পাঠকের কাঠগড়ায় মুজিব মেহদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০০৯ - ৮:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুজিব মেহদীর বই, বইমেলা ২০০৯মুজিব মেহদীর বই, বইমেলা ২০০৯
নামের আগে "কবি" বসাবো কিনা ভাবছিলাম, তবে কারো কারো বেলা ব্যাপারটা এমন যে তাঁকে শুধু একটি পরিচয় দিয়ে বেঁধে রাখা যায়না। লেখালেখিতে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী তেমনি একজন সচল মুজিব মেহদী। কবিতা, গদ্য, অনুবাদ, অনুসন্ধানমূলক গ্রন্থ থেকে শুরু করে উভলিঙ্গ রচনা (এটার একটা বিশ্লেষণ এই সাক্ষাৎকারে লেখক দেবেন বলে আশা রাখি চোখ টিপি) -- সবকিছুই তাঁর হাতে নিয়ত অত্যন্ত চমৎকারভাবে উঠে আসে। লম্বা সময় ধরে লিটলম্যাগ আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন, সম্ভবতঃ সেই অভিজ্ঞতাই লেখালেখিতে তাঁর এই সব্যসাচী রূপ সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে (এর সত্যতাও সাক্ষাৎকারে যাচাই করে নেয়া যাবে)।

বিশেষ করে আমাদের এই সচলায়তনে মুজিব মেহদীর জেনগল্পের অনুবাদগুলো একেকটি সুপেয় পানীয়ের মতোই উপাদেয়।

সেই জেনগল্পের বাংলায় রূপান্তর নিয়ে এবার বইমেলায় এসেছে তাঁর সুদৃশ্য প্রচ্ছদের বইটি, "সটোরি লাভের গল্প" (পাঠসূত্র প্রকাশনা)।

একই সাথে এবছর তাঁর কবিতার বই "চিরপুষ্প একাকী ফুটেছে" প্রকাশিত হয়েছে অ্যাডর্ন প্রকাশনা থেকে।

এর বাইরেও মুজিব মেহদীর এই সাক্ষাৎকারটি এজন্যও অনেক গুরুত্ব বহন করে যে, রোকেয়া কবীরের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত তাঁর অনুসন্ধানমূলক বই, "মুক্তিযুদ্ধ ও নারী" , জনৈক নীতিহীন সাংবাদিক এবং ততোধিক নীতিহীন দুই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য দ্বারা চৌর্য্যবৃত্তির শিকার হয়েছে। এ নিয়ে বইমেলায় নীরব প্রতিবাদরত মুজিব মেহদীকেও আমরা দেখেছি।

সূতরাং অনেক প্রশ্ন আসবে সচলদের কাছ থেকে এমন মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মুজিব মেহদী ভাইকে আমন্ত্রণ জানাই "পাঠকের কাঠগড়ায়"।

জেন আর সাতোরি

/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/

এই সিরিজের আগের পোস্ট:
১. পাঠকের কাঠগড়ায় বিপ্লব রহমান

২. পাঠকের কাঠগড়ায় কবি সুমন সুপান্থ


মন্তব্য

নিঝুম এর ছবি

মেহেদী ভাই, বইচুরি নিয়ে কি মামলা করেছেন ?করে থাকলে, মামলার কি অবস্থা এখন ? আপ্নাদের ল'ইয়ার কে ?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

মুজিব মেহদী এর ছবি

প্রথমেই এমন একটা বিষয়ে কথা বলতে হচ্ছে, যে বিষয়ে না বলতে পারলেই ভালো লাগছে কদিন ধরে! এই ইস্যুতে খানিকটা ক্লান্তই হয়ে গেছি বলতে গেলে।

না, মামলা করা হয় নি এখনো। মামলা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও সংকীর্ণতার কথা মাথায় রেখে কৌশলটা একটু বদলে নেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, বাংলা একাডেমীর সম্মানিত মহাপরিচালক বরাবরে বিস্তারিত ডকুমেন্টসসহ চিঠি লেখা হয়েছে, যেসবের রিসিপড কপি সংরক্ষণ করেছি আমরা। প্রথমোক্ত চিঠি দুটোতে এই মর্মে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, বাংলা একাডেমী থেকে স্থানান্তরিত ৪১টি পাণ্ডুলিপির পরবর্তী হালহকিকত কী হয়েছে, তা যেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে খতিয়ে দেখা হয়। তাতে চোরদের গডফাদারসহ সমস্ত রাঘববোয়ালের খোঁজই জানা যাবে বলে মনে করছি আমরা। পলাশ এবং দুই ভিসির কথাবার্তা শুনে আমাদের এ ধারণাটিই বদ্ধমূল হয়েছে যে, ঘটনাটি শুধু আমাদের একটি পাণ্ডুলিপি চুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং ওখানে ব্যাপক লুটতরাজ হয়েছে; জাতীয় স্বার্থেই যার কূলকিনারা হওয়া দরকার। আমরা আশা করছি, সরকার সেরকম উদ্যোগ নেবে।

ইতোমধ্যে এশিয়া প্রকাশনীর স্টলে বইটির প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধ করেছে বাংলা একাডেমী। একাডেমীর কাছে চাওয়া ছিল এটুকুই।

..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

হিমু এর ছবি

আমরা সকলেই উপকৃত হবো, যদি ফলোআপ আপনি আমাদের জানান।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

অবশ্যই জানাব। জানাবার মতো অগ্রগতি হলেই পোস্ট দেব।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

যাক সবকিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে যাওয়া এই দেশে যে বাংলা একাডেমী তাৎক্ষণিকভাবে বইবিক্রী বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সবুজ বাঘ এর ছবি

এইডা দিয়া দাদা হ্যাট্রিক করলাইন?

মুজিব মেহদী এর ছবি

যদ্দূর মুনে অয় প্রশ্নডা জ্বিনের বাদশাহ'র কাছে!
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার তো মন চায় পঁচিশটা গোল দিই চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রশ্নই করতে হবে, এমনটা মানি না। স্রেফ আলাদা করে জানিয়ে যেতে এলাম, আপনার অনূদিত জেন গল্পগুলো আমার খুব প্রিয়। বিশেষত "ঈশ্বর খুঁজি" সবচেয়ে ভাল লেগেছিল। আপনার অনুবাদে ভিন-ভাষার রীতির ছাপা ছিল, কিন্তু সেটা অনুবাদকে কাঠখোট্টা করে দেয়নি।

এরকম একটি বিষয় নির্বাচন করা, এবং লেখার সময় কী ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিয়ে জানতে কৌতূহলী।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ঠিক!
যদিও পোস্টে "প্রশ্ন" বলেছি, তার মানে এই না যে "?"ওলা বাক্য ছাড়া লেখা যাবেনা চোখ টিপি
আলোচনা, খোশগল্প, হাসিঠাট্টা -- সবই চলবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রশ্ন আসিতেছে আগামীকাল...
চিরপুষ্প পড়ছি। সটোরি লাভের গল্পটা এখনো কেনা হয়নি আলসেমি করে। কালকেই যাবো কিনতে...
কালকেই হবে প্রশ্ন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুজিব মেহদী এর ছবি

সৈয়দ দেলগীরের প্রশ্ন সামলাতে পারব তো!
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

ইশতিয়াক ভাই,
প্রীত বোধ করছি জেনগল্পগুলো আপনার প্রিয় হতে পেরেছে জেনে। ভিন-ভাষার ছাপ না-থাকাটাই সংগত ছিল, যেটুকু আছে সেটুকু যুগপৎ অক্ষমতা ও অসতর্কতাজনিত।

অনুবাদের জন্য বিষয় হিসেবে জেনগল্প বেছে নেয়ার ইন্ধনটা আসে প্রথমত কবি-অধ্যাপক বীতশোক ভট্টাচার্যের 'জেনগল্প' বই থেকে। কলকাতার 'বাণীশিল্প' থেকে এটি বেরোয় ১৯৮৮ সালে। আমি বইটি প্রথম হাতে পাই প্রকাশের বেশ পরে ১৯৯৫-এর দিকে। এই গ্রন্থভুক্ত শ'খানেক গল্প পড়ে আমি এমনই মুগ্ধ হই যে, অনেককেই বইটি ধার দিয়ে পড়াই। কেউ কেউ বই মেরেও দেয়। আবার কিনি। আবার মেরে দিলে আবার কিনি। তখনই মনে হয়েছিল যে, এই কাজটি যদি আমি করতে পারতাম, কতই না আনন্দ হতো।

পরে ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর সময়-সুযোগ এলে ইংরেজি ভার্সনে অজস্র জেনগল্পের সন্ধান পাই। পড়তে লাগি। এগুলোর মধ্যে ছিল বীতশোক ভট্টাচার্য অনুবাদ করেন নি এমন গল্পও। ব্লগিং শুরু করবার কিছুদিন পর, ২০০৭-এর শেষদিকে, হঠাৎ সাধ জাগে অনুবাদ করবার। কবিতা লেখবার পাশাপাশি জেন সাধু নিকে সামহোয্যারে পোস্ট করা শুরু করি। কম পাঠক ছিল ওখানে কিন্তু অনেকেই এর মূল মেসেজের প্রশংসা করেছেন, যেমনটি বুঝেছেন যিনি। আরো পরে সচলায়তনের সাথে পরিচিত হলে আমার মনে হয় এটাই হতে পারে জেনগল্প পোস্ট করবার সঠিক জায়গা। পরের কাহিনি তো আপনারা জানেনই।

জেনকে বোঝা বেশ কঠিন। সত্যি বলতে কী, এখনো কিছুই বুঝি না আমি এর। জেনগল্প নামে পরিচিত প্যারাবলগুলো যেহেতু একেকটি জেনকোয়ান, মানে জেনচর্চায় ব্যবহার্য অবশ্য উপকরণ, কাজেই শাব্দিক অর্থে ব্যাপারটা ধরতে পারলেও প্রায়ই এগুলোর নিহিতার্থ বুঝে ওঠা আমার পক্ষে সহজসাধ্য ছিল না। এজন্য জেন বিষয়ে পড়বার শ্রমও স্বীকার করতে হয়েছে বিস্তর।

আগে কোনো জিনিস ভালোভাবে বুঝে নিয়ে তা করতে শুরু করা আমার ধাতে নেই। করতে করতে বুঝতে চাই আমি। লিখতে লিখতে যেমন লেখা শিখছি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যে কারণে বইয়ের পরিকল্পনা হবার পর মাত্র ১১ পৃষ্ঠার ভূমিকাটি লিখতে আমার ভয়ানকরকম বেগ পেতে হয়। তখনই প্রথম বুঝতে পারি যে, না-জেনেবুঝে আমি এক দুরারোহ্য চূড়ায় আরোহণ করে বসেছি। পিছলে যেতে যেতেই হয়ত কতকটা পার পেয়েছি, অথবা পাই নি। সচেতন পাঠকগণ বলতে পারবেন।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

১। আগেই নিজের জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করে নিই ... জেনধর্ম বা জেনবাদ যেটাই বলুন, বাংলায় এনামটি আপনার ব্লগেই প্রথম দেখেছি ... কিছুটা কি পরিচয় করিয়ে দেয়া যায় ব্যাপারটার সাথে?

২। সটোরি শব্দটিও আগে শুনিনি ... বাংলায় কোন প্রতিশব্দ দিয়ে এই শব্দকে পুরোপুরি বোঝানো যায়না বলেই কি আপনি "সটোরি" শব্দটি ব্যবহার করেছেন, নাকি "সটোরি" শব্দটি জেনবাদের একটি টার্ম বলে এটি ব্যবহার করেছেন?

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুজিব মেহদী এর ছবি

১. জেন হলো মহাযানী বৌদ্ধবাদের একটি বিশেষ ঘরানা, যেটি ঘোষণা করে যে বোধিলাভের জন্য বিশ্বাস ও ভক্তির প্রয়োজন অনস্বীকার্য নয়, বরং অনস্বীকার্য ধ্যান, আত্মঅবলোকন ও স্বজ্ঞার উপস্থিতি। চীনে এটি বৌদ্ধবাদ ও তাওবাদের একটা ফিউশন, জাপানে ফিউশন বৌদ্ধবাদ ও সূর্যপূজক শিন্টুর ; যার আদিমূল নিহিত সংস্কৃত ধ্যান শব্দের মধ্যে। এটি বিভিন্ন নামে চর্চিত হয় প্রধানত চীন (চান), জাপান (জেন), কোরিয়া (সিওন) ও ভিয়েতনাম (থিয়েন)-এ।

প্রতিদিনের ব্যবহারিক যাপনই জেন। একটি শান্ত, আত্মবিশ্বাসী, নির্ভরযোগ্য সত্তাই জেনের সত্য। এ মত ঈশ্বরান্বেষণে সময় ক্ষেপণ করে না, বরং প্রতিক্ষণের যাপন থেকে জীবনসত্য আহরণ করে। যাপনসঞ্জাত এই জ্ঞানই জেনবাদীদের পাথেয়। এটি সরাসরি জীবনে অবদান রাখে, তবে তা আত্মা বা ঈশ্বরের নামে উপস্থিত হয় না। জেন কাজ করে দিনকার স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়াকে কোনোভাবে ব্যাহত বা বিঘ্নিত না-করে। জেনের চাওয়া জীবনের প্রবাহকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পারা বা এর পরম্পরাকে ছুঁতে পারা। জেনে অস্বাভাবিক বা গুপ্ত কিছুর অস্তিত্ব নেই। জেন ক্ষুধা লাগলে খাওয়া আর ক্লান্তি লাগলে ঘুমানোর কথা বলে। বলে যে, পড়ার সময় পড়ো, হাঁটার সময় হাঁটো, খাওয়ার সময় খাও, ঘুমানোর সময় ঘুমাও-- শর্ত কেবল একটিই, যাই করো মন দিয়ে মগ্ন হয়ে করো।

জেন তত্ত্বীয় জ্ঞানচর্চা ও ধর্মীয় পুস্তক পাঠকে নিরুৎসাহিত করে এবং গুরুত্ব আরোপ করে অনুশীলন ও পরীক্ষামূলক প্রজ্ঞায়। জেনবাদীরা আত্মউন্মেষ ঘটিয়ে আপনার সন্ধান লাভে তৎপর, ধ্যান যে ঠিকানায় পৌঁছবার তোরণ। জেনার্থীরা অভিজ্ঞতার ওপরেই বেশি জোর দেয়, প্রতিক্ষণের জীবনযাপনকে মূল্যায়ন করে, যা নাকি জীবনের মূলসত্যের দিকেই যাওয়া।

জেনবাদ কখনোই জ্ঞানপূর্ণ পাত্র নয়, বরং অর্ধেক খালি পাত্র। প্রতিমুহূর্তের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দিয়ে জেনবাদীরা সে শূন্যতা ঘুচাতে তৎপর। তাও মাস্টার লাও জি (৬ষ্ঠ শতাব্দী) একবার বলেছিলেন যে, ‘একটি ভবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্থান কেবল দেয়াল ও ছাদ নয় যা বাস্তুনির্মাতা অনেক যত্নে নির্মাণ করেন, মূল্যবান ওর পাশের শূন্য স্থানটুকুও।’ জেনের মেজাজটি ধরা পড়ে এই রাশিয়ান প্রবাদেও যে, “সে কোনো মুক্ত মানুষই নয়, যে কখনো ‘কিছুই না’ করে না।”

২.
জেন ঐতিহ্য অনুযায়ী সটোরি হচ্ছে আলোকদীপ্তির জাপানি প্রতিশব্দ, যার আক্ষরিক মানে উপলব্ধি বা অন্তর্দৃষ্টি খুলে যাওয়া, কখনো বা সহসা জাগরণ বা আকস্মিক চৈতন্যোদয়। এটি ব্যক্তির সম্যক সম্বোধি, কখনোই দলগতভাবে অর্জিত হয় না। সটোরি ব্যক্তির স্বজ্ঞাপ্রসূত অভিজ্ঞতা।

জেন যদি ভ্রমণপথ তো সটোরি তার উদ্দীষ্ট। জেনের মূল লক্ষ্য ব্র‏হ্মাণ্ডকে নতুন ও পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করা, অর্থাৎ সটোরি লাভ করা। এ পর্যায়ের জানাবোঝা, ব্র‏হ্মাণ্ডের অসীমতাকে উপলব্ধি করা ও তার মাধ্যমে প্রশান্তি লাভই জেনার্থীর অভীষ্ট। ডি. তেইতারু সুজুকি (১৮৭০-১৯৬৬)-এর মতে, ‘সটোরি হচ্ছে জেনের হয়ে ওঠার কারণ। এটি ছাড়া জেন কোনো জেন নয়।’

পরিপূর্ণ অবস্থার বৃহত্তর প্রতীতী যখন মাহূর্তিক, তখন সে অভিজ্ঞতা হলো কেনশো। ক্ষীণালোকমণ্ডিত ব্র‏হ্মাণ্ড সম্পর্কিত এই মাহূর্তিক উপলব্ধি আলোকদীপ্তি নয়, তবে সেদিকেই অগ্রসর হওয়া। একজনকে অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা নির্মাণ করতে হয় পুনঃপুনঃ চর্চার ভিতর দিয়ে। এই অর্জন কেবল টেকসই দৃষ্টিশৈলী অর্জনের জন্য নয়, বরং অন্তর্দৃষ্টি লাভের যথাযথ পন্থা খুঁজে পাবার জন্যও। একটি ছোট্ট শিশু কয়েক পা হেঁটে পড়ে গেল, এটি কেনশো ; কিন্তু শেষপর্যন্ত সে উঠে দাঁড়াতে শিখল ও না-পড়ে হাঁটতে লাগল, এটি সটোরি। এই আলোকদীপ্তির অনুভব সকল জীবের বন্ধনহীনতার উপলব্ধি। এটা প্রাকৃতিক সমন্বয় ও ব্রহ্মাণ্ডের সৌন্দর্যের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তির অনুভব।

..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ ... সটোরিকে কি বাংলার "সিদ্ধি"র কাছাকাছি বলে ভাবা যায়?
আরেকটা প্রশ্ন,
যেহেতু সটোরি শব্দটাকে বিদেশী ভাষার শব্দ বলে মনে হয়েছিলো, তাই প্রথমে "সটোরি লাভের গল্প" শিরোনামটি পড়ে "লাভ" শব্দটি বাংলার লাভ না ইংরেজীর লাভ তা নিয়ে একটু ধন্দে পড়ে গিয়েছিলাম। এই "লাভ"কে "অর্জন" বললে অর্থের পূর্ণতা পেতনা বলে ব্যবহার করেননি?

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুজিব মেহদী এর ছবি

খুবই ভাবা যায়। কিন্তু ওটাকে গ্রন্থনামের ক্ষেত্রে বাংলা করতে চাই নি আমি। 'সটোরি' ঢুকুক বাংলায় এটা যেমন চাইলাম, তেমনি চাইলাম পূর্বসূরি (বীতশোক ভট্টাচার্য) যেভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সেটাকে সম্মান জানাতেও। তাছাড়া শব্দটা তো ভালোই, কী বলেন?

এই 'লাভ' ব্যবহৃত হয়েছে attaining অর্থে। অর্জনই এর সঠিক বাংলা। কিন্তু 'সটোরি অর্জনের গল্প'-এর চেয়ে 'সটোরি লাভের গল্প' বেশি স্মোথ লাগল বলে তাই রেখেছি।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

কবি মুজিব মেহদী একটি কবিতার কাছে নতজানু
হবার আগে কবিতার প্লটটি কবির কাছে চলে আসে,
না কবিতায় নিমগ্ন হবার পর তা পূর্ণতায় রূপ পায় ??

মুজিব মেহদী এর ছবি

একটি কবিতার বীজ অনেকদিন ধরে মাথায় নিয়ে ঘুরছি অথচ লিখতে পারছি না, এমন ঘটনার মোকাবেলা মাঝে মাঝে করতে হয় বৈকি। 'চিরপুষ্প একাকী ফুটেছে'ভুক্ত এমন একটি কবিতার কথা মনে পড়ে, যেটির একটি লাইন হঠাৎই মাথায় আসে একদিন। মাঝে মাঝে লাইনটা আওড়াই, কিন্তু লিখতে বসার চাপ বোধ করি না। একদিন বোধ করলাম এবং লিখে ফেললাম। 'ঢেকে যাচ্ছে পশ্চিমে পশ্চিমে' নামের এই কবিতার মাথায় ফেরা লাইনটি ছিল 'আমার এ পূর্ব তবে ঢেকে যাচ্ছে পশ্চিমে পশ্চিমে'। লিখবার পর ওটা চতুর্থ লাইন হয়ে গেল। দেখুন কবিতাটি।

আপন রূপের বিভা অপরতমস লেগে কালো
ভুবনবিদ্যার ঘাটে নিভে আসে সূর্য ক্রমে ক্রমে
লালনের সুর-তাল র‌্যাপ মিউজিক দিয়ে মোড়া
আমার এ পূর্ব তবে ঢেকে যাচ্ছে পশ্চিমে পশ্চিমে

ঠাকু’মার ঝুলি পেল আসরের এক কোণে ঠাঁই
বাংলা থিতিয়ে আসে বিভাষার সীমাহীন চাপে
রসনা কাতর ধ্বনি তুলে বটে বিদেশী বর্ণের
জমা অভিমানটুকু পুবালি বাতাস লেগে কাঁপে

ইড়া ও পিঙ্গলা জানে দেহের মহিমা কত খাটো
ভিতরে বাড়ছে দ্রুত লেলিহান ভোগের পিপাসা
মানুষ এগোলো কত ভুলে থাকি তার ইতিহাস
যেন বহে পিতামহদেরই কালে কাবেরী-বিপাশা

পুবের মাটিতে মহা জেগে আছে শস্যসম্ভাবনা
মাথায় গোছানো তবু পরকীয় পশ্চিমা ভাবনা

তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাঠামো তক পুরো কবিতাটা মাথার মধ্যে তৈরি করে পরে লেখা আমার কোনোদিনই হয় নি। ওটা পারি না আমি, অনেকে পারেন বলে শুনেছি। আমি লিখতে লিখতে লিখি, গড়তে গড়তে গড়ি।

সাধারণত কবিতার ঘোর এলে আমি ক্রমবিষণ্নতার মধ্যে ডুবে যেতে থাকি। ওই বিষণ্নতাটা আর কিছু নয় কবিতার জ্বর, আমি জানি। মাথার মধ্যে এলোমেলো কীসব যেন ঝিলকে ওঠে। কিন্তু কী, তা ধরা যায় না। এরকম ঘোরগ্রস্ততার মধ্যে ডুবতে ডুবতেই নামতে থাকে বাক্যের পর বাক্য। কিন্তু এর সবই মনোখনিজাত দ্রব্য, যার খানিক পরিশোধন লাগে পরে। সেটা হয় ঘোরের বাইরে এসে পরবর্তী কোনো সময়ে। এই পর্ব সমাপ্ত হলেই পরে লেখাটা পূর্ণতা পায়, অথবা পায় না কোনোদিনই, অসমাপ্ত থেকে যায়। কুড়ি বছরের এরকম বিস্তর ড্রাফটের নিচে চাপা পড়ে থাকতে হচ্ছে আমার।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

কারুবাসনা এর ছবি

ভাষার ধর্ম সঙ্কোচন না প্রসারণ?

বানানের শুদ্ধতা কেন প্রয়োজন? ( আমিও মনে করি দরকার কিন্তু সরলরৈখিক ভাবে নয়)

বর্ণপরিচয় ও সহজপাঠের ভেতর কোনটা গ্রহণ করেন? অবশ্য যদি দুটোকে আলাদা করে ভাবেন।

---খুব ভেবে চিন্তে করলাম না, আপনার কথা শোনা যাক।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

মুজিব মেহদী এর ছবি

১.
ভাষার ধর্ম প্রসারণ, নদীর ধর্ম চলন। কিন্তু মাঝে মাঝেই বাঁধ দিয়ে যেমন নদীর চলন রহিত করা হয়, তেমনি ভাষাকেও নানা সংস্কার ও আর্থ-রাজনৈতিক কারণে সংকুচিত করে ফেলা হয়। ইংরেজরা আর্থ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাভাষা সংকোচনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে, যেটা স্বাভাবিক ছিল না (কলিম খান দ্রষ্টব্য), যে ক্ষত এখনো আমরা বহন করে চলেছি। আবার অনেকে নানা সংস্কারের কারণে অনেক শব্দ ব্যবহার করতে চান না, বাংলায় অন্য ভাষার শব্দের স্বাভাবিক প্রবেশ রোধ করে দিতে চান।

২.
বানানের শুদ্ধতা প্রয়োজন ভাষায় শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য, এটা কখনোই প্রসারণবিরোধী নয়, বরং প্রসারণপন্থী। একটা কোনো সাধারণ মান্য নিয়মের ভিতর দিয়ে ভাষা ব্যবহৃত হলে তার বিকাশটা স্বাভাবিক হয়।
আপনি 'বানানের শুদ্ধতা দরকারি'-এর 'বক্ররৈখিক' ভাবটা একটু সরলরৈখিকভাবে ব্যাখ্যা করুন প্লিজ। নইলে কথা বিশেষ আগাচ্ছে না। 'কোনো'অর্থে 'কোনো'কে 'কোন' বলাকে কোন কারণে আমি প্রসারণপ্রয়াস ভাবব, তা ভেবে পাই না। আমার কাছে এটাও এক ধরনের সংকোচনপ্রয়াস, যেটি স্পষ্টতা ও স্বচ্ছতাবিরোধীও।

৩.
বর্ণপরিচয় ও সহজপাঠের দ্বন্দ্বটা কোথায়, তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। ঐতিহাসিকভাবে আমি দুটোকেই প্রয়োজনীয় জ্ঞান করি।

এবার আপনার কথা বলুন দেখি।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার থেকে প্রশ্ন শুধু বাড়তেই থাকবে হয়তো চোখ টিপি

জেন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আপনি বলেছেন,

জেন তত্ত্বীয় জ্ঞানচর্চা ও ধর্মীয় পুস্তক পাঠকে নিরুৎসাহিত করে

আমরা বিজ্ঞান বলতে এখন যা বুঝি তার তাত্ত্বিক চর্চাকেও কি জেন নিরুৎসাহিত করে?

যদি তাই হয়, তাহলে জেনবাদে আপনার উল্লিখিত "অনুশীলন ও পরীক্ষামূলক প্রজ্ঞা" থেকে আহরিত জ্ঞান/বোধ জেন-সদস্যরা কিভাবে অন্যের কাছে পৌঁছে দিতো?

একেবারে ব্যবহারিক জীবনের জ্ঞানের ক্ষেত্রে জেনবাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও প্রশ্নের উদ্রেক করছে; যেমন ধরুন "অনুশীলন ও পরীক্ষামূলক প্রজ্ঞা"র ফলে একই গম থেকে কেউ আটার রুটি, কেউ মন্ডসিদ্ধ, কেউ চীনা ডাম্পলিং অথাব কেউ নুডলস -- নানারকম পদ্ধতিতে খাবার তৈরী করা মানুষ দেখতে পাবার কথা ... জেনসমাজে কি জীবনযাত্রার এই লেভেলেও "অনুশীলন ও পরীক্ষামূলক প্রজ্ঞা"র প্রয়োগ হতো? মানে, এরকম ভেরিয়েশন কি দেখা যেতো?
নাকি উপরোক্ত "অনুশীলন ও পরীক্ষামূলক প্রজ্ঞা"-প্রসূত জ্ঞানের ক্ষেত্রটা কিছু বিশেষ বিষয়, যেমন আত্মার শান্তি, ধৈর্য্যশক্তির চর্চা, শারীরিক কসরৎ -- এসব দ্বারা সীমাবদ্ধ ছিলো?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুজিব মেহদী এর ছবি

বাড়তে থাকুক।

বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরের কিছু নয়। বইয়ে যা লেখা থাকে বিজ্ঞান তার চেয়েও বেশি কিছু। বিজ্ঞানের ঘটনা আগে বাস্তবে ঘটে তারপর তা লেখা হয়। বাস্তবে ঘটা পর্যন্ত জেনের পরিধি। লিখিত হবার পরে তা অন্যের। জেনের জ্ঞান সরাসরি অন্যের কাছে পৌঁছায় অনুশীলন বা চর্চার ভিতর দিয়ে। এই চর্চার সার কথা 'কোয়ান' রূপে ধৃত-কথিত-লিখিতও হয়, যা জেনগল্প নামে পরিচিত। এই কোয়ান বা জেনগল্প উপবেশিত ধ্যানের একটি অবশ্য-উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি জ্ঞান সঞ্চারণের একটা বাহন হিসেবেও কাজ করে।

একইরকম চর্চায় একেকজন একেক ফল পায়, পেতে পারে। কিন্তু মাঠে গম বুনলে কোনো ভূমিতেই ধান ফলে না। সর্বত্রই গমই ফলে। এক্ষেত্রে ফলাফল এক। এই ফল কে কীভাবে ভোগ করল তা তার নিজের বিষয়। এক্ষেত্রে বৈচিত্র্যই মান্য।

..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

তানবীরা এর ছবি

সব্বাই সব প্রশ্ন করে ফেলেছে তাই আমি আর প্রশ্ন করলাম না। শুধু জানালাম গায়ক মেহেদীর কথা কেনো কেউ বলল না ? সচলাড্ডার প্রধান গায়ক আমাদের?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

১৩ বৎসর এদেশে থেকেও আমি জানতামইনা জেনবাদের কথা, আপনার জেনবাদের গল্প পড়েছি ঠিকই, কিন্তু জানতামনা যে এটা জাপানী শব্দ। এদেশে আসলে কালচার নিয়ে যে আলোচনাটা হয়, তাতে কোনভাবেই ধর্ম এসে ঢোকেনা....মন খারাপ

মুজিব মেহদী ভাই, আপনার জন্য উপহার হিসেবে জাপানীজ অক্ষরে মানে কানজিতে "জেন" আর "সটোরী"(এক্সাক্ট জাপানী উচ্চারণটা আসলে "সাতোরি") শব্দদুটো কেমন দেখায় তার ইমেজ ফাইল পোস্টের শেষে জুড়ে দিলাম

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।