খালেদা জিয়ার সাথে সরকারের আলোচনা চলছেই। জামাতের মজলিশে শুরায় নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখনও দোটানায় রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তাদের নেত্রীর দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিলো। বেশ কিছুদিন বিদেশে কাটানোর পর আজ সকালে দেশের মাটিতে পা রাখলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠা এসবকিছু ছাপিয়ে যেটি সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে সেটি হচ্ছে দু’নেত্রীর নিরাপত্তার প্রশ্ন। যদিও সরকার শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুজনের জন্যই সর্বোচ্চ এসএসএফ নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা যাচ্ছেই না।
এই শঙ্কার সাথে উঠে আসছে পাকিস্তানের প্রয়াত নেত্রী বেনজির ভুট্টোর নাম। দেশে ফেরার পরপরই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ভেতর দিয়েই তার শোভাযাত্রার উপর আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। সেবার প্রাণে বেঁচে গেলেও এর কিছুদিন পরেই তিনি নিহত হন। বেনজিরের সেই দেশে ফেরার সাথে শেখ হাসিনার দেশে ফেরাকে অনেকেই এক করে দেখছেন এবং তার উপর বেনজির স্টাইলেই হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে জামাত-বিএনপি জোটের ইন্ধনে তথাকথিত উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যারা হাসিনার উপর ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় তারাই আবার এধরণের হামলা করার পঁয়তারা কষতে পারে বলে তাদের অনুমান। আবার নির্বাচন বানচাল করতে খালেদার ওপর হামলার আশঙ্কাও কেউ কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
সামনে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। টানা দু’বছর সংসদীয় গণতন্ত্রের বাইরে থাকে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হবার পর দেশ আবার গণতন্ত্রের বলয়ে ফেরার দ্বারপ্রান্তে। এসময় যেকোন ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা বিশেষ করে বেনজির ট্র্যাজেডির মতো কোন ঘটনা দেশে ঘটলে দেশের ভবিষ্যত যে বিপন্ন হবে এত কোনো সন্দেহ নেই। এদেশে নাইজেরিয়ার মতো গলোযোগ বাধিয়ে তেল গ্যাস সহজে হাতিয়ে নিতে অনেক অপশক্তিই তৎপর। দু নেত্রীর যে কোন একজনের ওপর যে কোন ধরণের হামলাই দেশে আবার বিশৃঙ্খলার আগুন জ্বালাতে যথেষ্ঠ। তাই দেশের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে এ মুহূর্ত থেকেই তাদের নিরাপত্তার উপর বিশেষ জোর দেয়া প্রয়োজন। তারা ছাড়া দেশের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবার সময় এসেছে।
৬/১১/০৮
মহাখালী, ঢাকা
মন্তব্য
প্রকাশিত লেখায় তথ্য-সংযুক্তির অভাব বোধ করতেছি। পাকিস্তান আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কি একই?
দুই নেত্রীর কেউ একজন বেনজীর ভুট্টো হতে পারেন- এতো সহজে এইরকম সরলীকরণে চলে যাওয়াটা বিভ্রান্তিকর। যদিও একথা সত্য যে হাসিনার ওপর হামলা হয়েছিলো। হাসিনার ওপর ওই হামলা উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীই/শুধু উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীই যে চালিয়েছিলো তার প্রমাণ তো নেই।
তবে দুই নেত্রীর কেউ বেনজীর হওয়ার সম্ভাবনা না-থাকলেও অন্য একটি সম্ভাবনা বাংলাদেশের কপালে ঝুলে আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তা হলো এই যে, এদের দু'জনকে উপলক্ষ্য করে নির্বচানের কয়েক মাস পর (কতো মাস পর তা বলা যাচ্ছে না) আমরা আবার জরুরি অবস্থায় ফিরে যেতে পারি। তবে হ্যাঁ, এই সম্ভাবনার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। কারণ এটা তথ্য। বিশ্লেষণ/বিশ্লেষণের চেষ্টা নয়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের প্রেক্ষাপট একই নয় তবুও এ ধরণের হামলার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। বিশেষ করে আপনি যদি গত এক সপ্তাহের পত্রপত্রিকার কলামগুলো পড়ে থাকেন তবে আপনারও তাদের নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে আশঙ্কা জাগবে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পাকিস্তানের মতো না হলেও একেবারে যে অভিন্ন তা কিন্তু বলা যাবে না, বিশেষ করে আমীনিরা যা শুরু করেছে।
@হাসিনার ওপর ওই হামলা উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীই/শুধু উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীই যে চালিয়েছিলো তার প্রমাণ তো নেই।
একবারে ঠিক। আমিও কিন্তু আমার লেখায় 'ধারণা করা হয়" কথাটি বলেছিলাম।
@তা হলো এই যে, এদের দু'জনকে উপলক্ষ্য করে নির্বচানের কয়েক মাস পর (কতো মাস পর তা বলা যাচ্ছে না) আমরা আবার জরুরি অবস্থায় ফিরে যেতে পারি।
আমার তা মনে হয় না। ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়- রাজনীতিবিদেরা তা যদি ১/১১ থেকে নাও বুঝে থাকে আমার আপনার মতো ভূক্তভোগী আমজনতা তা ভালোই বুঝেছি, নাকী বলেন? তাই রাজনিতীবিদেরা চাইলেও জনতার কারণেই নিকট ভবিষ্যতে আবার জরুরী অবস্থা আসবেনা বলেই আমার মনে হয়।
মূর্তালা রামাত
হাসিনা কিন্তু আনন্দে বগল বাজাচ্ছে। তার চোখে-মুখে আসন্ন বিজয়ের আভাস।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
৯৬, ২০০১ এর নির্বাচনেও তাই ছিলো.... আর সেটার ফলাফলতো সবারই জানা।
মূর্তালা রামাত
তদন্তে কিন্তু ইতিমধ্যে বেরিয়ে এসেছে যে এই হামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির এক নেতা (নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না) জড়িত ছিলেন। তিনিই অর্থকড়ির যোগান দেন। আর গায়ে-গতরে খাটেন মুফতি হান্নান।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আমার মনেহয় আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমজনতা বাঙালী। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মত দুনীতিবাজ রাষ্ট্রীয় প্রতারকদের অমরা যদি জেনেশুনে গলায় মালা দিয়ে বরণ করে নিতে পারি তাহলে বাকি কোন কাজও অসম্ভব নয়।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
এদের কেউ মরলে দেশের কী ক্ষতি হবে?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমার মনে হয় বিশাল ক্ষতি হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রে উত্তরণের আর কোন পথই খোলা থাকবে না। দেশে দুর্নীতি সহ যত সমস্যাই থাকুক সেগুলো সমাধানের একমাত্র উপায় যে গণতান্ত্র এ নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। সমাধান করতে পারলে এক নির্বাচিত সরকারই পারবে। কিন্তু সেই নির্বাচনই যদি না হয় তাহলে ক্যাম্নে কি?
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
কি ক্ষতি হবে? কামাল আতাতুর্ক কেনো জন্মায় না বাংলাদেশে বুঝি না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পুঁজিবাদের মজাটাই এখানে, জনগনের মাথায় ‘গণতন্ত্রে’র নাম দিয়ে স্বৈরতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা। নির্বাচনের নামে আর গণতন্ত্রের নিস্ফল আশায় আমাদের শূণ্য মস্তিস্কের নেতাদের কে গ্রহণ করে নেয়ার কোন কারন আছে বলে মনেহয়না। এব্যাপারে আমদের সার্বিক জনসচেতনতা সর্বাগ্রে জরুরি।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
I agree with you.
I don't think that we general people or the politicians really gather any experience from 1/11. I don't feel any alteration in their (politicians) activities. Also our expression towards these politicians (I have doubt that they have any love for this country or people) didn't change.
নতুন মন্তব্য করুন