ইদানিং অনেকের লেখায় "ছোটো ছোটো অথচ অমোঘ মানবিক মনোপীড়নের দ্যাখা পেয়ে" নিজের কিছু ফেলে আসা স্মৃতি মনে পরে গেল। (কথাটা পলাশ দত্ত ভাইয়ের এক কমেন্ট থেকে চুরি করা, আমার পক্ষে এত শক্ত, সুন্দর কথা ভাবাই সম্ভব না, লেখাতো দূরের কথা) যাইহোক লিখতে লিখতে লেখাটা একটু বেশি বড় হয়ে গেল, তবু পোস্ট করে দিলাম। আমার জীবনে প্রথম এবং আশাকরি শেষ ক্যাম্পিং করা।
HSC রেসাল্ট
আমি তখন আমার HSC রেসাল্ট বের হওয়ার দিন গুনছি। HSC পরীক্ষা শেষ হয় নভেম্বরের প্রথম দিকে আর রেসাল্ট বের হয় ডিসেম্বরের ১৯। এই অপেক্ষার সময়টা যে কিভাবে চলে যায় টেরই পাওয়া যায়না। এমন করতে করতে জীবনের সেই মহা অপেক্ষার দিন এসে গেল। যেদিন রেসাল্ট বের হবে তার আগেরদিন রাতে ঘুমই হয়নি। মনে হচ্ছিল কখন সকাল হবে ৯টা বাজবে, ৯টায় রেসাল্ট বের হবে, ইন্টার্নেটে আমার একাউন্টে লগইন করে রেসাল্ট দেখব। সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়েছি।
তারপর সকাল ৭টায় উঠে পিসির সামনে বসে ছিলাম যেন ৯টা বাজার সাথে সাথেই একাউন্টে ঢুকতে পারি। কিন্তু ৯টা বাজল, তারপর ৯টা ১৫ বাজল কিন্তু লগইনই করতে পারিনা, বার বার বলে বিসি, বিসি। তারপর ফোন করেই রেসাল্ট জানলাম ৯টা ৩০ এর দিকে, সাথে সাথে আম্মু আব্বু কে অফিসে জানালাম। তারপর ১০টা থেকে অন্য সবার ফোন আসা শুরু হল। বন্ধুবান্ধবের চেয়ে আন্টিদের ফোনই বেশি। এমনকি অপরিচিত আন্টিদেরও আমার রেসাল্টের চিন্তায় রাতে ঘুম হয়নি।
যাইহোক এখানে রেসাল্ট বের হওয়ার আগেই বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে হয়। আমারো তেমনি পছন্দের সাবজেক্টে আগে থেকেই এপ্লাই করা ছিল। তারপর রেসাল্ট বের হলে রেসাল্টের ওপর ইউনিভার্সিটি সেইসব এপ্লিকেশন এক্সেপ্ট করে। আমার ইচ্ছা ছিল সাইকোলোজি পড়া, আব্বু আম্মুর ইচ্ছা সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং। দুটোতেই চান্স পাই কিন্তু আমাকে কনভিন্স করা বেশ সোজা, তাই আব্বু আম্মুদের ইচ্ছারই জয় হয়।
ইউনিভার্সিটির ছাত্রী
নতুন ইউনিভার্সিটি শুরু করব, মনে খুব একটা বড় বড় ভাব। ইসস কত বড় হয়ে গেলাম। ছোট ভাই, কাজিনদের গম্ভির হয়ে উপদেশ দেয়া, খবরদারির মাত্রা বেরে যাওয়া, এক কথায় আমি মহা খুশি। আর এই ইউনিভার্সিটি যাওয়া উপলক্ষেই আমার প্রথম মোবাইল ফোন পাওয়া, ছোট নকিয়া নীল কাভারের। সেই প্রথম মোবাইল পেয়ে যে কি আনন্দ হয়েছিল। আর এখনতো প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চারাই মোবাইল নিয়ে ঘুরে। কি দিন আসল
তারপর এলো ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশন ডে - আব্বুকে সাথে না নিয়ে কিভাবে যাই? সিডনি এসে যখন প্রথম প্রাইমারি স্কুলে বাবার হাত ধরে গিয়েছিলাম অনেকটা সেরকমই, শুধু এবার হাত ধরা বাদে।
তারপর আব্বুর সাথে ইউনিভারসিটিতে এসে বড় এক হলে গিয়ে বসলাম যেখানে সব পরিচিতি হবে। কিন্তু ওমা চেয়ে দেখি চারপাশে সব শুধু ছেলেমেয়ে, দু-একজন ছারা কারো সাথে বাবা-মা আসেনি। সেই দু-এক জনের মাঝে আমি একজন।
হায় হায় কি লজ্জা আমি আব্বুকে বললাম আব্বু তুমি তারাতারি চলে যাও, এখানে কারো সাথে বাবা-মা আসেনি। তুমি থাকলে আমার কোনো ফ্রেন্ড হবেনা। তুমি তারাতারি যাও। আব্বু হেসে বলে তুমি একা বাসায় আসবা কিভাবে। তখন চিন্তা করে দেখলাম তাইতো। যদিও বাসায় যেতে তখন বাসে লাগত মাত্র ১৫ মিনিট তবুও এতটুকু সাহসও তখন ছিলনা। বললাম তুমি তাইলে কাছের ওই মাকডোনাল্ডসে যাও, আমার শেষ হলে আমি ওখানে আসব। পার্ফেক্ট প্ল্যান কেউ বুঝবেনা
যাইহোক এভাবে অনেক বলে আব্বুকে পাঠালাম মাকডোনাল্ডসে আমার জন্য অপেক্ষা করতে। আব্বু যাওয়ার একটু পরেই একটা মেয়ে ফ্রেন্ড হয়ে গেল কিন্তু হায়, আবার আব্বুর দরকার পরল। আব্বুকে ফোন করে বললাম আমাদের ইউনিভারসিটি শুরুর আগে ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প হবে ৩ দিনের। সেই পেইমেন্টের জন্য আব্বুর ডাক। আব্বু এসে বলল তুমি যে ভিতু ক্যাম্পে গিয়ে থাকতে পারবা? আমি বললাম অনেক পারব, কারন টেন্টে না ক্যাবিনে থাকতে দিবে আর সবাই যাচ্ছে, আমাকেও যেতেই হবে। ক্যাম্পে যাব ভাবতেই এক্সাইটেড লাগছিল।
ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প
তারপর এলো কাম্পের দিন। জীবনে এই প্রথম বাবা-মা ছারা কোথাও একা যাচ্ছি, আহ! ভাবতেই কেমন একটা স্বাধীন স্বাধীন লাগছিল বাসে ওঠার আগেই কয়েকজন ফ্রেন্ড হয়ে গেল। তারপর বাসে গল্প করতে করতে পৌছে গেলাম ক্যাম্পে।
কিন্তু নেমেই আমার মন খারাপ হয়ে গেল। জায়গাটা কেমন জংগল জংগল ধরনের। জংগলের মাঝে যে সুন্দর বলে কিছু আছে তা ছিলনা। যাইহোক সবাইকে হলে গিয়ে বসতে বলল, হলে গিয়ে দেখি বসার কোনো চেয়ার নেই আর ফ্লোরটা ঝারু দেয়াও না, এখানে সেখানে বালি। ছেলেরা দেখলাম ধপাধপ বসে পরল। আমি এ বালিতে কিভাবে বসব চিন্তা করতে করতে করতে তারপর আমার ব্যাগের ওপর বসলাম। ওরা আমাদের ৩দিনের আয়জন কি হবে তা বলে দিল। তারপর গ্রুপ গ্রুপ করে দিয়ে ক্যাবিনে যেয়ে রেস্ট নিতে বলল। ছেলেদের ক্যাবিন মেয়েদের থেকে আলাদা আর একটু দূরে। আমার যাদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয়েছিল তাদের কেউ আমার ক্যাবিনে পরল না। নতুন ছয়জন মেয়ে। মন আরো খারাপ হয়ে গেল। তারপর ক্যাবিনে গিয়ে দেখি সেখানেও করুন অবস্থা কিসের খাট, শুধু শক্ত কাঠের বেঞ্চের মত, তবে বান্ক বেডের মত।
যাইহোক কিছু খেলাধুলা, খাওয়ার পর সন্ধায় পার্টির পর রাত ১২টার দিকে আমি আর আমার ক্যাবিনের আরেকটা মেয়ে চলে আসলাম ঘুমাতে। সেদিন রাতে ছিল প্রচন্ড গরম আর আমি ঠান্ডা লাগবে ভেবে সাথে লেপ নিয়ে এসেছি।
আমি ওপরের বান্ক নিয়েছিলাম এই ভেবে যে রাতে রুমে কিছু ঢুকলে অসুবিধা নাই কারণ আমি ওপরে থাকব আর পোকামাকরের ভয় আছে বলে আগেই ঘুমানোর আগে ইনসেক্ট রিপেলেন্ট স্প্রে করলাম সারা ঘরে। সাথের মেয়েটা বলল পোকামাকর তো মরবেই বরং তোমার এত বেশি স্প্রেতে আমরাই বাঁচি কিনা কে জানে। ওর কথায় কান না দিয়ে আমি ভালমত চারিদিকে স্প্রে করলাম। তারপর প্রচন্ড টায়ার্ড হওয়াতে শুয়েই প্রায় ঘুম ঘুম ভাব। এমন সময় হঠাত শুনি ফ্রিত ফ্রিত ফ্রিত শব্দ তেলাপোকা উড়লে যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দ। আমি ভয়ে নিচের মেয়েটাকে ডাক দিলাম। ও ঘা-ঘু কিছু শব্দ ছারা কিছু বলল না। আমি ভয়ে এত গরমের মাঝেও লেপের নিচে ঢুকে মাথা সহ সব ঢেকে ঘেমে ভিজে কিভাবে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম জানিনা।
ফিরে আসা
সকালে উঠে দেখি ঘেমে ভিজে কি অবস্থা। ব্রেকফাস্ট শুরুর আগেই শাওয়ার করতে হবে তাই তারাতারি গেলাম। হায় বাথরুমের অবস্থাও দেখি করুন। করুন মানে এখানে সেখানে মাকরশার জাল, কোনায় ছোট বড় মাকরশা। অনেকে হয়ত জানেন না অস্ট্রেলিয়ার অনেক মাকরশা কিন্তু খুবি বিষাক্ত। যদিও আমার ভয়টা বিষ এর জন্য না। যাইহোক সব কিউবিকল খুলে খুলে শেষে একটা পেলাম যেটায় মাকরশা নেই। কিন্তু শাওয়ার শেষে ঘুরেই দেখি দরজার পেছনে একটা, আর সাথে সাথে চিতকার। অন্যান্য মেয়েরা সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করল, শেষে যা হল তা হচ্ছে অনেক কষ্টে সাইডের নিচে দিয়ে পাশের কিউবিকলে গিয়ে তারপর বের হই।
তারপর ব্রেকফাস্ট করতে যাওয়া, জংগলে সাবধানে ভালমত দেখে চললাম মাকরশা বা সাপ পারা দেই কিনা এই ভেবে। যাওয়ার পথে দেখলাম ইয়া বড় এক ব্লুটাং লিজার্ড। তারপর খাবার নেয়ার সময় দেখি ফ্রুট সালাদের পাশে মাকরশা। শুধু একটা টোস্ট খেয়ে রুমে এসে আমার কাঁদতে ইচ্ছা করছিল । কোন দুঃখে যে ক্যাম্পিং এ আসছিলাম। ঠিক করলাম বাসায় রিং করে বলব এখনি এসে আমাকে নিয়ে যেতে। রিং করলাম কিন্তু জানিনা কেন আর বলতে পারলাম না "আমাকে এসে নিয়ে যাও"। এভাবে সেদিনটা কোন রকম থেকে তারপর দিন ক্যাম্প শেষে ফিরে আসলাম।
এই হল আমার ক্যাম্পিং এর এক্সপেরিয়েনস। আমার পরিচিত প্রায় সবাই ক্যাম্পিং এর পাগল কিন্তু আমি একবার করেই বুঝতে পেরেছি ব্যপারটা একদমই আমার জন্য না। যা সখ ছিল মিটে গেছে।
মন্তব্য
হা হা হা
জটিল তো !
রাজকন্যাকে ঘুঁটে কুড়াতে দিলে কি আর চলে !!
"সেদিন রাতে ছিল প্রচন্ড গরম আর আমি ঠান্ডা লাগবে ভেবে সাথে লেপ নিয়ে এসেছি।"
খুবই মজা পেলাম, মুমু।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি মজা পেয়েছেন শুনে ভাল লাগল, তবে আমি রাজকন্যাওনা আর ঘুটে কুরাতেও পারব, শুধু মাকড়শা না থাকলেই হল
অনেক ধন্যবাদ আপু
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এই জীবনে কত কিছুই করে ফেললেন।
ক্যাম্পিং
সালসা।
আমাদের পোড়া জীবন
উহাদের কিছুই করিতে পারিলাম না।
লেখায় ইমোর কম ব্যবহারে মর্মাহত হইছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুমম এবার একটু কমই ইমো হয়েগেল, আসলে লেখাটা বেশি বড় হয়েগেলতো তাই, সরি
আর কিশের তোমার পোড়া জীবন, আমার পোড়া জীবন, ছেলে টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি তো লিখতে পারলাম না
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ব্লগে এরকম লেখা অনেকদিন পর পড়লাম।
আরো চাই, নিয়মিত।
অনেক ধন্যবাদ শিমুল ভাই
আমার স্টক লিমিটেড, নিয়মিত কিভাবে দিব
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ক্যাম্পিং এর মজাই তো আপু বুঝলা না,ভয়ে ভয়েই সময় গেলো।
হায় তুমিও তাইলে সেই মেজোরিটির দলে, মজাটা মনেহয় আর বোঝার ইচ্ছাও নাই
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লেখা পড়ে খুব মজা পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ আখতার ভাই
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
তুমি এর পরে কোথাও যাবার আগে বড়ো দেখে একটা ফ্রিজ নিয়ে যেও
গিয়েই ফ্রিজের ভেতরে ঢুকে লেপমুড়ি দিয়ে ঘুম...
ফ্রিজ মানে কি ভাইয়া?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ফ্রিজ এক ধরনের ঘর
বাথরুম থেকে একটু ছোট আর ব্রিফকেস থেকে একটু বড়ো
যেখানে নিজের ইচ্ছায় পোকা মাকড় না ঢোকালে তারা ঢুকতে পারে না
(অবশ্য তুমি ঢুকলে তোমার মাথার উকুনগুলোও চান্সে ঢুকে পড়তে পারে)
আপনে যে এইমাত্র একটা ফাঁদে পা দিছেন, টের পাইছেন?
কি ভাইজান
বিপদ কমন পড়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে গেলেন?
আপনার তাইলে এমন ঘরে থাকার অনেক এক্সপেরিয়েনস আছে বোঝা যাচ্ছে তা আপনার দারির উকুন গুলোকি ওভাবেই পাওয়া?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
দাড়ির উকুনের জন্য ফ্রিজ লাগে না
ওরা গরমের দিনে লেপের নিচে ঘুমাতেই বেশি পছন্দ করে
ক্যাম্পিং এর গল্প কোথায় আপু? এ তো খালি মাকড়সা আর মাকড়সা .........
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিতো খালি ওইসবই দেখলাম
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু খুব মজা পেলাম।
এরকম আরো কিছু পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়ুন।
অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা কিন্তু স্টক যে খুবি সিমিত
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমি মাকড়শা আর তেলাপোকাকে ভয় পাই। আমাকে দেখে উনাদেরকে পালানোর সুযোগ এখনো আমি ওদেরকে দেই নেই, বীরের মতো আমি ওদের আগে পালিয়ে আসি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমিও বীরের মত চিতকার চেচামেচি করি, কিন্তু পালিয়ে আসিনা , কারন যদি ওসব হাড়িয়ে যায় বা নাজানি কোথায় আছে তাইলে আমার ঘুমই হবেনা, আমার জানতে হবে ওটা কোথায় আছে বা কি করা হয়েছে, তাই দুরে গিয়ে চোখ না সরিয়ে চিতকার করতে থাকি কেউ না আসা পর্যন্ত, তারপর ....
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- মুমুদের বিশ্ববিদ্যালের বোধ করি এই একটা জিনিষই বাইরে থেকে আকর্ষনীয়। তিন দিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। ক্যাম্পাস বলতে তো মনেহয় তালগাছের মতো ঢ্যাঙঢ্যাঙা বিরাট এক সৃষ্টিহীন দালান। অনেকটা বনানীর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতো। আমার মাথায় ঢুকেনা, ঐ ঘেরাজালের মতো জায়গায় পুলাপাইন টাংকি মারার স্কোপ পাবে কোথায়? আর টাংকি মারা না শিখলে জীবনের কী-ই বা থাকলো, রিয়েল লাইফে খালি 'মুমুয়িত প্রশ্ন' করা ছাড়া!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমমম দুঃখের কথা কি আর বলব UTS কে আমরা বলি Ugly Tall Structure ইউনিভার্সিটির কোনও অল্প একটু যায়গা ছারা কোন ঘাস পাইলাম না। বাংলাদেশের টিভির নাটকের মত ঘাসে বসে প্রেম করার কোন চ্যান্স নাই যাইহোক, তবে সিটিতে থাকায় একদিকে ভাল হয়েছে, কাছেই সব মুভি হল, সপিং সেন্টার, ক্লাস ফাকি দিয়ে এসবই করা হত বেশি
তবে হ্যা টানকি মারতে চাইলে কি আর স্কোপের জন্য বসে থাকতে হয়
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট দেখছো কখনো? এইটা হইলো ক্লোজড এয়ার কনসার্ট। আর ধরো গ্রামে মুক্ত প্রান্তরে ওয়াজ-মেহফিল? ঐটা ওপেন এয়ার কনসার্ট।
এখন আমারে কও দেখি কোনটায় মজা বেশি। আর্মি স্টেডিয়ামে বেশি ফালাফালি করলে জায়গামতো পিডাইয়া চামড়া তুইলা ফেলবো। আর ওয়াজ মেহফিলের প্রান্তরে সামান্য কোণায় গিয়া তুমি ইচ্ছে করলে এন্তেঞ্জাও সারতে পারো, কেউ কিছু কইবো না। আরো মজার ব্যাপার আছে, এই রোজার মাসে সেগুলা নাইবা বললাম।
এখন কথা হইলো, টাংকি মারার মজা হইলো ওপেন এয়ার কনসার্টের মতোন। যতো খোলা ততো মজা। আর যতো আবদ্ধ ততোই বোরিং। "বাগানে হাটিতেছে খাসি, ওগো ময়না আমি তোমায় ভালবাসি"- এই ডায়ালগ ছাড়া আর কিছুই মানায় না তখন। বুঝলা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি এসব ক্লোজড এয়ার ওপেন এয়ার স্টেডিয়ামের নামই শুনিনি কখনও আর কনসার্ট দেখব কি আহারে এসব মজার আর লোভ দেখায়েন না একবার দেশে বৈশাখি মেলা দেখার ইচ্ছা আছে।
আর ক্লোজড এয়ার মানেই যে সব খাসি এইটা ভুল ধারনা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মজার লেখা, মুমু, ভালো লেগেছে পড়তে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
অনেক ধন্যবাদ দেবোত্তম দাশ ভাই আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমারো ভাল লাগল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
দুঃখ কেন ক্যাম্পিং এ না গেলে এই আমরা পেতাম কোথায়। আপনার বাসার ফোন নং টা দিয়েন তো... আমরা আন্টিকে ফোন করে বলবো যেন কারণে অকারনে এই রকম জঙ্গলে ক্যম্পিংএ পাঠায়, তাও যদি কিছু নতুন অভিজ্ঞতার লেখা মিলে। ব্যতিক্রম ধর্মী লেখা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
হাহাহাহাহা অনেক ধন্যবাদ তৃতীয় নয়ন ভাই আমাকেতো পাঠাতে চায়নি, আমি নিজেই জোর করে গিয়েছিলাম।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- হেহ হেহ হেহ-
তিন নাম্বার চোখের সাহস আছে, না কি বলো মুমু?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহাহা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
টেন্টে থাকলেন না, বাথ করার সুযোগ থাকল- এটা কী ধরনের ক্যাম্পিং। লেখা খুব ভাল হইছে মুমু।
ভাইয়া টেন্টে থাকলে আমি ভয়ে মরেই যেতাম
অনেক ধন্যবাদ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বালকেরা এবার দেখি সোজা কাজটা পারে কি না...
মুমু, ক্যাম্পিংয়ের স্মৃতি পড়ে ব্যাপক মজা পাইলাম।
ইশকুলে পড়তে স্কাউটিং করতাম। নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পোটলা বান্ধাই থাকতো কখন কোথায় ক্যাম্পের ডাক আসে।
বেশি কথা লিখলাম না... ধরেন গাজীপুরের মৌচাকে একটা ক্যাম্পে যদি আপনেরে একদিন একরাত থাকতে হইতো তাইলে ফিরতে পারতেন কি না ভাবতেছি।
সেখানে বাথরুম নাই... টাট্টি আছে... (এইটা কি জিনিস জিগাইলে উত্তর দিবো লীলেন্দা)
সারাজীবন স্কাউটের গরীবী ক্যাম্প কইরা কলেজে উইঠা গেলাম লিও ক্লাবের ক্যাম্পে... সেখানে দেখি সব বড়লোকের পোলাপান। এক ছেলে ইস্ত্রি নিয়ে গেছিলো (অট্টহাসি)
আপনে কি ছোটবেলা থেকেই অস্ট্রেলিয়ায়? কোন ইউনিভার্সিটিতে? সিডনী ইউনিভার্সিটির ছবি দেইখা তো বেশ ভালো লাগছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি তো গাজিপুরেই ছিলাম, জানিনা BRRI র নাম শুনেছেন কিনা, ওখানেই বড় হয়েছি। BRRI ছারা আশেপাশে খুব একটা চিনিনা।
মৌচাকে ক্যাম্পটা কোথায়? টাট্টি কি tree জাতীয় কিছু দিয়ে বানানো টয়লেট নাকি?
হাহাহাহা ইস্ত্রি নিয়ে ক্যাম্পে গেসে
আমি এখানে এসে সিক্সে ভর্তি হই আর আমার ইউনিভার্সিটি হল UTS, সিডনী ইউনিটা আসলেই সুন্দর। আমাদের আইটি বিল্ডিংটা দারুন, পুরোটাই প্রায় কাঁচের তবে ইনজিনিয়ারিং বিল্ডিংটা ugly, বাইরে থেকে । আর আমাদের কোনও মাঠ নাই
অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই পড়ার জন্য
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নজরুলের চাহিদামোতাবেক টাট্টিবিদ্যা ক্লাশ
টাট্টি এক ধরনের ওপেন এয়ার প্রকৃতিক দায়িত্ব পালন কেন্দ্র
এর উপরে থাকে উন্মুক্ত আকাশ
আর চারপাশে বেড়ার বদলে কাঠি দিয়ে দাগ টেনে সীমানা নির্ধারণ করা থাকে
আশপাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করে তাদের এই সীমানার ভেতরে তাকানো নিষেধ
সীমানার ভেতরে থাকে ছোট্ট একটা গর্ত আর গর্তের দুইপাশে দুইটা বাঁশ
দুই বাঁশে দুই পা দিয়ে বসে হাঁটুর নিচে মুখ লুকিয়ে (যাতে আশেপাশে কে কে আছে তা যাতে দেখতে না হয়) প্রাকৃতিক দায়িত্ব পালন করা হয়
টাট্টিতে টয়লেটের সব সুবিধাই আছে
শুধু ফ্লাশ করা যায় না
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লীলেন ভাই টাট্রি'র সংজ্ঞা ভালো হইছে, এর সাথে পাহাড়ের টাট্রির ব্যখাটা যদি একটু বলতেন, আমার অভিজ্ঞাতা আছে বৈকী যখন বগা লেক হয়ে কেউকারাডং উঠছিলাম তখন, কিন্তু আপনার মতো এতো নিপুন ভাবে ফুটাতে পারবোনা মনে হয়।
গর্তের নীচে কতিপয় প্রাণীদের আনাগোনার ব্যপারে প্লিজ বিস্তারিত বলেন, এই বিষয়টাও মুমুর জানা দরকার। আগামী ক্যাম্পে বেচারীর কাজে লাগবে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
তৃতীয় নয়ন ভাই, গর্তের ওপরে নিচে কোন প্রানীদের ব্যপারেই আমার কোনও আগ্রহ নাই আর আগামী ক্যাম্প বলেও কিছু নাই আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন। তবে আপনার কেউকারাডং এর কথা শোনার ইন্টারেস্ট আছে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
BRRI চিনবো না কেন? সেখানে আমি বেশ কয়েকবার গেছি। এর কোয়ার্টারে ছোট্ট একটা শুটিং করছি একবার। সেখানে এক কর্মকর্তা আছেন, বাবলু ভাই নাম। তিনি হইলেন ঐখানকার চিরতরুন। আপনার বয়সী তার দুই সন্তান আছে কিন্তু এখনো তিনি বিরাট তরুন। যাবতীয় শিল্প সংস্কৃতিতে তিনি আছেন। তেল বড় সাঙ্ঘাতিক, এখনো তিনি প্রতিদিন গাজীপুর থেকে ঢাকায় এসে নাগরিকে রিহার্সেল করে আবার গাজীপুরে ফেরেন রাতে। (হায়, আমি উত্তরা থেকেই রিহার্সেলে যাইতে টাইম পাই না)।
তার বাড়িতে বহুবার দাওয়াত নামের এলাহী বস্তু খাইতে যাইতে হইছে। আমাদের বন্ধন, সাড়ে তিন তলা প্রভৃতি নাটকে অভিনয়ও করছেন। কাছের মানুষ নাটকের লোকেশন খুঁজতে BRRI এবং এর আশেপাশের এলাকা সব চষে ফেলছিলাম আমরা।
মৌচাক আরেক্টু দূরে... আর টাট্টি কি জিনিস তা তো চিনছেনই। মৌচাকে লাইন ধরে এই গণটাট্টি বানানো হইতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওহ তাই তাইলেতো আপনি BRRI বেশ ভাল করেই চিনেন। আগে খুব সুন্দর ছিল, তখন মিডিয়ার অনেকে পিকনিক করতে আসত, একবার মনে আছে নাটকের কারা যেন এসেছিল, আমি অটোগ্রাফ নিতে গিয়েছিলাম সিনেমার গানের শুটিং ও করেছে বেশ কিছু, কিন্তু গতবার গিয়ে দেখি সব কেমন মলিন মলিন লাগল, ময়লা ময়লা খুব মন খারাপ লাগল দেখে। আমি ছোটবেলায় যেমন সুন্দর ছিল এখন তার অর্ধেক ও নাই
আব্বুকে জিজ্ঞেস করব বাবলু আংকেলের কথা। কিন্তু BRRI তে যারা থাকে ওরাতো সবাই BRRI তে চাকরি করে বলে থাকে, নাহলে তো থাকতে দেয়ার কথা না, উনি প্রতিদিন রিহারসেল করলে চাকরি করেন কখন?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু বানুর এই লেখাটা কেমন হেলতে দুলতে চোখের সামনে দিয়ে শেষ হয়ে গেল। কোন প্যাচ নাই, গোচ নাই, দাড়ি নাই, মোচ নাই, আঁকাও না, বাঁকাও না, ভরাও না আবার ফাকাও না।
ভাল্লাগসে
যাক! এত কিছুর পর তবুও ভাল্লাগসে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
অ্যাঁ, একটা কোশ্চেন মুমু... স্পাইডারম্যান ছবি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী? ঐ ছবি রিলিজ হওয়ার পর কি সিনেমাহলের ধারে কাছে যেতেন না?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
স্পাইডারম্যান ১ আর ২ দেখেছি ভালই লাগল, শুধু স্পাইডার দেখালে চোখ সরায়ে ফেলতাম অন্যদিকে তাকাতাম। আর আমি আসলে স্পাইডারম্যানের এত ফ্যান না। আমি হোলাম ব্যাটম্যান ফ্যান
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- তার মানে তুমি ব্যাট মানে বাঁদুড়রে ভালা পাউ?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না ঠিক সেটা না, তবে বাঁদুড় গায়ে এসে না পড়লে ঠিক আছে, দুরে গাছে ঝুলে থাকলে অসুবিধা নাই আর স্পাইডার যেমন দুরে গাছে দেখলেও ভয় লাগে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- স্পাইডার কি তোমারে দেখলেই উড়ে এসে গায়ে জুড়ে বসে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকটা সেরকমই, কারো চোখে না পড়লেও ঠিক আমার চোখে পড়বেই এগুলি কোথায় আছে, অনেক মানুষ থাকলেও বেশির ভাগ সময় এগুলোকে আমার আশেপাশেই পাওয়া যায় । কবরে শাস্তি দিতে আল্লাহর বেশি ঝামেলা হবেনা, একটা মাকড়সা ছেরে দিলেই হবে এর চেয়ে কষ্ট আর টর্চার আর কিছুতে হবেনা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- আমি কই কি আর সারিন্দায় নারিন্দা গিয়া বাজায় কী!
হই মহিলা, আমি জিজ্ঞেস করি, বাঁদুড় গায়ে না পড়লে যদি বাঁদুড়রে ভালা পাউ, তাইলে স্পাইডার কি দোষ কর্ছে, এইটা আমারে বুঝায়া কও!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্পাইডারের মত আজব আকৃতির এমন আগলি ৮ পায়ের ভয়ংকর জিনিস পৃথিবীতে নাই, এমন জিনিস যে কেন সৃষ্টি হইসে আমি বুঝিনা। আর বাদুড় তো অনেকটা পাখির মত
আর আপনি আমারে মহিলা কইলেন কেন আপনার মাথায়তেই যেন আজকে একটা মাকড়সা পরে, রোজদারের দোয়া বিফলে যায়না, সাবধান!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- পড়লে খবর দিমু নে। তয় নিশ্চিত থাকো, বেগানা নারীর বেহুদা দোয়া কবুল হৈতে টাইম লাগে। বিরাট লাইন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হে খোদা, দুনিয়ার সব মাকড়শাকে স্পাইডার বানিয়ে দাও।
দ্বিতীয় স্বত্তা
(ditioshotta@gmail.com)
আপনার দোয়া তো মনেহয় খোদা অনেক আগেই কবুল করে ফেলসে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার রুমে ইদানীং একটা তেলাপোকা রাজত্ব করতেছে। একবার মারতে গিয়ে বিফল হয়েছি। ভাবছি, তেলাপোকাটি আর মারবো না। বরং দুধ কলা দিয়ে পালবো। আর মুমুর বিয়ের গিফট হিসেবে ডিএইচএলে পাঠিয়ে দেবো!!!
আহা! আপনার দিল এ এত দয়া, আপনি এত মহত
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লেখার সবচেয়ে ভাল দিকটা হল এর সহজ-সরল প্রকাশভঙ্গি। দারুন লাগল।
জায়গায় জায়গায় তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি!
আপনাকে কনভিন্স করা খুব সোজা?
কেন আগে জানলাম না, এতক্ষণে নিশ্চয়ই অনেক লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে গেছে!
দুনিয়ার তাবৎ মাকড়সা কি আপনার চোখেই পড়ে?
তাহলে তো আপনার অন্য বন্ধুদের জন্য ভালই, যারাও মাকড়সা ভয় পায়। আপনি ওদের হয়ে চেক করে দেন মাকড়সা আছে নাকি কোথাও
আপনার লেপ কাহিনী আর তাতে মুড়ি দিয়ে রাত কাটানো পড়ে খুব মজা লাগল। আর আপনার বাবার সাথে ভার্সিটি যাওয়ার কাহিনী পড়ে মনে হল যেন সিনেমার কোন কাহিনী (এই ধরণের কাহিনী দেখেছি তো, তাই)।
এরপর ক্যাম্পিংয়ে গেলে বিয়ের পর যায়েন, তখন তো আপনার সাথে আপনার "ব্যাটম্যান" থাকবে, ভয় কিসের!
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
মাকড়শার সাথে তো তোমার আদিকালের বন্ধুত্ব।
মাকড়শা দেখলে তো আসলে তোমার হাগ দিতে ইচ্ছে করে তাইনা ?
চিৎকারটা তো শুধুই উচ্ছ্বলতার বর্হিপ্রকাশ। হেঃ হেঃ হেঃ
বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে তোমাকে ক্যাম্পিং প্রাক্টিস করিয়ে তারপর গহীন কোনো জায়গায় পাঠাতে হবেই পরেরবার।
ভাল কথা, বিয়ের দিনে শুধুই আঙ্কেলের হাত ধরতে চাও নাকি আন্টিকেও ম্যানেজ করতে হবে যেন উনিও তোমার এক হাত ধরে থাকেন ?
--------------------------------------------------------
পুরো রচনাটি ইন্টারেস্টিং। এর বাইরেও মজা পেয়েছি, মাকড়শা ও তেলাপোকা নিয়ে তানবীরার সঙ্গে মুমুর মধুর তর্কে। মুমুর কাছ থেকে একটা পাঠ নেওয়ার আছে আমাদের সবার। কোনও কিছুকে ভয় পেলেও পালিয়ে আসতে নেই। ভয়ের কারণ দূর করতে হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই আমরা এটা করিনি বলে আজ স্বাধীন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নীরবে কাঁদে। থ্যাঙ্ক ইউ ,বোন মুশফিকা মুমু।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
নতুন মন্তব্য করুন