[যেকোন পার্টি জমানোর জন্য, বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের সাথে খাতির জমানোর জন্য এটা একটা ফার্স্টক্লাস সাইকোলজী টেস্ট]
****************************
অনেক অনেক আগের কথা। নদীর এপারে থাকত পারুল, আর ওপারে অতুল। ভীষন ভালবাসে দুজন দুজনকে। অথচ বিশাল নদীটা বাঁধা হয়ে আছে দুজনের জন্য। ওদের নৈকাও ছিলনা যে যখন তখন একজন আরেকজনের সাথে দেখা করবে। এদিকে অনেকদিন ধরে অতুলকে চোখের দেখা দেখতে না পেয়ে পারুলের আর কিছুই ভাল লাগছেনা। অবর্ণনীয় এই বিরহ সইতে না পেরে পারুল একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, যে করেই হোক নদীর ওপারে গিয়ে অতুলকে দেখে আসবেই।
কিন্তু বাঁধ সাধল মাঝি বদরুল। তাকে পারুল যতই বোঝাতে চেষ্টা করল যে পারুলের কাছে কোন পয়সা নেই, পরে কোন এক সময় সে বদরুলকে পাওনা মিটিয়ে দেবে, বদরুল রাজী হয়না। বদরুল বলে দ্রব্যের বিনিময়ে হলে সে রাজী, পারুল বলে পরনের শাড়ী ছাড়া তার আর কিছুই নেই। বদরুল বলে তাহলে সেই শাড়ীই তাকে দিয়ে দিতে। কি অসভ্য!
পারুল নদীর কিনারা ধরে হাঁটতে থাকে, হঠাৎ দেখে নদীর পাড়ে ধনীমতোন দেখতে এক মহিলা, নাম উখিয়া বিবি। উখিয়া বিবির কাছে চাইলে হয়ত আমাকে কিছু টাকা দেবে ভেবে পারুল তার কাছে যায়। সবশুনে উখিয়া বিবি বলেন, 'দেখ তোমার কথা আমি বুঝেছি, কিন্তু টাকা গাছে ধরেনা। তোমার ভালবাসার লোককে তুমি দেখতে চাও, তাহলে যাবার ব্যাবস্থাও তোমার নিজেকেই করতে হবে। আমি কেন তোমাকে পয়সা দিব?'
কাঁদতে কাঁদতে পারুল সারাদুপুর পার করে দেয়, কারুর দেখা পায়না। কিন্তু কোনভাবেই সে নিজের ভালবাসাকে অবহেলা করতে পারেনা, তার মনে হয় যেভাবেই হোক অতুলের সাথে দেখা করতেই হবে। অগত্যা সে বদরুল মাঝির কাছে ফিরে আসে, বলে, 'ঠিক আছে আমার শাড়ীর বিনিময়ে আমাকে ওপারে পৌঁছে দাও।' বদরুল মাঝি সানন্দে রাজী হয়, কারণ পুরানা শাড়ী হলেও এটা বেচে সে নৌকাভাড়ার চেয়ে কিছুটা বেশী পয়সাই পাবে। মনের আনন্দে সে পারুলকে নদীর অন্যপাড়ে অতুলের গ্রামে পৌঁছে দেয়। শাড়ীখুলে যখন পারুল বদরুল মাঝিকে নৌকোভাড়া মিটিয়ে দেয়, তখন তার শরীরে কিছু নেই। তবুও সে ভাবে এই ভরদুপুরে কেউ বাইরে থাকেনা, সে খুব দ্রুত অতুলের বাড়ীতে চলে যাবে, তারপর অতুল নিশ্চয়ই কোন ব্যাবস্থা করবে।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। নদীর পাড়েই বসে ছিল ইন্দু বাহাদুর নামে এক বদলোক। সে দৌড়ে গিয়ে পারুলকে জাপটে ধরে, ধর্ষন করা শুরু করে। বেশ খানিকটা দূরে আরেকটা রাস্তা দিয়ে যাওয়া খোকা চৌধুরীর চোখে পড়ে ব্যাপারটা। সে অনেকদূর থেকে এটুকু বুঝতে পারে যে দুজন নারী-পুরুষ আনন্দ করছে, ধর্ষনের ব্যাপারটা সে টের পায়না। দিনেদুপুরে নারীপুরুষের লীলা দেখে খোকা তো খোকা মহাউত্তেজিত! পথে একবন্ধুকে দেখে সাথেসাথেই তার কাছে গিয়ে খোকা বলতে থাকে, 'জানিস! সত্যি বলছি, নদীর পাড়ে দেখলাম দুটো ছেলেমেয়েত মিলে ইয়ে করছে।'
পারুলের দূর্ভাগ্য যে খোকা চৌধুরীর এই বন্ধুটিই ছিল অতুল। অতুল খোকার কাছে বর্ণনা শুনে সন্দেহ করে, কারণ অমন লম্বা গড়ন আর লম্বা চুল এ তল্লাটে আর কোন মেয়ের নেই। তাড়াতাড়ি ঘরে ছুটে এসে সে দেখতে পায় নগ্ন-বিধ্বস্ত পারুলকে। পারুলের কোন কথাই সে বিশ্বাস করেনা, পারুল যতই বোঝাতে চায় যে লোকটা তাকে ধর্ষন করেছে, অতুল মানতেই পারেনা। পারুলকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে পারুল ছুটে বেরিয়ে যায়, নদীতে ডুবে আত্নহত্যা করে।
*************************************
এই হলো কাহিনী, এখন আপনাকে বলতে হবে গল্পটার যে ছয়টা চরিত্র --- পারুলের মৃত্যুর পেছনে এদের কার দায় কতটুকু। সবচেয়ে কম দায় থেকে সবচেয়ে বেশী দায় অর্ডারে সাজিয়ে লিখুন।
আশা করি সবাই অংশ নেবেন।
সময় আগামীকাল সারাদিন।
****************************************
ছয়টা চরিত্র হলো:
পারুল -- প্রেমিকা
অতুল -- প্রেমিক
বদরুল -- মাঝি
উখিয়া বিবি -- ধনী মহিলা
ইন্দু বাহাদুর -- ধর্ষক
খোকা চৌধুরী -- অতুলের বন্ধু
মন্তব্য
উদাহরন টেমপ্লেট:
১. সবচেয়ে কম দোষী
২. ২য় সবচেয়ে কমদোষী
৩. .........
৪. ..............
৫. .............
৬. সবচেয়ে বেশী দোষী
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১) অতুল
২) পারুল
৩) উখিয়া বিবি
৪) ইন্দু বাহাদুর
৫) খোকা চৌধুরী
৬) বদরুল
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দিগন্ত, ধন্যবাদ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১. খোকা চৌধুরী
২.উখিয়া বিবি
৩.বদরুল
৪.ইন্দু বাহাদুর
৫.পারুল
৬.অতুল
আমার চরিত্রের কোন গোপন দিক এই পরিক্ষায় উন্মোচিত হবে সেটা নিয়ে আতংকে আছি।
হে হে হে ,,, হতেও পারে @অয়ন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি দায়ী না ভাইজান
আমি কিছু করি নাই
হা হা হা হা ,,,, আচ্ছা মানলাম আপনি দায়ী না
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১. খোকা চৌধুরী -- অতুলের বন্ধু
২. বদরুল -- মাঝি
৩. উখিয়া বিবি -- ধনী মহিলা
৪. পারুল -- প্রেমিকা
৫. ইন্দু বাহাদুর -- ধর্ষক
৬. অতুল -- প্রেমিক
আমিও ভয়ে আছি। হুট করে কি না কি বানায় ফেলবে!
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
১. বদরুল
২. ইন্দু বাহাদুর
৩. পারুল
৪. উখিয়া বিবি
৫. খোকা চৌধুরী
৬. অতুল
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কারন গুলা বলি:
১. বদরুল - পেটের দায়ে শাড়ি চাইছে। বেচারা!
২. ইন্দু বাহাদুর - নাঙ্গা দেখছে মাথা খারাপ হইছে
৩. পারুল - খায়া দায় কাম নাই! প্রেমিকের কাছে যাবার জন্য কাপড় খুলতে হবে?
৪. উখিয়া বিবি - টাকা থাকতেও টাকা না দেয়াটা অপরাধ। সামান্য কটা টাকার জন্য একটা জীবন নষ্ট হল।
৫. খোকা চৌধুরী - আরে রাস্তা ঘাটে একটা মেয়ের ধর্ষন হচ্ছে আর এই গাধাটা সেটা বোঝেনা? সেটা গিয়ে অতুলকে বলতে হবে সেটা জানে, কিন্তু ধর্ষন কি সেটা বোঝেনা। হারামী একটা।
৬. অতুল - এইটা আরেক হারামী। কি একটা আকাম করছে মেয়েটার সাথে। তাই আর ওপারে যায় না। তাইতো মেয়েটা ব্যকুল হয়ে ছুটে আসছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১) উখিয়া বিবি (কেউ টাকা চাইলেই দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাই ইন্দু বাহাদুর কর্তৃক হানি, অতুলের অবিশ্বাস এবং পারুলের আত্মহননের সাথে উখিয়া বিবিকে খুব বেশী অভিযুক্ত করা যায় না)
২) খোকা চৌধুরী (প্রকাশ্যে ক্রিয়া-কলাপ দেখে আমোদিত হয়ে ঘটনা প্রচার অনেকক্ষেত্রে নিতান্তই সাধারণাচরণ বলে গণ্য হতে পারে।আর খোকা জানতো না, সেটা স্বতোপ্রণোদিত ঘটনা না, জোরপূর্বক।
৩) বদরুল (এই হালার পুত বদের হাড্ডি। সুজন-সখীর ফারুক স্টাইলে - সব সখীরে পার করিতে নেবো আনা আনা, তোমার বেলা নেবো সখী - - - না করে বেটা শাড়ীর প্রতি নজর দিয়েছে। এ শাড়ি না চাইলে ঘটনা অন্য রকম হতে পারতো। তবুও পারুল হননের সাথে জড়িত ১ম তিন জনের তালিকায় বদরুলকে রাখছি না)
৪) পারুল (প্রেম পীরিতের এমন হাল, কতো ধানে কতো চাল। একটু মাথা খাটায়ে অন্য চিন্তা করা যেতো না? কি দরকার ছিল বদরুল হারামজাদার বদ প্রস্তাবে রাজী হবার? সাধারণ বুদ্ধি বিবেচনায় - বিবস্ত হয়ে একজনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সমূহ আশংকা চিন্তায় থাকা ভালো। পারুলের এটা নেই। এরপরও, অতুলের অবিশ্বাসে আত্মহনন মোটেও বিবেচনার সিদ্ধান্ত নয়। অতুলের মুখে থুতু মেরে জীবনকে নতুন ভাবে ভাবা যেতো। তবে প্রচলিত সামাজিক কাঠামোয় এ বিকল্প ভাবনা ভাবা যায় কিনা সেটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন!)
৫) অতুল (হায়রে প্রেমিক! এই ছিল তোমার বিশ্বাস! ধিক, শতধিক!)
৬) ইন্দু বাহাদুর (এই সারমেয়টাকে রশিতে বেঁধে প্রতিদিন এক ফুট একফুট করে কেটে কেটে খুন করা উচিত।)
____
এবার কারণগুলো যোগ করে দিলাম।
ভ্রাত: জ্বিনের বাদশা, সূচনায় বলেছেন - পার্টি জমাতে, বিপরীত জেন্ডারের কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে - - - । আমার মনে হয়, কোন মজলিশে এটা শুনলে অনেক মেয়ে নাক সিঁটকে পালাবে - "ছি: কী অসভ্য একটা ছেলে - - -"
হে হে হে ,,, আপনেরে ডুবানোর জন্যই তো দিছিলাম ,,,,সব হিমু আর ধুসরের ফন্দি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হায় হায়!
আপনিও?
১. উখিয়া বিবি
২. খোকা চৌধুরি
৩. বদরুল
৪. পারুল
৫. ইন্দু বাহাদুর
৬. অতুল
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এটা অত ভয়ংকর না
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১. উখিয়া বিবি
২. পারুল
৩. খোকা চৌধুরি
৪. বদরুল
৫.
৬. ইন্দু বাহাদুর ও অতুল (সমান ভাবে দায়ী )
ফার্স্টক্লাস সাইকোলজী টেস্ট এর ফলাফল কবে জানতে পারব ????
তবে গল্পের নায়িকার মৃত্যুর জন্য গল্পকারকে দায়ী করা যেতে পারে
তানিয়া
রেজাল্ট আজ সন্ধ্যায় দেব ....এটা আসলে খুব একটা ইনহিয়ারেন্ট টেস্ট না,,,বেশ ডাইরেক্ট রেজাল্ট ,,,কাজেই শকিং কিছু না
ওহ, গল্পটা ইন্টারনেটে থেকে বাংলায় রূপান্তর করে দিয়েছি ,,, কাজেই নায়িকার মৃত্যুর দায় আমার ঘাড়ে পড়ছেনা কোনভাবেই, রাইট?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যাহোক, তর সইছেনা, রেজাল্ট জলদি দিন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
১. উখিয়া বিবি -- ধনী মহিলা (নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর দায় না নেয়া অস্বাভাবিক কিছু না, তবু কিছুটা দয়াবান হতে পারতো)
২. অতুল -- প্রেমিক (একে দোষ দিতে ইচ্ছা করে অনেক বেশি, কিন্তু অতুলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তার মন ভাঙার ব্যাপারটা আমলে নিতে হয়)
৩. পারুল -- প্রেমিকা (প্রেমে এত পাগল না হলেও হত, কিন্তু পাগলামিতেই তো প্রেম সার্থক)
৪. খোকা চৌধুরী -- অতুলের বন্ধু (সভ্য হলে কেউ লীলাখেলা দেখতে লোক ডেকে আনে না)
৫. বদরুল -- মাঝি (সম্ভ্রমের চেয়ে শাড়ি বড়!)
৬. ইন্দু বাহাদুর -- ধর্ষক (বাই-ডিফল্ট!)
চমৎকার, ইশতিয়াক
একেবারে কারণসহ ,,, আমার উত্তরটা ভিন্ন ছিল, কিন্তু আপনার কারণগুলো দেখার পর মনে হয়েছে ,,, হুমমম, এটাওতো যুক্তিসংগত!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার কাছে যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না, বিশেষ করে অতুলের ব্যাপারটা। শুধুমাত্র ধর্ষনের কারনে পারুল অবশ্যই আত্মহত্যা করে নি, করেছে অতুলের অবিশ্বাসের কারণে। যেকোন অবস্থায় অতুল যদি পারুলকে সমর্থন দিতো, তাহলে পারুল অবশ্যই বাঁচার শক্তি পেতো। কাজেই আর যার যতটুকুই দোষ থাকুক, অতুলই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
আর অতুলের মনের অবস্থা চিন্তা করাই উচিৎ না, কেমন প্রেমিক, এইটুকু বিশ্বাস যার না আছে!
ইশতিয়াক ওরফে বিল্লাল ভাই, ভালো হইয়া যান!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এখন মনে হচ্ছে আপনার কথাটাই ঠিক .... আমি কোথায় যাই?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
উহু, মানতে পারলাম না, আপু। প্রেমিকাকে আর কারো সাথে দেখে যার বুকে আগুন জ্বলে না, তার প্রেম নিয়ে আমার প্রশ্ন থাকবেই। দূর থেকে দেখে ভুল বুঝে থাকলে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। পাগলামোর মত ঈর্ষাও প্রেমের অনেক বড় মাপকাঠি। বড় প্রেম শুধু বড় মনের জন্ম দেয় না, বড় পাগলামো, বড় জেদ, বড় ঈর্ষা, বড় ইগোর মত অনেক ঋণাত্মক অনুভূতিরও জন্ম দেয়। এটা প্রেমেরই অনুষঙ্গ।
পারুলের কথা অতুল বিবেচনা করতে পারতো, করা উচিত ছিল। সে-কারণেই অতুলকে দুষতে ইচ্ছা করে, কিন্তু অতুলের কষ্টও অমূলক না। ভুল বোঝা থেকেও অভিমান চলে আসতে পারে।
আমার কথাগুলো অন্যভাবে নেবেন না, প্লিজ। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিটা জানা দরকার আমার নিজের প্রয়োজনেই। বিশ্বাস করে ঠকার অভিজ্ঞতা আমার জীবনে অনেক। সে-কারণেই আমি অতুলকে এত দোষ দিচ্ছি না হয়তো।
বাস্তব বিবেচনা করে আগের তালিকাটা করেছিলাম। দাগা খাওয়ার আগের ইশতিয়াক, বছর চারেক আগের ইশতিয়াক হয়তো এইভাবে তালিকা করতো।
প্রেমিকা (প্রেমের পাগল) < ধর্ষক (প্রবৃত্তির দাস মাত্র) < বন্ধু (নিজের শ্রেণির ঊর্ধ্বে উঠতে ব্যর্থ একজন মানুষ মাত্র) < মাঝি (বাংলার শাইলক) < ধনী বুড়ি (পুঁজিবাদের দোসর!) < প্রেমিক (ছি, এ কেমন প্রেম!)
১. উখিয়া বিবি
২. পারুল
৩. বদরুল
৪. খোকা চৌধুরী
৫. ইন্দু বাহাদুর
৬. অতুল
------------------------------------------------------------------------
মেরেছিস কলসীর কাণা
তাই ব'লে কি প্রেম দেব না?
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
মুর্শেদ, অমিত, শিমুল, তারেক, তাপস, সবাইকে ধন্যবাদ
বাকীরাও অংশ নিয়ে ফেলুন ,,,,কুইক!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সাবধান! জ্বীন ভূতে আপনারা বিশ্বাসী না হতে পারেন, কিন্তু জল্পাই রাজ্যের চর সর্বত্র বিরাজমান। এটা তাঁদের ডিজাইন করা (স্যাম চাচার সাহায্যে) অনেক গভীর এক টেস্ট, এবং যেহেতু এর ৬! = ৭২০ রকম উত্তর হতে পারে, এই মানস পরীক্ষা দিয়ে তাঁরা বিশেষ করে ইন্টারনেটের বদ-ছোকরাদের ৭২০ ক্যাটেগরীতে ভাগ করে জাতীয় স্মার্ট আই,ডি কার্ডে রেকর্ড করে রাখতে পারেন। আপনারা নিশ্চয়ই সবাই সাপ্তাহিক 'যায় যায় দিন' এ শফিক রেহমানের সেই গল্পটাও পড়েছেন, সেই যে এক ছোট ছেলে মাঝ রাতে উঠে দেখল ঃ নবজাত ভাই বিছানা নোংরা করে গড়াগড়ি যাচ্ছে, মা নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে, আর বাবা কিচেনে কাজের মেয়ের সঙ্গে। সেই গল্পেরও একটা রাজনৈতিক মানে ছিল। এর নেই কে বলতে পারে ?
সর্বনাশ! আমাকে তো এখন লোকে গনপিটুনি দিবে
বজলুর ভাইর সাথে বলাইদার খানিকটা মিল আছে দেখি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১।উখিয়া বিবি,
২।খোকা,
৩।বদরুল মাঝি,
৪।ইন্দু বাহাদুর,
৫।পারুল,
৬।অতুল।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
১. ইন্দু বাহাদুর — ধর্ষক (ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত)
২. খোকা চৌধুরী — অতুলের বন্ধু (ইচ্ছা করছিলো এই লোককে এক নাম্বারে রাখি, কিন্তু কারো উপরে জোর করার চাইতে বড়ো নির্যাতন আর হয়না, তাই ইন্দু বাহাদুরই থাকলো সবচাইতে বড়ো অপরাধী)
৩. উখিয়া বিবি — ধনী মহিলা (মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে সাহায্য করা উচিত ছিলো)
৪. অতুল — প্রেমিক (কেমন প্রেমিক?)
৫. পারুল — প্রেমিকা (গর্দভ)
৬. বদরুল — মাঝি (তারে তো কিছু করে খাইতে হবে, কিন্তু তবু তার একটু মানবিক দিকটা বিবেচনা করা উচিত ছিলো)
এনিওয়ে, কোনো নেমন্তন্নবাড়িতে এমন রসিকতা আমার সাথে কেউ করার চেষ্টা করলে আমি জীবনেও আর তার সাথে কথা বলতাম না।
ব্যাখ্যা:
এই গল্পে ছয়টা চরিত্র মানুষের ছয়টা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে খুব স্পস্টভাবে প্রকাশ করে ...
পারুল -- প্রেম/ভালোবাসা
অতুল -- অহম/ইগো
বদরুল -- বাস্তববাদীতা/প্র্যাগমেটিজম
উখিয়া বিবি -- উদাসীনতা(!!)/ ইনডিফারেন্স
ইন্দু বাহাদুর -- ইচ্ছামতো যাখুশী করা বা বলা/ইম্পালসিভনেস
খোকা চৌধুরী -- খোলামন/ওপেননেস
তো, সবার মাঝেই এই বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে, ব্যবধানটা হয় কতটা সে প্রকাশ করছে বা অন্যের সাথে শেয়ার করছে।
উপরের চরিত্রগুলোর মধ্যে আপনি সবচেয়ে বেশী দোষী যাকে ভাবছেন তার করেসপন্ডিং বৈশিষ্ট্যটা আপনি সবচেয়ে কম শেয়ার করেন বা অন্যকথায় সবচেয়ে বেশী চেপে রাখেন
একই ক্রমে, সবচেয়ে কমদোষী যাকে ভাবছেন তার করেসপন্ডিং বৈশিষ্ট্যটা আপনি সবচেয়ে বেশী শেয়ার করেন
যেমন আপনি যদি পারুলকে খুব বেশী দোষী ভাবেন তার মানে আপনি প্রেম বা ভালবাসা অতটা প্রকাশ করেননা ,,,সেক্ষেত্রে আপনার ভালবাসার মানুষটি যদি এনিয়ে আপনাকে অভিযুক্ত করে তাহলে বুঝে নিন যে তিনি ভুল করছেননা।
আবার আপনি যদি ভাবেন বদরুলের দোষ সবচেয়ে কম, তাহলে আপনি খুবই বাস্তববাদী, আরেকটু কবিতা-টবিতা পড়ুন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভালো ব্যাখ্যা!!!
আমার রেজাল্ট ভালো হইতা গিয়াও পুরা ভালো হইলো না। এইজন্য আমি খুবই রাগান্বিত। আমি পারুলকে দুই নাম্বার বেশি দোষী বলেছি, এখন আমার প্রেম-ভালোবাসা নিয়া প্রশ্ন উঠলে তো আমি মানব না!
ধুর মিয়া, আপনার গল্পে দোষ আছে। "আত্মহত্যা" টপিকসটা একটা ফ্যাক্টর এখানে, যদি পারুল আত্মহত্যা না করে অন্য কিছু করতো, তাইলে তারে একটুও দোষ কে দিতে যাইতো? আত্মহত্যা যে করে তার নিজের তো দায় থেকেই যায়। আর প্রেমিককে দেখতে যেতে শাড়ি খুলে যাওয়াটাই বা কেমন কথা হলো?
ধুর!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ঠিকই ধরেছেন। আমিও এই দলেই পড়ি। আমার সিকোয়েন্সটা দেখে নিন, একদম আইডিয়াল বাস্তববাদী।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আলোচ্য গল্পে পারুলের আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ক্রম (কম থেকে বেশি) :
১) বদরুল -- মাঝি (পেশাদারি মনোভাব। টাকা বা শাড়ির বিনিময়ে নদীপাড়, এ শর্তে রাজি থাকলে উঠো নৌকায়। কোনো জবরদস্তি করে নাই মাঝি।)
২)উখিয়া বিবি -- ধনী মহিলা (অন্য কিছুর জন্য দায়ী হতে পারেন, পারুলের আত্মহত্যার জন্য নয়। বরং তাঁর উত্তর যুক্তিসঙ্গত।)
৩) ইন্দু বাহাদুর -- ধর্ষণকারী (গল্পে চরিত্রটাই এমন বদ, ধর্ষণ সে করতোই, পারুল শাড়ি পড়ুক আর নগ্ন থাকুক।)
৪) খোকা চৌধুরী -- অতুলের বন্ধু (ধর্ষণকে সঙ্গমলীলা ভেবে খবর রটেছে, একটু ছাগল তো বটেই; তারপর অতুলের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপন করেছে।)
৫) অতুল -- প্রেমিক। (প্রথম ওজুহাত। ওথেলো সিনড্রোমে আক্রান্ত মন, রেহাই পায় না আপনজন। পারুলকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য পরোক্ষ দায়ী।)
৬) পারুল -- প্রেমিকা (সরাসরি দায়ী। যে-কোনো আত্মহত্যার জন্য অন্যদের দায়ী করা ওজুহাত। আর এমন প্রেমিকের জন্য মরে যাওয়াও হাস্যকর।)
ধন্যবাদ জিকো .....অনেকদিন পর মনে হয়? ।।।। আমি এদিকে অনেকক্ষণ ধরে ভাবলাম ইশতিয়াক রউফ কি উত্তর বদলালো কিনা! ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ডরে ছিলাম।
এই বুঝি বাদশা ভাই আমার সাইকো অ্যানালাইসিস করে বলে ওঠে, "ওই ব্যাটা তুই তো দেখি চুপা ধর্ষক!"
বিশ্লেষণ দেখে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি!
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সেই ডরে আমি মন্তব্যই করি নাই আগে
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এখন থেকে তাহলে টেস্টের সাথে সাথে জবাবটাও দিয়ে দিতে হবে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হে হে হে ....পরের বার কিন্তু ছাড়ন নাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
তাইলে ব্যাপারডা খাড়াইল কি? আমার স্কোর কত?
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
আপনার স্কোর ভাল .... ম্যাচিওরড মানুষ ইন্ডিকেট করতেছে ... তবে আপনি অহম প্রকাশ করেননা, যেটা অন্যদের এডভান্টেজ নিতে হেল্প করতে পারে ...ঠিক বলছিনা?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা ভাই আমি একবার আগেই বলেছি। সবার মন্তব্য পড়লাম
_____________________________
টুইটার
১। পারুল
২) ইন্দু বাহাদুর
৩) উখিয়া বিবি
৪) বদরুল
৫) খোকা চৌধুরী
৬) অতুল
নতুন মন্তব্য করুন