দৌড়াই দৌড়াই...
দাঁড়া নদী দাঁড়া-
নদী সরে সরে যায়
ক্লান্ত পা পুনরায় পোড়ে
নদী ডাকে আয়...
ছুঁয়ে দেখ, মেখে দেখ, চেখে দেখ-
দৌড়াই ফের-
জলের দীঘল ছায়া, ধূ ধূ গন্ধের বালি
আঙ্গুলের ফাঁক গলে পড়ে
যেন ব্যর্থ মোহর!
স্রোতের সিন্দুকে চড়ে বেলা যায়
দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘ দড়ি হাতে আমি তার পিছু পিছু
দূরত্ব মেপে চলি বরাবর আর
নদীর শূন্য দাগ হয়ে থাকি...
২৭/০২/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
দৌঁড়াই > দৌড়াই।
কবিতায় খুব ছোটোখাটো বানান ভুলও অস্বস্তিকর।
ধন্যবাদ। বিদেশে এসে বাংলা অভিধানের প্রয়োজন বড়ই অনুভূত হচ্ছে।
মূর্তালা রামাত
অভিধান হাজির!
আঙ্গুলের না, আঙুলের। পারলে ঠিক ক'রে দিয়ো।
আর ধুধু এমনিতে হ্রস্য-উকার দিয়েই। তবে, আমি মনে করি কবি এটুকু অধিকার নিতে পারে- চাইলে, ধুধু-টাকে আরো বেশি দীঘল বা বেশি বিস্তীর্ণ বা বেশি ক্লান্তিকর বুঝানোর জন্য ধূ ধূ ব'লে সেটাকে প্রোলং করতে এবং করাতে পারে। সো, ইট'স আপ টু ইউ।
আর কবিতার ইমপ্রেশনের কথা অন্য ফ্রেশ কমেন্টেই বলি।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমার সব লেখাতেই এভাবে বানান নির্দেশনা দিলে খুব খুশি হবো।
মূর্তালা রামাত
নদী ডাকে আয়...
ছুঁয়ে দেখ, মেখে দেখ, চেখে দেখ-
সাগর কিভাবে ডাকে, সেটা নিয়েও আরেকটা কবিতা লিখে ফেলেন না...
জানতে ইচ্ছে করছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাগরের পাশে আবার যেদিন যাবো সেদিন অবশ্যই আপনার জন্য কিছু একটা লেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
আপনি অনেক বদলে গেছেন। মন্তব্যের জবাব তো দেনই না মেসেজ দিলেও কোন উত্তর পাইনা। এত ব্যস্ত নাকি!
প্রথমেই এধরনের অভদ্রতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সত্যিই আমি ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। তবে মেসেজ বা মন্তব্যের জবাব না দেয়ার মতো অতোটা ব্যস্ত ছিলাম না। আলসেমির কারণে দেয়া হয়ে ওঠেনি। আবারও বলছি সরি। ভালো থাকবেন। ভবিষ্যতে অবশ্যই এমনটা ঘটবে না।ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
মাত্র একটা আঙ্গুল দেখাইলেন!
মূর্তালা রামাত
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুইটা আঙুলের পাশে ওইটা আবার কী দিলেন!!!
মূর্তালা রামাত
যা প্রকাশ করতে চেয়েছেন তা যে সফল ভাবেই করতে পেরেছেন তা পড়ার সময় অনুভূত হয়েছে। এবং তা যে সব কাব্যে হয় না তা ত বলাই বাহুল্য।
ফারাবী
বাহ আপনিতো বেশ মনযোগ দিয়ে কবিতা পড়েন দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মূর্তালা রামাত
কবিতা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জিনিস বলেই ত জানি। ঠিক মত না পড়লে মন্তব্য করার প্রয়োজন দেখি না।
ফারাবী
আপনার সাথে সহমত..
মূর্তালা রামাত
দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘ দড়ি হাতে আমি তার পিছু পিছু
অসাধারণ...
অর্ক১৩
ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
পড়তে গিয়ে হোঁচট খাইয়া পড়লাম বালির উপ্রে। মাথা উঠাই। নিজে উঠি। দাঁড়াই।
তারপর আমার ভালোলাগারা ঝাঁপাইয়া পড়ে শেষ চার লাইনে...
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
অপনার মন্তব্যের প্রথম লাইন পড়ে ভয় পাইছিলাম....শেষে এসে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম..
মূর্তালা রামাত
তোমার সাম্প্রতিক শব্দাবলী আমার কাছে আগাগোড়াই অসাধারণ লাগছে। বেখেয়ালেও কোনো দাগ ফেলে দেয়ার মতো কোনো জায়গাই খুঁজে পাই না।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার মন্তব্যের উত্তরে আমি জবাব দেবার কোন ভাষা খুঁজে পাইনা...
মূর্তালা রামাত
তাই নাকী! জানতাম নাতো! তাহলেতো আর দেয়া যাবে না।ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
নতুন মন্তব্য করুন