কবি শেখ জলিল, সচলায়তনে অতি পরিচিত একটি নাম। আমরা সবাই ডাকি "জলিল ভাই" বলে।
যদিও তিনি যে শুধু কবিতাই লিখেন তা না, গল্প-প্রবন্ধেও পাওয়া যায় তাঁকে, তাও সম্ভবতঃ অধিকাংশ সচলের কাছে তাঁর পরিচয় কবি হিসেবেই। অনবদ্য সব কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন সচলের পাতাকে।
মূলধারার লেখালেখিতে আছেন অনেকদিন ধরেই, কয়েকটি কবিতার বইও বের হয়েছে জলিল ভাইয়ের।
এবার বের হয়েছে তাঁর গদ্যের বই। গল্পও না, প্রবন্ধওনা, একেবারে সত্যকাহিনী, মানে আত্মজীবনী। তবে বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য যা এর নামেও পাওয়া যাবে, তা হচ্ছে, একটি বিশেষ বিষয়ের উপর ফোকাস করেই বইটি রচিত। সেটি হলো জায়গীর জীবন।
সারা বাংলাদেশের নানান অঞ্চল থেকে আমাদের ঢাকা শহরে এসে পেশাজীবি যে শ্রেনীটি গড়ে উঠেছে গত কয়েক দশকে, তাঁদের একটি প্রজন্মের অনেকেই এই "জায়গীর" অভিজ্ঞতায় আলোকিত। পড়াশোনায় সম্ভাবনাময় ছেলেদের ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য এ এক অনন্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিলো এ দেশের গ্রামে আর মফস্বলগুলোতে, যা পঞ্চাশ থেকে সত্তর আশির দশক পর্যন্ত এদেশের মানুষের সমাজসচেতনতার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে বেঁচে থাকবে। সেই উদাহরণকে বাঁচিয়ে রাখতেই হয়তোবা, জলিল ভাই এবারের বইটি নিয়ে এসেছেন সেই জায়গীরজীবনের কথা নিয়ে। এর কিছু অংশ আমরা সচলায়তনে প্রকাশিত হতে দেখেছি,পড়ে বুঝেছি কোনরকম কাটাছেঁড়া না করে একেবারে অকপট সত্য বলার ভঙ্গিতে এগিয়েছেন লেখক। যাঁরা বইটি পুরো পড়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই আরো ভালোভাবে এই রস আস্বাদন করতে পেরেছেন।
নিশ্চয়ই জলিল ভাইয়ের জায়গীর জীবন, বইটি লেখার অনুপ্রেরণা, পাঠপ্রতিক্রিয়া আর পাঠপরবর্তী কৌতুহল -- এরকম নানান বিষয়ে আমরা পাঠকেরা কথা বলতে চাইবো জলিল ভাইয়ের সাথে।
সে সুযোগটা নেবার জন্যই আমন্ত্রণ জানাই, পাঠকের কাঠগড়ায় কবি শেখ জলিলকে।
_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/
এই সিরিজের আগের পোস্ট:
১. পাঠকের কাঠগড়ায় বিপ্লব রহমান
২. পাঠকের কাঠগড়ায় কবি সুমন সুপান্থ
মন্তব্য
জলিল ভাইর এই বইটা নিয়ে ব্লগে আর ব্যক্তিগতভাবে এতো আলাপ করেছি যে এখন দুঃখ হচ্ছে আর কোনো প্রশ্ন নেই জলিল ভাইকে
হা দুঃখ
লীলেনদার কাজ বাড়িয়ে দিই
জলিল ভাইর সাথে বইটা নিয়ে কি কি আলাপ হয়েছে তার একটা সারমর্ম দিন, আমরা পড়ি আর সেখান থেকে প্রশ্ন খুঁজি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
পাঠকের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি জ্বিনের বাদশাকে।
বইটি প্রকাশের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি কবি মাহবুব লীলেনের। জ্বিনের বাদশার প্রস্তাবটি ভালো লাগলো। বইটির খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাই কবি মাহবুব লীলেন অনেক কিছু বলতে পারবেন বোধ করি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমার খুব, খুব প্রিয় একটা সিরিজ লেখার জন্য জলিল ভাইকে ধন্যবাদ। বইটা ইচ্ছা করেই কেনাই নি, লেখকের অটোগ্রাফ ছাড়া এই বই সংগ্রহে রাখা যাবে না, তাই।
প্রশ্ন একটাই ঘুরে মাথায় -- এতটা অকপটে লিখলেন কীভাবে?
