নির্বাচনে জিততে না জিততেই তাণ্ডব শুরু করেছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়য়র হল দখল করে প্রতিদ্বন্দী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের মারধোরের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। স্বয়ং শেখ হাসিনার নির্দেশের পরও তারা থামছে না।নির্বাচনের অনেক আগেই আমি আমার একটি লেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আগাম ওদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কথা লিখেছিলাম। নির্বাচনে জয়ী হতে না হতেই এবার তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে- http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=10&id=41415&hb=3
নির্বাচনের দিন আমি সারাটাসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছিলাম। আমার ভোট কেন্দ্র ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ফলাফল ঘোষণা করা হতে না হতেই ছাত্রলীগের একদল কর্মী জহুরুল হক হলের গেটে তালা মেরে দিলো। তাদের আরেকটি গ্রুপকে দেখলাম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হলের মূল গেটে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো! যারা দিন বদলের আশায় আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়েছিলো তাদের জন্য এ দৃশ্য ছিলো পুরোপুরি হতাশার।
ছাত্র সংগঠন গুলোর এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। ৯০ এর নির্বাচনের পর ঢাবির কিছু হল ছাত্রদল এবং কিছু হল ছাত্রলীগের দখলে ছিলো। মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল দখল করে নেয়। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়েই ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। ২০০১ এর নির্বাচনের পরপরই ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করে ছাত্রদল আবার হলগুলো পুর্ণদখল করে নেয়। দু পক্ষই তাদের সময়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বিএনপির শেষ মেয়াদে ছাত্রদলের সাথে যোগ দেয় ছাত্রশিবির।
ছাত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাশুল গুনতে হয়েছে দল গুলোকে। ২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গো হারার পেছনে ছাত্রলীগের দায় অনেক। ছাত্র রাজনীতিকে ব্যবসা বানিয়ে দুর্নীতির শিরোমণি বনে যাওয়া ছাত্রদলের নেতাদের কল্যাণে বিএনপির দশাও এবার তথৈবচ। ছাত্র শিবিরের জনৈক কর্মী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার লাঞ্ছিত হওয়ার মাশুল দিচ্ছে জামায়াত ইসলামী। ছাত্র সংগঠনগুলোর লাগাম টেনে না ধরলে কী বিপর্যয় হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণতো এগুলোই।
তাই আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয়তা নিয়ে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ছাত্রলীগকে সামলাতে হবে। শেখ হাসিনা আদেশ পেয়েও তাদের লুটপাট থামছে না । যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দিয়েছে তাদের জন্য এটা খুবই শঙ্কার সংবাদ। এর অর্থ হলো- যে লাউ সেই কদু। দেশ আবার সেই ১৯৯৬ সালে ফিরে যেতে চলেছে। কিন্তু আমরা কেউই আর পেছনে ফিরতে চাই না।
মাননীয় জননেত্রী দিন বদলের যে ওয়াদা আপনি করেছেন তা রাখতে না পারলে আগামীতে আপনার হার অনিবার্য। আর আমরা জানি যে আওয়ামী লীগ যখন হারে পুরো দেশ নিয়েই হারে। তাই দেশের স্বার্থেই আল্লার ওয়াস্তে এখনই ছাত্রলীগ সামলান, দিন বদলান। প্রয়োজনে কঠোর হোন।
মন্তব্য
একমত
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
আল্লার ওয়াস্তে কথাটা শিরোনামে খুব পছন্দ হইছে, কারণ নেত্রী এখন বাক্যে বাক্যে ইনশাল্লাহ বলছেন।
খালি সামলালে হবে কেন, যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে অভিযোগ হওয়া দরকার, বিচার ও শাস্তি হওয়া দরকার।
প্রতিহিংসার অবসান চাই।
অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার। কিন্তু এখনও যেহেতু ফখরুদ্দীন সরকার ক্ষমতায় সেহেতু তাৎক্ষণিক বিচারের দায়িত্বটা তাদের উপরই বর্তায়। তবে শেখ হাসিনারও এদর বিচার দাবী করে বক্তব্য দেয়া উচিৎ কারণ এসব ছাত্রলীগাররা দলের জন্য মন্দ বই ভালো কিছু বয়ে আনছে না।
মূর্তালা রামাত
একমত।
এটা মাস্ট। নইলে লাউ কদুই থাকবে সবদিকে।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ছবিটা দেখে খুব খারাপ লাগলো।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- ভুল পন্থা।
শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের ডুবে যেতে এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটার দরকার নেই। প্র্যাকটিসটা ভালো লাগলো না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একজনের কাছে শুনেছি আরব দেশের লোকেরা যখন কিছু না করতে চায় তখন নাকি ইনশাল্লাহ বলে। তারপর বলে আল্লায় চায়নি তাই হয়নি।
এইটা তো একটা জটিল তথ্য দিলেন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
শেখা হাসিনাকে কঠোর হতে হবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সদিচ্ছা থাকলেই সম্ভব। এখন কঠোর হতে না পারলে পাঁচ বছর এভাবেই চলবে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আগুন ছোট্ট থাকতেই নিভিয়ে ফেলা জরুরি। নইলে সে নিজেই জ্বলে না, সবাইকেই জ্বালাতে উদ্যত হয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পয়লা রাতেই বিড়াল কাটছে আর কি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সবকিছুই ছাঁচে চলছে, চলবে।
কোন পাগলে আশা করেছিলো যে ছাত্রলীগ প্রথম রাতেই হলদখলের রাজনীতিতে মেতে উঠবে না?
আমেরিকা কিছু করলেই আমাদেরও করতে হবে এটা একটা ফ্যাশন। বারাক ওবামা চেঞ্জ, চেঞ্জ বলে গলা ফাটাইছে দেখে আমাদেরও রাতারাতি বদলে যেতে হবে এটা কেমন কথা। আমরা আগের মতই থাকবো। একদল আরেকদলের পোঁদে আঙুল দিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেবো।
গরীবের আবার সিগনেচার!!!
পাগল বলেই অনেক কিছু আশা করি।
পরিবর্তন যে উপর থেকে চাপিয়ে দিলেই চলে আসবে না তার প্রমাণ পেয়ে যাচ্ছি আমরা। পরিবর্তন আসতে হবে সমাজের ভেতর থেকে। সমাজের কোণে কোণে, অলিতে গলিতে অবক্ষয়। সেটা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আবার প্রকাশ পেল।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ছাত্রলীগকে সামলানোর জন্য দ্রুত কিছু করা প্রয়োজন। ময়মনসিংহেও আমি কিছু সহিংসতার ঘটনা শুনলাম। কিন্তু এগুলো শোনা কথা। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে না জানা পর্যন্ত বিস্তারিত বলতে পারছি না। ময়মনসিংহের বড় মসজিদের ঈমামের হয়রাণিকে কেন্দ্র করে একটা ঘটনা ঘটেছে। আগামীকালের পত্রিকা ও শহরের অবস্থা দেখলে আরও জানা যাবে, তখনই নাহয় জানাবো।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এটাই কি হওয়ার কথা ছিলো না?
তবে ছাত্রলীগ যা ইচ্ছা তা করুক, আমি তাকিয়ে আছি এখনো সরকার গঠনের দিকে। শেখ হাসিনা কাকে কি পোর্টফোলিও দেয়, কাকে তার উপদেষ্টা কমিটিতে রাখে, সেটা দেখলেই বোঝা যাবে আদৌ কোন পরিবর্তন হয়েছে বা হতে যাচ্ছে কিনা।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমারও সেদিকেই দৃষ্টি এখন। ক্ষমতা ভাগাভাগির সময়ই দেখা যাবে আদৌ কোন পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে কি না।
যে মানুষগুলো এবারও ক্ষমতায় এসেছে তাদের আগেও দেখেছি। তাদের সদিচ্ছাটুকুর সাথে আমরা পরিচিত। সেই পুরাতন মানুষগুলো রাতারাতি বদলে যাবে, আমাদের পোড়া দেশটাকে বদলে দেবে—বিশ্বাস করতে বড় ভয় হয়।
গরীবের আবার সিগনেচার!!!
যদিও জানি নাচতে নাচতে ভোট দিয়ে আসলেও আমাদের অবস্থা এই--ই হবে ------- তবু এত তাড়াতাড়ি এ দৃশ্য দেখতে হবে ভাবিনি---
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সংকেত দিচ্ছে।
এখনই থামাতে হবে।
কী আর বলব ।
আর বললেই কী আর না বললেই কী !
জননেত্রী এখনো মনে করেন ১৯৯৬-২০০১ একটা স্বর্ণযুগ ছিল! উনি যদি সেই ভাবনায় দিন কাটান, তাহলে বড়ই ভয়ের কথা। উনার অবশ্যই মনে রাখা উচিত, এখন ২০০৯, কোনভাবেই ১৯৯৬ নয়। আশা করি উনি জেগে উঠবেন, আর এ সব অপকর্মের লাগাম টেনে ধরবেন। উনি সে রকমটাই ওয়াদা করেছেন।
আসল সমস্যা অন্য জায়গায়। হাসিনার সামনে এখন তেমন কোন "চোথা" নাই। বারাক ওবামা "চেঞ্জ উই নিড" বলেছেন, হাসিনে বলেছেন দিনবদলের জন্য পরিবর্তণের কথা।
প্রেস কনফারেন্সেও চোথা মেরে পার করে দেওয়া হচ্ছে।
সমস্যা হল, ওবামা ক্ষমতায় আসবেন ২২ জানুয়ারি, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন ১০ জানুয়ারি। চোথামুক্ত হাসিনা/আওয়ামী লীগ কী করে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।
ইশতি কী করবা বল! রাজনীতিতেও ফ্যাশন ঢুকে পড়েছে। নতুন ফ্যাশনের নাম "চেঞ্জ উই নিড"।
বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমি শালা ভোদাই একটা!!!
অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়। এসব কি দেখছি?
আমরা কেউ তো অতীতে ফিরে যেতে চাই না।
আশা করি সব ভালোর দিকেই যাবে।
______________________________________
লীন
অতীত শিক্ষা ১০১: অতীত থেকে কেউ কিছু শিখে না!
পরের নির্বাচনে আবার পাবলিকের ভোট পেয়ে আসতে হবে এটা কারো মনে থাকে না। তবুও আশা করছি স্লোগানের নয়, প্রকৃত পরিবর্তনের।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হাঁউ মাঁউ খাঁউ অন্য দলের গন্ধ পাঁউ করেই কাটে আমাদের নেতা নেতৃদের দিন.. তবে পুরা দোষই বা তাদের দেই কেমনে... তারা না হয় কইলই "বাছা আমার সোনার টুকরা, সাত চড়ে রা করে না" .. তাই বলে ছাত্রলীগের পোলাপানদের কি দায়িত্ব নাই দলের ইমেজ বাঁচানোর?
__________________________
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
বিডিনিউজে গতকাল পড়লাম...
আজকে আমার পরিচিত একজন জানালো সে হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
জননেত্রী বোধহয় জানেননা তিনি কি বলেছেন আর ওনার সোনার ছেলেরা কী করছে..
কিছুদিন আগে একটা ব্লগ পড়েছিলাম, দিন বদল দূরে থাক, আওয়ামী লীগ নিজেদের বদলাতে পারবে তো?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন