জরুরী অবস্থার ভেতরই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পৌর ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবল আপত্তি স্বত্তেও নির্বাচনের সময় জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জরুরী অবস্থা শিথিল করা হয়েছিলো। নানা আশঙ্কা উদ্বেগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সফলভাবেই শেষ হয়েছে। ফলাফল নিয়েও কোনো ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হয়নি। একমাত্র বরিশাল ছাড়া সব এলাকার পরাজিত প্রার্থীরাই বিনাবাক্যব্যয়ে ফলাফল মেনে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বিরল বৈকি!এছাড়া ভোটার উপস্থিতিও ছিলো ব্যাপক।
জরুরী অবস্থার ভেতরেই এই ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। সেটা হলো জরুরী অবস্থা বহাল রেখেই কি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ নাকী জাতীয় নির্বাচনের সময় জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা উচিৎ? আওয়ামী লীগ, বিএনপি (দেলোয়ার) ইতোমধ্যেই জরুরী অবস্থার ভেতরে কোনোরকম নির্বাচনেই না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় পার্টি, বিএনপি(মেজর হাফিজ)সহ পিডিপির মতো দলগুলো এর বিরোধিতা করে বলেছে জরুরী অবস্থার ভেতরই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিৎ।
জরুরী অবস্থার ভেতরে নির্বাচন করে সাফল্য লাভ করায় সরকারও জাতীয় নির্বাচন জরুরী অবস্থার মধ্যে করার ব্যাপারে দৃঢ় মনোভাব দেখাচ্ছে। তাদের ভাষ্যমতে, এই সরকার ইলেকশন নয় সিলেকশন করবে বলে বাজারে যে গুজব ছড়ানো হয়েছিলো, সফল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করার ফলে সে দায় থেকে মুক্ত হওয়া গেছে পাশাপাশি এ সরকারে উপর জনগণেরও আস্থা বেড়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আবদারে কান দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
একথা ঠিক যে জরুরী অবস্থা দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আবার এ কথাও ঠিক যে জরুরী অবস্থার কারণেই যে কোন বারের চেয়ে এবারের নির্বাচন আপাতদৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। সিলেকশনের প্রার্থীদেরও ভরাডুবি হয়েছে। এ ধরনের নির্বাচনই জনগণের প্রত্যাশা ছিলো। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনও একইরকম ব্যবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত হোক বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে যারা দেশে জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে তারাও চাইছেন জাতীয় নির্বাচন এরকমই হোক। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় জরুরী অবস্থার ভেতরে সাধারণ নির্বাচন নজিরবিহীন এবং এ ধরনের ইলেকশনে শেষ পর্যন্ত সিলেকশনেরই জয় হয়েছে। তাই বলা যায় এখনপর্যন্ত জরুরী অবস্থা, ইলেকশন এবং সিলেকশন-এর জটিল গোলকধাঁধার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এদেশের ভবিষ্যৎ।
মন্তব্য
নেট প্রাকটিস আর ফিল্ডে খেলা কি এক?
চারটা সিটি আর নয়টা পৌর নির্বাচনের পেছনে সিইসি আর প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই সময় দিয়েছন অনবরত
আশপাশের জেলাগুলো থেকে পুলিশ ড়্যাব এনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে নির্বাচনী এলাকা
তার উপর শুধু শহরাঞ্চল...
তার উপর 'নো টক' সিচুয়েশনের জরুরি অবস্থা
এর মধ্যে আয়োজন করা নয চার তেরোটা এ্যাপেন্ডিক্সের নির্বাচনকে কি ৩০০ টা আসনের অজপাড়াগাঁসহ জাতীয় নির্বাচনের সাথে তুলনা করা যায়?
০২
নির্বাচন যেহেতু স্বাভাবিক অবস্থায়ই হবার কথা
সেহেতু সব রকমের স্বাভাবিক সিচুয়েশনেই এর এক্সপেরিমেন্ট করা উচিত
০৩
একুইরিয়ামে মাছ চাষ করা আর হাওরে মাছ চাষকে এক করে দেখা এক ধরনের ঠোলামি ছাড়া আর কিছু না
একমত এবং একমত।
নির্বাচন কমিশন নামক এই 'ঠুঁটো জগন্নাথ' দের আবভাব দেখে মনে হচ্ছে......কী মনে হচ্ছে ? .......জরুরি আইনের প্রটেকশনে এই তো সুযোগ........পাগলা চুলকে নে.........পাগলা চুলকে নে.......!!
করো করো বাড়িতে লেখা থাকে না ?'বি অয়্যার অব -ইয়ে '! সেই বাড়ির 'ইয়েরা 'নাকি বেশি বেশি 'ইয়ে ' করে....। ইয়েরা...দেশটাকে হেড ক্লার্কের জাবদা খাতা বানিয়ে ছাড়ল !ছো :!
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
জরুরী অবস্থায় হোক আর অজরুরীতেই হোক, আবার সেই চোর-বাটপারেরাই যে আসবে তার প্রমান তো হয়েই গেল।
নতুন মন্তব্য করুন