[লেখাটা অনেক বড় হবার সম্ভাবনা আছে, মনের ভেতর অনেক এলোমেলো কথা জমে আছে; ঠিকভাবে উগড়ে দিতে পারলে শান্তি পেতাম]
*******************************************
১.
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার ব্যাখ্যায় দেশের মানুষ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বলা যায়। এখানে আমি আমার ব্যাখ্যায় শব্দটার উপর জোর দিতে চাই যেজন্য সেটা ব্যাখ্যা করছি নীচে।
কারণ, আমি এই দুইভাগে বিভক্তদের সহজ একটি সরলরেখার দুইপাশে ফেলতে রাজী নই, অর্থ্যাৎ, সেনাবাহিনী নির্মম অত্যাচার করছে, নিরপরাধ মানুষদের উপর অত্যাচার করছে এই সরকারের আর গদিতে থাকার অধিকার নেই(১) এবং সেনাবাহিনী যা করছে ঠিকই করছে, পিটাইয়া লাশ বানাইয়া ফালানো উচিত হারামজাদাদের (২) -- এমন সরল বিভাজনে ভাগ করতে রাজী নই।
বস্তুত, উপরে যে দুই ধরনের চিন্তার কথা বললাম, সেরকম চিন্তা যারা ধারন করেন, তাদেরকে আমি প্রথমে উল্লিখিত "আমার ব্যাখ্যা"য় একই দলে ফেলব।
কেন?
কারণ, এক অর্থে এরা এখন শান্তিতেই আছে। কেননা, তারা নিজেদের কাছে পুরো পরিস্থিতির ব্যাপারে একটা সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। অনেক সময় চিন্তার গভীরতা না থাকাও সুখকর।
আমার ব্যাখ্যায়, আরেকটা দল হলো যারা এখন নিরূপায় বোধ করছেন, অবশ্যই যতটা না নিজের জন্য, তারচেয়ে বেশী দেশটার জন্য। কি হবে? কি সমাধান? কেন এমন হলো? কি হবে এরপরে? নানান প্রশ্নে জর্জরিত এরা এখনও হ্তবাক, এখনও বুঝে উঠতে পারছেনা অনাগত ভবিষ্যতে কি হবে!
২.
এটা স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও বুঝবে যে দেশে যখন এরকম একটা ক্রাইসিস তৈরী হয়, তখন তার দায়টা বড়সড়ভাবেই পড়ে সরকারের উপর। এবারকার পরিস্থিতিতেও, যতটা ক্ষতি হয়েছে, যতটা অমানবিকতা দেখা গেছে -- তাতে সরকারের হাতই কলুষিত হলো। এমনিতেই এই সরকার জনগন নির্বাচিত না, তাদের উড়ে এসে জুড়ে বসাটাকে মানুষ মেনে নিয়েছে দেশের একটা ভয়াবহ ক্রান্তিলগ্নে, যেটা মেনে না নিলে হয়ত জানুয়ারীর ২২ তারিখ থেকেই দেশের অবস্থা অগাস্টের ২২-২৩এর মতো থাকত প্রতিদিন।
এখন ক্রান্তিকালে হঠাৎই আবির্ভুত সেই সরকার যদি বাড়াবাড়ি রকমের অধিকার ফলায়, তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্য হয় কিভাবে?
৩.
১১ই জানুয়ারী ক্ষমতা গ্রহনের পর সরকার যখন জরুরী অবস্থা জারী করল, সেটা ছিল বাড়াবাড়ি রকমের অধিকার ফলানোর প্রথম পদক্ষেপ। যাই হোক, আমরা কিছু বলিনি।
তারপর কিছুদিন সংবাদপত্র, টিভিঅনুষ্ঠানের উপর চলল মুখ চেপে ধরার প্রচেষ্টা -- সরলদাগে বললে সরকারের কোন সমালোচনা করা যাবেনা, যেটা ছিল ভয়াবহ রকমের বাড়াবাড়ি। আমরা তাও কিছু বলিনি।
তারপর যখন তারা ঘোষনা দিলেন যে ৩ মাস নয়, বরং পুরো সিস্টেমকে শুদ্ধ করে তারপর তারা নির্বাচন দেবেন, আমরা তখনও কিছু বলিনি, যদিও সেটা ছিলঠতভম্ব হবার মতো বাড়াবাড়ি। কিন্তু কেন বলিনি, কারণ ঐ সুষ্ঠু নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এর আগে ৪ মাস আমরা তান্ডব দেখেছি, বদমায়েশী দেখেছি, প্রশাসনের জোচ্চুরী দেখেছি। আমরা চেয়েছিলাম একটা নির্বাচন হোক। তারপর ধীরেধীরে দেখা গেল রিভার্স ইফেক্ট, অর্থাৎ, সাধারন মানুষ এদের কাজেকর্মে আনন্দিত হতে লাগল। দূর্নীতিবাজদের ধরা, আইনের আওতায় এনে কয়েকজন রাজনৈতিক দস্যুর শাস্তি হওয়া এসবই ছিল সেই রিভার্স ইফেক্টের ফল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই সরকারের একটা দূর্বলতা প্রকাশ পেতে লাগল যেটা হলো যে এরা দেশ চালাতে পারদর্শী না। আইনশৃঙ্খলা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জিনিসপাতির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে লাগল। মানুষ ভাবতে শুরু করল, "মানুষ ভাবে এক হয় আরেক", কিন্তু এখানে তারা যা ভাবল তাই হতে লাগল।
নানান জোচ্চোর রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার চলতে লাগল, এবং এরই মধ্যে দূর্ণীতির দায়ে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন, যেটা সরকারকে ওল্টে সবচেয়ে বড় নাড়া দিয়ে দিল। তাদের ব্যাপারে প্রশ্ন আসতে লাগল, সমালোচনা অনেক বেড়ে গেল।
৪.
গত ২১ তারিখে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যের সাথে যখন ঢাবির কয়েকজন ছাত্রের সংঘর্ষ হলো, তারপর সেটা ভয়াবহ ছাত্র আন্দোলনে মোড় নিল, তখন কিন্তু সরকার ভাল পদক্ষেপ নিয়েছিল।
২১ তারিখেই সিদ্বান্ত দেয়া হলোনা কেন বলে যারা সরকারকে দোষারোপ করবেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলা যায়, বাংলাদেশে এরকম আন্দোলনে রূপ নেয়া সমস্যাগুলোর সমাধান সাধারণত আশ্বাস দিয়ে বা সপ্তাখানেকপর ভিসির পদত্যাগের মধ্য দিয়েই শেষ হয়, কাজের কাজ কিছু হয়না। সেই তুলনায় এরা খুব দ্রুতই সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আর সেটা কার্যকর করেছিলেন।
কিন্তু তারপরও আন্দোলন চলল, পরদিন ২২ শে অগাস্ট সারাদেশে অনেক জায়গায় ভাংচুর, গাড়ীপোড়ানোর উৎসব হলো। এখানে যেটা সত্য, যা অনেকে মানতে চাইছেননা, তা হলো, ঢাবি থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবীতে করা আন্দোলনটা ঢাবিতে একধাপ শেষ হলেও সে আগুনটাকে ছাত্রনেতারা ব্যবহার করল তাদের প্রফেশনাল যোগ্যতা দিয়েই, এবং অবশ্যই বিশাল পরিমাণ কালোটাকার বিনিময়ে। এ অবস্থায় এদেশের জনগন যে আবারও প্রতারণার শিকার হতে চলছিল, সেটা অনেকে টের পেলেও অনেকে টের পায়নি হয়ত। কিন্তু সেখানে কি ছিল উত্তরণের উপায়, সেটা অবশ্যই বিতর্কের দাবী রাখে।
তার চেয়েও বড় পর্যবেক্ষণের দাবী যেটা রাখে সেটা হলো, সরকার কি করতে পারত সেই পরিস্থিতিতে। খুব দ্রুত ফখরুদ্দিন সরকারের হাতে যেটা করার ছিল তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সার্কুলার জারী করে দেয়া যে সবখান থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে। আরেকটা যেটা করতে পারত তা হলো, জরুরী অবস্থা অবসানের ঘোষনা দেয়া। সরকার হয়ত তাদের নীতিগত কারণেই জরুরী অবস্থা অবসানের ঘোষনা দিতে চায়না, তবে এক্ষেত্রে আগুন নেভানোর জন্য হলেও একটা টাইমলাইন তাদের দেয়া উচিত ছিল। সত্যি বলতে তাদের মাস্টারপ্ল্যানই হয়ত ছিল খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরুরী অবস্থার অবসান ঘোষনা দেয়া। কিন্তু সেটা ফখরুদ্দিন সাহেব করতে পারেননি সম্ভবত মাথামোটা কিছি জলপাইখোরের কারণে। জলপাইখোররা ম্যানুয়াল দেখে দেখে জলপাই ক্রাশ করে বিচি ফেলে দিয়ে তারপর টকমাংসটুকু খায়, তারা জানেনা এটা খাওয়ার আরো অনেক পদ্ধতি আছে, এবং আরো কষ্টের কথা হলো সেটা যে জানেনা সে নিয়ে তাদের কোন দুঃখও নেই, বরং তারা তাতে খানিকটা অজ্ঞতার গর্ব করে। ব্লাডি সিভিলিয়ান, যারা তাদের চেয়ে এব্যাপারগুলো ভাল জানে, তাদের দিকে তাকিয়ে ভাবে 'এত জেনে কি করবি, জানিস বা না জানিস, তোকে একই পরিমাণ ডান্ডার বাড়ি দিয়েই শুইয়ে ফেলানো যাবে' এসব হ্যানত্যান আরকি।
৫.
এসব না করে সরকার ২২ তারিখে সরকার হঠাৎ করে যে কার্ফ্যু ঘোষনা দিল তা ছিল বাড়াবাড়ি রকমের অধিকার ফলানোর আপাত দৃষ্টিতে শেষ পদক্ষেপ।
এই কার্ফ্যুর মাধ্যমে তারা তাদেরকে প্রায় ১/১১ এর পূর্বের শাসকগোষ্ঠীর পর্যায়ে নিয়ে এল। প্রফেসর আনোয়ারকে এ্যারেস্ট করা আমি সমর্থন করতাম, যদি না তারা আজিজ মার্কেটে ছেলেদের উপর বিনাবিচারে নির্যাতন করত। গ্রেফতার করা ঠিক আছে, সে ছাত্রদেরকেই হোক, সাধারণ জনগনকেই হোক আর প্রফেসরকে হোক।
ঢাবি'র স্থাপনার অনেক ক্ষয়ক্ষতি ছাত্ররা মাথাগরম করে করে থাকে, তারাও আসলে মাঝেমাঝে জলপাই খায়, আহারকৃত দোষ তাদেরও হয়, নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম ভাংলে কার ক্ষতি সেটা তারা কেয়ার করেনা। এখানে আরেকটা প্রসঙ্গ এসে যায়, যদি এই ভাঙা জিম মেরামত করার জন্য তাদেরই বেতন বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণ নেয়া হতো তাহলে যে তারা এসব ভাংচুরের ব্যাপারে অনেক সাবধান থাকত সেটাও বলাবাহুল্য। কাজেই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আন্দোলন করার নামে সাধারণ জনগনকে মাঝেমাঝে যে তারা পরাধীনবোধ করায়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাসার সামনে উন্মত্ত ভাংচুরের ভয়দেখানো যে শিক্ষকদের নিরপরাধ পরিবারকে ভয়াবহতার মুখে ফেলে দেয় সেটা তাদের বোঝানো দরকার, সেজন্য এরকম উচ্ছৃঙখল ভাংচুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, সেটা ছাত্রদেরকেই হোক, সাধারণ জনগনকেই হোক আর প্রফেসরকে হোক। কিন্তু যখন ছাত্রদের দৃষ্টান্ত দেয়া হয় বিচারের মুখোমুখি না করে করে এলোপাথাড়ি পেটানোর মাধ্যমে, রাজনীতিবিদ কিছু ছাত্র হল ছেড়ে ঢাকা না ছেড়ে আজিজে বন্ধুদের মেসে উঠবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেজন্য তাদের বিচারের অধীনে না এনে কারফিউ আওয়ারে গিয়ে পিটিয়ে শিক্ষা দিয়ে আসবে -- এটা চিরাচরিত জলপাই ম্যানুয়ালে লেখা পদ্ধতি। এদের স্মৃতি মস্তিষ্কেও থাকলে বুদ্ধি থাকে হাঁটু বা গোড়ালীর কাছাকাছি কোন রহস্যময় জায়গায়, তাই বারবার মার খেয়েও এরা ঐ মেমরীকে ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। মাঝেমাঝে মনে হয় এদের মেমরীই নাই, ম্যানুয়ালেই সব লেখা থাকে।
তবে সবচেয়ে হতাশাজনক হলো ফখরুদ্দিন সাহেবের নপুংশকতা, এটা তার জন্য বিরাট সুযোগ ছিল, বদ্ধি খাটিয়ে সামাল দিতে পারলে, এরপর জনগনের ভয় দেখিয়ে মইন-মাসুদের মিউমিউ মাঝেমাঝে উপভোগ করার বিরাট সুযোগ তিনি মিস করেছেন।
৬.
কি কি ঘটেছে মাথার ভেতর গোছানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু তারপরও কতগুলো প্রশ্ন রয়েই যায়।
১. সরকার এরপর কি করবে?
২. সরকার কি ২১ শে আগস্টের আগের আর পরের চেহারাকে কোন যাদুবলে আবার এক করে দিতে পারবে?
৩. না পারলে তাদের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেটার গ্রহনযোগ্যতা থাকবে? মানুষ কি আরো একবৎসর অপেক্ষা করতে চাইবে নাকি ২২-২৩ আগস্টের পুনরাবৃত্তি হবে?
৪. এই সরকার চলে গেলেই বা কি হবে?
এখন সমাধান কোথায়?
আপাততঃ দুটো মাথায় আসছে, তবে তার আগে ২২-২৩শে আগস্টে কথিত জনরোষ নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ করা দরকার।
মন্তব্য
টেস্ট
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ফখরুদ্দিন সাহেবরে কি এখনো আলাদা অস্তিত্ব হিসাবে দেখতেছেন? সেতো শুরু থেইকাই আজ্ঞাবহ ছিলো!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
এক কালে অবাক হয়ে বলেছিলাম, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের চেয়ে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা দেশের জন্য বেশি উপযোগী হয়ে দেখা দিলেন। ওয়াও!' আমি আমার সেই তাৎক্ষণিক প্রশংসাবাণির জন্য আজকে খুব বেশি লজ্জিত।
ভাস্করদা, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার ধারনা ফখরুদ্দিন আর্মি আর 'ইউ,এস + ইউ,কে" এর দরকষাকষির ফসল ,, ফখরুদ্দিন এই চান্স নিতে পারত শুরু থেকেই ,,,কিন্তু চান্সটা আগ বাড়াইয়া মইন মিয়া নিছে
ইশতিয়াক, ধন্যবাদ।
এখনও ইয়াজউদ্দিনের চেয়ে ফখরুদ্দিনের স্কোর বেশী বলেই আমি মনে করি ,,, ইয়াজউদ্দিন যা করছিল, বিশেষ করে ডিসে:এর শেষে আর জানু:এর শুরুতে ,,,সেটা আসলেই নোংরা ছিনিমিনি খেলা ছিল
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কালকে রাতে নাকি রেইড হইছে, পড়লাম এদিক ওদিক? ঘটনার সত্যতা ঢাকাবাসি কেউ জানাতে পারবেন? সকাল তো হয়ে গেছে এতক্ষনে, জুম্মার টাইম একটু পরে। ঢাবির ছাত্রদের রাতের আধারে খোঁজা হচ্ছে, এই রকম ভীতিকর পোস্ট আসছিলো সামহোয়্যারে। ফেসবুকে এক আইবিএ-র বন্ধু লেখে গেছে - যদি হঠাৎ গুম হয়ে যাই, কারনটা এইখানে পাবা।
মারামারির তৃতীয় দিনে দৃষ্টিপাত ব্লগে এক কমেন্টার ডেইলি স্টার-এ ছাপা সেই ছবি (হিমুর ব্লগে যেটার কথা ছিল), সেটা নিয়ে বলছিলো - 'this picture will cost lives'. ভদ্রলোকের কথা তখন বুঝা যায় নাই, এখন হাড়ে হাড়ে বুঝা গেল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুবিনয়, ঢাকায় অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারা যাচ্ছেনা ,, দেশের ব্লগাররা হয়ত বলতে পারবেন ভাল ,,, তবে সম্ভাবনা বিচার করলে, পেটানোরই কথা ,,এটাই আর্মির সৃভাব ,, তারা এর বাইরে যেতে পারেনা।
আড্ডাবাজের ব্লগে বিবিসির রিপোর্টটা শুনে দেখতে পারেন ,, এরেকটু বর্ণনা দিয়েছেন অমি রহমান পিয়াল এখানেই তার ব্লগে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যা হচ্ছে তা পুরোপুরি এক্সপেক্টেড। চোখ বন্ধ করে কাউকে দেবদূত হিসেবে মেনে নিলে আশ্চর্য হতে হবে - এটা স্বাভাবিক।সবচেয়ে দুঃখজনক হল, অনেকের চোখে এখনও সেই কাল্পনিক স্বপ্নভরা রঙিন চশমাটা আছে। চশমাটা খসে পড়বেই একসময়, তখন অবশ্য বড় বেশি দেরি হয়ে যাবে; হয়তো দেরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, কিন্তু এই অবস্থার কথা কেউ প্রেডিক্ট করেনাই
এমনকি এখনকার প্রেডিকশনগুলাও মিলতেছেনা ,, গত কয়েকদিন কিন্তু একটা প্রেডিকশন ছিল আর্মি ক্ষমতা নিবে ,,,
কথা হচ্ছে, রঙীন সৃপ্ন নিয়ে কেউ আসলেই অপেক্ষায় আছে কিনা সেটা বিচার্য ,,,তার চেয়েও যাদেরকে রঙীন চশমা চোখে বসে থাকতে দেখছেন বলে মনে হচ্ছে তারা হয়ত অপটিমাল কিছু কুঁজছিল ,,, কিন্তু আমরা মনে হয় বৃত্তের আবর্তে পড়ে গেছি ,,,সেখানে মাধ্যাকর্ষণ বল থাকুক বা না থাকুক, সামন্তপুজারী একটা বল কাজ করে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রেডিক্ট করে নাই কথাটা সত্য না। ছলনা করে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় যাওয়া তত্ত্ব সরকার যে অন্যদের চেয়ে ভালো হবে না, এটা কেউ প্রেডিক্ট করে নাই, বলতে চান?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তত্ব সরকার কেমন হবে সেই প্রেডিকশন হলে ঠিক আছে ,,
আমি ধরে নিয়েছি গত সপ্তার ঘটনার কথা যেখানে এত দ্রুতই কারফিউ জিনিসটা চলে এসেছে
তবে আর্মির ক্ষমতায় সরাসরি না চড়াটা আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন