১.
আগের তিনপর্বের আলোচনার সারসংক্ষেপকে এভাবে প্রকাশ করা যায়:
ছোট্ট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের যে প্রতিবাদ ফুঁসে উঠেছিল, আপাতঃ ত্বরিৎ-সিদ্ধান্তে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারলেও, আমলাতান্ত্রিক নাকউঁচু মনোভাবের করণে সরকার সেই নিষ্পত্তির ফল খেতে পারেনি;
রাজনৈতিক দলেরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ফেললে, সেটাও সরকার ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি, কারফিউ দিয়েছে, ছাত্র-সাংবাদিক-আমজনতাকে বেধড়ক পিটিয়েছে, কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে, যেন তারাই সবকিছুর হোতা, আর তার চেয়েও বড় ব্যাপার ৮০ হাজার লোকের নামে মামলা করে কার্যতঃ বন্দুকের নল নিজের মুখে ঢুকিয়ে ট্রিগার টিপে দিয়েছে কিছু না বুঝেই।
এখন, এরা মানে সরকার করবে কি?
আমরা মানে জনগন চাইব কি?
আমাদের জন্য সবচেয়ে সহজ আর স্বতঃষ্ফুর্ত সমাধান হলো, সরকারের পদত্যাগ, অথবা সেনাবাহিনী প্রধানের অপসারণ। পুরোপুরি অসম্ভব দুটো সল্যুশন, কারণ, পর্দার আড়ালে সেনাশাসিত সরকারের সরকারপ্রধানকে কে সরাবে? আর এই সরকার নিজেরাই পদত্যাগ করলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে সেটা কিভাবে পূরণ হবে? জাতীয় সরকার দিয়ে? তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
একটা আন্দোলন, সাধারণত গণআন্দোলনের পর যখন জনতার বিজয় হয়, তখন একটা শূন্যতা তৈরী হয়; আমজনতা তো আর ক্ষমতা নেবেনা; সেখানে আমাদের ইতিহাস বলে মধ্যস্থতার জন্য আমরা সেনাবাহিনীর কাছে যাই; কাজেই এই সরকার পড়লেও নতুন যেটা গঠিত হবে তার মধ্যস্থতাতেও সেনাবাহিনীই আসবে, কারণ আর বাকী যে একটা অপশন ছিল সেটা অনেক আগেই পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, সেটা হলো প্রেসিডেন্ট ইয়াজুদ্দিনের মধ্যস্থতা। তার নোংরামি বা নপুংশকতা, যেটাই হোক, তারই ফলাফল বর্তমান সংকটাপন্ন বাংলাদেশ।
২.
এখন আরো যে সমাধানগুলো আমরা ভাবতে পারি, সেগুলোর একটি হলো তাড়াতাড়ি নির্বাচন ঘোষনা দেয়া। এখানে সম্ভবতঃ জরুরী অবস্থাকে উঠানো যাবেনা, কারণ তাহলে বিরাট সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে যাবে। জরুরী অবস্থা নিজেই ৯০ দিনের বেশী থাকতে পারেনা বলেই জানি (আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান এক্সপার্ট নই, শোনা কথা বা পত্রিকায় পড়া কথা লিখছি, ভুল হলে পাঠক ধরিয়ে দেবেন), তো জরুরী অবস্থা আইনের আওতায়ও সরকার আসলে থাকতে পারেনা, যদিও কোনরকম আইনি মারপ্যাচ ব্যবহার করেই তারা আসন জুড়ে বসে আছে। জরুরী অবস্থা উঠিয়ে দিলে পুরোটাই সাংবিধানিক শূন্যতায় পর্যবসিত হয়, কারণ বি.এন.পি সরকার চলে যাবার পর ৯০ দিন অনেক আগেই পার হয়ে গেছে, পরপর দুটো তত্বাবধায়ক সরকার আসতে পারেকিনা সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে বলে আমার জানা নেই।
কাজেই সংবিধানের কাছে গেলে আমরা শূণ্যতা ছাড়া কোন সমাধান মনে হয় এই মুহূর্তে পাচ্ছিনা, তখন, 'সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, বরং মানুষের জন্য সংবিধান' বলেই আমাদের দৃশ্যতঃ সবচেয়ে বাস্তবসম্মত সমাধানটা নিতে হবে।
কাজেই তাড়াতাড়ি নির্বাচন ঘোষনা দিই বা দেরীতে ঘোষনা দিই, কোনটাই সংবিধানের আওতায় আইনসঙ্গত হয়না, সেখানে যেকোন একটাকে বেছে নিয়ে পরবর্তী সংসদ বসার পর বর্তমানের সংবিধানের আওতার বাহিরের ঘটনাবলীকে হালাল করে নিতে হবে, এছাড়া দৃশ্যতঃ আর কোন উপায় আমি দেখিনা।
এখন তাহলে আমরা খুব দ্রুত নির্বাচন চাইব, নাকি বর্তমান সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে "ভোটার লিস্ট আপডেট করে, ভোটার আই.ডি কার্ড প্রণয়ন করে যতদূর সম্ভব পরিচ্ছন্ন একটি নির্বাচন উপহার দেবে", সেটার ন্য অপেক্ষা করব?
যেটাই করি, আমরা অলরেডী সংবিধানের আওতার বাইরে কাজ করছি, এবং পরবর্তী সংসদে সেটাকে হালাল করে নিতে হবে -- একথাটি আবারও বলছি। এখানে আমরা আসলেই নিরূপায়।
তাহলে দেখতে হবে কোনটা আমাদের জন্য বেশী লাভজনক।
৩.
"২২শে জানুয়ারীর ভোট হলে কি সর্বনাশটাই না হতো!" এটা সবাই ভেবছেন, এখনও ভাবছেন, এবং ভাববেনও ভবিষ্যতে। সেখানে দুটো কারণ আছে,
প্রথমতঃ বি.এন.পি ক্ষমতায় গেলে সেই জোটিয় দুঃশাসন, এক রাজপুত্রের ঘোড়ার দাবড়ানি চলত সারা দেশজুড়ে, সঙ্গে তার 'সান্কোপাঞ্জা'রা তো আছেনই! দ্বিতীয়তঃ, এমন নির্বিচারে ক্ষমতায় আসলে তাদের ভিত থাকে দূর্বল, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই থেমে থাকতনা, হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও চলতই সরকার পতনের জন্য। হার্ডলাইনে যেত সরকার, হার্ডলাইনে যেত বিরোধীপক্ষ, দেশে বিরাজ করত ২২শে আগস্ট প্রতিদিনই।
এখন কথা হলো, খুব দ্রুত নির্বাচন ডেকে বর্তমান সরকার যদি দায়সারাভাবেই সব শেষ করে দেয়, তাহলে কি ২২শে জানুয়ারী বি.এন.পি ক্ষমতায় আসলে ক্ষম্তাসীনদের যে দৌরাত্ন্য থাকত সেটা কম হবে?
হয়ত, নির্বাচিত সরকারের ভিত শক্ত থাকে বলে বিরোধীপক্ষ নড়েচড়ে বসবে দেরীতে, তবে তাতে কি খুব একটা বদল হবে দেশের?
যারা ক্ষমতায় আসবে তারা কি ভাববেনা যে এমন ক্রিটিকাল সিচুয়েশন পেরিয়েও যখন আমরা মানে সাবেক রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরাই ক্ষমতায় এসেছি, তখন আর চিন্তা কি? আমরা যাই করি, জনগন আমাদের কাছেই আসবে -- তারা কতটা ক্ষমতাদাম্ভিক হবে সেটা কল্পনার দাবী রাখে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা পরিশোধন অবশ্যই কাম্য।
৪.
এখন এই সরকার যদি লম্বাসময় ধরে ক্ষমতায় থাকে তাহলে তারা কি আসলেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা র্যাডিকাল চেইঞ্জ আনতে পারবে?
র্যাডিকাল চেইঞ্জটা দরকার এইজন্য যে, এখানে একটা বিপ্লব দরকার। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিনে দিনে সামান্যতম অগ্রগতিও দেখাচ্ছিলনা যে একে প্রকৃতির নিয়মে যেতে দেয়াটা স্বাভাবিক ছিল, বরং পঁচন ধরার হারটা এতই ভয়াবহ ছিল যে একটা হার্ডব্রেক দরকার ছিল, এবং তার সাথে একটা ইউটার্ণের চেষ্টা।
যদিও এবিষয়ে অধিকাংশেই আমার সাথে দ্বিমত করবেন, তবুও আমি মনে করি "মাইনাস টু" একটা ইউটার্নের পোটেনশিয়াল রাখে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে একনায়কতান্ত্রিকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল দুজন মানুষ, তাঁরা কাউকে পরোয়া করেননা, তাঁরা নিজেদের ঈশ্বরের কাছাকাছি ভাবেন, গণতন্ত্রের নামে তাঁরা দলের ভেতর একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করতে পারেননা, শুধু তাই না, পরিবারতন্ত্র প্রচলনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করে রাখেন, যেজন্য, দীর্ঘদিন পোড়খাওয়া নেতারা প্রতিস্থাপিত হন বিমানবন্দরের চাঁদাবাজ ছিঁচকের কাছে, যেজন্য সাহারা খাতুন, মাখন, পল্টু এরা হারিয়ে গেছেন এদেশের রাজনীতি থেকে।
এখানে আমরা যদি সময় আসলে হবে ভেবে চুপ থাকি, আমি কোন আশা দেখিনা, কারন গ্র্যাজুয়াল আপরাইজিংয়ের কোন লক্ষণ তারা রাখেননি। তখণ একটাই দাবী থাকে যে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিপ্লব। এদেশের দুই টপ একনায়কের ঠিক নিচেই যেসব দীর্ঘদিন রাজনীতিতে জড়িত সিনিয়ার নেতারা থাকেন, তাদের দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। খালেদা জিয়ার পুত্র সেদিন রাজনীতিতে আসা তারেক রহমান যখন দলীয় সভায় দলের এতদিনকার মহাসচিবকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, পিস্তল হাতে তেড়ে যায়, তখন এটুকু বুঝতে হবে যে দলটায় সংস্কার দরকার।
একই কথা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও খাটে, তার সিনিয়র নেতারা মাঝেমাঝে মুখ ফসকে যেটুকু বলে ফেলেন, অভিমান থেকে যেটুকু বলে ফেলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বললে যখন মুকুল বোসকে পা ধরে মাফ চাইতে হয়, তখন আমরা টের পাই যা দলটায় সংস্কার দরকার। আমাদের সামন্তপুজারী মনোভাব হয়ত আমাদের এভাবে ভাবতে সাহায্য করে, 'খালেদা জিয়া না উঠালে মান্নান ভুঁইয়া আজ কোথায় থাকত', কিন্তু মুদ্রার অন্যপাশও আছে, মান্নান ভুঁইয়া, অগুনতি কর্মীরা কাজ করে বলেই খালেদা জিয়া ওখানে আছেন বা ছিলেন।
কাজেই ব্যাক্তিপুজা না করে সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার প্রয়োজন আসছে।
রাজনৈতিক দলগুলো যখন এই সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তখন তআদের কিছু সময় লাগবে সেটা স্বাভাবিক। ব্যাক্তিগতভাবে সেই সময় দেয়ার পক্ষে আমি।
তদুপরি আসে তৃতীয় শক্তির কথা, খালেদা-হাসিনা যতদিন বি.এন.পি-আওয়ামীলীগ জুড়ে বসে থাকবেন ততদিন সে সম্ভাবনা খুব কম। ড. ইউনুসই তার প্রমাণ, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কেন রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন? তাঁর উত্তর ছিল যাদেরকে তি আশা করেছিলেন তারা সাড়া দেননি, নিরুৎসাহিত করেছেন। খালেদা বা হাসিনা -- তাঁরা দুজনেই অন্ধ করে রাখার জন্য বড় ছাতা, কারণ তারাই জনসমর্থন দ্বারা পরীক্ষিত। কিন্তু একই সাথে তাঁরা সেই সম্মান ধরে রাখতে ব্যর্থ। কিন্তু সমস্যা হলে জনগনকে সেটা বোঝানো কঠিন, তাই এখানে কিছু কৃত্রিম ইন্টারফিয়ারেন্স আসলেও আমি মনে করি সেটা ভবিষ্যতের সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
সে হিসেবে বর্তমান সরকারকে তাদের ঘোষিত ২০০৮ এর শেষ পর্যন্ত সময় দেয়া যায়, তবে,
তারা যে আসলেই কোরেশী মার্কা নিজেদের পছন্দের কিছু লোককে বসাবেনা তার গ্যারান্টি কি?
তাদের বিরুদ্ধে জামাত-ঘেঁষা যে অভিযোগ এসেছে সেটা কি উড়িয়ে দেয়ার মতো?
তারা যে আসলেই রাজনৈতিক শোধন করবে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটা রাজনৈতিক সংস্কার তৈরীর প্লাটফর্ম গড়ে দেবে, তার গ্যারান্টি কি?
৫.
উপরের প্রথম দুটি প্রশ্নে আমি তেমন সনস্যা দেখছিনা কারণ তাদের বিরুদ্ধে এদুটি অভিযোগের কোনটাই আমি কিনছিনা। কেন?
কাঁধে বন্দুক রাখতে হলে কোরেশী কেন, যেকারও কাঁধেই তারা বন্দুক রেখে ক্ষমতায় আনতে পারে। এমনকি হাসিনা-খালেদাও। বরং সেটাই তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ সমাধান। খুব খেলো কথা হয়ে যেতে পারে, তবে আমার ধারনা, শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া দুজনেই এতটাই ক্ষমতালোভী যে সেনাবাহিনী অফার দিলে সাথে সাথে লুফে নেবে।
এখন চয়েস হিসেবে হাসিনা বা খালেদা কোরেশীর চেয়ে কোনদিকে সেনাবাহিনীর জন্য সুবিধাজনক?
অবশ্যই, নির্বাচনপরবর্তী যে আন্দোলন হবে সেখানে। কোরেশীকে চুজ করা মানে বিএনপি-লীগ দুটোকেই শত্রু বানানো।
জামাত-ঘেঁষা ব্যাপারটা কিনছিনা এজন্য যে জামাতীরা অলরেডী মাঠপর্যায়ে প্রচার শুরু করেছে যে এই সরকার আমেরিকা-ভারতের আজ্ঞাবহ সরকার।
আর আমার ধারনা, সরকার জানে জামাত বিগডিল না, নিজামীকে গ্রেফতার করলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যতটা স্ট্রাইক খাবে, জলিলকে গ্রেফতার করলে টারচেয়ে অনেক বেশী খাবে।
তবে আমার ধারনা, জামাতীরা পার পাবেনা।
আরো বলা যায়, এরশাদ গংকেও ধরচেনা, কর্ণেল অলির বিরুদ্ধে পাঁচকোটিটাকা নির্বাচনী ঘুষের অভিযোগ এসেছে, তাকেও ধরছেনা।
আমি মনে করি, সরকার আপাততঃ আওয়ামীলীগ আর বিএনপির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
মূলপ্রশ্ন হলো উপরের তৃতীয় প্রশ্নটা, তখনই চিন্তা করতে হয়,
আসলে সরকারের সদিচ্ছা আছে কতটুকু?
তারা কি এমন একটা ইমেজ গ্রহন করতে বসেছে যেখানে মানুষ এখন তাদের অবিশ্বাস করতে শুরু করেছে?
হ্যাঁ, আমার ধারনা কারফিউ প্রয়োগের সাথেসাথেই তারা মানুষের অবিশ্বাসের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। সে আগুন নেভানো কঠিন তবে বিশ্বাস আবার অর্জন করতে হলে সরকারকে কতগুলো ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো এজন্যই নিতে হবে যাতে মানুষ বোঝে যে সরকার আসলেই
(১) একটা নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক, এবং একই সাথে
(২) তারা কোন দলের প্রতি পক্ষপাতি না।
খুব দ্রুত সরকারের এব্যাপারে আস্থা অর্জন করতে হবে, নাহলে তাদেরকে চিরাচরিত সামরিক শাসক হিসেবে ভাবা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই।
উপরের (১) আর (২) এর জন্য আমি অতিসতৃ সরকারকে দুটো বিষয়ে অনুরোধ জানাই
(আমি জানি অনেকেই (২)এরব্যাপারে আমার সাথে একমত হবেননা, তবে সরকারের রিস্কটা নেয়া উচিত,কারণ মুদ্রার অন্যপাশেও মুদ্রার মান লেখা থাকে)
(১) খুব দ্রুত নির্বাচনের ঘোষনা, স্পষ্টভাবে তাদের সংস্কারের টাইমলাইন, ঘোষনা দিতে হবে
(২) খুব শিগগিরই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতে হবে, তার বিরুদ্ধে মামলার অভাব হবেনা বলেই মনে করি
তবে, এই সরকার যদি (আমিই মনে হয় এদের ব্যাপারে এখনও কিছুটা আশাবাদী) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে, তাহলে তারা নির্দ্বিধায় সংস্কার মিশন শেষ করতে পারবে, যদি তাদের আসলেই সংস্কারের সদিচ্ছা থাকে।
আশা করি, পুরোটাই ধারনা করা যাবে আগামী একমাসে সরকারের গৃহীত কার্যকলাপের উপর।
মন্তব্য
অসাধারণ বিশ্লেষণী লেখা।
ধন্যবাদ, ইশতিয়াক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দারুন বিশ্লেষন, সব গুলো পর্ব পড়েছি। আবারো পড়বো। তখন ফাইনাল কমেন্ট করতে পারবো আশা করছি। তবে সবকোণ থেকেই বিশ্লেষন করেছেন যা ভাবার প্রেরনা যোগায়। পরিবর্তন দরকার ও তা আশু। তবে কি ভাবে সে পরিবর্তন আসবে সেটঅ বের করতে হবে।
মাহবুব সুমন, ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অনেক শ্রমসাধ্য লিখা। সমস্যার বিশ্লেষণ যথেষ্ট ভালো করেছেন। কিন্তু আমরা অধিকাংশ সুশীলই যে ভুলটা করি, আপনিও সেই ভুলটাই করেছেন। তাহলো জনগণকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা। এবং এর ফলেই বিশ্লেষণের রেজালট উলটে গেছে।
আপনার এই বক্তব্যটি সঠিক নয়। কুশাসনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে জনগণের ওপর। লীগ-বিএনপি আসুক বা সামরিক শাসক আসুক, আমার বা আপনার ডেইলি লাইফে তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ওই খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে প্রতি মুহূর্তে সেই পরিস্থিতির মধ্যে বাঁচতে হয়। আমার বা আপনার চেয়ে তারা অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন।
বিশ্বাস করলেন না? তাহলে ঘটনার পটপরিবর্তন দেখুন। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন থেকে মুক্তির পর ৯১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতায় আসাটা প্রায় ফর গ্রান্টেড হিসেবে নিয়েছিলো। জনগণ ব্যালট বাক্সে সে হিসেব উলটিয়ে দিয়েছে। ৯১-৯৬ বিএনপি কুশাসন, সর্বোপরি ১৫ই ফেব্রুআরির বেয়াদবিরও জবাব জনগণ দিয়েছে ব্যালটে। ৯৬-২০০১ আওয়ামী ব্যর্থতাও জনগণ মেনে নেয় নি। জেনারেল জিয়ার পুত্রের শাসনের জবাবও জনগণই দিতো।
অতএব, প্রমাণিত হলো, জনগণ অন্ধ না। এখন আপনার প্রশ্ন হবে, এভাবে পট পরিবর্তনে লাভটা কি হলো? হ্যা, গত ১৫ বছরের এই পটপরিবর্তনে লাভের অঙ্ক তেমন নেই। না থাকার কারণঠয়তো বিকল্পের পরিমাণ কম থাকা। ডঃ ইউনুস রাজনীতিতে আসলে বিকল্প হতো, বিএনপি ভেঙ্গে অলরেডি একটা বিকল্প তৈরি হয়েছে, আমরা এত আশা করি আর এটা ভাবতে গেলেই চোখ বন্ধ করে বলে দেই, 'কোনো বিকল্প নেই।' কিন্তু বিকল্প আসতে কতক্ষণ। ডঃ ইউনুসের কথাই বা কে কত আগে কল্পনা করেছিলো?
আর্মি বা অনির্বাচিত কোন সরকার কোন বিকল্প সমাধান নয়। কারণ, তখন জনগণের মুখ চেপে ধরা হয়। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে জনগণের জন্য যে বিকল্প কিছু অপশন উঠে আসবে মানুষের মধ্য থেকে, আর্মির মধ্য থেকে নয়, সে উঠে আসাটাকে প্রতিহত করা হচ্ছে।
এটা জনগণের সমস্যা, জনগণকেই সমাধান করতে দিন। তারা ভুল করবে, হয়তো বারবারই ভুল করবে; কিন্তু একসময় ভুল করতে করতে শিখে যাবে। জনগণের হাতে বাঁশ খেতে খেতে লীগ-বিএনপিরাও শোধরাতে বাধ্য হবে। হাসিনা যখন দেখবে জনগণকে বাঁশ দিলে পরের টার্মে আর ক্ষমতায় আসা লাগবে না, লাল দালানে ঢুকতে হবে, তারেক যখন দেখবে, জনগণকে বাঁশ দিলে নেক্সট ৫ বছর জেলে কাটাতে হবে, তখন তারা আচরণ পালটাতে 'বাধ্য' হবে।
রাজনীতিতে কেউ জনগণের জন্য কাজ করে না, জনগণই জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের জন্য কাজ করতে 'বাধ্য' করে। সেই বাধ্য করাটা জনগণই করুক, আর্মি নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরী ধারা পাস করা কোন অনির্বাচিত সরকার নয়। জনগণই হোক তাদের ভাগ্য নিয়ন্তা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই এর কথা মনে ধরছে।
বলাই-এর সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করছি। এবার যদি নির্বাচনে লীগ ক্ষমতায় আসতো তবুও বিএনপির মহারথীদের কিছুই হত বলে মনে হয় না। যেমন হয়নি আওয়ামী লীগের ২০০১-এর নির্বাচনে হারার পরে।
জনগনকে 'বাঁশ' দিলে যে জেলে থাকতে হয় লীগ/বিএনপির পর্যায়ক্রম শাসন দেখে তা মনে হয় না।
কি বলেন!! ক্ষমতা হারানোটাই তো বিরাট লস। জেলে যাক, না যাক, ক্ষমতা হারানোতেই দৌড়ের ওপর থাকতে হতো।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হারার পরে কিছু হয় নি - এটাও সত্য নয়। জয়নাল হাজারী গত কয়েক বছরে আর বাঁধনের বিচার চাইতে পারে নি।
চাঁদাবাজির দখল গেছে জেনারেল জিয়ার সুপুত্রের হাতে, লীগের চামচদের অধিকাংশই ফিলডে মার খেয়েছে। এখন আপনি বলতে পারেন, গণহারে কেন লীগের সবাইকে জেলে ঢুকানো হলো না? এটা কখনোই করা হয় না। পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্সের বাইরেও অনেকের অনেকরকম ক্ষমতা থাকে। দেশ শাসনের ক্ষমতা হারালেও সেই ক্ষমতা তখনো বিদ্যমান। ওই ক্ষমতাকে না ঘাটিয়ে যদি নিজেদের পাত্তি গুছানো যায়, তাইলে কেউই ওই ক্ষমতাকে ঘাটাতে যাবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি আবার জনগণের শেখার ক্ষমতায় অতটা আস্থাশীল না, তার চেয়েও অনাস্থা জনতার স্মৃতির উপর। আমি মনে করি যতটুকু রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলে জনতা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারবে তা থেকে আমরা বাংলাদেশিরা অনেক দূরে।
পরের টার্মে না আসলেও তার পরের টার্মে তো আসতে পারবে। আর আমি মনে করি না, পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার (যদি তা বি এন পি নাও হোত) তারেককে জেলে ঢুকাতো।
পুরুজিতের সাথে সহমত। সহমত জ্বিনের বাদশা।
এত সংক্ষেপে অনাস্থাশীল হয়ে গেলে চলে কেমনে? সাজা ভোগ তো জনগণই করে। তারা শিখবে না, এটা কোন কথা না। তারা না শিখলে তারা ভুগবে। কিন্তু তাদের ব্যাপার তারাই ডিসাইড করুক। আমার আপনার খবরদারিতে জনগণের স্বার্থ নাই।
নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারে না - এই ধুয়া তুলে আমার সিদ্ধান্ত আমি কাকে নিতে দিবো? পৃথিবীতে এমন কোন পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন নাই, যারা নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে জনগণের স্বার্থ নিয়ে কাজ করবে। দেবদূতেরা জনসমাজে ঘেষেন না আধুনিক বিশ্বে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আলোচনাটা জমে উঠেছে দেখে ভালো লাগছে
বলাই, আপনার জনগনের উপর আস্থাটা আসলেই প্রসংশাজনক ,,, তবে আমি আসলেই মনে করি আমাদের জনগনের মধয়ে একটা সামন্তপুজারী ভাব রয়ে গেছে ,,, যেজন্য লোকে "জিয়ার ছেলে" বা "শেখের মেয়ে" হলেই খুশী, তারবেশী কিছু দেখেনা ,,, এই বাস্তবতাকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেননা
দেখা যাচ্ছে, যিনিই দেশ শাসন করছেন একবার তিনিই আপ টু আ লেভেল উপরে উঠে আসছেন জনসমর্থনের দিক দিয়ে, তারপর তাঁর পরিবারকেও টেনে তুলছেন ,,, যেজন্য এদেশে এরশাদ মতিয়া চৌধুরীর চেয়ে অনেক শক্তিমান নেতা ,,,এটা কি আমাদের জনগনের জন্য লজ্জাস্কর না?
এবং এই বাস্তবতা থেকেই সেনাপ্রধানদের ক্ষমতার ব্যাপারে একটা মোহ থাকে, কারণ ক্ষমতায় যাওয়াই জনপ্রিয়তা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম
এখন কথা হলো, "জনগন" যতই মূল এলিমেন্ট হোক, তারা ভুল করতে পারেই ,,,এবং আমাদের মতো দেশে যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত সেখানে এটা খুবই স্বাভাবিক
এজন্য, বাইরের থেকে কিছু বায়াস প্রদান করেও সেটাকে যদি আপ টু আ লেভেল শোধরানোর পথে ইউটার্ণ করানো যায়, আমি তার পক্ষপাতি
আর আপনার উদ্বৃত প্যারায় জনগন বলতে কিন্তু দরিদ্র শ্রেনীকে বুঝাইনি ,,,বরং শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে বুঝিয়েছি ,,,দরিদ্র শ্রেণীর কথা আবার অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে যাবে ,,, সেজন্য ঢাকার আট সিটে ভোটে জেতার সত্যিকারের মেকানিজম নিয়ে গবেষণা করতে হবে
একটা হিন্টস দেই,
ঢাকার জনগন যদি এতই সচেতন হয়, তবে সাহারা খাতুনের জায়গায় রহমতুল্লাহ নমিনেশন পায় কেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রথমত, আপনি রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতার পুরো দোষই জনগণের ওপর চাপাতে চাইছেন। একবার ভেবে দেখেছেন কি, জনগণ নিজে এর জন্য কতোটা দায়ী? একবার ভেবেছেন কি, বাংলাদেশে নির্বাচন কতোটা সুষ্ঠু হয়? কত % লোক ভোট দিতে যায় আর কতো % ভোট কাস্ট হয়েছে বলে দেখানো হয়? যারা নির্বাচিত হন, তারা 'প্রকৃত জনপ্রতিনিধি' কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের প্রচুর অবকাশ আছে।
তারপরেও আপনার কথা মেনে নিয়ে যদি বলা হয়, এসব 'জনপ্রতিনিধি' দের করা ভুল জনগণের ওপরই বর্তায়। কিন্তু অজনপ্রতিনিধি যারা এ পর্যন্ত দেশ শাসন করেছেন, তারা কি এদের চাইতে কোনো অংশে ভালো ছিলেন? মোটেই না। তাহলে, এই দুইয়ের মাঝে আমি কোন পথে যাবো? যেখানে ভুল হলে ১) আমার হাতে ভোটের ক্ষমতা থাকবে সেই ভুলের যোগ্য জবাব দেওয়ার, নাকি ভুল করলেও ২) আমার মুখে কুলুপ এঁটে রাখতে হবে?
জনগণ ভুল করলে সেই ভুল সংশোধন করার দায়িত্ব জনগণকে দেওয়া হোক। তা না করে মাঝে মাঝে আর্মি গোজ ঢুকিয়ে জনগণের মুখ বন্ধ করে রেখে লাভটা কার হচ্ছে? গত কয়েক মাসের এই তত্ত্ব সরকার জনগণকে মুখ খোলারই যখন সুযোগ দিচ্ছে না, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কতোটা বিশ্বাস করে এরা জনগণকে আর যে বিশাল জনগোষ্ঠীকে তারা অবিশ্বাস করে, তাদের 'শাসনকর্তা' হিসেবে তারা জনগণের জন্য কতোটা ভালো করবে। আপনি যদি বলেন, তারা জনগণের সুখের জন্যই সব করেন, আমি সে কাল্পনিক থিওরী মানতে রাজি নই। এমনকি মায়ের দুধও ফ্রি আসে না, ফ্রি ফ্রি কেউ জনগণের ত্রাণকর্তাও হয় না।
বাংলাদেশের মত একটা দরিদ্র দেশে (আমরা ভুটানের চাইতেও দরিদ্র) জনগণের সিংহভাগ দরিদ্র, তারপরে আসে নিম্ন মধ্যবিত্ত। এরাই মোট জনসংখ্যার ৭০-৮০ ভাগ হবে। সরকার পরিবর্তনের ঝাঁজ এদের ওপরই পড়ে। দিন এনে দিন খাওয়াদের কথা বাদ দিলেও নিম্ন মধ্যবিত্তদের যাদেরকে চাকুরীর সীমিত আয়ের ওপর চলতে হয়, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে তাদের কোনো গতি থাকে না। মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তেরা বাংলাদেশের জনগণের সংজ্ঞায় সংখ্যালঘু। জনগণের সিংহভাগের দুঃখ বুঝতে গেলে জনগণের কাতারে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
আপনার চমৎকার বিশ্লেষণের ফলাফল বায়াসড হয়েছে এই সিংহভাগ জনগণকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করায়। যাদের জন্য সরকার, তারাই নেগলেগ্টেড হলে কেমনে কি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই, আপনি স্পেসিফিকভাবে বলবেন বিশ্লেষণের কোন অংশটা বায়াসড হয়েছে?
আপনি যে জায়গাটা উদ্বৃতি দিয়েছেন, সেটা জনগনের একটা স্পেসিফিক সমস্যা ,,, সেটা সাধারণ জনগনের চেয়েও হয়ত মধ্যবিত্তের বেলায় বেশী প্রযোজ্য ,,,সেটা হলো একজন 'রাজা' চাই আমাদের ,,'রাজপরিবার' চাই আমাদের ,,,আমি কিন্তু জনগনের এই বিশেষ ভুলটার উপরই ফোকাস রাখতে চাচ্ছি ,,,
আমি কখনই বলছিনা জনগন সব ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ,,, বরং জনগনই মূলশক্তি সেটা আমি মনে করি চারটা পর্ব পড়লে যে কেউ অনুধাবন করতে পারবেন ,,,আবারও বলছি, এখানে জনগনের শুধু একটা স্পেসিফিক ভুলের উপরই জোর দেয়া হয়েছে, যেটা হলো সামন্তপুজা
আর আশা করি তার সাপেক্ষে ব্যাখ্যাটা উপরে দিয়েছি
আর আমি এই সরকারের অন্ধ সমর্থক না ,, তবে জনগনের এই 'হাসিনা-খালেদা' আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া নিয়ে আমরা প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করি ,,,তাই মনে হচ্ছে, 'মাইনাস টু' টা এদেশের রাজনীতিতে একটা পজেটিভ ইফেক্ট রাখতে পারে ,, নাইলে এই আবর্ত থেকে আমরা মুক্তি পাই কিভাবে? ,,,আমরা হতাশা প্রকাশ করে সেটা ভুলে যেতে পারি, আবার সেটা থেকে কিভাবে শীগগিরই মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে মাথা ঘামাতেও পারি ,,,,এখন কোনটা করব তা আমাদের চয়েস, তাইনা?
দেখুন, আফটার অল পরিবারতন্ত্রই বিএনপি আওয়ামীলিগের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে ,,, গণতন্ত্রের ধবজাধারী দল তারা অথচ তাদের নিজেদের মধ্যেই গণতন্ত্র নেই!! এপ্রসঙ্গে তো একথাও বলা যায় যে হাসিনা বা খালেদা নিজনিজদলের টপে গিয়েছেন বায়াসের মাধ্যমেই, সেখানে তো গণতন্ত্রের সাধারন প্রবাহ মানা হয়নি? আজ তাদের অপসারনের সময় কেন আমরা এতটা থিওরিটিকাল হবার চেষ্টা করছি?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বিশ্লেষণে আপনি জনগণের ওপর দোষ চাপিয়ে একটা কৃত্রিম কাল্পনিক দেবদূতের ওপর নির্ভর করতে চাইছেন - এটাই ভুল।
মাইনাস টু রাজনীতি কেন পজিটিভ ইফেক্ট আনবে? মাইনাস টুর পরে যারা আসবে, তারা পরিবারতন্ত্র গড়ে তুলবে না, কে বলতে পারে? আর প্রত্যেক দলের মধ্যে গণতন্ত্র আছে কিনা, পরিবারতন্ত্র আছে কি না, সেটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। জনগণের বিবেচ্য বিষয় দলের ইন্টারফেসটা। দলের ভিতরে কি হলো, কিভাবে হলো, পরিবারতন্ত্র হলো, নাকি একনায়কতন্ত্র হলো, জনগণ সেদিকে না দেখে শুধু দেখবে, তারা নির্বাচিত হয়ে আসার পরে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন কতোটা হলো। জনগণ ধোঁকা খেলে ভোট দিবে না, সহজ হিসাব। জনগণ সন্তুষ্ট হলে ভোট দিবে।
দলের অভ্যন্তরীণ লোকজন যদি পরিবারতন্ত্র মেনে নেয়, তাহলে সেটা নিয়ে জনগণের ভাবার তেমন দরকার দেখি না। জিনিসটা মেনে নেওয়ার মত না হলে দলের ভিতরেই ভাঙ্গন ধরবে। জাতীয় পার্টি, বিএনপিও ঠিকই ভেঙ্গেছে, কাদের সিদ্দিকীও লীগ ছেড়েছেন।
জিনিসগুলো স্বাভাবিক বিবর্তনের হাতে ছেড়ে দিন। আপনার এই কৃত্রিম ইফেক্টগুলো জনগণের স্বাভাবিক চিন্তা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, রাজনৈতিক দলগুলোর ভুলগুলোকে আড়ালে নিয়ে যায়।
সমস্ত ক্ষমতা হোক জনতার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওহ, এত বড় লেখা যারা ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন,অনেক অনেক ধন্যবাদ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
খবরের কাগজের পলিটিক্যাল কলামিস্টদের একঘেয়ে ও একদেশদর্শী লেখাগুলি পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আপনার বিশ্লেষণমূলক লেখাটি দীর্ঘ হলেও চার কিস্তি একবারেই পড়লাম। ভালো লাগলো বিষয়গুলিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা।
এই ধরনের লেখার সঙ্গে সবাই সর্বাংশে একমত হবেন এমন আশা করা ঠিক নয়। বিতর্ক অব্যাহত থাকুক।
অভিনন্দন আপনাকে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই, ধন্যবাদ এতবড় অগোছালো লেখা পড়ার জন্য ,,,
"এই ধরনের লেখার সঙ্গে সবাই সর্বাংশে একমত হবেন এমন আশা করা ঠিক নয়। "
এক্কেবারে ঠিক! আমি নিজেই কনফিউজড ছিলাম অনেক কিছু লেখা নিয়ে ,,, সেসব জায়গায় সাধারণত 'আমি মনে করি' যোগ করে হাল্কা করেছি ,, আসলে মাথায় যা যা চিন্তা এসেছে উঠিয়ে দিলাম
ঠিক! এখন চলুক বিতর্ক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বলাইয়য়ের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমত।
জনগনের প্রতি আস্থার অভাব থাকাটাই আমাদের বড়ো সমস্যা।অথচ বাংলাদেশের জনগন কখনো ভুল সিদ্ধান্ত দেয় নি।
-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..
আমার ধারনা মন্তব্যের আলোচনায় একটা ভুল ইম্প্রেশন তৈরী হয়ে যাচ্ছে ,,, জনগনের উপর আস্থার অভাব এখানে তুলে ধরা হয়নি ,,,কিন্তু একটা বিশেষ পয়েন্টে আমাদের জনগন বারবার ভুল করছে, সেটাকে কৃত্রিমভাবে শুধরে নেয়ার সম্ভাবনা আলোচনা করা হচ্ছে ,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জনগণ বারবার ভুল করছে কথাটা সত্য নয়। আমি আগের এক মন্তব্যে বলেছি, কেন ভুলের দায়টা জনগণের ওপর চাপানোটা আসলে যথার্থ নয়।
আর জনগণ ভুল করলে কৃত্রিমভাবে কে শোধরাবে? এমন দেবদূত কেউ কি আছেন ধরাধামে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, আমি মীন করতেছি একটা বিশেষ পয়েন্ট, যেটা হলো গিয়ে রাজা হবেন হয় শেখ পরিবার বা জিয়া পরিবারের কেউ, এটা যেন আমরা মানে জনগন গ্রান্টেড ফর ধরে নিয়েছি ,,
আপনি দেখেন, আমরা এতই সামন্তপুজারী যে বিদিশা এরশাদও এদেশে মতিয়া চৌধুরীর চেয়ে বেশী জনপ্রিয়!!
এই জিনিসটা সবচেয়ে ভাল হয় শিক্ষার মাধ্যমে সরাতে পারলে ,,, সেটা না হলে অন্ততঃ পরিবারতন্ত্রকে যদি রাজনৈতিক প্র্যাকটিসে ঢোকানো যায় সেটাও ভাল ,,,সেজন্য কৃত্রিমভাবে কিছু হলেও সাপোর্ট দিব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা ভাই, আমার ওপরের মন্তব্যে বলেছি, এটা প্রত্যেক দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা জনগণ দেখবো দলের ইন্টারফেসটা। সার্ভিস কেমন দেয়, সেটা। সার্ভিস কেমনে দেয়, সেই জিনিসটা নিয়া তেমন চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সরকারের ইদানিংকার গৃহীত সিদ্ধান্তে এই লেখাটার কথা মনে পড়ল ... অবশ্যই আমি আশা করিনা সরকার এই লেখা দ্বারা কনভিন্সড হয়েছে, তবে এটুকু ভাবতে পারি যে সরকারের নিজের আস্থাবৃদ্ধির প্রচেষ্টা আছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন