কদিন থেকেই লিখবো বলে ভাবছিলাম। লেখার বিষয় ছিলো লাথি। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আরেকটি নতুন বিষয় চলে এলো মুক্তি। মুক্তিযোদ্ধার পিঠে স্বাধীনতা বিরোধীদের লাথি আর এককালের কুখ্যাত রাজাকার নিজামীর ত্বরিৎ মুক্তি নিয়ে সচলায়তনে যখন লিখবো বলে ভাবছি তখনই দেখি সচলায়তন ব্যানড!চমৎকার। দেশটা কোথায় যাচ্ছে? এই প্রশ্ন আমার মতো দেশের আরো অনেকেরই। ১/১১কে স্বাগত জানায়নি দেশে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু এখন অমূল্য দুটি বছর অপেক্ষা করার পর দেখা যাচ্ছে দেশ যেখানে ছিলো সেখানেই আছে। বরঞ্চ ১/১১ এর সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্পর্ধা আরো বেড়েছে। আর সাধারণ জনগণ কথা বলার স্বাধীনতাটুকুও দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। রাজনীতির গতি প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে পুরোনো রাজনীতিবিদরাই আবার নতুন করে ফিরে আসছে। তাহলে এ দেশ নিয়ে আশা করার কী আছে! আমার মতো অনেক তরুণকেই আজকাল এমন হতাশা পেয়ে বসেছে। কী হবে দেশকে ভালোবেসে? ভোগবাদী প্রজন্মের হাতে জিম্মি এদেশ ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। আমরা যতোই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করিনা কেনো বাংলাদেশ আসলেই ব্যর্থ রাষ্ট্রের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে। দেশের যে প্রতিষ্ঠানের দিকেই তাকানো যায় সেখানেই দেখা যায় দুর্নীতি আর ব্যর্থতা। অথচ বহুজাতিক মুনাফাখোর কোম্পানিগুলো রমরমা ব্যবসা করে দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে লাভ। আমাদের প্রজন্মগুলোও সেই লাভের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিশীল কিছুই এ দেশে হচ্ছে না বা হতে দেয়া হচ্ছে না। মুক্তমনাদের লাথি মেরে, মুক্তচিন্তাকে ব্যানড্ করে অশুভ শক্তির মুক্ত আগ্রাসনে দেশের ভবিষ্যত পুরোপুরি অন্ধকার। যাকেই জিজ্ঞাসা করি সেই বলে সুযোগ থাকলে বাইরে চলে যান। এদেশে থেকে পচে মরার কোনো মানে হয় না। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ভাবছি।
মন্তব্য
- যারা কোনো এক সময় প্রতিবাদ করতে পারে, তারা দেশ থেকে পালিয়ে যাক- এটাই তো চায় তারা। বাকীটা আমাদের মর্জি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'পলিমাখা মুখ সুখ খোঁজে ফেরে শ্মশানে আস্তাকুঁড়ে
হতাশা কাফন কিনেছে খোকন-স্বপ্ন বিক্রী করে'
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাংলাদেশ জেগে আছে।
..................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
evabei ar choltay parena-----------paribartan ashtei hobay---------janina dekhar shomoi tokhon thakbe kina----------tobay evabey kichutei cholte parena---------parbeona-------itihash tai shakhkho daye----------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
আমার সবটুকু হতাশার কারণ এই দুটি বাক্যে প্রকাশ করে দিলেন। ধন্যবাদ।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
উদ্ধৃতি
সাধারণ জনগণ কথা বলার স্বাধীনতাটুকুও দিন দিন হারিয়ে ফেলছে।
কী করে থাকবে কথা বলার স্বাধীনতা? আপনি যাকে ভাববেন যে, এই লোকটিই হচ্ছে আসল লোক। কিন্তু অচিরাৎ দেখতে পাবেন সে বিপরীত চরিত্রের লোক। এমন কি প্রথম প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে পারেন আপনার ঘরেই।
এই যে আজকের দিনে কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিস্মৃত হচ্ছে তাদের স্বরূপ, ইতিহাস কোনদিন না সত্যি সত্যিই শোনা যায় জামাত-মুক্তিযোদ্ধা মোর্চার কথা। আমি কিন্তু একটুও বিস্মিত হবো না। কেন না, অভাবের কাছে, দু'মুঠো ভাতের জন্য আমরা বিক্রি হয়ে যাই।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন