হায়দার গেল জ্বীনরাজ্যে, সেখানকার রাজার সাথে দেখা করতে।
জ্বীনরাজ্যের রাজা একটু ভাবুক, নানান ধরনের অবান্তর প্রশ্ন দিনরাত তার মাথায় ঘুরপাক খায়।
হায়দারকে দেখে তার মাথায় বহুতদিন চেপে থাকা একটা প্রশ্ন ভেসে উঠল। (কি প্রশ্ন সেটা এখন বলবনা, সে আরেকদিন দেখা যাবে)
প্রশ্ন শুনে হায়দারের তো চেহারাই বদলে গেল। মিনমিনে স্বরে সে কি যেন বলতে চাইল, আর অমনি জ্বিনরাজ গর্জে উঠল, যাও!! মানুষের বাচ্চা!!! আমার প্রশ্নের জবাব কালকের মধ্যেই চাই।
সারারাত জেগে ভাবতে ভাবতে ভোররাতে হায়দার রাজার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেল। (কি উত্তর সেটাও এখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক )
যাই হোক, পরদিন জ্বিনরাজের দরবারে গিয়ে হায়দার যখন তার উত্তর পেশ করল, জ্বিনরাজ তো মহাখুশী। জ্বিনুজিরকে বললেন, এক্ষুনি ওকে আমার সেই সাত কে.জি ওজনের স্বর্ণের বারটা পুরস্কার দাও।
যেই কথা, সেই কাজ।
হঠাৎ, জ্ঞানী জ্বিন জ্বিনভোকেট বলল, মহারাজ! জ্বিনরাজ্যের নিয়মানুযায়ী একদিনে কাউকে ১ কে.জি'র বেশী স্বর্ণ দেয়ার নিয়ম নেই।
শুনে রাজা গেলেন ভড়কে। পরমুহূর্তেই সামলে নিয়ে বললেন, আমার মুখের কথাও তো ফিরিয়ে নেবার নয়। ঠিক আছে, হায়দার, তুমি আগামী ৭ দিন জ্বিনরাজ্যের অতিথি। আর প্রতিদিন এই স্বর্ণের বার কেটে কেটে ১ কে.জি করে তোমাকে দেয়া হবে।
শুনে হায়দার মহাখুশী, বলল, তথাস্তু, মহারাজ।
স্বর্ণের বার আয়তাকার, দৈর্ঘ্য বরাবর ৬ বার কেটে ৭ টুকরো করে প্রতিদিন একটুকরো করে হায়দারকে দিলেই ল্যাঠা যায় চুকে।
কিন্তু, ঝামেলা হলো স্বর্ণ-কাটা বেশ কঠিন। জহুরী-জ্বিন কোনভাবেই অতবড় বারে ছয়বার ছুরি চালাতে রাজী না। রাজাও জহুরীকে খানিকটা ভয় পায়, তাই বড় গলায় নির্দেশও দিতে পারছেননা। গোল বেঁধে গেল।
এখন, আপনি হায়দারকে সাহায্য করুন।
ছয়বার ছুরি না চালিয়েও বার কিভাবে এই হায়দার ৭ কে.জি স্বর্ণ নিয়ে বাড়ী ফিরবে?
××××××××××××××××
বিঃ দ্রঃ
জ্বিনরাজের সাথে জ্বিনের বাদশার কোনরূপ সম্পর্ক নাই
মন্তব্য
আপাতত পরের ধাঁধাঁর জন্য অপেক্ষা করি। এসে দেখি ইতিমধ্যে ওপাড়ায় উত্তর চলে এসেছে
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জ্বিনের বাদশার কাছ থেকে প্রযুক্তি বিষয়ক ভাবনা জাগানো লেখা চাই
ধাঁধা তো আরেক জায়গায় প্রকাশিত হচ্ছেই..
-----------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
রাজম্ল দিয়া গলিয়ে ফেলাই কি বেশী সুবিধার হবে না? ছুরি দিয়া স্বর্ণ কাটার ব্যাপারটা পছন্দ হচ্ছে না খুব একটা।
অরূপের সাথে সহমত।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ইয়ে, ছুরি দিয়ে কাটার সময় যে গুড়া গুড়া স্বর্ণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে, সেগুলো কি এই অধমকে খয়রাত দেওয়া যায়?
অরূপ,
হাতে বেশী করে সময় পেলে অবশ্যই লিখব ... শুধু বিজ্ঞান কেন, অনেক কিছু নিয়েই লেখার আশা রাখি
আপাতত, সিরিয়াস সব লেখার মাঝে হালকা মেজাজের ধাঁধা/গেসবল চালাই
দ্রোহী, ভাইরে, কেমস্ট্রি বড় ভয় পাই
ইশতিয়াক, এজন্যই তো জহুরী কাটতে চায়না ...পাবলিক হুমড়ে পড়ে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সিরিয়াস লেখাগুলোই কিন্তু সচলায়তনের সম্পদ
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
ভ্রাত: এইটা কঠিন বেশী।
উত্তর কি?
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
অস্পষ্ট ধাঁধা।
জ্বিনের বাদশা অনেক কিছুই চেপে গেছেন; কোন উত্তর দিলেই সেই চেপে যাওয়া শর্তগুলো প্রয়োগ করবেন।
যেমন, আমি যদি বলি ৩ বার ছুরি চালিয়েও (দৈর্ঘ্য বরাবর ২ বার, তারপর প্রস্থ বরাবর ১ বার), তাইলেও উত্তর গ্রহণ না করার জন্য উনি ফন্দিফিকির করবেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
চিন্তায় চিন্তায় হায়দারের মাথা গরম হয়ে গেলো। প্রথম দিন সে বসে বসে মাথার চুল ছিঁড়লো। দ্বিতীয় দিন সে মাথায় চুল না পেয়ে বগলের চুল ছিঁড়লো। তৃতীয় দিন বগলও উজাড় হয়ে যাবার পর ... নাহ থাক বলি না এভাবে। যাই হোক, চতুর্থদিন প্রচুর চুল হারিয়ে হায়দার এক অপূর্ব কায়দা খুঁজে বার করলো।
সে জ্বিনভোকটে আর জ্বিনারেলকে ফোনে ডেকে কিছু আলাপ সালাপ করে সোজা চলে গেলো জ্বিনের বাদশার রাজ্যে। জ্বিনের বাদশা তাকিয়ায় বসে কাঠি আইসক্রীম খাচ্ছিলেন, বিস্মিত হয় বললেন, এ কি হায়দার, তোমার চুল কই?
হায়দারের ইঙ্গিতে জ্বিনভোকেট আর জ্বিনারেল জ্বিনের বাদশার দুই হাত চেপে ধরলো।
হায়দার বললো, আপনি এখন এক বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন কানুন কিছু সংস্কার করবেন।
জ্বিনের বাদশার মুখ শুকিয়ে পাংশু হয়ে গেলো, তিনি অস্ফূটে বললেন, সংস্কার ...?
হায়দার ঠা ঠা করে হেসে ওঠে, বলে, ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা!
অতঃপর এক বিশেষ অধ্যাদেশ বলে জ্বিনের রাজ্যে নিয়মকানুন পাল্টে যায়। বলা হয়, এক দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত কেজি সোনা দান করা যেতে পারে, ক্ষতি নাই।
জ্বিন্ত্রীরা একটু গাঁইগুঁই করলেও কিছু বলে না।
হায়দার সোনার বারটা নিয়ে ঘরে এসে বসে। অচিরেই জ্বিনভোকেট আর জ্বিনারেল এসে হাজির। বখরা চায়।
হায়দার মধুর হাসে। বলে, নাও না যেমন খুশি কেটে।
ডাক পড়ে জহুরি জ্বিনের। সে এসে চোখ লাল করে বলে, সোনা কাটা আমার কাজ না। হাজাম ডাকো।
জ্বিনারেল তার কলার চেপে ধরে।
জহুরি বলে, এতো বড় সোনার বারে আমি বড়জোর একবার তলোয়ার চালাতে পারি।
হায়দার, জ্বিনভোকেট, আর জ্বিনারেল তখন মহা ফাঁদে পড়ে। এক কোপে কিভাবে একটা বার তিন টুকরা করা যায়?
পাঠক, পাঠিকা ... জানেন কোন উত্তর?
হাঁটুপানির জলদস্যু
কোনটার উত্তর দিমু সেটা নিয়াই তো ধাঁধায় পইড়া গেলাম।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হিমুর লেখাটা আলাদা করে পোস্ট হওয়া উচিত।
যারা এখানে ঢু মারবে না তারা তো দেখবে না
হিমু কই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সেক্ষেত্রে মূল ধাঁধাটিও সেঁটে দিতে চাই। জ্বিনের বাদশার অনুমোদন লাগবে। বাদশা ভাই, কী বলেন, দেবো?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমুর মন্তব্য সবসময়েই আলাদা মাত্রা তৈরী করে ...
অনুমোদন তো দেয়াই আছে ... নো প্রবস ...
তবে জ্বীনরাজ কেন জ্বিনের বাদশা হয়ে গেল?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হিমু ভাইকে জাঝা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অরূপ, অবশ্যই নো ডাউট সিরিয়াস লেখাগুলোই সচলায়তনের প্রাণ ... মুগ্ধ হয়ে পড়ার মতো সব ...
আর আপনার 'প্রযুক্তিবিষয়ক লেখা চাই' কথাটাকে তো কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই নিয়েছি ... আমার মতো অগাবগার(শুভ ভাইর থেকে ধার করা শব্দ) কাছে কেউ এভাবে দাবী করলে ভাল না লেগে উপায় আছে? ... ভীষন উৎসাহিত বোধ করেছি ...
তবে লিখব যখন সময় নিয়ে ভাল করে লিখব আশা রাখি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বলাইদার বুদ্ধিটাও বেশ ... তবে তাতে যে ৬ ভাগ হবে ... প্রতি ভাগে ১.১৬৬...৬ কে.জি করে
শিমুল, শামীম ভাইয়ের ভাষায় 'ওপাড়ায়' একজন উত্তর দিয়ে দিয়েছে ... ৭টা দাগ কেটে তারপর ১,২ আর ৪ কেজির তিনভাগে ভাগ করা হবে
১ম দিন ১ কে.জির বার দেয়া হবে ... ২য় দিন ২ কেজির বার দিয়ে ১ কেজিরটা ফেরত নেয়া হবে ... ৩য়দিন ১ কেজিরটা আবার দেয়া হবে ... ৪র্থ দিন ৪ কেজিরটা দিয়ে ১ আর ২ কেজিরটা ফেরত নেয়া হবে ...৫ম দিন ১ কেজিরটা আবার দেয়া হবে ... এভাবে ...
হ্যানয় টাওয়ারের ছোটখাট সংস্করণ আর কি
ঝরাপাতা, কয়েন দিয়া লটারী কইরা একটা থেকা শুরু করেন ... তবে হিমুর প্রশ্নটা নিয়া জ্বীনরাজ আবার মহাফাঁপরে !!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
একটা প্রশ্ন ... কেহ যদি দয়া করে উত্তর দেন ...
সচলে কি ফোনেটিক ইউজ করা যায়?
আমি কোনদিন বিজয় ইউজ করিনাই ... এই বুড়া বয়সে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভ্রাত:
আপনার দলে আমারে নেন। আমিও ফোনেটিকে কাজ চালাই। আগে বর্ণসফট এখন এইটা।
সচলে ফোনেটিকের জন্য ctrl+alt+p চাপলেই ফোনেটিক পেয়ে যাবেন। আবার চাপলে ইংরেজী চলে আসবে, আবার চাপলে বাংলা আবার চাপলে ইংরেজী, এইরকম।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
বাঁচালেন ভ্রাতঃ
এতদিন সামহোয়ারের এডিটরে লিখে কপিপেস্ট করছি
আরামের কাজ ছিলনা
শিমুল, আপানাকে একটা স্পেশাল থ্যাংকস
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হা হা। আমিও অনেকদিন bnwebtool থেকে কপি পেস্ট করে কাজ চালিয়েছি। পরে একদিন মুর্শেদ ভাই বললেন ctrl+alt+p দিতে। আসলে টুকিটাকি/সাহায্য সেকশনে অনেক হেল্প আছে, সময় করে পড়া হয় না। ভালো থাকবেন।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
এই দ্যাখেন!!টুকিটাকি সাহায্য সেকশন বলে যে একটা সেকশন আছে সেটাই জানতামনা
এমন অলস হয়েছি এসব ব্যাপারে! একটু হাতড়াহাতড়ি করে দেখাও হয়না
এই অভ্যাসটা আসলে হয়েছে সফটওয়্যার ডাউনলোডের 'I Agree'এর কল্যাণে -- কখনও পড়িনি ঐ চুক্তিপত্রে কি লেখা
ধন্যবাদ, বস্
আস্তে আস্তে আরও কিছু 'আপনি কি জানেন' জানব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হিমু ফাটাইছে!
আমার বুদ্ধিটাই ভালো আছিলো। এইসব সোনা কাটাকাটির মতো ব্যাথাদায়ক কাজ কর্ম থেকে দুরে থাকার জন্য, সোনা গলিয়ে ফেলাই উত্তম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন