বেলজিয়াম-এর কবি পল কলিনেট ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সুরিরিয়ালিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত এই কবি মূলত গদ্য কবিতা লিখতেন। ১৯৪২ সালে তার প্রথম কব্যগ্রন্থ লা হিস্টোরিস দ্যু লা ল্যাম্প প্রকাশিত হয়। ১৯৫৪ সালে লা ম্যানভিল দ্যু শ্যাতো নামে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ফরাসী ভাষায় লিখিত তার কবিতাগুলো সুরিয়ালিস্ট আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিশ্বের বহু ভাষায় তার কবিতা অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৭ সালে আলোচিত এই কবি মৃত্যুবরণ করেন।
লোককথা
গ্রামের এক ঘন্টি টাওয়ার ছিলো নিদ্রালু।
গাছপালার ছোট্ট বলয়ে সে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছিলো, তারপর তিন গুনে
ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
যখন সে জাগলো, তখন সেখানে শরীরে রূপালী শিশির নিয়ে
দাঁড়িয়ে ছিলো অল্প কিছু গাছ ।
কাগজের জ্বলন্ত ক্রস তাদের কপালে ছাপ ফেলছিলো।
বেলগওর্ড-এর ভদ্রলোক
ভদ্রলোকটি ক্যারিজ থেকে নামলেন।
এটি পাহাড়ি উপত্যকার একটি শহর।
বৃদ্ধ হাতের সাদা অবয়ব হাজারো মসলা-কৌটার
টুপি বোনে।
কাচারিতে চলছে জন্তুর সাজগোজ।
ডিনার জ্যাকেট পরা শেয়াল, লালচে আগুন তার
লেজে।
ভদ্রলোকটি মোমবাতি জ্বালায় আর খায় খরগোশের স্যুপ।
কোন ভবিষ্যতই নেই
এটা ফেব্র“য়ারি সকাল। বিখ্যাত তুষার।
সে কিছু কফি পোড়ায়।
শিক্ষক মহোদয় হিমালয়ের ছবি আঁকেন।
দুঃস্বপ্ন
হকারের মা অল্পই কাঁদে,
বাতি না জ্বালিয়েই। আর সে, চিলেকোঠায়,
কাগজপত্রে ঢেলে দেয় কেরোসিন। সে একজন মুক্ত-চিন্তার লোক। তার
বোনটি ধার্মিক। টাইফয়েড জ্বরে বোনটি এক বছরেই হারিয়েছিলো
সব চুল। সে জলিমন্ট পাগলা-গারদের
চাপরাশি।
রাজা লুইস
রাজা লুইস একটা পাতিলের মতই শ্রবণ প্রতিবন্ধী। রাজা লুইসকে পশ্চাতে
ভর দিয়ে, তার প্রশস্ত জানালার সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তিনি দেখেন এক
কুঁজো গিরিপথ ছেঁড়া তোয়াল হাতে টাউন হলের দিকে
যায়।
পাশের ঘরটি
পালিত বোনদের সাথে সারাদিন খেলতে খেলতে
ক্লান্ত হতে না হতেই, সালমা’র মেয়ে উঠে দাঁড়ায়, মোমবাতি জ্বালিয়ে খুব
গর্বিত ভঙ্গিমায় সে তার খেলার সাথিদের ত্যাগ করে আর আয়নায়
কুৎসিত মুখভঙ্গি করতে পাশের ঘরে চলে যায়।
রূপক
সাদা বাড়িটি সম্পূর্ণ কালো। কালো বাড়িটি পুরো
সাদা। একই লোকগাথায় তাদের বাস। প্রাকৃতিকভাবেই তারা
দেখতে এক।
ধৈর্য তাদের নাম। তারা নিজেরাই দেখে তাদের
নিসর্গ। সমাপ্তিতে তারা সর্বদা উন্মুক্ত।
ভিন্ন পোশাক পরে একে অন্যের ভেতরে তাদের বেঁচে থাকা।
তারকার খ্যাতি থেকে তারা দূরে। স্থান নিয়ে তারা কখনোই
ব্যবসা করে না।
মন্তব্য
পল কলিনেটের কবিতা আগে পড়া নেই, এগুলো পড়ে বেশ নরম-কোমল বোধ হলো। একদম দৌড়ঝাঁপ নেই, ধীরস্থির। পাঠস্বস্তি দেয়।
অবশ্য অনেকানেক চিত্রপ্রতিমাই সুররিয়ালিজমকে মনে করায় না।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
তেমন কিছু মনে হ'লো না, স্যরি টু সে। মানে, এই বিক্ষিপ্ততাটা আমার কাছে গন্তব্যহীন এবং এমনকি বক্তব্যহীনও মনে হয়েছে একটু আধটু। আর, কোথাও না পৌঁছানোর যে চলা, 'চরৈবেতি'র সেই মজাটাও ঠিক পেলাম না যেন। হ'তে পারে আমার দেখার বা সঙ্গে যেতে পারার ব্যর্থতা। জানি না।
যাক, দূর-ধনী লেখককে গরীব পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া অবশ্যই মহত্ কাজ। সেজন্যে যথারীতি ধন্যবাদ থাকলোই।
_ সাইফুল আকবর খান
স্যরি হবার কিছু নেই। অনুবাদের সময় আমারও এটাই মনে হয়েছে। তারপরও অনুবাদ যেহেতু শুরু করেছিলাম তাই বেশ কিছু করেও ফেললাম। মূল ফরাসী থেকে অনুবাদ করতে পারলে হয়তো আরো খোলাসা হতো। কবিতা পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
সাইফুল আকবর খানের সাথে সহমত
খুব সাদামাটা টাইপ মনে হলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন