পাঠক-লেখক সিরিজ "পাঠকের কাঠগড়ায়" নিয়ে আপনার পরামর্শ চাই

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০২/২০০৯ - ৭:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. আপনার মতামত চাই
"চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে"র সাথে পুরোপুরি মিল না তাঃকলেও, মিস আইডিয়া বেগম যে সবসময় যথেষ্ট দেরীতে বা বেশ অসময়ে ধর্ণা দেন, সেটা অন্ততঃ নিজের ক্ষেত্রে আমি হলফ করেই বলতে পারি। পাঠকের কাঠগড়ায় সিরিজটা করার চিন্তা মাথায় আসা উচিত ছিলো বইমেলা শুরু হবার অন্ততঃ এক সপ্তাহ বা দুসপ্তাহ আগে। যাই হোক, সেটা আসেনি, তাই বলে এখন যখন মাথায় আসলো তখন না করেই বা ছাড়ি কি করে! ইন্টারভিউ নিলে প্রত্যেক লেখকের অনেক "নিজের কথা" যেমন আমরা জানতে পারবো, তেমনি এই ইন্টারভিউগুলো পরবর্তীতে সচলের আরো অনেক অনেক প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের প্রিন্ট মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশে সহায়তা করবে বলেও আমার বিশ্বাস।

এখন আয়োজন করতে গিয়ে যেটা দেখতে পেলাম তা হলো, এবারের বইমেলায় মোট পঁচিশজন সচলের বই বের হচ্ছে, এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই পঁচিশজনের সবারই সাক্ষাৎকার আমরা পাঠকেরা পড়তে চাইবো। কিন্তু টাইমফ্রেম দেখে যেটা মনে হচ্ছে, তা হলো, প্রতিদিন একজনের জন্য করে নিলেও ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সবার সাক্ষাৎকার নেয়া যাবেনা। তাও, মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এক্সটেন্ডেড হলেও বইমেলার আমেজটা গরম গরম থাকতে থাকতেই সবার সাক্ষাৎকার নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে সচলায়তনের একটা এ্যাডভানটেজ আমরা পেতে পারি, যেটা হলো, এখানে নীড়পাতা থেকে দু'তিন পাতা ভেতরে চলে গেলেও পোস্ট হারায়না। কাজেই একই সাথে পাঁচ ছয়জনের সাক্ষাৎকার চললেও খুব একটা সমস্যা হবেনা।

এ প্রসঙ্গেই পাঠক আপনার কাছে যে মতামতটা চাইছি তা হলো,
১. নিচের ক) আর খ) এর মধ্যে কোন অপশনটা ভালো বলে মনে করেন?
ক) একদিন পরপর একেকজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তার মধ্যে সিরি শেষ করা
খ) সিরিজ শেষ হতে হতে এপ্রিল মে পর্যন্ত চলে গেলেও কয়েকদিন পরপর একেকজনের সাক্ষাৎকার নেয়া
২. উপরের প্রশ্নে আপনার উত্তর যদি খ) হয়, তাহলে কতদিন পরপর নতুন একজনের সাক্ষাৎকার নেয়াটা সবচেয়ে ভালো হবে বলে মনে করেন?

*****************************************************

২. একটা বিশেষ অনুরোধ
এই সিরিজটার শুরু আমি করলেও, শুধু আমিই যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরপর একেকজন লেখককে সাক্ষাৎকারে ডাকি, তাহলে সেখানে স্পষ্টতঃই আমার "ইন্টারেস্ট" টা প্রাধান্য পাবে। অথচ এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক যে অধিকাংশের ইন্টারেস্টের একজন লেখক হয়তো আমার ইন্টারেস্টের সিরিয়ালে বেশ পেছনে পরে গেছেন। সেজন্য ভাবলাম, সিরিজটাতে সবার উৎসাহপূর্ণ অংশগ্রহনের জন্য সাক্ষাৎকার আয়োজনটা সব ব্লগারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়াটাই বেটার। অবশ্যই এবার যাদের বই বেরুচ্ছে তাঁরাও এই আয়োজন করতে পারবেন।

আপনাদের সবাইকে অনুরোধ, আপনি কোন কোন লেখকের সাক্ষাৎকার গ্রহনে আগ্রহী, এবং সম্ভব হলে সেটা কবে নিতে চান তা এখানে জানান। তারপর সিরিয়াল অনুযায়ী সাক্ষাৎকার পর্ব চলুক।
ফরম্যাটটা হবে:
আপনার নিক ------- যাঁর সাক্ষাৎকার নিতে চান তাঁর নাম/নিক -----তারিখ (সম্ভব হলে)

ধন্যবাদ, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন কামনা করছি।

********************************************
বিঃ দ্রঃ এই মুহূর্তে মাথায় এলো, সব লেখকের সাক্ষাৎকার সফলভাবে নেয়া গেলে একটা চমৎকার ই-বুকও বানিয়ে ফেলা যাবে। অথবা বেশী বড় হলে কয়েকখন্ডে ই-বুকও বানানো যাবে।
এমনকি আরকেটু সাহস করে যদি পত্রিকাওলারা রাজী হয় তবে সম্পাদনা-টনা করে পত্রিকায় সাক্ষাৎকারও ছাপা যায়, শিরোনাম হতে পারে "ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার" অথবা একটু রঙ চড়িয়ে নাম দেয়া যেতে পারে "সাংবাদিকবিহীন সাক্ষাৎকার" ;)।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রতিদিন একজন, এমন হবার দরকার কী?
যেহেতু সবার জন্যই সাক্ষাৎকার গ্রহণটা উন্মুক্ত থাকছে তাহলে একদিনে একাধিক সচলের সাক্ষাৎকারও আসতে পারে। তাহলে হয়তো বইমেলার সময়দাগের মধ্যেই পুরো সাক্ষাৎকার পর্বটা শেষ করা যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সেইটা হইলে তো আরো ভালো হয় চলুক
এখন আপনি কার কার নিতে চান লিস্ট দেন
তারপর শুরু করেন (তবে অভিজ্ঞতা বলছে আগে লেখকের সাথে ইমেইলে বা ব্যক্তিগত মেসেজে টাইম নিয়া একটা বোঝাপড়ায় আসাটা বেটার) চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার একটা প্রস্তাব ছিলো।
কেউ যদি স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়ে দেয়, তাকে আর কাঠগড়া/রিমান্ডে না নেয়াই ভালো।

জবানবন্দী দেয়ার শেষ সময় ১৫ ফেব্রুয়ারী।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ভালো প্রস্তাব
স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে সেই পোস্টেই পাঠকেরা প্রশ্ন করতে পারবেন। প্রস্তাব সাদরে গৃহিত হলো।
তবে একটা অনুরোধ, পরবর্তীতে যদি সাক্ষাৎকারগুলো নিয়ে ই-বুক করা যায়, তাহলে সেখানে সেই জবানবন্দীর পোস্টটা যোগ করার অনুমতি লেখক দেবেন আশা করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার পছন্দ -- খ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ, খ) এর ক্ষেত্রে কতদিন পরপর সাক্ষাৎকার নিলে ভালো হবে সেটাও বলুন।

আর আপনি কার সাক্ষাৎকার নিতে চান?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাঠকের কাঠগড়ায় সিরিজটা করার চিন্তা মাথায় আসা উচিত ছিলো বইমেলা শুরু হবার অন্ততঃ এক সপ্তাহ বা দুসপ্তাহ আগে।

আমার মতামত একেবারেই ভিন্ন

এই কাজটা করা উচিত বইমেলার কমপক্ষে একমাস পরে
মার্চ কিংবা এপ্রিলে

যেহেতু লেখক পাঠক ইন্টারেকশন
সেহেতু পাঠকদেরকে বইটা পড়ার সময় না দিলে
আমার মনে হয় না বিষয়টা গভীরতায় যাবে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হায় হায় ... মন খারাপ

আপনার পয়েন্টটা ঠিক যে বই পড়ার পর পাঠকের মনে অনেক বেশী প্রশ্ন জাগবে ... সে হিসেবে সাক্ষাৎকারটা প্রতি সপ্তাহে একটি করে টানা গেলে ভালো হতো ... কিন্তু মোট লেখক ২৫ জন ... সেক্ষেত্রে শেষ করতে ছ'মাস লাগবে ... ততদিন বইমেলার গরম গরম আমেজটা থাকবে কিনা সবার মধ্যে সেটা নিয়ে চিন্তা!... নাকি মার্চের শুরু থেকে প্রতিদিন একজনের করে সাক্ষাৎকার আয়োজন করার কথা বলছেন?

আমি অবশ্য চাইছিলাম যে শুধু মলাট আর বইয়ের নাম/প্রকৃতি দেখে তো আর বোঝা যায়না কেমন বই হবে, তাই এখনই শুরু করে দিলে আলোচনার প্রেক্ষিতে পাঠকের জন্য কিনতে চাওয়া বই ঠিক করা সহজ হবে ...

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্যার
লেখকদের সংখ্যা আর টাইম বিষয়গুলো আমি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে যাচ্ছি

আপনার উদ্যোগটা নিয়ে আসোলে আমার মধ্যে কিছু কনফিউশন কাজ করছে

আপনার উদ্যোগটাকে আমার কাছে একধরনের পাঠচক্র মনে হচ্ছে
যেখানে অন্যদের মতামতের সাথে লেখক নিজে উপস্থিত থাকবেন
এবং বইটা সম্পর্কে একটা বিশ্লেষণ জড়ো হবে একটা জায়গায়
যেটা আলটিমেটলি হবে বইয়ের একটা ইনডেপথ রিভিউ
যে রিভিউটা একজন পাঠক; যিনি বইটা পড়েননি তাকে বইটা সম্পর্কে এটা আগাগোড়া ধারণা দেবে

এখানে বই বলতে আমি বইয়ের কন্টেটকেই ধরতে চাই
তার গেটাপ মেকাপ প্রচ্ছদ কোনোটাই নয়
কারণ ওগুলোর দায়ভার কিংবা কৃতিত্ব মাঝে মাঝে লেখকের ঘরে গেলেও ওগুলো লেখকের এখতিয়ারের জিনিস নয়

লেখকের মালিকানা এবং দায় পুরোটাই কন্টেট নির্ভর
বই আলোচনা বলতে আমি বইয়ের কন্টেন্ট বা টেক্সট আলোচনাই বুঝি

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কোনো বইয়ের আলোচনার সাথে লেখককে ইনক্লুড না করাই উচিত
আমি নিজে সাধারণত বই ছাপা হয়ে গেলে একেবারে গণ্ডার হয়ে যাই
বইয়ের ভেতরে যা লেখা হয়নি তা সম্পর্কে একটা কথাও বলি না
কেউ কোনো অংশের ভুল ব্যাখ্যা করলেও কিছু বলি না
শুধু কারো যদি কোনো শব্দ বুঝতে সমস্যা হয় কিংবা কোনো ইনফরমেশন বুঝতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে হয়তো সেগুলো বলি

কিন্তু কোনো মতামতেরই কোনো উত্তর দেই না। আমি মনে করি প্রকাশিত বই সম্পর্কে পাঠক যা ইচ্ছা মতামত দিতে পারে

তাতে যদি পাঠক ভুল বিশ্লেষণ করে কিংবা ভুল বোঝে তাতে লেখককে ভাবতে হবে তার বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে কীভাবে তিনি সেই গ্যাপগুলো মারবেন

০২

বইয়ের আলোচনাটা আসোলে কয়েকভাবে হয়
এক. বইয়ের বিভিন্ন ডাইমেনশনগুলো থেকে পাঠকের নিজস্ব পাঠ আবিষ্কার
সেটা লেখকের সাথে মিলতেও পারে নাও পারে

দুই. বইটার গ্যাপ সম্পর্কে পাঠকের বিশ্লেষণ
এতে লেখকের সাথে পাঠকের দ্বিমতের জায়গাগুলো যেমন বের হয় তেমনি লেখকের সীমাবদ্ধতা কিংবা দুর্বলতাগুলোও বের হয়ে আসে

সীমাবদ্ধতা বের হয়ে আসলে লেখকের পক্ষে সেগুলো স্বীকার করে নিয়ে পরের সংস্করণে ঠিক করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই

আর বাকিগুলো পাঠকের স্বাধীনতা
লেখকের এখানে কিছুই বলার নেই

০৩

কিন্তু ব্লগ প্রাকটিসে যেহেতু পাঠকের সামনে লেখকও উপস্থিত
সেহেতু লেখকও অংশ নিতে পারেন আলোচনায়
তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গিগুলোও তিনি তুলে ধরতে পারেন
তাতে বই বিশ্লেষণটা একটা অন্য মাত্রা পাবে নিঃসন্দেহে

কিন্তু সেটা যদি বই পড়ার আগেই হয়ে যায় তাহলে প্রচ্ছদের রংয়ে অত বেশি কালো কেন?
ছবিটা ত্যাড়া কেন?
নামটা অত বড়ো কেন?

এর বাইরে কি প্রশ্ন আসার কোনো সম্ভাবনা আছে?

আর এগুলোই যদি প্রশ্ন এবং উত্তরগুলোও যদি এগুলোর হয় তাহলে এই আয়োজনটা কতটুকু সাপ্লিমেন্ট করতে পারবে একটা বইকে?

০৪

পয়েন্ট ০২ আর ০৩ কিন্তু স্ববিরোধী। দুটোই কিন্তু সমানভাবে আমার মাথায় ঘুরছে...

০৫

আপনার প্রথম উদ্যোগ বিপ্লব রহমানের বইটা নিয়ে
ওই বইটা ছাপার আগে আমি ৪-৫বার পড়েছি

সেই পোস্টে আসা প্রশ্নগুলো নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?

আপনার কি মনে হয় এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আদৌ বইটা সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যাবে?

০৬

আপনার এই উদ্যোগটার সাথে লেখকোর সংখ্যা কিংবা টাইম কিংবা গরম গরম আলোচনা এই জিনিসগুলো একেবারেই জড়াবেন না স্যার
বিষয়টাকে লেখক-পাঠক বিশ্লেষণের জায়গাতেই রাখেন
ইংরেজি প্রকাশনার প্রায় বই-ই ছাপার আগে রিভিউ বের হয়ে যায়
বইয়ের কপি না পেলেও রিভিউ দেখে বইটা সম্পর্কে ধারণা করা যায়

দুর্ভাগা বাঙালি লেখকদের সেই কপাল নেই
মাঝে মাঝে যা পাওযা যায় তা হলো পত্রিকায় রিভ্উর নামে দাম প্রকাশনী প্রচ্ছদ শিল্পী আর কয়টা কবিতা কিংবা কয়টা গল্প দিযে বইটা লেখা তার কিছু ইনফরমেশন

০৭

আপনার এই উদ্যোগটা দেখে মনে হচ্ছিল এটা হয়ত একটা বইয়ের বিশ্লেষণের আর্কাইভ হতে যাচ্ছে
অন্তত একটা কিংবা দুটো বাংলা বই সম্পর্কে কেউ সার্চ দিলে কিছু দরকারি আলোচনা পাবে

০৮

এবছর ২৫ জন লেখক। আগামী বছর ২৫০ হয়ে যেতে পারেন
সুতরাং একদিনে যেমন ১০টা বইয়ের আলোচনা আসতে পারে
তেমনি কোনো মাসে একটাও বইয়ের আলোচনা নাও আসতে পারে

আমার মনে হয় টাইম আর সংখ্যা নিয়ে পরে ভাবেন
আগে শুরু করেন
আর ঠিক করেন আসোলে কী করবেন

আমরা কি বই নিয়ে আলাপ করব নাকি প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটা লেখক কোন সালে তুলেছেন সেটা তাকে জিজ্ঞেস করব?

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেনদা আপনার সুচিন্তিত বিশ্লেষণের জন্য

আমরা কি বই নিয়ে আলাপ করব নাকি প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটা লেখক কোন সালে তুলেছেন সেটা তাকে জিজ্ঞেস করব?

এই প্রশ্নের উত্তর "দুটোই"।
আপনার কনফিউশনের কথাটা জেনে বুঝলাম যে আরেকটু পরিস্কার করে
বলা দরকার ছিলো -- আসলে ঠিক কি উদ্দেশ্যে এরকম একটা আলোচনার আয়োজনের কথা ভেবেছি।

বড়করে ভাগ করে বললে যে দুটো উদ্দেশ্য ছিলো :
১। প্রত্যেকটা বইপ্রকাশের সাথে লেখকের একান্তই নিজের কিছু কথা থাকে, সে কথাগুলো পরিচিত পরিবেশে সচলদের মাঝে শেয়ার করার একটা উপলক্ষ তৈরী করা। (এটা সচলায়তনের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারে বলে মনে হলো)। লেখকের এরকম স্মৃতিচারণে বইয়ের কন্টেন্ট সম্পর্কেও কিছু কথা উঠে আসবে যেটা পাঠককে বইটির ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে। যেমন বিপ্লবদার কথায় এসেছে পাহাড়ের কাহিনী নিয়ে তাঁর শ'খানেক রচনার মধ্যে বাছাই করে বারোটি রচনা এসেছে, অতএব তাঁকে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে কিসের ভিত্তিতে শ'খানেক থেকে বারোটি বাছাই করলেন। তাতে কিছুটা আঁচ করা যাবে যে লেখক বইটা পড়িয়ে পাঠককে কি অনুভব করাতে চাচ্ছেন।

২। যে উদ্দেশ্য আপনি মন্তব্যে (০২ অংশে )বললেন, যে, বই পাঠের প্রতিক্রিয়া পাঠক-লেখকের সরাসরি পরস্পরের সাথে শেয়ার করার উপলক্ষ তৈরী করা। অন্য কথায় লেখক-পাঠকের মিথস্ক্রিয়ায় বইটার একটা রিভিউ।

দুটোর যদি মিশ্রনটা ভালোভাবে করা যায় তাহলেই মনে হয় "সচলায়তনে" সাক্ষাৎকারের সার্থকতাটা ফুটে উঠবে।

লীলেনদা ধন্যবাদ, কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম সিরিজটা কিভাবে চালাবো। আপনার এ মন্তব্যের পর মোটামুটি সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হলো; একমত হতে পারলাম যে ভালোভাবে রিভিউ হতে হলে সময় স্বল্পতা/টাটকা গরম -- এসব নিয়ে না ভাবলেও চলবে।

যেহেতু শুরু করেই দিয়েছি, তাই যে বইগুলো বাজারে আগে আগে এসেছে সেগুলোর লেখকদের আগে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো। তাহলে হয়তো অলরেডী পড়ে ফেলেছেন এমন পাঠকেরা উপরের ২য় উদ্দেশ্যকে সফল করতে পারবেন। সিরিজ চলবে মে/জুন/জুলাই বা যতদিন লাগে ততদিন পর্যন্ত।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মাহবুব লীলেন বলেছেন - " দুই. বইটার গ্যাপ সম্পর্কে পাঠকের বিশ্লেষণ
এতে লেখকের সাথে পাঠকের দ্বিমতের জায়গাগুলো যেমন বের হয় তেমনি লেখকের সীমাবদ্ধতা কিংবা দুর্বলতাগুলোও বের হয়ে আসে " ।

উত্তর আধুনিক পরিভাষায় 'গ্যাপ' গুরুত্বপুর্ন । পাঠ ও পাঠকেন্দ্রীক সমালোচনায় ( রিডার রেসপনস ক্রিটিসিজম ) গ্যাপ বা শুণ্যস্থান শব্দটি বারবার আসে । জার্মান সমালোচক উলফগ্যাং আইশার টেক্সটের ব্লাঙ্ক বা খালি জায়গার কথা বলেন । তার মতে, টেক্সটের এই শুন্যস্থান পুরনের দায়িত্ব পাঠকের । এই শুন্যস্থান থাকে শব্দের ভেতরে, বাক্যের ভেতরে ; অনযোগ-উপবাক্যের অভ্যন্তরে , আনুচ্ছেদে , স্তবকে । পাঠকের দায়িত্ব হল , এসব শুন্যস্থানে সাড়া দেয়া -সক্রিয় এবং সৃষ্টিশীলতার । মুলত এই শুণ্যস্থানের উৎস পাঠকের পাঠ ও উপলব্ধির বৈচিত্র । একজন পাঠক বিভিন্ন টেক্সটে এই শুন্যতা পেতে পারেন , কিংবা অভিন্ন টেক্সটে বিভিন্ন গ্যাপ থাকতে পারে এবং তা’ পুরন করা যেতে পারে নানাভাবে । [i]

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার সাক্ষাতকার কখন দিতে হবে? চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনে কখন দিতে পারবেন? চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সুমন সুপান্থ এর ছবি

- প্রতিদিন একজন, এমন হবার দরকার কী?
যেহেতু সবার জন্যই সাক্ষাৎকার গ্রহণটা উন্মুক্ত থাকছে তাহলে একদিনে একাধিক সচলের সাক্ষাৎকারও আসতে পারে। তাহলে হয়তো বইমেলার সময়দাগের মধ্যেই পুরো সাক্ষাৎকার পর্বটা শেষ করা যাবে।

ধুঃগো'র সঙ্গে পুরো একমত । মেলা চলাকালীন সময়ে পাঠক লেখক বাতচিত উপভোগ্যেরই হবে ...!
আর লীলেন ভাই'র কথাটাও খাঁটি-আপনার কি মনে হয় এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আদৌ বইটা সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যাবে?

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ঠিক .... তবে ধূগোর প্রস্তাবটা বাস্তবায়নে বাকীদেরও এগিয়ে আসতে হবে ... সপ্তার সাতদিনে যদি দেখা যায় আমি প্রথম পাতাজুড়ে দশজনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি, তাহলে কেমন দেখাবে চোখ টিপি

আপনার কি মনে হয় এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আদৌ বইটা সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যাবে?

আমার মনে হয় নানান ধরনের প্রশ্ন আসতে দেয়াটাই বেটার ... শুধু বইয়ের কন্টেন্ট নিয়ে না আলোচনা করে পারিপার্শ্বিক ব্যাপারগুলো, যেমন বিপ্লবদা বললেন রাজীব নূরের অনুপ্রেরণার কথা, তাঁর বইটাকে পেপারব্যাক করার উদ্দেশ্যের কথা -- এসবও আসুক আলোচনায়। সব মিলিয়ে একটা পুরোপুরি ব্লগীয় সাক্ষাৎকার।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সুমন সুপান্থ এর ছবি

প্রত্যেকটা বইপ্রকাশের সাথে লেখকের একান্তই নিজের কিছু কথা থাকে, সে কথাগুলো পরিচিত পরিবেশে সচলদের মাঝে শেয়ার করার একটা উপলক্ষ তৈরী করা। (এটা সচলায়তনের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারে বলে মনে হলো)

একমত ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুঁ ...কবি, এখন স্মৃতির ঝাঁপি নিয়ে রেডী থাকেন ... যে কোন সময় কাঠগড়ায় ডাক পড়বে চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি

খ।

আমার প্রস্তাব হচ্ছে, আমার কাছে এককপি বই পাঠানো হোক চোখ টিপি । উহা পাঠ করিয়া আমি লেখকের একটি অডিও ইন্টারভিউ লইব। ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বাপরে!!
বাঘাদার আবদারও তো তেমনই বাঘা!! চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কারুবাসনা এর ছবি

কিছু পাবলিসিটি পাইলে মন্দ কিছু নয়, লিলেন্দার কথায় কিছু মনে কইরেন না।

আমরা রাজি।
প্রশ্ন দেন।

আমি শ্যাজার সাক্ষাৎকার দেখতে চাই। যত শিগ্রি সম্ভব, দেশ ছাড়ার আগে।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সুমেরুদা,
গ্রেট! এই স্পিরিটটাই চাই। শ্যাজাদির ইন্টারভিউ আজই শুরু করে দিন চলুক

লীলেন্দার চোখ টিপি কথামতোই প্রত্যেকটা সাক্ষাৎকার লম্বা সময় ধরে চালানোর পরিকল্পনায় গেলাম। তবে একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন ব্লগার ভিন্ন ভিন্ন লেখকের সাক্ষাৎকার নিলে যেহেতু কোন অসুবিধা নাই বরং জমজমাট পরিবেশ তৈরী হবার সম্ভাবনাও আছে, তাই আপনি শুরু করে দিতে পারেন।
আর আপনাকেও সময়মতো পাঠকের কাঠগড়ায় আসতে হবে ... অসম্পূর্ণ উপন্যাস চোখ টিপি লিখে এত সহজে তো পারটা পাচ্ছেননা চোখ টিপি ... পাবলিকের মনে অনেক প্রশ্ন হাসি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কারুবাসনা এর ছবি

ওকে। বিপ্লবের পর শ্যাজা বা নজরুল ভাই। চাল্লু।

লিলেন্দার টা চাই এপ্রিল মাসে।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হা হা হা হা... আমি তো ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য বইসাই আছি... কেউ কিছু জিগায় না ক্যান?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সুমেরুদা,
শুরু করে দিন।
কারণ একসাথে সমান্তরালে একাধিক সাক্ষাৎকার চললে কোন অসুবিধা হবে বলে মনে হচ্ছেনা।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বুঝছি... আমি ছাড়া এসব সমস্যার সমাধান কেউ দিতে পারবে না। তাইলে সমাধান লন-

১. লীলেন্দার মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসাবে বই পাঠ ছাড়া এই সাক্ষাতকার না নেওয়াই ভালো।
বেশ ভালো কথা। আমি এইখানে শতভাগ একমত।
কিন্তু নিশ্চয়ই সব সচলই সব বই পড়বে না? সেটা এপ্রিল কেন, আগামী বছরের মধ্যেও পড়বে না। কেউ কেউ কিছু কিছু বই পড়বে। তো এই হিসাবে অপেক্ষা করার কিছু নাই।

কিন্তু আমি নিশ্চিত এতদিনে প্রতিটা বই-ই কেউ না কেউ পড়েছে। যেগুলা ছাপা হয় নাই সেগুলাও কারো কারো পড়া হয়েছে। যেমন আমি লীলেন্দারটা পড়েছি। জায়গীরনামা তো আগেই পড়েছি। আরো কয়টা দুয়েকদিনের মধ্যেই পড়ে ফেলবো। লীলেন্দা নিজে পড়েছে অনেকগুলো বই।
তো এখন কী হতে পারে?
ধরা যাক আমি লীলেন্দার বইটা নিয়ে তাকে প্রশ্ন শুরু করতে পারি। সেই প্রশ্নগুলাই আসলে তৈরি করবে যারা বইটা এখনো পড়ে নাই তাদের ইন্টারেস্ট এবং নতুন প্রশ্ন...

এভাবে আগানো যায় বলে আমার ধারণা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ঠিক বলছেন বস্ ... লিলেনদার পরামর্শটা মাথায় রেখে এখন শুরু করা যায় সেই বইগুলো নিয়ে যেগুলো বাজারে এসে গেছে ... সবচেয়ে ভালো হয়, যারা অলরেডী দুচারটা বই পরে ফেলেছেন, তারা কেউ গ্যাঁজানো এবং রিভিউ (উপরের কমেন্টের দুই উদ্দেশ্য) - এর উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু করলে।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

তানবীরা এর ছবি

আমি লেখক জ্বিনের বাদশার সাক্ষাতকার নিতে চাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমিতো লেখক নই, পাঠক হাসি
যেদিন লেখকের কাঠগড়ায় পাঠকেরা দাঁড়াবে, সেদিন আপনার প্রস্তাব নিয়ে ভাবা যাবে চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।