ধন্যবাদ জায়গীরনামার মুগ্ধ পাঠক ইশতিয়াক রউফ।
..বিষয়টা আমার স্বভাবজাত। সত্য ঘটনা কোনোদিনও লুকানোর চেষ্টা করিনি, পারিনি। ব্যক্তিজীবনে এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থাতেও পড়তে হয়েছে মাঝে মাঝে। অকপট লেখার ব্যাপারে আমার স্মৃতির ভাণ্ডার ও স্বভাবটা কাজ করেছে বেশি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
তাহলে পালটা প্রশ্ন করি একটা। আজ থেকে ২০ বছর আগে কি এই বইটি এই ভাবে লিখতে পারতেন?
আপনার বইটা ভাল লাগার কারণ বলি। আমি নিজে "লেখক" না। অন্যের লেখা পড়ি প্রচুর, আর লিখলে একদম নিজের প্রাত্যহিক জীবনের ঘাস-পাতা নিয়ে লিখি। অকপট আত্মকথনের বাইরে তাই তেমন কিছু লেখা হয় না।
জীবনের মধ্যাহ্নে আছি বলেই হয়তো, মনের মধ্যে এক রকম সংকোচ কাজ করে এভাবে লিখতে গেলে। মনে হয় মন খুলে, সবিস্তারে লিখলে অনেক সম্পর্ক নষ্টের ভয় আছে, অনেকের সামনে যেতে লজ্জার কারণ আছে।
আপনার লেখায় এই সংশয়ে-সংকল্প-সদা-টলে ভাবটা নেই। কিশোর বয়সের ধোঁয়াশা নৈতিকতা, কুসুম কুসুম প্রেম, অকারণ রোমাঞ্চ, অযৌক্তিক স্বপ্ন, আর অসীম অভিমানের একটা মিশেল আপনার লেখায় পেয়েছি আমি। মনে হচ্ছিল যেন থিম পার্কের রোলার কোস্টারের মত আপনার জীবনের একটা "রাইড"-এ উঠেছি। লেখার গুণবিচারি তো অনেক পরের কথা, এই সাহসটাই আপনাকে আমার অনেক পছন্দের লেখক করে দিয়েছে।
কায়দাটা শেখাবেন, নাকি তুলে রাখবেন না জীবনের অন্য কোন অধ্যায়ের গল্পের জন্য
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই,
লেখাটি ব্লগে প্রকাশিত এবং প্রচুর ফিডব্যাকও পেয়েছেন।
গ্রন্থাগারে প্রকাশের সময় কি পাঠক প্রতিক্রিয়া কোনভাবে প্রভাবিত করেছে ?
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ফয়সল। আপনার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগের লেখার সময় সবার এতো এতো মন্তব্যে অনুপ্রেরণা ও ফিডব্যাক পেয়েছি যে এবার কবিতার বই প্রকাশ না করে গদ্যের বই বের করতে প্রভাবিত হয়েছি। সচলায়তনে জায়গীরনামা না লিখলে হয়তো আর প্রকাশিতই হতো না!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ভাগ্যিস লিখেছিলেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিও ভাবি তাই।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ব্লগে যেভবে লিখেছেন লেখাটা কি সেভাবেই প্রকাশিত হয়েছে?
যদি সম্পাদনা করে থাকেন
বই হিসেবে না আসলে সেই সম্পাদনাটুকু কি করতেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা মেহের।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জায়গীরনামার বাইরে প্রশ্ন রাখিঃ-
১।আপনি যখন পাঠক তখন কার কবিতা আপনার সবচেয়ে প্রিয় ।
২।কবি হিসেবে যে সংবেদনশীলতা- বাস্তবজীবনে তা কতোটুকু প্রভাব ফেলে?
৩। নিজের লেখা কবিতা নিয়ে আপনার আত্নবিশ্বাস কতোটুকু? আগামীর পাঠক মনে রাখবে?
ভালো থাকুন জলিল ভাই ।
-----------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ প্রিয় হাসান মোরশেদ।
আপনার প্রশ্নের উত্তরে-
১. বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর পরিবর্তন হয়েছে।
শুরুতে জীবনানন্দ দাশ, তারপর আবুল হাসান, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ...
এরপর আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক।
এখন পড়ছি আবু হাসান শাহরিয়ার ও শূন্য দশকের কবিদের কবিতা।
তবে পাঠক হিসেবে পছন্দের তালিকায় এখনও শীর্ষে আছেন সব্যসাচী লেখক, কবি সৈয়দ হক।
২. বেশ প্রভাব ফেলে। কবিদের সামাজিক, বৈষয়িক জীবনে এর যে প্রভাব তা আমার জীবনেও আছে। তবে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি সেই প্রভাব থেকে সরে থাকতে।
৩. যতোটুকু লিখি আত্মবিশ্বাস নিয়েই লিখি। এখনও বলতে পারি না এগুলো কবিতা হয় কি না! কেউ কি বলতে পারে কার কবিতা আগামী পাঠক মনে রাখবেন কি রাখবেন না? আমিও পারি না...
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লেখক কখন নিজেকে মিথ্যাবাদী মনে করেন ?
যখন অনেক চেষ্টাতেও নিজের সত্যপ্রকাশ করতে পারেন না, মিথ্যে বলতে হয়।
..ধন্যবাদ কবিবর ফকির ইলিয়াস।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জায়গীরনামা পড়েছি। একবসায়। ভালোলেগেছে।
খটকাও আছে। যেমন ঘটনাবলীর সময় (সাল) বের করা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়েছে। আপনি হয়তো নিজের জীবন কাহিনী লিখছেন "এর পর এই হয়েছে, তার পর সেই", সময় নিয়ে পাঠকের যে কৌতুহল থাকতে পারে সে কথা হয়তো ভুলে গিয়েছেন কিংবা ইচ্ছাকৃত?
...........................
Every Picture Tells a Story
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
গল্পের মতো করে বলতে চেয়েছি বলেই হয়তো সাল, তারিখকে গুরুত্ব দেইনি!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমি এমন একটি মাধ্যমে মূলত কাজ করি, বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যার নির্মাণ ও বিস্তারই শিল্প। আমি কেবল সৎ থাকার চেষ্টা করি। আপনার লেখা পড়েও তাই মনে হয়, সৎ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু সত্যপ্রকাশ করেন বলা যায় কি?
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমি এক অধম... প্রশ্ন করতে পারি না বই নিয়ে। শুভেচ্ছা জানায়া গেলাম...
প্রশ্ন নেই, উত্তরে পাহাড়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আরে ধুর... এইটা তো আসাদ চৌধুরীর কবিতার বইয়ের নাম... আমি হুদাই লিখছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রশ্ন/
লেখালেখি নিয়ে আগামীতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা/ইচ্ছা আছে কি?
ধন্যবাদ শিমুল।
লেখালেখি নিয়ে অনেক ইচ্ছাই তো আছে।
...তবে গদ্য লেখার প্লান করা আমার কাছে খুবই দুঃসাধ্য কাজ মনে হয়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ও... এতক্ষনে একটা প্রশ্ন মাথায় আসছে... জায়গীরনামার দ্বিতীয় পর্ব দেলগীরনামা কবে লিখতেছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি না সৈয়দ সাহেবের দেলগীরনামার পর্ব আসবে কি শিগগিরই!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাইকে প্রশ্ন:
১। ব্লগে জায়গীরনামা লেখার চিন্তাটা কিভাবে এসেছিলো মাথায়? টপিক খুঁজতে গিয়ে, নাকি কোন নির্দিষ্ট ঘটনা এর পেছনে কাজ করেছে?
২। ব্লগে জায়গীরনামা চমৎকার সাড়া পেয়েছিলো, সেই সাড়াটাই কি এটাকে বইতে রূপান্তরিত করার পেছনের প্রধান কারণ?
৩। ইশতিয়াক রউফের করা প্রশ্নে আপনার জবাবের প্রেক্ষিতে, জায়গীরনামা যখন লিখেছেন, তখন নিশ্চয়ই প্রচুর স্মৃতি হাতড়াতে হয়েছে। একবারও কি এমন কোন ঘটনা স্মৃতিতে উঁকি দেয়নি, যেটার ব্যাপারে "না লেখাই ভালো" এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধন্যবাদ কাঠগড়ার প্রস্তাবক ও উপস্থাপক জ্বিনের বাদশা।
আপনার প্রশ্নের উত্তর-
১. গদ্য লেখার টপিক ভাবতে গিয়ে অনেক আগের একটি ঘটনা হঠাৎমনে পড়ে যায়। আমার খুব কাছের একজনকে জায়গীরনামার প্রথম পর্বের ঘটনা বলার পর সে খুব কেঁদেছিলো। ওই ঘটনা মনে পড়ার পর মনে হলো এটা নিয়ে একটা গল্প হতে পারে। তারপর সচলায়তেনর পাঠকরাই বাধ্য করেছেন বাকি পর্বগুলো লিখতে।
২. হ্যাঁ।
৩. হ্যাঁ উঁকি দিয়েছে। লিখতে গিয়েও থেমে গিয়েছি। আমার শিক্ষকদের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে কিছু জ্বলজ্যান্ত ঘটনা বাদ দিয়েছি।
...তবে নিজেরটা অপকটে লিখেছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
বই বেরুনোর পর আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, আরে আরো কিছু লেখা যেত। আর কি লিখলে বইটা প্রকৃত অর্থেই উপন্যাস হয়ে উঠতো বলে আপনার ধারনা কিংবা পরবর্তী উপন্যাস লিখতে গিয়ে আপনি কোন কোন জায়গায় বাড়তি মনোযোগ দিবেন বলে মনে হয়?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ধন্যবাদ টুটুল ভাই। আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়-
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন