১.
বাংলাদেশ এপর্যন্ত কয়টা নোবেল প্রাইজ পেয়েছে বললে অনেকেই ঘাবড়ে যেতে পারেন, ভাবতে শুরু করতে পারেন যে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের নোবেল বা অমর্ত্য সেনের অর্থনীতির নোবেলকে গননায় ধরা হবে কিনা। না মনে হয়, সেটা পারা যাবেনা, কারণ ঐ দুটো প্রাইজ ভারতের। তাহলে বাংলাদেশের কয়টা?
একটা? শুধু মুহম্মদ ইউনুসেরটা?
নাহ আরেকটা আছে কিন্তু; হুমম, বাংলাদেশ দুটো পেয়েছে, মুহম্মদ ইউনুস আর গ্রামীন ব্যাংক। মেডেলদুটো কোথায় আছে জানিনা, ধরে নিচ্ছি সম্ভবত ড. ইউনুসের বৈঠকখানা আর গ্রামীনফোন ভবনের কোন এক স্পেশাল গ্যালারীতে আছে।
তবে যেখানেই থাকুক না কেন দেশের ধর্মব্যবসায়ীরা কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে একটা ক্যাচাল বাঁধাতেই পারে।
কারন?
'নোবেল শান্তি পুরস্কারের মেডেলটার একপিঠের খোদাইকরা ছবিতে তিনজন নগ্নপুরুষ একজন আরেকজনের কাঁধে হাত রেখে বৃত্তাকারভাবে দাঁড়িয়ে আছে'
২.
বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীরা মাঠ গরমে ওস্তাদ হলেও বুদ্ধিশুদ্ধির লেভেল অত ভালনা। যা একটু বু্দ্ধি করে ব্যবসা করে -- সেটা জামাতীরা। তাদের আয়-রোজগার ভাল।
তবে মানউষকে ঘোল খাইয়ে ধর্মব্যবসার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মনে হয় রেখেছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডের পুরোহিতরা। তারা মানুষকে কি ভুংভাং বুঝিয়েছিল জানিনা, তবে মানুষ বিশ্বাস করত যে, কারও যদি নরকে যাওয়া নির্ধারিত হয়, তখন এই ধর্মীয় পুরোহিতরা তআকে নরকে যাবার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। এজন্যই,
"অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের লন্ডনে নরকে যাওয়ার বিরুদ্ধে ইন্স্যুরেন্স করা যেত।"
চিন্তা করুন অবস্থা!! এজন্যই বোধহয় ব্রিটিশরা ইন্স্যুরেন্স নিয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষাপ্পা থাকে, আবার ব্রিটিশরাই এই লাইনে সবচেয়ে পটু।
৩.
বম্বের ফিল্মে একসময় দুর্দান্ত নাচতেন জাবেদ জাফরী নামে এক অভিনেতা, অদ্ভুত ক্ষিপ্রগতিতে লম্বা লম্বা দুহাঁটুকে তিড়িংবিড়িং নাচিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতেন ভদ্রলোক। অনেকদিন বম্বেফিল্মের খোঁজখবর নেয়া হয়না, জাবেদ জাফরী এখনও অভিনয় করেন কিনা জানিনা। তবে সেসময়ে জাবেদ জাফরীর নাচের ক্ষিপ্রতা দেখে অনেকেই চিকন হয়ে বলার চেষ্টা করত যে পরিচালক নাচের অংশটুকুকে ফাস্ট-ফরোয়ার্ড করে দিয়েছে, যদিও সেক্ষেত্রে যে জাবেদ ছাড়া অন্য নাচিয়েদেরও গতি খুব বেড়ে যাবার কথা সেব্যাপারটিকে এসব ব্যাখ্যাকারীরা পাত্তা দিতনা।
তবে এটা ঠিক যে ফিল্মে ফাস্ট-ফরোয়ার্ড করে এ্যাকশন দৃশ্য বা কারচেজকে উপভোগ্য করে দেখানোর একটা চল ছিল, কারণ অভিনয় করে এসব ব্যাপারে সত্যিকারের স্পীড আনা বেশ দূরূহ।
কিন্তু স্লো-মোশানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। এটা ব্যবহার করে কখনও কিছুকে স্বাভাবিকভাবে দেখানো হয়না, বরং গুরুত্বপূর্ণ একটা দৃশ্যকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখিয়ে উপভোগ করানোর জন্য ব্যবহার হয়। যেমন নায়ক আর নায়িকার প্রথম দেখার সীন, ধাক্কা লেগে নায়িকার হাতের বইগুলো অনন্তকাল ধরে নিচে পড়তে থাকে, নায়ক ততক্ষণে দ্রুত তার শর্ট-ইন, চুল হ্যান্ডব্রাশ ও আরো ইতংবিতং করে ফেলে, তারপর বইগুলো তোলার জন্য উবু হয় :)।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, দৃশ্যকে স্বাভাবিক স্পীডে দেখানোর জন্যও ফিল্মে স্লোমোশান ব্যবহার হয়েছে। সেটা হলো, লিজেন্ড ব্রুস লী'র ক্ষেত্রে।
" ব্রুস লীর কারাতে মুভমেন্টগুলো এতই দ্রুত আর ক্ষিপ্র ছিল যে তার এ্যাকশনের দৃশ্যগুলোকে স্লো করে দেখাতে হতো।'
মন্তব্য
সর্বনাশ! উস্কিয়ে দিলেন নাকি?
আবার কাকে উস্কে দিলাম? আমার তো ভয় করছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সেলিব্রেটি প্রবলেমসে এবার আপনিও তালিকায় পড়বেন।
খাইছে!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন