ছাগুরামের লঙ্কাকান্ড

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ১৩/১১/২০০৬ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ছাগুরাম গভীররাতে যুদ্ধঘোষণা করিল কতিপয় মানুষের বিরুদ্ধে। কারণ তাহারা অনেকেই তখন ঘুমাইয়া। তাই ছাগুও তাহাদের নামে কল্পনামিশ্রিত লাদিবিষ ঢালে ধুমাইয়া।

দেখিতে হইবে, পৃথিবী গোল। আজকাল ইহা দেখা যায়। পূর্বে দেখা যাইত না।

গোল পৃথিবীতে ছাগুর ঘেসো জমিতে তখন গভীর রাত হইলেও পূর্ব দিকে দক্ষিণ মহাদেশে তখন ভোর। আর পশ্চিম দিকে পবিত্রভূমিতে একটি মদিনাবাসী উটুরামও বিনিদ্র রজনী জাগিয়া রহিয়াছে। কারা যেন সেইখানে কম্পিউটার টিপিয়া টিপিয়া ছাগুকে চুপি চুপি কী কী পরামর্শ দেয়। মওদুদীর নীলনকশা খুলিয়া দেখায়, কী রূপে ধর্ম লইয়া ধমকাধমকি করিয়া চরদখল পদ্ধতিতে ব্লগে একটা গন্ডগোলের সৃষ্টি করা যায়। সত্য, যুক্তি ও ন্যায়ের পথে যখন ছাগুরাম-উটুরাম-কাঙুরামের দল সুবিধা করিতে পারে না, তখন জোশিলা জঙ্গ-ই একমাত্র উপায়।

ছাগুরাম ছাগু বলিয়াই দুধ না খাইয়া নাচে। জিজ্ঞাসিলে বলে, অপরে দুদু খাইতেছে তা দেখিয়া প্রাণে স্ফূর্তি সঞ্চারিত হইয়াছে, তাই নাচি। তাই ধমকটিও জোটে তাহার সংকীর্ণ কপালে। বকাঝকা জোটে সব ছাগুর ঝোলায়, ঘাস জমা হয় গিয়া উটুর গোলায়। কাঙু হাসে সব দেখে, আরও হাসে উটু, ছাগুরাম চটেমটে খায় লুটুপুটু। ওয়া হাসে মিটিমিটি স্বনামে বেনামে, পাবলিক জানে তারা দক্ষ আকামে।

ছাগুরাম এর আগেও মানুষের বিরুদ্ধে অনেক ভুয়া অভিযোগ উত্থাপন করিয়া ধরা খাইয়াছে। তাহার বুদ্ধিসুদ্ধি সীমিত বলিয়া সকলেই সস্নেহ ভর্ৎসনা করিয়া ছাড়িয়া দিত। ছাগু হইলেও সে ছিল সকলের আদরের পাত্র। কিন্তু অবোধ ছাগু পরের বুদ্ধিতে নাচিতে গিয়া এখন ব্যাপক জনবিরক্তির শিকার হইয়াছে।

ছাগুরামদের মঙ্গলের দায়িত্ব মানুষের ওপরেই। আল্লাহ যেন তার সুমতি দান করেন, যেন শরৎচন্দ্রের আদলে তাহাকে লইয়া "(ছাগ)ুরামের সুমতি" উপন্যাস রচনা করা যায় ভবিষ্যতে, সেই প্রার্থনাই করি।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।