্যা
এইবার অপমান করলেন বলদরে। নিরীহ উপকারী পশুদের 'গু আযম' আর 'রিজু' বইলা গালি দেওনের জন্য সত্যপীর ভাইরে সুতেব্র দেক্কার। মানি না, মানি না।
ফারাসাত
এই পোস্ট বুঝতে হইলে এখন 'আপেক্ষিকতার তত্ত্ব" শিখতে হবে?? মর জ্বালা, এর চাইতে আমার সুনা ব্লগ ভালো। কোন তত্ত্ব না শিখেই কাঠাল পাতার উপকারিতা নিয়ে দিস্তার পর দিস্তা লেখা চোখ বন্ধ করেই পড়ে ফেলা যায়।
ফারাসাত
হযরত গোলাম আজম (তাপুডিঢুঃ) এর সমালোচনা করতে গেলে তিন চাইর বার হজ্ব করে আসতে হবে, এইটাই বলতে চাচ্ছেন?
(তাপুডিঢু = তার পুটুতে ডিম ঢুকুক)
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভাল লাগল।।।।।।
ভাই রে ভাই, কি লেখা দিলেন ভাই, মাথাই নষ্ট।
-- রামগরুড়
। আপনি আজ থেকে আমার গুরু । এক্কারে ফাডাইলাইছেন , পেটে যে খিল ধরে গেল।
অমি_বন্যা
এরচেয়ে ভালোভাবে বলা মনে হয় সম্ভব না।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
চরম দেখাইলেন । শেষে এসে কি দেখালেন বস ???????? । সিম্পলি অসাম !!!!!!!!!
মুখফোড়ের মুখভাঙ্গা জবাব। একবারে ঠিক জায়গায় ধরেছেন আপনি। তার উপর অসাধারণ রসবোধ, অসাধারণ ভাষা। বিশ বছর পর যখন আজকের এই ঘটনাগুলির কথা মনে পড়বে, তখন এই গল্পটির কথাও মনে পড়বে।
এইবার খালি দিলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লেখা অ্যাজ ইউজুয়াল দুর্দান্ত।
কিন্তু লেখাটা কী মেটাব্লগিং এর পর্যায়ে পরে না? কারণ ব্লগার মৃত্যুময় ঈষৎ এর লেখার প্রতিক্রিয়ায় এটা লেখা হয়েছে। http://www.sachalayatan.com/poet_ov_demise/46789
সাপের মাথা ভেঙ্গে দিতে হবে, নাহলে উল্টো ছোবল দিবে। মাথা যে কয়টারে ধরছেন এদের ফাঁসি দেন, ল্যাঞ্জাগুলা (১%) মুতের জলে ভেসে যাবে। অন্যথায় বিপদ আছে সামনে!
নতুন পাঠক
১%
৯৯% পরাণ ভৈরা
কিছু বলার উপায় নাই। হাসতে হাসতে জান বাইর হইয়া গ্যালো।
১% ও বাকি রাখি নি পরতে। পুরটাই দিয়েছেন ভাই,১% ও বাকি রাখেন নি দেখছি।
১০০% খাটি
বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি চুলকানি নাই, কেবল ১% এর প্রতি আছে। বুয়েট সেই ১% এর মাঝে পরে।
মুখা খালি খরাপ জিনিশ ভাবে
বনি ইয়ামিন আপত্তি জানাইয়া কহিল, শিবির আল-বদরের বৈধ অবৈধ কোন প্রকারের সন্তান নহে। শিবির শিবিরই। যেমন নারিকেলকে ডাবের সন্তান বলা অনুচিত
এই লেখাটা শুধুমাত্র স্যাটায়ার না, এতে শিবির কিভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তার কথা-ও বলা আছে। স্যাটায়ার কতটা সিরিয়াস হতে পারে তা আপনার লেখা না পড়লে বুঝতে পারতাম-না।
অ......সা ......ধা ......র...... ন!!!
অ......সা ......ধা ......র...... ন!!!
অ......সা ......ধা ......র...... ন!!!
যেমন তীক্ষ্ণ রসবোধ, তেমন লেখনী, তেমনি মেসেজ দেয়ার ক্ষমতা। গুরু!!! গুরু!!!
পোস্ট কইলাম পুরাই
আলতাইর
আপনার এই গল্পের নায়ক দেশধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত পৃথিবীর মৌলবাদ কবলিত অঞ্চলগুলোর যুবসমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এই লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সাবধানে থাকবেন। মৌলবাদীরা এত শক্তিশালী লেখককে ছেড়ে কথা বলে না। শুভেচ্ছা রইল।
এত লেখা মিস করেছি যে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে
এখানে রেজিঃ করব কিনা বুঝতে পারছি না
কারন কোন কন্ট্রিবিউট/ভাল মানের লেখা দিতে পারব না
আর এমনিতেই পড়তে পারছি, এজন্য রেজিঃ দরকার তো নেই
তবে এক্টাই কথা বলব এরকম মেধা দূর্লভ
পুরাই লুলায়িত!
১% এর একজন।
রিলেটেড নিউজ: সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর মুক্ত বুয়েট শিক্ষক
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১।
২।
৩। কিছু মন্তব্য পড়ে পরম জ্ঞান লাভঃ স্যাটায়ার চরম কঠিন জিনিস। অনেকের জন্যে পাদটীকায় ব্যাখ্যা আবশ্যক (তবে এতে যে স্যাটায়ারের ১% মারা যাবে বলাই বাহুল্য)। হিম্ভাইয়ের "ছাগুস ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড হিউমারস!" প্রাতঃস্মরণীয় বলে মালুম হচ্ছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আবারো ১%! এবার ১%'র হামলায় তন্ময়!
খুবই মজা লাগল
রাসিক রেজা নাহিয়েন
নতুন মন্তব্য করুন