[একটা গল্পের শুরুর আর শেষের অংশটুকু তুলে দিচ্ছি, পাঠকরা নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে মাঝের অংশটুকু লিখুন]
******************************************
১.
তমাল, তমালের বউ তানিয়া আর তানিয়ার বান্ধবী তৃষা -- এরা তিনজনই ভীষন এ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। চিটাগাংয়ের এমন কোন পাহাড় নেই যেটায় ওরা ওঠেনি, সুন্দরবনের প্রায় পুরোটাই চষে ফেলেছে। তিনজনই একই কোম্পানীতে চাকুরী করে, তমাল আর তৃষা একই পোস্টে, তানিয়া একপোস্ট নিচে। কে কোন পোস্টে তার বিশদ বিবরণে যাবনা। চাকুরী নিয়ে ওরা তিনজনই সন্তুষ্ট, মন দিয়ে খাটে, আবার অবসর সময়টা চাকুরীর জগৎকে ভুলে গিয়ে পুরোপুরি মেতে থাকে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। শুধু যখন লম্বা ছুটি পায়, তখনই তিনজন একত্র হয়, বেরিয়ে পড়ে নতুন স্থানের সন্ধানে। ঘোরাঘুরিটা ওরা এতই পছন্দ করে যে, শুধু বাংলাদেশই না, ভারত, নেপাল, চীনেরও অনেক জায়গায় ওরা ঘুরতে গিয়েছে। যেমন গত সামারের লম্বা ছুটিতে হিমালয় ঘুরে এসেছে, এর আগের লম্বা ছুটিতে চীনের প্রাচীর।
এবছরও গরমে লম্বা ছুটি, তমাল আর তৃষা দুজনেই লাফাচ্ছে এবার দক্ষিণ মেরু ঘুরতে যাবে। তানিয়া যদিও প্রথমে অতটা রাজী ছিলনা, কিন্তু তমালের ছেলেমানুষী উৎসাহ দেখে সেও রাজী হয়ে যায়। যথারীতি জুনের মাঝামাঝি সাতদিন দক্ষিণ মেরুতে ঘুরে আসার জন্য বেরিয়ে পড়ে ওরা। সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র, যেমন তাঁবু, আলো জ্বালাবার জিনিসপাতি, পরিমাণমতো খাবারদাবার -- সব। দক্ষিণ মেরুতে আসা এখন কোন ব্যাপার না, খুব সহজেই পৌঁছে যায় তিন অভিযাত্রী। বরফে গড়াগড়ি খেতে খেতে উল্লাস করতে থাকা তমালকে দেখে তানিয়ার চোখে পানি এসে যায়, মনে মনে ভাবে, "ভালোই হলো।"
মাঝখানের এ অংশটা ফাঁকা রাখলাম পাঠকের জন্য
২.
তিন বছর পরের কথা। তমাল আর তানিয়া ঢাকার আগের কোম্পানী ছেড়ে আমেরিকা চলে এসেছে। এখানে একটি বিশাল কোম্পানীতে স্বামী-স্ত্রীতে চাকুরী করে, আর ছুটিছাটাতে দুজনে বেরিয়ে পড়ে নতুন নতু অভিযাত্রায়। ওদের সন্তানও হয়নি। এমনি এক ছুটিতে ওরা ঘুরতে যায় ফ্লোরিডায়। সেখানেই হঠাৎতানিয়ার চোখে পড়ে এক রেস্টুরেন্ট, যেটা দেখার সাথেসাথেই সে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়ে। দক্ষিণ মেরুর সেই একমাসের কথা মনে পড়ে যায় তার। তমালের হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ঢোকে সেই রেস্টুরেন্টে। এখানে বলে রাখা ভালো যে তানিয়া বেশ শক্তিশালী মেয়ে, মারামারি লাগলে তমালই হারবে নির্ঘাত।
এখানেও কিছু অংশ ফাঁকা রাখলাম পাঠকের জন্য
সেদিন সন্ধ্যায় বারে বসে একা একা হুইস্কি খাচ্ছিল তমাল। ওর অনলাইন বান্ধবী লিন্ডার আসার কথা ছিলো, আসেনি। রাত দশটার দিকে যখন সে ক্লান্ত শরীরে হোটেলের রূমে এসে ঢোকে, ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। নির্বাক বিস্ময়ে হা করে তমাল তাকিয়ে থাকে সিলিং থেকে ঝুলে থাকা তানিয়ার দিকে।
(তবে চলুক ক্রিয়েটিভ সব সচলের ক্রিয়েটিভ গল্প লেখার কাজ)
মন্তব্য
ধূরো যা... এখন তো নাটক লেখতেছি... মাঝখানে আপনে ঢুকায়ে দিলেন এক মালি দো ফুল টাইপ কাহিনী... ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দো ফুল? .... নাকি আরো বেশী ...
নাটক লিখতে লিখতে যখন টায়ার্ড হইয়া যাবেন, তখন বিকালের নাস্তা হিসাবে এই গল্প
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কেউ দেখি উৎসাহী না
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি এই শুক্রবারে শুক্রিয়া আদায় করি - জ্বিনের বাদশা নামক মানুষটা আমার স্কুলের মাস্টার ছিলো না।
হয় ধাঁধা- নইলে গেসবল - দিয়ে মাথাটার ভেতরে ম্যাটারিয়াল যা আছে ওগুলারে ঝাঁকি দেয়ায়।
এখন শুরু করছে গল্প; শিরোনাম দেখে লাফিয়ে আসলাম। আর এখন মাথার চুল ছিড়তেছি।
শুন্যস্থান পূরণে ছাত্রজীবনে অনেক পরীক্ষায় নম্বর কাটা গেছে। এখন ব্লগে জ্বিন ভ্রাতর কেরামতি...
(পরে আসতেছি)
আরে ভ্রাতঃ আপনাকেই তো খুঁজতেছিলাম ... তাড়াতাড়ি আসুন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার গল্পের আইডিয়াটা বেশ ভালো লাগল, আপনিই লিখে ফেলেন না
--------------------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে --@
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লজ্জার কথা কি বলব, প্লটটা আসলে আমার নিজের তৈরী না ... একটা গল্পের .... ভাবলাম কোন গল্পের প্লট এভাবে কেটেছেঁটে শুরু আর শেষটা রেখে দিলে কে সেটাকে কিভাবে ড্রাইভ করে দেখি ...আমি যেহেতু গল্পটা পড়ে ফেলেছি, আমার মাথা দিয়ে ভালো কিছু আর বেরুবেনা ,,,মূল গল্পের আশপাশটাতেই ঘুরঘুর করবে
আপনারা লিখুন ,,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
pathetic কাহিনী..... আমি হাত-পা ছড়িয়ে এখনই কাঁদতে বসে গেলাম!
ফেরারী ফেরদৌস
এ আমি কি করলাম!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
গল্প তো নিজেই পুরাটা কইয়া দিলেন।
আমরা আর কী কমু?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনি তো আমাকে হতাশ করলেন ,,, আমি এইটা লেখার সময় আপনার কথা চিন্তা করছিলাম ,,, এই প্লটকে পরিবর্তন কইরা একটা সেইরকম পরিবর্তিত জিনিস পরিবর্তনশীলেরে দিয়া হইব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ফাঁকা জায়গা তো খুবই কম ভাইজান
বরফে গড়াগড়ি খেতে খেতে উল্লাস করতে থাকা তমালকে দেখে তানিয়ার চোখে পানি এসে যায়, মনে মনে ভাবে, "ভালোই হলো।"
এর পরে (প্রথম ফাঁক)
কিন্তু দুদিনের মধ্যেই তানিয়ার এই ভালোই হলোটা বিষ হলোতে রূপান্তরিত হলো। এই প্রথম তমালের চেক এন্ড ব্যালেন্স ফেল মারল এবং তানিয়া আবিষ্কার করল তৃষা কেন বিয়ে করে না...
যার ফলাফল ওখান থেকে ফিরে এসে সেই কোম্পানি থেকে তমাল আর তানিয়ার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগ....
দ্বিতীয় ফাঁক
রেস্টুরেন্টটা সত্যিই নস্টালজিক। এই রেস্টুরেন্টেই তানিয়া প্রথম আবিষ্কার করে তমাল আর তৃষা দুজনেই কী করে তার দিকে চোখ গেঁথে রেখে টেবিলের নিচে পায়ে পায়ে স্পর্শ বিনিময় করে...
তৃতীয় ফাঁক
... তার পাশেই পড়ে আছে তৃষার সেই চিরকুট
আমি এখন তোমার প্রতিবেশী এবং আমার নতুন নাম লিন্ডা...
ওরেব্বাবা ,,, আপনি আসলেই বস্ !!!
তৃষাকে ফিরিয়ে এনে একেবারে জমিয়ে ফেলেছেন ,,, (বিপ্লব)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হে হে ।
লীলেনদা দিলেন !!!!!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
লীলেন ভাইরটা পড়ে মাথা আউলাইতেছে...
আপ্নে এইখানেও ধাঁধা চালাইতেছেন। :|
স্পর্শ ক্যামনে পা দিয়া বিনিময় হইল!!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন