আমাদের আমেরিকান দৌর - ১

মুশফিকা মুমু এর ছবি
লিখেছেন মুশফিকা মুমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১২/২০১১ - ৬:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমাসের প্রথম দিকে আমি আর আমার বর ছোটখাটো এক আমেরিকা ভ্রমনে যাই। টিভিতে একটা শো হয় "দি এমেইজিং রেইস" নামে যা আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন। আমাদের আমেরিকা ভ্রমন অনেকটা তেমনই ছিল। মোট ১০ দিনে আমরা আমেরিকার ৩ স্টেট এর ৭টি শহর বেড়িয়েছি, বলা যায় প্রতিদিনই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যেতে হয়েছে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সব করতে হয়েছে, কত কি ঘটেছে। এসব ঘটনাগুলো এখনে শেয়ার করছি।


সতকর্ বাণী : লেখায় অনেক বানান ভুল আছে তাই পড়ায় সমস্যা হবে। কষ্ট করে পড়লে অনেক খুশি হব, না হলে শুধু ছবিগুলোই দেখেন হাসি

আমেরিকা বেড়াতে যাওয়াটা মোটামোটি হঠাৎ করেই ঠিক হয়। আমার বরের অফিসিয়াল কাজের জন্যই যাওয়া যা আমরা রওনা দেয়ার ৬দিন আগে জানতে পারি। আমরা দুজন তখন ঠিক করি আর কিছুদিন বেশি ছুটি নিয়ে আমরা আমেরিকার আরো কিছু জায়গা দেখে আসি। কিন্তু আমি ছুটি নিতে গিয়ে দেখি ছুটি দিবেনা। তখন অনেক কষ্টে টানাটানি করে ৭দিন ছুটি নেই, তাও কন্ডিশন এডিশনাল ২দিন আমার আমেরিকা থেকে কাজ করতে হবে। চিন্তা করে দেখলাম আমার বর যে দুদিন তার অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকবে, সে দুদিন আমি হোটেলে বসে কাজ করে নিবো, তাই রাজি হলাম। তারপর যথারিতি আমরা রওনা দিলাম। আমার বর যদিও আগে গিয়েছে কিন্তু আমার জন্য ছিল এবারই প্রথম আমেরিকা ভ্রমন তো সাভাবিক ভাবেই সাংঘাতিক উত্তেজনা নিয়ে রওনা দিলাম।

দিন - ১
আমরা কোয়ান্টাস A380 তে ৮ই নভেম্বর দুপুর ২টায় সিডনি থেকে রওনা দিয়ে ৮ই নভেম্বর সকাল ১০টায় লস এন্জেলেস এসে পৌছি। মোট ১৩ ঘন্টা পারি দিয়েও মনে হয়নি যে এতখন জানির্ করেছি কারন প্লেনের সার্ভিস খুবই ভাল ছিল। তবে একটা মজার ব্যপার হল প্লেনের পিছনে ক্যামেরা ফিট করে ওরা প্লেনের সবকিছু লাইভ স্ট্রিম করছিল একটা চ্যানেলে। আমরা খুব ইন্টারেস্ট নিয়ে প্লেনটির টেক ওফ দেখলাম। এর কিছুপরই হঠাৎ কোথা থেকে এক পাখি এসে মল করে দিল সেই ক্যামেরায় । নিচে দেখুন সেই বিফর-আফটার ছবি। ব্যপারটি কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং, কারণ ভেবে দেখুন প্লেনটি যাচ্ছে তার নিজ গতিতে আর পাখিটিও উড়ছে তার নিজ গতিতে। আর এ ব্যাপারটির জন্য পাখিটির ঠিক এমন জাগয়া থেকে, ঠিক সময়মত মল ত্যাগ করতে হয়েছে যেন ফিজিক্সের রুল অনুযায়ি অন্য কোথাও না লেগে ঠিক ক্যামেরাতে এসে পরে। এটা নিয়ে ক্লাস ফাইভের সোজা অথবা ক্লাস এইটের এক কঠিন অংক বানিয়ে ফেলা যাবে হাসি

যাইহোক, লস এন্জেলেস এসে আমাদের আবার ফ্লাইট ধরতে হয় স্যান হোসে আসার জন্য যেখানে আমার বরের কাজ পরের ২দিনের জন্য। দুই ফ্লাইটের মাঝে কিছু বিরতি থাকায় আমরা কিছু দরকারি কেটাকাটা সেরে নিলাম যেমন একটা আমেরিকান সিম কাডর্। এরপর বিকাল ৪টার দিকে আমরা স্যান হোসে এসে পৌছি, সিলিকান ভ্যালীতে। সেদিন রাতে আমরা আমার বরের এক ক্যাডেট কলেজের বন্ধুর সাথে ডিনার করলাম, সেখানে আমার প্রথম "টিপ" দেয়ার অভিজ্ঞতা হল। হাসি

বিফর - আফটার পাখির মল ‍

দিন - ২ - সিলিকান ভ্যালী
পরদিন সকালে নাস্তা করে বর চলে গেল ওর কাজে আর আমি আমার কাজ নিয়ে বসলাম। তখন খেয়াল করলাম যে সিডনিতে তখন রাত ৩টা বাজে। আমার বস বা টিমের কেউ অন্তত সিডনি সময় সকাল ৯টার আগে লগইন করবেনা। অতএব আমার এখানে ৫ ঘন্টা বসে সময় নষ্ট করার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি বের হয়ে পরলাম ক্যামেরা নিয়ে হাসি
খুব সুন্দর, সাজানো গোছানো শান্ত এই শহরটির কিছু ছবি দেখুন।

San Jose ‍

দিন - ৩ - সিলিকান ভ্যালী
আগেরদিন দুটো মিউসিয়াম এর পাশে দিয়ে শুধু হেটে এসেছিলাম, ঢোকা হয়নি। একটি আটর্ মিউসিয়াম, অন্যটি মিউসিয়াম ওফ ইনোভেশন, টেকনোলোজির ওপর। আজ ঠিক করলাম দুটোতেই যাব। তারাতারি সব কাজ শেষ করলাম, আগের দিনের ফেলে রাখা সব সহ। আমার কলিগরা তখন মাত্র লগইন করা শুরু করেছে। আমি বললাম আমি লান্চ করে আসি। এই বলে বের হয়ে গেলাম মিউসিয়াম দুটো দেখতে। আটর্ মিউসিয়ামটি অনেক ছোট ছিল কিন্তু ইন্টারেসটিং, তবে বেশির ভাগ জিনিসই আমি বুঝিনি। টেক মিউসিয়ামটি ছিল অনেক বড় আর খুব ভালো লেগেছিল। ওদের সাধারণ এক্সিবিশন ছারাও দেখলাম স্পেশাল এক্সিবিশন করছিল ইসলামের ইতিহাস নিয়ে। কিছুটা অবাক হলাম কারন আমার ধারনা ছিলো ৯-১১ এর পর আমেরিকার সবারই ইসলামের ওপর অন্যরকম দৃষ্টি। সেটাও দেখে আসলাম, ভিতরে ঢুকে দেখি অনেক অন্য ধমর্ের মানুষ, বেশ অনেক আমেরিকান সাদা। তবে দারুন ছিল এক্সিবিশনটি, ছবি তোলা নিষেধ থাকায় ভেতরের কোন ছবি তুলতে পারিনি।

দিন - ৪ - স্যান ফ্র্যানসিসকো
প্রথম কদিন বেশ আরামে কেটেছিল, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কিছু করতে হয়নি। আজ থেকে শুরু হয় আমাদের মিনি দৌর। সকালে ওঠে এক গাড়ি ঠিক করে আমরা সব লাগেজ নিয়ে বের হয়ে পরলাম। সিলিকান ভ্যালীতে এসে এপল এর হেডঅফিসে যাবনা তা কি করে হয়, তাই ১ ইনফিনিটি লুপ এ গেলাম প্রথম। সেখান থেকে রওনা দিলাম স্যান ফ্র্যানসিসকো।

San Francisco

প্রথম গেলাম গোল্ডেন গেট। ওখানে যাওয়ার পথেই শুরু হোলো বৃষ্টি আর জমে যাওয়ার মত ঠান্ডা বাতাস। তবুও সেই বৃষ্টি বাতাসের মাঝেই বেশ কিছু ছবি তুললাম। সেখান থেকে গেলাম এক্সপ্লোরেটোরিয়াম নামে এক জায়গায়। সেখানে দেখি চারপাশে অনেক উচু উচু পিলার করে রেখেছে অনেকটা গ্রীক বা রোমের প্রাচীন প্রাসাদের মত। পরে জানতে পারি ওখানে নাকি অনেক হিন্দি সিনেমার শুটিং করা হয়েছে।

সেখান থেকে গেলাম "পিয়ের থাটর্িনাইন"। আমার বর আগেই এখানে এসেছিল কিন্তু আমাকে বলেনি এই জায়গার আসল বৈশিষ্ঠ্য। যাইহোক আমরা "ফরেস্ট গাম্প" সিনেমার "বাবা গাম্প স্রিম্প" এ খেতে গেলাম। ওখান থেকে বের হয়ে একটা সীল এর মুতির্ চোখে পরায় বরকে বললাম আমার এর সাথে একটা ছবি তুলে দিতে। ও একটুপর তুলে দিব বলে আমাকে নিয়ে গেল আসল যায়গায় যেখানে বেশ কিছু আসল সীল একটা আরেকটার ওপর শুয়ে পরে গরাগরি খাচ্ছে। তখন বুঝতে পারলাম মুতর্ির সাথে ছবি তুলে না দেয়ার কারন। সীল গুলো দেখে খুবি মজা পেলাম, এত মোটা আর যেভাবে একটা আরেকটার ওপর পরে থাকে যেন মনে হয় এটাই লাইফ।

এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে আর আমাদের সাথে ছাতাও ছিলোনা। আমরা ভিজে একাকার হয়ে গাড়িতে এসে ঢুকলাম। কোনরকম মুছে নিয়ে, ওপরের গরমকাপর বদল করে রওনা হলাম এক আত্মিয়ের বাসায়। ওখানে যাওয়ার পথে রাস্তায় চোখে পরল স্যান ফ্র্যানসিসকোর বস্তি। বিদেশী বস্তির একটা ছবি নিচে দিলাম। এরপর আত্মিয়ের বাসায় ডিনার করে, কিছু সামাজিকতা করে রওনা দিলাম স্যান ফ্র্যানসিসকো এয়ারপোটর্ে, সেদিন রাত ১১টায় আমাদের নিউ ইয়কর্ ফ্লাইট।

দিন - ৫ - নিউ ইয়কর্
নিউ ইয়কর্ পৌছি আমরা সকাল ৭টায়। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে বেশ টারবুলেনস হয়। আমি এমনিতেই বেশ ভিতু টাইপের, তার ওপর এত ঝাকুনি খেয়ে আমি সুরাহ পরা কিছু বাকি রাখিনি। আমার বর অবশ্য পাশে বেশ আরামের ঘুম দিয়েছিলেন। তারপর এয়ারপোটর্ে আমারা সব লাগেজ নিয়ে বের হব এমন সময় এক আমেরিকান কালো লোক, দেখে খানিকটা ড্রাগ এডিক্ট বলে মনেহল, আমাকে বলল ট্যাক্সি লাগবে কিনা। আমি না দেখার ভান করে সরে আসলাম। সেই লোক তখন আমাদের পিছুপিছু এসে এবার আমার বর কে জিজ্ঞেস করল। ও বলল হ্যা ট্যাক্সি লাগবে। আমাদের একটু দাড়াতে বলে সেই লোক গিয়ে আরেক লোককে নিয়ে আসল যে কিনা দেখি সুট টাই পরা, চোখে কালো সানগ্লাস, সেও আমেরিকান কালো।

সেই সুট-টাই পরে লোক জানতে চাইল আমরা কোথায় যাব, আমরা বুক করেছিলাম ম্যানহ্যাটনের শেরাটন হোটেলে। সেটা শুনে লোকটা বলল ৭৯ ডলার একদাম, তবে যদি বাসে যাই তাহলে এক এক জনের ২০ ডলার। আমি ছিলাম প্রচন্ড টায়াডর্ তার ওপর সারারাত ঘুমাইনি, বললাম থাক ওদের দামেই চল, লাগেজ নিয়ে বাসে ওঠা-নামা করার শক্তি আমার নেই।

তখন আমরা তাই করলাম, লোকটিকে ফোলো করা শুরু করলাম তার ট্যাক্সি যেখানে সেখানে যাওয়ার জন্য। আমি ভেবেছিলাম যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে উঠব কিন্তু না লোকটি আমাদের লংটামর্ পাকর্িং এ নিয়ে আসলো। আমার কেমন যেন খটকা লাগল। দেখি বিরাট বড় এক হলুদ ভ্যান। পিছনে আমাদের সব লাগেজ উঠিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখি একদম যা তা ময়লা অবস্থা। বাজে গন্ধ, কোথাও কোনো সাইন নেই যে উনি এই ট্যাক্সি গ্রুপের বা ওনার আইডেন্টিটিও কোথাও নেই। আমার খুব ভয় হল। আমি আমার বরের হাত শক্ত করে ধরায় সে বুঝতে পারল আমি কি বলতে চাইছি। ও ইশারায় বোঝালো যে চিন্তা করোনা কিন্তু আমি ওর চোখে সন্দেহ ঠিক বুঝতে পারলাম। তখন আমি আমার ফোনে আমারিকান সিমকাডর্টি লাগিয়ে জিপিএস ওন করে দিলাম দেখার জন্য যে ট্যাক্সি আমাদের ওলটাপালটা কোথাও নিয়ে যায় কিনা।

এভাবে কুইনস এ আসলাম আর আমাদের বিশাল ট্যাক্সি জ্যাম এ পরল.............................


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

শিরোনামে "দৌড়" বানান ঠিক করে দিয়েন।

কুইন্সে এসে গাড়ি জ্যামে ফেলে ভাগলেন? তারপর কুইন্স থেকে ম্যানহাটনে যাওয়ার গল্প কে বলবে? নিউ ইয়র্ক যখন গেছেন তখন জ্যাকসন হাইটসে গিয়ে বিরানি খান নাই?

সিলিকন ভ্যালীতে যাওয়ার কপাল হয় নাই কোনদিন। তবে সানফ্রান্সিসকোতে গেছি। এক্সপ্লোরেটরিয়ামের আসল নাম মিউজিয়াম অফ সায়েন্স, আটর্স অ্যান্ড হিউম্যান পারসেপশন। দারুণ একটা জায়গা না?

পিয়ার ৩৯ এর বাবা গাম্পের খাবার তেমন ভাল না। বাবা গাম্প নিউ অরলিয়েন্স শহরেরটার খাবার খুব ভাল। পিয়ার ৩৯ থেকে ক্রুজে যান নাই?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া, ঠিক করে দিয়েছি। পরের টুকু লেখা শুরু করব, হাসি জ্যাকসন হাইটসে গিয়েছিলাম কিন্তু না বিরানি খাওয়া হয়নি মন খারাপ এক্সপ্লোরেটরিয়ামের এই নামটা জানতাম না, আসলেই দারুন জায়গাটা হাসি
পিয়ার ৩৯ এ ক্রুজে যাইনি সময়ের অভাবে তবে বাবা গাম্পের খাবার বেশ মজা লেগেছিল, হয়ত আমরা লাকিলি সেদিন মজার ডিশ অডার্র করেছিলাম খাইছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

Fruhling এর ছবি

দীর্ঘশ্বাস মন খারাপ

আম্রিকা ঘুরতে যাইতাম ছাই। কিন্তু সময় নাই। অফিসের কামলা দিতে শুধু ইউরোপের বিভিন্ন দেশেই ঘুরতে হয়।
আম্রিকা যামু। নাক উচু জার্মানরাও ঘুরে এসে বলে আম্রিকা ব্যাপক।
কোয়ান্টাসে গেছেন? যাক, ভালোই আছেন। পেপারে পড়ে তো মনে হয় কোয়ান্টাসের মড়ক লাগছে।
হেপি ঘোরাঘুরি হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

কি আর করবেন মন খারাপ প্ল্যান করেন, পরে হলেও একবার ঘুরে আসেন। আর ইউরোপের দেশগুলো ঘোরাও তো অনেক বড় ব্যাপার, এভাবে বলছেন কেনো? আমারো একদিন শখ ইউরোপ বেড়াতে যাওয়া একদিন হাসি
হ্যা কোয়ান্টাসে গিয়েছিলাম। মড়ক লেগেছে খবরের জন্য আসলে একটু ভয়েই ছিলাম নাকি আবার ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে যায় হি হি হি।
যাইহোক থ্যাংকিউ হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ক্লান্ত পথিক এর ছবি

ছবিগুলা দেখে একটা ভার্চুয়াল ট্যুর হয়ে গেল...কিন্তু শিরোনামসহ পুরো লেখার মাঝে এত বানান ভুল যে পড়ার মজাটাই নষ্ট করে দেয়....আশা করি বানানের প্রতি আরো যত্নশীল হবেন... হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

সরি মন খারাপ যত্নশীল হয়েইতো এরকম মন খারাপ পরেরবার দেখি কাউকে দিয়ে চেক করিয়ে নিবো বা সতকর্ বাণী লিখে দিব লেখার শুরুতে।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কালো কাক এর ছবি

বানানগুলো ঠিক করে দেন আপু। পড়তে ঝামেলা হচ্ছে।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বানান ঠিক করাতে বেশ দেরি হবে মনেহয়, আম্মুর বাসায় বেড়াতে গেলে দেখি আম্মুকে বলব ঠিক করে দিতে, এর আগে সম্ভব না সরি মন খারাপ

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বস্তির ছবি দিতে ভুলে গেছো! কোয়ান্টাসে জার্নি করলে আসলে বুঝতে পারবা না বিমান জার্নি কী জিনিস! তোমাকে উজবুকের মতো জার্নি করতে হবে উজবেক এয়ারওয়েজে। তাইলে বুঝবা, কতো চালে কতো রুটি হয়!

একবার আমার শ্রীলঙ্কান সহপাঠী আমারে বলছিলো, যদি কোনোদিন লঙ্কান এয়ারে ওঠ, তাইলে সাথে করে একটা ছাতা নিয়ে উইঠো। জোরে বিশটিবাদলা হৈলে কাজে দিবে!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

না বস্তির ছবি দিয়েছিতো। খেয়াল করেননি। থাডর্ লাস্ট ছবিটাই তো বস্তির ছবি, সব টেন্টগুলো। এটা বিদেশি বস্তিতো তাই বুঝতে পারেননি হিহিহি খাইছে আর থ্যাংকিউ শ্রীলঙ্কান এয়ারে ভুলেও কোনোদিন তাইলে উঠবোনা। খাইছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

দ্যা রিডার এর ছবি

অনেক দিন পর লিখলেন মনে হয়... বানান ঠিক করে দিয়েন । প্রায় ছবি ই ২/৩ বার করে দেখতে পাচ্ছি ... ভ্রমনের বাকীটুকু পড়ার আশায় রইলাম ... হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। বাকি লেখা দিয়ে দিবো তারাতারি। কিন্তু ছবি ২/৩ বার করে দেখলেন কিভাবে? হয়ত শেষের বড় ছবিগুলোর কথা বলছেন সেগুলো লেখায় সব ছোট ছবিগুলোর কপি, জানিনা কিভাবে সরাতে হয় ইয়ে, মানে...
আর বানান ভুল হওয়ায় সবারই পড়তে সমস্যা হয়েছে, সেজন্য দুঃখিত। আই ফোনের মত বাংলা বানান ঠিক করে দেয়ার অটো সিস্টেম থাকলে ভাল হতো।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রানা মেহের এর ছবি

এসব ঘোরাঘুরি করতে গিয়েই সচলে আসার সময় পাও না, না?
তোমাকে ধরে মার দিতে হবে হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হি হি হি, কই পাইতো হাসি এইযে আসলাম হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শিশিরকণা এর ছবি

শিরোনামেই বানান ভুল দেখে লেখা এড়িয়ে চলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কাজে ফাঁকি দেয়ার নেশায় ঢুকে পড়লাম।

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মুশফিকা মুমু এর ছবি

কাজে ফাঁকি দিয়ে আমার বানান ভুল লেখা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি পরের পবর্ লেখা শুরু করবো তারাতারি।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শিশিরকণা এর ছবি

তাড়াতাড়ি। কাউকে দিয়ে বানান চেক করায়ে নিয়েন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ছবিগুলো চমৎকার লেগেছে। অদেখা দেশের অনেককিছুই ছবিতে দেখে নিলাম।

A 380-800 আসলেই জটিল একটা জিনিস। ওটায় চড়ার পর থেকে B 777-300 ER-ও কেমন যেনো লক্কড়-ঝক্কড় লাগা শুরু হয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ছবিগুলো চমৎকার লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম। হাসি আপনার সাথে একদম একমত কারন ফিরে আসার সময় আমরা Boeing 747 তে এসেছি আর তখন টের পেয়েছি ১৩-১৪ ঘন্টা ফ্লায় করা কেমন।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আকামের আবদুল এর ছবি

ভালুইতো 'েদৗরা'ইলেন, ছবিও দিলেন, কিন্তু আমাগো 'বরবর (বর্বর)' ভাইয়ের তো কুনু ছবি দেখলাম না।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বরবর ভাইতো আম্রিকান জিনিস না, তাই দেইনাই খাইছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আশরাফ এর ছবি

একজন পূর্ণ সচলের কাছে পাঠকের প্রত্যাশা আরো অনেক বেশী। আশা করি আরো নিয়মিত লেখালেখি করে আগের ফর্মে ফিরে যাবেন।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

সরি মন খারাপ কিন্তু আমার লেখার ওপর আপনার প্রত্যাশার ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব না কারণ আমার ফমর্ কখনই ছিলনা। তবে এখন থেকে সতর্ক করে দিবো লেখার শুরুতে যেন কারো লেখা পড়ে ডিসাপয়েন্ট না হতে হয়।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তারেক অণু এর ছবি

আপনি কি সীল বোঝাতে চাইছিলেন, ওদের একটা ছবি দেখলে ভাল লাগত।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধন্যবাদ, বানান ঠিক করে দিয়েছি, ইংলিশ উচ্চারণ "সিইল" বলে ওভাবে লিখেছিলাম। হাসি
সীলের ছবি দিয়েছিতো, পিয়ের ৩৯ লেখা যে ছবিটায়, শেষের বড় ছবিগুলোতে নিচে থেকে ৪ নং ছবিটায়।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শেহাব- এর ছবি

ইন্টার্নশীপের জন্য স্যান হোসেতে এই সামারটা ছিলাম। ওই থিয়েটারের সামনে দিয়ে প্রতিদিন হালকা ট্রেনে উঠতাম। ছবিগুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

তাই হাসি তা ইন্টার্নশীপ কোথায় করছিলেন? জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছে।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শেহাব- এর ছবি

সিসকো হেড অফিসে

Guest-sydney এর ছবি

দারুন লাগল। আমি আমার সহধর্মীনিকে নিয়ে গিয়েছিলাম এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে। আমরা ২ সপ্তাহ থাকলেও বেশ ধকল গিয়েছিল। সিডনি-লস এন্জেলেস-স্যান হোসে-নিউইয়র্ক-ওয়াশিংটন ডিসি-ভার্জিনিয়া-স্যান হোসে-হলিউড-সিডনি এই ছিল আমাদের ভ্রমনসূচি। যত জায়গা দেখেছি তার মাঝে সান ফ্র্যানসিসকোই বেস্ট। আমরা নিউ ইয়র্কে বেশিদিন থাকিনি। ভালো লাগেনি তেমন। পরে নিউ ইয়র্ক থেকে ২ দিন আগে সান ফ্র্যানসিসকোতে ব্যাক করেছিলাম। সান ফ্র্যানসিসকোর সেগওয়েতে আবার চড়তে চাই। মন খারাপ

আপনার ছবিগুলো দেখে সেইদিনগুলোয় ফিরে গেলাম।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

তাই হাসি বাব্বাহ আপনাদেরটাও তাহলে মিনি দৌরের মতই ছিল হাসি আমরা মাত্র একদিন সান ফ্র্যানসিসকো ছিলাম আর সেদিন আবহাওয়াও খারাপ ছিল। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে লস এন্জেলেস, সেটা নিয়ে পরের লেখায় লিখবো। আপনার দারুন লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সাফি এর ছবি

ভাল দৌড়াদৌড়ি হয়েছে দেখা যায়। ছবিগুলো ভাল লেগেছে।

বিড়ি এর ছবি

দশ মিনিট যাবত পেজ লোডীং ই হচ্ছে আজ আর পরতে পারলাম না ।

তানিম এহসান এর ছবি

ছবিগুলো ভাল লেগেছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।