অবশেষে বহু জল্পনা কল্পনার শেষে নবম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করা হলো। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ খবর পাবার পর জামাত-বিএনপির চার দলীয় জোট কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস ছিলো চোখে পড়ার মতো। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরেক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা করেছেন যে নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা কেটে গেছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের উল্লসিত কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করেছে; তাদের ভাবখানা এমন যে তারা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে চলেছে!
আওয়ামী লীগের এই খুশির নেপথ্যে কাজ করছে সদ্য হয়ে যাওয়া মেয়র ইলেকশনের ফলাফল। ওই নির্বাচনে মূলত আওয়ামীপন্থীদেরই জয়জয়কার দেখা গেছে। যদিও স্থানীয় নির্বাচন থেকে জাতীয় নির্বাচন এক পাল্লায় মাপার ফলাফল কী হতে পারে তা একজন জড়ো বুদ্ধির লোকও বোঝে তথাপি আওয়ামী লীগের তথাকথিত অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ তা বুঝতে নারাজ। তারা মেয়র ইলেকশনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই ডুগডুগি বাজাচ্ছেন আর এই ধারণা করে বসে আছেন যে সামনে যে নির্বাচনই হোক না কেনো তাতে তারাই জিতবেন! এ ধরনের চিন্তা থেকেই এলাকায় এলাকায় পাতি আওয়ামী লীগারদের দাপুটে চলাফেরা শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্ষমতা দেখানোর ঔদ্ধত্বপূর্ণ লাফঝাঁপ (অথচ তারা এখনো ক্ষমতায়ই যায়নি!!!) নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আওয়ামী লীগারদের এধরনের অপরিপক্ক লাফঝাঁপ বরাবরই তাদের ক্ষতির কারণ হয়েছে। নিকট ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় যে যতোবারই তারা অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়েছে ততোবারই প্রতিপক্ষের কাছে জোরেসোরে ধরাশায়ী হয়েছে।
তারপরও এ দলটির চিন্তা চেতনায় আধুনিকতার ছাপ আসেনি। ফলে জামাত-বিএনপি জোটের কাছে নাকানী-চুবানি খেতে খেতে তাদের অবস্থা কাহিল; দলটির সবচেয়ে গোঁড়া সমর্থকটিও এখন স্বীকার করে যে ১/১১ এর বদলে তখন নির্বাচন হলেই বরঞ্চ আওয়ামী লীগ লাভবান হতো। এভাবে আওয়ামী লীগ তার অপরিণত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মাশুল একাধারে দিয়েই চলেছে। যেখানে খালেদা জিয়া,তারেক রহমান, নীজামী, মুজাহিদ সকলেই জামিনে মুক্ত আর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মামলাগুলো এখনো ঝুলে আছে সেখানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই আনন্দের জোয়ারে দলটির এই গা ভাসানোকে তাই বালসুলভ আচরণ বলেই আখ্যা দেয়া যেতে পারে।
মন্তব্য
ঠিক
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
প্রনিক আঙ্কেল ১৯৭০ এ মত নির্বাচন করার ঘোষনা দেয়ার পর থেকে লীগের সবার হাসি আর ধরে না। রাজাকার মুজাহিদ তো বলেই দিয়েছে " যাহ, তাইলে খেলবো না" ।
এত ঘটনা ঘটলো,এত ঘটে পানি খেলো- উয়াদের বয়স তবু বাড়লো না।উয়ারা বোধ হয় ফকির মজনু শাহ সিনেমার সেই গানের কথায় বিশ্বাস করেন---সবাই বলে বয়স বাড়ে,আমি বলি কমে রে......
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তাদের দূরদৃষ্টির অভাব দেখে এই ফকির মজনু শাহ সিনেমার আরেকটি গানের কথা মনে পড়ছে রে দাদা ... চোখের নজর এমনি কইরা একদিন ক্ষইয়া যাবে ... ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছে আওয়ামী লীগ। এরা ভুল থেকে শেখে না। মরে তো মরে, সাথে দেশটাকে নিয়ে মরে। ৯১এর নির্বাচনেও একই চিত্র ছিলো, তারা নির্বাচনের আগেই একে দেখে নেবো, ওকে দেখে নেবো শুরু করেছিলো, পাবলিক ঠিকই লাথি মেরেছে, তাতেও শিক্ষা হয় নি। ১/১১র আগে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৮০-২০ তে জিততো, এখন পরিস্থিতি ৫২-৪৮। আর কয়টা লাফ দিলেই ৪০-৬০তে নেমে যাবে, আবারও তারেক চোরা আর নিযামী রাজাকার ক্ষমতায়। অবশ্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জ্ঞানের উন্নতি না ঘটলে তারা ক্ষমতায় গিয়েও পাবলিকের লাভ নেই। আমাদের তালেবানিত্ব সাময়িক ঠেকিয়ে রাখা বড়জোর।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠেকিয়ে রাখার ভরসাও পাচ্ছি না এখন....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ভাল পর্যবেক্ষণ; কাল আশরাফুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া দেখে আমিও এ কথাই ভাবছিলাম।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমার ধারণা ভিন্ন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের নিজের জান বাঁচানোর জন্য আলীগ বা বিএনপির সাথে গোপন সমঝোতা করবে। কদিন আগে সেটা বিএনপির সাথে হচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল তাই বিএনপির লোকজন খুশী হয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে হাসিনা বেশী সুবিধা দিবে, তাই সরকার আলীগের সাথেই যাচ্ছে।এতেই আলীগ খুশী এবং একই সাথে খালেদা জিয়ার মাথা খারাপ।
আমারও ধারণা খুশির কারণ এইটাই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমার আরো একটা ভয়ংকর অনুমান জামাতের সাথেও আলীগের গোপন কিছু একটা হয়েছে। সাম্প্রিতিক কালে জামাতের বিরুদ্ধে আলীগ বিশেষ কিছু বলেনি। তাদের নিবন্ধনের আপত্তি জানিয়েছে মূলত কিছু বামদল। ভাস্কর্য নিয়েও তারা চুপ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের নিজের জান বাঁচানোর জন্য আলীগ বা বিএনপির সাথে গোপন সমঝোতা করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার না সরতে চাইলে তাকে সরাবে কে?
আপনার পোষ্টটি বেশ সময়োপযোগী। ১/১১ এর পরেও দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ দলবল নিয়ে বংগভবনে গিয়েছে শপথ গ্রহন অনুষ্টানে। তারা বুঝতেই পারে নি যে, তারাও ফখরুদ্দিনের শিকার হবে। একই বিষয়ে আরেকটি পোষ্ট দেয়া হয়েছে, মূক্তাংগন নির্মান ব্লগে। আগ্রহীরা নীচের লিংকে দেখতে পারেন।
http://www.nirmaaan.com/blog/acharjeesaikat/1077#more-1077
আওয়ামী লীগ খুশি কারণ তাদের এমন ধারণা হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে সোনার হরিণটা এবার তাদের জালে আটকা পড়বে। তবে খুশি মনে হয় একটু বাড়াবাড়ি রকম বেশি। ছবি দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
যতসব রামছাগলে দলটা চালায়... কিছু বলার নাই।
খুশী দেখে ৯১ সালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে । আল্লাহ যে কবে আমাদেরকে হাসিনামুক্ত আওয়ামীলীগ দেখাবে ।
কে যেন বলেছিলেন, মনে পড়ছে না, আওয়ামী লীগ যখন জেতে, তখন একা নিজেরা জেতে। যখন হারে, গোটা দেশকে নিয়ে হারে।
রাজনৈতিক কান্ডজ্ঞানহীন নেতৃত্বের পাল্লা থেকে মুক্ত না হলে এরা দেশটাকে নিয়েই হেরে চলবে।
দাঁত খুব বুঝে শুনে দেখাতে হয়। তা হাসিতেই হোক আর হুমকিতেই হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বলেছিলেন- আহমেদ ছফা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আওয়ামী লীগে অনেকেই সংস্কারবাদী। কিন্তু দেশের মানুষের ইনার্শিয়া এত বেশি যে ওরা 'শেখের বেটি'কেই নেত্রী হিসেবে দেখতে চায়। এর পরে হয়তো ওপরের ছবির মত জয়কে চাইবে। কোন নেতা চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে বিপদে পড়বে? কাজিন আমু পর্যন্ত এখন মজা বুঝছে। অনেক অভিজ্ঞ অগ্নিকন্যা তো শুরু থেকেই এটা জানত, কখনো সমর্থন ছাড়েনি। আমেরিকার মানুষ যেমন এবার বহুদিনের সংস্কার ছুঁড়ে ফেলে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে, আমরাও এক সময় পারব। সময় লাগবে।
জামাতের সাথে আওয়ামী কোন গোপন চুক্তি নেই, আছে ইঙ্কিলাব গোষ্ঠি জাতীয় জামাত বিরোধী দলের সাথে। জামাতী চুক্তি থাকলে এরা সরে যেত। কে ভালো বলা মুশকিল।
পোস্টটা পড়তে পড়তে আহমদ ছফার বাণীটাই মনে আসতেছিলো...
সেটা হিমু বলে দিয়েছে...
এর পরে আসলেই আর কিছু বলার নাই।
তবে নির্বাচনের এখনো বেশ পথ বাকী... দুনিয়াতে আরো অনেক কিছুই অপেক্ষা করতেছে মনে হয়।
এদিকে তো সব বিধিনিষেধ উঠায়া দিলো... এইবার হবে মাঠের খেলা। রাজপথের খেলা।
দেখা যাউক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার সেই যমজ বোন হাসি-খুশির চুটকিটা মনে পড়ে গেলো। আড়ালে বসে কেউ আরো চওড়া হাসি দিয়ে বলছে, তুমি আর এমন কি খুশি, আমি আরো বেশি খুশি!
হাঁটুপানির জলদস্যু
আওয়ামী লীগ কেন খুশী হচ্ছে সেটার অনেক পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে এখন মহাজোটেরই ক্ষমতায় আসা বেটার। আমি আওয়ামী লীগ সাপোর্টারও না, দেশে থাকলে কাউরে ভোটও দিতামনা। তাও মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে ক্ষমতার অলটারনেশনটা এ্যাট লীস্ট হওয়া উচিত প্রতি পাঁচ বছর পর পর
না হইলে ভয়ানক লেভেলের ডিজাস্টার হয়ে যাবে ....
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
শেখ হাসিনা খুশি কারণ তার আন্দোলনের ফসল ১/১১। আওয়ামীলিগের অবস্থা হল গাছে কাঁঠাল গোফে তেল।
এইটা হলো বেক্কলের তিনি ভেটকি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন