স্যাচুরেশনের গল্প:
বেশ কয়েকবছর আগের কথা। বন্ধুদের আড্ডায় এক সরকারী কর্মচারী বন্ধুর বলা গল্প। চাপাবাজ হিসেবে বন্ধুটির খানিকটা দুর্নাম থাকায় গল্পটি আসলে সত্য কিনা বলতে পারছিনা, তবে এই লেখার জন্য ব্যবহার করা যায়। গল্পটা ওর সেই সময়ের বসকে নিয়ে। বস ভদ্রলোক নিজের ক্ষমতায় যতটুকু কুলায় তার পুরোটুকু ব্যবহার করে দুর্নীতি করে গাঙ বানিয়ে ফেলেছিলেন। ঘুষ/স্বজনপ্রীতি/ক্ষমতাপ্রয়োগে সিদ্ধহস্ত যাকে বলে। তো, ঘুষ খেতে খেতে একসময় নাকি এই ভদ্রলোকটি ঘুষ হিসেবে টাকা বা এর ওর বদলী/নতুন চাকরী দাবী না করে, দাবী করা শুরু করলেন প্রমোদবালা। পার্টি প্রমোদবালার ব্যবস্থা করে, আর তিনি সাইন করেন। অর্থ/সম্পদ/প্রভাব থেকে প্রমোদবালাতে ঘুষ-উপকরণের এই প্যারাডাইম চেঞ্জের কারণ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নাকি তিনি বলেছিলেন, "স্যাচুরেশন, বুঝলে, সবই স্যাচুরেশন।"
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যৌনবিকারগ্রস্ততা:
আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে যৌনবিকারগ্রস্ততা নতুন কোন ঘটনা না। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন কেন, কোন অঙ্গনটিতে যৌনবিকারগ্রস্ততা দেখা যায়না, বিশেষ করে ক্ষমতাহীনের ওপর ক্ষমতাশালীর বিকার, সেটা খুঁজতে গেলে হয়তো খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো অবস্থাতেই পড়তে হবে।
তবে বেশ হতাশা নিয়েই বলতে হচ্ছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিকারগ্রস্ততার অনুশীলন লম্বা সময় ধরে চলে এসেছে। এক্ষেত্রে গৃহিত পদ্ধতি বা পন্থাগুলোও বেশ স্ট্রেইটফরোয়ার্ড, কোন রাখঢাক নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নামে এমন কিছু কথা রটানো হয় যাতে নিজ পক্ষের সমর্থকরা খানিকটা যৌন সুড়সুড়িমূলক বিনোদন লাভ করতে পারে। এতে দুই ধরনের উপকারিতার সম্ভাবনা থাকে। প্রথমত সমর্থকদের একাংশকে বিনোদিত করে সমর্থনের মাত্রা বৃদ্ধি। দ্বিতীয়ত সমর্থকদের একাংশকে বিশ্বাস করিয়ে বোকা বানিয়ে ভোট আদায়।
মূল রাজনৈতিক শক্তিগুলোর কেউই এই অপকর্মটি থেকে দূরে থাকেনি। জাতির পিতাকে বাঈজীর বংশধর হিসেবে দেখানো থেকে শুরু করে, মহিলা প্রধানমন্ত্রীদেরকে শুধু ব্যক্তিগত সহকারী না, এমনকি বিদেশী কূটনীতিকদের সাথেও বিছানায় পাঠিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি এই বিকারগ্রস্ততা। আর এরশাদের বেলায় তো অনেকের কথাবার্তায় এমনটা মনে হওয়াও অস্বাভাবিক না যে তার পতনের পেছনে নয় বছরের স্বৈরাচার/সন্ত্রাস আর লুটতরাজের চেয়ে নারীবিষয়ক কেলেঙ্কারীই বেশী দায়ী।
বিকারগ্রস্ততার প্রভাব:
আধুনিক প্রগতিশীলতার সংজ্ঞার আওতায় অবশ্য এই প্রসঙ্গে কিছু সুশীল প্রশ্ন অবশ্য করা যায়। জিজ্ঞেস করা সম্ভব যে, যেসব সুড়সুড়িমূলক রটনা ছড়ানো হয়, তাতে অসুবিধা কি? একজন প্রধানমন্ত্রীর মা বা নানী বাঈজী হলে তাতে তাঁর নেতৃত্বগুণের কোন অংশটি লোপ পায়? অথবা একজন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর সাথে প্রেম করলে তাতে রাষ্ট্রের কি ক্ষতি? কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের রটনাগুলো যে কিছু যৌনবিকারগ্রস্ত মানুষের আড্ডাকে অরুচিকর হিসহিসানো হাসিঠাট্টা দিয়ে জমানো এবং একই সাথে এক ধরনের সাবলিমিনাল অপ্রগতিশীলতা বজায় রাখার পেছনেই বেশী ভূমিকা রাখে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ব্যক্তিগতভাবে নানান কথোপকথনে/ আড্ডায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোর সমর্থকদের সামনে পড়তে হয়। এদের উত্তাপ দেখলে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে কিছু অসৎ কাজ করি। যেমন, তার কথায় তাল দিয়ে উসকে দিই। দেখি কতদূর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে -- এমন এক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করি। তখন অনেকেরই আসল চেহারা বের হয়ে আসে। দেখা যায়, শিক্ষা অথবা কাজের অভিজ্ঞতায় পৃথিবীর প্রথম দিকের সারির ব্যক্তিটিও অবলীলায় এসব বিকারগ্রস্ততায় মেতে ওঠেন। সাপের মতো হিসহিসিয়ে হাসেন, কুরুচিকর মন্তব্যে মেতে ওঠেন, অধুনা আলোচিত ইভটিজারদের মতো অঙ্গভঙ্গি করে বাড়তি মসলা যোগ করেন। আবার এসব লেভেলে এমন লোকও দেখেছি যারা শুধু এসব সুড়সুড়িমূলক তথ্যগুলোকে বিশ্বাস না, এমনকি এগুলো প্রমাণের লাইব্রেরী নিয়েও যে তিনি সর্বদা ঘুরে বেড়ান সেকথাও অবলীলায় স্বীকার করে ফেলেন। মজার ব্যাপার হলো, সমর্থকদের এই ধরনের কর্মকান্ডের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলভেদে তেমন কোন পার্থক্য চোখে পড়েনা।
বিকারগ্রস্ততার প্যারাডাইম বদল:
এত কিছুর পরও রাজনৈতিক অঙ্গনের এই যৌন বিকারগ্রস্ততার একটা চরিত্র বজায় ছিলো এতদিন। ব্যক্তিপর্যায়ে বা বড়জোর কাছাকাছি বয়সের বন্ধুবান্ধবদের আড্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার একটা অলিখিত নিয়ম যেভাবেই হোক, জারি ছিলো। যেমন, একজন বাবা সন্তানকে স্বীয় মতাবলম্বী রাজনৈতিক দলটির প্রতি অনুগত হওয়ার জন্য স্বপক্ষ ও প্রতিপক্ষ নিয়ে যথাক্রমে নানান প্রশংসা ও নিন্দা করলেও, কখনও সম্ভবতঃ এসব যৌন সুড়সুড়িমূলক তথ্যগুলো দিয়ে সন্তানকে কনভিন্সড করার চেষ্টা করেননি। অথবা ক্লাসরুমের শিক্ষকরাও। অথবা টিভির টকশোতে দলাদলিতে মেতে ওঠা "বু্দ্ধিজীবি"রাও।
কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাটি একটা প্যারাডাইম চেঞ্জের ইঙ্গিত দিলো। রাষ্ট্রযন্ত্র তার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে ব্যবহার করে দেখালো বিরোধীদলীয় নেত্রীর হবি হলো পর্ণো ম্যাগাজিন ঘাঁটা, তাও আবার মেয়েদের ছবিওলা ম্যাগাজিন।
সাবোটাজ এর আগেও সরকারগুলো করেছে। সব সরকারই সময়সুযোগ এবং প্রয়োজনমতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাবোটাজ করে এসেছে, এবং সেগুলোর সবই বেশ সচেতন ও উদ্দেশ্যমূলকভাবেই সংঘটিত হয়ে এসেছে। তবে সাবোটাজ করতে গিয়ে সরাসরি এরকম পারভার্ট বা যৌনবিকারগ্রস্তের মতো আচরণ সরকার বা প্রশাসন এর আগে সম্ভবত করেনি। প্রশ্ন আসলো, সাবোটাজের বিষয়বস্তু হিসেবে যৌনতাকে বেছে নিতে হলো কেন প্রশাসনকে?
প্যারাডাইম বদলের কারণ :
এর আগে সরকারগুলোকে আমরা খারাপ চোখে দেখলে দেখে এসেছি স্বৈরাচারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, পাকিস্তান বা ভারতের দালাল -- এসব হিসেবে। একজন সরকার প্রধানের নামে সাবোটাজ করতে গিয়ে এই বিষয়বস্তুগুলোও তো আসতে পারতো! সত্যি বলতে কি, এগুলোরই তো আসার কথা। এমনকি, এসব বিষয়বস্তু বিবেচনা করলে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সাবোটাজ ছাড়াই সত্যিসত্যিই কিছু জিনিস উপস্থাপন করা যেত। কিন্তু তারপরও সরকার কেন যৌন সুড়সুড়িকে বেছে নিলো?
তবে কি রাজনৈতিক অঙ্গন সাবোটাজের ক্ষেত্রে ঐ ঘুষখোর সরকারী কর্মকর্তার মতো স্যাচুরেশনে চলে গেছে? যদি তাই হয়, তবে এর অন্তর্নিহিত অর্থ কি দাঁড়াতে পারে তা ভাবতে গিয়ে কিছুটা বিস্মিতই হতে হলো। মনে হলো, রাজনীতিকরা কি তবে একটা স্বীকারোক্তিই দিয়ে ফেললেন নাকি!
এভাবে চিন্তা করা যাক। এখানে "স্যাচুরেশনের" প্রসঙ্গটা আসবে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে? ঘুষখোর কর্মকর্তার স্যাচুরেশন হলো সুখের। টাকা কামিয়ে আর সুখ পাচ্ছেননা। অন্য কিছু চাই তার।
তাহলে বলা যায়, সরকারের সাবোটাজের ক্ষেত্রে স্যাচুরেশন হবে দুর্নামের। অর্থ হলো, প্রতিপক্ষকে দুর্নীতিবাজ/সন্ত্রাসী/দালাল হিসেবে দেখিয়ে আর দুর্নাম বাড়ানো যাচ্ছেনা। কাজেই, একটা নতুন কিছু খোঁজো!
এই অনুমিতিটা যদি সত্যি হয়, তাহলে কি বলা যায়না যে সরকার বা প্রশাসন এটা ধারনা করছে যে জনগন এখন আর রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি/সন্ত্রাসের নমুনা দেখে বিস্মিত হয়না। জনগনকে নিয়ে সরকারের এই পারসেপশনকে এভাবে অনুবাদ করা যায় যে, প্রশাসন বা সরকার আসলে স্বীকার করে ফেলেছে যে দুর্নীতি/সন্ত্রাস সেক্টরে রাজনীতিকরা দুর্নামের স্যাচুরেশনে, অর্থাৎ চরম শিখরে পৌঁছে গেছেন।
সাম্প্রতিক সাবোটাজে প্রশাসনের পারভার্টের মতো আচরণ হয়তো আমাদেরকে এই মেসেজটিই দিলো।
শেষকথা:
অধিকাংশ পাঠক হয়তো একমত হবেননা, তবে অদূরভবিষ্যতে বাংলাদেশের সরকারে যারাই থাকুক, ব্যক্তিগতভাবে আমি হয়তো এদের প্রশংসার চেয়ে গালাগালই অনেক বেশী করে যাবো। কারণ চিরপরিচিত সেই ব্যাড সাইকলটার কোন পরিবর্তনের লক্ষণ দেখছিনা।
সে হিসেবে এতদিন গালাগালে ব্যবহৃত শব্দাবলী, যেমন, স্বৈরাচারী/অত্যাচারী/দালাল/সন্ত্রাসী/দুর্নীতিবাজ -- এসবের সাথে বাড়তি নতুন একটা শব্দ পাওয়া গেলো, "পারভার্ট"। মন্দ কি?
মন্তব্য
আমিতো নেট খুঁজে একটা সস আর ফ্যাশন পত্রিকা ছাড়া কিছু পেলাম না। তবে চরিত্রহননের ব্যাপারেযে আমরা নতুন মাত্রা অর্জন করছি এতে কোন সন্দেহ নাই।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
হুমম, আমরা শুধু উল্টোদিকেই মাত্রা অর্জন করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হুম, পারভার্ট সরকার।
ভালো বলেছেন। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে এক সময় সব গালাগালিও শেষ হয়ে যাবে আমার বিশ্বাস। একবার যখন এই কালচার চালু হয়ে গেছে, পরে রাজনীতিবিদরা প্রতিপক্ষের ভিডিও বের করে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আজব পোলা
অসুবিধা নাই, আমাদের রাজনীতিকরা যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ। শব্দের ঘাটতি দেখা দিলে তারাই সাপ্লাইর ব্যবস্থা করে ফেলবেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার মেয়ের বয়স ১৪ মাসের একটু কম। ডায়াপার পরানোর সময়ে অসহযোগীতা করার মূল কারণ হল কোমরের কাছে ওর কাতুকুতু লাগে। অর্থাৎ কাতুকুতু ডেভেলপ করেছে।
জনগণের ঐরকম কাতুকুতু ডেভলপ করেছে/আছে, তাই কাতুকুতু দেয়ার জন্য ক্ষমতাশালীরা যে ঐ জিনিষটা প্রয়োগ করেছে। যদি সকলেই বলতো ... ... পার্সোনালি কার সাথে শুলো সেটা দেশ চালানোতে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে? তাহলে তো আর এই বটিকা প্রয়োগে লাভ হত না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভালো বলছেন, তবে বস্,
"যদি সকলেই বলতো ..." -- বাস্তবে এইটা মনে হয় দুনিয়ার কোথাওই সম্ভব না, এবং এক্সপ্লয়টাররা সেইটা জানে বইলাই সময়মতো কাতুকুতু দেয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অর্থ/সম্পদ/প্রভাব থেকে প্রমোদবালাতে ঘুষ-উপকরণের এই প্যারাডাইম চেঞ্জের কারণ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নাকি তিনি বলেছিলেন, "স্যাচুরেশন, বুঝলে, সবই স্যাচুরেশন।"
দুজন ঘুষখোরের মধ্যে যে টাকা নেয়, আর যে প্রমোদবালা নেয়, এ দুজনের মধ্যে দ্বিতীয়জন কি একটু বেশী অপরাধী? আপানার এই গল্প থেকে এরকমই একটা হাইরার্কির ধারনা পাচ্ছি। ঘুষ তো ঘুষই। সেটা টাকাপয়সা হোক, আত্মীয়ের চাকুরী হোক বিদেশসফর হোক আর প্রমোদবালা হোক। তাহলে আপনার বলা গল্পের বসটির ঘুষবিকারগ্রস্ততা ছাপিয়ে তিনি কি ধরনের ঘুষ নিচ্ছেন, সেটা কেন গল্পের ভারকেন্দ্র হতে চাইছে?
এই পোস্ট এর মূল যে বক্তব্য, মানে রজনীতিতে যৌনতাসম্পৃক্ত বিষয়গুলোর ব্যাবহার নিয়ে আপনার যে অসন্তোষ, সেই বক্তব্যের সাথে শুরুর এই উদাহরনটির মাধ্যমে প্রকাশিত হাইরার্কি ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক নাকি সম্পূরক, সেটা বুঝতে পারছিনা।
এর পেছনের যে কারন, সেটাকে তো শুধু রাজনীতিতে দেখতে চাইলে হবেনা। সমাজের যে সমস্যা, যে সীমাবদ্ধতা নিয়ে গত দশকগুলোর শিশুকিশোরদের ছিল, তারাই তো আজকে মিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, বানিজ্যে ও সেনাবাহিনী পরিচালনা করে। যে শিক্ষা জীবন থেকে নেয়া, সেটা তো স্কুল কলেজ বা বিদেশে পাঠিয়ে মুছে ফেলা যায়না।
তাই আপনি যখন বলছেন " রাষ্ট্রযন্ত্র তার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে ব্যবহার করে দেখালো বিরোধীদলীয় নেত্রীর হবি হলো পর্ণো ম্যাগাজিন ঘাঁটা, তাও আবার মেয়েদের ছবিওলা ম্যাগাজিন। " তখন একমত হতে পারিনা। এটাকে বিকারগ্রস্ততার চাইতে অপরিপক্কতাই বেশী মনে হয়েছে। খেয়াল করলে আম্লকি সরকারের আইনী দুরদর্শিতা ও 'ডিনায়াবিলিটি' কৌশলের দক্ষ ব্যাবহার চোখে পড়বে। যে ছবিগুলো আমরা মিডিয়া দেখেছি, সেগুলো ঘটেছে সামরিক বোর্ডের আহ্বানে। যদি ভবিষ্যতে বিয়েম্পি কখনো ক্ষমতায় এসে এসব ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চায়, তাহলে সেসব প্রশ্নের আঁচ সবার আগে বিয়েম্পির ঘরের দেবর সমরিক বাহিনীর ওপরেই আগে পড়বে। আর তখন দেখা যাবে চীনে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত যে মেজরের সংগ্রহ থেকে ঐসব শিক্ষামূলক পত্রপত্রিকা এসেছে আর যে কর্নেলের ফ্রিজ থেকে লাল-ওয়াইনের বোতলদুটো এসেছে, তারা সামরিক চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে হয় বসুন্ধরায় নাহলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (উদাহরনস্বরূপ) তে উচ্চপদে অধিষ্টিত হয়েছেন।
অফটপিকঃ
সাপের মতো হিসহিসিয়ে হাসেন, কুরুচিকর মন্তব্যে মেতে ওঠেন, অধুনা আলোচিত ইভটিজারদের মতো অঙ্গভঙ্গি করে বাড়তি মসলা যোগ করেন।
এখানে ইভটিজার শব্দটির ব্যাবহারটিও ভাবালো। দুনিয়ার কোন দেশের উঠতি বয়েসের ছেলেরা সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চায়না সেটা বলতে পারেন? আমাদের দেশেও তাই হয়, সমস্যা হল এখানে ছেলে শিশুরা নিজেদের মেয়ে শিশুদের চাইতে গুরুত্বপূর্ন ভাবতে শেখে, এবং সার্বিকভাবে একজন কিশোর একজন অপরিচিত কিশোরীকে কিভাবে সম্মানের সাথে দেখবে, সেটাই শিখতে পারেনা। ইভটিজিং এর যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তো এটাই। নাকি?
কিন্তু যে সমস্যার সমাধানে সামাজিক পরিবর্তন প্রয়োজন সেটা না করে, আমরা সেটাকে যৌন হয়রানির সাথে গুলিয়ে ফেললাম। আগেই যেটা বলেছি, যে মিডিয়া-প্রশাসন তার কৈশোর থেকেই মেয়েদের সম্মান দিতে শেখেনি, শিখেছে মেয়েদের মূলাধারা থেকে সরিয়ে রাখতে, তাদের 'সংরক্ষন' করেতে, তাদের ঢেকে রাখতে, তাদের দুর্বল হিসেবে দেখতে, তাদের কাছে এই পার্থক্য বুঝতে পারাটা কঠিন বইকি। যে অপরাধের বিচার পরিচালনার একটি নির্দিষ্ট আইন আছে (যদিও সেটা অতি পুরাতন ও খানাখন্দে ভরা), তাকে আমরা রিব্র্যান্ডিং করেছি। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপায় হিসাবে 'ক্রসফায়ারের' পরে এখন যুক্ত হয়েছে 'ইভটিজিং'। একটি অপরাধ দমন করতে গিয়ে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পক্রিয়াকে অস্বীকার করছি।
আমাদের দেশের কিশোরেরা যদি তার পছন্দের কিশোরীর প্রতি সম্মানজনক আচরন করতে না শেখে, তাহলে সেই দোষটা সেই কিশোরকেই দিয়ে দেয়াটাও কি একটা বিকারগ্রস্ততা নয়? যেখানে পৃথিবীর কোন কোন সংস্কৃতি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়াটির তাতপর্য বুঝতে পেরে নানা উপায়ে অপরিচিত কিশোর কিশোরীদের একে অন্যের সংস্পর্শে আসার সুযোগ করে দেয়, স্কুলে সঠিক যৌনশিক্ষা দিচ্ছে, মেয়েদের আত্মরক্ষা শেখাচ্ছে, সমাজকে বুঝিয়ে দিচ্ছে মেয়ের ভোগের বস্তু নয়, কৈশোরেই স্বাবলম্বন ও শৃঙ্খলা শেখাচ্ছে, সেখানে আমরা কিছু অপরিনত বয়েসের অপ্রমানিত অপরাধিকে 'ইভটিজার' লেবেল লাগিয়ে মিডিয়ার সামনে আনতে পেরেই খুশি।
আর যাদের এসব দুরপাল্লার কাজগুলো করার কথা ছিল, তাদের ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে, দু একজন অপরাধীর কাঁধে চেপে।
বিশাল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে মন্তব্যের বেশ কয়েকটা জায়গায় বুঝিনি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন।
যাই হোক, যতটুকু বুঝেছি তার জবাব দিই।
ঘুষের উপকরণ হিসেবে টাকা আর প্রমোদবালার মধ্যে কোনটা বেশী অমার্জনীয়, সেরকম কোন হাইরার্কির আলোচনা এখানে আসিনি। সেটা নির্ধারনের দায়ও নানান মাপকাঠি ছাড়া সম্ভব না। এখানে হয়তো "প্যারাডাইম চেঞ্জ" শব্দটা একটা ইম্প্রেশন দিচ্ছে যে আগের চেয়েও মারাত্মক, তবে এটার অর্থ সিম্পলি, উপকরণ বদল হিসেবে ধরুন।
এই পোস্ট এর মূল যে বক্তব্য, মানে রজনীতিতে যৌনতাসম্পৃক্ত বিষয়গুলোর ব্যাবহার নিয়ে আপনার যে অসন্তোষ, সেই বক্তব্যের সাথে শুরুর এই উদাহরনটির মাধ্যমে প্রকাশিত হাইরার্কি ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক নাকি সম্পূরক, সেটা বুঝতে পারছিনা।
আবারও প্রসঙ্গটা এসে গেলো, হাইরার্কি এখানে আলোচ্য না।
এটুকু একমত। সার্বিকভাবেই এই বিকারগ্রস্ততার সৃষ্টি, লেখাতেও বলা আছে সব অঙ্গনে এই বিকারগ্রস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কিন্তু এর সাথে আপনি পরের বাক্যে যখন বললেন,
তখন আমি বুঝতে পারছিনা কেন এ ধরনের একটি কাজকে আপনার বিকারগ্রস্ততা মনে হয়না।
অপরিপক্কতাও এর একটা এ্যাসপেক্ট হতে পারে। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ বিকারগ্রস্ত না হলে বাংলাদেশের মতো কনজারভেটিভ দেশে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারার কথা না ক্ষমতাশালীদের।
আপনি যদিও বলছেন অপরিপক্কতা, তবে আপনার এই ব্যাখ্যা মেনে নিলে তো পরিকল্পনাটাকে আমার পরিপক্কই মনে হচ্ছে।
অফটপিকে ইভটিজার বিষয়ে আপনার বক্তব্যে মোটামুটি একমত। হুমম ইভটিজার শব্দটার ব্যবহার এখানে আসলে করেছি একেবারে নোংরা লেভেলের ইভটিজারদের কথা মনে করে। যারা দিনের পর দিন প্রকাশ্যে অশ্লীল মন্তব্য আর অঙ্গভঙ্গির অত্যাচারে একটা মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে। প্রসঙ্গতঃ, এইসব অঙ্গভঙ্গি/মন্তব্য সাধারণ তরুণদের তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টাজনিত আচার/আচরণের সাথে একদমই তুলনীয় না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধন্যবাদ। আলোচনা চলুক।
আপনি যদিও বলছেন অপরিপক্কতা, তবে আপনার এই ব্যাখ্যা মেনে নিলে তো পরিকল্পনাটাকে আমার পরিপক্কই মনে হচ্ছে।
পরিপক্কতা আম্লকির কৌসূঁলির। অপরিপক্কতা আজ্ঞাবহ সমরিক অফিসারের।
যথেষ্ট পরিমাণ বিকারগ্রস্ত না হলে বাংলাদেশের মতো কনজারভেটিভ দেশে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারার কথা না ক্ষমতাশালীদের।
বাংলাদেশ রক্ষনশীল দেশ? নারে ভাই, একমত হতে পারলাম না। আমার দেখা বাংলাদেশী মানুষের মন বেশ খোলা। তারা নতুনকে বুকে টেনে নেয় অনেক সহজেই, অনেকসময় পরিনাম না ভেবেই। দেশের একটি ছোট দল রক্ষনশীল। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই ছোটদলটিরই কিছু মানুষ আমাদের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। সেটাও ঘটেছে আমাদের এই অতি-খোলা নিকট-অতীত-ভোলা মনের কারনেই।
এটা অবশ্য অতটা খারাপ লাগছেনা। ক্যান্টনমেন্ট দিয়ে বাসায় আসা-যাওয়া করতে হয় বলে হাঁটুলদের পঁচতে দেখলে এক ধরনের আনন্দ পাই
বাংলাদেশের মানুষের মন খোলা। আবার তারাই ক্ষেত্রবিশেষে সেরকম রক্ষণশীল। এর একটা উদাহরন হতে পারে, যৌনতা বিষয়ে আমাদের টিভিগুলোর পলিসি।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার মনে হয়েছে, ঐ ম্যাগাজিনগুলো রেড হেরিং হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন আলোচনাটা চলে গেছে ভিন্ন খাতে, আড়ালে চলে গেছে খালেদা জিয়ার বাসভবনের বিলাসিতার ব্যাপারটা। দরিদ্র দেশের রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ কী অশালীন বিলাসে জীবনযাপন করেন, এবং সেই বিলাসিতা চর্চা চালিয়ে যাবার জন্যে যে হরতাল ডেকে সারা দেশের মানুষের কষ্ট ডেকে আনতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না, এই ব্যাপারগুলো চাপা পড়ে গেছে তথাকথিত পর্ণোপত্রিকা রোপণের ঘটনায়। চরিত্রহননের প্রসঙ্গ আসছে বারবার, একটা পর্ণোপত্রিকা যত না চরিত্রহনন করে, তারচেয়ে বহুগুণে হনন করে এই বিলাসী জীবনধারা। এই বিলাসে ডুবে থাকে বলেই খালেদা জিয়ার কিছু যায় আসে না দেশের সমস্যা নিয়ে।
দেশের রাজনৈতিক নেতা আর আমলাদের জীবন থেকে এই বিলাসের সুযোগ সরিয়ে না নিলে সাধারণ মানুষের কষ্ট এরা নিজেরা বুঝবেও না, সেই কষ্টের উপশমও তাদের হাত দিয়ে আসবে না।
সহমত।
রেড হেরিং তো না, মিসফায়ার আর কি।
সম্ভবত সাবোটাজ নাটকের প্লটাররাও এসব বিলাসিতায় এতটাই অভ্যস্ত যে এটুকু দেখেই যে জনগন ভাববে নেতা-নেত্রীরা কিরকম অসভ্য মাত্রার বিলাসিতা করেন, সেটা তারা ধারনাও করতে পারেননি। পারলে, বিলাসিতাটাই ফোকাস করতেন। খালেদা তার দুই পুত্রধনকে নিয়ে গত টার্মে যে পরিমাণ লুটতরাজ করেছে, তাতে বিলাসিতা ফোকাস করতে চাইলে ঐ বাড়িতেই আরো অনেককিছুই দেখানো সম্ভব ছিলো বলে আমি মনে করি।
এভাবে যারা চিন্তা করেন তারা আসলে এই সাবোটাজের অডিয়েন্স না। অডিয়েন্সদের কথা ভাবলে আবার পুরোপুরি মিসফায়ারও হয়তো বলা যায়না।
আমার মতে আইনের শাসন যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা না পেলে কিছুই হবেনা।
কথা হলো, এত ডিসপ্লেরও তো দরকার নাই? কেন সরাসরি বিচার হচ্ছেনা? এত লুটপাটের পর তারেক আর আরাফাত কেন পার পেয়ে যাবে? জয় যাতে পরের টার্মে পার পায় সেজন্য? অন্য নেতানেত্রীরা বা তাদের ছেলেমেয়েরাই বা কেন পার পেয়ে যায়? রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পর্যন্ত পেয়ে যায় অনায়াসে। আইন নিয়ে এইসব হোলিখেলা যতদিন চলবে, কিছুই হবেনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার ভারকেন্দ্রটা স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হলাম। বলতে চাইছেন কি যে এর আগে কোনো রাজনৈতিক নেতার বাসা থেকে এরম কঠিন বা কোমল কোন সম্ভার উদ্ধার করা হয় নি?
চটজলদি মনে পড়ছে জয়নাল হাজারীর বাসার কাহিনি, মওদুদের মামলাভক্ষণ (তক্তাচিপা সর্কারের আমলে), নাজমুল হুদারও বোধয়! কিন্তু, নারী নেত্রী, বিশেষত হাসিনা-খালেদা ডাইনামিক ডুয়োর কারোর বাসা থেকে এই প্রথম। চিন্তানোর কিছু নাই, দিন পাল্টালে বাকি নামটাও পাল্টাবে। মজার ব্যাপার, কোন কট্টর দলীয় সমর্থক কিন্তু এই ঘটনায় মন বা দল বদলান নি। সমস্যা হয়ে যাবে অন্য দলের সমর্থকদের ব্যাপারে, মানে এই ঘটনায় ছ্যা ছ্যা যাঁরা কচ্ছেন, কেউ বিএনপি সমর্থক নন, অস্বীকার যাঁরা কচ্ছেন বা অপছন্দ, কেউ আওয়ামীপন্থী (কট্টর শব্দটা বাহুল্য, নয়?) নন।
কিন্তু, এতো সম্পদের পাহাড় দেখে কেউ একটুও লজ্জা পেলেন না?
একটুও খারাপ লাগলো না যখন নেতা নিজেকে বললেন 'বাস্তুহারা', আর ঝামাবালুশিরিষ ঘষে দিলেন রাস্তার বাসিন্দাদের মুখে?
আমরা কি অন্তত বাইরে মানুষ হতেও ভুলে গেছি আজকাল?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ভারকেন্দ্রটা এই প্রশ্নে। কেন সাবোটাজের বিষয়বস্তু হিসেবে সন্ত্রাস/ সম্পদের পাহাড়/ দালালী -- এসব না এসে যৌনতা/ধর্মহীনতা(মদের উদ্দেশ্যটা হয়তো এটাই) আসলো?
ভাবনাটা হলো, তবে কি প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে সন্ত্রাস/ সম্পদের পাহাড়/ দালালী এসব বিষয়ে রাজনীতিকরা এত বেশী উলঙ্গ হয়ে গেছেন যে বাড়তি কিছুর প্রদর্শনও আর বড় কোন ইমপ্যাক্ট ফেলবেনা? এখানেই স্যাচুরেশনের প্রসঙ্গটা এসেছে। মেনে নিচ্ছি প্রথম গল্পের "স্যাচুরেশন" আড় এই "স্যাচুরেশন" পুরোপুরি এ্যানালজিক না।
খালেদা জিয়ার এভিকশনের পুরো ব্যাপারটা নিয়ে পোস্ট হলে এই প্রসঙ্গগুলো আসতো। এখানে মূলত কেন সরকার সাবোটাজের জন্য নতুন টপিক গ্রহন করলো সেটা নিয়ে ভাবনা শেয়ার করেছি।
তবে প্রসঙ্গ যখন আসলো, তখন বলি, ১৭০ কাঠার ওপর সেনানিবাস এলাকায় বাড়ি -- এই একটা তথ্যই কি যথেষ্ট অশ্লীল না? টিভিতে যা দেখেছি তাতে তাদের সম্পদের পাহাড়ের খুব সামান্যই আমরা দেখেছি। যথাযথভাবে আদালতে উঠিয়ে শাস্তি না দিতে পারলে এই সম্পদের পাহাড় সম্পর্কে কোন ধারনাই আমরা পাবোনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হুমম, নতুন করে চিন্তা ভাবনা করার খোরাক দিলেন। তবে যে জিনিসগুলো নিয়ে লাফালাফি হচ্ছে সেগুলোর ব্যক্তিগত প্রয়োজন তার থাকতেই পারে, তবে সেটাকে নিয়ে টানা হেচড়া করাটা বর্তমান সরকারের অদূরদর্শীতার পরিচয় ছাড়া আর কিছু নয়। পরের বার দেখা যাবে কোন মন্ত্রী-মহোদয়ের সাথে ইয়ের ভিডিও বের হবে নেত্রীর কম্পিউটার থেকে , কি করবো আমরা? দেশতো উনাদের একজনের পৈত্রিক সম্পত্তি, অন্যজনের স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিবেচনা করেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
একমত।
যে প্রশ্নটা আমাকে খোঁচাচ্ছে ইদানিং, খালেদা জিয়ার ছেলেদের বিচার হচ্ছে না কেন?
==========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হাতের পাঁচ হয়তো।
বিচার তো দূরের কথা বস, লণ্ডনে বসে মার্সিডিজ গাড়ি হাকায় ঘুরতেছেন তারেক জিয়া, আর তার হাগা মুতা সাফ করার এবং পাছা মুছানোর জন্যে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক্সের একজন আসোসিয়েট প্রফেসর আছেন, যিনি চামে চিকনে মিডিয়াতে গরমা গরম চাপাও মারেন। [ইনারে চিনি কারণ ইনি আমাদের মেডিকেলের, এবং তখন থেকেই ড্যাবের কর্মী, আগে অবস্থা ছিল বিষ নাই তার কুলোপোনা চক্কর, পরে কিভাবে যেন তার শিং গজাইছে] তবে পিপিদার কথাও হয়ত ঠিক, হয়ত হাতের পাঁচ, অথবা হাসিনা ভয় পায়, তারেকের ইয়েতে বাঁশ দেওয়া মাত্র খালেদা আবার জয়ের মুসলমানি করায় দিবে। হাজার হইলেও পারিবারিক ব্যবসা, সেখানে একে অপরের ক্ষতি কেমনে করে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ তাহসিন ভাই, ঐতিহাসিক সত্যিটা বলে ফেলেছেন। যেখানে স্বার্থের প্রশ্ন, সেখানে কিন্তু রসুনের 'ইয়ে; সব এক জায়গায়। অনেক দেখেছি।
রাতঃস্মরণীয়
হুমম.......জটিল।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যৌনবিকারগ্রস্ততা
এইটা শুধু রাজনীতির সমস্যা না এখন। আমার ধারনা এই যৌনবিকারগ্রস্ত স্যাডিজমের ব্যাধি সারা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। গতবছরের ফেব্রুয়ারীতে ঘটে যাওয়া সেই দানবিক ট্র্যাজেডির পর অনেক সাধারন লোককে, - মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত - মানুষ পর্যন্তকে হত্যার ঘটনার কথা বাদ দিয়ে অন্য একটি অপরাধের ঘটনাকে নিয়ে বেশী উদ্দীপ্ত আলোচনায় মত্ত হতে দেখেছি। এই আলোচনার সময়, বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না (কারন আমারই বিশ্বাস হয় না!) -- নিন্দাসূচক নয়, ঘৃণার নয়, বিবমিষার নয়, আতঙ্কের নয় - বরং তাদের চোখে মুখে একরকম জান্তব ভাইকেরিয়াস স্যাডিস্টিক প্লেজারের ছাপ জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠতে দেখেছি - বলতে বলতে তারা নিজেরাও যেন ঐ অপরাধে অংশগ্রহণের আনন্দটা নিরাপদে 'উপভোগ' করছে !! সেইসাথে কিছুটা অপূর্ণতারও ছাপও, যেন - কেন এই ভাইকারিয়াস আনন্দটা তাদের ক্ষেত্রে বাস্তবে আসলো না !!! এক-আধজন নয়, বেশ অনেককে এমন দেখেছি। একটা উদাহরণ দেই -
রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি। এমন সময় শুনলাম দোকানদার সহ কয়েকজন সমশ্রেণীর লোক কথা বলছে ঐ ঘটনার পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের পরিণতি বিষয়ে। একজন বলে উঠল -
এখন একবার এই মন্তব্যটা ঐ অকল্পনীয় হৃদয়বিদারক পৈশাচিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে চিন্তা করে দেখুন তো ?! আপনার কি এদেরকে ঐ অপরাধের প্রত্যক্ষ অপরাধীদের চেয়েও আরো বড় পিশাচ মনে হচ্ছে না? অতবড় প্রলয়ঙ্করী একটা ট্রাজেডী ঘটে গেছে, এত এত মানুষের ভয়াবহ মৃত্যু, সেসব তাদের চেতনায় একটুও আঁচড় কাটছে না - বরং তারা মজা নিচ্ছে তারই সহযোগী আরেকটা বীভৎস অপরাধ থেকে !! ভাবখানা, আহা আমি কেন এই সুযোগটা পেলাম না !
আরেকবার, আমারই এক ঘনিষ্ট পরিচিত ভদ্রলোক। উচ্চশিক্ষিত এবং একটা সরকারী ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার। দুই সন্তান বিদেশে। একজন এখানে ভালো চাকরী করে। স্ত্রী বর্তমান। ভদ্রলোকের বয়স ৬৪। একই প্রসঙ্গে তার সাথেও আলাপ হচ্ছিল। ইনি ঐ ঘটনার খুব নিন্দা করলেন। কিন্তু, ঐ অন্য অপরাধটির প্রসঙ্গ আসতেই (উনিই তুললেন), হঠাৎ উনার চেহারা বদলে গেল। চোখমুখ কোন এক অনাস্বাদিত-পূর্ব নিষিদ্ধ গোপন আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো। প্রায় তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে, অচেতনেই হাত দিয়ে ঐ বহুল-পরিচিত বিশেষ অঙ্গ-ভঙ্গিটা করে উত্তেজিত, প্রায়-অবরূদ্ধ শীৎকৃত স্বরে বলে উঠলেন, 'সবগুলারে .....দিসে'। ডট-ডট -এর জায়গায় উনি কি বলেছিলেন সেটা উচ্চারন করার ক্ষমতা আমার নাই। মনে হচ্ছিল, ঐ কাজটা খুব বীরত্বের হয়েছে, মনে মনে উনিও এই মুহুর্তে ওটা করছেন এবং খুব এনজয় করছেন এবং বাস্তবে সুযোগ না পাওয়ার জন্য তার আফসোস হচ্ছে। না, ইনি কিন্তু একজন পার্ফেক্ট জেন্টেলম্যান ! মুরুব্বী। সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। আমি আর কি বলবো - প্রায় অজ্ঞান হওয়ার মত অবস্থা। এই ধরনের ভাষা বা অঙ্গভঙ্গি আমি যে কোনদিন শুনিনি বা দেখিনি তা অবশ্যই নয়। স্কুলের হোস্টেল জীবনে অপরিনত বন্ধুবান্ধবদের মুখে এর চেয়েও অনেক বেশী শুনেছি - কিংবা পরবর্তীকালেও। আর রাস্তাঘাটেও এখন এগুলি হরহামেশাই দেখা যায়/শোনা যায়। কিন্তু ঐ-রকম একটা ভয়ঙ্করতম হৃদয়বিদারক বিয়োগান্তক ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন প্রতিক্রিয়া ?!!! যখন কিনা তার গভীর শোকে মুহ্যমান, অপরাধীর প্রতি সর্বাত্নক ঘৃণায় জর্জরিত, এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্খায় গর্জানোর কথা !!!
তো মাত্র দুইটা উদাহরন দিলাম। কিন্তু এই রকম প্রতিক্রিয়া আরো দেখেছি - শিক্ষিত/অশিক্ষিত উভয় মহলেই। সেসবের প্রকাশ কখনো আরো পলিশড ছিল, কখনো আরো নগ্ন। কিন্তু মূলত সেই একই ব্যাপার।
আমার কেন যেন মনে হয়, আমরা বোধহয় এখন জাতিগতভাবেই স্যাডিস্ট হয়ে গেছি। ইন্টারনেটে একান্ত ব্যক্তিগত প্রাইভেট দৃশ্যের ছড়াছড়িগুলিও এর একটা লক্ষন। এসবের পেছনে বোধহয় একরকম 'স্যাডিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার'ও কাজ করে (নাকি কথাটা 'স্যাডিস্টিক ন্যাশনাল ডিজঅর্ডার' হবে ?)।
শুধু রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে বোধহয় লাভ নেই। তারা যা করছেন (ধরা যাক ঐ পর্ন-ম্যাগাজিনগুলির কথাই), এই রকম উর্বর ক্ষেত্র পাচ্ছেন বলেই করছেন। এইরকম প্রস্তুত মৌন আগ্রহের ক্ষেত্র পার্সিভ না করলে তারা মনে হয় না জাতীয় গণমাধ্যমে নাঙ্গা হতে এত ত্বরিত হতেন।
খালেদার বাথরুমে ২ বোতল অ্যালহোহলযুক্ত পানীয় পাওয়াকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে কেন? খালেদা কি এ জাতীয় পানীয় পান করেন না?
তার বেডসাইড ড্রয়ারে পাওয়া ম্যাগাজিনকেই বা স্যাবোটাজ বলে মনে হচ্ছে কেন? ওই ম্যাগাজিনে দোষেরই বা কি আছে?
খালেদাকে কি ফরজ-সুন্নত-মুস্তাহাবপালনকারী ধার্মিক মনে হয়, যিনি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় থেকে ৫০০ হাত দূরত্ব বজায় রাখেন? দিন দুনিয়া সম্পর্কে এতোই উদাসীন যে, দুয়েকটা ছবির পত্রিকা বা ম্যাগাজিনও নাড়াচাড়া করেন না?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথমবার ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর পর একটা পোস্টারে দেখেছিলাম খালেদা জিয়া রেড ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে বৈদেশীদের সাথে টোস্ট করছেন! তো তাঁর ব্যক্তিগত শীতকযন্ত্রে রেড ওয়াইনের বোতল পেয়ে এতো রাস্ট্র হওয়ার কী আছে বুঝলাম না! রেড ওয়াইনের সাথে খালেদা জিয়ার সম্পর্ক তো সেই ৯৬ সাল থেকেই পাবলিক জানে।
আর এইটা খারাপ কিছু না। লাল আঙুরের জ্যুস। খেলে চেহারায় দ্যুতি আসে।
দুষ্টু ম্যগাজিন রাখা নিয়েও সাংবাদিকদের এতো হাদুমপাদুম করার কোনো কারণ দেখছি না। সাবিতা ভাবীর সাইটে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভিজিট হয়। এগুলা কারা করে? ভিন গ্রহ থেকে এলিয়েন এসে করে দিয়ে যায়, নাকি বাংলাদেশের (ইন্টারনেট এক্সেসে থাকা) আপামর জনগণই করে! যাদের মধ্যে সাংবাদিকরাও পড়েন পরিসংখ্যানগতভাবে। তো খালেদা জিয়ার বিলাস বহুল, প্রাসাদপ্রতীম ঘরে এইসব ম্যাগাজিন পাওয়া গেলে তাদের এতো উদগ্রীব হওয়ার কী আছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সহমত।
বাংলাদেশের মানুষ খেতে পায় না ঠিকমতো, শীতের প্রকোপ ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেই যেখানে টপাটপ মানুষ মরতে থাকে, যেখানে কর্মসংস্থান, উচ্চ শিক্ষার যথেষ্ট সংকট রয়েছে, সেই দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী, যিনি কিনা নিজেকে দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী বলে দাবি করেন— তাঁর বাড়িতে ৬১ জন কর্মচারী (তাঁদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে 'ভৃত্য' বললাম না) রাখার যৌক্তিকতা কোথায়?
দামী প্রসাধণী, প্রসাধণ কক্ষ, হাগনকুঠি, শয়ন কক্ষ— বাংলাদেশের মতো দেশের একজন 'জনগণ প্রেমী' প্রধানমন্ত্রীর সাথে কীভাবে যায়?
প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকার পরপরই যে দামী ৭-৮ টি গাড়ির কথা জানলাম আমরা, সেই সব গাড়ি এমন দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী কোন যাদুবলে যোগাড় করেন, লালন-পালন করেন?
এইসব করার জন্য টাকা কি বলদের গোয়া দিয়ে আসে? নাকি গায়েবী টাকা সম্বলিত কলসি ভেসে উঠে অমাবস্যা-পূণ্যিমাতে খালেদা জিয়ার মঈনূল রোডের বাড়ির পরিত্যক্ত সুইমিং পুল থেকে?
এইসব নিয়ে কথা বলে না আমাদের সাংবাদিকেরা। তারা লেগে পড়ে ফ্রিজে কয়টা ওয়াইনের বোতল রাখলো খালেদা জিয়া, কোন ড্রয়ারে, কোন পজিশনে কোন পর্ণো ম্যাগাজিনটা রাখলো! শালা পার্ভার্টের দল।
খালেদা জিয়ার তো বিচার হওয়া উচিৎ। তাঁর ছেলেদেরও। দুই ছেলের পাছায় বাঁশ দিয়ে হাজী ক্যাম্পের সামনে দাঁড় করায়ে রাখা উচিৎ। যাতে যেসব চুনোপুঁটি দেশের গোয়া মারার তালে আছে তারা সাবধান হয়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যথার্থই বলেছেন, অনেকেরই পাছায় বাঁশ ডিউ হয়ে আছে। আশু বাস্তবায়ন কাম্য।
রাতঃস্মরণীয়
চরমভাবে সহমত !
মাঝে মাঝে আমার মনে হয়ে, জাতি হিসেবে আমরা বোধ হয় "খালেদা-হাসিনা"'র মতো নেতৃত্বকেই ডিজার্ভ করি।তাই স্বাধীনতার এতো বছর পরেও তাজউদ্দিন আর মতিয়া চৌধুরী ছাড়া শ্রদ্ধা পাবার আর কোন মেইনস্ট্রিম রাজনীতিবিদ কি এদেশে তৈরি হয়েছে!
যদি ধরে নেই, বল্গ মোটামুটিভাবে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের চিন্তাধারার প্রতিফলন।সেই প্রতিফলনে আমার কি দেখি আসলে!
খালেদা'র বাড়ির রাজনীতি নিয়ে কতটুকু আলোচনা হয়েছে আর তার বাসার তথা কথিত পর্ণোপত্রিকা নিয়ে কতশত পোষ্ট এসেছে।সুড়সুড়ি দেয়া আলোচনার আমাদের কখনোই আগ্রহের কমতি নেই।
খালেদা জিয়ার ঐ বাড়ি তাও নিজের টাকায় তৈরি হতো তবু সে বাড়িতে অবস্থান অনৈতিক।সামরিক ছাউনির বেষ্টনীর ভিতরে থেকে রাজনীতি করার অধিকার কারুর নেই; থাকা উচিতও নয়।
খালেদা জিয়ার প্রাসাদোপম বাড়ি, বিশ্রীরকমভাবে দৃষ্টিকটু বিলাসিতা এইসব দেখে কিংবা দেখিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি করা যেত আমাদের রাজনীতিক'রা জনগন থেকে কত আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করে।কিন্তু সরকার সেটা করলো না, ইচ্ছাকৃতভাবেই কি! (নিজেদের থলের বিড়াল বের হয়ে আসতে পারে, এইটা ভেবে নয় কি?)
পরিবর্তে দেখানো হলো পর্ণপত্রিকা! আওয়ামি সমর্থকরা কুদসিত বিকৃতি হাসি হেসে উঠলো; "দিলাম এক ঘা"। আর খালেদা'র সমর্থক'রা এমনি অপমানে প্রতিবাদে দাঁতে দাঁত চেপে হরতালে সমর্থন দিলো(প্রথম আলো'র জরিপ হরতাল সমর্থন করে এমন লোকের সংখ্যা দেখে বেশ অবাক হয়েছি!)
মাঝখান থেকে "রাজনীতিকদের বিলাসী জীবন-যাপন" ," সেনানিবাসে থেকে রাজনীতির অনৈতিক চর্চা" - সব মুল বিষয় আড়ালো চলে গেলো।
দ্বায়ী কি শুধু রাজনীতিক'রা আমরা কি কম দায়ী!
আপনি পরিচিতি বল্গার।সেইজন্য বোধহয় বি,এন,পি'র চামচা এই জাতীয় ট্যাগ আপনার গায়ে লাগে নাই।তবে অপরিচিত কেউ হলে এতক্ষনে লেগে যেত।
আর হ্যাঁ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম আলোর জরিপের উপর কত ভরসা করা যায়? রাউটার অন অফ করে এই জরিপে ইচ্ছা মত ভোট দিতে পারি।
সামনেও কি খালেদার চামচারা খালেদার বাড়ির দাবিতে দাতে দাত চেপে হরতালে সমর্থন দিবে? দেশ যাহাননামে যাক খালেদাকে কেনটনমেনটে ২০০ কাঠার বাড়ি দিতে হবে দিয়ে দাও।
আমাদের দেশের সাম্প্রতিক "যৌনবিকারগ্রস্থতা" নিয়ে আপনার কথাগুলির সাথে মোটামুটি একমত। এটার উত্থানের পেছনে শুধু স্যাচুরেশনই নয়, আরো কিছু ব্যাপারও ভূমিকা রাখছে বলে মনে হয়, সেটা নিয়ে একটু বলি।
সাধারণ জনমনে এই "যৌনবিকারগ্রস্থতা"র উত্থান যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটছে, তা নয়। বাংলাদেশের মতই আরেকটা মুসলিমপ্রধান, কিন্তু মূলত রক্ষণশীল, আর গত ১০/১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়া দেশের কথা বলছি। যারা আন্তর্জাতিক খবরাখবর রাখেন তারা হয়ত খেয়াল করেছেন, ইন্দোনেশিয়া গত ২/১ বছরে বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে, যৌনতা বিষয়ক কিছু ঘটনা নিয়ে। সেখানকার এক বিখ্যাত পপ গায়কের আর অভিনেত্রীর যৌন ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পর তাদেরকে আদালতে যেতে হয় (সেখানকার এন্টি-পর্নোগ্রাফি ল'ও মাত্র ২০০৮ সালের)। তার কয়েকমাস পরেই, ইন্দোনেশিয়ার খোদ পার্লামেন্ট ভবনেই টিভিতে ১৫ মিনিটের জন্য ভেসে ওঠে পর্নগ্রাফিক ছবি, সাংবাদিক আর স্টাফদের সামনেই। অনেকেই ধারণা করেন এই স্যাবোটাজের সাথে ইন্দোনেশিয় সরকারের সাম্প্রতিক কঠোর এন্টি-পর্নোগ্রাফি আইনের সম্পর্ক রয়েছে।
এইসব ঘটনার গুরুত্বের থেকেও যে জিনিসটা লক্ষ্য করার মত তা হল, এই সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়ে ইন্দোনেশিয় জনগণের প্রবল উৎসাহ আর আগ্রহ, যেটা হয়ত প্রায় অবসেশনের পর্যায়ে পড়ে। টাইম ম্যাগাজিনে এ সংক্রান্ত একটা বিশ্লেষণও চোখে পড়েছে।
আমাদের দেশের সাথে এই ঘটনা প্রবাহের মিল খুঁজলে খুব সহজেই মেলানো সম্ভব। এ থেকে মনে হয়, বাংলাদেশ একা এই "সমস্যা"র মুখে নয়, আরো অনেকখানেই হয়ত একই ব্যাপার ঘটছে। তাই যাঁরা বাংলাদেশের এই ব্যাপারে গবেষণা করবেন বা লেখালেখি করবেন, বা করণীয়-কী সেটা ঠিক করবেন, তাদেরকে এটা বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাটাও জরুরী।
এই ব্যাপারটা প্রমাণ করলো নোংরামি ও পশ্চাদপদতায় আমাদের রাজনীতি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন