গতকাল ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে কতিপয় মাদ্রাসার ছাত্ররা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। উপাচার্য এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনা শুধু নজিরবিহীনই নয় দেশের ভবিষ্যতের জন্য চরম অশনী সংকেত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, লোকপ্রশাসন, ভাষাতত্ত্ব, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার এই ৮টি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে বাংলা ইংরেজীতে মোট ৮০০ নম্বরের শর্তারোপ করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আলিম ও ফাযিল পরীক্ষায় বাংলা ইংরেজীতে ২০০ করে মোট ৪০০ মার্কের পরীক্ষা দেয়।
ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের শর্তারোপ নতুন কোনো বিষয় নয়। এর আগে ইংরেজি এবং অর্থনীতি বিভাগে একই শর্ত বহাল ছিলো। বিভাগে একটি নির্দিষ্ট মানের ছাত্রছাত্রী ভর্তি করিয়ে লেখাপড়ার মান ধরে রাখাই এ ধরনের শর্তের উদ্দেশ্য। এ নিয়ে এর আগে কোনো কথা হয়নি। কিন্তু এবারের ঘটনা সবাইকে হচকিত করে দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় এ ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও জড়িত! জামাত শিবিরের ইন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটলো। রাজাকার মুজাহিদকে গ্রেপ্তার না করা, মৌলবাদীদের দ্বারা লালনের ভাস্কর্য ভাঙ্গা, দেশের সব ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেবার হুমকি, অমুসলমানদের অনুষ্ঠানে যেসব মুসলিম যায় তাদের কাফের ঘোষণার প্রায় একই সময়ে এই ঘটনা অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ।
বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে এ সরকার উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার নীলনকশা কষছে। এসবকিছু তারই পূর্বাভাস। তাহলে কী অচিরেই বাংলাদেশ আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান এই স্লোগানকে সত্যি করে দক্ষিন এশিয়ার নতুন আফগানস্থান বা পাকিস্তান হতে যাচ্ছে?
মন্তব্য
আমরা কেবল স্বপ্ন দেখে যাই, এই দুঃস্বপ্ন একদিন শেষ হবে, কিন্তু হয় না, ভয়ংকর দৈত্যদানোর পদতলে রক্তাক্তই হয় কেবল। কবে মুক্ত হবে প্রিয় স্বদেশ? শকুনের থাবা এখন সর্বত্র।
সত্যিই খুব অসহায় বোধ করছি।
মূর্তালা রামাত
দেশে এসব কি হচ্ছে!! প্রথম দিকে তো এই সরকারের কিছু বুঝেই উঠতে পারিনাই। বুঝি নাই, এরাই সবচেয়ে বড় কাল হয়ে দাড়াবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তখনতো কেউই বোঝে নাই। এখন সবাই চিন্তায় আছি।
মূর্তালা রামাত
কোথাকার পানি কোথায় গড়াচ্ছে ....
ভাবতেই গা শিউরে ওঠে ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সব একই সুতোয় গাঁথা রে ভাই। কিছু একটা করা দরকার।
.......................................................................................
Simply joking around...
কে কী করবে? সবাই যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত।
মূর্তালা রামাত
সত্যিই তাই। আজকেও ছাত্র শিবির আর মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নেমেছে!!
মূর্তালা রামাত
এ সরকারের সময় রাজাকারদের বিচারের বেপার এ আশাবাদী হতে শুরু করেছিলাম কিন্তু এখন দেখি সষের ভেতর ভুত।
'থলের বেড়াল' আস্তে আস্তে বের হচ্ছে। এই সরকারের মতিগতি বোঝা দায়;
অপেক্ষায় আছি নির্বাচনের, দেখা যাক ঘটনা শেষ পর্যন্ত সামাল দেয়া যায় কী না?
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অপেক্ষায় রইলাম কী হয় দেখার জন্য।
ধুর! মেজাজটা আবার বিগড়ালো!
_______________
বোকা মানুষ
এই ভাঙচুর তো তাদের করা উচিত ছিলো মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে। ৪০০ নাম্বারের পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিল করে ৮০০ নাম্বারের পরীক্ষাপদ্ধতি আশু প্রবর্তনের দাবি নিয়ে তারা ঐখানে যায় না কেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটা খুবই স্পষ্ট যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যে এক্সিসের আশীর্বাদে ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা চান বাংলাদেশ তালেবানী দেশ হোক, যাতে পরে একে গাল দিয়ে একটা ছোটখাট যুদ্ধ বানিয়ে পরে আরেকটি তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে এর তেল, গ্যাস দখল, এবং সার্বভৌমত্ব শেষ করে দিয়ে যথেচ্ছ ট্রাঞ্জিট পাওয়া যায়।
উল্লিখিত ঘটনার হাসির দিক হলো, বর্তমান ভিসি /প্রোভিসি নিজেরাই জামাতের লোক। অনেক জটিল পরিকল্পনা।
শিবির তার অন টেস্টে উতড়ে গেলো। দেশের সব জায়গাতেই দখল কায়েম করেছে আগেই। ঢা বি বাকি ছিলো। এটার এসিড টেস্ট করে দেখলো যে ঢাবিও দখল করাটা কতোটা রিস্কি। সম্ভবত ফাইনালটা সামনে অপেক্ষা করছে। অশনিসংকেত !
ভিসি স্যার এতোদিনে ঠেকে বুঝলেন যে, চারদলীয় ঐক্যজোটে দুধ কলা দিয়ে যে সাপ পুষেছেন এতদিন, এখন ছোবল দিচ্ছে। এর দায়ভার তো উনাদেরকে নিতে হবেই। তবে এ জাতি হয়তো কঠিন মূল্য দিয়ে এর প্রায়শ্চিত্ত করবে। প্রায়শ্চিত্ত এখনো শুরু হয়নি, আলামাত শুরু হয়েছে মাত্র।
এখনই থামাতে না পারলে আফসোস করেও সিদ্ধি আসবে না। দেশের সবকটা সেক্টরের মাথা উপমাথা শাখামাথায় জামাতী প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়ে গেছে এরই মধ্যে। গত পাঁচ বছরের ঐক্য জোটের আমলেই। রাষ্টযন্ত্র এখন আর বাংলার গান গায় না। স্বপ্নের চাঁদতারা ছোঁয়ায় ব্যস্ত।
অতএব অনাগত ভবিষ্যৎ হাসবে না কাঁদবে, তা সময়ই বলবে, যদি আমরা জনগণ বলতে না পারি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
- কিচ্ছু বলার নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ গুলাও যদি নিজের মাথা বন্ধক রাখে স্বার্থপর মৌলবাদীর কাছে, তাহলে আমরা গণ্ডমূর্খের দল আর কীইবা করতে পারি!
নিজের দেশে, নিজের মাটিতে নিজেরাই অবরুদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায়। তারাও কি মুক্তি পাবেন যারা সুযোগটা করে দিচ্ছেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দক্ষিণ এশিয়ায় ৯/১১র পর থেকেই মৌলবাদ দিকে দিকে চাঙ্গা হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেকেই এজন্য ৯/১১ ও তার পরবর্তী ঘটনাসমূহকে দায়ী করেন যদিও আমার সেরকম মনে হয় না। আবার অনেকে এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ দেখেন যার সাথেও আমি সম্পূর্ণ সহমত নই।
এ বিষয়ে বলা হয় যে রাজনীতি জনমত তৈরী করে। কিন্তু ঘটনা হল উলটো - জনমতই রাজনীতি তৈরী করে। আর জনমত সমাজের প্রতিফলন, মোটেও বাইরের কোনো শক্তির চক্রান্তের ফল নয়। রাজনৈতিক নেতারা উস্কে দিতে পারেন, ইন্ধন দিতে পারেন কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু দেশের বোকা মানুষ যদি সেই ফাঁদে পা দেয় তাহলে দোষটা দেশের মানুষেরও কম হয় না।
বাংলাদেশে এখন যে গুঁড়ো দুধে ভেজাল পাওয়া গেল তার বিরোধী আমি তো কোনো ভাঙচুর/বিক্ষোভ দেখলাম না। এ আটকানোর কোনো দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনাও নেই সরকারের। তাও বিক্ষোভকারী জনমত কোথায়?
বছরের পর বছর ধরে সবাই ধর্ম ও ধর্মীয় অনুশাসনকে মাথায় তুলে রেখেছে সমাজে, যার বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তোলা সম্ভব নয়। সমাজ সংস্কৃতিতে যদি এরকম কোনো "প্রশ্নাতীত সত্য" জায়গা বানিয়ে ফেলে, কে না তার সুযোগ নিতে চাইবে?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই সরকার নীল নকশা করলেই পারবো? এই সরকারের এত শক্তি? আপনে তাই মনে করেন? দাবরানী খাওনের আগেই এদের অবস্থা কেরসিন... এরা কিছুই ছিঁড়তে পারবো না... ভয়ের কোনো কারন নাই... মোল্লারা ফাল পারতেছে বইলা বেশি দেখা যাইতেছে... সময়মতো আদার বাদার থেকে বাঙালী বাইরয়া আসবে।
আসবেই... কেউ ঠেকাইতে পারবো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমারো তাই ধারণা।
- সেই সময়টা আসবে কবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টেনশন নিয়েন না... আসবে... আমরা একটু অলস প্রকৃতির জাতি... খুব সমস্যায় না পড়লে গা ঝাড়া দিয়া উঠি না।
ইউরোপিয়ানগো যখন টাকা হইছে তখন তারা জাহাজ ভাসায়া দেশ দখল করতে গেছে, আর আমরা আরামে হেরেম বানাইছি। কিন্তু যখন এহেবারে দেয়ালে পিঠ ঠেকছে তখন কিন্তু আমরাই বার বার উইঠা এমুন দাবড়ানি দিছি...
কোনো অপশক্তিই টিকতে পারে নাই। পারবো না। হ...
এই জাতির স্বভাব হইলো বাড়তে দেয়া... ঘাড় ছাড়াইতে চাইলেই কেবল ঘাড় ভাইঙ্গা দেয়া... তার আগ পর্যন্ত মাথা নিচু কইরা দেখনের স্বভাব আর টাইম কোনোটাই নাই আমাদের... মাথা তো নিচু করি না বস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার ধারনা এগুলা সবই সাময়িক। রাজনৈতিক সরকার আসলেই এগুলা সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।
I do agree with you Nazrul vai. (I MUST have to). Some time we bengali forget our spirit. Then when the next day sunrises we again start to believe that we are not blind.
Some time I find a section of the educated part of our society feel good supporting "mollas". I wonder that if these people are in the internal meeting of these "mollas" how they will feel. I am surethat they would feel strangled since there is no light except the darkness of belief. I do believethat being dreamy about living in foreign culture is a romantic thought indeed but it must be a severe shock when people experience that.
বাঙালি সময় হইলেই আবার একটা কিছু কইরা ফালাইব, কেন জানি আর এইটা খুব একটা আশা করতে পারি না। দিগন্ত একটা খুব ভাল পয়েন্ট ধরছেন, এইযে গুঁড়ো দুধে ভেজাল পাওয়া গেল, এইটা নিয়া তো কোথাও কোন বিক্ষোভ হইল না। মনে আছে, বছর কয়েক আগে দেশে ভেজাল বিরোধী অভিযানের কথা, কোন লাভ হইছে? পত্র-পত্রিকায় ফলাও কইরা নাম ছাপানোর পরও আমরা কিন্তু ভেজাল কারবারীদের প্রডাক্ট বন্ধ করি নাই, তারা বহাল তবিয়তেই ব্যাবসা কইরা যাইতাছে। কেন জানি মনে হয় আমরা পাবলিকরাই মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়া যাইতাছি, কিছুই আর আমাদের স্পর্শ করে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি, ভেজাল জিনিস-পত্র , কিছুতেই কিছু যায় আসে না, নিজে কোনরকমে খায়া পইড়া বাঁইচা থাকতে পারলেই হইল, পরের কথা চিন্তা কইরা লাভ কি? এমনকি নিজেও ধুঁকে ধুঁকে মরতে থাকলে সেইটাও কপালের উপরেই ছাইড়া দিই। এই বাঙালি বড় বেশি পঙ্গু হয়ে গেছে, আপনাতেই কিছু একটা হয়ে যাবে ভাইবা বইসা থাকলে কিছুই হবে না।
নিজেরে অনেক পজিটিভ মাইন্ডেড ভাবতাম, এখন আর পজিটিভ থাকতে পারি না। স্যরি এত নেগেটিভ কথার জন্য।
আশা তো করতে চাই। যতোটুকু কানে আসে বৃত্তান্ত, তাতে সুসময়ের চিঠি তো একটাও নাই। শক্তিই নি:শেষ এতদিনে।
আর বুঝি হবে না কিস্সু!
:(
_ সাইফুল আকবর খান
নতুন মন্তব্য করুন