পাথর-চাপা সময়গুলো বুকে চেপে বসে আছে
ঠিক পাথরের মতো
তবু এগিয়ে যায় ঘড়ির কাটা টিকটিক শব্দে
প্রতিদিন সকালের হাত ধরে দুপুর, দুপুরের হাত ধরে বিকেল
তারপর সময়ের সিঁড়ি বেয়ে রাত্রি নামে
প্রতিটি রাত এখন এক একটি অমাবশ্যা....কেবলই নিস্তব্ধ অন্ধকার!!
অসহ্য নিরূত্তাপ সারা রাত্রির গায়ে জড়িয়ে থাকে
অথচ এর আগে অমবশ্যার শরীর আমাকে আলিঙ্গন করাতো দূরে থাক
ছুঁয়ে দেখারও সাহস করে নি কোন দিন।
ঠিক কীভাবে কবে একটু একটু করে সময়ের রথ উল্টো পথে হাটতে শুরু করেছিল বুঝতে পারি নি
সম্ভবত নিষ্ঠুর সময় কোন প্রেস দিতে জানে না বলে
অথবা হয়তো প্রেসনোট পড়তে না পারার অযোগ্যতার কারণে
সময়ের নিষ্টুর রথ আমাকে নিয়ে এসেছে এ ভয়ানক অমাবশ্যার কাছে
কিংবা অমাবশ্যাকে আমার কাছে...
আমি কিম্বুত কিমাকার অমাবশ্যার শরীরের নিচে পড়ে থাকি, কেবলই পড়ে থাকি
আর নিথচ অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই স্মৃতির এ্যালবাম...
ক্রমশ আমাদের নির্মিত ম্মৃতির ভাষ্কর্যগুলো চোখের সামনে ভরা পূর্ণিমার স্নিগ্ধতা মেখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে
আমি স্পস্ট দেখতে পাই
যৌবন ও তারুন্যের একটা বড় সময়ধরে
ভালবাসার স্কুলের শিশু শ্রেণীরও শিক্ষার্থী হতে না পারা এ অনভিজ্ঞ আমাকে
কেবল একজনই ভালবাসার সমুদ্রে ডোবাতে পেরেছে
জীবন থেকে পালাবার জন্য
অথবা মৃত্যুর প্রেমে পড়ে কখনও ডাক্তারের কাছে যাব না বলে পণ করেছিলাম
কেবল সেই আমাকে পণ ভাঙ্গিয়ে জীবনের বর্ণীল স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে
আমাদের ভালবাসাবাসি স্কুলের নতুন সামাজিকায়নের আগ পর্যন্ত
রক্ত মাংসের নারী, তার ঠোঁট,চিবুক, স্তুন, নাভীমূল সম্পর্কে
আমার ধারণা ছিল অনেকটা মেডিক্যালে পড়ুয়া প্রথম বর্ষের হিউম্যান এনাটমী কোর্সের অনমযোগী শিক্ষার্থীর অপূর্ণাঙ্গ কেতাবী জ্ঞানের মতো
যে শুধু বইয়ে পড়েছে, কোন দিন ছুঁয়ে দেখেনি
তারপর আমি ও সে, আমরা দু'জন মিলে প্রতিদিন ক্রমাগত লিখতে থাকি আমাদের ভালবাসার এনাটমি...এক দীর্ঘ এনাটমি
যেখানে মন ও শরীর পরস্পর কে অনুবাদ করতে করতে মিলিত হয়েছে একই মেরুতে
তৈরি হয়েছে আমাদের একান্ত স্বপ্নীল ভালবাসার মেরু।
পূর্ণিমার রাত আমাদের খুব প্রিয় বিষয়
একবার ভরা পূর্ণিমার রাতে আমরা
বাসে চড়ে ঢাকা এসেছিলাম
খুব কাছাকাছি বসে
চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় সবুজ ধান ক্ষেত আর শ্যামল প্রকৃতির স্নান দৃশ্য দেখে
আমার হাত ধরে সে বলেছিল-'যদি এখানেই থেকে যেতে পারতাম, আমি ও তুমি, আমরা দু'জন'!
অমবশ্যার অন্ধকারে আমি এখন প্রতিদিন সেই পূর্ণিমাকে খুঁজি।
আমার কাছে পাহাড় ও সমূদ্র দুই-ই বিশাল
তবে পাহাড়ের সৌন্দর্য তাকে তেমন স্পর্শ করে না
কিন্তু সমূদ্রের গভীরতা ও বিশালতা তাকে সব সময় টানে, ভীষণ গভীরভাবে
আমি এক সময় তার কাছে সমুদ্র হতে পেরেছিলাম
আমার সমুদ্রের প্রতিটি জলরাশিতে নিরন্তর সাঁতরে বেড়াবার জন্য
তার মধ্যে ব্যাকুলতা ছিল প্রতিদিন প্রতিক্ষণ
অথচ আমার সমূদ্রে তার সাঁতরে বেড়াবার গল্পগুলো ধারাবাহিক উপন্যাস হয়ে ওঠার আগেই স্রোতগুলো যেন বরফ-শীতল হয়ে ওঠে, ক্রমশ পাথর হয়, তারপর আমার মাঝে সমূদ্রে বদলে পড়ে থাকে একটি পাথুরে পাহাড়
আমি এখন এ পাথুরে পাহাড় নিয়ে কোন সাহসে বলি-ভালবাসি, ভালবাসি কেবল তোমাকেই ভালবাসি'!!!!
মন্তব্য
এই পঙক্তিটা তো ভাই কবিতার শুরুর পঙক্তি বলে সন্দেহ হয়। এই পঙক্তি দিয়ে শুরু হইলে কবিতাটা কোন্ মারাত্মক সুন্দর পরিণতিতে গিয়ে থামতো কল্পনা করা যায়!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্তর মতামত দেয়ার জন্য।
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
কোথায় যেন কিসের একটু কমতি আছে।
তবুও ভালো লাগলো খুব।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণা....মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
কমতিটা আমার কাছে মনে হচ্ছে অলঙ্কার। এখানে শব্দালঙ্কার ব্যবহারের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। যার ফলে আকারে কিছুটা বড় হলেও আরো ভালো লাগতো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনাকে ধন্যবাদ!!!
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম
নতুন মন্তব্য করুন