সেদিন এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেলাম, সেখান থেকেই এই ইকোলজিকাল ক্যাচাল মাথায় ভর করেছে। একটা অনুসিদ্ধান্তেও পৌঁছেছি, সেটাই লিখে রাখি ব্লগে, ভাবলাম।
বন্ধুর বাসা বেশ উঁচু বিল্ডিংয়ের (কয়তলা গুনিনি) ছ'তলায়, শেষ ছ'তলা সিঁড়ি ভেঙেছি সেই ইন্টারমিডিয়েটে সুশান্ত স্যারের বাসায় পড়তে যাবার সময়, সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিজিক্স বোঝার চেয়েও বেদনাদায়ক, কাজেই এখানে যথারীতি একতলায় থাকা একমাত্র লিফটটিতেই উঠে গেলাম, ছয় টিপলেই পৌঁছে যাব, জানিইতো। কিন্তু সমস্যা হলো, ছ'য়ের বোতাম খুঁজতে গিয়ে দেখি, সেটি কোথাও নেই!! শুধু ছয়ইনা! দেখা গেল বিল্ডিংয়ের তলার সংখ্যা নির্দেশ করতে পারে এমন অধিকাংশ সংখ্যাই অনুপস্থিত। খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও, ছয়ের আশপাশের সংখ্যাগুলো খুঁজতে গিয়ে যখন সাতের দেখা পেলাম, তড়িঘড়ি করে বোতাম টিপে অপেক্ষায় থাকলাম। কি আর হবে? একটা মাত্র তলাইতো ভাংতে হবে, তাও নিচে নেমে -- কোন সমস্যাই না।
বন্ধুর বাসায় যাবার পর বিষয়টা আলোচনায় উঠে এলো স্বাভাবিকভাবেই, জানলাম, ইকোফ্রেন্ডলি এলিভেটিং সিস্টেম, সব তলায় থামেননা এই লিফট। প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়ত প্রত্যেক অলটারনেটিভ তলায় থামে এটি, যেমন ধরুন, ৩,৫,৭,৯ তলাগুলোতে থামে, যার ফলে জোড় সংখ্যার তলাগুলোতে যারা থাকেন, তাদেরকে একটু কষ্ট করে নিচে নামতে হয়, লিফটের উপরে ওঠার আর নীচে নামার দূরত্বে খানিকটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন। শুনলাম, এই লিফট দুই তলা করে টক্কা বা লাফ দেয়, মানে সে থামবে ৪, ৭,১০, ১৩ তলা এগুলোতেই শুধু। আর কোথাওনা!!
ঘটনা কি?
পরে জানা গেলো, একতলা আর দোতলা ওয়ালাদের লিফটের হিসেবের বাইরে রেখেছে (একতলাতো এমনিতেই বাইরে), আর তিন তলা থেকে শুরু করে উপরের দিকে প্রতি ক্রমিক তিনটি তলার জন্য একটি তলায়, মানে মাঝের তলাটিতে লিফট থামবে। যেমন ৩,৪,৫ তলার জন্য ৪ তলায়, ৬,৭,৮ তলার জন্য ৭ তলায় - এরকম হিসেবে থামবে। শুনে মনে হলো, বাহ্, দারূন হিসেব!! অলটারনেটিভের চেয়েও হিসেবী! এই না হলে ইকো!!
সমস্যা হলো সে বাসা থেকে ফেরার সময়। ছয়তলার সিঁড়ি ভেঙে নামতে যাব, এমন সময় বন্ধুটি বললেন, "চারতলা পর্যন্ত দুটো তলা নামবেন কেনো, একলাফে সাততলায় উঠে যাই চলুন।" সাততলায় গিয়েই আবার লিফট নিয়ে নেমে আসলাম।
আসতে আসতে ভাবলাম, যোগেবিয়োগে লাভ কি হলো?
ছ'তলায় উঠতে বা নামতে যদি সাত তলা পর্যন্তই লিফটকে উঠতে হয়, তাহলে লাভটা কি? ৬,৭,৮ এই তিনটি তলাতে উঠতে বা নামতে লিফটকে ৭ তলা পর্যন্ত যেতে হবে। মানে এই প্রত্যেক তলায় একজন থাকেন এবং দিনে তিনি একবার ব্যবহার করেন -= এই গড় হিসেবে লিফটকে ভ্রমণ করতে হবে ৩x৭ = ২১ তলা। ৬,৭,৮ তলাতে লিফট থামলেও মোট ভ্রমন হতো ৬+৭+৮ = ২১ তলাই!!! তাইলে লাভ কি? চিন্তার বিষয়!!
তখন মনে পড়লো, এই সিস্টেমে দোতলার লোককে হেঁটেই উপর/নীচ করতে হবে। অ, এই তাইলে লাভ!!
সেই সূত্র ধরে ভাবলাম, এর চেয়ে তো ৩,৫,৭,৯ তলাতে লিফট থামালেই বেটার।
যেমন সেক্ষেত্রে ৬ তলার লোক ৫ তলার লিফট, আর ৭/৮ তলার লোক ৭ তলার লিফট ব্যবহার করবে। কাজেই, উপরের হিসেবে ৬,৭,৮ এর লোক দিনে একবার লিফট ব্যবহার করলে লিফটের মোট ভ্রমণ হবে ৫+৭+৭ = ১৯ তলা! ২ তলা কম!! ইউরেকা!!! ভাবলাম ঐ লিফট কোম্পানীকে এ্যাড্রেস করে একটা এ্যানালাইসিস পাঠিয়ে দেবো।
ঠিক তখনই আরেকটা ক্যাচাল হাজির হলো। আচ্ছা, ৮ তলার লোক রাতে বাসায় ফেরার সময় কততলা পর্যন্ত যাবে? সাততলায় গিয়ে একফ্লোর উপরে উঠবে, নাকি নয়তলায় গিয়ে একফ্লোর নিচে নামবে? আমি হলে নয় তলাতেই যেতাম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ৩,৫,৭,৯ সিস্টেমেও বাসা থেকে বের হবার সময় ১৯ তলা ভ্রমন করলেও, বাসায় ফেরার সময় ভ্রমনটা হবে গিয়ে ৭+৭+৯=২৩ তলা। উঠা আর নামার গড় করলে ২৩ আর ১৯ এর গড় ২১ই হয়!!!
তাহলে ঘুরে ফিরে কি দাঁড়াইলো!!
এসব সিস্টেম করে কোন লাভ নাই!!!!
আসলেই হয়তও তাই, ইকোর বিষয়ে পাবলিক সচেতন না হইলে সিস্টেম করে লাভ নাই। খষ্ট করে দুই ফ্লোর সিঁড়ি ভেঙে নীচে নেমে যদি লিফটের তেল খরচ একটু কমানো যায়, সেভাবে না ভাবলে ফায়দা নাই।
তাইলে উপসংহার কি: সচেতনতাই শেষ কথা, অংক কষে লাভ নাই। জয় হিউম্যানিটিজ, সাইন্সের ভাত নাই!!
মন্তব্য
সিষ্টেমটা তো আমার ফ্ল্যাটে চালু করতে হয়
তারপর.......বাঁচলো কয়তলা!!!
চালু করেন, জলদি চালু করেন
সফটওয়্যারের কাজটা অধমরে দিয়েন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হেঃ হেঃ ভাল কইছেন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনার তো এসব নিয়া চিন্তা নাই কীর্তিদা ... আপনে তো সাইকেল হাঁকাইয়া একেবারে উপরের তলা পর্যন্ত চইলা যাইতে পারবেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জয় হিউম্যানিটিজ, সাইন্সের ভাত নাই!!
এত্ত কষ্ট কৈরা পর্লাম... ভাবছিলাম বুঝি বাসার লিফটে এরম করা যায় কিনা... লেখার শেষে আইসা দেখি আগেরটাই ভালা
হা হা হা ... তিনবন্ধুর নির্জন দ্বীপে আইসা পড়ার কৌতুকের মতোই হইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- মাথা ঘুরতাছে...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাথা ক্লকওয়াইজ ঘুরলে আপনে এন্টিক্লকওয়াইজ ঘোরা শুরু করেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ইন্টারেস্টিং। মজা পেলাম।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ, কনফু
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কিছু লোক পাবেন যারা নামার সময় ৬ থেকে উপরে যাওয়ার বদলে নিচে নামবে (আপনি যেভাবে প্রথমে ভেবেছিলেন)। আর ৪ তলায় এসে ভাববে যে ... ধুর লিফট কল করলে যে সময় লাগবে তার চেয়ে দৌড়ায় নামি।
সর্বোপরি লিফটের খরচ না কমলেও সিড়ি ভাঙ্গার ফলে এতে কারো কারো স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা শুরু হবে। তবে বাসায় অসুস্থ লোকজন থাকলে সমস্যা হবে।
অন্য ফ্লোরগুলোতে যদি লিফটের দরজা না থাকে তাহলে সেই সংক্রান্ত খরচ কমলো ... ঐ পদার্থগুলো প্রস্তুত করতে পরিবেশের যে ক্ষতি হতো সেটা হলো না।
==
জাপানে হাঁটার জন্য স্বাস্থ্য ভাতা আছে জন্য অনেকেই বাসা থেকে এক স্টপেজ আগে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে বাসায় ফিরেন। আবার, অফিসের সবচেয়ে দুরের পার্কিং-এ গাড়ি পার্ক করেন যেন একটু হাঁটা হয়। ছোট খাট কাজে ২/৩ ফ্লোর উঠা নামার জন্য অনেকে লিফট-ই ব্যবহার করে না।
মেদ-সমস্যাযুক্ত আমি অফিসে ৫০% সময়ে লিফট ব্যবহার করি না (অফিস ৫ তলায়; বাসাও ৫ তলায় সেখানে অবশ্য লিফট নাই - চয়েসও নাই) -- লিফট থাকলেই কি আর না থাকলেই কি ..... । শেষ পর্যন্ত ঐ কথাটাই ঠিক ... সচেতনতা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই না হলে শামীম ভাই ... লিফটের দরজা করা আছে ... ইমার্জেন্সী কেইসে ইউজের জন্য ... যেমন আপনারই দেয়া উদাহরণ, অসুস্থ্য রোগীর জন্য ... বা লিফট মাঝপথে আটকে গেলে ইভ্যাকুয়েশনের জন্যও দরকার
আপনার দেয়া জাপানের উদাহরনের সাথে যোগ করি,
আমি যে শহরে থাকতাম সেনদাই, সেখানে সরকার ৬৫ এর বেশী বয়েসের বুড়োবুড়িদের মাসে ৬০০০ ইয়েনের সমমানের একটা বাসকার্ড দিতো ... ঐ কার্ডের রং আবার এমন ছিলো যে বুড়োবুড়ি ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারটোনা ... ২৫ থেকে ৩০ বারের মতো বাস ব্যবহার করা যেতো ... সেটা করা হতো যাতে তাদের মোবিলিটি থাকে, ফাও পয়সায় পেলে একটু বাসে চড়ে বাতাস খেতে বুড়োবুড়িরাও চাইবে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বহুত ক্যাচাল পোস্ট।
তবে আমার যুক্তি হল তিনতলার উপরে হলে লিফটে উঠব, আর নামার সময় সিঁড়ি দিয়ে নামব, যত তলাই হোক।
সেই হিসেবে আট তলায় যেতে হলে আমি লিফটে ১০ তলায় যাব, সেখান থেকে দু'তলা হেঁটে গন্তব্যে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ভালো পলিসি
জাপানীরা অফিসের লিফটে সেঁটে রাখে, "একফ্লোর উপরে বা দুইফ্লোর নীচে নামতে হলে সিঁড়ি আছে"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আইচ্ছা রাফি ভাই .. কন্তো অহন কি করি?
আমার বাসা ৪ তলায়... ভাবতাছি তিনতলায় আইসা লিফটে চর্মু
যাই, মাথায় একটু হাওয়া লাগাইয়া আসি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দখিনা হাওয়া?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ইশ! ওরা কী গরিব; ওদের লিফট-ম্যান নেই!!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ইশশ!!
বসেরা সহ লিফটে উঠলে আমাদের জুনিয়র এমপ্লয়ীদের লিফটময়ানের সার্ভিস দিতে হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
লিফট বেশি এনার্জি খায় না। কাজেই এটাকে নিয়ে ইকোলজিকাল চিন্তা করে বেশি লাভ নাই । সব ফ্লোরে লিফটের অপশন রাখা হয় না, সম্ভবত লিফট এতে বেশি বিজি থাকবে সেই জন্য। প্রতি ফ্লোরে সবাই যদি লিফটের বোতাম চাপে তাহলে দেখা যাবে প্রতি ফ্লোরেই ওয়েটিং পিরিয়ড বেশি থাকছে সবসময়। উঁচু হাইরাইজগুলাতে এই সিস্টেম না দিলে সমস্যা প্রকট হবার সম্ভাবনা বেশি, কেউ হয়ত আধাঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন লিফট পাবে না, বিশেষ করে যেখানে লোকজনের যাতায়াত বেশি। আর বিল্ডিং-এ নীচ থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত দূরত্ব সাধারণত ওয়াকিং লিমিটের মধ্যেই ধরা হয়। এই পর্যন্ত লিফটের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ না করলেও কারো কিছু বলার থাকতে পারে না। খাইট্টা খাও, জনগণ।
ঠিক বলছেন ... অফিস বিল্ডিং বা অনেক উঁচু আর প্রতি তলায় অনেক ফ্ল্যাটওয়ালা বাড়ীতে ঠিক আছে ... সাধারণত একাধিক লিফট থাকে যেগুলোতে গন্তব্যের তলাগুলো ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়া থাকে
কিন্তু এই ৪,৭,১০ এর কম্বিনেশনটা সেদইন প্রথম দেখে ইকো'র পয়েন্টে ভেবে বসছি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
উত্তরার লোটাস-কামাল বিল্ডিংয়ে এই সিস্টেম দেখছিলাম ... আর মীরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক টাওয়ারে পাশাপাশি দুইটা লিফট ছিল, একটা জোড় ফ্লোরে থামতো, আরেকটা বেজোড় ...
তানভীর ভাইয়ের কথাই ঠিক, এইটা করতো ওয়েটীং টাইম কমাইতে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
মনে আছে প্রথম যেদিন এরম জোড়-বেজোড় লিফটে ভুল কইরা উঠছিলাম, কিরকম ফ্রিক আউট হইছি !!! ... ভাবছিলাম জাপানী হরর মুভি!!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার অবশ্য ভিন্ন দর্শণ। সব ক্ষেত্রে সাইন্স আমাদের পোষায় না।
আমি এখন আছি এক দেশে যেখানে নিয়মের বাইরে তাদের মগজ কোথাও খাটে না। তারা নিয়ম মানার জন্যে সব অনুভুতি বিসর্জন দিতে রাজী। একটি উদাহরণ দেই, ফুটপাথের মধ্যে লাল রং করে সাইকেলের পথ আঁকা। আপনি হাঁটতে হাঁটতে বেখেয়ালে সাইকেলের পথে চলে আসবেন তো সাইকেল ক্রিং করে বাজিয়ে আপনাকে সরাবে। আপনার জন্যে তাকে থামতে হলে তো কিছু কড়া কথা প্রাপ্য। তো হলো কি এক বাস স্টপে একজন নামল। সামনে একটি গাড়ী থাকায় বাসটি নির্ধারিত স্থানের একটু আগেই থামল এবং পেছনের গেট দিয়ে মধ্যবয়সী এক নারীকে নামতে হল ওই সাইকেলের পথে। উনি আসলে বুঝতে পারেন নি যে এটি সাইকেলের পথ। কিন্তু দ্রুত গতিতে সাইকেল চালানো এক মহিলা এসে তার গায়ের উপর উঠে যাচ্ছিল - শেষ মুহূর্তে কঠিন ব্রেক করে থামল। এর পরেই শুরু হল বাক্য বর্ষণ। ভুক্তভোগী বললেন আমি তো বাস থেকে নামার সময় বুঝতে পারিনি কোথায় নামছি। কিন্তু তুমি আমার দিকে তেড়ে এলে কেনো? কিন্তু সাইকেল চালকের মন্তব্য - আই ডোন্ট কেয়ার... এখানে আমার চলার রাইট আছে। তুমি দেখোনি এটা তোমার প্রবলেম। তুমি নিয়ম ভেঙ্গেছ। আমি পুলিশ ডাকব, বাস এখানে কেন থামাল, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার দেখে মনে হলো বাংলাদেশে থাকলে কার কি রাইট বোঝা যেত।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ঠিক বলছেন .... আসলেই সাইন্সে পোষায়না ... মানুষ তো আর মেশিন না!!
সেদিন একজনের সাথে তর্ক হচ্ছিলো এ নিয়ে ... আমি বেশ রিস্কি স্ট্যান্স নিয়েছিলাম যদিও ... কথা হচ্ছিলো প্লেনের লাগেজের ওজন নিয়ে ... প্রায়ই ক্যাচালে পড়তে হয় ... তখন তিনি বললেন টিকিটে লেখা থাকে স্পষ্টভাবে যে ২০ কেজির বেশী নেয়া যাবেনা, তারপরও নাও কেন .... আমার স্ট্যান্স ছিলো কখনও কখনও তো ৩০ কেজি পর্যন্তও ছাড় দেয় ... কাজেই এয়ারলাইন্স যখন র্যান্ডমভাবে ছাড় দিচ্ছেই, তখন সুযোগ নেবোনা কেন? ... তিনি বলতে চাইলেন এটা বাঙালীর বদঅভ্যাস ... আমি বলতে চাইলাম, এটা কমন হিউম্যান সাইকোলজী, আগের অভিজ্ঞতায় সুযোগের সম্ভাবনা দেখলে সে কেনো সুযোগ নেবেনা? ... এসব আর কি!!
এখনও লিখতে গিয়ে ভাবলাম, আসলেই কি মেপে মেপে চলা সম্ভব???
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আরেকটা যুক্তি দেই ... কাজে লাগবে:
যাত্রীদের ওজনভেদে ভাড়া আলাদা হয় না। যার ওজন ৫০ কেজি তার যেই ভাড়া ১২০ কেজির যাত্রীরও একই ভাড়া। স্যূটকেসে না আটলে তাই গায়ে চড়িয়ে নিতাম কিছু ভারী কাপড়... পকেটে কিছু ভারী জিনিষ ... ... যদিও এতে একটু কষ্ট হত।
আমি যতই চাইতাম ট্রাভেল লাইট ... ততই বোঝা এসে জুটত। ইশ্ সারা জাপান জীবনটা বউয়ের কুলিগিরি করতে করতে গেছে। (৪ বছরে অন্ততপক্ষে ১৬ বার আপডাউন করেছি সেনসেইয়ের পয়সায় )
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আসলেই এতো অঙ্ক কইরা লাভ কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ক্লাস ছিলো তিনতলায়। দোতলায় ছিলো ডিপার্টমেন্টের অফিস এবং ডিপার্টমেন্টের বেশিরভাগ সিনিয়র শিক্ষকের অফিস। লিফটের সামনে এই দুই ফ্লোরগামী জনতার ভিড়ের কথা ভোলার নয়। দোতলা বা তিনতলায় হেঁটে ওঠার মতো শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে মানুষ প্রকৌশলবিদ্যা কেন পড়তে বা পড়াতে চান, এ প্রশ্ন মনে জাগার কয়েকদিনের মাথায় দেখলাম লিফটের ভেতরের যন্ত্রাংশে রদবদল হয়েছে, চারতলার আগে আর কেউ উঠতে পারবেন না।
সেই রাম এবং অযোধ্যা - দুইটাই মিসিং।
সকাল আটটার ক্লাসে লিফটের কথা স্বপ্নেও ভাবতাম না। আর দিনের অলস সময়গুলাতে দুইতলার ডিপার্টমেন্ট অফিসে যাইতেও লিফট ব্যবহার করতাম।
আহা, লিফটেও কত স্মৃতি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হিমু ভাই...লিফট এখন আবার ২ তালায় উঠে।
সুখ ই সুখ...
(ওসিরিস)
হুমমম ... যতবারই বুয়েটে ঘুরতে গেছি এই সমস্যায় পড়েছি... অন্ততঃ দোতলার টিচারদের তো লিফট ব্যবহার করা উচিত না!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমাদের ছাত্রজীবনে ইএমই বিল্ডিং-এ কোন লিফট দেখিনি। দ্বিতীয় বর্ষে থাকার সময় পাঁচতলাতে ক্লাশ ছিল। ইএমই বিল্ডিং যারা চেনেন তারা জানেন এই বিল্ডিং-এর পাঁচতলা মানে অন্যসব বিল্ডিং-এর সাততলার সমান। ইএমই বিল্ডিং-এ লিফট থাকা না-থাকার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হত "শর্ট সার্কিট" আর "যন্ত্রনা" তে।
** "শর্ট সার্কিট" আর "যন্ত্রনা" ছিল যথাক্রমে EE এবং ME'র শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত প্রকাশণা। দুটো প্রকাশণাই যথেষ্ঠ উন্নতমানের আর মজার ছিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বড়ভাই, ম্যাথে এইবার আবসারাপ একটা গ্রেড পাইসি...।
আপনার জোড়-বিজোড়, তিনতালা/ সাততালা- এতো হিসাবে আবার মাথা ঘুরাইতাসে...
ল্যাপ্লাস দিয়া হিসাব করন লাগবো... !!!!!!
ল্যাপ্লাস জানি কুনটা ছিলো!!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন