গাড়ি ড্রাইভ ওয়েতে পার্ক করতে করতে খেয়াল করলাম বাসার গেট টি খোলা, তারমানে কেউ এসেছে। কে এসেছে ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে ঢুকি। শুনতে পেলাম রান্না ঘর থেকে কিছু কন্ঠস্বর ভেসে আসছে, তবুও বুঝতে পারলাম না কে এসেছে। নিজের রুমে এসে ঢুকবো তখন দেখি দরজায় একটা খাম স্টিকিটেপ দিয়ে আটকানো। ওপরে বড় বড় করে মুমু লেখা। দেখে একটু অবাক হই, আমার রুমের দরজায় এভাবে কে চিঠি রাখল। খাম টা দরজা থেকে খুলে নিয়ে ঘরে ঢুকি। ব্যাগটা নিচে রেখে চিঠিটা খুলতে থাকি। ভাবতে থাকি এভাবে নাম না লিখে স্টিকি টেপ দিয়ে দরজায় চিঠি কে রাখতে পারে। কিন্তু চিঠি খুলে তো আমি অবাক। এতো দেখি এলোমেলো ভাবে লেখা এক Ransom চিঠি।
ইংলিশে লেখা চিঠির ভাষা হলঃ "তুমি যদি তোমার প্রিয় ডলফিনটাকে আবার দেখতে চাও তাইলে ২০ ডলার এই খামে ভরে আমার রুমে নিয়ে আসো, আর আম্মুকে বললে তোমার ডলফিনের ওপর গ্যাসের গুলি করা হবে"। পড়ার সাথে সাথে আমি রেগে ছুটে যাই আমার ছোট ভাইয়ের ঘরে। গিয়ে দেখি আমার ছোট খালাত ভাই আর আমার ছোট ভাই দুজন আমাকে দেখেই হেসে কুটিকুটি। ওদের হাসি দেখে আমার রাগ আরও বেড়ে যায়। আমি ধমকের সাথে বলি "আমার ডলফিন কোথায়?" কিন্তু কার কথা কে শোনে, ওদের হাসি থামেইনা, কোন রকমে একজন শুধু বলতে পারল "জানিনা"। বকা বকি করেও যখন কিছু বলেনা তখন আমি গেলাম আম্মুর কাছে নালিশ নিয়ে। আম্মুকে জোর করে নিয়ে আসলাম আমার জিনিস ফিরত দিতে বলার জন্য। কিন্তু আম্মু আসতেই দেখি ওরা খুব ভদ্র ভাবে পিসিতে কি যেন দেখছে, যেন ডলফিন তো দুরের কথা, ভাব দেখে মনে হয় পৃথিবীর কোনো দুষ্ট বুদ্ধি এদের ধারের কাছেও কখনো আসেনি। নিষ্পাপ দুই টিনএজার। পরে রুমে এসে দেখি বিছানার ওপর ডলফিনটা।
এ ঘটনা প্রায় ৩-৪ বছর আগের হোলেও আমার ছোট ভাই আর দুই খালাতো ভাইয়ের দুষ্টমি এখনো কমেনি। অনেক ছোট থেকেই যেমন আমার সাথে দুষ্টমি করত তেমন আমার ভক্তও অনেক। অবশ্য ওদের একা দোষ দেয়া ঠিক হবেনা, কারন আমিও ফাজিল কম না। আমাদের বাসায় খালারা রাতে থাকলে বা ওদের বাসায় রাতে থাকলে, আমি সকালে আমার এই ভাইদের আগে ঘুম থেকে উঠে ওদের ঘুম ভাঙ্গাই। না গান গেয়ে না। ঘুমন্ত মুখে পানি ফেলে ঘুম ভাঙ্গানোর যে কি মজা তা না দেখলে বোঝার মত না। ওরা ঘুমন্ত চোখে হাত-পা ছোরার আগেই আমি দৌড়।
সব ভাইবোনরাই মারামারি করে। আমরা মারামারি করলে যেহেতু আমি শক্তিতে ওদের সাথে পারব না তাই আমার নিজেকে বাঁচানোর এক পদ্ধতি হল স্পিটিং। এই স্পিটের টেকনিক অনেকটা ভেঙচি কাটার মত, জিব্বা অল্প একটু বের করে, ফ্লাট করে থুতু দিলে তা ছোটছোট কনা হয়ে ছড়ায়ে পরে। আমাকে ওরা এট্যাক করতে আসলেই আমি বলি "স্পিট করলাম কিন্তু" এই বলেই স্পিট করা শুরু করি, আর থুতুর ছোট ছোট কনা ছড়ায়ে ছিটায়ে পরে। ওরা ইউউ ইউউ করতে করতে সরে যায়, থুতুর কনা গায়ে লাগার ভয়ে কাছে আসেনা আর আমি বিজয়ির হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকি।
সুযোগ পেলেই কারনে অকারনে আমি ওদের খোঁচাতে ভালবাসি, কারন আমি জানি ওরা নালিশ করলেও কোনো পাত্তা পাবেনা। আর আমাকে কিছু না করলেও আমি যদি শুধু বলে উঠি "আম্মু দেখোতো" তাহলেই আম্মু অন্য রুম থেকে ওদের বকা দেয়। তবে আদরের কথা বললে বলব আমি আম্মুকে খুব কমই মুখে বা কথায় আদর করতে দেখেছি। অনেক মা'দের মত আদর করে আম্মু মুখে "মা, মামনি" ডাকা বা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া এমন করেনা। তবে আম্মুর আদর অনুভব করি প্রতিদিন, প্রতিক্ষন, যা বলে শেষ করা যাবেনা। প্রতিবার জন্মদিনে আম্মু কার্ডে সুন্দর সুন্দর কথা লিখে দেয় যা মুখে কখনো বলেনা। বেশ কিছু বছর আগে আমার এক জন্মদিনের কার্ডে আম্মু কিছু কথার সাথে বলেছিল "তোমার জন্মদিনটা আমাদের কাছে যেমন স্বপ্নীল আর আনন্দের ছিল, তেমনি সুখ, আনন্দ ও সমৃদ্ধে পরিপুর্ন হোক তোমার জীবন"। সেই সময়টা আমার খুব কষ্টের একটা সময় ছিল, জীবনের কোনো মানে খুঁজে পেতাম না তখন। শুধু মনে হত খুব অন্ধকার একটা ঘরে আমি একা আটকে আছি যেখান থেকে বের হওয়ার কোনো দরজা নেই। সেই সময়ে আম্মুর এই কথাগুলো পড়ে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল, ভেবেছিলাম ইসস ভাগ্যিস আম্মু জানেনা আমি মনে মনে কি কষ্টে আছি।
সবার ছেলেবেলার নানা রং বেরঙের মজার মজার স্মৃতি আমার শুনতে খুব ভাল লাগে। এখানে সচলের অনেকের ছেলেবেলার স্মৃতি নিয়ে লেখা পড়ে আমারও কিছু লিখতে ইচ্ছে করল, তাই এ লেখা। শেষে একটি কান্ড দিয়ে লেখা শেষ করছি।
চালাকি
ইংল্যান্ডে আব্বু পড়াশোনার জন্য এসেছে, সাথে সঙ্গি হয়ে আমি আর আম্মুও এসেছি। আমার বয়স হবে ৫-৬ এর মত। যে বয়সে সাধারনত বাচ্চারা কেউ দোকানে যাচ্ছে শুনলেই সাথে যাওয়ার জন্য লাফালাফি করে, আমিও তেমনই করতাম। তো ঘটনার দিন আব্বুও বাধ্য হয়ে আমাকে সাথে নিয়ে গেল।
লক্ষি মেয়ের মত আমি আব্বুর হাত ধরে সপিং এ এলাম। আব্বু কিছু ফলমুল কিনবে বলে এক জাগায় দাঁড়াল, দাঁড়িয়ে উঁচু এক টেবিলে কি কি যেন দেখছে কেনার জন্য। বলে রাখছি লম্বায় আমি তখন আব্বুর হাটুর সমান হব, তাই ঐ টেবিল আমার চেয়েও উচু। তাই আমি বোরড হয়ে কি করব ভেবে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। তখন একটা খেলনার দোকানে চোখ পড়ল। ভাবলাম অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আব্বু যদি আমাকে রেখে চলে যায়। তখন ভেবে একটা বুদ্ধি বের করলাম। ভাবলাম আব্বুর প্যান্টের পিছনের পকেটে যদি হাত ঢুকিয়ে রাখি তাহলে আব্বু নড়লে বা চলে যাওয়া শুরু করলেই আমি বুঝতে পারব।
যা ভাবা তাই কাজ, আমি আব্বুর পিছনের পকেটে হাত ঢুকিয়ে অন্য দিকে সবকিছু দেখতে থাকলাম মনের আনন্দে। বেশ কিছুক্ষন পর আমার হাতে টান পরল, মানে আব্বু চলে যাচ্ছে। আমিও যাওয়ার জন্য ঘুরে দাড়াই.... কিন্তু একি!, ওপরে তাকায়ে দেখি এ অন্য আরেক বিদেশি লোক, তারমানে আমি এতক্ষন অন্য এক লোকের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে আব্বুকে না দেখে ভয়ে কান্না শুরু করলাম। ঐ বিদেশি লোক আমাকে থামানোর জন্য নানান কথা জিজ্ঞেস করছে, বোঝানোর চেষ্টা করছে , কিন্তু আমি এদিকে কেঁদেই যাচ্ছি,
এমন সময় দেখি আব্বু দৌড়ে আসছে .....
মন্তব্য
নাহ, আপনার আশেপাশে তো ওয়ালেট সহ যাওয়া যাবে না। কখন কী নাই হয়ে যায়, ঠিক নাই।
ডলফিন??
হি হি হি

আচ্ছা যান আপনার পকেট মারব না
ডলফিন = মাছ, তবে খেলনা টেডি বেয়ার এর মত
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- শেষের ঘটনায় মজা পেলাম বেশ!
অন্য মানুষের পেছনে হাত দাও কেনো?
ছেলেবেলার কাহিনী লিখতে গিয়ে টিনএজ বেলার কাহিনী লিখে ফেলেছো দেখি। টিনএজ বেলা হলো বুইড়া বেলা। ছেলেবেলার রং তখন ফ্যাকাশে। মাথায় ও মনে তখন নানা হিসাব কিতাবের চিন্তা। ছেলেবেলাগুলো ভিন্ন। তখন মাথায় ও মনে কোনো হিসাব নিকাশ থাকে না। থাকে নিষ্কলুষ বিনোদন ও আনন্দ লাভের লোভ।
সর্বোপরি লেখাটা মুমু মুমু হয়েছে। লেখাটা পড়ার সময় হঠাৎ মনে এলো, তোমার অবয়ব সিডনীবাসী অন্যান্য অনেক বাঙালী বালিকার অবয়ব থেকে আলাদা। আবহাওয়ার কারণেই যদি হয়ে থাকে তাহলে আবহাওয়া তোমাকে কাবু করতে পারেনি কেনো!

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমম আসলেই কিছু টিনএজ বেলার কথাও চলে আসছে অজান্তেই
তবে আপনার শেষ কথাগুলো বুঝলাম না, "মুমু মুমু লেখা" মানে? আশাকরি খুব খারাপ কিছুনা
আর সবার অবয়বই তো আলাদা হয় .....
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- আরে না, খারাপ কিছু না। বললাম তোমার মতোই লেখা। কে জানি সেদিন বললো না, "সুইট!"
কিন্তু তুমি খারাপটা চিন্তা করলা কেন, তুমি কি কাঁঠালের মতো খারাপ নাকি?

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- তাইলে কি তুমি খারাপ?

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওমা আমি খারাপ হব কেন?
আমি তো মনেহয় ভাল 
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- তাইলে তুমি কি কাঁঠাল?

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- তাইলে মুমুমুমু'র সাথে কাঁঠালকাঁঠালের সম্পর্ক কোথায়?

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাতো জানিনা
তবে আর কোনও ফল পাইলেন না, জাম, তেতুল, জলপাই, বড়ই আরো কত মজার মজার ফল আছে সেগুলো বাদ দিয়ে আপনি সিলেক্ট করলেন কাঠাল? 
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- সেজন্যই তো বললাম কাঁঠাল খারাপ। আর খারাপ কাঁঠালকে ভালো বলে চালিয়েছো বলে তুমিও খারাপ।
তাইলে আমি ভুলটা বললাম কোথায়?

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ভাইরে এ কোন জন্তু সাথে লয়ে ঘুরতাছেন । এতো নাশ কইরালাইব বেবাগ ।
eru
-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।
১। ইশতি শুধু মুমুর অন্যের পকেটে হাত দেয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছেন
কিন্তু আমি ভাবছি
মুমুর স্পিটিং নিয়ে
তাই ইশতিকে সাবধান করছি
মাস্ক ব্যবহার কইরেন
২। মুমু লেখা ত' ভাল হইছে
কেন যে ইতস্তত করলেন ব্লগে দিতে
*******************************************
A life unexamined is not worthliving.-Socrates
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হা হা হা ধন্যবাদ মানিক ভাই

ইতস্তত করতে করতে পরে দিয়েই দিলাম
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
তা যা বললেন! পরিবর্তনশীল ভাইয়ের জন্য প্লট...
এরপর কোন সচল-চলচ্চিত্র সচলায়ন করলে মুমু'কে নায়িকা রাখতে পারেন। অজ্ঞাত ভিলেনকে মুমু তাড়া করবে, আর ভিলেন চিৎকার করে বলবে, "স্পিট করিস নে, ডাইনি! ঘরে ছোট ভাই নেই তোর?"
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মজা পাইলাম।
ভাগ্যিস আপনি আমার বোন ছিলেন না...তাহলে স্পিটিং করলে আপনাকে গ্যাস বন্দুক না, এক্কেবারে আসল বন্দুক দিয়া গুলি করতাম।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
হি হি হি, আমিও তাহলে ভাগ্যিস তোমার বোন হইনি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার ছোট ভাই ছোট থাকতে তার এই মারাত্নক অভ্যাসটা ছিল । অবশ্য জিনিসটা আমিই তাকে শিখিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সে আমার বিদ্যা আমার বিরুদ্ধে কাজে লাগান শুরু করে । বয়স একটু বাড়ার পর তার থুতু ছিটানোর অভ্যাসটা লোপ পায়, সেই যায়গা নেয় খামচানোর অভ্যাস । থুতু ছিটানোটা তাও সহ্য করা যেত, খামচির কথা যে ভাই কি আর বলব

এখনো আমার মুখে তার কৃতিত্বের স্বাক্ষর রয়েছে । আরো একটু বড় হবার পর খামচি বন্ধ করে দিল, শুরু করল বাইসাইকেল কিক । মারামারি করার সময় একবার তাকে ধরাশায়ী করলেই হল । মাটিতে শুয়ে দুই পা আকাশে তুলে শুরু করত তুমুল বাইসাইকেল কিক । তার দুইপাএর নাগালে মানুষ অমানুষ জীব জানোয়ার যা কিছু থাকত সবার দফা রফা । আরো একটু বড় হবার পর, মানে যখন ওর বয়স ১০ এর মত হয়ে গেল, আমার সাথে তার ভাল খাতির হয়ে গেল । তবে মারামারি থামেনি, এর পর আমরা শখের বশে মারামারি করতাম । এখনো মাঝে মাঝে করি, যদিও দুউজনের বয়সের যোগফল প্রায় চল্লিশ । বাড়ির 'দামড়া' ছেলে গুলো কুস্তি করছে দেখে আমার মা হায় হায় করতে থাকেন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মজা লাগল আপনার ভাই এর কথা শুনে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হেব্বি লিখসো... পুরা সালসা!!
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ধইন্যবাদ স্বপ্নাহত জি

কিন্তু এখানে আবার নাচানাচি আসলো কিভাবে?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কবি এখানে 'সালসা' বলতে "পুরাই ঝাক্কাস" বুঝিয়েছেন।
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তাইলে ঠিকাসে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কি ঠিকাসে, কিচ্ছু ঠিক লেই...শুনলাম এখনো নাকি স্পিটাও? তোমার সামনে কি সবাই হেলমেট পরিহিত হয়ে যায়?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারুক ভাই কিযে বলেন আমি কি যাকে তাকে স্পিটাই নাকি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
থুথু ছিটানোর কথাটা আগেই একবার বলেছিলে তুমি, মনে পড়ে গেল।আর শপিং মল বা মেলায় আম্মু-আব্বুর সাথে গিয়ে হারিয়ে যাবার ঘটনা আমার একাধিকবার ঘটেছে।সেই সময়ের অনুভূতির কথা মনেও করতে চাইনা, এত্তো ভয় লাগতো।তবে আরো মজার কথা হচ্ছে আমি নিজেই কিভাবে যেন খুঁজে বের করে ফেলতাম উনারা হারিয়ে গেলে।মজাই লাগল তোমার স্মৃতিকথা পড়ে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমুকে মিষ্টি করে দুষ্টু বলা হলে কার কার ভালো লাগবে হাত তোলেন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হাহাহা আপু শাকিলার একটা গানের কথা মনে করিয়ে দিলেন,
"তুমি মিষ্টি করে দুষ্টু বল শুনতে ভাল লাগে, আমার এ মন ভরে যায় গভির অনুরাগে"
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আপ্নেরে বলা হইলে আমি আগেই তার জন্যে হাত তুইলা রাখলাম...
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
শিমুল আপুর জন্য আমিও হাত তুললাম

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বাতাস কি উল্টা দিকে বহিতেছে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নাহ
আমি ছোটবেলা নেহাত ভদ্রলোক ছিলাম বলা যায়
কোনো ঝামেলা করতাম না
শুধু একবার বাসায় অনেক গেস্ট
পরের দিন সকাল সাতটায় তাদের ট্রেন
আমি রাতে তাদের হাতঘড়িসহ বাড়ির সবগুলো ঘড়ি এক ঘণ্টা স্লো করে রেখে দিলাম
পরের দিন তারা স্টেশনে গিয়ে দেখে ট্রেন চলে গেছে বহু আগে কিন্তু তাদের ঘড়িতে তখনও ট্রেন ছাড়ার সময়ই হয়নি
০২
মুমুর এই পোস্টটা পড়তে পড়তে খেয়াল করলাম আমার পিসির স্ক্রিনেও অনেকগুলো থুতুর ছিটা
ইসসরিরে
পিসি থেকে দশ হাত দূরে বসে পড়তে হচ্ছে এখন
এই পোস্ট যারা পড়বেন তারা পিসির স্ক্রিন গামছা দিয়ে ঢেকে পড়বেন
আর যারা মুমুর সাথে ফোনে কথা বলবেন তারা ভালো করে নিজের কান এবং ফোন টিসু পেপার দিয়ে প্যাচিয়ে রাখবেন
ওহ তার মানে লীলেন ভাই আপনি ফাজলামি করে চুপচাপ নিষ্পাপ সেজে থাকতেন
হি হি হি
আর আপনার পিসির স্ক্রিনের জন্য এই নেন গামছা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আত্ত ভীড়! কিছুই তো দেখি না! দুইটা ইট নিয়া আসি। তারপর...
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
জুলিয়ান ভাই আমিতো ভাবলাম আপনি আমার পঁচানির কথা ভুলে গেসেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার আগের মন্তব্যটা আসে নাই। তাই আবার করলাম -
মুমু আপনার লেখা ভালো হইছে।
--------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এই হাবিজিবি লেখার আবার ভালো, তবু কষ্ট করে পড়ার ও ২বার বলার জ্ন্য ডাবল ধন্যবাদ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
উরে বাবা! স্পিট! খবিশ টেকনিক! যদিও কার্যকরী
কার্যকরী মানে সাংঘাতিক রকমের কার্যকরী

দেখতে হবেনা কার মাথা থেকে আইডিয়াটা আসছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
জট্টিল বস! @ মুমু।

---
কিন্তু ছবির বালক দেখি বোতলের ছিপি না খুলেই পানি খাওয়ার জন্য ডলফিনের মতো হা করে! কেমনে কী!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এই হাবিজাবি লেখাকে জটিল বলার জন্য ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই

হুম ছবির বালক এমনই হি হি হি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু, আমার ছোট বোন আমার তের বছরের ছোট। ওকে আমি ভয় দেখাতাম, দুষ্টুমী করবিতো ছুরি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফ্রিজ়ে ভরে রাখবো, বুয়া রেধে ফেলবে, আমরা খেয়ে ফেলবো কেউ টের পাবে না।
ও আমার ডর দেখানোতে অতীষ্ট হয়ে একদিন ছুরি নিয়ে এসেছে, আমাকে কেটে ফেলবে। আমি কলেজ থেকে এসেছি খেয়ে ঘুমাবো, চোখ খুলে রাখতে পারছি না আবার ঘুমাতেও পারছি না, কারন ও না সত্যিই আমার গলায় ছুরি বসিয়ে দেয়।
সাবধান, বুমেরাং হতেও পারে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হায় হায়!
বলেন কি!! কি ভয়ংকর 
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মজা পাইলাম।
লেখা খুব্বই সুইট হইছে। 
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনাকে খুব্বই ধইন্যবাদ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আপু দারুন হয়েছে।
ধন্যবাদ সামিউল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
খুব সুইট লেখা। ভালো লাগল অনেক।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
আপনি কি আজকে শুধু আমার সব লেখাই সিরিয়াল করে পড়লেন নাকি

থ্যান্কিউ থ্যান্কিউ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হ্যাঁ, আজ সিরিয়ালি আপনার কয়েকটা লেখা পড়লাম আর নিজেকে গাধা বলে গালি দিলাম আগে কেন পড়িনি!
আপনার লেখার হাত আসলেই দারুন। আপনার আরো বেশি বেশি লেখা উচিত
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
হাহাহা কি যে বলেন কি উল্টা পাল্টা লিখি তার আবার ভাল
, বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ 
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নতুন মন্তব্য করুন